ز
২৭। যুবাইদ ইবনে হারিস ইবনে আবদুল করিম (ইয়ামী আবু আবদুর রহমান)
তিনি কুফার অধিবাসী ছিলেন। যাহাবী তাঁর‘
মিযানুল ই’
তিদাল’
গ্রন্থে তাঁর সম্পর্কে বলেছেন,“
তিনি তাবেয়ীদের অন্তর্ভুক্ত,নির্ভরযোগ্য ও শিয়া।”
অতঃপর কাত্তানের সূত্রে বলেছেন,“
তিনি একজন বিশ্বস্ত রাবী।”
তাছাড়া হাদীস বিশ্লেষণশাস্ত্রের
পণ্ডিতগণের অনেকেই তাঁকে নির্ভরযোগ্য বলেছেন বলে কাত্তান উল্লেখ করেছেন।
আবু ইসহাক জাওযাজানী অন্যান্য আহলে বাইত বিদ্বেষীদের ন্যায় বিক্ষিপ্তভাবে তাঁর সম্পর্কে যা বলেছেন তা হলো : কুফাবাসীদের অনেকেই যদিও প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিসদের অন্তর্ভুক্ত তদুপরি তাঁদের মাজহাব জনসাধারণের নিকট প্রশংসনীয় নয়,যেমন আবু ইসহাক,মানসুর,যুবাইদ ইয়ামী,আ’
মাশ এবং এদের সমবয়সী ও নিকটবর্তী অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ। কিন্তু জনসাধারণ তাঁদের সত্যবাদিতার কারণে তাঁদের হাদীসকে গ্রহণ করেন। অবশ্য হাদীস মুরসাল (সনদ বা রাবী উহ্য থাকলে) হলে তা গ্রহণ করতেন না।
লক্ষ্য করুন অবশেষে সত্য তাঁর মুখ হতে উৎসারিত হয়েছে। আহলে বাইত বিদ্বেষী হওয়া সত্ত্বেও এক্ষেত্রে তিনি ইনসাফ রক্ষা করেছেন। প্রকৃতপক্ষে এই শিয়া হাদীসবিদ মহান ব্যক্তি,মুহাদ্দিসদের শিরোমণি হওয়া সত্ত্বেও অধিকাংশ সময়ই অন্যায় আচরণের শিকার হয়েছেন,এমন কি আহলে বাইত বিদ্বেষী কোন ব্যক্তি যে তাঁদের মাজহাবকে (যে মাজহাবের উৎস রাসূল (সা.)-এর বংশধারার পবিত্র ব্যক্তিগণ,ক্ষমার দ্বার,পৃথিবীর নিরাপদ আশ্রয়,উম্মতের মুক্তির তরণি) প্রশংসার চোখে দেখতে নারাজ এমন ব্যক্তিও বাধ্য হয়ে এ ব্যক্তিবর্গের দ্বারস্থ হয়েছেন ও তাঁদের জ্ঞান সমুদ্র হতে লাভবান হবার প্রচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছেন ও নিজেকে এক্ষেত্রে তাঁদের অমুখাপেক্ষী ভাবতে পারছেন না।
আরব কবি এ বিষয়ে সুন্দর বলেছেন,
إذا رضيت عنّي كرام عشيرتي
|
|
فلا زال غضباناً عليّ لئامها
|
“
যদি আমার গোত্রের সম্ভ্রান্ত ও উদার ব্যক্তিরা আমার প্রতি সন্তষ্ট হয় তবে তাদের হীন ও সংকীর্ণ ব্যক্তিদের নিন্দার ভয় আমি করি না।”
তাই এই মহান ব্যক্তিগণ জাওযাজানী ও তাঁর মত লোকদের প্রতি কোন ভ্রক্ষেপই করেন না যখন সিহাহ সিত্তাহ্ ও সুনানের বড় ব্যক্তিত্বগণ তাঁদের হাদীসের ওপর দলিল-প্রমাণ উপস্থাপনের ক্ষেত্রে নির্ভর করেছেন। নিশ্চয়ই সহীহ বুখারী ও মুসলিম আপনার নিকট রয়েছে সেখানে আবু ওয়াইল,শো’
বা,ইবরাহীম নাখয়ী এবং সা’
