আল মুরাজায়াত

আল মুরাজায়াত0%

আল মুরাজায়াত লেখক:
: আবুল কাসেম
প্রকাশক: এস. এম. আলীম রেজা ৯৩,আরামবাগ,ঢাকা।
বিভাগ: ইতিহাস

আল মুরাজায়াত

লেখক: আল্লামাহ্ সাইয়্যেদ আবদুল হুসাইন শারাফুদ্দীন আল মুসাভী
: আবুল কাসেম
প্রকাশক: এস. এম. আলীম রেজা ৯৩,আরামবাগ,ঢাকা।
বিভাগ:

ভিজিট: 66920
ডাউনলোড: 8915

পাঠকের মতামত:

আল মুরাজায়াত
বইয়ের বিভাগ অনুসন্ধান
  • শুরু
  • পূর্বের
  • 133 /
  • পরের
  • শেষ
  •  
  • ডাউনলোড HTML
  • ডাউনলোড Word
  • ডাউনলোড PDF
  • ভিজিট: 66920 / ডাউনলোড: 8915
সাইজ সাইজ সাইজ
আল মুরাজায়াত

আল মুরাজায়াত

লেখক:
প্রকাশক: এস. এম. আলীম রেজা ৯৩,আরামবাগ,ঢাকা।
বাংলা

চৌষট্টিতম পত্র

৪ সফর ১৩৩০ হিঃ

১।   আমরা ঐ হাদীসগুলো আপনার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বর্ণনা করেছিলাম।

২।   আমাদের দলিল এখানে আহলে সুন্নাহর সহীহ হাদীসসমূহ।

৩।   আহলে সুন্নাহর বর্ণনাকারীরা কেন এ হাদীসগুলো বর্ণনা করেন নি তার কারণ।

৪।   আলীর উত্তরাধিকারিত্বের প্রতি ইঙ্গিতপূর্ণ ওয়ারাসাতের হাদীস (উত্তরাধিকার ও উত্তরসূরীর হাদীস)।

১। আমরা পূর্ববর্তী পত্রের হাদীসগুলো আপনার আহ্বানেই বর্ণনা করেছিলাম যাতে এ বিষয়টির ওপর আপনার মোটামুটি ধারণা অর্জিত হয়।

২। আপনার প্রশ্নের বিপরীতে আমাদের উপস্থাপিত দলিল আহলে সুন্নাহরই হাদীসসমূহ যা পূর্বে উল্লেখ করেছি।

৩। কিন্তু আহলে সুন্নাহর মুহাদ্দিস ও আলেমরা কেন এ হাদীসগুলো বর্ণনা করেন নি তার কারণ সুস্পষ্ট। একদল ব্যক্তি রাসূলের আহলে বাইতের প্রতি তাদের মনে শত্রুতা পুষে রেখেছিল। প্রথম যুগেই এই অহংকারী ও ক্ষমতাকাঙ্ক্ষী গোষ্ঠী আহলে বাইতের ফজীলত গোপন করে এই নূরকে প্রশমিত করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালায়। হাদীসের প্রচার রুদ্ধ করার মাধ্যমে তারা মানুষকে আহলে বাইতের ফজীলত ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কিত হাদীস প্রচারে বাধা দান করে। কখনো কখনো তারা এ উদ্দেশ্যে অর্থের বিনিময়ে লোভ দেখিয়ে,কখনো বা তাদের ক্ষমতা ও পদমর্যাদা ব্যবহারের মাধ্যমে তরবারী ও চাবুকের ভীতি প্রদর্শন করে এ পন্থা অব্যাহত রাখে। যারা আহলে বাইতের ফজীলত বর্ণনা করত তাদের তারা নির্বাসন দিত অথবা হত্যা করত এর বিপরীতে আহলে বাইতের ফজীলত অস্বীকারকারীদের আশ্রয় দিত ও পৃষ্ঠপোষকতা করত।

