বরেণ্য ব্যক্তিদের দৃষ্টিতে আশুরা

মহাত্মা গান্ধী

(ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতা)

‘আমি ইমাম হোসাইন তথা ইসলামের এ মহান শহীদের জীবনী মনোযোগ সহকারে পাঠ করেছি এবং কারবালার পৃষ্ঠাগুলোর প্রতি অধিক মনোনিবেশ করেছি। আমার নিকট প্রতীয়মান হয়েছে যে,ভারত যদি একটি বিজয়ী রাষ্ট্র হতে চায় তাহলে ইমাম হোসাইনের আদর্শ অনুসরণ করতে হবে ।’

 

মুহাম্মদ আলী জিন্দাহ

(পাকিস্তানের জনক)

‘ইমাম হোসাইন (আ.) ত্যাগ দুঃসাহসের যে পরিচয় দিয়েছেন তার চেয়ে সাহসিকতার উৎকৃষ্ট নজির বিশ্বে দ্বিতীয়টি নেই। আমার মতে, সকল মুসলমানের উচিত ইরাকের মাটিতে আত্মোৎসর্গকারী এ শহীদের আদর্শকে অনুসরণ করা।’

 

চার্লস ডিকেন্স

(ইংল্যান্ডের বিখ্যাত লেখক)

‘যদি ইমাম হোসাইন -এর উদ্দেশ্য পার্থিব কামনা-বাসনা চরিতার্থ করার জন্য যুদ্ধ করা হতো তাহলে আমি বুঝতে পারতাম না যে, কেনো তার বোন,স্ত্রী এবং শিশুরা তার সঙ্গে ছিলেন । অতএব, বুদ্ধিবৃত্তি নির্দেশ করে যে, তিনি শুধু ইসলামের খাতিরেই ত্যাগ স্বীকার করেছেন ।’

 

টমাস কার্লাইল

(ইংরেজ দার্শনিক ও ঐতিহাসিক )

কারবালা ট্টাজেডি থেকে আমরা সর্বোত্তম যে শিক্ষা গ্রহণ করি সেটা হলো এই যে, ইমাম হোসাইন এবং তার সঙ্গীরা আল্লাহর প্রতি মজবুত ঈমান পোষণ করতেন। তারা তাদের কর্ম দ্বারা স্পষ্ট করেছেন যে, যেখানে হক ও বাতিলের মুখোমুখি হওয়ার প্রশ্ন দেখা দেয় সেখানে সংখ্যার আধিক্য কোনো বিচার্য বিষয় নয়। আর ইমাম হোসাইন মুষ্টিমেয় কয়েক জনকে নিয়ে যে বিজয় লাভ করেছেন তা আমার মধ্যে বিস্ময়ের উদ্রেক করেছে।’

 

অ্যাডওয়ার্ড ব্রাউন

(বিখ্যাত ইংরেজ প্রাচ্যবিদ) ‘

এমন কোনো অন্তর পাওয়া যাবে কি যে,যখন কারবালা সম্পর্কে বক্তব্য শোনে তখন দুঃখ ও বেদনাহত হয় না? এমনকি কোনো অমুসলিমও এই ইসলামী যুদ্ধকে ও তার পতাকাতলে যে আত্মিক পবিত্রতা সাধিত হয়েছে তা অস্বীকার করতে পারে না।’

 

ফ্রেড্রিক জেমস

(বিখ্যাত ইংরেজ ঐতিহাসিক)

ইমাম হোসাইন ও অপরাপর বীর শহীদের শিক্ষা হলো এটাই যে, দুনিয়ায় চিরন্তন করুণা এবং মমতার মূলনীতি বিদ্যমান যা অপরিবর্তনীয়। অনুরূপভাবে প্রতিপন্ন করে যে, যখন কেউ এ গুণসমূহের জন্য প্রতিরোধ গড়ে তুলবে এবং এ পথে অবিচলতা প্রদর্শন করবে তখন উক্ত মূলনীতিসমূহ দুনিয়ায় চিরন্তন ও চিরস্থায়ী থাকবে।’

 

ওয়াশিংটন আর্ভিং

(বিখ্যাত মার্কিন ঐতিহাসিক )

‘ইমাম হোসাইনের জন্য ইয়াযীদের ইচ্ছার কাছে নতি স্বীকার করে জীবন রক্ষা করা সম্ভব ছিল । কিন্তু ইমামের নেতৃত্ব ও আন্দোলনমুখী দায়িত্বভার তাকে ইয়াযীদকে খলিফা হিসাবে স্বীকৃতি প্রদানের অনুমতি প্রদান করেনি। তিনি বনী উমাইয়্যার কবল থেকে ইসলামকে মুক্ত করার জন্য অচিরেই যে কোন কষ্ট ও নিপীড়নকে বরণ করে নেবার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেন। শুষ্ক মরু প্রান্তরের সূচালো সূর্য তাপের নিচে এবং আরবের উত্তপ্ত বালুরাশির মাঝে হোসাইন -এর আত্মা অবিনশ্বর হয়ে আছে।’

