আল হাসানাইন (আ.)

ধর্ম এবং মাযহাব

ইসলাম অস্ত্রের জোরে প্রসার লাভ করেনি

ইসলাম অস্ত্রের জোরে প্রসার লাভ করেনি

ইসলাম জিহাদকে ওয়াজিব করেছে কিন্তু জনগণকে অন্যন্য ধর্মের অনুসারীদের প্রতি ইনসাফ, ন্যায় বিচার ও সদয় আচরণের দাওয়াত দিয়েছে এবং সকল ধর্মকে স্বাধীনতা দিয়েছে।

বিস্তারিত

একটি আধ্যাত্মিক আহবান

একটি আধ্যাত্মিক আহবান বিশ্ববাসীর প্রতি শীয়াদের বাণী শুধু এটাই যে, “আল্লাহকে জানুন ।” অর্থাৎ জীবনে যদি সৌভাগ্য ও মুক্তি কামনা করেন, তাহলে আল্লাহকে জানার পথ অবলম্বন করুন । আর এটা প্রকৃতপক্ষে প্রিয়নবী (সা.)-এর হাদীসের অনুরূপ । 

বিস্তারিত

শীয়া মাযহাবের উপদলসমূহ

শীয়া মাযহাবের উপদলসমূহ প্রত্যেক মাযহাবেই কম বেশী এমন কিছু বিষয় রয়েছে, যা ঐ মাযহাবের মূলভিত্তি রচনা করে। ঐ বিষয়গুলোর পরে অন্যসব বিষয় দ্বিতীয় শ্রেণীর পর্যায়ভূক্ত। তাই মাযহাবের মূলনীতির উপর পূর্ণ আস্থা রেখে দ্বিতীয় শ্রেণীর খুঁটি-নাটি বিষয়ের মত পার্থক্যের ভিত্তিতে অন্য যেসব দল গঠিত, সেসব দল ঐ মূল মাযহাবের উপদল হিসেবে পরিচিত। পৃথিবীর সকল ঐশী ধর্মেই (ইহুদী, খৃষ্টান, মাজুসী ও ইসলাম) এ ধরণের দল ও উপদলের উপস্থিতি বিদ্যমান। প্রথম তিন ইমামের {হযরত ইমাম আলী (আ.), হযরত ইমাম হাসান (আ.) ও হযরত ইমাম হুসাইন (আ.)} যুগে শীয়া মাযহাবের কোন উপদলের সৃষ্টি হয়নি।

বিস্তারিত

শিয়া-সূন্নীর মধ্যে পার্থক্য কি?

শিয়া-সূন্নীর মধ্যে পার্থক্য কি? শিয়া মাজহাব মুসলিম মাজহাবগুলো থেকে বিচ্ছিন্ন কোনো মাজহাব নয়। মাসলা-মাসায়েলের মত শাখাগত বিষয় এমনকি কোনো কোনো বিষয়ের ফরজ হওয়া বা ফরজ না হওয়া নিয়ে সুন্নিদের মাজহাবগুলোর মধ্যেই অনেক মতপার্থক্য দেখা যায়, শিয়া মাজহাবও এর ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলোতে শিয়া ও সুন্নিদের মধ্যে অমিলের চেয়ে মিলের সংখ্যাই বেশি।

বিস্তারিত

বাতিল ওহাবী মতবাদ এবং তার স্বরূপ।

বাতিল ওহাবী মতবাদ এবং তার স্বরূপ। সমস্ত ওহাবীদের আক্বীদা-বিশ্বাস খারিজী আক্বীদা বিশ্বাসের অবিকল অনুরূপ ছিল। অর্থাৎ তারা হযরত আলী র্কারামাল্লাহু ওয়াজহাহু রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর মধ্যে সিফ্ফীনের যুদ্ধ চলাকালে হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর মতাদর্শের একেবারে বিরোধী হয়ে গিয়েছিলেন।

