নৈতিকতা ও মূল্যবোধ
অভাবীদের প্রাপ্য অংশ
- প্রকাশিত হয়েছে
পবিত্র ইসলাম ধর্ম ধন-সম্পদ পুঞ্জীভূত করাকে প্রতিরোধ ও দারিদ্র্য বিমোচন করার জন্য দান-সদকা এবং যাকাতের বিধান প্রবর্তন করেছে। আর এ বিধানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে,নিজেদের ধন-সম্পদের একটি নির্দিষ্ট অংশ দরিদ্র ও অভাবীদের মধ্যে দান করার ব্যাপারে ধনবান ব্যক্তিবর্গ যেন বাধ্য থাকে।
মানুষের স্বরূপ
- প্রকাশিত হয়েছে
মানুষের জীবন্ত ও বাস্তব এমন কিছু চিত্র অংকিত হয়েছে যা বিষয়বস্তুর দিক থেকে অলৌকিক এবং চিরন্তনী। কেননা এ চিত্রগুলো স্থান ও কালের আবর্তনে শতাব্দীর পর শতাব্দী চক্রাকারে আবর্তিত হচ্ছে এবং তা সর্বদাই জীবন্ত-প্রাণবন্ত ও মূর্তমান। এখানে আমরা সংক্ষিপ্ত ভাবে কিছু উদাহরণ পেশ করছি ।
সমকালীন বাস্তবতা ও মানবাধিকার
- প্রকাশিত হয়েছে
আজ বিশ্বে মানবাধিকার বলে যা কিছু করা হচ্ছে বা বলা হচ্ছে আসলে তা প্রকৃত ও পূর্ণাঙ্গ মানবাধিকার নয়;বরং তা হচ্ছে খণ্ডিত ও অপূর্ণাঙ্গ মানবাধিকার। প্রকৃত মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও সংরক্ষণ কেবল তখনই সম্ভব হবে যখন তা ‘মানুষ’সংক্রান্ত প্রকৃত বাস্তব দৃষ্টিভঙ্গি ও দর্শন থেকে উৎসারিত হবে।
উপহাস ও বিদ্রূপ করা
- প্রকাশিত হয়েছে
মানুষকে উপহাস ও বিদ্রূপ করা খুবই কুৎসিত কাজ এবং বড় গুনাহ। এর মাধ্যমে মুমিন ব্যক্তিকে অসম্মান করা হয়ে থাকে অথচ পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন : ‘সম্মান কেবল আল্লাহ,তাঁর রাসূল ও মুমিনদের জন্য।’ আর তাই মুমিনদের প্রতি যে কোন অসম্মানজনক কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।
সত্যবাদিতা
- প্রকাশিত হয়েছে
মানব সমাজের সদস্যদের মধ্যে বিদ্যমান পারস্পরিক সম্পর্কই হচ্ছে মানব সমাজের ভিত্তি। এ সম্পর্ক পরস্পর কথা বলার মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠিত হয়। আর সত্য কথা মানুষের কাছে প্রকৃত তথ্য প্রকাশ করে থাকে। সত্যবাদিতা মুমিনের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য।
গীবত
- প্রকাশিত হয়েছে
জিহ্বার দ্বারা যে সব কঠিন পাপ কাজ সংঘটিত হয় তার অন্যতম হল গীবত। গীবত করার ফলে মানুষের অন্তর অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায় এবং ধীরে ধীরে তা আল্লাহর ক্ষমা থেকে মানুষকে বঞ্চিত করার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
নীতি-নৈতিকতা সম্পর্কিত কতিপয় বিষয়
- প্রকাশিত হয়েছে
-
- সূত্র:
- প্রত্যাশা, ২য় বর্ষ, ১ম, সংখ্যা
মানুষ নিজের দোষ-ত্রুটি সম্বন্ধে সব সময় সচেতন থাকে না। তাই যখন সামান্য সাধনা করে বড় বড় পাপকর্ম ছেড়ে দেয় তখন মনে করতে থাকে যে,সে চরিত্রবান হয়ে গেছে। এখন সাধনার প্রয়োজন নেই। কিন্তু চরিত্রবান হওয়া আসলেই কঠিন কাজ। আর একজন প্রকৃত মুমিন মানেই সত্যিকার চরিত্রবান।
অন্যায়-অবিচার, ঐশীরীতি ও মানব প্রকৃতির পরিপন্থী
- প্রকাশিত হয়েছে
ন্যায়ের প্রতি ভালবাসা ও অন্যায়ের প্রতি ঘৃণা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। জুলুম ও অবিচার সকল অবস্থায় নিন্দনীয়- তা ব্যক্তি পর্যায়েই হোক বা সামাজিক, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে হোক বা জন্মগত স্বাধীনতার কোন বিষয়ে। তাই জুলুমের উচ্ছেদ মানুষের নিরন্তন এক কামনা।