 

টমাস মাসারিক

(বিখ্যাত ইংরেজ লেখক)

‘যদিও আমাদের পাদ্রীরাও হযরত মসীহর শোকগাথা বর্ণনা দ্বারা লোকদেরকে প্রভাবিত করেন, কিন্তু ইমাম হোসাইন (আ.) -এর অনুসারীদের মধ্যে যে আবেগ ও উচ্ছাস দেখা যায় তা হযরত মসীহর অনুসারীদের মাঝে পাওয়া যাবে না। আর এর কারণ মনে হয় এটাই যে, ইমাম হোসাইন -এর শোকের বিপরীতে হযরত মসীর শোক যেন বিশালদেহী এক পর্বতের সামনে ক্ষুদ্র একটা খড়কুটোসম।

 

মরিস ডু কিবরী

(বিখ্যাত ইংরেজ লেখক ও পর্যটক)

‘ইমাম হোসাইন –এর শোক মজলিসে বলা হয় যে, তিনি মানুষের মর্যাদাকে অক্ষুণ্ণ রাখা এবং ইসলামের উচ্চ মহিমাকে সমুন্নত রাখার জন্য জান,মাল এবং সন্তানদেরকে উৎসর্গ করেছেন । তিনি ইয়াযীদের সাম্রাজ্যবাদ ও ছল-চাতুরিকে মেনে নেননি। সুতরাং আসুন,আমরাও তার এ পন্থাকে আদর্শ হিসাবে গ্রহণ করি এবং সাম্রাজ্যবাদীদের নাগপাশ থেকে মুক্ত হই। আর সম্মানের মৃত্যুকে অবমাননার জীবনের ওপরে প্রাধান্য দেই ।’

 

মরবীন

(জার্মান প্রাচ্যবিদ)

‘ইমাম হোসাইন প্রিয়তম স্বজনদেরকে উৎসর্গ করা এবং স্বীয় অসহায় ও সত্য পন্থাকে প্রমাণিত করার মাধ্যমে দুনিয়াকে ত্যাগ ও আত্মোৎসর্গের শিক্ষা দিয়েছেন এবং ইসলাম ও ইসলামপন্থীদের নামকে ইতিহাসে লিপিবদ্ধ করেছেন । আর বিশ্বে একে উচ্চকণ্ঠী করেছেন । ইসলামী জগতের এ সাহসী সেনা দুনিয়ার মানুষকে দেখিয়ে দিয়েছেন যে, অত্যাচার, অবিচার ও নিপীড়ন স্থায়ী নয়। আর অত্যাচারের ভিত্তি বাহ্যত যতই মজবুত হোক না কেনো, সত্যের বিপরীতে তা বাতাসে উড়ন্ত খড়কুটোর ন্যায়।’

 

বিনতুশ শাতী

(মিশরীয় লেখক)

‘ইমাম হোসাইন (আ.) -এর ভগ্নী হযরত যায়নাব ইবনে যিয়াদ ও বনী উমাইয়্যার জন্য তাদের বিজয়ের স্বাদকে বিস্বাদ করে দেন এবং তাদের বিজয়ের পান -পেয়ালায় বিষের ফোটা ফেলে দেন। আশুরা পরবর্তী রাজনৈতিক ঘটনাবলী, যেমন মুখতার ও আবদুল্লাহ ইবনে যুবাইরের বিদ্রোহ এবং উমাইয়্যা শাসনের পতন ও আব্বাসীদের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং শিয়া মাজহাবের শিকড় গাড়তে কারবালার বীরাঙ্গনা নারী হযরত যায়নাব অনুপ্রেরণাদায়ক অবদান রাখেন।

 

লিয়াকত আলী খান

(পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী)

‘সমগ্র বিশ্বের মুসলমানদের জন্য মুহররমের এ দিনটির বড় অর্থ রয়েছে । এ দিনে ইসলামের সবচেয়ে দুঃখজনক ও ট্টাজেডিপূর্ণ ঘটনাটি সংঘটিত হয়। ইমাম হোসাইন (আ.) -এর শাহাদাত দুঃখময় হওয়ার পাশাপাশি ইসলামের প্রকৃত আত্মার পরম বিজয় ছিল । কেননা, এটা ঐশ্বরিক ইচ্ছার প্রতি নিরঙ্কুশ আত্মসমর্পণ বলে পরিগণিত হতো। এ শিক্ষা আমাদেরকে শেখায় যে, সমস্যা ও বিপদসমূহ যেমনই হোক না কেনো সেগুলোর পরোয়া করা উচিত নয় এবং সত্য ও ন্যায় থেকে বিচ্যুত হওয়া উচিত নয়।’