বিস্তারিত

শীয়া মাযহাবের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ- ৬ষ্ঠ পর্ব

শীয়া মাযহাবের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ- ৬ষ্ঠ পর্ব জ্ঞান অর্জন ইসলামের একটি ধর্মীয় কর্তব্য । মহানবী (সা.) বলেছেনঃ ‘জ্ঞান অর্জন করা প্রতিটি নর-নারীর জন্য ফরয’ । আর এ ব্যাপারে নির্ভরযোগ্য সূত্রে প্রাপ্ত যেসব হাদীস রয়েছে, তা থেকে বোঝা যায় যে, জ্ঞান বলতে ইসলামের মৌলিক তিনটি বিষয় ও তদসংশ্লিষ্ট জ্ঞানের কথাই বোঝানো হয়েছে

বিস্তারিত

গীবত

গীবত জালিম বা প্রকাশ্য পাপী ছাড়া কারো পেছনে তার বিরুদ্ধে কথা বলা বা তার মনে কষ্ট লাগে এমন কথা বলা হচ্ছ গিবত। প্রত্যেক স্বাধীনচেতা মানুষ পরচর্চা বা পরনিন্দাকে ঘৃণা করেন। এ ধরনের অযৌক্তিক কাজ করার বিরুদ্ধে স্পষ্ট দিক-নির্দেশনা দিয়েছে পবিত্র ধর্ম ইসলাম। পবিত্র কুরআন গিবত করাকে মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়ার মত নিন্দনীয় কাজের সঙ্গে তুলনা করেছে।

বিস্তারিত

শীয়া মাযহাবের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ- ৫ম পর্ব

শীয়া মাযহাবের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ- ৫ম পর্ব মহানবী (সা.)-এর বাণী, আচরণ, অনুমোদন এবং নিরবতা যদি পবিত্র কুরআনের মতই আমাদের জন্যে অনুকরণীয় আদর্শ না হত, তাহলে পবিত্র কুরআনের উপরোল্লিখিত আয়াত গুলোর অর্থ আদৌ সঠিক হত না। সুতরাং যে কেউ সরাসরি মহানবী (সা.)-এর কোন বানী শ্রবণ করবে, অথবা নির্ভরযোগ্য কোন সূত্র থেকে তার কাছে বর্ণিত হবে, তখন তার জন্যে অবশ্য অনুকরণীয় বলে গণ্য হবে।

বিস্তারিত

শীয়া মাযহাবের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ- ৪র্থ পর্ব

শীয়া মাযহাবের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ- ৪র্থ পর্ব প্রত্যেক মাযহাবেই কম বেশী এমন কিছু বিষয় রয়েছে, যা ঐ মাযহাবের মূলভিত্তি রচনা করে। ঐ বিষয়গুলোর পরে অন্যসব বিষয় দ্বিতীয় শ্রেণীর পর্যায়ভূক্ত। তাই মাযহাবের মূলনীতির উপর পূর্ণ আস্থা রেখে দ্বিতীয় শ্রেণীর খুঁটি-নাটি বিষয়ের মত পার্থক্যের ভিত্তিতে অন্য যেসব দল গঠিত, সেসব দল ঐ মূল মাযহাবের উপদল হিসেবে পরিচিত। পৃথিবীর সকল ঐশী ধর্মেই (ইহুদী, খৃষ্টান, মাজুসী ও ইসলাম) এ ধরণের দল ও উপদলের উপস্থিতি বিদ্যমান। 

বিস্তারিত

শীয়া মাযহাবের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ- ৩য় পর্ব

শীয়া মাযহাবের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ- ৩য় পর্ব পূর্ববর্তী তিন শতাব্দী যাবৎ শীয়া সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উন্নতি প্রাকৃতিক গতিতে অব্যাহত ছিল। অবশেষে হিজরী চতুর্দশ শতাব্দীর শেষভাগে এসে শীয়া মাযহাব আনুষ্ঠানিক ভাবে গণপরিচিতি লাভ করে। ইয়ামান ও ইরাকের সংখ্যা গরিষ্ঠ জনসাধারণ শীয়া মাযহাবের অনুসারী। এ ছাড়াও মুসলিম বিশ্বের  সর্বত্রই কমবেশী শীয়াদের অস্তিত্ব পরিলক্ষিত হয়। বর্তমানে সমগ্র বিশ্বে শীয়া জনসংখ্যা ১০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে।

