আল হাসানাইন (আ.)

কোরআনের তাফসীর

সূরা নাহল;(৩০তম পর্ব)

সূরা নাহল;(৩০তম পর্ব)

মুসলমানের বিতর্কের পন্থা হওয়া উচিত প্রতিপক্ষের চেয়ে উত্তম এবং সত্য ও ন্যায়ভিত্তিক। সংলাপে প্রতিপক্ষকে মিথ্যা বলা, ধোঁকা দেয়া, উপহাস করা, অবমাননা করা, হুমকি দেয়া বা চিতকার করে কথা বলা ইসলামে অনুমোদিত নয়। কারণ, কারণ ইসলাম প্রচারকের লক্ষ্য হল সত্য প্রচার করা ও প্রতিপক্ষকে আকৃষ্ট করা। দ্বন্দ্ব, বিরোধিতা বা একগুঁয়েমি প্রদর্শন প্রচারকের লক্ষ্য নয়।

বিস্তারিত

সূরা নাহল;(২৯তম পর্ব)

সূরা নাহল;(২৯তম পর্ব) পরিমাণ বা সংখ্যার আধিক্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। কখনও কখনও একজন খাঁটি মুমিনই একটি জাতির সমান গুরুত্বপূর্ণ বা প্রভাবশালী। যা মানুষকে মহীয়ান করে তা হল আল্লাহর প্রতি স্বেচ্ছায় ও সজ্ঞানে বিনম্র এবং অনুগত থাকা তথা আল্লাহর বিধানগুলো মেনে চলা।

বিস্তারিত

সূরা নাহল;(২৮তম পর্ব)

সূরা নাহল;(২৮তম পর্ব) ধর্মে নতুনত্ব সৃষ্টি করা বা বিদআত চালু করা হারাম। যারাই কুরআন হাদিসের দলিল ছাড়া কোনো কিছু হালাল বা হারাম ঘোষণা করে কিংবা নতুন ইবাদতের রীতি চালু করে তা হবে বিদআত। এমনকি কেউ যদি তা আল্লাহর পক্ষ থেকে এসেছে বলে দাবি নাও করে তবুও ধর্মের মধ্যে নতুন বিষয় চালু করার কারণে তা আল্লাহর ওপরই মিথ্যা আরোপের শামিল। তাই এটাও বলা যাবে না অমুক বিষয় উত্তম বিদআত বা "বিদআতে হাসনা" বলে গ্রহণযোগ্য, বরং সব বিদআতই হারাম।

বিস্তারিত

সূরা নাহল;(২৭তম পর্ব)

সূরা নাহল;(২৭তম পর্ব) ইসলাম মানুষের সব দিকের চাহিদা মেটায় ও সব ক্ষেত্রেই পথ দেখায়। এ ধর্ম শুধু পরকালকেন্দ্রীক ধর্ম নয়। কোন কোন জিনিস খাওয়া যাবে বা যাবে না তাও ঠিক করে দিয়েছে ইসলাম।

বিস্তারিত

সূরা নাহল;(২৬তম পর্ব)

সূরা নাহল;(২৬তম পর্ব) যদি দুনিয়ার প্রতি ভালোবাসার কারণে কেউ আখেরাতকে ভুলে যায়, তাহলে সে আল্লাহর হেদায়েত থেকে বঞ্চিত হবে। দুনিয়ার ক্ষতি প্রকৃত ক্ষতি নয়, আখেরাতের ক্ষতিই আসল ক্ষতি।

বিস্তারিত

সূরা নাহল;(২৫তম পর্ব)

সূরা নাহল;(২৫তম পর্ব) শুধুমাত্র পবিত্র কুরআনের ছায়াতলে আশ্রয় নেয়া এবং আল্লাহর আয়াতের প্রতি বিশ্বাস স্থাপনের মাধ্যমেই মানুষ সত্যিকারের হেদায়েত পেয়ে পরিপূর্ণতা অর্জন করতে পারে। আর বাকিরা যেমন হেদায়েত পাননি তেমনি তারা হেদায়েত করার ক্ষমতাও রাখে না। মিথ্যাবাদী অন্যকে নিজের মত মিথ্যাবাদী মনে করে।

