সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব প্রমাণের ক্ষেত্রে দার্শনিক যুক্তির একটি নমুনা
:
দার্শনিক যুক্তি তিনটি বিষয়ের উপর প্রতিষ্ঠিত :
ক.
স্বতঃসিদ্ধ বিষয় : প্রতিটি সৃষ্ট বিষয়েরই একটি অস্তিত্ব প্রদানকারী কারণ রয়েছে। এ বিষয়টিকে মানুষ তাৎক্ষণিক ও ফেতরাতগত কারণেই অনুধাবন করে থাকে এবং পুনঃপৌনিক বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান এর অনুমোদন দেয় এবং একে সমর্থন করে।
খ
. ঐ সকল বিষয় যাতে বলা হয় প্রতিটি অস্তিত্ববান সত্তারই একটি ক্ষীণ পর্যায় ও একটি তীব্র পর্যায় রয়েছে। তবে এটা মনে করা যাবে না যে,ক্ষীণ পর্যায় এর তীব্র ও পূর্ণাঙ্গ পর্যায়ের কারণ। যেমন তাপের তীব্র ও ক্ষীণ পর্যায় বিদ্যমান।
অনুরূপ,পরিচিতি এবং আলোকেরও তীব্র ও ক্ষীণ পর্যায় রয়েছে। অর্থাৎ কোন কোনটির চেয়ে কোন কোনটি তীব্রতর ও পূর্ণতর। অতএব,কল্পনা করা যাবে না যে,তীব্র তাপ ক্ষীণ তাপ থেকে জন্ম নেয়। যে ব্যক্তি ইংরেজি জানে না বা সম্পূর্ণরূপে ইংরেজি ভাষার সাথে পরিচিত নয়,সে ব্যক্তির নিকট থেকে কেউ ইংরেজি ভাষার উপর পূর্ণ দখল অর্জন করতে পারে না। অনুরূপ ক্ষীণ আলোক থেকে তীব্র আলোকের আশা করা যায় না। কারণ প্রতিটি পূর্ণাঙ্গ ও তীব্র পর্যায়েরই অস্তিত্ব ও গুণগত দিক থেকে ক্ষীণ পর্যায়ের উপর“
এক প্রকরণগত আধিক্য ও প্রাচুর্য”
রয়েছে এবং এ প্রকরণগত প্রাচুর্য ক্ষীণ পর্যায় থেকে অর্জিত হতে পারে না যা স্বয়ং প্রাচুর্যহীন। সংক্ষেপে বলা যায়,আপনি এমন কোন অর্থনৈতিক পরিকল্পনা করতে পারেন না যাতে আপনার মোট সম্পত্তি বা অর্থের চেয়ে বেশি অর্থ অপরিহার্য হয়ে পড়ে।
গ
. বস্তু এর অব্যাহত ক্রমবিবর্তন প্রক্রিয়ার বিবর্তনের মাত্রানুসারে বিভিন্ন রূপ পরিগ্রহ করে। যেমন এক বিন্দু পানি বস্তু-রূপসমূহের মধ্যে একটিকে গ্রহণ করে;জীবনের একক প্রোটোপ্লাজম যা উদ্ভিদ ও প্রাণীর অস্তিত্বের জন্য প্রয়োজনীয় তা বস্তু-রূপের অপেক্ষাকৃত উন্নত অস্তিত্বের অধিকারী হয়েছে;এককোষী প্রাণী এ্যামিবা বস্তু-রূপসমূহের মধ্যে একটিকে পরিগ্রহ করে যা বহু পরিবর্তন ও বিবর্তনের মাধ্যমে এ অবস্থায় এসে পৌঁছেছে। অবশেষে প্রাণবন্ত এবং অনুভূতি ও সচেতন অস্তিত্ব মানুষও হলো বস্তু-রূপের এক উন্নত পর্যায়।
নিম্নোক্ত প্রশ্নটি অস্তিত্বের বিভিন্ন রূপের ক্ষেত্রে উল্লেখ করা যায়। অস্তিত্বের বিভিন্ন রূপের মধ্যে যে বৈসাদৃশ্য তা কি শুধু পরিমাণগত (অংশ ও অঙ্গসমূহের মধ্যে যান্ত্রিকযোগ সাজস্য) নাকি প্রকরণগত ও অবস্থাগত যা পরিবর্তন ও বিবর্তনের মাত্রা ও পর্যায় অনুসারে ক্রমবিকাশ ও পূর্ণতা লাভ করে? অন্য কথায় মাটি ও মানুষের (মাটি থেকে সৃষ্ট) মধ্যে বিদ্যমান বৈসাদৃশ্য কি পরিমাণগত,না অস্তিত্ব ও পূর্ণতার শ্রেণি (যেমন আলোকের তীব্রতা ও ক্ষীণতার পার্থক্য) অনুসারে?
