আল হাসানাইন (আ.)

ধর্ম এবং মাযহাব

ইসলামে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের স্বাধীনতা

ইসলামে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের স্বাধীনতা

ইসলামী রাষ্ট্র ও সরকার তার মুসলমান অধিবাসীদের থেকে যে পরিমাণ অর্থ কর (যেমন: আয়কর, খাজনা ও ভূমিকর প্রভৃতি) হিসেবে গ্রহণ করে থাকে, তার ইহুদী ও খ্রিষ্টান নাগরিকদের থেকে জিযিয়া হিসাবে তার চেয়েও কম অর্থ গ্রহণ করে থাকে। এটি যথার্থ হিসেব করেই করা হয়ে থাকে। মুসলমানরা খুম্স ও যাকাত দেয়া ছাড়াও ইসলামী রাষ্ট্রের প্রয়োজনে কখনো কখনো নিজের উপার্জন ও মূলধন হতেও খরচ করতে বাধ্য। অন্যদিকে ইহুদী ও খ্রিষ্টানরা ইসলামের নিরাপত্তার পতাকাতলে জীবন যাপন করবে, তাদের সামাজিক ও ব্যক্তিগত অধিকারগুলো ভোগ করবে অথচ তারা ইসলামী রাষ্ট্র ও সরকারকে রক্ষার জন্য যুদ্ধ করতে ও এজন্য অর্থ খরচ করতে বাধ্য নয়। তাই এটি অন্যায্য কোন বিষয় নয়।

বিস্তারিত

ইসলাম জ্ঞানগত ও বুদ্ধিবৃত্তিক ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত

ইসলাম জ্ঞানগত ও বুদ্ধিবৃত্তিক ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত    ইসলাম যে বুদ্ধিবৃত্তিক ও জ্ঞানগত ধারার ওপর প্রতিষ্ঠিত পবিত্র কোরআন তার সুস্পষ্ট সাক্ষ্য বহন করে। গণনা করে দেখা গেছে, ‘জ্ঞান’ ( علم ) শব্দটি কোরআনে মোট প্রায় ৭৮০ বার, ‘বুদ্ধিবৃত্তি’ ( عقل ) শব্দটি মোট ৪৮ বার ও ‘চিন্তা’ ( فکر ) শব্দটি মোট ১৮ বার ব্যবহৃত হয়েছে। আর পবিত্র কোরআন আগাগোড়াই বিভিন্ন দার্শনিক যুক্তিতে পরিপূর্ণ যা ইতোপূর্বে কোন দার্শনিকই উল্লেখ করেন নি এবং পরবর্তীতেও কোন চিন্তাবিদ তা খণ্ডন করতে পারেন নি। বুদ্ধিবৃত্তিক এসব আয়াত অত্যন্ত সূক্ষ্ম যুক্তি ও গভীর জ্ঞানগত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত- যা অস্বীকার করা কারো পক্ষে সম্ভব নয়।

বিস্তারিত

নাহজুল বালাগায় পরাপ্রাকৃতিক (আধ্যাত্মিক-অজড়) বিষয়াদির ক্ষেত্রে দার্শনিক অনুধাবন ও উপলব্ধিসমূহের মূল্য

