ইবাদত-বন্দেগী
রজব মাসের আমলসমূহ
- প্রকাশিত হয়েছে
বিশেষ গুরুত্ববহ পবিত্র মাস ‘রজব’। এ মাসের কথা বহু রেওয়ায়েত বর্ণিত হয়েছে। মহানবী (স.) বলেছেন, “রজব মাস হচ্ছে মহান আল্লাহর কাছে অত্যন্ত গুরুত্ববহ একটি মাস, ফজিলতের দিক থেকে কোনো মাস এর সমপর্যায়ের নয়। এ মাসে কাফেরদের সঙ্গেও যুদ্ধ করা হারাম। রজব মাস আল্লাহর মাস, শাবান মাস আমার মাস এবং রমজান মাস হচ্ছে আমার উম্মতের মাস। যে ব্যক্তি রজব মাসের একটি দিন রোজা রাখে, মহান আল্লাহ্ তার উপর সন্তুষ্ট হন, তার প্রতি মহান আল্লাহর ক্রোধ দূর হয়ে যায় এবং জাহান্নামের একটি দরজা তার জন্য বন্ধ হয়ে যায়।”
ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে পবিত্র রজব মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত
- প্রকাশিত হয়েছে
ব মাস চন্দ্র মাসের সপ্তম মাস। আমাদের জানা উচিত যে, রজব, শাবান ও রমজান মাস অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ মাস এবং এ মাসগুলির ফজিলত সম্পর্কে অনেক বর্ণনা পাওয়া যায়। স্বয়ং রাসুল (সাঃ) থেকে রেওয়াত বর্ণিত যে, “রজব মাস হলো আল্লাহর বড় মাহত্বপূর্ণ মাস এবং অপরাপর কোন মাসই এ মাসের ফজিলত স্পর্শ করতে পারে না। কাফেরদের সাথে যুদ্ধ এ মাসে হারাম।”তিনি আরো বলেন, “রজব মাস আল্লাহর, শাবান মাস আমার এবং রমজান মাস হলো আমার উম্মতের মাস।
নাহজুল বালাগায় ‘ইবাদত ও আধ্যাত্মিক পরিক্রমণ’
- প্রকাশিত হয়েছে
এক-অদ্বিতীয় মহান আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগী এবং অন্য সকল সত্তার উপাসনা বর্জন মহান নবী-রাসূলদের যাবতীয় শিক্ষার মৌলিক ভিত্তিস্বরূপ। কোন নবীরই শিক্ষা ইবাদতবর্জিত ছিল না।
রজব মাসের তাৎপর্য ও আমলসমূহ
- প্রকাশিত হয়েছে
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, বারো মাসে বছর। তার মধ্যে চারটি মাস সম্মানিত। তিনটি ধারাবাহিক : যিলকদ, যিলহজ্ব, মহররম আর চতুর্থটি হল রজব, যা জুমাদাল উখরা ও শাবান মাসের মধ্যবর্তী মাস।’
রজব মাসের গুরুত্ব
- প্রকাশিত হয়েছে
রসূল (স.) বলেছেন, মাহে রজব আল্লাহর মাস। মাহে শাবান আমার মাস। আর মাহে রমজান আমার ও আমার উম্মতের মাস। একদা মহানবী (স.) কোন এক কবরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তিনি মনে করলেন কবরবাসীকে আযাব দেয়া হচ্ছে। মহানবী (স.) বললেন, সে যদি রজব মাসে একটি রোযাও রাখতো, তাহলে তাকে এত কষ্ট দেয়া হতো না।
বিভিন্ন ফিকাহর দৃষ্টিতে খুমস
- প্রকাশিত হয়েছে
“তোমরা জেনে রাখ,নিঃসন্দেহে তোমরা যখন কিছু গণীমতের অধিকারী হবে তখন তার এক-পঞ্চমাংশ আল্লাহ্,তাঁর রাসূল,(রাসূলের) ঘনিষ্ঠ জন,ইয়াতীম,মিসকিন ও পথিকের জন্য।”