বিস্তারিত

শীয়া মাযহাবের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ- ২য় পর্ব

শীয়া মাযহাবের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ- ২য় পর্ব হিজরী ৩৫ সনের শেষ ভাগে হজরত আলী (আ.)-এর খেলাফত কাল শুরু হয়। প্রায় ৪ বছর ৫ মাস পর্যন্ত এই খেলাফত স্থায়ী ছিল। হযরত আলী (আ.) খেলাফত পরিচালনার ব্যাপারে হযরত রাসূল (সা.)-এর নীতির অনুসরণ করেন।১  তার পূর্ববতী খলিফাদের যুগে যেসব (ইসলামী নীতি মালার) পরিবর্তন ঘটানো হয়েছিল, তিনি সেগুলোকে পুনরায় পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে আসেন। 

বিস্তারিত

শীয়া মাযহাবের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ- ১ম পর্ব

শীয়া মাযহাবের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ- ১ম পর্ব ‘শীয়া’ শব্দের আভিধানিক অর্থ হল অনুসারী । যারা মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর পরিবারকে তার প্রকৃত ও একমাত্র উত্তরাধিকারী হিসেবে গণ্য করেন, তারাই ‘শীয়া’ নামে পরিচিত। তারা ইসলামী জ্ঞান বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে পবিত্র আহলে বাইত (আ.)-এর আদর্শের অনুসারী।

বিস্তারিত

ইমামীয়া জাফরী মাজহাব-শেষ পর্ব

ইমামীয়া জাফরী মাজহাব-শেষ পর্ব জাফরী শিয়ারা আল্লাহর রাসুল (সা.) ও তাঁর পবিত্র আহলে বাইতের ইমামগণের শাফায়াত প্রার্থনা করে ও তাঁদের উসিলা দিয়ে মহান আল্লাহর নিকট তাদের গুনাহের জন্য ক্ষমা,রোগমুক্তি এবং মনের ইচ্ছা পূরণের জন্য দোয়া চায়। কারণ কোরআন শুধু এ জন্য অনুমতিই দেয়নি বরং সকলকে এরূপ করার জন্য আহবান জানিয়ে বলেছে

বিস্তারিত

ইমামীয়া জাফরী মাজহাব-পর্ব-৩

ইমামীয়া জাফরী মাজহাব-পর্ব-৩ জাফরী শিয়ারা নামাজ পড়েন,রোজা রাখেন,তাদের সম্পদের জাকাত ও খোমস দেন,মক্কায় আল্লাহর ঘরে গিয়ে হজ করেন,সারা জীবনে একবার হজের মানাসিক (আচারসমূহ) পালন করা ওয়াজিব এবং একাধিকবার পালন মুস্তাহাব মনে করেন। তারা সৎকাজের আদেশ করেন,অসৎকাজে নিষেধ করেন,আল্লাহর ও তাঁর রাসুলের (সা.) বন্ধুদের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও তাঁদের উভয়ের শত্রুদের সঙ্গে শত্রুতা পোষণ করেন

বিস্তারিত

ইমামীয়া জাফরী মাজহাব-পর্ব-২

ইমামীয়া জাফরী মাজহাব-পর্ব-২ আল্লাহর রাসুল (সা.) তাঁর মৃত্যুর সময় নিকটবর্তী হলে মহান আল্লাহর নির্দেশে হযরত আলী ইবনে আবি তালিবকে (আ.) তাঁর স্থলাভিষিক্ত প্রতিনিধি ও মুসলমানদের উপর ইমাম বা নেতা মনোনীত করে গিয়েছেন।