নাহজুল বালাগায় পরাপ্রাকৃতিক (আধ্যাত্মিক-অজড়) বিষয়াদির ক্ষেত্রে দার্শনিক অনুধাবন ও উপলব্ধিসমূহের মূল্য নাহজুল বালাগা’য় স্রষ্টাতত্ত্ব সংক্রান্ত বিষয়াদি দু’ভাবে উপস্থাপিত ও আলোচিত হয়েছে : এর একটি প্রক্রিয়ায় ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য জগৎ (বস্তুজগৎ) অথবা এর সমুদয় ব্যবস্থা যেগুলো এর মাঝে বিদ্যমান ও ক্রিয়াশীল সেগুলো এমন এক আয়নাতুল্য দেখানো হয়েছে যা এর অস্তিত্বদাতার (স্রষ্টা) জ্ঞান ও পূর্ণতা নির্দেশক। আর অন্য প্রক্রিয়ায় খাঁটি বুদ্ধিবৃত্তিক চিন্তাধারা এবং বিশুদ্ধ দার্শনিক বিচার-বিশ্লেষণ ব্যবহার করা হয়েছে। নাহজুল বালাগার স্রষ্টাত্তত্ব বিষয়ক অধিকাংশ আলোচনার ভিতই হচ্ছে বুদ্ধিবৃত্তিক চিন্তাধারা এবং দার্শনিক বিচার-বিশ্লেষণ। মহান আল্লাহর পবিত্র সত্তার পূর্ণতা নির্দেশক (গুণ ও বিষয়াদি) এবং দোষ-ক্রটি প্রত্যাখ্যানকারী গুণ ও বিষয়াদির ক্ষেত্রে কেবল এ দ্বিতীয় প্রক্রিয়াটিই ব্যবহার করা হয়েছে।

বিস্তারিত

নাহজুল বালাগায় মোনাফিকের বর্ণনা

নাহজুল বালাগায় মোনাফিকের বর্ণনা মোনাফেক সম্পর্কে আমি তোমাদের সতর্ক করে দিচ্ছি। কারণ তারা নিজেরা গোমরাহ এবং অন্যদেরকেও গোমরাহ করে। তারা নিজেরা আছাড় খেয়েছে এবং অন্যদেরকেও আছাড় খাওয়াতে চায়। তারা বহুরূপী এবং বহু পথ অবলম্বন করে। তারা তোমাকে তাদের অনুসারী করতে ওৎ পেতে থাকে এবং সকল প্রকারের সহায়তা নিয়ে তোমার দিকে এগিয়ে আসে। তাদের মুখমণ্ডল পরিচ্ছন্ন হলেও হৃদয় রোগাক্রান্ত। তারা গোপনে চলাফেরা করে এবং রুগ্নের মতো পদচারণা করে। তাদের কথা চিকিৎসার মতো কিন্তু তাদের কর্মকাণ্ড দুরারোগ্য ব্যাধির মতো।

বিস্তারিত

নাহজুল বালাগা অবলম্বনে পরহেজগার ব্যক্তির গুণাবলী

নাহজুল বালাগা অবলম্বনে পরহেজগার ব্যক্তির গুণাবলী পরহেজগার ও খোদা-ভীরু ব্যত্তিকে আল্লাহর ভয় তীরের মতো কৃশ করে ফেলেছে। যে কেউ তাদের দিকে তাকালে তাদেরকে মনে করবে রুগ্ন,আসলে তা নয়। কেউ কেউ মনে করবে তারা পাগল;আসলে আল্লাহর ভয় তাদেরকে পাগল করে দিয়েছে। তারা তাদের অল্প সৎ আমলে সন্তুষ্ট হয় না এবং তাদের সৎ আমলকে বৃহৎ কিছু মনে করে না। তারা সর্বদা নিজেদেরকে দোষারোপ করে এবং তাদের কাজের জন্য ভীত সন্ত্রস্ত থাকে।

বিস্তারিত

জ্ঞান অর্জনের দায়িত্ব-কর্তব্য (২য় অংশ)

জ্ঞান অর্জনের দায়িত্ব-কর্তব্য (২য় অংশ) অন্যান্য আবশ্যিক দায়িত্ব এবং ব্যক্তিগত ও সামাজিক ইসলামী দায়িত্ব পালন নির্ভর করে জ্ঞান অর্জনের ওপর। জ্ঞান অর্জন অন্যান্য আবশ্যিক দায়িত্ব ও ইসলামী বিষয় সম্পাদন করার চাবিকাঠি হিসাবে পরিচিত-ইসলামী আইনশাস্ত্রে যাকে ‘প্রাথমিক বাধ্যবাধকতা’ বলা হয়েছে। সুতরাং যদি মুসলমানদের অবস্থার উন্নতি হয় এবং বিজ্ঞান থেকে তারা আরও অধিক লাভবান হয় তাহলে জ্ঞান অর্জন আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে এবং এর ক্ষেত্র আরও বিস্তৃত করবে।

