আকাশ, পৃথিবী ও হযরত আদম (আ.) সৃষ্টি সম্পর্কে হযরত আলীর (আ.) বক্তব্য

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর। তাঁর গুণরাজী কোন বর্ণনাকারী বর্ণনা করে শেষ করতে পারে না। তার নেয়ামতসমূহ গণনাকারীগণ গুনে শেষ করতে পারে না। প্রচেষ্টাকারীগণ তাঁর নেয়ামতের হক আদায় করতে পারে না। আমাদের সমুদয় প্রচেষ্টা ও জ্ঞান দ্বারা তাঁর পরিপূর্ণ আনুগত্য প্রকাশ করা সম্ভব নয় এবং আমাদের সমগ্র বোধশক্তি দ্বারা তার মাহাত্ম্য অনুভব করা সম্ভব নয়। তাঁর সিফাত বর্ণনার কোন পরিসীমা নির্ধারিত নেই এবং সেজন্য কোন লেখা বা বক্তব্য, কোন সময় বা স্থিতিকাল নির্দিষ্ট করা হয় নি। তিনি নিজ কুদরতে সৃষ্টিকে অস্তিত্বশীল করেছেন, আপন করুণায় বাতাসকে প্রবাহিত করেছেন এবং শিলাময় পাহাড় দ্বারা কম্পমান পৃথিবীকে সুদৃঢ় করেছেন।

আল্লাহর মা‘রেফাতেই দ্বিনের ভিত্তি”১। এ মা‘রেফাতের পরিপূর্ণতা আসে তাকে সত্য বলে সাক্ষ্য দেয়ায়; সাক্ষ্যের পরিপূর্ণত হয় তাঁর ঐকল্যের বিশ্বাসে; বিশ্বাসের পরিপূর্ণত হয় তাঁকে পরম পবিত্ররূপে নিরীক্ষণ করার জন্য আমল করায়; আমলের পরিপূর্ণতা অর্জিত হয় তাঁর প্রতি কোন সিফাত (গুণ) আরোপ না করায়। কারণ কোন কিছুতে গুণ আরোপিত হলে এটাই প্রমাণিত হয় যে, আরোপিত বিষয় থেকে গুণ পৃথক এবং যার ওপর গুণ আরোপিত হয় সে নিজে সেই গুণ থেকে পৃথক। যারা আল্লাহতে সত্তা বহির্ভূত কোন সিফাত বা গুণ আরোপ করে তারা তাঁর সদৃশতার স্বীকৃতি দেয়; যারা তাঁর সদৃশতা স্বীকার করে তারা দ্বৈতবাদের স্বীকৃতি দেয়; যারা তাঁর দ্বৈতের স্বীকৃতি দেয় তারা তাঁকে খণ্ডভাবে দেখে; যারা তাকে খণ্ডভাবে দেখে তারা তাঁকে ভুল বুঝে; যারা তাঁকে ভুল বুঝে তারা তাঁকে চিনতে অক্ষম; যারা তাকে চিনতে অক্ষম তারা তার ত্রুটি স্বীকার করে; যারা তার ত্রুটি স্বীকার করে তারা তাকে সীমাবদ্ধতায় আবদ্ধ করে।

যদি কেউ বলে তিনি কি, সে জেনে রাখুক, তিনি সবকিছু ধারণ করে আছেন; এবং যদি কেউ বলে তিনি কিসের ওপর আছেন, সে জেনে নাও, তিনি নির্দিষ্ট কোন কিছুর ওপর নেই। যদি কেউ তাঁর অবস্থিতি নির্দিষ্ট কোন স্থানে মনে করে তবে সে কিছু কিছু স্থানকে আল্লাহবিহীন মনে করলো। তিনি ওই সত্তা যাঁর আগমন সৃষ্টি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঘটে নি। তিনি অস্তিত্বশীল, কিন্তু অনস্তিত্ব থেকে অস্তিত্ত্বে আসেন নি। তিনি সব কিছুতেই আছেন, কিন্তু কোন প্রকার ভৌত নৈকট্য দ্বারা নয়। তিনি সব কিছু থেকে ভিন্ন, কিন্তু বস্তুগত দ্বান্দ্বিকতা ও বিচ্ছেদের মধ্য দিয়ে নয়। তিনি কর্ম সম্পাদন করেন। কিন্তু সঞ্চলন ও হাতিয়ারের মাধ্যমে নয়। তিনি তখনও দেখেন যখন তাঁর সৃষ্টির মধ্যে কেউ দেখার মতো থাকে না। তিনিই একমাত্র একক, কেন না। এমন কেউ নেই যার সাথে তিনি সঙ্গ রাখতে পারেন অথবা যার অনুপস্থিতি তিনি অনুভব করেন।

