ইসলামে নারীর অধিকার ও পরিবার
নারীর অধিকার এবং পরিবার দু’টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আধুনিক বিশ্বে এ বিষয় দু’টি বেশ আলোচিত। ইতিহাসের কাল পরিক্রমায় বিভিন্ন সমাজে মানবাধিকার বিশেষ করে নারী অধিকার এবং পরিবার বিচিত্র চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এই অধিকার রক্ষার লক্ষ্যে ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর প্যারিসে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘসাধারণ পরিষদে মানবাধিকার ঘোষণা প্রদান করা হয়। বিশ্বের প্রত্যেক মানুষের মানবাধিকারনিশ্চিত করার লক্ষ্যেই এই সনদ ঘোষিত হয়েছিল। কিন্তু এ ঘোষণার অনেক দিক ও নীতি বিশ্বের বহু জাতির সংস্কৃতি ও চিন্তাধারার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল না। বিশেষ করে ইসলামী আদর্শ ও সংস্কৃতির সাথে। এ কারণেই ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা ‘ইসলামী মানবাধিকার ঘোষণা’ প্রবর্তন করে।
প্রচার করা হয় যে মানবাধিকারের প্রতি গুরুত্ব বা দৃষ্টিপাত পাশ্চাত্যেই শুরু হয়েছে। অথচ পবিত্র ইসলাম ধর্ম চৌদ্দ শ বছর আগে আবির্ভাবের শুরু থেকেই মানুষের অধিকারের বিষয়টি তুলে ধরেছে। ইউরোপীয় সমাজে যেহেতু মানুষের বিশেষ করে নারীর অধিকার, স্বাধীনতা এবং সবোর্পরি মানবীয় মর্যাদার তেমন একটা গুরুত্বই ছিল না সে কারণে এই মানবাধিকার ঘোষণা পশ্চিমা সমাজে মূল্যবান একটি পদক্ষেপ হিসেবে মর্যাদা পেয়েছিল। কিন্তু ইসলামের উন্নত শিক্ষাগুলোর প্রতি মনোযোগ না দেওয়ার কারণে এই ধর্মের ব্যাপারে মানাবধিকারের প্রবক্তারা ছিল একেবারেই অনুদার। ‘ইসলামী মানবাধিকার ঘোষণা’ এই অবহেলা বা অনুদার মানসিকতারই প্রতিক্রিয়া। ১৯৯০ সালের ৫ আগস্টে কায়রোতে এই ঘোষণা গৃহীত হয়েছিল।
ইসলামী মানবাধিকার ঘোষণায় নারী এবং পরিবার এই দুটি দিকের ওপর বিভিন্ন ভাবে ইঙ্গিত করা হয়েছে। মানবীয় মর্যাদার দিক থেকে নারী এবং পুরুষ সমান। একইভাবে একজন পুরুষের যতটুকু দায়দায়িত্ব রয়েছে ঠিক ততটুকু দায়িত্ব রয়েছে একজন নারীরও। নারীর অধিকার রয়েছে নিজের নাম এবং সম্পর্কের স্বাধীন সত্ত্বা সংরক্ষণ করা। ইসলামী মানবাধিকার ঘোষণায় এই যে সমানাধিকারের বিষয়টি ঘোষিত হয়েছে তা ইসলামী শিক্ষার আলোকেই হয়েছে। ইসলাম সকল মানুষকেই সমান বলে মনে করে। লিঙ্গভেদে ভাষা, বর্ণ, গোত্র, জাতিভেদে কিংবা বিশেষ কোনো এলাকাভেদে কারো কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নেই ইসলামে। পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে সমতার মানদণ্ড ঘোষণা করা হয়েছে বেশ কিছু বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে। সেইসাথে মানুষের শ্রেষ্ঠত্বের মানদণ্ড হিসেবে তাকওয়ার উল্লেখ করা হয়েছে যার পুরস্কার থাকবে আখেরাতে।