বিস্তারিত

ইমামীয়া জাফরী মাজহাব-পর্ব-১

ইমামীয়া জাফরী মাজহাব-পর্ব-১ বর্তমানে ইসলামী উম্মাহ তার সত্তা,বিশ্বাস ও ব্যক্তিত্বের ক্ষেত্রে সবচেয়ে নগ্ন ও কুৎসিত হামলার শিকার। তাদের শান্তিপূর্ণ মাজহাবী সহাবস্থান ও পরমতসহিষ্ণুতার মধ্যে ফাটল সৃষ্টির মাধ্যমে বিশৃঙ্খলার জন্ম দেয়া হচ্ছে। ফলে তারা ঐক্যের ক্ষেত্রে সবচেয়ে কঠিন আক্রমণের সম্মুখীন হয়েছে। এ সকল আক্রমণ দ্রুত তার পরিণতি ও মন্দ ফল বয়ে আনছে। এ মুহুর্তে তাদের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত কি এটি হওয়া উচিত নয় যে,তারা সংঘবদ্ধভাবে পরস্পর কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াবে ও তাদের মধ্যকার সম্পর্ককে মজবুত ও দৃঢ় করবে।  

বিস্তারিত

মহানবী (সা.) এর আহলে বাইতের (আ.) নিকট তাশাইয়্যূর অর্থ

মহানবী (সা.) এর আহলে বাইতের (আ.) নিকট তাশাইয়্যূর অর্থ ইমামগণ (আ.) পুনঃপুনঃ বলেছেন- “হে খিসামা! আমাদের পক্ষ থেকে আমাদের অনুসারীদের কাছে একথা পৌঁছে দাও যে আমাদের প্রতি ভক্তি তাদেরকে খোদার মুখাপেক্ষীতা থেকে মুক্ত করে না। তারা যেন আমল করে এবং কেউ আমাদের বেলায়াতের নিকটবর্তী হতে পারে না তাকওয়া ব্যতীত।”

বিস্তারিত

আল মুরাজায়াত (পত্রালাপ)

আল মুরাজায়াত (পত্রালাপ) জ্ঞান লাভের উদ্দেশ্য হলো অন্ধকার ও অজ্ঞতা দূর করা। অনৈক্য ও বিভেদ মুছে ফেলা। আর সত্যের চূড়ায় আরোহণ করা। যুগে যুগে যেসব সাধক মনীষী এ অনুভূতি নিয়ে কাজ করেছেন,পরস্পর বন্ধুত্ব করেছেন,কথা বলেছেন আল্লামাহ্ শারাফুদ্দীন (রহ.) ও মিশরের আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান শেখ সালিম আল বিশরী (রহ.) তাঁদেরই অন্যতম পুরোধা। মুসলমানদের মাঝের বিতর্কিত বিষয়গুলো পরিহার করা ও সর্বজনস্বীকৃত বিষয়গুলোর দিকে সবারই ফিরে আসা এই ছিল তাঁদের পত্রালাপের মূল প্রতিপাদ্য।

বিস্তারিত

ইসলামে নেতার গুরুত্ব

ইসলামে নেতার গুরুত্ব বিশ্বনবী (সা.) তার স্বীয় উত্তরাধিকারের বিষয়েও সম্পূর্ণ সজাগ ছিলেন। তিনি স্বীয় উত্তরাধিকারী নির্ধারণের ব্যাপারে কখনোই পিছপা হননি। যখনই তিনি প্রয়োজন বোধে একদিনের জন্যও মদীনার বাইরে যেতেন, তখনই তিনি কাউকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করে যেতেন

বিস্তারিত

রাজনীতি কি ধর্ম থেকে আলাদা

 রাজনীতি কি ধর্ম থেকে আলাদা রাজনীতি হল কোন জিনিসকে যা দ্বারা সমাধান ও সংস্কার করা যায় তা দ্বারা সুরাহা ও সংস্কার করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ

বিস্তারিত

আপনার মতামত

মন্তব্য নেই
*
*

আল হাসানাইন (আ.)