নিখিল বিশ্ব সৃষ্টি

তিনি সৃষ্টির সূত্রপাত করলেন একান্তই মৌলিকভাবে- কোন প্রকার প্রতিরূপ ব্যতীত, কোন প্রকার পরীক্ষণ ও পর্যবেক্ষণ ব্যতীত, কোনরূপ বিচলন ব্যতীত এবং ফলাফলের জন্য কোনরূপ ব্যাকুলতা ব্যতীত। সব কিছুকে তিনি নির্দিষ্ট সময় দিলেন, তাদের বৈচিত্র্যে সামঞ্জস্য বিধান করলেন এবং তাদের বৈশিষ্ট্যকে সুপ্রতিষ্ঠিত করলেন। সৃষ্টির পূর্বেই তিনি সব কিছুর প্রবণতা, জটিলতা, সীমাবদ্ধতা ও দুর্বলতা সম্পর্কে জ্ঞাত ছিলেন।

অতঃপর পবিত্র সত্তা অনন্ত শূন্য সৃষ্টি করলেন এবং প্রসারিত করলেন নভোমণ্ডল ও বায়ু স্তর। তিনি উচ্ছল তরঙ্গবিক্ষুব্ধ পানি প্রবাহিত করলেন। তরঙ্গগুলো এত ঝঞ্জা-বিক্ষুব্ধ ছিল যে, একটা আরেকটার ওপর দিয়ে গড়িয়ে যেতো। তরঙ্গাঘাতের সাথে তিনি প্রবল বায়ুপ্রবাহ যুক্ত করলেন এবং প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রকম্পন সৃষ্টি করলেন। পানির বাষ্পীয় অবস্থাকে তিনি বৃষ্টিরূপে পতিত হবার নির্দেশ দিলেন এবং বৃষ্টির প্রাবল্যের ওপর বায়ুকে নিয়ন্ত্রণাধিকার দিলেন। মেঘের নিচে বাতাস প্রবাহিত হতে লাগলো এবং পানি বাতাসের ওপর প্রচণ্ড বেগে প্রবাহিত হতে লাগলো।

অতঃপর সর্বশক্তিমান আল্লাহ বাতাস সৃষ্টি করে উহাকে নিশ্চল করলেন, উহার অবস্থান স্থায়ী করলেন, তার গতিতে প্রচণ্ডতা দিলেন এবং তাকে সর্বত্র ছড়িয়ে দিলেন। তারপর তিনি বাতাসকে আদেশ করলেন গভীর পানিকে গতিশীল ও চঞ্চল এবং সমুদ্র তরঙ্গকে তীব্রতর করার জন্য। ফলে বাতাস দধি তৈরির মতো পানিকে মন্থন করতে লাগলো এবং এমন জোরে মহাশূন্যে প্রক্ষেপ করলো যাতে সম্মুখ পশ্চাতে ও পশ্চাত সম্মুখে চলে গেলো। এতে ওপরের স্তরে বিপুল ফেনপুঞ্জ সৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত স্থিরকে অস্থির করে রাখলো। সর্বশক্তিমান তখন ফেনপুঞ্জকে অনন্ত শূন্যে উত্তোলন করে তা থেকে সপ্ত আকাশ সৃষ্টি করলেন যার সর্বনিম্ন স্তর স্ফীত অথচ অনড় এবং ওপরের স্তর আচ্ছাদনের মতো বিদ্যমান যেন এক সুউচ্চ বৃহৎ অট্টালিকা যাতে কোন স্তম্ভ নেই অথবা একত্রে জোড়া লাগাবার পেরেক নেই। তখন তিনি ওপরের স্তরকে তারকা ও উজ্জ্বল উল্কা দিয়ে সুশোভিত করলেন এবং আবর্তিত আকাশ, চলমান আচ্ছাদন ও ঘূর্ণায়মান নভোমণ্ডলে তিনি দেদীপ্যমান সূর্য ও দীপ্তিময় চন্দ্রকে স্থাপন করলেন।

ফেরেশতা সৃষ্টি

তৎপর পরম বিধাতা বিভিন্ন আকাশের মধ্যে উন্মুক্ততা বিধান করলেন এবং বিভিন্ন শ্রেণির ফেরেশতা দ্বারা সেই উন্মুক্ততা পরিপূর্ণ করলেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ সেজদাবনত, যারা কখনো রুকু করে না; কেউ কেউ রুকু অবস্থায়, যারা কখনো দাঁড়ায় না এবং কেউ কেউ সুবিন্যস্তভাবে অবস্থান করছে, যারা কখনো তাদের স্থান পরিত্যাগ করে না। অন্যরা সর্বক্ষণ আল্লাহর তসবিহু পাঠ করে এবং তারা ক্লান্ত হয় না। নয়নের নিদ্রা, বুদ্ধির বিভ্রান্তি, শরীরের অবসন্নতা অথবা বিস্মৃতির প্রভাব এদেরকে স্পর্শও করে না।

