'মহররমের দর্শন'

মহররম ও আশুরার সংস্কৃতি মুসলিম বিশ্বকে সফল ইসলামি বিপ্লব, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ও সরকার উপহার দিয়েছে। এই আশুরার সংস্কৃতি ইরানে সফল ইসলামি বিপ্লব ঘটিয়ে সাহিত্য, শিল্প-কলা, চলচিত্র এবং জ্ঞান-বিজ্ঞানের নতুন ধারা প্রবর্তন করেছে; যা আধুনিক বস্তুবাদি ধর্মদ্রোহী পাশ্চাত্যের সাহিত্য, শিল্পকলা, চলচ্চিত্র, কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে সাফল্যের সঙ্গে চ্যালেঞ্জ করেছে। ইরানকে একটি শক্তিশালী আধুনিক স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। এই আশুরার সংস্কৃতি ইরান, ইরাক, লেবানন, সিরিয়া ও ফিলিস্তিনে পরাশক্তি ও ইসরাইল বিরোধী ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলনের জন্ম দিয়েছে, যা অপরাজেয় ইসরাইলকে লেবানন ও গাজা যুদ্ধে বারবার পরাজিত করেছে।
 
আমাদের উচিত ইমাম হুসাইন (আ.)র মতাদর্শের আলোকে যুগের ইয়াজিদদের শনাক্ত করা। এক কথায়- ইমাম হুসাইন (আ.)কে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করে সত্যিকার অর্থে হুসাইনি ও কারবালায়ি হওয়া ছাড়া মুসলিম উম্মাহ'র আর কোনো পথ নেই।  
কারবালার মজলুম বীরগণ অর্থাত ইমাম হুসাইন (আ.) এবং তার সঙ্গী-সাথীগণ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ শহীদ। কারণ তাঁরা ত্যাগ-তিতিক্ষা ও কুরবানীর সর্বোচ্চ পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করেছেন; যার উপমা ইতিহাসে খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাঁদের এ ত্যাগ-তিতিক্ষার কারণে দ্বীনে ইসলাম ধ্বংস ও বিকৃতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। তাঁরা শাহাদাতবরণ করে ইয়াজিদ ও বনি উমাইয়ার প্রকৃত চরিত্র উন্মোচন করেছেন। সকল প্রকার মিথ্যা, জুলুম, অন্যায়-অবিচার ও শোষণের বিরুদ্ধে তাঁরা রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। তাই তাঁরা তাদের কুরবানি ও শাহাদাতের মাধ্যমে সর্বোচ্চ মর্যাদা ও অমরত্ব লাভ করেছেন। ইমাম হুসাইন (আ.)এর শাহাদাতবরণের মাধ্যমে অদূর ভবিষ্যতে ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহ বিকৃতি ও বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা পাবে বলেই মহানবী (সা.) তাঁকে 'মুক্তির তরী' বলে উল্লেখ করেছেন। ইমাম হুসাইন (আ.) যদি শাহাদাতবরণ না করতেন তাহলে দ্বীনে ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহ'র অস্তিত্বই মুয়াবিয়া, এজিদ ও বনি উমাইয়ার চক্রান্তের কারণে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেত।
আর 'হুসাইন আমা হতে এবং আমি হুসাইন হতে'- এটি একটি সুপ্রসিদ্ধ, প্রতিষ্ঠিত এবং সহীহ হাদিস। হুসাইন যে মহানবী (সা.) হতে এটা সবার কাছে অত্যন্ত পরিস্কার ও স্পষ্ট। কারণ তিনি মহানবীর দৌহিত্র এবং বংশধর। কিন্তু মহানবী (সা.) কিভাবে হুসাইন হতে হবেন- এ প্রশ্নের জবাবে বলতে হয়- মহানবী (সা.)র ওফাতের পরপর অর্থাত প্রথম ও দ্বিতীয় খলিফার শাসনামলে আবু সুফিয়ানের পুত্র এবং এজিদের পিতা মুয়াবিয়া শাম দেশের (বর্তমান সিরিয়া) শাসনকর্তা নিযুক্ত হয় এবং তখন থেকেই সে ব্যাপক শক্তি ও ক্ষমতার অধিকারী হয়। তৃতীয় খলিফার আমলে সে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে শাম দেশের শাসন কাজ চালায় এবং পূর্বের তুলনায় আরো ব্যাপক ক্ষমতা ও শক্তির অধিকারী হয়।
 