আপনি এ বিষয়ে ভালভাবেই অবগত যে,ইমামত ও খেলাফতের দলিল-প্রমাণ,প্রতিশ্রুতি ও চুক্তিসমূহ এমন একটি বিষয় যা হতে এই অত্যাচারীরা ভীত ছিল। কারণ তাদের অত্যাচার ও শাসনের প্রাসাদ এতে ভূলুণ্ঠিত এবং সাম্রাজ্যের ভিত্তি মূলোৎপাটিত হত। তাই এ সকল শাসক ও তাদের পক্ষের নিকৃষ্ট ব্যক্তিবর্গ যারা তাদের প্রভুদের নৈকট্য ও সন্তুষ্টির জন্য কাজ করত তাদের হতে অক্ষতাবস্থায় বিভিন্ন সূত্রে বর্ণিত এ হাদীসসমূহ আমাদের নিকট পৌঁছা সত্যিই আল্লাহর নিদর্শন ও মু জিযা ব্যতীত সম্ভব নয়। আপনি পূর্ণরূপে অবগত আছেন আহলে বাইতের পদ ও মর্যাদার অবৈধ দখলদাররা আহলে বাইত এবং তাদের বন্ধু ও অনুসারীদের ওপর চরম অত্যাচার চালাত,তাদের শ্মশ্রু মুণ্ডিত করে অপমানের উদ্দেশ্যে বাজারে বাজারে ঘুরাত,তাদের সকল অধিকার হতে বঞ্চিত করত,এ প্রক্রিয়া ততক্ষণ চলত যতক্ষণ না তারা দুর্বল এবং শাসকদের ন্যায় বিচারের আশা হতে নিস্পৃহ হত।৩৯৬

যে কেউ আলী (আ.)-কে সম্মানের সঙ্গে স্মরণ করত তাকে প্রত্যাখ্যান করা হত এবং তার ওপর সব ধরণের মুসিবত নেমে আসত,তার ধন-সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হত,কখনো কখনো আলীর ফজীলত বর্ণনাকারীর জিহ্বা কর্তন করা হত,আলীর প্রতি নত চক্ষুসমূহকে উৎপাটন করা হত। কত হাত আলীর সঙ্গে থাকার কারণে কাটা হয়েছে! কত পা তাঁর নিকট গমনের কারণে শরীর হতে বিচ্ছিন্ন হয়েছে! কত লোককে তাঁর অনুসারী হবার কারণে হত্যা করা হয়েছে! তাঁদের ঘরে আগুন দেয়া হয়েছে,তাঁদের শস্যক্ষেত্র ও খেজুর বাগান ধ্বংস করা হয়েছে,তাঁদের নির্বাসন দেয়া হয়েছে- এ সবের ইয়ত্তা নেই। তাই তাঁর অনুসারীরা বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে।

অন্যদিকে হাদীসের হাফিয ও সংরক্ষণকারীদের অনেকেই এক অর্থে এ সকল অত্যাচারী শাসক ও তাদের কর্মচারীদের উপাসনা করত;আল্লাহকে নয়,বরং তাদের সামনেই মাথা নত বা রুকু করত। তাদের সব ধরনের বিকৃত কর্মকে সমর্থন দিত ও অন্যায় কর্মগুলোকে সংস্কার বলে চালানোর প্রয়াস পেত। এখনও যেমন আমরা দেখি চাটুকার ও তোষামোদকারী আলেম ও বিভ্রান্ত বিচারকরা (কাজী) শাসকদের মনঃতুষ্টির জন্য একে অপরের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত,তাদের ন্যায়-অন্যায় সকল নির্দেশকে জায়েয বলে ঘোষণা দেয়। শাসকরা কখনোই চায় না নিজেদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের পরিপন্থী ফতোয়া প্রচলিত হোক,বরং তারা চায় বিচারকরা এমন ফতোয়া দান করুন যা তাদের নির্দেশকে জায়েয ও শত্রুদের নিয়ন্ত্রণকে সহজ করে দেয়। এতে তাদের মাথা ব্যথা নেই যে,এ নির্দেশ কোরআন,সুন্নাহ্ ও উম্মতের ইজমার পরিপন্থী হলো কি না। কারণ তারা সম্মান ও পদলোভী। এই আলেমরা কখনো পদচ্যুতির ভয়ে,কখনো পদোন্নতির আশায় এরূপ অন্যায় কাজ করত। পদলিপ্সাহীন পবিত্র ব্যক্তিবর্গ যাঁরা স্বৈরাচারী শাসকের অনুগত নন তাঁদের সঙ্গে এ সকল দুনিয়ালোভী আলেমদের পার্থক্য অনেক। চরিত্রহীন এ আলেমদেরই প্রয়োজন ছিল শাসকগোষ্ঠীর। কারণ সৎ ও ন্যায়বান আলেমদের মোকাবিলায় ঐ গোষ্ঠীভূত আলেমরা তাদের  ফতোয়ার মাধ্যমে আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করত। এই নিকৃষ্ট আলেমরা শাসকগোষ্ঠীর নিকট বিশেষ মর্যাদার কারণে সম্পদের অধিকারী হয়েছিল। তাই শাসকদের অনুকূলে হযরত আলী ও আহলে বাইতের শান ও ফজীলত বর্ণনা হতে বিরত থাকত এবং এ বিষয়ে চরম বিরোধিতা প্রদর্শন করত। এতদুদ্দেশ্যে তারা এ সম্পর্কিত সহীহ হাদীসগুলোকে অস্বীকার করত এবং বিভিন্ন অজুহাতে সেগুলোর গ্রহণযোগ্যতা কমানোর চেষ্টা করত। যেমন বলত এ সকল হাদীসের বর্ণনাকারীরা রাফেযী তাই গ্রহণ করা যাবে না এবং রাফেযীরা তাদের নিকট সবচেয়ে নিন্দনীয় গোষ্ঠী ছিল।

