আল হাসানাইন (আ.)

কোরআনের তাফসীর

সূরা আলে ইমরান;(৯ম পর্ব )

সূরা আলে ইমরান;(৯ম পর্ব )

মক্কার মুশরিকরা পবিত্র কোরআনকে আল্লাহর নবীর ওপর অবতীর্ণ গ্রন্থ বলে বিশ্বাস করত না। তারা বলতো কোরআন কল্পকাহিনী ছাড়া কিছু নয়,মোহাম্মদ ইহুদী পণ্ডিতদের কাছে এগুলো শিখেছেন অথবা অতীতকালের বই পুস্তকে সেগুলো পড়েছেন। আল্লাহ এর উত্তরে বলছেন,পবিত্র কোরআনের অধিকাংশ কাহিনীই অদৃশ্যের সংবাদ এবং কেউই তা জানতো না। আর রাসুল (সা.) ওহী বা ঐশী প্রত্যাদেশের মাধ্যমেই এসব জেনেছেন। যেমন,মারিয়ামের মায়ের মানত করার ঘটনা আল্লাহ ছাড়া কেউই জানতো না এবং মারিয়ামের দেখা শোনার ধরণ সম্পর্কেও তোমরা কেউ কিছু জানতে না। এগুলো সবই অদৃশ্যের খবর যা ওহীযোগে রাসূল (সা.)কে জানানো হয়েছে।

বিস্তারিত

সূরা আলে ইমরান;(১২তম পর্ব)

সূরা আলে ইমরান;(১২তম পর্ব) হে নবী আপনার কাছে যে জ্ঞান এসেছে,তা নিয়ে যারা আপনার সঙ্গে ঝগড়া করে তাদেরকে বলুন এস,আমরা আমাদের ও তোমাদের পুত্রদের,আমাদের ও তোমাদের নারীদের এবং স্বয়ং আমাদেরকে ও স্বয়ং তোমাদেরকে আহবান করি। তারপর প্রার্থনা করি যে,মিথ্যাবাদীদের ওপর আল্লাহর অভিশাপ বর্ষিত হোক

বিস্তারিত

সূরা আলে ইমরান;(৫ম পর্ব )

সূরা আলে ইমরান;(৫ম পর্ব ) পবিত্র কোরআন ইহুদীদের সুবিধাবাদী মানসিকতাকে ধর্মের বিরুদ্ধাচরণ বলেই গণ্য করেছে। ইহুদীরা ভাবতো তারা আল্লাহর কাছে অন্যদের চেয়ে বেশী প্রিয় এবং ইহুদী জাতিই আল্লাহর কাছে শ্রেষ্ঠ জাতি। তাই তাদেরকে জাহান্নাম বা বিচার দিবসের মুখোমুখী হতে হবে না অথবা কয়েকদিনের বেশী শাস্তি ভোগ করতে হবে না।

বিস্তারিত

সূরা আলে ইমরান;(৮ম পর্ব)

সূরা আলে ইমরান;(৮ম পর্ব) ইমরান ( আ.)'র স্ত্রীর মতো তাঁর স্ত্রীও ছিলেন বন্ধ্যা। আল্লাহ হযরত জাকারিয়া ( আ.)'র দোয়া কবুল করলেন। একবার যখন জাকারিয়া (আ. ) তাঁর নামাজের কক্ষে নামাজ পড়ছিলেন,তখন তাঁকে ইয়াহিয়া নামক পূত্রের সুসংবাদ জানিয়ে দেয়া হয়।

বিস্তারিত

সূরা আলে ইমরান;(৭ম পর্ব)