তৃতীয় খলিফা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে উমাইয়া বংশীয়দের নিয়োগ দেন। তাদের বিদায়াত, দুর্নীতি, অন্যায়-অবিচার ও শোষণের ফলে সমগ্র মুসলিম বিশ্বে তীব্র অসন্তোষ দেখা দেয়। আর তৃতীয় খলিফা উমাইয়া বংশীয় এসব দুর্নীতিপরায়ণ কর্মকর্তা ও প্রশাসককে অপসারণ করতে ব্যর্থ হলে সমগ্র মুসলিম বিশ্বে বিদ্রোহ ও অরাজকতা দেখা দেয় এবং তৃতীয় খলিফা বিদ্রোহীদের হাতে নিহত হন। এ ঘটনার পর হযরত আলী (আ.) মুসলিম বিশ্বের খলিফা হন। কিন্তু মুয়াবিয়া হযরত আলী (আ.)-এর খিলাফত মেনে না নিয়ে বিদ্রোহ করে। হযরত আলী এবং মুয়াবিয়ার মধ্যে সিফফিনের যুদ্ধ সংঘটিত হয়। তবে আমর ইবনে আস-এর কুটচালে ওই যুদ্ধ বন্ধ হলে মুয়াবিয়া নিশ্চিত পরাজয়ের হাত থেকে রক্ষা পায়। তখন খারিজী ফিতনার উদ্ভব হয়। এরপর হযরত আলী (আ.) খারিজীদের চক্রান্তে শাহাদাতবরণ করলে মুয়াবিয়া চক্রান্ত করে হযরত হাসান (আ.)কে খেলাফত থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করে। ইমাম হাসান (আ.) এর পদত্যাগের পর মুসলিম বিশ্বের একচ্ছত্র অধিপতি বা খলিফা হয় মুয়াবিয়া। আর সেই সাথে মুসলিম বিশ্বের ওপর চেপে বসে মুয়াবিয়ার নেতৃত্বে বনি উমাইয়ার বিদায়াত, অন্যায়-অবিচার, জুলুম ও শোষণ। একের পর এক ইসলামের বিধি-বিধান ও মহানবীর সুন্নাতের বিলোপ ঘটিয়ে তদস্থলে জাহিলি যুগের রীতি-নীতি ও প্রথার পুনঃপ্রবর্তন শুরু হয়। দীর্ঘ ২০ বছর শাসন করার পর মৃত্যুর আগে মুয়াবিয়া নিজ পুত্র ইয়াজিদকে খলিফা বলে ঘোষণা করে। আর এজন্য সবার কাছ থেকে বাইয়াতও গ্রহণ করে। কিন্তু ইমাম হুসাইন (আ.)সহ গুটিকয়েক ব্যক্তি বাইয়াত গ্রহণ করেননি। মুয়াবিয়ার মৃত্যুর পর ইয়াজিদ খলিফা হয়। আর তখন থেকেই ইসলাম ধর্মের ধ্বংসসাধন ও বিদায়াত প্রবর্তন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত রূপলাভ করে।
 
ইয়াজিদের ইসলাম ধর্ম বিনাশ করার প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে একমাত্র ইমাম হুসাইন (আ.) রুখে দাঁড়ান। মুয়াবিয়া, ইয়াজিদ ও বনি উমাইয়ার বিদায়াতের হাত থেকে ইসলাম, পবিত্র কুরআন ও মহানবীর পবিত্র সুন্নাহকে রক্ষা করার জন্য ৬২ হিজরীর ১০ মহররম কারবালায় নিজ পুত্র, আত্মীয়-স্বজন ও সঙ্গী-সাথীদের নিয়ে বাতিলের বিরুদ্ধে জিহাদ করে ইমাম হুসাইন (আ.) শাহাদাতবরণ করেন। তার শাহাদাত ইয়াজিদ ও বনি উমাইয়ার পতন এবং ইসলাম, পবিত্র কুরআন এবং মহানীর সুন্নাহকে ধ্বংসের হাত থেকে চিরতরে রক্ষা করেছে। আর এ থেকে 'হুসাইন আমা হতে এবং আমিও হুসাইন হতে'  মহানবীর এ হাদিসের তাতপর্য স্পষ্ট হয়ে যায়।
 মহররমের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দর্শন বা প্রধান শিক্ষাঃ
 
