আতিথেয়তা

মূল আরবী থেকে মো. মুনীর হোসেন খান কর্তৃক অনূদিত

উত্তম চারিত্রিক গুণাবলীর অন্তর্গত হচ্ছে আতিথেয়তা। এ গুণটি যে জাতির মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিদ্যমান সেই জাতি বেশি গৌরব বোধ করে এবং আসলে গৌরব বোধ করা তাদেরই সাজে। ইমাম জাফর সাদেক (আ.)-এর নিম্নোক্ত বাণী থেকেও ইসলামের দৃষ্টিতে এ গুণটির গুরুত্ব যে অপরিসীম তা স্পষ্ট হয়ে যায়।

ইমাম জাফর সাদেক (আ.) বলেন :

مَا مِنْ مُؤْمِنٍ يُدْخِلُ بَيْتَهُ مُؤْمِنَيْنِ فَيُطْعِمُهُمَا شَبْعهُمَا إِلَّا كَانَ أَفْضَلَ منْ عَتَقَ نَسَمَةً

“যদি দু’জন মুমিন ব্যক্তি আরেকজন মুমিন ব্যক্তির ঘরে প্রবেশ করে এবং সেও তাদেরকে সাদরে আপ্যায়ন করতঃ তাদেরকে পরিতৃপ্ত করে তা হলে সে ঐ ব্যক্তির চেয়েও শ্রেষ্ঠ হবে যে এক জন দাসকে মুক্ত করে।”

ইমাম মুহাম্মদ বাকের (আ.)-এর নিম্নোক্ত বাণী থেকেও আতিথেয়তার অপরিসীম গুরুত্ব স্পষ্টভাবে বোঝা যায়। তিনি (আ.) বলেন :

شَبْعُ أَرْبَعٍ مِنَ الْمُسْلِمِيْنَ يَعْدِلُ عِتْقَ رَقَبَةٍ مِنْ وُلْدِ إِسْمَعِيْلَ

“চার জন মুসলমানকে আপ্যায়ন করে পরিতৃপ্ত করা হযরত ইসমাঈল (আ.)-এর বংশোদ্ভূত দাসের দাসত্ব মোচন করার সমান।”

ইসলাম অতিথির ব্যক্তিত্ব ও সম্মান রক্ষা করার নির্দেশ দেয় এবং দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে ঘোষণা করে যে, নবাগত অতিথি পরিবারের কোনো সদস্যের জন্য বোঝা তো নয়ই; বরং তাদের সবার জন্য মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমত ও বরকত বয়ে আনে।

মহানবী (সা.) বলেন :

الضَّيْفُ دَلِيْلُ الْحُجَّةِ

“মেহমান বেহেশ্তে যাবার পথ নির্দেশ করে।”

তিনি আরও বলেছেন :

إِذَا أَرَادَ اللهُ بِقَوْمٍ خَيْراً هَدَى إِلَيْهِمْ هَدِيَّةً قَالُوا : وَ مَا تِلْكَ الْهَدِيَّةُ؟ قَالَ : الضَّيْفُ يَنْزِلُ بِرِزْقِهِ وَ يَرْتَحِلُ بِذُنُوْبِ أَهْلِ الْبَيْتِ

“যখন মহান আল্লাহ্ কোনো পরিবারের কল্যাণ কামনা করেন তখন তাদের কাছে একটি উপঢৌকন প্রেরণ করেন। তখন সবাই প্রশ্ন করল : আর সেই উপঢৌকনটি কী? তিনি বললেন : মেহমান। কারণ, সে তার নিজ জীবিকাসহ আগমন করে এবং আপ্যায়নকারী পরিবারের পাপগুলো নিয়ে প্রস্থান করে।”

মহানবী (সা.) অপর একটি হাদীসে বলেছেন :

وَ مَا مِنْ ضَيْفٍ حَلَّ بِقَوْمٍ إِلَّا وَ رِزْقهُ مَعَهُ

“যখন কোনো মেহমান কোনো পরিবারে আগমন করে তখন সে নিজের সাথে তার জীবিকাও নিয়ে আসে।”

ইসলাম অতিথিপরায়ণ ব্যক্তিদেরকে অশেষ উৎসাহ প্রদান করে এবং তাদের এ সদগুণের ভূয়সী প্রশংসা করে।

ইমাম আলী (আ.) বলেন :

مَا مِنْ مُؤْمِنٍ يُحِبُّ الضَّيْفَ إِلَّا و يَقُوْمُ مِنْ قَبْرِهِ وَ وَجْهُهُ كَالْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ فَيَنْظُرُ أَهْلُ الْجَمْعِ فَيَقُوْلُوْنَ : مَا هَذَا إِلَّا نَبِيٌّ مُرْسَلٌ؟ فَيَقُوْلُ مَلَكٌ : هذَا مُؤْمِنٌ يُحِبُّ الضَّيْفَ وَ يُكْرِمُ الضَّيْفَ وَ لَا سَبِيْلَ لَهُ إِلَّا أَنْ أُدْخِلَ الْجَنَّةَ