আলী (আ.) সম্পর্কিত যে সকল হাদীস হতে শিয়ারা দলিল আনত তারা এভাবে সেগুলোকে অস্বীকার করতে চাইত। এই সকল দরবারী চাটুকার আলেম বহ্যিকভাবে দুনিয়াবিমুখ ও আবেদ কোন ব্যক্তির মুখে এ সকল সহীহ হাদীসের বিপরীতে কিছু শুনত তাদের কথাকে দলিল হিসেবে ব্যবহার করে এ সহীহ হাদীসগুলোর বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রচার চালাত। শাসকদের পক্ষ হতে সকল শহরে এর প্রচার চালাত এবং এটি তাদের একটি মৌল নীতি ছিল।

সে সময় আরেকদল রাবী ছিলেন যাঁরা আলী (আ.) ও আহলে বাইতের শানে বর্ণিত হাদীস বর্ণনা করতে ভয় পেতেন কারণ এই অসহায় ব্যক্তিরা ঐ তোষামোদকারীদের প্রত্যাখ্যাত সহীহ হাদীসগুলো (আহলে বাইত ও আলীর শানে বর্ণিত) সম্পর্কে সঠিক ব্যাখ্যা প্রদান করলে প্রশ্নের সম্মুখীন হতেন। এজন্য তাঁরা সাধারণের বিশ্বাসের পরিপন্থী কিন্তু সঠিক এ চিন্তাকে প্রকাশের জন্য ইশারা ও ইঙ্গিতের আশ্রয় নিতেন যাতে কোন অপ্রত্যাশিত ফিতনার সৃষ্টি না হয় এবং তোষামোদকারীদের রোষ হতে বাঁচা যায়। অজ্ঞ সাধারণ লোকজন কোন চিন্তা ও গবেষণা ছাড়াই ঐ সকল তোষামোদকারী ও চাটুকার দরবারী আলেমের কথায় হৈ চৈ শুরু করত। শাসকগোষ্ঠী জনসাধারণকে হযরত আলীর ওপর লানত করার নির্দেশ দিত। এজন্য ঐ সকল রাবীর ওপর কঠোরতা আরোপ করা হত। কখনো অর্থের লোভ দেখিয়ে,কখনো ভয় দেখিয়ে আলী (আ.)-এর মিথ্যা দোষ-ত্রুটি বর্ণনা করতে বলা হত। শাসক ও তাদের পৃষ্ঠপোষক দরবারী আলেমরা আলীকে জনগণের নিকট এমনভাবে পরিচিত করাত যেন মানুষের মনে তাঁর সম্পর্কে ঘৃণা সৃষ্টি হয়। তাঁর চরিত্র বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে এমন কিছু বলা হত যা শুনলে যে কেউ তাঁর প্রতি বিদ্বেষী হয়ে উঠবে। ঈদ ও জুমআর খুতবায় আলীর ওপর লানত করা বাধ্যতামূলক ছিল এবং এটি মুসলমানদের নীতিতে পরিণত হয়েছিল। যদি এভাবে আল্লাহর নূরকে প্রশমিত করার অপচেষ্টা না চলত তবে তাঁর আউলিয়াদের (আহলে বাইত ও আলীর) ফজীলত ও গুণাবলী এরূপ গোপন থাকত না এবং সুন্নী ও শিয়া উভয় সূত্রে খেলাফতের বিষয়ে সহীহ ও সুস্পষ্ট হাদীসসমূহ আমাদের নিকট পৌঁছাত ও আরো অধিক মুতাওয়াতির হাদীস এ বিষয়ে আমরা পেতাম। আল্লাহর শপথ,আমি আশ্চর্যান্বিত এ ভেবে যে,আল্লাহর রাসূলের ভ্রাতা আলীর ফজীলত তারপরও গোপন থাকে নি এবং তিনি তাঁর বান্দাদের প্রতি তাঁর রহমত প্রকাশ করেছেন,অন্ধকারের পর্দা উন্মোচন ও প্রবল স্রোতকে প্রতিরোধ করে সত্যের সূর্যকে বের করে এনে পৃথিবীকে আলোকিত করেছেন।

