8%

পরিচ্ছেদ-8

সাহাবীদের স্বীকৃতি দান

ইয়াক্বিন (নিশ্চিত জ্ঞান) পরিত্যাগ করো না সন্দেহের বদলে এবং যা স্পষ্ট তাও নয় গোপনের বদলে। কোন মন্তব্য করো না সে বিষয়ে যা তুমি দেখতে পাও না সে সম্পর্কে তোমাকে বলার কারণে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা ঘৃণা করেন তোমার ভাই সম্পর্কে অপবাদ ও খারাপ ধারণাকে। তাহলে তিনি কী ভাবেন সেই দুঃসাহস সম্পর্কে যা-রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সাহাবীদের সম্পর্কে মিথ্যা অপবাদ , মিথ্যা বিশ্বাস অথবা মিথ্যা কথা আরোপ করে ?।

তিনি বলেছেনঃ

) إ ِذْ تَلَقَّوْنَهُ بِأَلْسِنَتِكُمْ وَتَقُولُونَ بِأَفْوَاهِكُم مَّا لَيْسَ لَكُم بِهِ عِلْمٌ وَتَحْسَبُونَهُ هَيِّنًا وَهُوَ عِندَ اللَّـهِ عَظِيمٌ(

‘‘ যখন তোমরা একে স্বাগত জানিয়েছো তোমাদের জিহবা দিয়ে এবং মুখে বলেছো যার বিষয়ে তোমাদের জ্ঞান ছিলো না এবং তোমরা একে একটি সহজ বিষয় ভেবেছো অথচ আল্লাহর কাছে তা ছিলো অত্যন্ত ঘৃণ্য।’’ (সূরা নূরঃ 15)

যতক্ষণ তুমি লোকদের সম্পর্কে ভালো কথা বলার এবং কাজ করার সুযোগ পাও তারা ভালো হোক বা না হোক তাহলে আর কিছু করো না।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেছেনঃ

) و َقُولُوا لِلنَّاسِ حُسْنًا(

‘‘ লোকদেরকে ভালো কথা বলো।’’ (সূরা বাকারাঃ 83)

জেনে রাখো আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তাঁর রাসূলের (সা.) জন্য সাহাবীদের নির্বাচন করেছেন , তাদেরকে সবচেয়ে সম্মানিত করেছেন এবং তাদেরকে সমর্থন , বিজয় ও কাঙ্ক্ষিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে তার সাথে সঠিক সাহচর্যের পোষাক পরিয়েছিলেন। তিনি তার রাসূল (সা.)-এর জীহবা দিয়ে তাদের মর্যাদা , উন্নত গুণাবলী এবং সম্মানের কথা প্রকাশ করেছেন ; তাই বিশ্বাস করো তাদের ভালোবাসায় , উল্লেখ করো তাদের উচ্চ সম্মান এবং বেদাত সৃষ্টিকারী লোকদের সাহচর্য থেকে সাবধান থাকো , কারণ তা অবিশ্বাস ও অন্তরে পরিষ্কার ক্ষতির সৃষ্টি করবে। যদি তাদের কারো কারো মর্যাদার বিষয় তোমার কাছে স্পষ্ট না থাকে তাহলে তা অদৃশ্য সম্পর্কে যার জ্ঞান আছে তাঁর কাছে ছেড়ে দাও এবং বলোঃ‘‘ ও আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা , আমি , সে ব্যক্তিকে ভালোবাসি যাকে তুমি ও তোমার রাসূল ভালোবাসো এবং আমি তাকে ঘৃণা করি যাকে তুমি ও তোমার রাসূল ঘৃণা কর।’’ এরপরে আর কোন দায়িত্ব নেই।