আল হাসানাইন (আ.)

কোরআনের তাফসীর

সূরা আন নিসা;(৩১তম পর্ব)

সূরা আন নিসা;(৩১তম পর্ব)

শয়তান মানুষের চিরশত্রু। তার ফাঁদে পড়ে যেন আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত না হই সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। আল্লাহর দেয়া হালাল জিনিসকে হারাম করা কিংবা হারামকে হালাল করা শয়তানী কাজ। শয়তান কাউকে পথচ্যুত করার জন্যে ব্যর্থ আশা জাগানো, সৃষ্টি কিংবা ঐশী বিধি-বিধানে পরিবর্তন আনা এবং ভ্রান্তির বেড়াজালে ফেলার মতো কৌশলের আশ্রয় নেয়।  

বিস্তারিত

সূরা আন নিসা;(৩০তম পর্ব)

সূরা আন নিসা;(৩০তম পর্ব) গুনাহ মানে মূলত নিজেই নিজের ক্ষতি করা,আর নিজের ক্ষতি করার অধিকার মানুষের নেই। আল্লাহ যে কেবল মন্দ কাজগুলোই ক্ষমা করে দেন তাই নয়,বরং তওবাকারীকে আল্লাহ ভালোবাসেন এবং তার প্রতি আল্লাহ বেশ সদয়।  

বিস্তারিত

সূরা আন নিসা;(২৯তম পর্ব)

সূরা আন নিসা;(২৯তম পর্ব) হে মুমিনগণ! জিহাদের ময়দানে শত্রুদের অনুসরণে শিথিল হয়ো না, যদি তোমরা কষ্ট পাও তবে তারাও তোমাদের অনুরূপ কষ্ট পায় এবং আল্লাহর কাছ থেকে তোমাদের যে ভরসা আছে, তাদের সে ভরসাও নেই৷ আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়

বিস্তারিত

সূরা আন নিসা;(২৮তম পর্ব)

সূরা আন নিসা;(২৮তম পর্ব) কোন অবস্থাতেই নামায ত্যাগ করা যায় না৷ এমনকি কঠিন বিপদের সময়ও সংক্ষেপে নামায আদায় করতে হবে ৷

বিস্তারিত

সূরা আন নিসা; (২৭তম পর্ব)

সূরা আন নিসা; (২৭তম পর্ব) মুমিনদের মধ্যে যারা কোন সঙ্গত কারণ না থাকা সত্ত্বেও জিহাদে অংশ নেয় না এবং যারা জান-মাল দিয়ে আল্লাহর পথে জিহাদ করে তারা সমান নয় ৷ আল্লাহতায়ালা,যারা জিহাদে অংশ নেয়নি তাদের তুলনায় জিহাদকারীদের মর্যাদা বাড়িয়ে দিয়েছেন,যদিও আল্লাহ প্রত্যেককেই পুরস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ৷ মহা পুরস্কারের ক্ষেত্রে আল্লাহ মুজাহিদদেরকে যারা জিহাদে অংশ নেয়নি,তাদের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন

বিস্তারিত

সূরা আন নিসা; (২৬তম পর্ব)

সূরা আন নিসা; (২৬তম পর্ব) কোন ঈমানদারের জন্যই অপর কোন ঈমানদারকে হত্যা করা বৈধ নয় ৷ কিন্তু কেউ যদি ভুলক্রমে কোন মুমিনকে হত্যা করে এবং তার স্বজনরা হত্যাকারীকে ক্ষমা না করে,তাহলে সে একজন মুসলমান ক্রীতদাসকে মুক্ত করবে এবং নিহত ব্যক্তির স্বজনদেরকে হত্যার বদলা বা রক্তমূল্য পরিশোধ করবে৷ কিন্তু নিহত ব্যক্তি যদি শত্রু পক্ষের হয়,তাহলে শুধু একজন মুসলমান ক্রীতদাসকে মুক্ত করবে৷ আর যদি সে তোমাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ কোন সম্প্রদায়ের হয়,তাহলে তার স্বজনদেরকে রক্তমূল্য অর্পন এবং একজন মুসলমান ক্রীতদাসকে মুক্ত করবে৷

বিস্তারিত

সূরা আন নিসা;(২৫তম পর্ব)

সূরা আন নিসা;(২৫তম পর্ব) মক্কার একদল মুশরেক যখনই হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর কাছে আসত তখনই বলতো,তারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে ৷ কিন্তু আবার যখন মক্কায় ফিরে যেত তখন তারা আগের মতো মূর্তি পুজা করতো এবং কাফেরদের সাথে যাতে সম্পর্ক খারাপ না হয় সেজন্য তাদের সাথে একাত্বতা প্রকাশ করতো ৷ এভাবে তারা উভয় পক্ষের কাছ থেকেই স্বার্থ আদায় করতো এবং উভয় পক্ষের বিপদ থেকেই নিরাপদে থাকত ৷

বিস্তারিত

সূরা আন নিসা;(২৪তম পর্ব)