আসলে বিশেষ কিছু ক্ষেত্র ছাড়া ইসলামে সকল মানুষের অধিকারই সমান। নারী পুরুষের সমতা কেবল উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পদের ক্ষেত্রে কিছুটা ব্যতিক্রমধর্মী মনে হয়। এর পেছনে সামাজিক, বৈজ্ঞানিক বহু কারণ এবং যুক্তি রয়েছে। মানবীয় মর্যাদা, অধিকার এবং অভিন্নতার বিষয়টি নির্ভর করে মানবীয় পূর্ণতা ও ফযিলত অর্জনের ওপর। কুরআনের ভাষায় যে যতো বেশি তাকওয়া অর্জন করবে সে তত বেশি মর্যাদাবান। এ ক্ষেত্রেই কেবল নারী-পুরুষের মাঝে বিভিন্নতা রয়েছে। আর এই মর্যাদার বিষয়টি বা পুরস্কার-তিরস্কারের বিষয়টি পরকালীন হিসাব নিকাশের সাথে সম্পৃক্ত।
ইসলামী মানবাধিকার ঘোষণায় নারী পুরুষ এক আল্লাহর সৃষ্টি। এদিক থেকে তারা সবাই এক এবং অভিন্ন। কিন্তু যুগে যুগে যেসব মতবাদের সৃষ্টি হয়েছে সেসব মতবাদে এরকমভাবে চিন্তা করা হয় নি। পবিত্র কুরআনে এসেছে: ‘আল্লাহই তোমাদের সৃষ্টি করেছেন একটি মাত্র প্রাণ থেকে এবং তারই প্রজাতি থেকে তার জুড়ি বানিয়েছেন, যাতে করে তার কাছে প্রশান্তি লাভ করতে পারে’।
একইভাবে আধ্যাত্মিক মহিমা অর্জনের ক্ষেত্রেও নারী-পুরুষের মাঝে কোনো তফাৎ নেই। কুরআনে এসেছে: ‘একথা সুনিশ্চিত যে,যে পুরুষ ও নারী মুসলিম মুমিন, হুকুমের অনুগত,সত্যবাদী,সবরকারী,আল্লাহর সামনে বিনত,সাদকাদানকারী, রোযা পালনকারী,নিজেদের লজ্জাস্থানের হেফাজতকারী এবং আল্লাহকে বেশী বেশী স্মরণকারী আল্লাহ তাদের জন্য মাগফিরাত এবং প্রতিদানের ব্যবস্থা করে রেখেছেন’।
ইসলামে নারীকে সম্মানিত করা হয়েছে। রাসূলের একটি হাদিসে এসেছে, নারীকে সম্মান করার পরিমাপের ওপর ব্যক্তির সম্মান ও মর্যাদার বিষয়টি নির্ভর করে। তার মানে হলো একজন পুরুষ নারীকে কতোটা সম্মান দিল তার ওপর নিজের সম্মান নির্ভরশীল। পশ্চিমা সমাজে সম্প্রতি নারী অধিকার নিয়ে কথা বলা হলেও সেখানে আসলে নারীর অধিকার কতোটা রক্ষিত সচেতন যে কোনো মানুষই তা জানেন। কিন্তু ইসলাম বহু আগেই নারীকে যথাযোগ্য সম্মান এবং মর্যাদা দিয়েছে, সেইসাথে পুরুষকে তা যথার্থভাবে পালন করার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু পাশ্চাত্যে নারী পুরুষকে সমান অধিকার দিয়ে নারীর সত্ত্বাকেই হরণ করা হয়েছে। সমাজে নারীর সত্ত্বাগত পার্থক্যকে অস্বীকার করলে তা নারীর পক্ষে যায় না, নারীর জন্যে তা ক্ষতিকর।