দ ইবনে উবাইদা হতে যুবাইদ যেসকল হাদীস বর্ণনা করেছেন তা পড়ুন।
কিন্তু মুজাহিদ হতে তাঁর বর্ণিত হাদীস শুধু বুখারীতে রয়েছে। সহীহ মুসলিমে তিনি মুররা হামাদানী,মুহাবির ইবনে দাসসার,আম্মারাহ্ ইবনে উমাইর এবং ইবরাহীম তায়িমী হতে হাদীস বর্ণনা করেছেন।
অন্যদিকে শো’
বা,সুফিয়ান সাওরী,মুহাম্মদ ইবনে তালহা তাঁর থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন যা বুখারী ও মুসলিমে রয়েছে ও সহীহ মুসলিমে যুহাইর ইবনে মুয়াবিয়া,ফুজাইল ইবনে গাজওয়ান এবং হুসাইন নাখয়ী তাঁর সূত্রে হাদীস বর্ণনা করেছেন।
যুবাইদ ১২৪ হিজরীতে মৃত্যুবরণ করেন।
২৮। যাইদ ইবনে হাব্বাব কুফী (আবুল হাসান তামিমী)
ইবনে কুতাইবা তাঁর‘
মা’
আরিফ’
গ্রন্থে তাঁকে শিয়া রাবী ও রিজালের অন্তর্ভুক্ত বলেছেন। যাহাবী তাঁর‘
মিযানুল ই’
তিদাল’
গ্রন্থে তাঁকে আবেদ,বিশ্বস্ত,সত্যবাদী বলে প্রশংসা করেছেন। ইবনে মুঈন এবং ইবনে মাদীনীর সূত্রেও তিনি যাইদের বিশ্বস্ততাকে সত্যায়ন করেছেন। আবু হাতেম ও আহমাদ তাঁর সত্যবাদিতাকে প্রশংসনীয়ভাবে উল্লেখ করেছেন।
ইবনে আদীর ভাষায়“
যাইদ ইবনে হাব্বাব একজন পবিত্র স্বভাবের মানুষ। তাঁর সত্যবাদিতার বিষয় সন্দেহাতীতভাবে কুফাবাসীদের নিকট প্রমাণিত।”
মুসলিম তাঁর বর্ণিত হাদীস হতে প্রমাণ উপস্থাপন করেছেন। যে সকল হাদীস তিনি মুয়াবিয়া ইবনে সালিহ,সাহ্হাক ইবনে উসমান,কুররাহ্ ইবনে খালিদ,ইবরাহীম ইবনে নাফে,ইয়াহিয়া ইবনে আইউব,সাইফ ইবনে সুলাইমান,হাসান ইবনে ওয়াকিদ,ইকরামা ইবনে আম্মার,আবদুুল আযীয ইবনে আবি সালমা এবং আফলাহ্ ইবনে সাঈদ হতে বর্ণনা করেছেন তা সহীহ মুসলিমে রয়েছে।
এছাড়া সহীহ মুসলিমে তাঁর হতে ইবনে আবি শাইবা,মুহাম্মদ ইবনে হাতেম,হাসান হালওয়ানী,আহমাদ ইবনে মুনযির,ইবনে নুমাইর,ইবনে কুরাইব,মুহাম্মাদ ইবনে রাফে,জুহাইর ইবনে হারব ও মুহাম্মদ ইবনে ফারাজ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
২৯। সালিম ইবনে আবিল জা’
দ আশজাঈ কুফী
উবাইদ,যিয়াদ,ইমরান ও মুসলিম এরা সকলেই আবুল জা’
দের পুত্র। ইবনে সা’
দ তাঁর‘
তাবাকাত’
গ্রন্থের ৬ষ্ঠ খণ্ডের ২০৩ পৃষ্ঠায় এদের সকলকে স্মরণ করেছেন। সেখানে মুসলিমের পরিচয় দিতে গিয়ে তিনি বলেছেন,“
আবুল জা’
দের ছয় পুত্রসন্তান ছিল। যাঁদের দু’
জন শিয়া,এরা হলেন সালিম ও উবাইদ। দু’
জন মুর্জিয়া আকীদায় বিশ্বাসী ও খারেজী ছিল। তাঁদের পিতা তাঁদের সব সময় বলতেন : আমার সন্তানগণ! কেন তোমরা বিভিন্ন মতবাদে বিভক্ত হয়ে পড়েছ?”