বিস্তারিত

জ্ঞান অর্জনের দায়িত্ব-কর্তব্য (১ম অংশ)

জ্ঞান অর্জনের দায়িত্ব-কর্তব্য (১ম অংশ) জ্ঞান অর্জন প্রত্যেক মুসলমানের জন্য বাধ্যতামূলক এবং কোন একটি বিশেষ শ্রেণী বা উপশ্রেণীর জন্য তা নির্দিষ্ট নয়। ইসলামের পূর্ববর্তী সভ্যতাসমূহে জ্ঞান অর্জন কেবল একটি নির্দিষ্ট শ্রেণীর অধিকারের ব্যাপার ছিল। কিন্তু ইসলামে জ্ঞান অর্জন একটি বাধ্যতামূলক (ফরয) কাজ এবং নামায আদায় করা, রোযা রাখা, যাকাত প্রদান করা, হজ্বে যাওয়া, জিহাদে অংশগ্রহণ করা এবং সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজে নিষেধের মতো জ্ঞান অর্জন করাও প্রত্যেকের ওপর আবশ্যিক দায়িত্ব।

বিস্তারিত

গীবত একটি মারাত্মক ব্যাধি

গীবত একটি মারাত্মক ব্যাধি জিহ্বার দ্বারা যে সব কঠিন পাপ কাজ সংঘটিত হয় তার অন্যতম হল গীবত। গীবত একটি মারাত্মক ব্যাধি। গীবত করার ফলে মানুষের অন্তর অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায় এবং ধীরে ধীরে তা আল্লাহর ক্ষমা থেকে মানুষকে বঞ্চিত করার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অন্যের ছিদ্রান্বেষণ ও গীবত বর্তমানে আমাদের অনেকেরই অভ্যাসে পরিণত হয়েছে আমরা এর কুফল বেমালুম ভুলে গেছি। বড় ও ছোট কেউই এ দোষ থেকে মুক্ত নয়।

বিস্তারিত

আল্লাহর নবীদের সংখ্যা

আল্লাহর নবীদের সংখ্যা ইতিহাসের সাক্ষানুসারে আল্লাহর অসংখ্য নবীই এ পৃথিবীতে এসেছেন । পবিত্র কুরআনও এ বিষয়েরই সাক্ষী দেয় । যাদের মধ্যে অনেকের নাম ও ইতিহাসই পবিত্র কুরআন উল্লেখ করেছে । আবার তাদের অনেকের নামই পবিত্র কুরআনে উল্লেখিত হয়নি ।

বিস্তারিত

নাহজুল বালাঘায় আত্মীয়-স্বজনের সাথে সদ্ব্যবহার

নাহজুল বালাঘায় আত্মীয়-স্বজনের সাথে সদ্ব্যবহার যারা আপনজনকে সাহায্য করা থেকে হাত গুটিয়ে রাখে তারা প্রয়োজনের সময় অনেক হাত গুটানো দেখতে পাবে। যে কেউ মিষ্টি স্বভাবের হবে তার প্রতি জনগণের শ্রদ্ধা-ভালবাসা চিরস্থায়ী হয়ে থাকে।

বিস্তারিত

ধর্মকে কেন্দ্র করেই পৃথিবীতে সভ্যতার বিকাশ হয়েছে

ধর্মকে কেন্দ্র করেই পৃথিবীতে সভ্যতার বিকাশ হয়েছে বাংলাদেশে ইদানীং তরুণদের মাঝে নীতি-নৈতিকতাহীনতা ব্যাপক মাত্রায় লক্ষ্য করা যায়। মাদক সেবন যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে তেমনি মেয়েদের ওপর লাঞ্ছনার ঘটনাও বৃদ্ধি পেয়েছে। স্কুল-কলেজ-ইউনিভার্সিটির মেয়েদের সম্ভ্রমহানী ঘটছে। অনেক মেয়ে আত্মহত্যা করতেও বাধ্য হয়েছে।