রমযান ও প্রতিবেশীর অধিকার
- প্রকাশিত হয়েছে
রমযান পৃথিবীর বুকে ইসলামী হুকুমাতের চিত্র নিয়ে আসে। ইসলামী শাসন ব্যবস্থায় প্রতিটি মুসলমানকেই কোনো কোনো বিষয়ে দায়িত্ববান হতে হয়। বিশেষ করে আপনার প্রতিবেশী যারা রয়েছেন তাদের ব্যাপারে আপনার কিন্তু বড়ো ধরনের দায়িত্ব রয়েছে। এই দায়িত্ব পালন করা আজকাল সামাজিক রূপ নিলেও এর ধর্মীয় গুরুত্ব অবশ্যই উপলব্ধি করতে হবে। প্রতিবেশীর অধিকার এবং তাঁদের ব্যাপারে আপনার আমার করণীয় সম্পর্কে আজকের আসরে আমরা কথা বলার চেষ্টা করবো। কারণ এইসব দায়িত্ব পালন না করার কারণে রমযানের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ব্যাহত না হয়ে পড়ে।
সবর বা ধৈর্য
- প্রকাশিত হয়েছে
বান্দার প্রতি খোদার আমন্ত্রণ বা জিয়াফতের এই মাসে রহমত বরকত এবং মাগফেরাতের সদর দরজা উন্মোচিত করে দেয়া হয়, এ মাসে দোজখের দ্বার রুদ্ধ হয়ে যায় আর বেহেশতের সিংহ দ্বার খুলে রাখা হয়। আমাদের মত পাপী গুনাহগার বান্দাদের প্রার্থনা আল্লাহর দরবারে কবুল করার সুযোগ সৃষ্টি করেন এই মাস। আমাদের আত্মাকে শক্তিশালী করার মহা উপলক্ষ তৈরি হয় এ মাসে। রিপুর উপর আত্মাকে জয়ী করার অনবদ্য সুযোগ সৃষ্টি করে এই মাস। রিপুর উপর আত্মাকে শক্তিশালী করতে হলে যে সব গুণ অর্জনের প্রয়োজন তার একটি হলো সবর বা ধৈর্য
মহানবীর (সা.) আহলে বাইতের শিক্ষা (৪র্থ কিস্তি) : জুলুম অত্যাচার না করা
- প্রকাশিত হয়েছে
পবিত্র ইমামগণ (আ.) ও তাদের অনুসারীদেরকে কঠোর ভাষায় জুলুম থেকে বিরত থাকতে বলতেন। ইমামদের (আ.) এ আচরণ শুধু তাদের শীয়াদের সাথে ছিল না বরং যারা তাদের উপর জুলুম করেছিল,রূঢ়তা দেখিয়েছিল তাদের সাথেও তারা (আ.) একই রূপ আচরণ করতেন।
মুসলমানের উপর মুসলমানের অধিকার
- প্রকাশিত হয়েছে
সকল প্রকার শ্রেণী বৈষম্য,মর্যাদা ও স্তরের পার্থক্য সত্ত্বেও পবিত্র ধর্ম ইসলামের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও সুন্দরতম আহবান হলো মুসলমানদের পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ব রক্ষা। ফলে আজকের এবং পূর্বেকার সময়ের মুসলমানদের সবচেয়ে ঘৃণিত ব্যাপার ছিল দ্বীনী ভ্রাতৃত্বের দাবীর প্রতি দৃষ্টি না দেয়া এবং এ ব্যাপারে তাদের উদাসীনতা। কারণ এ ভ্রাতৃত্বের ন্যূনতম দাবী হলো ইমাম জাফর সাদিকের (আ.) সেই বক্তব্য যে প্রত্যেক মুসলমানরাই যা নিজের জন্য পছন্দ করবে সে তার ভাইয়ের জন্যও যেন তা পছন্দ করে। আর যা নিজের জন্য পছন্দ করে না তা যেন তার অন্যান্য মুসলমান ভাইয়ের জন্যও পছন্দ না করে।
ইতিহাস ও মানবিক ক্রমবিকাশ
- প্রকাশিত হয়েছে
ইসলামী দর্শনে একটি চমৎকার আলোচ্য বিষয় আছে যে সম্পর্কে কুরআন মজীদের দৃষ্টিকোণ থেকে যুক্তি উপস্থাপন করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। বিষয়টি হচ্ছে ‘সম্পূর্ণ’ ও পূর্ণ’-এর মধ্যকার পার্থক্য। আমরা ‘সম্পূর্ণ’ শব্দটিকে ‘অসম্পূর্ণ’-এর বিপরীতে ব্যবহার করে থাকি,আবার ‘পূর্ণ’ শব্দটিকেও ‘অসম্পূর্ণ’-এর বিপরীতে ব্যবহার করে থাকি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে,‘সম্পূর্ণ’ মানে কি ‘পূর্ণ’? কুরআন মজীদের একটি আয়াতে এ দু’টি পরিভাষা পাশাপাশি ব্যবহৃত হয়েছে যা ইমামত ও বেলায়াতের প্রশ্নের সাথে সংশ্লিষ্