ফেরেশতাদের মধ্যে কেউ কেউ তাঁর বিশ্বস্ত অহিবাহক, যারা নবীদের কাছে আল্লাহর মুখপাত্র হিসাবে কাজ করে এবং তাঁর আদেশ নির্দেশকে সর্বত্র পৌছে দেয়। কেউ কেউ আল্লাহর সৃষ্টি রক্ষার কাজে নিযুক্ত। আবার কেউ কেউ বেহেশতের দরজায় প্রহরী হিসাবে নিযুক্ত। আরো অনেক আছে যাদের পদদ্বয় ভূ-মণ্ডলের সর্বনিম্ন স্তরে স্থিরভাবে স্থাপিত এবং তাদের শিরোদেশ আকাশের সর্বোচ্চ স্তরে প্রসারিত এবং তাদের বাহু চতুর্দিকে সম্প্রসারিত। তাদের স্কন্ধ আরশের স্তম্ভের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ; তাদের চোখে আরাশের প্রতি নিবদ্ধ এবং তাদের পাখা আরাশের নিচে বিস্তৃত। তাদের নিজেদের মধ্যে এবং অন্য সকল কিছুর মধ্যে সম্মানিত পর্দা ও কুদরতের আবরণ সৃষ্টি করা হয়েছে। তারা তাদের মহান স্রষ্টাকে আকৃতির মাধ্যমে ধারণা করে না। তারা স্রষ্টার প্রতি সৃষ্টির কোন গুণারোপ করে না, তাঁকে কোন নির্দিষ্ট স্থানে সীমাবদ্ধ করে না এবং উপমার মাধ্যমে তার প্রতি ইঙ্গিত করে না ।

আদম সৃষ্টি

আল্লাহ্ কঠিন, কোমল, মধুর ও তিক্ত মৃত্তিকা সংগ্রহ করলেন। তিনি এ মৃত্তিকাকে পানি দিয়ে কর্দমে পরিণত করলেন এবং পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত ফোটায় ফোঁটায় পানির পতন ঘটালেন এবং আঠাল না হওয়া পর্যন্ত আদ্রতা দ্বারা পিণ্ড প্রস্তুত করলেন। এ পিণ্ড থেকে তিনি আদল, জোড়াসমূহ, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ও বিভিন্ন অংশসহ একটা আকৃতি তৈরি করলেন। একটা নির্দিষ্ট সময় ও জ্ঞাত স্থায়িত্ব পর্যন্ত তিনি এটাকে শুকিয়ে কাঠিন্য প্রদান করলেন। অতঃপর এ আকৃতির মধ্যে তিনি তাঁর রূহ ফুৎকার করে দিলেন। ফলে এটা প্রাণ-চৈতন্য লাভ করে মানবাকৃতি ধারণ করলো এবং এতে মন সন্নিবেশ করা হলো, যা তাকে নিয়ন্ত্রণ করে; বুদ্ধিমত্তা দেয়া হলো, যা তার উপকারে আসে; অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দেয়া হলো, যা তার কাজে লাগে; ইন্দ্রিয় দেয়া হলো, যা তার অবস্থার পরিবর্তন ঘটায় এবং জ্ঞান দেয়া হলো, যা সত্য-অসত্য, স্বাদ-গন্ধ ও বর্ণ-প্রকারের পার্থক্য বুঝাতে শেখালো। আদম হলো বিভিন্ন বর্ণের, আসঞ্জক পদার্থের, বিভিন্ন পরস্পর বিরোধী উপকরণের এবং বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য যেমন-উষ্ণতা, শীতলতা, কোমলতা, কাঠিন্য, খুশি-অখুশি ইত্যাদির সংমিশ্রনের কর্দম।

আল্লাহ তখন ফেরেশতাদের প্রতি তাঁর প্রতিশ্রুতি পূরণার্থে এবং তাদের প্রতি তাঁর নির্দেশের আনুগত্য পরিপূরণ করণার্থে আত্মসমর্পণের স্বীকৃতি স্বরূপ ও তাঁর মহিমার প্রতি সম্মান স্বরূপ সেজদাবনত হতে বললেন। তিনি বলেনঃ

আদমকে সেজদা কর এবং ইবলিস ব্যতীত সকলেই সেজদা করলো। (কুরআন- ২-৩৪, ৭-১১, ১৭-৬১, ১৮-৫০, ২০-১১৬) আত্মম্ভরিতা ইবলিসকে আল্লাহর আদেশ পালনে বিরত করলো এবং ঔদ্ধত্য দ্বারা সে আক্রান্ত হয়েছিল। সুতরাং সে আগুনের তৈরি বলে অহংবোধ করলো এবং মাটির তৈরি বলে আদমকে অবজ্ঞা করলো। ফলে আল্লাহ ইবলিসকে তাঁর রোষের পূর্ণ প্রতিফল প্রদানের এবং মানুষকে পরীক্ষা করার ও শয়তানের প্রতি তাঁর প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করার জন্য যথেষ্ট সময় দিলেন। আল্লাহ বলেনঃ