৪। এ সকল অকাট্য দলিলের পাশাপাশি আপনাদের সূত্রেই বর্ণিত হাদীসে ওয়ারাসাত এ বিষয়ে একটি সুস্পষ্ট দলিল হিসেবে বিদ্যমান।

ওয়াসসালাম

পঁয়ষট্টিতম পত্র

৫ সফর ১৩৩০ হিঃ

অনুগ্রহপূর্বক আহলে সন্নাহর সূত্রে ওয়ারাসাত -এর হাদীসটি বর্ণনা করুন।

ওয়াসসালাম

ছেষট্টিতম পত্র

৫ সফর ১৩৩০ হিঃ

আলী (আ.) নবী (সা.)-এর উত্তরাধিকারী

এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই যে,রাসূল (সা.) আলীর জন্য জ্ঞান ও প্রজ্ঞাকে উত্তরাধিকার হিসেবে রেখে গিয়েছেন। অন্যান্য নবীদের মত রাসূলও তাঁর স্থলাভিষিক্ত ব্যক্তিকে তাঁর ইলমের (জ্ঞানের) উত্তরাধিকারী করেছেন। তিনি বলেছেন,

أنا مدينة العلم و عليّ بابُها فمن أراد العلم فاليأت الباب

আমি জ্ঞানের শহর আর আলী তার দ্বার। যে কেউ জ্ঞান অর্জন করতে চায় তাকে অবশ্যই দ্বার দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। ৩৯৭

রাসূল (সা.) কখনো আবার বলেছেন, আমি জ্ঞানের ঘর আলী তার দ্বার। তাঁর হতে আরো বর্ণিত হয়েছে, আমার পর জ্ঞানের দ্বার হলো আলী। আমি আমার উম্মতের ওপর রেসালতের যে বিষয়গুলো বর্ণনার দায়িত্বপ্রাপ্ত আলী তার ব্যাখ্যা প্রদান করবে। তার সঙ্গে বন্ধুত্বই ঈমান এবং তার সঙ্গে শত্রুতাই নিফাক (কপটতা)।

যাইদ ইবনে আবি আউফি৩৯৮ সূত্রে বর্ণিত হয়েছে- রাসূল (সা.) আলী (আ.)-কে বলেছেন, তুমি আমার ভ্রাতা ও উত্তরাধিকারী। আলী প্রশ্ন করলেন, আপনার হতে কি উত্তরাধিকার লাভ করবো? তিনি বললেন, যা কিছু আমার পূর্ববর্তী নবী উত্তরাধিকার হিসেবে রেখে গিয়েছেন।

বুরাইদাহর হাদীসে বর্ণিত হয়েছে-আলী ইবনে আবি তালিব রাসূলের উত্তরাধিকারী।৩৯৯ এ বিষয়ে ভীতি প্রদর্শনের দিন বর্ণিত হাদীসটিও লক্ষণীয়।৪০০ আলী (আ.) রাসূলের জীবদ্দশায় প্রায়ই বলতেন, আল্লাহর শপথ,আমি রাসূলের ভ্রাতা,চাচার পুত্র,স্থলাভিষিক্ত ও জ্ঞানের উত্তরাধিকারী। তাই কে আমার চেয়ে তাঁর নিকটবর্তী হবার অধিকতর যোগ্য? ৪০১

একদিন আলীকে প্রশ্ন করা হলো : কিরূপে তুমি চাচার পুত্র হতে উত্তরাধিকারপ্রাপ্ত হলে অথচ চাচা হতে উত্তরাধিকার পাও নি। আলী জবাবে বললেন, রাসূল (সা.) আবদুল মুত্তালিবের

সন্তানদের (পুত্র-প্রপৌত্র সকলকেই) দাওয়াত দিয়ে একত্রিত করেছিলেন। তারা সকলেই যখন খাদ্য গ্রহণে ব্যস্ত ছিলো তখন (রাসূল স্বল্প খাদ্যে তাদের খাবার ব্যবস্থা করেছিলেন,তদুপরি খাদ্য অবশিষ্ট ছিল যেন খাদ্য গ্রহণই করা হয় নি)। রাসূল (সা.) তাদের আহবান করে বললেন : হে আবদুল মুত্তালিবের সন্তানেরা! আমি বিশেষভাবে তোমাদের জন্য এবং সাধারণভাবে সকল মানুষের জন্য নবী হিসেবে আল্লাহর পক্ষ হতে মনোনীত হয়েছি। তোমাদের মধ্যে কে আমার হাতে বাইয়াত করে আমার ভ্রাতা,সাহায্যকারী ও উত্তরাধিকারী হতে রাজী আছ? কেউই সাড়া দিল না। আমি যদিও বয়সে ছোট ছিলাম,তদুপরি দাঁড়িয়ে বললাম : আমি রাজী আছি। তিনি আমাকে বসার নির্দেশ দিলেন। এরূপ তিনবার তিনি আহবান জানালে আমি ব্যতীত কেউই তাঁর ডাকে সাড়া দিল না। তখন তিনি আমার দু হাত ধরে তাঁর উত্তরাধিকারী হিসেবে আমাকে ঘোষণা করলেন। এ কারণেই আমি আমার চাচা হতে উত্তরাধিকার লাভ না করলেও চাচার পুত্র হতে লাভ করবো। ৪০২