বিস্তারিত

সূরা নাহল;(২৪তম পর্ব)

সূরা নাহল;(২৪তম পর্ব) ইসলামে শুধুমাত্র আল্লাহর পক্ষ থেকে তার সুচিন্তিত বিচার বিবেচনার আওতায় কিছু নির্দেশে পরিবর্তন আনা হয়েছে। মানুষ আল্লাহর নিয়ম-নীতি সম্পর্কে জানে না বলে  কিছু সন্দেহজনক ও অবান্তর প্রশ্ন করে থাকে।

বিস্তারিত

সূরা নাহল;(২৩তম পর্ব)

সূরা নাহল;(২৩তম পর্ব) আল্লাহর কাছে বয়স, নারী-পুরুষ, বংশমর্যাদা, জ্ঞান ও ব্যক্তির সামাজিক প্রতিপত্তির কোনো গুরুত্ব নেই। শুধুমাত্র ঈমান ও সৎকর্মের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে বান্দার মর্যাদা নির্ধারিত হয়।

বিস্তারিত

সূরা নাহল;(২২তম পর্ব)

সূরা নাহল;(২২তম পর্ব) আল্লাহ জোর করে কাউকে ঈমান আনতে বাধ্য করেননি, বরং আল্লাহ চান বান্দা নিজ ইচ্ছা অনুযায়ী ভালোকে গ্রহণ ও মন্দকে বর্জন করুক। কিন্তু সব মানুষ এক ধর্ম ও আকিদায় বিশ্বাস করে না বলে তারা একটি নির্দিষ্ট ধর্মের অনুসারী নয়। অবশ্য আল্লাহ-তায়ালা হেদায়েতের জন্য সব ধরনের উপকরণের ব্যবস্থা করেছেন। মানুষের প্রকৃতিগত হেদায়েত বা বিবেকের আহ্বান এবং নবী-রাসূলদের পাশাপাশি আসমানি গ্রন্থগুলোর দিক-নির্দেশনা সব মানুষকে মিথ্যা থেকে সত্যকে আলাদা করার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়। কিন্তু কেউ যদি পথভ্রষ্ট হতে চায়, আল্লাহ্‌ তাকে বাধা দেন না। সে ভ্রান্ত পথে চলে যেতে পারে। অন্যদিকে  যে সত্য পথে চলতে চায়, আল্লাহ্‌-তায়ালা তাকে সত্য পথের সন্ধান দেন এবং তাকে সিরাতুল মুস্তাকিম বা সরল-সঠিক  পথে এগিয়ে নিয়ে যান।

বিস্তারিত

সূরা নাহল;(২১তম পর্ব)

সূরা নাহল;(২১তম পর্ব) এ আয়াতটি কুরআনের পূর্ণাঙ্গতম আয়াতগুলির অন্যতম, যা দুনিয়ায় মু’মিনদের মানবিক ও সামাজিক সম্পর্ক বৃদ্ধি এবং ন্যায়পরায়ণতা, দয়া ও সব ধরনের জুলুম-অত্যাচার থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দেয়। এ নির্দেশ আমাদেরকে সব অবস্থায় পালন করতে হবে। ন্যায়পরায়ণতা ও ইনসাফ হল ইসলামী শরীয়ত ও ধর্মের সব শিক্ষার ভিত্তি। আল্লাহ কারো উপর জুলুম করেন না এবং কাউকে অন্য কারো উপর জুলম করার বা কারো অধিকার লঙ্ঘন করারও অনুমতি দেননি।

বিস্তারিত

সূরা নাহল;(২০তম পর্ব)