তা হলে নিশ্চয় তুমি অবকাশ প্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত- নির্ধারিত সময়ের দিন পর্যন্ত (কুরআন ১৫-৩৭-৩৮, ৩৮-৮০-৮১)

তৎপর আল্লাহ্ আদমকে একটা ঘরে অধিষ্ঠান করলেন যেখানে তিনি মহানন্দে ও পূর্ণ নিরাপত্তায় বসবাস করতে লাগলেন। তিনি আদমকে ইবলিস ও তার শত্রুতা সম্পর্কে সাবধান করে দিলেন। কিন্তু ইবলিস আদমের বেহেশত-বাস ও ফেরেশতাদের সংসর্গের জন্য ঈর্ষান্বিত হলো। সুতরাং সে আদমের "ইয়াকিন’ শিথিল করলে এবং তার প্রতিশ্রুতি দুর্বল করলো। এতে আদমের আনন্দ ভয়ে পরিণত হলো এবং মর্যাদা লজ্জায় পরিণত হলো। তখন আল্লাহ আদমকে ‘তওবা’ করার সুযোগ দিলেন এবং তাঁর রহমতের বাক্য শেখালেন। তিনি আদমকে বেহেশতে প্রত্যাবর্তনের ওয়াদা দিলেন এবং তাকে কষ্টভোগ করা ও বংশ বিস্তারের স্থলে অবতরণ করালেন।

পয়গম্বর মনোনয়ন

আল্লাহ্ আদমের বংশধর থেকে অনেক পয়গম্বর মনোনীত করলেন এবং তাঁর প্রত্যাদেশ ও বাণী বিশ্বস্ততার সাথে মানুষের কাছে পৌছানোর জন্য তাদের নিকট থেকে অঙ্গীকার গ্রহণ করলেন। কালক্রমে অনেক লোক আল্লাহকে দেয়া প্রতিশ্রুতি পরিবর্তন করে ফেললো এবং আল্লাহর প্রতি কর্তব্য বিষয় ভুলে গিয়ে তাঁর সমকক্ষ দাঁড় করাতে লাগলো। শয়তান তাদেরকে আল্লাহর মা‘রেফাত থেকে ফিরিয়ে নিল এবং তার ইবাদত থেকে বিচ্ছিন্ন করলো। তখনই আল্লাহ তাদের কাছে রাসূলগণকে প্রেরণ করলেন এবং একের পর এক নবী পাঠালেন যেন তাঁরা পূর্ব-প্রতিশ্রুতি পরিপূর্ণ করার দিকে মানুষকে আহবান করেন এবং ভুলে যাওয়া নেয়ামতসমূহ স্মরণ করিয়ে দেন; যেন তারা তবলিগের মাধ্যমে মানুষকে আল্লাহর দিকে প্রণোদিত করেন, যেন তাদের কাছে প্রজ্ঞার গুপ্ত রহস্য উন্মোচন করে দেন এবং আল্লাহর কুদরতের নিদর্শনসমূহ যেমন-সমুচ্চ আকাশ, বিছানো পৃথিবী, তাদের বাঁচিয়ে রাখার জীবনোপকরণ, মৃত্যু, বার্ধক্যের জরা ও ক্রমান্বয়ে আগত ঘটনা প্রবাহ-তাদেরকে দেখিয়ে দেন।

আল্লাহ্ তাঁর সৃষ্টিকে কখনো পয়গম্বরবিহীন অথবা নাজেলকৃত বাণী অথবা বাধ্যতামূলক প্রত্যাদেশ অথবা সরল সহজ পথ ব্যতীত রাখেননি। পয়গম্বরগণ এমনভাবে তাদের দায়িত্বে অটল ছিলেন যে, তাদের সহচরের সংখ্যাল্পতা বা তাদেরকে মিথ্যা প্রমাণকারীর দল অধিক হওয়া সত্ত্বেও তাদের মিশন থেকে কখনো তারা বিরত হননি এবং কোন কিছুই তাদেরকে কর্তব্য থেকে বিরত রাখতে পারে নি। পয়গম্বরগণের প্রত্যেকেই তাঁর পূর্ববতী জনের কথা বলে গেছেন এবং পরবর্তী জনের আগমন বার্তা জ্ঞাপন করেছেন ।

(জেহাদুল ইসলাম কর্তৃক অনূদিত নাহজ আল বালাঘার ১ম খুৎবা থেকে সংকলিত)