বিস্তারিত

কবরের উপর সৌধ নির্মাণ

কবরের উপর সৌধ নির্মাণ কবরের উপর সৌধ নির্মাণ আল্লাহর নিদর্শনসমূহের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের শামিল। মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে তাঁর নিদর্শনসমূহের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে নির্দেশ দিয়েছেন,কারণ তা অন্তরের পরহেজগারীর (আত্মসংযম) প্রমাণ।  

বিস্তারিত

মুসলমানদের প্রথম কিবলা আল-কুদ্‌সকে কেন পরে পরিবর্তন করা হলো

মুসলমানদের প্রথম কিবলা আল-কুদ্‌সকে কেন পরে পরিবর্তন করা হলো দ্বিতীয় হিজরিতে একদিন মহানবী বনি সালিমের মসজিদে জোহরের নামায পড়ছিলেন। দুই রাকাত পড়ার পর ফেরেশতা হযরত জিবরাইল (আ.) এসে মহানবীর দুই হাত ধরে তাঁকে কাবার দিকে ঘুরিয়ে দিলেন। তখন থেকেই কাবা মুসলমানদের কিবলায় পরিণত হলো।

বিস্তারিত

ইসলামের সর্বজনীন ঐক্যচিন্তা

ইসলামের সর্বজনীন ঐক্যচিন্তা পবিত্র কুরআনে সুস্পষ্টভাবে এই নীতি ঘোষণা করা হয়েছে যে, ইসলাম কোন নতুন ধর্ম নয়। কেননা, সমগ্র ইতিহাসে ধর্ম কেবল একটাই মনোনীত করা হয়েছে। প্রত্যেক নবীকে সময়ের প্রেক্ষাপট ও যুগের চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে এই ধর্ম প্রতিষ্ঠার জন্য নিয়োগ করা হয়েছে।

বিস্তারিত

ধর্ম ও রাজনীতি

ধর্ম ও রাজনীতি রাজনীতির সঠিক ব্যাখ্যা হচ্ছে প্রশাসনিক শক্তির বলে একটি সমাজের ভিতরগত ও বাইরের সকল বিষয়ের শাসন,নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা। আর ধর্মের সঠিক ব্যাখ্যা হচ্ছে,এতে একটি পূর্ণাঙ্গ ও সমন্বিত ঐশী ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যা মানুষের সকল ব্যক্তিগত ও সামাজিক প্রয়োজন এবং পারলৌকিক জীবনের সকল প্রয়োজনও পূরণের নিশ্চয়তা বিধান করে।

বিস্তারিত

আহলে বাইত

আহলে বাইত নবী করিম (সা.)-এর আহলে বাইতকে ভালবাসার ব্যাপারে মুসলমানদের মধ্যে কোন দ্বিমত নেই । তবে আহলে বাইত কারা– এ ব্যাপারে যথেষ্ট মতানৈক্য বিদ্যমান । মুসলমানদের কোন এক সম্প্রদায় আহলে বাইত বলতে শুধুমাত্র তার সম্মানীতা স্ত্রীগণকে বুঝিয়ে থাকেন । আবার অন্য এক সম্প্রদায় এ ক্ষেত্রে শুধুমাত্র হযরত ফাতিমা, তার স্বামী ও সন্তানদ্বয়কে রাসুলের সাথে সংযোগ করে থাকেন । আবার নবী (সা.) এর আহলে বাইতের মধ্যে হযরত আব্বাস, আক্বীল ও জাফর তাইয়্যারকেও শামিল করে থাকেন ।

বিস্তারিত

বিচারবুদ্ধি ও ইসলাম

বিচারবুদ্ধি ও ইসলাম বিচারবুদ্ধিকে পুরোপুরি বর্জন করা অথবা শুধু বিচারবুদ্ধির ওপর নির্ভর করা উভয়ই ভুল কর্মপন্থা। বরং বিচারবুদ্ধিকে যথাযথ ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে হবে - এটাই ‘আক্বল্ বা বিচারবুদ্ধির দাবী; ইসলামের আবেদনও এটাই। বিচারবুদ্ধি হচ্ছে ইসলাম গৃহের দরযা; এ পথেই ইসলামে প্রবেশ করতে হবে এবং এরপর ইসলামকে সঠিকভাবে জানা-বুঝা ও অনুসরণের ক্ষেত্রে বিচারবুদ্ধির ভূমিকা হচ্ছে সহায়ক বা হাতিয়ারের ভূমিকা।

