হযরত আলী (আ.) এর শুভ জন্ম বার্ষিকী

হযরত আলী (আ.) এর শুভ জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আপনাদের সবার প্রতি রইলো আন্তরিক অভিনন্দন ও মোবারকবাদ। এ দিনটি ইরানে বাবা দিবস হিসেবে পালিত হয়। পৃথিবীতে যতো মহান মনীষীর জন্ম হয়েছে তাঁদের অন্যতম একজন হলেন ইমাম আলী (আঃ)।এমন সৌভাগ্যবান ব্যক্তি কে আছেন যিনি আল্লাহর ঘর কাবা শরীফের ভেতরে জন্মলাভ করেছেন,আবার আল্লাহর ঘরেই শত্রুর ঘায়ে আহত হয়ে শাহাদাত লাভ করেন ৷ তাঁর নৈতিক গুণাবলী ছিল নবী করিম (সা) এর মতোই ৷ নবুয়্যতির দায়িত্ব পাবার আগে নবীজী যেসব কিছু অপছন্দ করতেন আলী ( আ ) ও সেইসব বস্তু পরিহার করে চলতেন ৷ তিনি এই বিশ্বের হাকিকত কিংবা রহস্য সম্পর্কে সচেতন ছিলেন ৷ কী শত্রু, কী মিত্র সবাই একটি বিষয়ে বিশ্বাস করে যে,রাসূলে খোদা ( সা ) এর পর সবচে জ্ঞানী ব্যক্তি ,ন্যায়বান এবং তাকওয়াবান ব্যক্তিত্ব ছিলেন হযরত আলী ( আ ) ৷ তাঁর চাচাতো ভাই আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস যখন ‘পণ্ডিত' উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন তখন তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিলো,আলীর জ্ঞানের সাথে তোমার জ্ঞানের পরিমাপ কীরকম ? উত্তরে আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস বলেছিলেন বিশাল সমুদ্রের তুলনায় এক ফোঁটা বৃষ্টির পানির মতো ৷
হযরত আলী (আ.) এর  মর্যাদা
পবিত্র কোরআন কর্তৃক ঘোষিত কয়েকজন নিষ্পাপ ব্যক্তিদের একজন হযরত আলী (আ.)তাঁর জন্ম পবিত্র কাবা ঘরে, প্রথম দর্শন রাসূল (সাঃ) এর মুখ । প্রথম খাদ্য রাসূল (সাঃ) এর রসনা (থুথু)।১০ বৎসর বয়সেই তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন এবং বিশ্বের প্রথম ইসলাম গ্রহণকারীর মর্যাদা লাভ করেন।তিনি সর্বদা রাসূল (সাঃ) এর সাথে ছিলেন। তিনি রাসূলের (সাঃ) পরিবারে লালিত-পালিত হন এবং রাসূলের (সাঃ) পরিবারের সদস্য ছিলেন। তার মর্যাদা সম্পর্কে বিশ্ব নবী হযরত মোহাম্মদ মোস্তফা (সাঃ) বলেছেনঃ-
•    আমি জ্ঞানের শহর, আলী তাহার দরজা।
•    আমি যার অভিভাবক আলী তার অভিভাবক।
•    আলী সত্যের সাথে সত্য আলীর সাথে।
•    কোন মোনাফেক আলীকে ভালবাসে না, কোন মুমিন আলীকে ঘৃনা করেন না।
•    যে ব্যক্তি আলীকে গালী দেয়, সে আমাকে গালী দেয়; যে আমাকে গালী দেয়, সে আল্লাহকে গালী দেয়।
কোরআন মজিদেও হযরত আলী (আ.) সম্পর্কে অনেক আয়াত নাজিল হয়েছে।তন্মধ্য উল্লেখযোগ্য হল-
“হে ইমানদারগণ! আনুগত্য কর আল্লাহর, আনুগত্য কর রাসূলের এবং তোমাদের মধ্যে উলিল আমর (যারা কর্তৃত্বশীল) তাদের।” ৪:৫৯।
“হে নবী পরিবার, আল্লাহ তো কেবল তোমাদের নিকট থেকে অপবিত্রতা দূর করতে চান এবং তোমাদেরকে সম্পূর্ণরূপে পবিত্র করতে চান” ৩৩:৩৩।
“ওহে রাসূল! আনপার প্রতিপালকে পক্ষ থেকে আপনার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে তা পরিপূর্ণরূপে মানুষের কাছে পেৌছে দিন। যদি আপনি এরূপ না করেন, তবে আপনি তার দেয়া নবুওয়াতির দায়িত্বের কিছুই পালন করলেন না।” ৫:৬৭ ।