কোরআনের তাফসীর
সূরা ইউনুস;(৫ম পর্ব)
- প্রকাশিত হয়েছে
একত্ববাদ বা একজন স্রষ্টার প্রতি বিশ্বাস হচ্ছে মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। এই আয়াতে বলা হয়েছে, ভোগ বিলাসিতা এবং পার্থিব জগতের চাকচিক্য মানুষের এই সহজাত প্রবৃত্তিকে ম্লান করে দেয়। কিন্তু মানুষ যখন চরম কোন সংকটে পড়ে এবং আশা-ভরসার কিছু পায় না তখন তার মধ্যকার সুপ্ত ওই প্রবৃত্তি আবার জেগে ওঠে। তখন সঙ্কট থেকে মুক্তি পাওয়ার আশায় সে মন থেকে আল্লাহকে ডেকে ওঠে এবং তার সাহায্য কামনা করে।
সূরা ইউনুস;(৪র্থ পর্ব)
- প্রকাশিত হয়েছে
মহান সৃষ্টিকর্তা এক এবং অদ্বিতীয়, তার সমকক্ষ কেউ নেই। তার কোন সাহায্যকারীর প্রয়োজন নেই। তিনি বস্তুগত সব প্রয়োজনের উর্ধ্বে। কোন কিছুকেই তার সমকক্ষ হিসেবে কল্পনা করা যায় না। কোনো দেব-দেবীকে তিনি সুপারিশকারী হিসেবে নিযুক্ত করেননি। তার অনুমতি ছাড়া কেউ শাফায়াত বা সুপারিশ করার ক্ষমতা রাখে না।
সূরা ইউনুস;(৩য় পর্ব)
- প্রকাশিত হয়েছে
মানুষ যখন কোন বিপদে পড়ে, তখন যে তার প্রতিপালকের কথা বেশি স্মরণ করে তার কাছে কায়মনোবাক্যে সাহায্য চায়। তাই মানুষের উচিত বিপদমুক্ত হওয়ার পর আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়া, তার নির্দেশ মান্য করে চলা। কারণ এক্ষেত্রে অকৃতজ্ঞতা এবং উদাসীনতাই মানুষের পথভ্রষ্টতার প্রধান কারণ।
সূরা ইউনুস;(২য় পর্ব)
- প্রকাশিত হয়েছে
দুনিয়া প্রীতি বস্তগত জীবনের প্রতি প্রবল আকর্ষণ এবং পরকাল বা মৃত্যু পরবর্তী জীবনের ব্যাপারে উদাসীনতা মানুষ বা সমাজের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনে। এই বিপর্যয়ের ফল হচ্ছে দোযখ, যা পরকালে মানুষের সামনে আগুনের মত হয়ে প্রকাশ পাবে।
সূরা ইউনুস;(১ম পর্ব)
- প্রকাশিত হয়েছে
পবিত্র কুরআন বিজ্ঞান ও প্রজ্ঞাময় একটি ঐশীগ্রন্থ। এই গ্রন্থের বিধান শ্বাশত, চিরন্তন ও সার্বজনীন। আর নবী রাসূলদের আগমনের উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষকে তার প্রকৃত মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করা এবং তার ব্যক্তিত্ব ও অবস্থানের উতকর্ষ সাধন করা
সূরা আত তাওবা;(২৯তম পর্ব)
- প্রকাশিত হয়েছে
আল্লাহর ওপর গভীর বিশ্বাস ও আস্থা শক্তিশালী শক্রর বিরুদ্ধে বিজয়কে সহজ করে দেয়। ইসলামের ইতিহাসকে এর বাস্তব দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করা যায়। কাজেই সংখ্যায় অবিশ্বাসীদের আধিক্যের কারণে ইসলামের সত্যতার ব্যাপারে সংযমী হওয়া কিংবা হতাশ হয়ে পড়া উচিত নয়; এটা ঈমানদারদের বৈশিষ্ট্য নয়।
সূরা আত তাওবা;(২৮তম পর্ব)
- প্রকাশিত হয়েছে
যিনি আল্লাহর বিধান পালনের ব্যাপারে যত্নবান তিনিই প্রকৃত ঈমানদার। তাকওয়া ও পরহেজগারী হচ্ছে ঈমানদারদের ভূষণ। তবে ইসলামের শক্রদের ব্যাপারে ঈমানদারদের মনোভাব অত্যন্ত দৃঢ়। এ ব্যাপারে তারা আপোষহীন ও অবিচল।