কাসেম ইবনে আব্বাস সূত্রে হাকিম তাঁর মুসতাদরাক ৪০৩ গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন,তাঁকে প্রশ্ন করা হলো : আলী কিরূপে রাসূলের উত্তরাধিকার লাভ করেন অথচ তোমরা বঞ্চিত হও? তিনি বলেন, কারণ তিনি প্রথম ব্যক্তি হিসেবে আমাদের মধ্যে রাসূলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন এবং এ পথে সবচেয়ে দৃঢ় ছিলেন।

আমার মতে সাধারণ মানুষরা ভালভাবেই জানত রাসূলের একমাত্র উত্তরাধিকারী আলী (আ.) এবং এ বিষয়ে তারা নিশ্চিত ছিলো যে তাঁর চাচা আব্বাস বা বনি হাশিমের অন্য কেউ এ উত্তরাধিকার পান নি। কিন্তু তারা জানত না কেন আব্বাস বা রাসূলের অন্যান্য চাচার সন্তানরা এ অধিকার পান নি? বা কেন আলী এ অধিকার প্রাপ্ত হয়েছেন এ বিষয়ে তারা অজ্ঞ ছিলো। এ কারণেই তারা কখনো হযরত আলী,কখনো বা কাসেম বা অন্য কাউকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করত। তার দু টি নমুনা আলী (আ.) ও কাসেম ইবনে আব্বাসের উপরোল্লিখিত জবাবসমূহ। তবে প্রকৃত উত্তর হলো এটি যে,মহান আল্লাহ্ পৃথিবীর অধিবাসীদের প্রতি দৃষ্টি দিলেন এবং তন্মধ্যে মুহাম্মদ (সা.)-কে মনোনীত করে রাসূল করলেন। অতঃপর দ্বিতীয়বারের দৃষ্টিতে আলীকে মনোনীত করে তাঁকে রাসূলের সহযোগী ও উত্তরাধিকারী করলেন ও এ বিষয়ে নবীকে অবহিত করলেন।

হাকিম তাঁর মুসতাদরাক গ্রন্থের ৩য় খণ্ডের ১২৫ পৃষ্ঠায় কাসেম ইবনে আব্বাস হতে বর্ণনার পর বলেছেন, প্রধানকাজী (বিচারপতি) আবুল হাসান মুহাম্মদ ইবনে সালেহ হাশিমী আমার নিকট বর্ণনা করেছেন,আবু উমর কাজী কাসেম ইবনে আব্বাসের উদ্ধৃতিটি ইসমাঈল ইবনে ইসহাক কাজীর নিকট বর্ণনা করলে তিনি বলেন : উত্তরাধিকারীরা হয় আত্মীয়তার সম্পর্কের কারণে নতুবা মনোনয়নের মাধ্যমে উত্তরাধিকার পেয়ে থাকে। এ বিষয়ে কোন দ্বিমত নেই যে,চাচার জীবিতাবস্থায় চাচাদের সন্তানরা উত্তরাধিকার পাবে না। কিন্তু আলী রাসূলের স্থলাভিষিক্ত মনোনীত হবার মাধ্যমে তাঁর জ্ঞানের উত্তরাধিকারী হয়েছেন এবং এ বিষয়ে অন্য কারো অংশীদারিত্ব নেই।

এ বিষয়ে বর্ণিত হাদীসসমূহও মুতাওয়াতির। বিশেষত পবিত্র আহলে বাইতের ইমামদের সূত্রে বর্ণিত এ সম্পর্কিত হাদীস উত্তরাধিকারের বিষয়টিকে পরিষ্কার করার জন্য যথেষ্ট।

ওয়াসসালাম

সাতষট্টিতম পত্র

৬ সফর ১৩৩০ হিঃ

স্থলাভিষিক্তের আলোচনা

আহলে সুন্নাহ্ আলী (রা.)-এর স্থলাভিষিক্তের বিষয়টি গ্রহণ করে না। তারা এ সম্পর্কিত হাদীস সম্পর্কে জ্ঞাত নয়। অনুগ্রহপুর্বক এ সম্পর্কিত হাদীস বর্ণনা করুন। ধন্যবাদ।