যখন মানুষ নিজেকে এ প্রশ্নটি করে তখন ফেতরাতগত কারণেই নিজের মাঝে খুঁজে পায় যে,এ বিবিধ রূপসমূহ হলো বস্তুর মধ্যে বিদ্যমান তীব্রতা ও ক্ষীণতা এবং পূর্ণতার স্তরসমূহের ফল। অর্থাৎ প্রাণের অস্তিত্ব হলো অনুভূতিহীন খাঁটি বস্তুর অস্তিত্বেরই পূর্ণ ও তীব্রতম পর্যায়। আর প্রাণ যত বেশি নূতন কিছু নিজের মধ্যে সংযোজন করতে থাকবে তত বেশি পূর্ণতার দিকে এগিয়ে যাবে। এ অবস্থায়ই প্রাণ এক অনুভূতি ও সচেতন অস্তিত্ব হিসাবে উদ্ভিদের চেয়ে ঐশ্বর্যময় ও শক্তিশালী রূপ পরিগ্রহ করে। কিন্তু বস্তুবাদী চিন্তা এক শতাব্দীরও কিছু পূর্বে উপরিউক্ত মতবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াল এবং অস্তিত্বশীল জগতের ব্যাখ্যায় যান্ত্রিক মতবাদের উপস্থাপনা করল। যান্ত্রিক মতবাদটি নিম্নরূপ :
বাস্তবজগৎ বহু সংখ্যক ক্ষুদ্র ও পরস্পর সমাকৃতিক বস্তুশ্রেণি থেকে অস্তিত্বে এসেছে। আকর্ষণ-বিকর্ষণের সূত্র অনুসারে কোন এক ব্যাপক শক্তি এ বস্তুসমূহের উপর প্রভাব ফেলে। এর ফলশ্রুতিতে কিছু বস্তু অপর কিছু বস্তুকে গতিশীল করে এবং একস্থান থেকে অন্য স্থানে চালিত করে। আকর্ষণ-বিকর্ষণের এ সূত্র অনুসারে বস্তুর অংশসমূহ পরস্পরের সংস্পর্শে এসে একীভূত হয় অথবা পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন ও দূরীভূত হয়। আর এভাবেই বস্তু-রূপের বিভিন্নতা ও বৈচিত্রময়তা অর্জিত হয়।
উল্লিখিত প্রক্রিয়ায় যান্ত্রিক বস্তুবাদ বিবর্তন ও গতিকে মহাশূন্যে বস্তু ও বস্তুকণাসমূহের স্থানান্তর গতির মধ্যে সীমাবদ্ধ করে এবং পদার্থের বিভিন্ন রূপকে এরূপে ব্যাখ্যা করে। তবে এ প্রক্রিয়ায় বস্তুদেহের একীভূত ও বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনা ঘটে যাতে বিবর্তন প্রক্রিয়ায় নূতন কোন কিছুর উদ্ভব ঘটে না। অতএব,বস্তু এর অস্তিত্ব ও বিবর্তনের মাঝে কোন বিকাশ ও উন্নয়ন লাভ করে না। যেমন আপনার হাতে কিছু খামির (মাখানো ময়দা) আছে যাকে আপনি বিভিন্ন আকৃতি দিতে পারেন। কিন্তু এর ফলে এতে খামির ভিন্ন অন্য কিছুই পাওয়া যাবে না।
এ কল্পনাটি হলো যান্ত্রিক বিজ্ঞানের বিকাশজাতক এবং তা প্রকৃতি বিজ্ঞানের প্রাথমিক অবস্থায় নিরঙ্কুশরূপে বৈজ্ঞানিক আলোচনায় বিদ্যমান ছিল। এর কারণ ছিল এর মাধ্যমে যান্ত্রিক গতির সূত্র আবিষ্কার এবং সাধারণ বস্তুদেহের গতি ও মহাশূন্যে নক্ষত্রসমূহের গতির ব্যাখ্যা প্রদান।
কিন্তু বিজ্ঞানের অব্যাহত বিকাশ এবং বৈজ্ঞানিক আলোচনার বৈচিত্রতা ও অন্যান্য বৈজ্ঞানিক প্রতিষ্ঠানে তার বিস্তৃতির ফলে ইতোমধ্যে এ কল্পনাটির অসারতা প্রমাণিত হয়েছে। কারণ দেখা গিয়েছে যে,এ কল্পনাটি সকল প্রকারের স্থানান্তর গতিকে যান্ত্রিকরূপে ব্যাখ্যা করতে অপারগ। অপরদিকে এ কল্পনাটি বস্তুসমূহের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত হওয়াকে যান্ত্রিক গতির আলোকে একীভূতও করতে পারেনি। বিজ্ঞান গুরুত্বারোপ করে যে,মানুষ ফেতরাতগতভাবে বস্তুর রূপ-বৈচিত্র থেকে যা অনুধাবন করে তা শুধু বস্তুসমূহের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তরের যান্ত্রিক গতি থেকে নয়,বরং তাদের গুণগত ও অবস্থাগত বিবর্তন ও বিকাশের সাথেও তার সম্পর্ক রয়েছে। এছাড়া বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে,বস্তুসমূহের কোন প্রকার সংখ্যাগত ও গুণগত বিন্যাস ও আকৃতিই অনুভূতি,চিন্তা ও প্রাণের অধিকারী হতে পারেনি।