সূরা আত তাওবা; (২৭তম পর্ব)
- প্রকাশিত হয়েছে
একজন ঈমানদারকে অবশ্যই কাজে-কর্মে সত ও নিষ্ঠাবান হতে হবে। শুধু মুখে বললেই ঈমান অর্জিত হয় না। অন্তরে বিশ্বাস, মৌখিক ঘোষণা এবং কার্যে তা পরিণত করাকে ঈমান বলা হয়।
সূরা আত তাওবা; (২৬তম পর্ব)
- প্রকাশিত হয়েছে
আত্মীয়-স্বজন হলেও মুশরিকদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা সংগত নয়। কারণ যারা আল্লাহর সঙ্গে অন্য কোন বস্তুকে সমকক্ষ হিসেবে দাঁড় করায় বা শিরক করে এবং সে অবস্থায় দুনিয়া থেকে বিদায় নেয় তারা জাহান্নামী। কাজেই তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা সংগত নয়।
সূরা আত তাওবা; (২৫তম পর্ব)
- প্রকাশিত হয়েছে
মদীনার মোনাফিকরা তাদের ততপরতা চালানোর জন্য একটি মসজিদ নির্মাণ করেছিল। মহান আল্লাহর নির্দেশে মহানবী (সা.) ওই মসজিদ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। এ আয়াতে আল্লাহ মহানবী ও মুমিনদের সম্বোধন করে বলেছেন, খোদাভীতির কারণে যে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে সে মসজিদই প্রকৃত মসজিদ। যে মসজিদ বিভেদ সৃষ্টির জন্য ও ষড়যন্ত্র করার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে সে মসজিদের কোনো মূল্য নেই।
সূরা আত তাওবা; (২৪তম পর্ব)
- প্রকাশিত হয়েছে
মুনাফিকরা ঈমানদার মুসলমানদের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতি এবং মসজিদকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। এছাড়া মুসলিম সমাজে মতপার্থক্য সৃষ্টি করা এবং তাদের মধ্যকার ঐক্য নষ্ট করার চেষ্টা করা কুফরীর সমতুল্য। কাজেই কোনো মসজিদও যদি বিভেদ ও অনৈক্যের কারণ হয়ে দাঁড়ায় তাহলে তা মসজিদে যারবারের মত ভেঙ্গে দেয়া উচিত।
সূরা আত তাওবা; (২৩তম পর্ব)
- প্রকাশিত হয়েছে
একটি ইসলামী সমাজের জন্য মুনাফিকরা যে কত ভয়ংকর হতে পারে সে বিষয়টিই এই আয়াতে পুণরায় উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, মদীনা শহর এবং এর আশেপাশে বহু লোক আছে যারা নিজেদেরকে মুসলমান দাবি করে আর মুসলমানরাও তাদেরকে ঈমানদার হিসেবেই মনে করে। আসলে তারা আল্লাহ ও কেয়ামতে বিশ্বাসী নয়। মুসলমানরা তাদের বাহ্যিক চেহারা দেখে বিভ্রান্ত হলেও আল্লাহ তো তাদের মনের কথা জানেন।
সূরা আত তাওবা; (২২তম পর্ব)
- প্রকাশিত হয়েছে
মুনাফিক এবং অসৎ মানুষের সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকা উচিত। তাদের সাথে সম্পর্ক না রাখাই উত্তম কাজ। কারণ মুনাফিকী এবং কপটতা সংক্রামক ব্যাধির মত।
সূরা আত তাওবা; (২১তম পর্ব)
- প্রকাশিত হয়েছে
ইসলামের নির্দেশ মানুষের শক্তি ও সামর্থের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সামর্থের বাইরে কোন নির্দেশ ইসলাম মানুষের ওপর চাপিয়ে দেয় না। যদি কোন কাজ কারো পক্ষে আঞ্জাম দেয়া আসলেই অসম্ভব হয়। তাহলে ইসলামী আইন তাকে সে কাজ থেকে অব্যাহতি দেয়।