ওয়াসসালাম

আটষট্টিতম পত্র

৯ সফর ১৩৩০ হিঃ

স্থলাভিষিক্তের হাদীস

স্থলাভিষিক্তের হাদীস নবী (সা.)-এর পবিত্র আহলে বাইত হতে মুতাওয়াতির সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। অন্য সূত্রে বর্ণিত হাদীসগুলো আমরা বিংশতম পত্রে উল্লেখ করেছি যার অন্যতম এই হাদীসটি- রাসূল (সা.) আলী (আ.)-এর পৃষ্ঠে হাত রেখে বললেন,

هذا أخي و وصيّي و خليفتي فيكم فاسمعوا له و أطيعوا

এ আমার ভাই,স্থলাভিষিক্ত ও তোমাদের ওপর আমার প্রতিনিধি। সুতরাং তোমরা তার কথা শোন ও আনুগত্য কর।

মুহাম্মদ ইবনে হামিদ রাযী সালামাহ্ আবরাশ হতে,তিনি ইবনে ইসহাক হতে,তিনি আবু রাবীয়াহ্ আইয়াদি হতে,তিনি ইবনে বুরাইদাহ্ হতে এবং ইবনে বুরাইদাহ্ তাঁর পিতা বুরাইদাহ্ হতে বর্ণনা করেছেন যে,রাসূল (সা.) বলেছেন, প্রত্যেক নবীই স্থলাভিষিক্ত ও উত্তরাধিকারী রেখে গেছেন,আমি আমার স্থলাভিষিক্ত ও উত্তরাধিকারী হিসেবে আলী ইবনে আবি তালিবকে রেখে যাচ্ছি। ৪০৪

তাবরানী তাঁর আল কাবীর গ্রন্থে হযরত সালমান ফারসী হতে বর্ণনা করেছেন,রাসূল (সা.) বলেছেন, আমার স্থলাভিষিক্ত,আমার গোপন রহস্যের কেন্দ্র যে আমার পর সর্বোত্তম ব্যক্তি হিসেবে আমার প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে ও আমার দীনকে রক্ষা করবে সে আলী ইবনে আবি তালিব। ৪০৫ এ হাদীসটিতে সুস্পষ্টরূপে আলী রাসূলের স্থলাভিষিক্ত ও রাসূলের পর সর্বোত্তম ব্যক্তি হিসেবে উল্লিখিত হয়েছেন। রাসূলের খলীফা হিসেবে আলীর আনুগত্য যে অপরিহার্য তা কারো নিকট অস্পষ্ট নয়।

হাফিয আবু নাঈম(*২৪) তাঁর হুলইয়াতুল আউলিয়া গ্রন্থে আনাস ইবনে মালিক হতে বর্ণনা করেছেন,তিনি বলেন, রাসূল (সা.) আমাকে বলেছেন : হে আনাস! সর্বপ্রথম ব্যক্তি হিসেবে এ দ্বার দিয়ে যে ব্যক্তি প্রবেশ করবে সে মুত্তাকীদের ইমাম,মুসলমানদের নেতা,দীনের সর্দার,নবীদের সরাসরি স্থলাভিষিক্তদের সর্বশেষ ব্যক্তি ও উজ্জ্বল মুখাবয়ববিশিষ্ট ব্যক্তিদের প্রধান।

আনাস বলেন, আলী তখন প্রবেশ করলেন ও রাসূল দাঁড়িয়ে তাঁকে সুসংবাদ দিয়ে আলিঙ্গন করে বললেন : তুমি আমার ঋণ পরিশোধকারী,মানুষের নিকট আমার বাণীকে পৌঁছাবার দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং আমার পর তাদের মধ্যকার মতবিরোধে ব্যাখ্যা প্রদানকারী।

তাবরানী তাঁর আল কাবীর গ্রন্থে হযরত আবু আইয়ুব আনসারী হতে বর্ণনা করেছেন,রাসূল (সা.) বলেছেন, হে ফাতিমা! তুমি কি জান না মহান আল্লাহ্ পৃথিবীর দিকে দৃষ্টিপাত করলেন এবং এর অধিবাসীদের মধ্য হতে তোমার পিতাকে নবুওয়াতের জন্য মনোনীত করলেন। অতঃপর দ্বিতীয় বার দৃষ্টি নিক্ষেপ করে তোমার স্বামীকে মনোনীত করলেন এবং আমার প্রতি ওহী (প্রত্যাদেশ) প্রেরণ করলেন যেন তাকে তোমার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করি ও আমার স্থলাভিষিক্ত ঘোষণা করি। ৪০৬

লক্ষ্য করুন,মহান আল্লাহ্ কিরূপে পৃথিবীর অধিবাসীদের মধ্য থেকে শেষ নবীকে মনোনীত করার পর আলীকে মনোনীত করেছেন। এখানে লক্ষণীয় যে,নবী মনোনয়নের বিষয়ের মত তাঁর স্থলাভিষিক্ত মনোনয়নের বিষয়টিও আল্লাহর ইচ্ছাধীন। নিজ কন্যাকে আলীর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করা ও তাঁকে স্থলাভিষিক্ত মনোনীত করার জন্য আল্লাহর ওহী প্রেরণের বিষয়টিও লক্ষ্য করুন। পূর্ববর্তী নবীগণের স্থলাভিষিক্তরা তাঁদের মনোনীত ব্যক্তিবর্গ ব্যতীত অন্য কেউ ছিলেন কি? সুতরাং যে ব্যক্তিকে আল্লাহ্ মনোনীত করেছেন এবং তাঁর সর্বশ্রেষ্ঠ নবীর প্রতিনিধি বানিয়েছেন তাঁকে উপেক্ষা করে অন্য কাউকে প্রাধান্য দেয়া ঠিক হবে কি? অন্য কোন ব্যক্তি তাঁর স্থলাভিষিক্ত ও উত্তরাধিকারী হবার যোগ্যতা রাখে কি? মানুষ যে ব্যক্তিকে শাসক হিসেবে নির্বাচিত করেছে আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের মনোনীত ব্যক্তির ওপর তাকে প্রাধান্য দিয়ে তার আনুগত্যকে ওয়াজিব মনে করা যুক্তিসংগত কি? এটি কিরূপে সম্ভব যে,আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের মনোনীত ব্যক্তিকে উপেক্ষা করে আমরা নিজেরা অন্য ব্যক্তিকে নির্বাচন করি? অথচ কোরআন বলছে, আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল কোন বিষয়ে নির্দেশ দানের পর কোন মুমিন পুরুষ ও নারীর এ বিষয়ে কোন এখতিয়ার নেই। যে কেউ আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের নির্দেশের বিরোধিতা করবে সে স্পষ্ট গোমরাহীতে নিমজ্জিত হবে। (সূরা আহযাব : ৩৬)

এ বিষয়ে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পরস্পর সহায়ক হাদীস এসেছে যে,যখন রাসূল (সা.) হযরত মারিয়মের উত্তরসূরী এবং বেহেশতের নারীদের নেত্রী হযরত ফাতিমাকে আলীর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিলেন তখন সেই সকল ব্যক্তি যাঁরা এ সৌভাগ্যের অধিকারী হতে চেয়ে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন তাঁরা অসন্তুষ্ট হলেন ও হিংসা করতে লাগলেন। কারণ এতে হযরত আলীর শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশিত হলো এবং এ মর্যাদায় পৌঁছার আর কারো অবকাশ রইল না।৪০৭ তাই তাঁরা প্রতিশোধ গ্রহণের জন্য কুৎসা রটনাকারীদের দাওয়াত দিয়ে আনলেন এবং আলীর বিরুদ্ধে কুৎসা রটানোর জন্য হযরত ফাতিমার কাছে তাদের পাঠালেন,যাতে করে তিনি হযরত আলীর প্রতি বিতৃষ্ণ হন। তারা নবী কন্যার নিকট গিয়ে বলল, আলী নিতান্ত দরিদ্র ব্যক্তি তার কোন সম্পদ নেই। কিন্তু তাঁদের এ চক্রান্ত ও অসৎ উদ্দেশ্য হযরত ফাতিমার ওপর কোন প্রভাব ফেলল না এবং তিনি কোন অসন্তুষ্টিও প্রকাশ করলেন না। অবশেষে আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের ইচ্ছার বাস্তবায়ন ঘটল। কিন্তু হযরত ফাতিমা আমীরুল মুমিনীন আলীর ফজীলত ও মর্যাদা প্রকাশের মাধ্যমে শত্রুদের মুখ বন্ধ করার জন্য রাসূল (সা.)-কে প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে কি এমন ব্যক্তির বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করছেন যে কোন সম্পদের অধিকারী নয়? রাসূল (সা.) যে জবাব দিয়েছিলেন তা পূর্বে উল্লেখ করেছি (যে হাদীসটি বেশ কয়েক লাইন পূর্বে তাবরানী সূত্রে আবু আইয়ুব আনসারী হতে বর্ণিত হয়েছে)। এখানে কবিদের ভাষায় বলতে চাই- যখনই আল্লাহ্ চান কোন ব্যক্তির খ্যাতি প্রচার করতে তখনই হিংসুক ও পরনিন্দা চর্চাকারীদের এজন্য (তাঁর খ্যাতি প্রচারের জন্য) ব্যবহার করেন।