সূরা আন নিসা;(২৪তম পর্ব) কেউ যখন তোমাদের সালাম দেয় ও শুভেচ্ছা জানায়,তখন তোমরা তার চেয়েও ভালোভাবে সালামের জবাব এবং শুভেচ্ছা জানাবে অথবা অনুরূপভাবেই জবাব দিবে ৷

বিস্তারিত

সূরা আন নিসা;(২৩তম পর্ব)

সূরা আন নিসা;(২৩তম পর্ব) মোনাফিকদের কাজের ধরন হলো,যখনই শান্তি ও নিরাপত্তা এবং পরাজয় বা ভয়ের কোন সংবাদ তাদের কাছে পৌঁছে তখনই তারা তা রটনা করে,অথচ যদি তারা রাসূলের কাছে কিংবা নেতৃস্থানীয় মুসলমানদের কাছে এসব সংবাদ পৌঁছে দিত,তাহলে বুদ্ধিমান ও বিচক্ষণ লোকেরা সংবাদগুলোর সত্যতা বুঝতে পারতো৷ তোমাদের প্রতি যদি আল্লাহর অনুগ্রহ ও করুণা না হত,তাহলে তোমাদের অল্প ক'জন ছাড়া সবাই শয়তানের অনুসরণ করতে

বিস্তারিত

সূরা আন নিসা;(২২তম পর্ব)

সূরা আন নিসা;(২২তম পর্ব) পবিত্র কোরআনের দৃষ্টিতে মহানবী (সা.) শুধু আল্লাহর বিধান প্রচারের জন্য দায়িত্বশীল নন৷ তিনি নিজেই ইসলামী সমাজের শাসনকর্তা এবং তাঁর আনুগত্য করার অর্থ হলো আল্লাহরই নির্দেশ মান্য করা৷ আর তার নির্দেশ অমান্য করার অর্থ হল-খোদাদ্রোহীতা বা কুফরি করা ৷ মহানবী (সা.) এর রাষ্ট্রীয় নির্দেশ ছাড়াও তার বক্তব্যের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে৷ পবিত্র কোরআন তথা আল্লাহর বাণীর পরই মহানবী (সা.)-এর বাণী তথা সুন্নাতকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দেয়া হয়৷

বিস্তারিত

সূরা আন নিসা;(২১তম পর্ব)

সূরা আন নিসা;(২১তম পর্ব) তোমরা যেখানেই থাক না কেন, মৃত্যু তোমাদের নাগাল পাবেই, এমনকি সুউচ্চ ও সুদৃঢ় দুর্গে থাকলেও তোমরা মৃত্যু এড়াতে পারবে না৷

বিস্তারিত

সূরা আন নিসা;(২০তম পর্ব)

সূরা আন নিসা;(২০তম পর্ব) ইসলামী জিহাদ ও অবিশ্বাসীদের যুদ্ধের উদ্দেশ্য স্পষ্ট করার জন্য মহান আল্লাহ এ আয়াতে বলছেন,"ঈমানদাররা শুধু আল্লাহর ধর্ম রক্ষা এবং তা শক্তিশালী করার জন্য যুদ্ধ করে,ক্ষমতা বা পদের জন্য নয়৷ মুমিনের জন্য শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি যথেষ্ট ৷ কিন্তু কাফেররা খোদাদ্রোহী শক্তি ও জালেমদের শাসন শক্তিশালী করার জন্য যুদ্ধ করে। তাদের লক্ষ্য অন্যদের ওপর কর্তৃত্ব করা এবং নিজ দেশের সীমানা বৃদ্ধি করা

বিস্তারিত

সূরা আন নিসা;(১৯তম পর্ব)

সূরা আন নিসা;(১৯তম পর্ব) ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান ৷ তাই মানুষের ব্যক্তিগত জীবনের খুঁটিনাটি বিষয় থেকে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনের যাবতীয় দিক নির্দেশনা রয়েছে পবিত্র কোরআনে। অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক শক্তির হাত থেকে দেশ ও সমাজকে রক্ষা করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই, ধর্ম ও ইসলামী রাষ্ট্রের সীমান্ত রক্ষার জন্যে পবিত্র কোরআন মুমিনদেরকে সব সময় প্রস্তুত থাকতে বলেছে, আর এ পথে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারকারীকে উচ্চ মর্যাদা প্রদানের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

বিস্তারিত

সূরা আন নিসা;(১৮তম পর্ব)

সূরা আন নিসা;(১৮তম পর্ব) রাসূল (সা.)'র আনুগত্য করা আল্লাহরই নির্দেশ৷ কারণ, আল্লাহর নির্দেশ ছাড়া কারো আনুগত্য করা হলে তা হবে শির্ক ও কুফুরী কাজ৷ অবশ্য নবীরা আল্লাহর নির্দেশের বিরোধী কোন নির্দেশ দেন না৷ এরপর বলা হয়েছে, রাসূলের নির্দেশ অমান্য করার গোনাহ মোচনের জন্য আগে মহানবী (সা.) এর সন্তুষ্টি অর্জন করতে হবে, এরপর মহানবী (সা.) তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করলে তখনই আল্লাহ ঐ ক্ষমা গ্রহণ করবেন৷

বিস্তারিত

সূরা আন নিসা; (১৭তম পর্ব)

সূরা আন নিসা; (১৭তম পর্ব) খোদাদ্রোহী ও ধর্ম বিরোধী শক্তি কিংবা ধর্ম নিরপেক্ষতার নামে ধর্মহীন শাসন ব্যবস্থা মেনে নেয়ার অর্থ হলো সমাজে শয়তানের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার সুযোগ দেয়া৷ উল্লেখ্য, বর্তমান যুগেও মুসলমানদের বিরোধ মীমাংসার জন্য পবিত্র কোরআন ও মহানবীর আদর্শই হল মানদন্ড৷

বিস্তারিত

সূরা আন নিসা; (১৬তম পর্ব)

সূরা আন নিসা; (১৬তম পর্ব) প্রত্যেক আমানতের মালিক রয়েছে৷ প্রকৃত মালিকের কাছেই আমানত ফিরিয়ে দেয়া উচিত৷ রাষ্ট্র পরিচালনা ও বিচার করার মত আমানত অযোগ্য লোকদের হাতে ছেড়ে দেয়া ঈমানের লক্ষণ নয়৷ আমানতের মালিক যদি কাফেরও হয় তাও তার কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে৷

বিস্তারিত

সূরা আন নিসা; (১৫তম পর্ব)

সূরা আন নিসা; (১৫তম পর্ব) আগের আয়াতের ব্যাখ্যায় আমরা বলেছিলাম ইহুদীরা মদীনার মুসলমানদের পরাজিত করতে মক্কার মুশরিকদের সাহায্য চেয়েছিল এবং এজন্যে তাদের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়েছিল৷ এই আয়াতে তাদের উদ্দেশ্য করে বলা হচ্ছে, তোমরা কি রাষ্ট্র ক্ষমতা হাতে পাবার আশায় এসব কাজ করছো? অথচ রাষ্ট্র ক্ষমতা পাবার কোন যোগ্যতা তোমাদের নেই৷ কারণ, আধিপত্যের নেশা তোমাদের মধ্যে এত প্রবল যে, তোমরা ক্ষমতায় গেলে কাউকে কোন অধিকারই দেবেনা এবং সমস্ত সুযোগ সুবিধা ও অধিকার তোমরা নিজেরাই ভোগ করবে !

বিস্তারিত

সূরা আন নিসা (১৪তম পর্ব)

সূরা আন নিসা (১৪তম পর্ব) শিরক মানুষকে আল্লাহর রহমত থেকে দূরে সরিয়ে দেয়৷ অংশীবাদী নিজেই নিজেকে আল্লাহর বিশেষ রহমত থেকে বঞ্চিত করে৷ আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করার অর্থ হলো, আল্লাহর ব্যাপারে মিথ্যা বলা এবং এটা আল্লাহর ওপর সবচেয়ে বড় অপবাদ৷

বিস্তারিত

সূরা আন নিসা; (১৩তম পর্ব)

সূরা আন নিসা; (১৩তম পর্ব) সলামের শত্রুরা এই পবিত্র ধর্মের বিরোধীতা করেছে বিভিন্ন কুৎসিত পন্থায় ৷ এর মধ্যে অন্যতম হলো, ঠাট্টা-বিদ্রুপ করা ৷ এই আয়াতে এই সব বিদ্রুপের কয়েকটি দৃষ্টান্ত উল্লেখ করা হয়েছে৷ ইসলামের অকাট্য যুক্তির মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়েই তারা এভাবে ইসলামের প্রতি বিদ্বেষ প্রকাশ করত ৷ যেমন- কোন কোন ইহুদী রাসূল (সা.)'র সঙ্গে কথা বলার সময় এমন সব শব্দ বা বাক্য ব্যবহার করত, যার ভাল ও মন্দ দু'রকম অর্থই হতে পারে ৷

বিস্তারিত

সূরা আন নিসা; (১২তম পর্ব)

সূরা আন নিসা; (১২তম পর্ব) পাপের উৎস হল, হয় অজ্ঞতা অথবা ভুল চিন্তাধারা বা উন্মাদনা, কিংবা লোভ লালসা বা শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের খাহেশ৷ কিন্তু আল্লাহ এসব ত্রুটি বিচ্যুতি থেকে মুক্ত বলে, নিজের সৃষ্টির ওপর জুলুম করার কোন প্রয়োজনই তাঁর নেই৷ মানুষ নিজেই নোংরা কাজে লিপ্ত হয়ে নিজের ওপর জুলুম করে৷ আয়াতের অন্য অংশে বলা হয়েছে, "আল্লাহ সৎ কাজ করতে মানুষকে আআহ্বান জানাচ্ছেন, যারা এই আহবানে সাড়া দিবেন আল্লাহ তাদেরকে দুনিয়া ও পরকালে পুরষ্কার দেবেন এবং সে পুরস্কার ও হবে কয়েকগুন৷ এটা মানুষের প্রতি আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ

বিস্তারিত

আপনার মতামত

মন্তব্য নেই
*
*

আল হাসানাইন (আ.)