রোজার ফিতরা: একটি গবেষণা ধর্মী আলোচনা
- প্রকাশিত হয়েছে
ফিতরা আদায়ে ধর্মীয় দায়িত্ব পালনের সাথে সাথে মানবিকতার একটা বিরাট ভূমিকা রয়েছে। তাই এ বিষয়ে উপলদ্ধিটা ব্যপক ও বিস্তৃত হওয়া দরকার
বিভিন্ন ফিকাহর দৃষ্টিতে যাকাত
- প্রকাশিত হয়েছে
যাকাত দু ধরনের : সম্পদের যাকাত ও শরীরের যাকাত। এ ব্যাপারে পাঁচ মাজহাবের মত অভিন্ন। যাকাতের নিয়তে প্রদত্ত হয় নি এমন দানকৃত সম্পদকে পরে যাকাত হিসেবে গণ্য করলে যাকাত আদায় হবে না।
মহিমান্বিত রজনী: লাইলাতুল ক্বাদর
- প্রকাশিত হয়েছে
শবে কদরের এত অধিক গুরুত্ব এই কারণে যে,এ রাতে যে কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে তা নিয়ে এসেছে এক মহা আদর্শ। যে আদর্শ হচ্ছে এক সার্বিক মূল্যবোধ ও গুণগত মানের ভিত্তি এবং এক ব্যাপকতর নৈতিক ও সামাজিক আচরণের বিধান। এই কুরআনই মানবাত্মা এবং সমগ্র বিশ্বের জন্য শান্তির উৎস। শবে কদরের আরো একটি তাৎপর্যময় দিক হচ্ছে এই রাতে ফেরেশতারা,বিশেষত জিবরাঈল (আ.) প্রথম অবতীর্ণ হন কুরআন নিয়ে। সে রাতে তাঁরা আসমান ও জমীনের মধ্যবর্তী সকল স্থানকে উৎসবমুখর করে তোলেন।
শবে কদরের তাৎপর্য ও আমল
- প্রকাশিত হয়েছে
রমযানের রাতগুলোর মধ্যকার একটি রাতে ইবাদাত-বন্দেগি করা অন্য সময়কার হাজার মাসের রাতের ইবাদাতের সমান। কারণ ঐ রাতে দুনিয়াবী এবং দ্বীনী ফায়দা যেমন অপরিসীম তেমনি এতে রয়েছে ব্যাপক বরকত ও কল্যাণ। ঐ রাতটিকে বলা হয় শবেকদর।
মাহে রমজান আসন্ন : সালাতে তারাবী না তাহাজ্জুদ ?
- প্রকাশিত হয়েছে
-
- লেখক:
- এডভোকেট আব্দুল মালিক
মহাপূণ্যময় মাস পবিত্র রমজানের পরিপূর্ণ সওয়াব প্রাপ্তির আশায় আমরা দিনের বেলা ক্ষুধা তৃষ্ণাকে তুচ্ছজ্ঞান করে সারাদিন উপবাস ও অনেক হালাল কাজ থেকে বিরত থাকি এবং রাতের বেলা অনেক কষ্ট করে ৮/১২/২০ রাকাত তারাবী নামায আদায় করি। আর এত কষ্টের এই তারাবী নামাযের ভিত্তি ও পদ্বতি যদি সঠিক না হয়, তাহলে এর চেয়ে দুঃখের আর কী হতে পারে
শবে বরাত
- প্রকাশিত হয়েছে
হযরত আলী (আঃ) নবী করীম (সাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, যখন শা'বানের পনেরো তারিখ হতো তখন তিনি বলতেন, তোমরা এ রাতে এবাদতে জাগ্রত থাকো এবং দিনের বেলায় রোজা রাখো। কেননা এ রাতে সূর্যাস্তের সাথে সাথে আল্লাহ দুনিয়ার নিকটবর্তী আসমানে নেমে এসে বলেন, âআছো কি কোন প্রার্থনাকারী-আমি তার প্রার্থনা কবুল করবো। আছো কি কোন রিযিক অন্বেষণকারী-আমি তাকে রিযিক দান করবো। আছো কি কোন রুগ্ন ব্যক্তি-আমি তাকে সুস্থতা দান করবো। এ ধরনের আরো কেউ আছো কি-আমি তার প্রয়োজন মিটিয়ে দেবো। এমন করে সুবহে সাদিক পর্যন্ত আল্লাহ প্রত্যেক গোত্রের নাম ধরে ধরে ডাকতে থাকেন