সূরা আত তাওবা; (১৮তম পর্ব)
- প্রকাশিত হয়েছে
আসলে মুখ এবং আচরণে যদি কপটতা থাকে তাহলে এক সময় মানুষের অন্তর ও স্বভাব কপটতায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। দরিদ্র এবং অসহায়-নিঃস্ব মানুষকে দান করার ব্যাপারে যারা কার্পণ্য করে তারা দুনিয়ার জীবনেই অশান্তি ও দুঃখ-যাতনায় নিষ্পেষিত হয়। এ জন্য আল্লাহর অনুগ্রহের ব্যাপারে কৃতজ্ঞ হওয়া উচিত।
সূরা আত তাওবা; (১৭তম পর্ব)
- প্রকাশিত হয়েছে
সৎকাজে উদ্বুদ্ধ করা এবং অসৎকাজে বিরত রাখা ইসলাম ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান। এই বিধানের কারণে ব্যক্তিগত পর্যায়ের বাইরেও সামাজিক আচার অনুষ্ঠানের প্রতি দৃষ্টি রাখা প্রত্যেক মুসলমানের কর্তব্য।
সূরা আত তাওবা; (১৯তম পর্ব)
- প্রকাশিত হয়েছে
ইসলামী বিধান এবং ঈমানদার মুসলমানদের নিয়ে বিদ্রুপ বা উপহাস করা অত্যন্ত জঘন্য পাপ, যা বিদ্রুপকারীকে কুফরিতে নিমজ্জিত করে। ফলে এ ধরনের পাপাচারী সৎপথে ফিরে আসার যোগ্যতা হারিয়ে ফেলে। এই আয়াতে এটাই বুঝানো হয়েছে যে, আল্লাহ ও তার নবী-রাসূলরা ক্ষমার ব্যাপারে কোনো কার্পণ্য করেন না। কিন্তু কিছু মানুষ এতবেশি অন্যায় ও পাপে লিপ্ত হয় যে তারা ক্ষমা লাভের যোগ্যতা হারিয়ে ফেলে।
সূরা আত তাওবা; (২০তম পর্ব)
- প্রকাশিত হয়েছে
সন্তান-সন্ততি ও ধন-সম্পদের প্রাচুর্য সব সময় সবার জন্য কল্যাণ ও প্রশান্তি বয়ে আনে না। এসব অনেকের জন্য অশান্তি ও ঝামেলার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কাজেই কারো বাহ্যিক প্রতিপত্তি দেখে হীনমন্যতায় ভোগা উচিত নয়। কারণ মানসিক ও পারিবারিক প্রশান্তিই মানুষের বড় সফলতা। সম্পদের আধিক্য সব সময় এই প্রশান্তি বয়ে আনতে পারে না।
সূরা আত তাওবা; (১৬তম পর্ব)
- প্রকাশিত হয়েছে
মুনাফিকদের মৌলিক বৈশিষ্ট্যের কয়েকটি হচ্ছে, তারা ঈমানদার মুসলমানদেরকে অবজ্ঞা করে, তাদের ভাল কাজ নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করে, পাপাচারীদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করে এবং তাদের কাজকর্মকে আদর্শ ও আধুনিক বলে মনে করে। মুনাফিক বা কপট চরিত্রের মানুষের এসব আচরণের ফলে সমাজের অন্যান্য মানুষ ভালো কাজের ব্যাপারে নিরুতসাহিত হয় এবং অসত কাজের ব্যাপারে অনুপ্রাণিত হয়।
সূরা আত তাওবা; (১৫তম পর্ব)
- প্রকাশিত হয়েছে
ধর্মীয় বিশ্বাসের অপব্যবহার কপট বা মুনাফিক চরিত্রের মানুষের একটি সাধারণ অভ্যাস। ঈমানদার মুসলমানদের লক্ষ্য হচ্ছে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা। কিন্তু মুনাফিকদের উদ্দেশ্য ঠিক এর উল্টো। তাদের সব কাজের উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা।