ফেরেশতারা হযরত ফাতেমাকে সাহায্য করতেন

হযরত আবু যার গিফারী (রা.) বলেন : একবার রাসূল (সা.) আলীকে ডাকার জন্যে আমাকে পাঠান। আলীর গৃহে এসে তাঁকে ডাকলে কেউ আমার ডাকে সাড়া দিল না। তখন হস্তচালিত যাতাকলটি নিজে নিজেই ঘুরছিল কিন্তু এর পার্শ্বে কেউ ছিল না। আবারো আলীকে আহবান করলাম। আলী ঘরের বাইরে আসলেন। আমি তাঁকে নবী (সা.)-এর কথা বললে তিনি রাসূল (সা.)-এর সাথে দেখা করার জন্যে যাত্রা করলেন। তিনি নবী (সা.)-এর কাছে পৌঁছলে নবী (সা.) তাঁর সাথে বিস্তারিত কথোপকথন করলেন এবং এমন কিছু বললেন যা আমি বুঝতে পারলাম না। তাই মহানবী (সা.)-এর কাছে প্রশ্ন করলাম : “হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! আলীর গৃহের হস্তচালিত যাঁতাকলটি দেখে আমি বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গিয়েছি। যাঁতাকলটি কিভাবে নিজে নিজেই ঘুরছিল অথচ এর পার্শ্বে  কেউ ছিল না?

মহানবী (সা.) বলেন : আমার কন্যা ফাতেমা এমন একজন রমণী যার অন্তর ও সর্বাঙ্গকে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গসমূহকে আল্লাহ্ ঈমান ও ইয়াকিনে পূর্ণ করেছেন। আল্লাহ্ ফাতেমার অক্ষমতা ও দৈহিক দূর্বলতার ব্যাপারে অবহিত। তাই তিনি তাঁর জীবন পরিচালনার ক্ষেত্রে গায়েবীভাবে সাহায্য করে থাকেন। তুমি কি জান না আল্লাহর এমন অনেক ফেরেশতা আছেন যারা মুহাম্মদ (সা.)- এর বংশকে সাহায্য করার জন্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত। (বিহারুল আনওয়ার,৪৩তম খণ্ড,পৃ. ২৯। এ রেওয়ায়েতের অনুরূপ তবে সামান্য পার্থক্যসহ ‘মানাকিবে শাহরে আশুব’-এর ৩ম খণ্ড,পৃ. ১১৬-এ উল্লেখ আছে।)