সূরা নাহল;(২০তম পর্ব) কিয়ামতে মানুষ তার প্রতিটি কাজের প্রতিদান পাবে। পৃথিবীর কাজের ভিত্তিতেই তাকে শাস্তি বা পুরস্কার দেয়া হবে। সেখানে তাদের কাজের প্রমাণও তুলে ধরা হবে। কোনো ধরনের অন্যায় করা হবে না।

বিস্তারিত

সূরা নাহল;(১৯তম পর্ব)

সূরা নাহল;(১৯তম পর্ব) আল্লাহ সত্যকে মেনে নেয়া বা প্রত্যাখ্যান করার ক্ষেত্রে মানুষকে স্বাধীন রেখেছেন। মানুষ তার ইচ্ছেমতো সত্য বা মিথ্যার পথ বেছে নিতে পারে। তবে কোন পথ নির্বাচন করা হলো,তার ওপরই নির্ভর করছে তার চূড়ান্ত সাফল্যের বিষয়টি।

বিস্তারিত

সূরা নাহল;(১৮তম পর্ব)

সূরা নাহল;(১৮তম পর্ব) এ আয়াতে আল্লাহ মানবজাতিকে উদ্দেশ্য করে বলছেন, তোমরা যখন তোমাদের মায়ের গর্ভ থেকে জন্মগ্রহণ করেছো, তখন কিছুই জানতে না। এখন যা কিছু জানতে পেরেছো,তা আল্লাহর দেয়া চোখ, কান ও বিবেক-বুদ্ধির মাধ্যমেই জানতে পেরেছো। কিন্তু এরপরও কেনো তোমরা আল্লাহর নেয়ামতের ব্যাপারে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো না?

বিস্তারিত

সূরা নাহল;(১৭তম পর্ব)

সূরা নাহল;(১৭তম পর্ব) কিছু মানুষ আছে যারা গোঁয়াতুর্মির বশবর্তী হয়ে আল্লাহকে স্বীকার করে না। আবার অনেকেই অজ্ঞতা ও মুর্খতার কারণে সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহর আনুগত্য করতে অস্বীকার করে। তবে সে যাই হোক আল্লাহর সত্ত্বার সাথে কোন কিছুই তুলনীয় নয়, তিনি স্বয়ংসম্পূর্ণ ও স্বয়ম্ভু সত্ত্বা

বিস্তারিত

সূরা নাহল;(১৬তম পর্ব)

সূরা নাহল;(১৬তম পর্ব) মানুষের মধ্যে ধনী ও গরীবের যে ব্যবধান তা আল্লাহ তায়ালার প্রজ্ঞারই প্রমাণ বহন করে। কারণ সমাজের সকলেই যদি সম্পদ ও সামর্থের দিক থেকে সমান হতো তাহলে মানুষের মধ্যে পারস্পরিক লেনদেন বা সামাজিক আদান-প্রদানের সম্পর্ক তৈরি হতো না। এছাড়া মানব চরিত্রে ত্যাগ, দানশীলতা, দয়া ও বদান্যতার মত গুণাবলীও জন্ম নিতো না। কাজেই মানুষের মধ্যে যে যেমন যোগ্য সে তেমন সম্পদশালী হয়ে ওঠে। তাই বলে সম্পদশালী ও সামর্থবানরা অপেক্ষাকৃত দুর্বলদের ওপর কর্তৃত্ব করার অধিকার রাখে না। ইসলামের নির্দেশ হচ্ছে ধনী ও সমর্থবানরা গরীব ও অসহায়দেরকে সাহায্য করবে, যাতে সমাজে ভালোবাসা, সহযোগিতা ও সহমর্মীতার পরিবেশ তৈরি হয়

বিস্তারিত

সূরা নাহল;(১৫তম পর্ব)