 

জর্জ জুরদাক

(খ্রিষ্টান পন্ডিত ও সাহিত্যিক)

‘ইয়াযীদ যখন ইমাম হোসাইনকে হত্যার জন্য জনগণকে উৎসাহিত্ করতো এবং রক্তপাত ঘটাতে নির্দেশ প্রদান করতো তখন তারা বলতো, কত টাকা দেবেন? কিন্তু ইমাম হোসাইন (আ.) -এর সঙ্গীরা তাকে বলতেন,আমরা আপনার সাথে রয়েছি। আমাদেরকে যদি সত্তর বার হত্যা করা হয় তাহলে পুনর্বার আপনার পক্ষে যুদ্ধ করতে এবং নিহত হতে চাইবো।’

 

আব্বাস মাহমুদ আক্কাদ

(মিশরীয় লেখক ও সাহিত্যিক)

‘ইমাম হোসাইন (আ.) -এর আন্দোলন দীনী দাওয়াত কিংবা রাজনৈতিক আন্দোলন সমূহের অঙ্গনে এ পর্যন্ত সংঘটিত আন্দোলন সমূহের মধ্যে একটি নজিরবিহীন ঐতিহাসিক আন্দোলন । এ আন্দোলনের পর উমাইয়্যা সরকার একজন মানুষের স্বাভাবিক আয়ুষ্কালের পরিমাণেও টেকেনি। ইমাম হোসাইন (আ.) -এর শাহাদাত থেকে তাদের পতন হওয়ার সময় কাল ছিল ৬০ বছরের সামান্য কিছু বেশি ।’

 

আহমাদ মাহমুদ সুবহী

(মিশরীয় ইতিহাসবিদ)

‘যদিও হোসাইন ইবনে আলী (আ.) সামরিক কিংবা রাজনৈতিক অঙ্গনে পরাজিত হন, কিন্তু ইতিহাস এমন কোনো পরাজয়ের সন্ধান রাখে না, যা ইমাম হোসাইন (আ.) -এর রক্তের ন্যায় বিজিতদের অনুকূলে এসে থাকবে। ইমাম হোসাইন (আ.) -এর রক্ত ইবনে যুবাইরের বিপ্লব এবং মুখতারের বিদ্রোহ ও অন্যান্য আন্দোলনের জন্ম দেয়। অবস্থা এতদূর গড়ায় যে, উমাইয়্যা শাসনের পতন ঘটে। আর হোসাইন (আ.) -এর রক্তের বদলা গ্রহণের স্লোগান এমন মুখরিত হয়ে ওঠে যে,ঐসব মসনদ ও হুকুমত কাপতে শুরু করে ।’

 

অ্যান্টন বারা

(খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী গবেষক)

‘যদি হোসাইন (আ.) আমাদের থেকে হতেন তাহলে প্রত্যেক দেশেই তার জন্য পতাকা উড়াতাম এবং প্রত্যেক গ্রামেই তার জন্য মিম্বার স্থাপন করতাম । আর মানুষকে হোসাইন (আ.) -এর নামে খ্রিষ্ট ধর্মের প্রতি আহবান জানাতাম।’

 

নিকলসন

(প্রখ্যাত প্রাচ্যবিদ)

‘বনী উমাইয়্যা ছিল অবাধ্য ও স্বৈরাচারী। ইসলামের বিধি-বিধানকে তারা উপেক্ষা করেছে এবং মুসলমানদেরকে লাঞ্ছিত করেছে। আমরা যদি ইতিহাস পর্যালোচনা করি তাহলে দেখবো,দীন আনুষ্ঠানিকতাসর্বশ্ব শাহানশাহীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে এবং দীনী শাসন শাহী শাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছে। এ কারনে ইতিহাস ন্যায্যত নির্দেশ করে যে,হোসাইন (আ.) -এর রক্তের দায় বনী উমাইয়্যার ওপরে ।’

 

স্যার পর্সী সায়েক্স

(ইংরেজ প্রাচ্যবিদ)

‘সত্যিকার অর্থে এ মুষ্টিমেয় কয়েকজন যে সাহস ও বীরত্বের প্রকাশ ঘটিয়েছেন, তা এমন উচ্চমানের ছিল যে, এই দীর্ঘ শতাব্দীকাল ধরে যারাই এ ব্যাপারে শুনেছে মনের অজান্তেই প্রশংসায় মুখ খুলেছে। হাতে গোনা এ কয়েকজন সাহসী পুরুষ কারবালার প্রতিরক্ষাকারীদের ন্যায় নিজেদের সমুন্নত নামকে চিরকালের জন্য অক্ষয় করে রেখেছেন।’