সকল মিথ্যাচার, অন্যায়, অবিচার ও শোষণকে প্রত্যাখ্যান এবং নিজের জীবন উতসর্গ করে দ্বীন-ইসলামকে রক্ষা করাই হচ্ছে মহররমের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দর্শন। কারবালার অনেক শিক্ষা রয়েছে। আমি তার মধ্যে থেকে গুটি কয়েক উল্লেখ করছি:
এক. সতকাজের আদেশ ও অসত কাজের নিষেধ।
দুই. বিপদ-আপদে মহান আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল ও ভরসা করা এবং দৃঢ় থাকা।
তিন.   স্বৈরাচারী জালিমদের ভয় না করে সত্য বলা ও জিহাদ করা।
চার. মিথ্যা তাগুতিদের প্রত্যাখ্যান করা।
পাঁচ. সর্বাবস্থায় ইসলাম ধর্মের প্রতি নিবেদিত থাকা।
ছয়. মুসলিম উম্মাহর সংস্কার ও সংশোধন এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা।
সাত. সর্বক্ষেত্রে ইসলামী বিধি-বিধান প্রবর্তন করা।
 
সাহিত্য, শিল্প ও সংস্কৃতির ওপর কারবালার মহান বিপ্লবের প্রভাব এবং এক্ষেত্রে আমাদের করণীয়ঃ
 
কারবালার মহান বিপ্লব সাহিত্য ও শিল্প-সংস্কৃতির ওপর ব্যাপক কালজয়ী প্রভাব রেখেছে। ইমাম হুসাইন (আ.) ও তার সঙ্গীদের স্মরণে শোকানুষ্ঠান পালন অর্থাৎ আযাদারি হচ্ছে সেই প্রভাবের এক অন্যতম নিদর্শন। মহররম ও সফর এই দুই মাস থেকে এ ধরনের শোকানুষ্ঠান পালন করেন ইমাম হুসাইন (আ.)এর ভক্ত ও অনুসারীরা। এ শোকানুষ্ঠান ইমাম হুসাইন (আ.) ও তাঁর আসহাবের শাহাদাতের স্মৃতি চির জাগরুক করে রেখেছে। একইসাথে ইসলাম ধর্মকেও জীবিত রেখেছে। তাই ইমাম খোমেনী (র.) যথার্থই বলেছেন, এই মহররম ও সফরই আসলে ইসলামকে জীবিত রেখেছে এবং রক্ষা করেছে। ইমাম খোমেনীর নেতৃত্বে সফল ইসলামী বিপ্লব আসলে মহররম-সফরের শোকানুষ্ঠান হতে উদ্ভূত। অর্থাত ইমাম খোমেনীর নেতৃত্বে ইসলামী বিপ্লব আসলে মহররম-সফর মাসে ইমাম হুসাইনের স্মরণে শোকানুষ্ঠানেরই প্রত্যক্ষ ফলস্বরূপ। মহররম ও আশুরার সংস্কৃতি মহানবী (সা.)-এর পর বিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে মুসলিম বিশ্বকে খাঁটি ও সফল ইসলামি বিপ্লব, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ও সরকার উপহার দিয়েছে। এই আশুরা সংস্কৃতি ইরানে সফল ইসলামি বিপ্লব ঘটিয়ে সাহিত্য, শিল্প-কলা, চলচ্চিত্র এবং জ্ঞান-বিজ্ঞানের নতুন ধারা প্রবর্তন করেছে; যা আধুনিক বস্তুবাদি ধর্মদ্রোহী পাশ্চাত্যের সাহিত্য, শিল্পকলা, চলচ্চিত্র, কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে সাফল্যের সাথে চ্যালেঞ্জ করেছে। ইরানকে একটি শক্তিশালী আধুনিক স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। এই আশুরার সংস্কৃতি ইরান, ইরাক, লেবানন, সিরিয়া ও ফিলিস্তিনে পরাশক্তি ও ইসরাইল বিরোধী ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলনের জন্ম দিয়েছে; যা অপরাজেয় ইসরাইলকে লেবানন ও গাজা যুদ্ধে বারবার পরাজিত করেছে।
 