সালিম ইবনে আবিল জা’
দ সম্পর্কে কয়েকজন প্রসিদ্ধ রিজালশাস্ত্রবিদের মন্তব্য হলো : তিনি শিয়া ছিলেন। ইবনে কুতাইবাও তাঁর‘
মা’
আরিফ’
গ্রন্থের ২০৬ পৃষ্ঠায় তাঁকে শিয়া রিজাল হিসেবে বর্ণনা করেছেন। শাহরেস্তানী তাঁর‘
মিলাল ওয়ান নিহাল’
-এ তাঁকে শিয়া রিজাল বলেছেন। যাহাবী তাঁর‘
মিযানুল ই’
তিদাল’
গ্রন্থে সালিমকে নির্ভরযোগ্য তাবেয়ীদের মধ্যে গণ্য করেছেন ও বলেছেন,“
তিনি নোমান ইবনে বাশীর এবং জাবির হতে কয়েকটি হাদীস বর্ণনা করেছেন যা সহীহ বুখারী ও মুসলিমে এসেছে।”
আমার জানা মতে সহীহ বুখারী ও মুসলিমে তিনি আনাস ইবনে মালিক এবং কুরাইব হতেও হাদীস বর্ণনা করেছেন যা আগ্রহী অনুসন্ধানকারীরা খুঁজে দেখতে পারেন।
যাহাবী বলেছেন,“
আবদুল্লাহ্ ইবনে উমর এবং ইবনে আমর হতেও তাঁর রেওয়ায়েত সহীহ বুখারীতে রয়েছে।”
তাছাড়া সহীহ বুখারীতে উম্মে দারদা হতেও তাঁর হাদীস এসেছে। সহীহ মুসলিমে মা’
দান ইবনে আবি তালহা ও তাঁর পিতা হতে সালিমের বর্ণিত হাদীস রয়েছে।
তিনি ৯৭ বা ৯৮ হিজরীতে সুলাইমান ইবনে আবদুল মালিকের শাসনামলে মৃত্যুবরণ করেন। অনেকে বলেছেন তিনি উমর ইবনে আবদুল আযীযের শাসনকালে ১০১ বা ১০২ হিজরীতে ইহলোক ত্যাগ করেন।
৩০। সালিম ইবনে আবি হাফসা আজলী (কুফার অধিবাসী)
শাহরেস্তানী তাঁর‘
মিলাল ওয়ান নিহাল’
গ্রন্থে তাঁকে শিয়া রিজালের অন্তর্ভুক্ত বলেছেন। ফালাস বলেছেন,“
তিনি দুর্বল রাবী এবং শিয়া হিসেবে কট্টর।”
ইবনে আদী বলেছেন,“
তাঁর ত্রুটি হলো নবীর আহলে বাইত সম্পর্কে অতিরঞ্জিত বিশ্বাস রাখা যদিও আমার মতে এটি সমস্যা নয়।”
মুহাম্মদ ইবনে বাশির আবদি বলেছেন,“
সালিম ইবনে আবি হাফসা লম্বা দাড়ি বিশিষ্ট একজন আহমক ব্যক্তি। সে বলত : আহ! যদি সব কিছুতেই আলী (আ.)-এর সহযোগী ও শরীক হতে পারতাম!”