নারী এবং সন্তানদের সুখ শান্তির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করার দায়িত্ব পুরুষের ওপর ন্যস্ত করা হয়েছে এই ঘোষণায়। ছয় নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে: ‘পরিবারের ভরণ-পোষণ এবং তাদের তত্ত্বাবধান করার দায়িত্ব পুরুষের। নারী এবং পুরুষ প্রত্যেকেরই আলাদা আলাদা ভৈশিষ্ট্য রয়েছে। নারীকে সৃষ্টিই করা হয়েছে সংবেদনশীল করে, কেননা নারী সন্তান দেবেন তাদের লালন পালন করবেন ইত্যাদি। সেজন্যে নারীর মাঝে পুরুষের স্বভাব বা সত্ত্বাকে খোঁজ করার কোনো মানে হয় না। একই কথা পুরুষের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ইসলাম তাই ন্যায় এবং ইনসাফের ভিত্তিতে যার যার উপযোগী দায়িত্ব ভাগ করে দিয়েছে। নারীর মনোদৈহিক বৈশিষ্ট্যের সাথে যেসব দায়িত্ব মানানসই সেসব দায়িত্বই তাদেরকে দেওয়া হয়েছে। একইভাবে পুরুষকেও।
কিন্তু প্রজন্মকে শিক্ষিত প্রশিক্ষিত করে তোলা পরিবারের একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। জন্মের পর থেকে শিক্ষাসহ একটি শিশুর মৌলিক প্রয়োজনীয়তাগুলোর সার্বিক ব্যবস্থা করাটা তাই ইসলামী সরকার, সমাজ এবং বাবা-মায়ের দায়িত্ব। ইসলামী মানবাধিকার ঘোষণার সাত নম্বর অনুচ্ছেদে এ বিষয়টি এসেছে। এই দায়িত্ব কিন্তু শরিয়ত এবং ইসলামের নৈতিক মূল্যবোধের ভিত্তিতেই গৃহীত হয়েছে।
ইসলামী মানবাধিকার ঘোষণায় পরিবার গঠন এবং বিয়ের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এই বিয়ের ব্যাপারটা অবশ্য পাশ্চাত্য চিন্তা থেকে একেবারেই আলাদা। ইসলামে বিয়ের বিশেষ উদ্দেশ্য রয়েছে। সেটা হলো উভয়ের অন্তরাত্মা, মনোদৈহিক প্রশান্তি এবং নারী ও স্বামীর মাঝে হৃদ্যতা ও আন্তরিকতা প্রতিষ্ঠা করা। অথচ পাশ্চাত্য সমাজে বিয়ের উদ্দেশ্য হলো যৌন তৃপ্তি মেটানো।
আরো যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি ইসলামী মানবাধিকার ঘোষণায় এসেছে কিন্তু বিশ্ব মানবাধিকার ঘোষণায় উপেক্ষা করা হয়েছে, তাহলো নৈতিক, মানবিক, আধ্যাত্মিক এবং বিশ্বাসগত মূল্যেবোধ। ইসলামী মানবাধিকার ঘোষণায় এইসব মৌলিক মূলবোধের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।*
শিষ্ট্যের সাথে যেসব দায়িত্ব মানানসই সেসব দায়িত্বই তাদেরকে দেওয়া হয়েছে। একইভাবে পুরুষকেও।
কিন্তু প্রজন্মকে শিক্ষিত প্রশিক্ষিত করে তোলা পরিবারের একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। জন্মের পর থেকে শিক্ষাসহ একটি শিশুর মৌলিক প্রয়োজনীয়তাগুলোর সার্বিক ব্যবস্থা করাটা তাই ইসলামী সরকার, সমাজ এবং বাবা-মায়ের দায়িত্ব। ইসলামী মানবাধিকার ঘোষণার সাত নম্বর অনুচ্ছেদে এ বিষয়টি এসেছে। এই দায়িত্ব কিন্তু শরিয়ত এবং ইসলামের নৈতিক মূল্যবোধের ভিত্তিতেই গৃহীত হয়েছে।
ইসলামী মানবাধিকার ঘোষণায় পরিবার গঠন এবং বিয়ের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এই বিয়ের ব্যাপারটা অবশ্য পাশ্চাত্য চিন্তা থেকে একেবারেই আলাদা। ইসলামে বিয়ের বিশেষ উদ্দেশ্য রয়েছে। সেটা হলো উভয়ের অন্তরাত্মা, মনোদৈহিক প্রশান্তি এবং নারী ও স্বামীর মাঝে হৃদ্যতা ও আন্তরিকতা প্রতিষ্ঠা করা। অথচ পাশ্চাত্য সমাজে বিয়ের উদ্দেশ্য হলো যৌন তৃপ্তি মেটানো।