সূরা আলে ইমরান;(৭ম পর্ব) আল্লাহ মানুষকে সঠিক পথে পরিচালনার উদ্দেশ্যে ও আল্লাহর মনোনীত ধর্ম প্রচারের লক্ষ্যে অনেক মানুষকে মনোনীত করেছেন। এই মনোনয়ন জন্মগতভাবে অথবা পরবর্তীকালেও হয়ে থাকে। আল্লাহর নির্দেশিত দায়িত্ব পালন যাতে সহজে সম্পন্ন হয়,সে জন্য আল্লাহ জন্মগতভাবে কোন কোন মানুষকে এমন কিছু গুণাবলী দিয়েছেন যা অন্যদের মধ্যে নেই। মানুষকে সুপথ দেখানোর জন্য তাঁদের ঈমান,অধ্যবসায় এবং ব্যক্তিত্ব অন্যান্যদের চেয়ে উন্নতমানের। সৃষ্টিগতভাবে তাঁদেরকে উন্নত গুণাবলী বা বিশেষ সুবিধা দেয়ার কারণেই তারা সঠিক পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন এমন ধারণা করা ঠিক নয়। বরং তাঁরা নিজেরাই স্বেচ্ছায় সজ্ঞানে সত্যের পথ বেছে নিয়েছেন এবং সে লক্ষ্যে তাঁরা প্রচেষ্টা চালান। তাদের ঐ অবস্থা অনুযায়ী তাঁদের দায়িত্ব ও কর্তব্যও তুলনামূলকভাবে কঠিন ও বেশী।

বিস্তারিত

সূরা আলে ইমরান;(৬ষ্ঠ পর্ব)

সূরা আলে ইমরান;(৬ষ্ঠ পর্ব) একজন মুমিনের সঙ্গে অন্য মুমিনের সম্পর্ক হবে ঈমানের ভিত্তিতে। কারণ,আদর্শিক বন্ধন জাতিগত কিংবা আত্মীয়তার বন্ধনের চেয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই মুমিনরা বিশ্বের যে কোন প্রান্তেই থাকুক না কেন তাদের নিজেদের মধ্যে সুদৃঢ় বন্ধন ও ঐক্য সৃষ্টির চেষ্টা করতে হবে এবং কাফেররা যেন তাদের ওপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার সুযোগ না পায় ,সে জন্যও সচেষ্ট হতে হবে।

বিস্তারিত

সূরা আলে ইমরান;(৪র্থ পর্ব)

সূরা আলে ইমরান;(৪র্থ পর্ব) নিঃসন্দেহে আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য দ্বীন একমাত্র ইসলাম। যাদেরকে ধর্মগ্রন্থসমূহ দেয়া হয়েছে তাদের কাছে জ্ঞান বা কোরআনের আসার পর তারা শত্রুতা ও হিংসা ছাড়া অন্য কোন কারণে এর সত্যতার ব্যাপারে মতভেদ করেনি। যে আল্লাহর নির্দশনগুলো অবিশ্বাস করে তার মনে রাখা উচিত আল্লাহ দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী।

বিস্তারিত

সূরা আলে ইমরান;(৩য় পর্ব)

সূরা আলে ইমরান;(৩য় পর্ব) আল্লাহ এ সবকিছুই আমাদের জন্য সহজ করে দিয়েছেন। কিন্তু এটা অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে,এসব কিছুই ক্ষণস্থায়ী ও ধ্বংসশীল। পৃথিবীতে আমাদের জীবন মানুষের সর্বোচ্চ আয়ুর মধ্যেই সীমিত। যদি আমরা আল্লাহ ও পুনরুত্থান দিবসের প্রতি বিশ্বাস রাখি,তাহলে পৃথিবীর চাকচিক্যের ধোঁকায় পড়া আমাদের উচিত হবে না। কারণ,কেয়ামতের দিন এসবের কোন মূল্যই থাকবে না।

বিস্তারিত

সূরা আলে ইমরান;(১ম পর্ব)

সূরা আলে ইমরান;(১ম পর্ব) আল্লাহকে ভুলে যাওয়া পাপের অন্যতম উৎস। পাপীরা এটা ভুলে যায় যে,আল্লাহ তাদের সামনে রয়েছেন এবং তারা যা বলছে,করছে ও শুনছে আল্লাহ তা জানেন। কিন্তু আল্লাহ যে শুধু মানুষের তৎপরতা সম্পর্কে অবহিত তা নয়,একইসঙ্গে তিনি আকাশ ও জমীনের সবকিছু তথা সৃষ্টি জগতের সবকিছুই দেখছেন এবং কোন কিছুই আল্লাহর কাছে গোপন নয়।

বিস্তারিত

সূরা আলে ইমরান;(২য় পর্ব)