“যে মুমিন অতিথি পছন্দ করে সে তার কবর হতে কিয়ামত দিবসে চাঁদনী রাতে পূর্ণ চাঁদের ন্যায় উজ্জ্বল মুখমণ্ডলসহ পুনরুত্থিত হবে। সেখানে উপস্থিত ব্যক্তিরা তাকে দেখে বলতে থাকবে : এ কে? প্রেরিত নবী নাকি? অতঃপর এক ফেরেশতা বলবেন : এ হচ্ছে সেই মুমিন যে অতিথি পছন্দ করত, অতিথির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করত এবং বেহেশ্তে প্রবেশ করা ব্যতীত তার জন্য আর কোনো পথ খোলা নেই (অর্থাৎ সে অবশ্যই বেহেশ্তে প্রবেশ করবে)।”

অতিথিপরায়ণ ব্যক্তি যে ধর্ম ও মতেরই অনুসারী হোক না কেনো, ইসলাম তার প্রতি গুরুত্ব ও সম্মান প্রদর্শন করে।

ইমাম জাফর সাদেক (আ.) বলেন : “একবার কতিপয় বন্দীকে তাদের অপরাধের শাস্তি হিসাবে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার জন্য মহানবী (সা.)-এর নিকট উপস্থিত করানো হয়। তখন জিবরাঈল (আ.) অবতরণ করে মহানবীকে বললেন : হে মুহাম্মদ! আজ এর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার বিষয়টি মূলতবী রাখুন। অতঃপর মহানবী (সা.) ঐ ব্যক্তিকে ফেরৎ পাঠান এবং আরেকজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়। এভাবে সবার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলে ঐ ব্যক্তি ছিল সর্বশেষ ব্যক্তি। অতঃপর মহানবী (সা.) তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আহ্বান জানালে জিবরাঈল তাঁকে বললেন : হে মুহাম্মদ! আপনার প্রভু আপনাকে সালাম দিয়ে অবহিত করেছেন যে, আপনার এ বন্দী অতিথি আপ্যায়ন এবং বিপদাপদে ধৈর্যধারণ করত। মহানবী তখন তাকে বললেন : জিবরাঈল মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে আমাকে তোমার অমুক অমুক বিষয় সম্পর্কে অবহিত করেছেন। তাই আমি তোমাকে বন্দীদশা থেকে মুক্তি দিলাম। অতঃপর সে মহানবীকে জিজ্ঞাসা করল : আপনার প্রভু কি এ বিষয়টি (অতিথিপরায়ণতা) পছন্দ করেন? মহানবী (সা.) জবাবে বললেন : হ্যাঁ। সাথে সাথে সে বলে উঠল : আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মহান আল্লাহ্ ব্যতীত আর কোনো উপাস্য নেই এবং আপনি মহান আল্লাহর রাসূল। আর যিনি আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন তাঁর শপথ, আমি কখনো কোনো ব্যক্তিকে (যাঞ্চাকারীকে) আমার সম্পদ থেকে বঞ্চিত করব না।”

ইসলাম অতিথি আপ্যায়ন করার ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু রীতি প্রর্বতন করেছে। ইমাম সাদেক (আ.) এ সম্পর্কে বলেছেন :

إِذَا أَتَاكَ أَخُوْكَ فَأتِهِ بِمَا عِنْدَكَ وَ إِذَا دَعَوْتَهُ فَتَكَلُّفْ

“যখন তোমার কাছে তোমার ভাই (অতিথি) আগমন করবে তখন তোমার কাছে যা আছে তা দিয়ে তাকে আপ্যায়ন করো এবং যখন তুমি নিজেই তাকে নিমন্ত্রণ করবে তখন তাকে যথাযথ অভ্যর্থনা জানাবে এবং আপ্যায়ন করবে।”

মহানবী (সা.) বলেন :

صَاحِبُ الرَّحْلِ يَشْرِبُ أَوَّلَ الْقَوْمِ وَ يَتَوَضَّأُ آخِرَهُمْ

“দাওয়াতকারী সবার আগে খাওয়া শুরু করবে এবং সবার পরে খাওয়া শেষ করবে (যাতে মেহমান পূর্ণ তৃপ্তিসহ আহার করতে সক্ষম হয়)।”

ইসলামে বিদায় দেয়ার সময় মেহমানের সাথে বাড়ির সদর দরজা পর্যন্ত যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