সমাজবিমুখ ইবাদত আর ইবাদতবিমুখ সমাজমুখিতা
- প্রকাশিত হয়েছে
(ভারসাম্যপূর্ণ নয় এমন আদর্শের অনুসারীদের কারণে) কখনো কখনো কোন কোন মূল্যবোধ অন্যান্য মূল্যবোধকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়।
ঈদুল আজহা
- প্রকাশিত হয়েছে
ঈদুল আজহা ইসলাম ধর্মাবলম্বিদের সবচেয়ে বড় দু'টো ধর্মীয় উৎসবের একটি। বাংলাদেশে এই উৎসবটি কুরবানির ঈদ এবং বকরা ঈদ নামেও পরিচিত
হজ্ব
- প্রকাশিত হয়েছে
অশেষ রহমত ও বরকতের বার্তা নিয়ে পবিত্র হজ্ব সমাগত। পূণ্যভূমি মক্কা তথা খোদা-প্রেমিকদের বার্ষিক সম্মেলন-স্থল অপরূপ ও সুন্দরতম স্বর্গীয় সাজে সজ্জিত হয়েছে। পূণ্যভূমি মক্কা ও মদীনা সব-সময়ই খোদা-প্রেমিকদের প্রাণের ছবি, স্বপ্নের দেশ এবং মনের গভীরে সযত্নে লালিত চূড়ান্ত লক্ষ্যের কেন্দ্রবিন্দু।
স্বাগতম হে মাহে রমযান
- প্রকাশিত হয়েছে
রমযান মাস, যাতে কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে, যা মানবজাতির জন্য দিশারী এবং এতে পথনির্দেশ ও সত্য ও মিথ্যার পার্থক্যকারী সুস্পষ্ট নিদর্শন আছে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে কেউ এ মাসে (স্বস্থানে) উপস্থিত থাকবে সে যেন রোযা রাখে
রজব মাসের তাৎপর্য ও আমলসমূহ
- প্রকাশিত হয়েছে
যে ব্যক্তি রজব মাসে একটি রোজা রাখে সে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করে আর তার থেকে মহান আল্লাহর ক্রোধ দূরীভূত হয় এবং জাহান্নামের দরজা তার জন্য বন্ধ হয়ে যায়।”
যাকাত
- প্রকাশিত হয়েছে
যাকাত- ইসলামের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিধান। কুরআন শরীফে আল্লাহ তা'আলা যখনই নামায আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন, পাশাপাশি অধিকাংশ ক্ষেত্রে যাকাত আদায়েরও নির্দেশ দিয়েছেন। বলেছেন,নামায কায়েম করো এবং যাকাত আদায় করো
নামাজ : আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের উপায়-১ম কিস্তি
- প্রকাশিত হয়েছে
নামায একটি গঠনমূলক ইবাদাত। আল্লাহর সামনে ঐকান্তিক নিষ্ঠার সাথে কায়মনোবাক্যে নিজের সচেতন উপস্থিতি ঘোষণা করার অন্যতম একটি প্রধান ইবাদাত হলো নামায। মানুষের জীবনদৃষ্টি ও সাংস্কৃতিক উন্নতির ক্ষেত্রে নামাযের একটি মৌলিক ভূমিকা রয়েছে।
নামাজ : আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের উপায়-২য় কিস্তি
- প্রকাশিত হয়েছে
নামায হচ্ছে সমুদ্রের অন্তরের মতো বিশাল একটি শহর যেখানে সবসময় এমন এক বাসন্তী আবহাওয়া বিরাজ করে-যে বসন্ত ঐশী প্রেমের মূর্ছনায় সবসময় সতেজ থাকে। নামাযের শহরের এই পরিবেশ খোদার জিকির-আজকারে পূর্ণ,সেজন্যে তার আধ্যাত্মিক শীতল সমীর আত্মাকে সজীব করে তোলে।