মার্সিয়া বা শোকগাঁথা ইমাম হুসাইন (আ.)এর শাহাদাতের স্মরণে মারাসিয়া শোকগাঁথাসমূহ সাহিত্যের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় বলে পরিগণিত। আরবী, ফার্সি, তুর্কি, হিন্দি, উর্দু, পাঞ্জাবী ও বাংলা প্রভৃতি ভাষা-সাহিত্যের এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে এইসব শোকগাঁথা ও কাব্যসমূহ। কারবালার শহীদদের স্মরণে শোকানুষ্ঠান ব্যাপক পরিসরে আয়োজন করা উচিত যাতে করে আমাদের সমাজের সকল স্তরের মানুষ এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারে। তবে এসব শোকানুষ্ঠানে হযরত হুসাইন (আ.)'র সংগ্রাম ও আন্দোলনের প্রামাণ্য ইতিহাস, কারবালার শোকাবহ ঘটনা, প্রেক্ষাপট এবং কারবালার পরবর্তী ঘটনাবলী নিয়ে বিশ্লেষণধর্মী আলোচনা, ইসলামি বিধি-বিধানের বর্ণনা, পবিত্র কুরআনের তাফসীর, রওজাখানি, মার্সিয়া পড়া এবং মাতম থাকতে হবে।
 'প্রতিদিন আশুরা ও প্রতিটা স্থানই কারবালা' এটিই হুসাইনী আন্দোলনের মূলমন্ত্র। কারণ ইয়াজিদের প্রতিভূরা আজও বিরাজমান। আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও ইসরাইলের রাষ্ট্রনায়ক ও কর্ণধারদের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশে তাদের তল্পিবাহক ডিক্টেটররা হচ্ছে আজকের ইয়াজিদ। তাই হুসাইনী সংগ্রাম ও আন্দোলনের গুরুত্ব অত্যাবশ্যক। ইমাম খোমেনীর (রহ.) নেতৃত্বে ইসলামী আন্দোলন হচ্ছে সেই খাঁটি হুসাইনী আন্দোলন যা ইরানের ইয়াজিদ স্বৈরাচারি শাহের পতন ঘটিয়েছিল। লেবাননে সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ'র নেতৃত্বধীন হিজবুল্লাহ এই হুসাইনী আন্দোলনের আরেকটি রুপ; যা মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান ইয়াজিদদের অর্থাত ইসরাইলকে পরাজিত করেছে। বাহরাইনের নিরীহ মুসলিম জনগণ এ হুসাইনী আন্দোলন থেকে প্রেরণা নিয়ে সেদেশের ইয়াজিদ আলে খলিফার বিরুদ্ধে নিরবচ্ছিন্ন আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। তিউনিশিয়া, লিবিয়া ও মিশরের ইসলামি জাগরণের চূড়ান্ত বিজয় কেবল তখনই সম্ভব হবে যখন তা ইমাম হুসাইনের আদর্শ থেকে প্রেরণা নেবে। আজও এসব দেশে এ জামানার ইয়াজিদি শক্তি অর্থাত যুক্তরাষ্ট্রের অশুভ ছায়া রয়ে গেছে। এসব দেশে ইসলামি জাগরণ বারবার বাধাপ্রাপ্ত ও বিপদের সম্মুখীন হচ্ছে। বিপ্লবোত্তর মিশর এর (জাগরণ ব্যর্থ হওয়ার) প্রকৃষ্ট উদাহরণ। তাই সকল মুসলিম দেশ বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের ইসলামী জাগরণের নেতৃবৃন্দ ও ইসলামী আন্দোলনগুলোর উচিত কারবালায় ইমাম হুসাইনের শাহাদাত এবং আশুরা বিপ্লবের বর্তমান বাস্তব নমূনা তথা ইমাম খোমেনীর নেতৃত্বে ইরানের সফল ইসলামি বিপ্লব অধ্যয়ন করা এবং এ থেকে দিক-নির্দেশনা ও অনুপ্রেরণা নেয়া।
 
বর্তমান যুগের ইয়াজিদদের মোকাবেলায় আমাদের করণীয় কী?
বর্তমান যুগের ইয়াজিদদের মোকাবেলায় আমাদের করণীয় হচ্ছে ইমাম খোমেনী (রহ.) যেভাবে তাগুত অর্থাত যুক্তরাষ্ট্র ও শাহের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন এবং বর্তমান ইসলামী বিপ্লবের মহান নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী যেভাবে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের মোকাবেলা করছেন সেভাবে সংগ্রাম করা এবং মোকাবেলা করা। আমাদের উচিত ইমাম হুসাইন (আ.)র মতাদর্শের আলোকে যুগের ইয়াজিদদের শনাক্ত করা। এক কথায়- ইমাম হুসাইন (আ.)কে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করে সত্যিকার অর্থে হুসাইনী ও কারবালায়ি হওয়া ছাড়া মুসলিম উম্মাহ'র আর কোনো পথ নেই