মহানবী (সা.) বলেন :

مِنْ حَقِّ الضَّيْفِ أَنْ تَمْشِيَ مَعَهُ فَنَخْرِجْهُ مِنْ حَرِيْمِكَ إِلَى الْبَابِ

“মেযবানের ওপর মেহমানের অধিকার হচ্ছে, মেযবান্ মেহমানের সাথে বাড়ির দরজা পর্যন্ত গিয়ে তাকে বিদায় দেবে।”

মেহমান যখন বিদায় নেয় তখন তাকে তার চলে যাওয়ার ব্যাপারে সাহায্য করতে ইসলাম বারণ করেছে।

نَزَلَ عَلَى أَبِيْ عَبْدِ اللهِ الصَّادِقِ (ع) قَوْمٌ مِنْ جُهَيْنَةٍ فَأَضَافَهُمْ فَلَمَّا أَرَادُوا الرَّحْلَةَ زَوَّدَهُمْ وَ وَصَلَهُمْ وَ أَعْطَاهُمْ، ثُمَّ قَالَ لِغِلْمَانِهِ تَنَحَّوْا لَا تُعِيْنُوْهُمْ فَلَمَّا فَرَغُوْا جَاؤُوا لِيودعُوه فَقَالوا له يا بْنَ رَسُوْلِ اللهِ فَقَدْ أَضَفْتَ فَأَحْسَنْتَ الضِّيَافَةَ وَ أَعْطَيْتَ فَأَجْزَلْتَ الْعَطِيَّةَ، ثُمَّ أَمَرْتَ غِلْمَانَكَ أَنْ لَا تُعِيْنُونَا عَلَى الرّحْلَةِ، فَقَالَ (ع) : إِنَّا أَهْلَ الْبَيْتِ لَا نُعِيْنُ أَضْيَافَنَا عَلَى الرّحْلَةِ مِنْ عِنْدِنَا

বর্ণিত আছে যে, জুহাইনাহ্ গোত্রের একদল লোক ইমাম আবু আবদিল্লাহ্ আস সাদেক (আ.)-এর কাছে আগমন করলে তিনি তাদেরকে ভালোভাবে আপ্যায়ন ও মেহমানদারী করেন। অতঃপর তারা বিদায় নেয়ার ইচ্ছা করলে তিনি তাদের রসদ-পত্র ও পাথেয় দান করলেন। এরপর তিনি দাস ও ভৃত্যদেরকে বললেন : “অতিথিদেরকে সাহায্য করা থেকে বিরত থাক।” যখন অতিথিরা প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ইমাম সাদেক (আ.)-এর কাছ থেকে বিদায় নেয়ার জন্য আসল এবং তাঁকে জিজ্ঞাসা করল : “হে রাসূলুল্লাহ্ (সা.)-এর সন্তান! আপনি আমাদেরকে খুব ভালোভাবে মেহমানদারী করেছেন এবং অনেক মূল্যবান উপঢৌকনও দিয়েছেন। অতঃপর আমাদের কাফেলা প্রস্তুত করার ব্যাপারে সাহায্য না করার জন্য আপনি আপনার দাস ও ভৃত্যদেরকে নির্দেশ দিলেন।” এ কথা শুনে ইমাম সাদেক (আ.) বললেন : “আমরা আহ্লে বাইত মেহমানকে আমাদের কাছে থেকে চলে যাওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করি না।”১০

ইমাম সাদেক (আ.) তাঁর এ কাজের মাধ্যমে বোঝাতে চেয়েছেন যে, মহানবী (সা.)-এর আহ্লে বাইত মেহমানের উপস্থিতির জন্য কখনো অসন্তুষ্ট হন না এবং মেহমান প্রস্থান করলে তাঁরা সন্তুষ্ট হন না।

অন্যদিকে যাতে গৃহস্বামী অসন্তুষ্ট না হয় সেজন্য ইসলাম মেহমানকে কারো গৃহে তিন দিনের বেশি না থাকার নির্দেশ দিয়েছে।

মহানবী (সা.) বলেন :

مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللهِ وَ الْيَوْمِ الآخِرِ فَلْيُكْرِمْ ضَيْفَهُ وَ الضِّيَافَةُ ثَلَاثَتَ أَيَّامٍ وَ لَيَالِيهِنَّ فَمَا فَوْقَ ذلِكَ فَهُوَ صَدَقَةٌ

“যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ্ ও শেষ বিচার দিবসে বিশ্বাসী তার উচিৎ অতিথিকে সম্মান করা। আর কারো গৃহে কেবল তিনদিন তিনরাত অতিথি হিসাবে অবস্থান করা যাবে। তবে এর বেশি অবস্থান করা হলে তা সাদাকাহ্ হিসাবে গণ্য হবে।”১১