আরো যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি ইসলামী মানবাধিকার ঘোষণায় এসেছে কিন্তু বিশ্ব মানবাধিকার ঘোষণায় উপেক্ষা করা হয়েছে, তাহলো নৈতিক, মানবিক, আধ্যাত্মিক এবং বিশ্বাসগত মূল্যেবোধ। ইসলামী মানবাধিকার ঘোষণায় এইসব মৌলিক মূলবোধের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।*
(রেডিও তেহরান)
প্রচার করা হয় যে মানবাধিকারের প্রতি গুরুত্ব বা দৃষ্টিপাত পাশ্চাত্যেই শুরু হয়েছে। অথচ পবিত্র ইসলাম ধর্ম চৌদ্দ শ বছর আগে আবির্ভাবের শুরু থেকেই মানুষের অধিকারের বিষয়টি তুলে ধরেছে। ইউরোপীয় সমাজে যেহেতু মানুষের বিশেষ করে নারীর অধিকার, স্বাধীনতা এবং সবোর্পরি মানবীয় মর্যাদার তেমন একটা গুরুত্বই ছিল না সে কারণে এই মানবাধিকার ঘোষণা পশ্চিমা সমাজে মূল্যবান একটি পদক্ষেপ হিসেবে মর্যাদা পেয়েছিল। কিন্তু ইসলামের উন্নত শিক্ষাগুলোর প্রতি মনোযোগ না দেওয়ার কারণে এই ধর্মের ব্যাপারে মানাবধিকারের প্রবক্তারা ছিল একেবারেই অনুদার। ‘ইসলামী মানবাধিকার ঘোষণা’ এই অবহেলা বা অনুদার মানসিকতারই প্রতিক্রিয়া। ১৯৯০ সালের ৫ আগস্টে কায়রোতে এই ঘোষণা গৃহীত হয়েছিল।
ইসলামী মানবাধিকার ঘোষণায় নারী এবং পরিবার এই দুটি দিকের ওপর বিভিন্ন ভাবে ইঙ্গিত করা হয়েছে। মানবীয় মর্যাদার দিক থেকে নারী এবং পুরুষ সমান। একইভাবে একজন পুরুষের যতটুকু দায়দায়িত্ব রয়েছে ঠিক ততটুকু দায়িত্ব রয়েছে একজন নারীরও। নারীর অধিকার রয়েছে নিজের নাম এবং সম্পর্কের স্বাধীন সত্ত্বা সংরক্ষণ করা। ইসলামী মানবাধিকার ঘোষণায় এই যে সমানাধিকারের বিষয়টি ঘোষিত হয়েছে তা ইসলামী শিক্ষার আলোকেই হয়েছে। ইসলাম সকল মানুষকেই সমান বলে মনে করে। লিঙ্গভেদে ভাষা, বর্ণ, গোত্র, জাতিভেদে কিংবা বিশেষ কোনো এলাকাভেদে কারো কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নেই ইসলামে। পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে সমতার মানদণ্ড ঘোষণা করা হয়েছে বেশ কিছু বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে। সেইসাথে মানুষের শ্রেষ্ঠত্বের মানদণ্ড হিসেবে তাকওয়ার উল্লেখ করা হয়েছে যার পুরস্কার থাকবে আখেরাতে।
আসলে বিশেষ কিছু ক্ষেত্র ছাড়া ইসলামে সকল মানুষের অধিকারই সমান। নারী পুরুষের সমতা কেবল উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পদের ক্ষেত্রে কিছুটা ব্যতিক্রমধর্মী মনে হয়। এর পেছনে সামাজিক, বৈজ্ঞানিক বহু কারণ এবং যুক্তি রয়েছে। মানবীয় মর্যাদা, অধিকার এবং অভিন্নতার বিষয়টি নির্ভর করে মানবীয় পূর্ণতা ও ফযিলত অর্জনের ওপর। কুরআনের ভাষায় যে যতো বেশি তাকওয়া অর্জন করবে সে তত বেশি মর্যাদাবান। এ ক্ষেত্রেই কেবল নারী-পুরুষের মাঝে বিভিন্নতা রয়েছে। আর এই মর্যাদার বিষয়টি বা পুরস্কার-তিরস্কারের বিষয়টি পরকালীন হিসাব নিকাশের সাথে সম্পৃক্ত।