তাহলে এখানে আমরা দেখতে পাই যে,এ বিষয়টি যান্ত্রিক বস্তুবাদী কল্পনার সাথে কতটা বিরোধ সৃষ্টি করে! কারণ প্রাণ ও অনুভূতি বা উপলব্ধিই হলো পদার্থের প্রকৃত বিকাশ এবং অস্তিত্বের স্তরে গুণগত বিবর্তন ও পরিবর্তনের জাতক-হোক এ বিবর্তনের ধারক সর্বোস্তরের বস্তু অথবা অবস্তুগত কিছু।
এখানে তিনটি বিষয় উল্লেখযোগ্য :
১. প্রতিটি সৃষ্টিশীল (حادث
)
বস্তুই একটি অস্তিত্ব দানকারী কারণের উপর নির্ভরশীল।
২. নিম্ন পর্যায়ের বস্তু কখনই উচ্চ পর্যায়ের বস্তুর অস্তিত্ববিধায়ক কারণ হতে পারে না।
৩. এ জগতে বিদ্যমান অস্তিত্বসমূহের স্তরের পার্থক্য এবং অস্তিত্বশীলসমূহের রূপের যে বৈচিত্র তা হলো গুণগত (সংখ্যাগত ও পরিমাণ গত নয়)।
উল্লিখিত তিনটি বিষয়ের আলোকে আমরা দেখতে পাই যে,বস্তুর বিভিন্ন বিবর্তিত রূপ-বৈচিত্র্যের মধ্যে পদার্থ অপেক্ষা এক প্রকার বিকাশ,পূর্ণতা এবং একটা কিছুর প্রাচুর্য উপস্থিত। তাহলে“
প্রতিটি সৃষ্টিশীল বিষয়ই একটি অস্তিত্বদানকারী কারণের উপর নির্ভরশীল,যা ঐ বিষয়ের পূর্বসূরী”
এর আলোকে প্রশ্ন করা যায় যে,এ‘
প্রাচুর্য’
কোথা থেকে অর্জিত হয়েছে এবং কিরূপে এর আবির্ভাব ঘটেছে?
প্রথম জবাব
: এ‘
প্রাচুর্য’
স্বয়ং পদার্থ থেকেই অর্জিত হয়েছে। চিন্তা,অনুভূতি ও প্রাণহীন পদার্থই বিবর্তন ও বিকাশের মাধ্যমে চিন্তা,অনুভূতি ও প্রাণের সৃষ্টি করে। অর্থাৎ পদার্থের সরলতম রূপই হলো পদার্থের পূর্ণাঙ্গ রূপের অস্তিত্ব দানকারী কারণ।
কিন্তু এ জবাবটি পূর্বোল্লিখিত দ্বিতীয় বিষয়টির ( অর্থাৎ নিম্ন পর্যায়ের বস্তু কখনও উচ্চ পর্যায়ের বস্তুর অস্তিত্বগত কারণ হতে পারে না) সাথে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে। লক্ষ্য করুন : মৃত পদার্থ যা স্বয়ং প্রাণের অধিকারী নয় তা নিজের জন্য এবং অপর পদার্থের জন্য অনুভূতি,অনুধাবন ও প্রাণের সঞ্চার করে যা ইংরেজি না জানা ব্যক্তির ইংরেজি শিখানো কিংবা ক্ষীণ আলোক থেকে তীব্র আলোকের উৎপত্তি অথবা সম্পদহীন বা দরিদ্র ব্যক্তির অর্থনৈতিক পরিকল্পনা করার মতোই।
দ্বিতীয় জবাব
: পদার্থের উপর এ প্রাচুর্য এমন এক স্থান থেকে অর্জিত হয় যা এ‘
প্রাচুর্যের’
অধিকারী অর্থাৎ প্রাণ চিন্তা ও অনুভূতিতে পরিপূর্ণ। আর তা মহান আল্লাহ ব্যতীত অন্য কিছুই নয়। অতএব,একমাত্র মহান আল্লাহই তাঁর প্রজ্ঞা,পরিচালনা ও প্রতিপালনের মাধ্যমে পদার্থের বিকাশ ও বিবর্তন পদার্থের মাঝে অর্পণ করেন।
পবিত্র কোরআনে আমরা দেখতে পাই :
وَ لَقَدْ خَلَقْنا الاِنْسانَ مِنْ سُلالَةٍ مِنْ طِينٍ * ثُمَّ جَعَلْنَاهُ نُطْفَةً في قرارٍ مَكِينٍ * ثُمَّ خَلَقْنَا النُّطْفَةَ عَلَقَةً فَخَلَقْناَ العَلَقَةَ مُضْغَةً فَخَلَقْناَ المُضْغَةَ عِظَاماً فَكَسَوْناَ العِظاَمَ لَحْماً ثُمَّ أنْشَأناهُ خَلْقاً آخَرَ فَتَباَرَكَ اللهُ أحْسَنُ الخاَلِقِينَ.