হুসাইন ইবনে আলী জো’
ফী বলেছেন,“
সালিম ইবনে আবি হাফসাকে লম্বা দাড়ির নির্বোধ ব্যক্তি মনে হয়েছে,যে সব সময় বলত : বৃদ্ধ ইহুদীর হত্যাকারী আমি উপস্থিত হয়েছি। বনি উমাইয়্যার ধ্বংসকারী আমি উপস্থিত হয়েছি।”
আমর ইবনে যার সালিম ইবনে হাফসাকে বললেন,“
তুমি হযরত উসমানকে হত্যা করেছ।”
সে আশ্চর্য হয়ে বললো,“
আমি?”
আমর বললেন,“
হ্যাঁ,তুমি যেহেতু তাঁর হত্যায় খুশী হয়েছ,সেহেতু তুমি তাঁর হত্যার অংশীদার।”
আলী ইবনে মাদীনী বলেছেন,“
জারিরকে বলতে শুনেছি,সালিম ইবনে আবি হাফসাকে আমি ত্যাগ করেছি এজন্য যে,সে শিয়াদের পক্ষ সমর্থন করত ও শিয়াদের শত্রুদের বিরুদ্ধে কঠিন প্রতিরোধের আশ্রয় নিত।”
উপরোক্ত বিষয়গুলো যাহাবী সালিমের পরিচয় পর্বে এনেছেন।
মুহাম্মদ ইবনে সা’
দ তাঁর‘
তাবাকাত’
গ্রন্থের ৬ষ্ঠ খণ্ডের ২৩৪ পৃষ্ঠায় তাঁর (সালিমের) পরিচয় বর্ণনা করে বলেছেন,“
শিয়া বিশ্বাসে তিনি খুবই কট্টর ছিলেন। সালিম বনি আব্বাসের শাসনকালে একবার মক্কায় প্রবেশ করেছিল আর চিৎকার করে বলছিলেন : বনি উমাইয়্যাদের ধ্বংসকারী আমি উপস্থিত হয়েছি (তোমাদের সহযোগিতার জন্য এসেছি)। এসময় তাঁর কণ্ঠ সুস্পষ্ট ও উচ্চ ছিল। তাঁর কথা যখন দাউদ ইবনে আলীর কানে পৌঁছল সে প্রশ্ন করল : লোকটি কে? তাকে বলা হলো : লোকটি সালিম ইবনে আবি হাফসা। লোকেরা দাউদকে তাঁর আকীদা-বিশ্বাস সম্পর্কে জানাল।”
যাহাবী তাঁর‘
মিযানুল ই’
তিদাল’
গ্রন্থে বলেছেন,“
তিনি ঐ সকল লোকের অন্তর্ভুক্ত যারা হযরত আবু বকর এবং হযরত উমরকে সমালোচনার দৃষ্টিতে দেখেন ও তাঁদের ত্রুটি তুলে ধরে পর্যালোচনা করেন।”
এতদ্সত্ত্বেও সুফিয়ান সাওরী,সুফিয়ান ইবনে উয়াইনা এবং মুহাম্মদ ইবনে ফুযাইল তাঁর থেকে হাদীস শিক্ষা করেছেন এবং তিরমিযী তাঁর হাদীস গ্রন্থে তাঁর বর্ণিত হাদীস হতে প্রমাণ উপস্থাপন করেছেন। ইবনে মুঈন তাঁকে নির্ভরযোগ্য বলেছেন।
তিনি ১৩৭ হিজরীতে মৃত্যুবরণ করেন।
৩১। সা’
দ ইবনে তারিফ ইসসকাফ হানজালী (কুফার অধিবাসী)
যাহাবী তাঁর পরিচিতি পর্বে তাঁর নামের পার্শ্বে(ت,ق)
লিখেছেন এটি বুঝানোর জন্য যে,সুনান লেখকগণ তাঁর হাদীস বর্ণনা করেছেন। অতঃপর ফালাসের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন,“