 

থমলাস ট্যান্ডাল

(ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সাবেক চেয়ারম্যান)

‘ইমাম হোসাইন –এর শাহাদাতের ন্যায় এসব উন্নত আত্মত্যাগ মানবের চিন্তার স্তরকে উৎকর্ষ দান করেছে এবং এর স্মৃতি চিরকাল অম্লান থাকাই সমুচিত।’

 

মুহাম্মদ জগলুল পাশা

(মিশরের সাবেক রাজনৈতিক নেতা)

‘ইমাম হোসাইন (আ.) এ কাজের দ্বারা স্বীয় ধর্মীয় ও রাজনৈতিক ফরয পালন করেছেন । এ ধরনের শোক মজলিসসমূহ মানুষের মধ্যে শাহাদাতের মানসিকতা গড়ে তোলে এবং সত্যও ন্যায়ের পথে তাদের অভিপ্রায়কে বলীয়ান করে ।’

 

আবদুর রহমান শারকাভী

(মিশরীয় লেখক)

‘হোসাইন (আ.) হলেন ধর্ম ও স্বাধীনতার পথে শহীদ। কেবল শিয়ারাই হোসাইন (আ.) -এর নামে গর্ববোধ করবে তা নয়, বরং দুনিয়ার সকল স্বাধীন মানুষেরই উচিত এ মর্যাদাপূর্ণ নামের অহংকার করা।’

 

ত্বহা হোসাইন

(মিশরীয় পণ্ডিত ও সাহিত্যিক)

‘হোসাইন (আ.) সুযোগ সৃষ্টির জন্য এবং জিহাদকে পুনরারম্ভ করা, আর তার পিতা যে স্থানে তা রেখে গিয়েছিলেন সেখান থেকে অব্যাহত রাখার জন্য আকাঙ্ক্ষার আগুনে পুড়তেন। তিনি মু’আবিয়া ও তার আমলাদের ব্যাপারে মুখ খোলেন এমনভাবে যে,মু’আবিয়া তাকে হুমকি দেন। ইমাম হোসাইন (আ.) তার দলকে বাধ্য করেন সত্য পাক্ষাবলম্বনে কঠিন হতে ।’

 

আবদুল মজিদ জাওদাহু আল-সাহাহার

(মিশরীয় লেখক)

‘হোসাইন (আ.) ইয়াযীদের হাতে বাইআত করতে পারতেন না এবং তার শাসনের প্রতি বশ্যতা স্বীকার করতে পারতেন না। কারণ, তাহলে অনাচার,ব্যভিচারকে স্বীকৃতি প্রদান করা হতো এবং তা অন্যায় ও বিদ্রোহের ভিতকে মজবুত করতো। আর বাতিল শাসনকে গ্রহণীয় করে তুলতো। ইমাম হোসাইন (আ.) এসব কাজে রাজি হতেন না, যদিও তার পরিবার-পরিজন বন্দিত্ব বরণ করে, আর তিনি ও তার সঙ্গীরা নিহত হন।’

 

আল্লামা তানতাভী

(মিশরীয় পণ্ডিত)

‘হোসাইনী কাহিনী স্বাধীনচেতাদেরকে আল্লাহর রাহে আত্মোৎসর্গ করতে উদ্বুদ্ধ করে । আর মৃত্যুকে বরণ করে নেয়াকে সর্বোত্তম কামনা হিসাবে গণ্য করায়। তখন প্রাণোৎসর্গের স্থলে ছুটে যাওয়ার জন্য একে অপরের সাথে প্রতিযোগিতায় নামে।’

 

আল-উবায়দী

(মুসেলের মুফতি)

‘কারবালা বিপর্যয় মানবেতিহাসে এক বিরল ঘটনা । হোসাইন ইবনে আলী (আ.) মহান আল্লাহর নির্দেশমতে এবং রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর ভাষ্যমতে মজলুমের অধিকার রক্ষা এবং সাধারণের স্বার্থ সংরক্ষণকে স্বীয় কর্তব্য হিসাবে গণ্য করেন। আর এক্ষেত্রে পদক্ষেপ গ্রহণে তিনি কোনো শৈথিল্য দেখাননি। ঐ মহান কুরবানিস্থলে তিনি স্বীয় অস্তিত্বকে উৎসর্গ করেন এবং এ কারণে মহান প্রতিপালকের নিকট ‘শহীদ সাম্রাট’ হিসাবে পরিগণিত হন। আর যুগ-যুগান্তরে তিনি ‘সংস্কারকামীদের নেতা’ হিসাবে গণ্য হন। তিনি যা চেয়েছিলেন বরং তার চেয়ে অধিক কিছু জয় করেছিলেন ।’

ফার্সি থেকে অনুবাদ :আবদুল কুদ্দুস বাদশা