ইসলামী মানবাধিকার ঘোষণায় নারী পুরুষ এক আল্লাহর সৃষ্টি। এদিক থেকে তারা সবাই এক এবং অভিন্ন। কিন্তু যুগে যুগে যেসব মতবাদের সৃষ্টি হয়েছে সেসব মতবাদে এরকমভাবে চিন্তা করা হয় নি। পবিত্র কুরআনে এসেছে: ‘আল্লাহই তোমাদের সৃষ্টি করেছেন একটি মাত্র প্রাণ থেকে এবং তারই প্রজাতি থেকে তার জুড়ি বানিয়েছেন, যাতে করে তার কাছে প্রশান্তি লাভ করতে পারে’।
একইভাবে আধ্যাত্মিক মহিমা অর্জনের ক্ষেত্রেও নারী-পুরুষের মাঝে কোনো তফাৎ নেই। কুরআনে এসেছে: ‘একথা সুনিশ্চিত যে,যে পুরুষ ও নারী মুসলিম মুমিন, হুকুমের অনুগত,সত্যবাদী,সবরকারী,আল্লাহর সামনে বিনত,সাদকাদানকারী, রোযা পালনকারী,নিজেদের লজ্জাস্থানের হেফাজতকারী এবং আল্লাহকে বেশী বেশী স্মরণকারী আল্লাহ তাদের জন্য মাগফিরাত এবং প্রতিদানের ব্যবস্থা করে রেখেছেন’।
ইসলামে নারীকে সম্মানিত করা হয়েছে। রাসূলের একটি হাদিসে এসেছে, নারীকে সম্মান করার পরিমাপের ওপর ব্যক্তির সম্মান ও মর্যাদার বিষয়টি নির্ভর করে। তার মানে হলো একজন পুরুষ নারীকে কতোটা সম্মান দিল তার ওপর নিজের সম্মান নির্ভরশীল। পশ্চিমা সমাজে সম্প্রতি নারী অধিকার নিয়ে কথা বলা হলেও সেখানে আসলে নারীর অধিকার কতোটা রক্ষিত সচেতন যে কোনো মানুষই তা জানেন। কিন্তু ইসলাম বহু আগেই নারীকে যথাযোগ্য সম্মান এবং মর্যাদা দিয়েছে, সেইসাথে পুরুষকে তা যথার্থভাবে পালন করার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু পাশ্চাত্যে নারী পুরুষকে সমান অধিকার দিয়ে নারীর সত্ত্বাকেই হরণ করা হয়েছে। সমাজে নারীর সত্ত্বাগত পার্থক্যকে অস্বীকার করলে তা নারীর পক্ষে যায় না, নারীর জন্যে তা ক্ষতিকর।
নারী এবং সন্তানদের সুখ শান্তির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করার দায়িত্ব পুরুষের ওপর ন্যস্ত করা হয়েছে এই ঘোষণায়। ছয় নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে: ‘পরিবারের ভরণ-পোষণ এবং তাদের তত্ত্বাবধান করার দায়িত্ব পুরুষের। নারী এবং পুরুষ প্রত্যেকেরই আলাদা আলাদা ভৈশিষ্ট্য রয়েছে। নারীকে সৃষ্টিই করা হয়েছে সংবেদনশীল করে, কেননা নারী সন্তান দেবেন তাদের লালন পালন করবেন ইত্যাদি। সেজন্যে নারীর মাঝে পুরুষের স্বভাব বা সত্ত্বাকে খোঁজ করার কোনো মানে হয় না। একই কথা পুরুষের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ইসলাম তাই ন্যায় এবং ইনসাফের ভিত্তিতে যার যার উপযোগী দায়িত্ব ভাগ করে দিয়েছে। নারীর মনোদৈহিক বৈশিষ্ট্যের সাথে যেসব দায়িত্ব মানানসই সেসব দায়িত্বই তাদেরকে দেওয়া হয়েছে। একইভাবে পুরুষকেও।