সা’
দ দুর্বল রাবী এবং শিয়া মতবাদে বাড়াবাড়ি করে থাকেন।”
কিন্তু তাঁর এই বাড়াবাড়ির বিষয়টি তিরমিযী ও অন্যদের তাঁর হাদীস গ্রহণের পথে অন্তরায় হয় নি। তাই তিনি ইকরামা,আবু ওয়াইল,আসবাগ ইবনে নুবাতাহ্,ইমরান ইবনে তালহা এবং উমাইর ইবনে মামুন হতে যেসব হাদীস বর্ণনা করেছেন তিরমিযী তা নকল করেছেন। এছাড়া তাঁর বর্ণিত হাদীস যা ইসরাঈল,হাব্বান ও আবু মুয়াবিয়া বর্ণনা করেছেন তা তিরমিযীতে রয়েছে।
৩২। সাঈদ ইবনে আশওয়া
যাহাবী তাঁর‘
মিযানুল ই’
তিদাল’
গ্রন্থে তাঁর সম্পর্কে বলেছেন,“
সাঈদ ইবনে আশওয়া (বুখারী ও মুসলিমে বর্ণিত) কুফার কাজী,একজন সৎ ব্যক্তি ও সত্যবাদী হিসেবে সবার নিকট পরিচিত।”
নাসায়ী বলেছেন,“
তিনি ত্রুটি মুক্ত।”
তাঁর সঙ্গে সাঈদ ইবনে আমর ও শো’
বার বন্ধুত্ব ছিল। জাওযাজানী তাঁকে বিচ্যুত,অতিরঞ্জনকারী ও কট্টর শিয়া বলে উল্লেখ করেছেন।
অথচ বুখারী ও মুসলিম তাঁর বর্ণিত হাদীস হতে প্রমাণ উপস্থাপিত করেছেন এবং শো’
বা হতে তাঁর বর্ণিত হাদীস দু’
টি সহীহতেই বর্ণিত হয়েছে। যাকারিয়া ইবনে আবি যায়িদাহ্ এবং খালিদ খাজা বুখারী ও মুসলিমের নিকট তাঁর হতে হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি খালিদ ইবনে আবদুল্লাহর শাসনামলে মৃত্যুবরণ করেন।
৩৩। সাঈদ ইবনে খাইসাম হেলালী
ইবরাহীম ইবনে আবদুল্লাহ্ ইবনে জুনাইদ বলেছেন,“
ইয়াহিয়া ইবনে মুঈনকে বলা হলো : সাঈদ ইবনে খাইসাম শিয়া,তাঁর ব্যাপারে আপনার কি মনে হয়? তিনি জবাব দিলেন : তিনি শিয়া হলেও বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য।”
যাহাবী তাঁর‘
মিযানুল ই’
তিদাল’
গ্রন্থে ইবনে মুঈন হতে উপরোক্ত কথাগুলো বলেছেন। তিনি তাঁর নামের পার্শ্বে সাংকেতিক অর্থে তিরমিযী ও নাসায়ী লিখেছেন কারণ তাঁরা তাঁদের সহীহ হাদীসগ্রন্থে তাঁর হাদীস বর্ণনা করেছেন। তাছাড়া যাহাবী আরো উল্লেখ করেছেন সাঈদ,ইয়াহিয়া ইবনে আবি যিয়াদ ও মুসলিম মালাঈ হতে হাদীস বর্ণনা করেছেন এবং তাঁর ভ্রাতুষ্পুত্র আহমাদ ইবনে রাশিদ তাঁর থেকে হাদীস নকল করেছেন।