আল হাসানাইন (আ.)

প্রবন্ধ

ইমামত
ইমামত

ইমামত

শিয়াদের বিশ্বাস যে ইমামত হল একটি ঐশী মর্যাদা,যা মহান আল্লাহ কর্তৃকই যথোপযুক্ত ও যোগ্যতম ব্যক্তিদেরকে প্রদান করা আবশ্যক। আর মহান আল্লাহ,মহানবী (সা.) এর মাধ্যমে এ কর্মটি সম্পাদন করেছেন এবং আমীরুল মু’মিনিন আলীকে (আ.) তার উত্তরাধিকারী ঘোষনা করেছেন। অতঃপর তারই সন্তানদের মধ্য থেকে পরম্পরায় বারজনকে ইমামতের মর্যাদায় অভিসিক্ত করছেন। অপরদিকে সুন্নি সম্প্রদায়ের বিশ্বাস যে,ইমামত নবী (সা.)-এর তিরোধানের সাথে সাথে নবুয়্যত ও রিসালাতের মতই যবনিকায় পৌছেছে এবং এর পর থেকে ইমাম নির্বাচনের দায়িত্ব মানুষের উপর অর্পণ করা হয়েছে।

ইতিহাস বিষয়ক
মুবাহালা

মুবাহালা

এসব আলোকিত মুখমণ্ডল এবং সুমহান মর্যাদার অধিকারী ব্যক্তির সাথে আমাদের মুবাহালা করা কখনই ঠিক হবে না। কারণ আমাদের ধ্বংস হয়ে যাওয়া বিচিত্র কিছু নয় এবং স্রষ্টার শাস্তি ব্যাপকতা লাভ করে বিশ্বের সকল খ্রিষ্টানকে সমূলে ধ্বংস করে দিতে পারে। তখন পৃথিবীর বুকে একজন খ্রিষ্টানও অবশিষ্ট থাকবে না।

ইতিহাস বিষয়ক
চ্যালেঞ্জ (মুবাহালা)

চ্যালেঞ্জ (মুবাহালা)

হে নবী! আপনার কাছে সুস্পষ্ট জ্ঞান আসার পরেও কেউ যদি তর্ক করে তাহলে (তাদেরকে) বলে দিন, এসো একত্র হই আমাদের সন্তানদের আর তোমাদের সন্তানদের নিয়ে, আমাদের নারীদের আর তোমাদের নারীদের নিয়ে আর আমাদের নিজেদের নিয়ে আর তোমাদের নিজেদের নিয়ে। তারপর প্রার্থনা জানাই একান্ত মনে এবং আল্লাহর অভিশাপ কামনা করি তাদের ওপর যারা মিথ্যাবাদী

ইমামত
ঐশী নেতৃত্ব ও রাষ্ট্রীয় নেতৃত্বের পারস্পরিক সম্পর্ক

ঐশী নেতৃত্ব ও রাষ্ট্রীয় নেতৃত্বের পারস্পরিক সম্পর্ক

মা‘ছূম ইমাম যিনি নবী নন তিনি হচ্ছেন নবী-রাসূলের (আঃ) অনুপস্থিতিতে বা অবর্তমানে তাঁর স্থলাভিষিক্ত। কোরআন মজীদের সুস্পষ্ট ঘোষণা অনুযায়ী নবী-রাসূলগণের (আঃ) মূল দায়িত্ব শুধু আল্লাহর বাণী পৌঁছে দেয়া তথা দ্বীনের প্রচার, তবে তাঁদের কর্মনীতিতে দেখা যায় যে, যখন তাঁরা ঐশী হুকূমাত প্রতিষ্ঠার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ পেয়েছেন তখন হুকূমাত প্রতিষ্ঠা  বা পরিচালনা করেছেন; এরূপ অবস্থায় জনগণের মধ্যে বিচার-ফয়ছ্বালাহ্ করা তথা হুকূমাত পরিচালনার জন্য কোরআন মজীদে নির্দেশ ও নির্দেশনা রয়েছে।

ইতিহাস বিষয়ক
খিলাফত একটি ইলাহী পদ

খিলাফত একটি ইলাহী পদ

খলীফা কেবল যুগের শাসনকর্তা এবং ইসলাম ধর্মের সার্বিক বিষয়ের কর্তৃত্বশীল, (শরীয়তের) বিধি-বিধান বাস্তবায়নকারী, অধিকারসমূহ সংরক্ষণকারী এবং ইসলামী রাষ্ট্রের অখণ্ডত্ব, সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার রক্ষকই নন; বরং তিনি ধর্ম ও শরীয়তের জটিল ও দুরূহ বিষয়াদির স্পষ্ট ব্যাখ্যাকারী এবং বিধি-বিধানসমূহের ঐ অংশের পূর্ণতাদানকারী, যা বিভিন্ন কারণে ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা বর্ণনা ও ব্যাখ্যা প্রদান করেন নি