মধ্যপন্থা অবলম্বন
- প্রকাশিত হয়েছে
যেহেতু সঠিক ইসলামী জীবনের ভিত্তি মধ্যপন্থা অবলম্বন এবং ভারসাম্যের ভিত্তির ওপর স্থাপিত হয়েছে,এ জন্যই ইসলাম ধর্মের পবিত্র বিধি-বিধানে কোন অবস্থাতেই ভারসাম্য ও মধ্যপন্থা বিস্মৃত হয়নি,এমনকি ব্যক্তিগত দৈনন্দিন ব্যয়ের ব্যাপারেও ইসলাম ধর্ম সবাইকে সতর্ক ও সাবধান করেছে :
মানবাত্মার ব্যাধি (হিংসা)
- প্রকাশিত হয়েছে
হিংসা মানুষের মধ্যে যুক্তির বিরোধিতার প্রবণতা সৃষ্টি করে অর্থাৎ মানুষের মধ্যে এমন একটি অবস্থার সৃষ্টি হয় যে,মানুষ নিজের সাফল্যের চিন্তাকেও ভুলে যায় এবং কেবল অন্যের অকল্যাণের চিন্তায় মগ্ন থাকে। তার আকাঙ্ক্ষা নিজের সৌভাগ্য নয়। যদিও নিজের সৌভাগ্যের চিন্তা করে,তবে তার দ্বিগুণ অন্যের অকল্যাণের চিন্তা করে। এটা কোন যুক্তিতেই বোধগম্য নয়। কোন প্রাণীর মধ্যেই এ বৈশিষ্ট্য নেই যে,অন্য প্রাণীর দুর্ভাগ্যের আকাঙ্ক্ষা করে। অন্য প্রাণী নিজের পেটের চিন্তায়ই ক্ষান্ত হয়,কিন্তু মানুষের মধ্যে এ অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য লক্ষণীয়।
ইনসানে কামেল বা পূর্ণ মানব চেনার উপায়
- প্রকাশিত হয়েছে
আমরা পূর্ণমুসলমান হতে চাই তাহলে অবশ্যই আমাদের জানতে হবে পূর্ণ মানব কিরূপ। যেহেতু ইসলাম চায়পূর্ণ মানব তৈরি করতে এবং ইসলামী শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পূর্ণ মানব গড়ে তুলতে,সুতরাং আদর্শ মানুষের নমুনা আমাদের সামনে থাকতে হবে। এখানে আমরা পূর্ণ মানবের প্রকৃতি,তার আত্মিক ও আধ্যাত্মিক বৈশিষ্ট্য উপস্থাপন করছি। সে কেমন প্রকৃতির,তার আধ্যাত্মিক প্রকৃতি কেমন,একজন পরিপূর্ণ মানুষের চিহ্নিত বৈশিষ্ট্যসমূহ কি? যদি আমরা তা জানতে পারি তবেই নিজেকে ও সমাজকে সেভাবে গড়ে তুলতে পারব। যদি আমরা পরিপূর্ণ মানুষকে চিনতে না পারি তাহলে কোনক্রমেই পূর্ণ মুসলমান হতে পারব না। অন্যভাবে বলা যায় যে,আমরা ইসলামের দৃষ্টিতে একজন অপূর্ণ মানুষে পরিণত হব।
নৈতিকতা ও কতিপয় মূল্যবান উপদেশ -শেষ পর্ব
- প্রকাশিত হয়েছে
-
- লেখক:
- যায়নুল আবেদীন কোরবানী লাহিযী । অনুবাদ : মো. আশিফুর রহমান
আমাদের প্রত্যেককে আমরা যা করি তার হিসাব দিতে হবে ভাল বা মন্দের। তুমি অবশ্যই একজনের সঙ্গ লাভ করবে যাকে তোমার সাথে কবরে রাখা হবে। তুমি মৃত,কিন্তু সে জীবিত। সে যদি সহৃদয় হয় তাহলে তোমাকে আদর করবে,যদি সে হতভাগ্য হয় সে তোমার বিদ্রোহী হবে। তারপর তোমরা কিয়ামতের দিন একত্রে উপস্থিত হবে। তোমাকে তার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। তাই সঠিক ব্যক্তিকে বেছে নাও। যদি সে সৎকর্মপরায়ণ হয় তুমি তাকে সঙ্গ দেবে এবং যদি সে অসৎকর্মপরায়ণ হয় তুমি তাকে ভয় করবে। আর সে হল তোমারই কর্ম।
নৈতিকতা ও কতিপয় মূল্যবান উপদেশ -প্রথম পর্ব
- প্রকাশিত হয়েছে
-
- লেখক:
- যায়নুল আবেদীন কোরবানী লাহিযী।অনুবাদ : মো. আশিফুর রহমান
মানুষের ব্যক্তিত্ব গঠনকারী অন্যতম কারণ হল তার পারিবারিক পরিবেশ এবং পিতামাতার নির্দেশনা বা তত্ত্বাবধান। পিতামাতার তত্ত্বাবধান শিশুর জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ,বিশেষ করে তার আচার-আচরণ ও ব্যবহার গঠনের ক্ষেত্রে। শিশু অবস্থায় মানসিকতা থাকে কোমল-নমনীয়,তাই যে বিশ্বাসের সাথে তারা পরিচিত হয় তা স্থায়িত্ব লাভ করে।