কিন্তু প্রজন্মকে শিক্ষিত প্রশিক্ষিত করে তোলা পরিবারের একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। জন্মের পর থেকে শিক্ষাসহ একটি শিশুর মৌলিক প্রয়োজনীয়তাগুলোর সার্বিক ব্যবস্থা করাটা তাই ইসলামী সরকার, সমাজ এবং বাবা-মায়ের দায়িত্ব। ইসলামী মানবাধিকার ঘোষণার সাত নম্বর অনুচ্ছেদে এ বিষয়টি এসেছে। এই দায়িত্ব কিন্তু শরিয়ত এবং ইসলামের নৈতিক মূল্যবোধের ভিত্তিতেই গৃহীত হয়েছে।
ইসলামী মানবাধিকার ঘোষণায় পরিবার গঠন এবং বিয়ের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এই বিয়ের ব্যাপারটা অবশ্য পাশ্চাত্য চিন্তা থেকে একেবারেই আলাদা। ইসলামে বিয়ের বিশেষ উদ্দেশ্য রয়েছে। সেটা হলো উভয়ের অন্তরাত্মা, মনোদৈহিক প্রশান্তি এবং নারী ও স্বামীর মাঝে হৃদ্যতা ও আন্তরিকতা প্রতিষ্ঠা করা। অথচ পাশ্চাত্য সমাজে বিয়ের উদ্দেশ্য হলো যৌন তৃপ্তি মেটানো।
আরো যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি ইসলামী মানবাধিকার ঘোষণায় এসেছে কিন্তু বিশ্ব মানবাধিকার ঘোষণায় উপেক্ষা করা হয়েছে, তাহলো নৈতিক, মানবিক, আধ্যাত্মিক এবং বিশ্বাসগত মূল্যেবোধ। ইসলামী মানবাধিকার ঘোষণায় এইসব মৌলিক মূলবোধের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।*
শিষ্ট্যের সাথে যেসব দায়িত্ব মানানসই সেসব দায়িত্বই তাদেরকে দেওয়া হয়েছে। একইভাবে পুরুষকেও।
কিন্তু প্রজন্মকে শিক্ষিত প্রশিক্ষিত করে তোলা পরিবারের একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। জন্মের পর থেকে শিক্ষাসহ একটি শিশুর মৌলিক প্রয়োজনীয়তাগুলোর সার্বিক ব্যবস্থা করাটা তাই ইসলামী সরকার, সমাজ এবং বাবা-মায়ের দায়িত্ব। ইসলামী মানবাধিকার ঘোষণার সাত নম্বর অনুচ্ছেদে এ বিষয়টি এসেছে। এই দায়িত্ব কিন্তু শরিয়ত এবং ইসলামের নৈতিক মূল্যবোধের ভিত্তিতেই গৃহীত হয়েছে।
ইসলামী মানবাধিকার ঘোষণায় পরিবার গঠন এবং বিয়ের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এই বিয়ের ব্যাপারটা অবশ্য পাশ্চাত্য চিন্তা থেকে একেবারেই আলাদা। ইসলামে বিয়ের বিশেষ উদ্দেশ্য রয়েছে। সেটা হলো উভয়ের অন্তরাত্মা, মনোদৈহিক প্রশান্তি এবং নারী ও স্বামীর মাঝে হৃদ্যতা ও আন্তরিকতা প্রতিষ্ঠা করা। অথচ পাশ্চাত্য সমাজে বিয়ের উদ্দেশ্য হলো যৌন তৃপ্তি মেটানো।
আরো যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি ইসলামী মানবাধিকার ঘোষণায় এসেছে কিন্তু বিশ্ব মানবাধিকার ঘোষণায় উপেক্ষা করা হয়েছে, তাহলো নৈতিক, মানবিক, আধ্যাত্মিক এবং বিশ্বাসগত মূল্যেবোধ। ইসলামী মানবাধিকার ঘোষণায় এইসব মৌলিক মূলবোধের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।*
(রেডিও তেহরান)