আল হাসানাইন (আ.)

আশুরার ঘটনাবলীঃ ওমর সাদের মাধ্যমেই যুদ্ধ শুরু

0 বিভিন্ন মতামত 00.0 / 5

দশই মহর্রমের দিন ওমর বিন সাদ সামনে অগ্রসর হয়ে হোসাইন (আ.) এর সঙ্গীদের দিকে একটি তীর নিক্ষেপ করল এবং বলল হে জনতা আমীরের কাছে সাক্ষী দিও আমিই প্রথম তীর নিক্ষেপ করেছি। এরপরই বৃষ্টির মত তীর ছুড়তে শুরু করে। হোসাইন (আ.) তার সাথীদের বললেনঃ

قُومُوا رحمكُمُ اللّهُ إلى الْموْت، إلى الْموْت الّذى لا بُدّ منْهُ، فإنّ هذه السّهامُ رسُلُ الْقوْم إليْكُم

আল্লাহ তোমাদের উপর রহমত করুন। ওঠো, মৃত্যুর জন্য, কেননা মৃত্যু থেকে বাচার উপায় নেই। এ তীরসমূহ এমন সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে নিক্ষেপিত হচ্ছে যারা তোমাদের সাথে যুদ্ধ করতে চায়। এরপর ইমাম হোসাইন (আ.) এর সাথীরা দুটি অভিযান চালায় এবং দীর্ঘসময় পর্যন্ত যুদ্ধ চালায়। হোসাইন বাহিনীর অনেকেই শাহাদত বরণ করেন। এ সময় ইমাম হোসাইন (আ.) নিজের চেহারায় হাত বুলিয়ে বললেন-

إشْتدّ غضبُ اللّه على الْيهُود إذْ جعلُوا لهُ ولدا، واشْتدّ غضبُهُ على النّصارى إذْ جعلُوهُ ثالث ثلاثةٍ، واشْتدّ غضبُهُ على الْمجُوس إذْ عبدُوا الشّمْس والْقمر دُونهُ، واشْتدّ غضبُهُ على قوْمٍ اتّفقتْ كلمتُهُمْ على قتْل ابْن بنْت نبيّهمْ. أما واللّه لا أُج يبُهُمْ إلى شيْءٍ ممّا يُريدُون حتّى ألْقى اللّه تعالى و أنا مُخضّبٌ بدمى.

ইহিুদী সম্প্রদায়ের উপর আল্লাহর অভিসম্পাত তখনই গুরুতর হয়েছে যখন তারা আল্লাহর সন্তান আছে বলে ঘোষণা দিয়েছে এবং বলেছে-ওজাইর আল্লাহর পুত্র। আর নাসারাদের উপর তখনই গজব তীব্রতর হয়েছে যখন তারা আল্লাহকে তিন খোদার একজন হিসেবে স্থির করেছে।

অগ্নিপূজকদের উপর খোদায়ী অভিসম্পাত তখনই তীব্রতর হয়েছে যখন থেকে তারা আল্লাহর ইবাদত ছেড়ে সূর্য ও চন্দ্রের পূজা শুরু করে।

আল্লাহর গজব ঐ জনগোষ্ঠীর উপর যারা সম্মিলিতভাবে মহানবী (সা.) এর নাতিকে হত্যার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে। খোদার শপথ আমি এ জনগোষ্ঠির কথা শুননো না, ইয়াজিদের নামে বাইয়াত (আনুগত্যের শপথ) করব না, এতে যদি রক্তমাখা বদন নিয়েও আল্লাহর সাক্ষাৎ হয়।

আবু তাহের মুহাম্মদ বিন হোসাইন (আ.) তাবারসী তার বিরচিত মাআলেমুদ্দিন গ্রন্থে হযরত ইমাম সাদেক (আ.) থেকে বর্ণনা করেন যে, আমি আমার পিতার মুখে শুনেছি-“ইমাম হোসাইন (আ.) যখন ওমর বিন সাদের মুখোমুখি হন এবং যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। আল্লাহ তায়ালা তার সাহায্যার্থে আকাশ থেকে একদল ফেরেশতা পাঠালেন এবং তারা হযরতের (আ.) মাথার উপর উড়তে থাকে। ইমাম হোসাইন (আ.) স্বাধীনভাবে দুটির যে কোন একটি গ্রহণ করার সুযোগ পেলেন। হয় ফেরেশতাগণ তার সাহায্য করবে, এতে দুশমনরা ধ্বংস হবে । অথবা শহীদ হবেন এবং আল্লাহর দিদারে চলে যাবেন। ইমাম হোসাইন (আ.) আল্লাহর দিদারের পথ বেছে নেন।

এরপর ইমাম হোসাইন (আ.) বলিষ্ঠ কন্ঠে বললেন-

 أما منْ مُغيثٍ يُغيثُنا لوجْه اللّه، أما منْ ذابٍّ يذُبُّ عنْ حرم رسُول اللّه

তোমাদের কেউ আছ কি যে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আমাকে সাহায্য করবে? কেউ আছ কি দুশমনদেরকে রাসূলে খোদা (সা.) এর হেরেম থেকে দূরে সরাবে?

(কারবালা ও হযরত ইমাম হুসাইন (আঃ) এর শাহাদাত গ্রন্থ থেকে সংকলিত)#আল হাসানাইন

 

আপনার মতামত

মন্তব্য নেই
*
*

আল হাসানাইন (আ.)