“
এবং আমরা মানুষকে কাদা মাটির নির্যাস হইতে সৃষ্টি করিয়াছি;
অতঃপর আমরা তাহাকে সংস্থাপন করি শুক্রবিন্দুরূপে এক নিরাপদ
অবস্থানস্থলে;
অতঃপর আমরা সেই শুক্র বিন্দুকে এক আঠালো জমাট রক্তপিণ্ডে পরিণত করিলাম,
তৎপর সেই আঠালো জমাট রক্তপিণ্ডকে মাংসপিণ্ডে পরিণত করিলাম,
অতঃপর সেই মাংসপিণ্ডকে অস্থিপুঞ্জে পরিণত করিলাম,
ইহার পর সেই অস্থিপুঞ্জকে আমরা মাংস দ্বারা আবৃত করিলাম,
অতঃপর উহাকে অপর এক সৃষ্টিতে পরিণত করিলাম। সুতরাং অতিশয় বরকতময় সেই আল্লাহ,
যিনি সর্বোত্তম সৃষ্টিকারী।
”
(সূরা মুমিনুন : ১২-১৪)
সুতরাং একমাত্র এ জবাবটির মাধ্যমেই আমরা পূর্বোল্লিখিত তিনটি বিষয়কে প্রতিষ্ঠা এবং এ বিশ্বে বস্তুরূপের বিকাশ ও পূর্ণতার যুক্তিসংগত ও বুদ্ধিবৃত্তিক ব্যাখ্যা প্রদান করতে পারি।
পবিত্র কোরআন তার কিছু আয়াতে মানুষের সহাজাত প্রবৃত্তি (ফেতরাত) ও বিবেককে (عقل
) উদ্দেশ্য করে বলে :
اَفَرَئيْتُمْ مَا تُمْنُونَ * أأنْتُمْ تَخْلُقُونَهُ أمْ نَحْنُ الخَالِقُونَ
“
তোমরা (
নারীগর্ভে)
যে বীর্যপাত কর,
উহার বিষয়ে কি চিন্তা করিয়াছ?
তোমরাই কি উহা সৃষ্টি কর,
না আমরা উহার সৃষ্টিকর্তা?
”
(সূরা ওয়াকিয়াহ্ : ৫৮-৫৯)
اَفَرَئيْتُمْ مَا تَحْرُثُونَ * أأنْتُمْ تَزْرَعُونَهُ أمْ نَحْنُ الزَّارِعُونَ
“
তোমরা কি চিন্তা করিয়াছ যাহা তোমরা ক্ষেতে বপণ কর?
তোমরাই কি উহা উৎপন্ন কর,
না আমরা উহার উৎপাদনকারী?
”
(সূরা ওয়াকিয়াহ্ : ৬৩ ও ৬৪)
اَفَرَئيْتُمْ النَّارَ الَّتي تُورُونَ * أأنْتُمْ أنْشَأْتُمْ شَجَرَتهَاَ أمْ نَحْنُ المُنْشِئُونَ
“
তোমরা কি সেই আগুন সম্বন্ধে চিন্তা করিয়াছ যাহা তোমরা জ্বালাইয়া থাক?
তোমরাই কি উহার (
জন্য)
বৃক্ষকে উৎপন্ন করা,
না আমরা (
উহার)
উৎপাদনকারী?
”
(সূরা ওয়াকিয়াহ্ : ৭১ ও ৭২)
وَمِنْ آياَتِهِ أَنْ خَلَقًكُمْ مِنْ تُرَابٍ ثُمَّ اِذَا أنْتُمْ بَشَرٌ تَنْتَشِرُونَ
“
এবং তাঁহার নিদর্শনাবলীর মধ্যে ইহাও একটি (
নিদর্শন)
যে,
তিনি তোমাদিগকে মাটি হইতে সৃষ্টি করিয়াছেন,
অতঃপর দেখ,
তোমরা মানুষরূপে (
সমস্ত পৃথিবীতে)
ছড়াইয়া পড়িতেছ।
”
(সূরা রূম : ২০)