ইমামত
ইমামত নবুওয়াতের নির্বাহী ক্ষমতার ধারাবাহিকতা

ইমামত নবুওয়াতের নির্বাহী ক্ষমতার ধারাবাহিকতা

ইমামত হল একটি ঐশী মর্যাদা, যা মহান আল্লাহ্‌ কর্তৃকই যথোপযুক্ত ও যোগ্যতম ব্যক্তিদেরকে প্রদান করা আবশ্যক। আর মহান আল্লাহ্‌, মহানবী (সা.) এর মাধ্যমে এ কর্মটি সম্পাদন করেছেন এবং আমীরুল মু’মীনিন আলীকে (আ.) তাঁর উত্তরাধিকারী ঘোষণা করেছেন। অতঃপর তাঁরই সন্তানদের মধ্য থেকে পরস্পরায় বারজনকে ইমামতের মর্যাদায় অভিসিক্ত করছেন।  

ইমামত
আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত ইমাম ও তাঁর দায়িত্ব

আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত ইমাম ও তাঁর দায়িত্ব

ইমামত তথা খেলাফত আল্লাহর মনোনীত একটি পদ যাতে মানুষের ভোটের কোন প্রভাব নেই। এ চিন্তার ভিত্তিতে আমরা রাসূল (সা.) এর স্থলাভিষিক্ত নির্ধারণের ক্ষেত্রে অবশ্যই বর্ণিত দলিল ও ঐশী নির্দেশের উপর নির্ভর করবো এবং রাসূল (সা.) এর বাণীসমূহ যা এই সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে সেগুলো নিরপেক্ষভাবে পর্যালোচনা করে তার ফলাফলের উপর সিদ্ধান্ত নিব।

ইমামত
খলিফা নির্বাচনের পদ্ধতি

খলিফা নির্বাচনের পদ্ধতি

প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর পরলোকগমণের পর সাহাবীগণ কর্তৃক প্রথম খলিফা হিসাবে হযরত আবু বকরের নিয়োগ এবং তার পক্ষে বাইয়াত গ্রহণকে কোনক্রমে ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে ফেলা যাবেনা। বনি সকিফা নামক স্থান খলিফা নির্বাচনে অংশ গ্রহণকারী সকল সাহাবাদের রায় স্বস্থানে সম্মানের দাবী রাখে। তবে প্রশ্ন হলো রাসূলের (সা.) খেলাফতের পদটি কি কোন বৈষয়িক ব্যাপার নাকি ঐশ্বরীক বিষয়ের অন্তর্ভূক্ত ? দ্বীন ইসলাম মানবতার উভয় জগতের শান্তি ও মুক্তির বার্তা নিয়ে আগমন করেছে । তাই এ পদটিও নিশ্চয় একাধারে বৈষয়ীক ও ধর্মীয়-আধ্যাত্মিক বিষয়ের অন্তর্ভূক্ত।

ইমামত
 মানব জীবনে নেতার গুরুত্ব

মানব জীবনে নেতার গুরুত্ব

মানব জীবনে নেতা বা পরিচালকের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্ববহ । মানুষ প্রতিনিয়ত তার বৈষয়ীক উন্নতি ও অগ্রগতির জন্য কোন না কোন অবলম্বন ধারণ করে থাকে । মানব জীবনে নেতৃত্বের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান কোন ক্রমেই অস্বীকার করা যায় না ।

ইমামত
হাদীসে গাদীর এবং আলী (আ.)-এর খেলাফত

হাদীসে গাদীর এবং আলী (আ.)-এর খেলাফত

যখনই সফর অথবা যুদ্ধের জন্যে মদীনার বাইরে যেতেন, এমনকি সে সফর সংক্ষিপ্ত হলেও তিনি বিশ্বস্ত এবং যোগ্য ব্যক্তিকে দায়িত্ব অর্পণ করতেন এবং মদীনার জনগণকে অভিভাবকহীন রেখে যেতেন না। সুতরাং কিরূপে বিশ্বাস করা সম্ভব যে, আমাদের প্রিয় ও সদয় নবী (সা.) বিশাল মুসলিম উম্মাহকে নিজের মৃত্যুর পর অভিভাবকহীন রেখে যাবেন।

আপনার মতামত

মন্তব্য নেই
*
*

আল হাসানাইন (আ.)