সূরা নাহল;(১৫তম পর্ব) পানির অপর নাম হচ্ছে জীবন। আল্লাহ তায়ালা মেঘমালা থেকে বৃষ্টির মাধ্যমে মানুষের জন্য পানির ব্যবস্থা করেছেন,তেমনি পশুর হজম হওয়া খাবার ও রক্ত থেকে মানুষের জন্য উৎকৃষ্ট খাদ্য দুধের ব্যবস্থা করেছেন। আল্লাহর কি কুদরত! এই দুধে পশু খাদ্য বা পশুর রক্তের কোন রঙ বা গন্ধ পর্যন্ত নেই। গৃহপালিত পশু প্রকৃতিতে ছড়িয়ে থাকা সবুজ ঘাস ও তরুলতা খাবার হিসেবে গ্রহণ করে মানুষকে সাদা ও বিশুদ্ধ দুধ সরবরাহ করছে। এতে অবশ্যই মানুষের চিন্তার খোরাক রয়েছে

বিস্তারিত

সূরা নাহল;(১৪তম পর্ব)

সূরা নাহল;(১৪তম পর্ব) অবিশ্বাসী মুশরিকরা যে নানা ভ্রান্ত বিশ্বাস ও কুসংস্কারে নিমজ্জিত ছিল সে বিষয়ে এর আগে আলোচনা হয়েছে। এ আয়াতে বলা হচ্ছে, মুশরিকরা ফেরেশতাদেরকে আল্লাহর কন্যা মনে করত, ফলে এখানে বলা হয়েছে, যারা এত বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে তারাই আবার নিজেদেরকে অন্যদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ মনে করে

বিস্তারিত

সূরা নাহল;(১৩তম পর্ব)

সূরা নাহল;(১৩তম পর্ব) মুশরিকরা ফেরেশতাদেরকে আল্লাহর কন্যা মনে করত। এ আয়াতে বলা হচ্ছে, কাফের-মুশরিকরা আল্লাহ ও ফেরেশতা সম্পর্কে অদ্ভুত ধারণা পোষণ করত অথচ এরাই নিজেদের ক্ষেত্রে কন্যা সন্তানের জন্ম হওয়াকে অপমানজনক মনে করত। তাদের কারো স্ত্রী যদি কন্যা সন্তান জন্ম দিত তাহলে লজ্জায় অপমানে তারা ভীষণ ক্ষিপ্ত হয়ে যেতো এবং অপমান বোধের কারণে তারা সমাজ থেকে পালিয়ে বেড়াত এমনকি তারা নবজাতক শিশুকে জীবন্ত কবর দিতেও দ্বিধা করত না।

বিস্তারিত

সূরা নাহল;(১২তম পর্ব)

সূরা নাহল;(১২তম পর্ব) মুশরিক ও পৌত্তলিকদের ভ্রান্ত বিশ্বাস এবং তাদের কুসংস্কারের প্রতি ইঙ্গিত করে বলা হয়েছে, তারা আল্লাহর দেয়া নেয়ামত মন্দির এবং প্রতিমার পেছনে ব্যয় করে। এই গর্হিত কাজের জন্য তাদেরকে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে। সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ যে নেয়ামত দান করেছেন তা শিরক বা প্রতিমা পুজার পছনে ব্যয় করার কোন অধিকার মানুষের নেই।

বিস্তারিত

সূরা নাহল;(১১তম পর্ব)

সূরা নাহল;(১১তম পর্ব) প্রকৃতিতে বিদ্যমান সকল কিছুই আল্লাহর প্রতি প্রণত এবং সিজদাবনত, কাজেই সৃষ্টির সেরা মানুষ এই নিয়মের ব্যতিক্রমী হতে পারে না। বিচার-বুদ্ধির অধিকারী মানুষ যদি এই নিয়মের ব্যতিক্রমী হওয়ার চেষ্টা করে তাহলে তার ওপর নেমে আসে বিপর্যয়।

বিস্তারিত

আপনার মতামত

মন্তব্য নেই
*
*

আল হাসানাইন (আ.)