খাতীব বাগদাদী তাঁর আল মুত্তাফিক গ্রন্থে ইবনে আব্বাস হতে বর্ণনা করেছেন,যখন রাসূল (সা.) হযরত ফাতিমাকে হযরত আলীর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করেন তখন হযরত ফাতিমা প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে একজন দরিদ্র ব্যক্তির স্ত্রী করলেন? রাসূল (সা.) বললেন, তুমি কি এতে সন্তুষ্ট নও,মহান আল্লাহ্ পৃথিবীবাসীদের প্রতি দৃষ্টি দিয়ে দু ব্যক্তিকে মনোনীত করলেন যার একজন তোমার পিতা আর দ্বিতীয় জন তোমার স্বামী। ৪০৮

হাকিম তাঁর মুসতাদরাক গ্রন্থের ৩য় খণ্ডের ১২৯ পৃষ্ঠায় হযরত আলীর প্রশংসা বর্ণনায় সারীজ ইবনে ইউনুস হতে এবং তিনি আবু হাফস আবার হতে,তিনি আ মাশ হতে,তিনি আবু সালেহ হতে,তিনি আবু হুরাইরা হতে বর্ণনা করেছেন, হযরত ফাতিমা রাসূল (সা.)-কে প্রশ্ন করলেন : হে আল্লাহর নবী! আমাকে আলীর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করেছেন অথচ সে দরিদ্র এবং তার কোন সম্পদ নেই। রাসূল বললেন : তুমি কি এতে সন্তুষ্ট নও যে মহান আল্লাহ্ পৃথিবীবাসীদের প্রতি দৃষ্টি দিয়ে দু ব্যক্তিকে মনোনীত করলেন যার একজন তোমার পিতা এবং অপর জন তোমার স্বামী।

ইবনে আব্বাস হতে বর্ণনা করা হয়েছে তখন রাসূল (সা.) ফাতিমাকে বলেন, তুমি কি এতে সন্তুষ্ট নও,তোমাকে এমন ব্যক্তির বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করছি যে সর্বপ্রথম মুসলমান,সকল মুসলমান হতে জ্ঞানী আর তুমি আমার উম্মতের নারীদের নেত্রী যেমন মরিয়ম তাঁর সময়ের নারীদের নেত্রী ছিলেন। হে ফাতিমা! তুমি কি এতে সন্তুষ্ট নও,মহান আল্লাহ্ পৃথিবীর দিকে দৃষ্টি দিলেন এবং এর অধিবাসীদের মধ্য হতে দু ব্যক্তিকে মনোনীত করলেন যার একজন তোমার পিতা আর অপর জন তোমার স্বামী। ৪০৯

এরপর হতে বিশ্ব নারীনেত্রী হযরত ফাতিমার ওপর যে কোন বিপদ ও মুসিবতই আপতিত হত রাসূল (সা.) তাঁকে আল্লাহ্ প্রদত্ত এই নিয়ামতের (তাঁর উম্মতের সর্বোত্তম ব্যক্তির সঙ্গে বিবাহ) কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে সান্ত্বনা দিতেন।

এরূপ একটি ঘটনা আহমাদ তাঁর মুসনাদ গ্রন্থের ৫ম খণ্ডের ২৬ পৃষ্ঠায় মা কাল ইবনে ইয়াসার হতে বর্ণনা করেছেন, নবী (সা.) একবার হযরত ফাতিমার অসুস্থতার সময় তাঁকে দেখতে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন : কেমন আছ? তিনি জবাব দিলেন : আল্লাহর শপথ,প্রচণ্ড দুঃখ ও কষ্টের মধ্যে নিমজ্জিত আছি। আমার অসুস্থতা দীর্ঘ ও কষ্ট শেষ সীমায় পৌঁছেছে। নবী (সা.) বললেন : তুমি কি এতে সন্তুষ্ট নও যে আমি তোমাকে ইসলাম গ্রহণে সকল মুসলমানের অগ্রগামী,সর্বাধিক জ্ঞানী এবং ধৈর্যের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ধৈর্যবান ও সহিষ্ণু ব্যক্তির বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করেছি?

এ সম্পর্কিত হাদীস এত অধিক যে এ পত্রে তার উল্লেখ সম্ভব নয়।

ওয়াসসালাম