সূরা আলে ইমরান;(২য় পর্ব) হে আমাদের পালনকর্তা! সরল পথ দেখানোর পর তুমি আমাদের অন্তরকে আর বাঁকা করে দিও না এবং তোমার পক্ষ থেকে আমাদেরকে অনুগ্রহ দান কর। তুমিই সব কিছুর দাতা

বিস্তারিত

সূরা বাকারাহ;(৭০তম পর্ব)

সূরা বাকারাহ;(৭০তম পর্ব) ইসলাম সহজ সরল ধর্ম। ইসলাম সাধ্যের চেয়ে বেশী দায়িত্ব পালন করতে বলে না। যেমনটি ইসলামের নবী (সাঃ)ও বলেছেন,আমি সহজ ও সরল ধর্মের নবী মনোনীত হয়েছি।

বিস্তারিত

সূরা বাকারাহ;(৬৯তম পর্ব)

সূরা বাকারাহ;(৬৯তম পর্ব) দান খয়রাত ও ঋণ দেয়ার জন্য মুমিনদেরকে উৎসাহিত করার পর,সুদ না নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এই আয়াতে একটি গুরুত্বপূর্ণ নৈতিক বিষয়ের দিকে ইঙ্গিত করে বলা হয়েছে যে,ঋণ দেয়ার পর সুদ নেয়া তো চলবেই না,একই সাথে চুক্তিবদ্ধ ব্যক্তি যদি স্বল্প সময়ে ঋণ পরিশোধের ক্ষমতা না রাখে,তবে তাকে সময় দেয়া উচিত,এমনকি যদি ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি ঋণ পরিশোধের ক্ষমতাই না রাখে,তাহলে ঋণ মাফ করে দেয়ার উপদেশ দেয়া হয়েছে। ঋণ মাফ করে দেয়ার জন্য পরকালে প্রতিদান দেয়া হবে বলেও আল্লাহ ঘোষণা করেছেন

বিস্তারিত

সূরা বাকারাহ;(৬৮তম পর্ব)

সূরা বাকারাহ;(৬৮তম পর্ব) প্রকৃত মুমিন বা বিশ্বাসী শুধু নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর সাথে সম্পর্ক সৃষ্টি করে না,তারা যাকাত দেয়ার মাধ্যমে আল্লাহর সৃষ্টির সাথেও সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে। প্রকৃত মুমিন বা বিশ্বাসীরা ধর্মকে প্রাণহীন শুষ্ক দায়িত্বের মধ্যে সীমিত করে না। তারা অন্যদের কল্যাণের জন্যেও সচেষ্ট থাকে।

বিস্তারিত

সূরা বাকারাহ;(৬৭তম পর্ব)

সূরা বাকারাহ;(৬৭তম পর্ব) শয়তান ও শয়তানের বৈশিষ্ট্যের অধিকারী মানুষেরা বিভিন্ন উপায়ে দান-খয়রাত ও অন্যকে সাহায্য করা থেকে মানুষকে বিরত রাখে। শয়তান এ কুমন্ত্রণা দেয় যে,তোমার নিজেরই তো অর্থ সম্পদের দরকার হবে। আবার কখনো এ কুমন্ত্রণা দেয় যে,কেন তুমি কষ্ট করছ বা কেন তাকে সাহায্য করছ ? যদি আল্লাহ চাইতেন তাহলে সে দরিদ্র ও অভাবী হত না। এ জাতীয় স্বভাবের লোকেরা অন্যদেরকে দান-খয়রাত করতে নানাভাবে নিরুৎসাহিত করে এবং মানুষকে সম্পদ জমা করতে প্ররোচিত করে,একইসাথে তারা মানুষকে অভাব ও দারিদ্রের ভয় দেখায়।

বিস্তারিত

সূরা বাকারাহ;(৬৬তম পর্ব)

সূরা বাকারাহ;(৬৬তম পর্ব) যারা আল্লাহর সন্তুটি লাভের জন্য ও নিজেদের আত্মার উন্নতির জন্য ধন সম্পদ ব্যয় করে,তাদের উপমা উচ্চ ভূমিতে অবস্থিত উদ্যানের মত যাতে প্রবল বৃষ্টি হয়,ফলে তার ফল মূল দ্বিগুণ জন্মে। যদি প্রবল বৃষ্টি না-ও হয়,তবে শিশিরই যথেষ্ট। তোমরা যা কর আল্লাহ তা দেখেন।