আবার ইসলাম মেহমানকে সাদরে বরণ ও তার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করার ব্যাপারে পুরোপুরি চেষ্টা করার জন্য মেযবানকে নির্দেশ দিয়েছে।

মহানবী (সা.) বলেন :

إِنَّ مِنْ حَقِّ الضَّيْفِ أَنْ يُعِدَّ لَهُ الْخِلَالَ

“মেযবানের ওপর মেহমানের অন্যতম অধিকার হচ্ছে, মেযবান তার জন্য দাঁত খিলালেরও ব্যবস্থা করবে।”

এতদসত্ত্বেও ইসলাম মেহমানকেও এ নির্দেশ দেয় যে, তার আচার-আচরণ এমন হওয়া বাঞ্ছনীয় যেন মেযবানের কোনো অসুবিধা না হয়। এজন্যই ইসলাম মেহমানকে এ নির্দেশও দিয়েছে যে, মেযবান তাকে যেখানে বসার জন্য বলবে তার উচিৎ সেখানেই বসা।

ইমাম বাকের (আ.) বলেন :

إِذَا دَخَلَ أَحَدُكُمْ عَلَى أَخِيْهِ فِيْ رحْلِهِ فَلْيَقْعُدْ حَيْثُ يَأْمُرُ صَاحِبُ الرّحْلِ فَإِنَّ صَاحِبَ الرّحْلِ أَعْرَفُ بِعَوْرَةِ بَيْتِهِ مِنَ الدَّاخِلِ عَلَيْهِ

“যখন তোমাদের মধ্য থেকে কেউ তার দীনী ভাইয়ের গৃহে প্রবেশ করবে তখন গৃহস্বামী তাকে যেখানে বসতে বলবে তার উচিৎ সেখানে বসা। কারণ, গৃহস্বামী তার গৃহে আগমনকারীর চেয়ে গৃহের সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে অধিক জ্ঞাত।”১২

ইমাম রেযা (আ.) থেকে বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেছেন :

دَعَا رَجُلٌ أَمِيْرَ الْمُؤْمِنِيْنَ (ع) فَقَالَ لَهُ قَدْ أَجَبْتُكَ عَلَى أَنْ تَضْمِنَ لِيْ ثَلَاثَ خِصَالٍ، قَالَ : وَ مَا هُنَّ يَا أَمِيْر الْمُؤْمِنِيْنَ؟ قَالَ : لَا تَدْخُلْ عَلَيَّ شَيْئاً مِنْ خَارِجٍ وَ لَا تَدَّخِرْ عَنِّيْ شَيْئاً فِيْ الْبَيْتِ وَ لَا تَجْحِفْ بِالْعِيَالِ، قَالَ : ذلِكَ لَكَ، فَأَجَابَهُ أَمِيْرُ الْمُؤْمِنِيْنَ

এক ব্যক্তি আমীরুল মুমিনীন আলী (আ.)-কে নিমন্ত্রণ করলে তিনি নিমন্ত্রণকারীকে বললেন : তিনটি শর্তের ভিত্তিতে আমি তোমার নিমন্ত্রণ কবুল করব। তখন ঐ লোকটি বলল : ঐ শর্তগুলো কী? তিনি বললেন : ঘরের বাইরে গিয়ে কোনো কিছু তৈরি করো না। তোমার ঘরে যা আছে তা (খাদ্য প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে) ব্যহার করতে কুণ্ঠাবোধ করো না। আর নিজ পরিবারকে কষ্টের মধ্যে ফেলো না। লোকটি বলল : তা আপনার জন্য পূরণ করা হবে। তখন আমীরুল মুমিনীনও তার দাওয়াত কবুল করলেন।১৩

তথ্যসূত্র

১. বিহারুল আনওয়ার, খণ্ড ১৫, কিতাবুল ইশরাহ্, পৃ. ২৪২।

২. প্রাগুক্ত।

৩. প্রাগুক্ত।

৪. প্রাগুক্ত।

৫. বিহারুল আনওয়ার, ১৫তম খণ্ড, কিতাবুল ইশরাহ্, পৃ. ১৪১।

৬. ফুরু আল কাফী, খণ্ড. ১, পৃ. ১৭৬।

৭. বিহারুল আনওয়ার, খণ্ড ১৫, কিতাবুল ইশরাহ্ পৃ. ২৪০।

৮. প্রাগুক্ত।

৯. প্রাগুক্ত।

১০. প্রাগুক্ত।

১১. প্রাগুক্ত, পৃ. ২৪২।

১২. প্রাগুক্ত, পৃ. ২৪০।

১৩. প্রাগুক্ত।