আহলে বাইত সম্পর্কে
আমরা (মহানবীর আহলে বাইত) নবুওয়াতের পবিত্র বৃক্ষ ঐশী বাণী অর্থাৎ রিসালতের অবস্থান-স্থল , ফেরেশতাদের অবতরণ ও আগমনস্থল , জ্ঞানের খনি এবং প্রজ্ঞার প্রস্রবণ ও উৎসস্থল। আমাদের সাহায্যকারী ও প্রেমিক মহান আল্লাহর রহমত ও দয়ার প্রত্যাশা করবে এবং আমাদের শত্রু ও আমাদের প্রতি ঘৃণা পোষণকারী মহান আল্লাহর তীব্র রোষে নিপতিত ও অভিশপ্ত হবে।
খুতবা 110 থেকে
তোমাদের নবীর হেদায়েতের মাধ্যমে তাঁর আনুগত্য কর ও হেদায়েত প্রাপ্ত হও। কারণ তাঁর হেদায়েতই সর্বোত্তম হেদায়েত ; আর তোমরা সবাই তাঁর সুন্নাহর অনুসরণ করবে। কারণ তাঁর সুন্নাহ্ই সুন্নাহ্সমূহের মধ্যে সবচেয়ে সঠিক ও সুপথপ্রাপ্ত।
খুতবা 114
আর (আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি) হযরত মুহাম্মদ (সা.) তাঁর বান্দা ও রাসূল। খুতবা 116 থেকে তিনি (মহান আল্লাহ) তাঁকে সত্যের দিকে আহবানকারী এবং সমগ্র মানব জাতির উপর সাক্ষীস্বরূপ প্রেরণ করেছিলেন। অতঃপর তিনি নিরলসভাবে স্বীয় প্রভুর বাণীসমূহ (রিসালত) প্রচার করেছেন এবং এক্ষেত্রে তিনি কোন অবহেলা ও সামান্যতম দুর্বলতাও প্রদর্শন করেন নি। তিনি মহান আল্লাহর পথে তাঁর শত্রুদের বিরুদ্ধে সামান্যতম দুর্বলতা প্রদর্শন , ঠুনকো যুক্তি ও খোঁড়া অজুহাত পেশ না করেই বরং দৃঢ়তার সাথে জিহাদ করেছেন। তিনি খোদাভীরুদের নেতা এবং যারা সুপথ প্রাপ্ত হয়েছে তাঁদের চোখের দ্যুতি।
খুতবা 122 থেকে
আমরা যখন রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সাথে ছিলাম তখন (ইসলামের জন্যই) পিতা , পুত্র , ভ্রাতা ও নিকটাত্মীয়দের মধ্যে যুদ্ধ সংঘটিত হত। অতএব , যত বিপদাপদ ও দুঃখ-কষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে , আমাদের ঈমান , সত্যের উপর অবিচল থাকা , (মহান আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের) নির্দেশ অর্থাৎ নির্ধারিত ফায়সালা ও সিদ্ধান্তের প্রতি আত্মসমর্পণ এবং আঘাত ও ক্ষতের অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্টে আমাদের ধৈর্যাবলম্বনও তত বৃদ্ধি পেয়েছে।
খুতবা 125 থেকে
আর মহান আল্লাহ বলেছেন : অতঃপর যদি তোমরা কোন বিষয়ে পরষ্পর দ্বন্দ্ব ও বিবাদে লিপ্ত হও তাহলে তা (তোমরা যে বিষয়ে দ্বন্দ্বে ও বিবাদে লিপ্ত হয়েছ সেই বিষয়টি) মহান আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের দিকে প্রত্যর্পণ কর। অতএব , মহান আল্লাহর দিকে কোন বিষয়ে প্রত্যর্পণ করার অর্থ হচ্ছে যে আমরা ঐ ব্যাপারে মহান আল্লাহর কিতাব (আল-কোরআন) অনুযায়ী ফয়সালা করব এবং রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর দিকে তা (ঐ বিতর্কিত বিষয়টি) প্রত্যার্পন করার অর্থ হচ্ছে যে আমরা ঐ ব্যাপারে তাঁর সুন্নাহ্কে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরব। আর যখন মহান আল্লাহর গ্রন্থের ভিত্তিতে নিষ্ঠা ও সততার সাথে ফয়সালা করা হবে তখন আমরাই (মহানবীর আহলুল বাইত) সকল জনগণের চেয়ে পবিত্র কোরআনের নিকটবর্তী ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বলে বিবেচিত হব। আর যখন রাসূলুল্লাহর সুন্নাহর ভিত্তিতে ফয়সালা করা হবে তখন আমরাই অন্য সকলের চেয়ে মহানবীর সুন্নাহর সবচেয়ে নিকটবর্তী এবং এ ব্যাপারে সবচেয়ে অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বলে বিবেচিত হব।
খুতবা 132 থেকে
আর আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি , তিনি (আল্লাহ) ব্যতীত আর কোন উপাস্য নেই এবং হযরত মুহাম্মদ (সা.) তাঁর একান্ত মনোনীত ও প্রেরিত (নবী)। আর আমাদের এ সাক্ষ্য এমনই এক সাক্ষ্য যেখানে (আমাদের মাঝে) বিদ্যমান গোপন রহস্য আমাদের প্রকাশ্য ঘোষণার সাথে এবং (আমাদের) অন্তর (আমাদের) কণ্ঠের সাথে পূর্ণরূপে খাপ খায় (যার ফলে আমাদের অন্তর ও মুখ নিসৃত ভাষা ও স্বীকারোক্তির মধ্যে কোন পার্থক্যই বিদ্যমান থাকে না)।
খুতবা 133
মহান আল্লাহ রাসূলদের বিদায় এবং জাতিসমূহের মধ্যকার মতবিরোধ ও দ্বন্দ্বের বেশ কিছু কাল পরে তাঁকে (মুহাম্মদ) প্রেরণ করেছিলেন। তিনি (মহান আল্লাহ) তাঁর (মুহাম্মদ) মাধ্যমে পূর্ববর্তী নবী-রাসূলদের ধারা এবং ওহী-ঐশী প্রত্যাদেশের পরিসমাপ্তি ঘটিয়েছিলেন। মহান আল্লাহ থেকে যারা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল এবং তাঁর সাথে শিরক করেছিল তাদের বিরুদ্ধে তিনি জিহাদ করেছিলেন।