বিস্তারিত

সূরা বাকারাহ;(৬৫তম পর্ব)

সূরা বাকারাহ;(৬৫তম পর্ব) হযরত ইবরাহীম (আঃ) আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী চারটি পাখি জবাই করে সেগুলোর গোশতের টুকরো ভালোভাবে মিশিয়ে ফেল্লেন। এরপর তিনি সেগুলোর টুকরো দশটি পাহাড়ের চূড়ায় রেখে পাখিগুলোর নাম ধরে ডাকলেন। আল্লাহর ইচ্ছায় পাখিগুলোর বিচ্ছিন্ন গোশত বিভিন্ন স্থান থেকে এসে এক জায়গায় জড়ো হলো এবং আগের মতই জীবিত হয়ে হযরত ইবরাহীমের কাছে আসল। এভাবে হযরত ইবরাহীম (আঃ) তাঁর প্রশ্নের জবাব পেলেন।  

বিস্তারিত

সূরা বাকারাহ;(৬৪তম পর্ব)

সূরা বাকারাহ;(৬৪তম পর্ব) ঈমান বা বিশ্বাসের সম্পর্ক হৃদয়ের সাথে। আর বিশ্বাস কখনও জোর করে চাপিয়ে দেয়া যায় না। আচার আচরণ,দলীল প্রমাণ ধর্মীয় উপদেশ বা বক্তৃতা মানুষের মনকে কোন ব্যক্তি বা আদর্শের প্রতি বিশ্বাসী করে তোলে। মহান আল্লাহ মানুষের পূর্ণতা ও উন্নতির জন্য একদিকে নবী রাসুল ও ঐশী গ্রন্থ পাঠিয়েছেন,তেমনি অন্যদিকে মানুষকে তার ইচ্ছামত নবী বা ঐশী গ্রন্থ বেছে নেয়ার বা তা অস্বীকার করারও অধিকার দিয়েছেন।

বিস্তারিত

সূরা বাকারাহ;(৬৩তম পর্ব)

সূরা বাকারাহ;(৬৩তম পর্ব) জোরপূর্বক ধর্মে দীক্ষিত করা মূল্যহীন। কেউ যদি স্বেচ্ছায় কোন ধর্ম গ্রহণ করে,তবেই তার মূল্য থাকবে। তাই ধর্ম নিয়ে মানুষের মধ্যে মতভেদ থাকা স্বাভাবিক এবং কোন ধর্ম গ্রহণ করা বা না করা মানুষের ইচ্ছা বা বিচার-বিবেচনার ওপর নির্ভর করে।

বিস্তারিত

সূরা বাকারাহ;(৬২তম পর্ব)

সূরা বাকারাহ;(৬২তম পর্ব) যদি ধর্মের শত্রুর বিরূদ্ধে জিহাদ ফরজ বা অবশ্য পালনীয় কর্তব্য না হতো তাহলে পৃথিবী অবিচার ও অশান্তিতে ভরে উঠতো,তাই আল্লাহর রাস্তায় শহীদ হবার ব্যাপারে দুঃখ থাকা উচিত নয়।

বিস্তারিত

সূরা বাকারাহ;(৬১তম পর্ব)

সূরা বাকারাহ;(৬১তম পর্ব) আল্লাহর পথে অর্থ ব্যয় করার অর্থ হলো- আল্লাহকে উত্তম ঋণ দেয়া। অবশ্য আল্লাহকে ধন দেয়া বলতে শুধু ধর্মযুদ্ধে অর্থ সাহায্য দেয়াকে বোঝায় না,একই সঙ্গে সমাজের দরিদ্র ও বঞ্চিতদেরকে যে কোন সাহায্য দেয়াও এই ঋণের অন্তর্ভূক্ত। আল্লাহ দুনিয়ায় ও পরকালে মানুষকে এর বিনিময়ে অনেকগুণ বেশী প্রতিদান দেবেন। কারণ,আমাদের জীবিকার মালিক আল্লাহ। আর যা আমরা আল্লাহর রাস্তায় দান করব আল্লাহ তা হিসাবে রাখবেন এবং সময়মত এর প্রতিদান দেবেন।

বিস্তারিত

আপনার মতামত

মন্তব্য নেই
*
*

আল হাসানাইন (আ.)