তৃতীয় অধ্যায়
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম এর তাফসীর
৩৭.বিসমিল্লাহ এর অর্থ : আলী বিন হোসাইন (আ.) থেকে বর্ণিত,তিনি বলেছেন আমার পিতা তার ভাইয়ের নিকট থেকে,তিনি আমিরুল মু‘ মেনিন (আ.) থেকে বর্ণনা করেছেন: এক ব্যক্তি বলল হে আমিরুল মুমিনীন! বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম সম্পর্কে আমাকে অবগত করুন! এর অর্থ কি ? তিনি বললেন নিশ্চয় যখন আল্লাহর নাম( الله ) মুখে উচ্চারন করলে,আল্লাহর নামসমূহের মধ্যে সবচেয়ে মহান এবং মহৎ নাম বললে! এবং এটা এমন একটা নাম যা দ্বারা আল্লাহ ব্যতিত অন্য কাউকে নামকরন করা উচিৎ নয় কোন সৃষ্টিকেই এই নামে ডাকা হয় না।৩৫
৩৮.বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিমের তাফসীর : হযরত ইমাম হাসান আসকারী (আ.)‘ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’এর তাফসীরে বলেছেন- তিনিই আল্লাহ যার দিকে সমস্ত মাখলুকাত বিভিন্ন সমস্যা ও কঠিন বিপদ,হতাশা এবং একাকীত্বের মূহুর্তে ধাবিত হয়। তার প্রার্থনায় সুর তুলে বলে“ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম”অর্থাৎ আমার সমস্ত বিষয়াদী এবং কাজকর্মে একমাত্র আল্লাহর নিকট সাহায্য ও সহযোগীতা কামনা করছি যিনি ইবাদত এবং প্রার্থনার উপযুক্ত। আল্লাহ অবশ্যই তার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিবেন এবং তাকে উদ্ধার করবেন। পবিত্র সত্তাকে যখন (সত্যিকার অর্থে) ডাকা হয় তখন তিনি সারা দেন।৩৬
৩৯.আল্লাহর নিদর্শন : আলী বিন হাসান বিন ফাজ্জাল তার পিতার কাছ থেকে বর্ণনা করেছেন-ইমাম রেজার নিকট‘ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’এর তাফসীর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন: বান্দা যখন বলে‘ বিসমিল্লাহ’তার অর্থ হল যে,আল্লাহ তা’ আলার গুনবাচক নামসমুহের মধ্যে যে নাম উচ্চারণ করা ইবাদত তা উচ্চারণ করেছি। আমার পিতা বলল-জিজ্ঞেস করলাম সিমাহ কি?
উওর দিলেন; অর্থাৎ নিদর্শন,চিহ্ন ও প্রতীক।৩৭
৪০.হযরত আলী(আ.)এর ভাষায় “ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম ” এর তাফসীর : আব্দুল্লাহ বিন ইয়াহিয়া জিজ্ঞেস করলো: হে আমিরুল মু’ মেনীন!“ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম”এর তাফসীর কি ?
বললেন : যখনই বান্দা কোন কিছু পড়তে অথবা কোন কার্য সম্পাদনের মনস্থ করে। তখনি বলা উচিত :“ বিসমিল্লাহ”আর্থাৎ“ এই নামের ওসিলায় আমি কার্য সম্পাদন করছি”। সুতরাং বান্দা যে কাজই করুক,তা যেন“ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম”দিয়ে শুরু করে। অবশ্যই তাতে বরকত ও পূন্য নিহিত রয়েছে।৩৮