বিস্তারিত

জীবন জিজ্ঞাসার জবাব সন্ধানে জ্ঞানতত্ত্বের পথনির্দেশ

জীবন জিজ্ঞাসার জবাব সন্ধানে জ্ঞানতত্ত্বের পথনির্দেশ বিচারবুদ্ধি স্বয়ং জ্ঞানের উৎস এবং অন্যান্য জ্ঞানসূত্রের সত্যাসত্য বিচারকারী। অবশ্য বিভিন্ন কারণে বিচারবুদ্ধি ভুল করতে পারে, তবে বিচারবুদ্ধির বিশ্লেষণেই সে ভুল ধরা পড়ে ও সংশোধিত হয়। এমতাবস্থায় জীবন ও জগতের মহাসত্য সংক্রান্ত জিজ্ঞাসাসমূহের সঠিক জবাব পেতে হলে স্বয়ং বিচারবুদ্ধির কাছ থেকে জবাব শুনতে হবে এবং অন্যান্য সূত্রে প্রাপ্ত জবাবসমূহকেও বিচার-বিশ্লেষণের জন্য বিচারবুদ্ধির সামনে পেশ করতে হবে।

বিস্তারিত

কোরআনের দৃষ্টিতে : আহলে নাজাত্ কা’রা?

কোরআনের দৃষ্টিতে : আহলে নাজাত্ কা’রা? কোরআন মজীদের দৃষ্টিতে আহলে নাজাত বা মুক্তিপ্রাপ্তির অধিকারী জনগোষ্ঠী কেবল বর্তমানে প্রচলিত ‘মুসলিম’ পরিভাষার আওতাভুক্ত লোকেরা নয়, বরং কোরআন মজীদে শব্দটির যে ব্যাপক অর্থ ভিত্তিক ব্যবহার হয়েছে তার আওতাভুক্ত লোকেরা অর্থাৎ প্রথম মানুষ হযরত আদম (‘আঃ) থেকে শুরু করে যারাই প্রকৃত অর্থে একমাত্র আল্লাহ্ তা‘আলার কাছে (তা তাদের কাছে তাঁর নাম ‘আল্লাহ্’ না হয়ে অন্য কিছু হলেও) আত্মসমর্পণ করেছে ও করবে তারাই প্রকৃত মুসলিম (তা তারা নিজেদের জন্য ‘মুসলিম’ শব্দ ব্যবহার করুক বা না-ই করুক) এবং তারাই আহলে নাজাত।

বিস্তারিত

ইসলাম এবং বিশ্বজনীন শান্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন

ইসলাম এবং বিশ্বজনীন শান্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বিশ্বব্যাপী শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য একদল উপযুক্ত ও পরিশুদ্ধ ব্যক্তিত্ব প্রয়োজন যারা ন্যায়ের পক্ষে সাক্ষ্য প্রদান করবে ও ন্যায়কে প্রতিষ্ঠা করবে যদিও এটি তাদের স্বার্থের প্রতিকূলে হয়। কুরআন উল্লিখিত বৈশিষ্ট্য সম্বলিত নেতৃত্বকে ‘উলুল আমর’ (সূরা নিসা : ৫৯) এবং এরূপ নেতৃত্বের সহযোগীদের ‘ইবাদুন সালেহ’ (সূরা আম্বিয়া : ১০৫) বলে অভিহিত করেছে। আর যে বিধি-বিধান ও পরিকল্পনা বিশ্বে বাস্তবায়িত হলে বিশ্বব্যাপী শান্তিপূর্ণ ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে বলে উল্লেখ করেছে তা হল ইসলামী শরীয়ত।

বিস্তারিত

আপনার মতামত

মন্তব্য নেই
*
*

আল হাসানাইন (আ.)