ষষ্ঠ পত্র
১২ জিলক্বদ ১৩২৯ হিঃ
১। আহলে বাইতের অনুসরণ ফরয হবার সপক্ষে কিছু প্রমাণ!
২। হযরত আলী (আ.) মানুষকে আহলে বাইতের অনুসরণ করার জন্য আহবান জানিয়েছেন!
৩। ইমাম যয়নুল আবেদীন (আ.)-এর এ সম্পর্কিত কিছু কথা!
মহান আল্লাহর প্রশংসা এজন্য যে,আপনি তাদের অন্তর্ভুক্ত যারা ইশারা থেকেই অনেক কিছু পরিষ্কার বুঝতে পারেন,তাই কোন ব্যাখ্যা ছাড়া শুধু ইশারা প্রদান করেছি। আল্লাহ্ না করুন আপনার অন্তরে (আহলে বাইতের) ইমামগণের সম্পর্কে কোন সন্দেহের সৃষ্টি হয়ে থাকে যা অন্যদের ওপর তাঁদের প্রাধান্য দানের পথে বাধার সৃষ্টি করছে। অথচ এ বিষয়টি পরিষ্কার যে,তাঁরা অন্যদের থেকে উচ্চ পর্যায়ের এবং একক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ছিলেন। কারণ পূর্ববর্তী নবীগণের জ্ঞান তাঁরা রাসূল (সা.)-এর মাধ্যমে অর্জন করেছিলেন এবং দীন ও দুনিয়ার বিধি-বিধান ও আহ্কামসমূহ তাঁর থেকেই শিক্ষাগ্রহণ করেছিলেন।
১। এ কারণেই রাসূল (সা.) আল্লাহর মহান গ্রন্থের পাশাপাশি তাঁদের স্থান দিয়েছেন এবং জ্ঞানবানদের পথপ্রদর্শক বলে তাঁদের পরিচিত করিয়েছেন। শুধু তাই নয়,নিফাক ও দ্বিমুখিতার সময় তাঁদেরকে মুক্তির তরণী হিসেবে এবং বিভেদ-বিচ্ছিন্নতার প্রতিকূল বায়ুপ্রবাহে নিরাপদ আশ্রয় বলেছেন। আরো বলেছেন তাঁরা ক্ষমা প্রার্থনাকারীদের ক্ষমা প্রাপ্তির পথ এবং এমন এক শক্তিশালী রজ্জু যা ছিন্ন হবার নয়।
২। আমীরুল মুমিনীন আলী (আ.) বলেছেন,“
তোমরা কোথায় চলেছো,কোনদিকে যাত্রা করছ অথচ সত্যের ধ্বজা উত্তোলিত হয়েছে,তার চি
হ্নসমূহ প্রকাশিত হয়েছে,হেদায়েতের আলো প্রজ্জ্বলিত হয়েছে,এমতাবস্থায় অজ্ঞতার সাথে কোনদিকে যাত্রা করছ? কিরূপে ভ্রান্তিতে ঘুরপাক খাচ্ছ? অথচ নবীর আহলে বাইত তোমাদের সাথে রয়েছে,যারা সত্যের লাগাম,ধর্মের ধ্বজাধারী এবং সত্যের মুখপাত্র,তাই তাদের সেখানে স্থান দাও যেখানে কোরআনকে সংরক্ষণ কর (অর্থাৎ তোমাদের হৃদয় ও অন্তঃকরণ) ও তৃষ্ণার্তগণ যেরূপ পিপাসা নিবারণের জন্য উদগ্রীব তেমনি তাদের জ্ঞানের সুপেয় ঝরনার পানি পানে তৃষ্ণা নিবারণের উদ্দেশ্যে তাদের প্রতি ধাবমান হও।
হে লোকসকল! রাসূল (সা.) থেকে এ সত্যকে শিক্ষালাভ কর। তিনি বলেছেন : আমাদের মধ্য হতে কেউ মৃত্যুবরণ করলে প্রকৃতই সে মৃত্যুবরণ করে না এবং আমাদের কেউই পুরাতন ও পশ্চাৎপদ হতে পারে না,সুতরাং যা জানো না তা বলো না। অসংখ্য সত্য সেখানেই লুকিয়ে রয়েছে যাকে তোমরা অস্বীকার কর। ঐ ব্যক্তি যার বিপক্ষে তোমাদের নিকট কোন সাক্ষ্যপ্রমাণ নেই তার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করো। আমি তাদেরই (আহলে বাইতের) অন্তর্ভুক্ত। আমি কি তোমাদের মাঝে কোরআন (প্রথম ভারী বস্তু) অনুযায়ী আমল করি নি এবং আমার আহলে বাইতকে (দ্বিতীয় ভারী বস্তু) তোমাদের মাঝে রেখে যাচ্ছি না? আমি কি ঈমানের ধ্বজাকে তোমাদের মাঝে উড্ডীন করি নি?”
(*৭)
অন্যত্র তিনি বলেছেন,“
তোমাদের দৃষ্টি তোমাদের নবীর আহলে বাইতের প্রতি নিবদ্ধ করো। তারা যেদিকে যায় সেদিকে যাও,তাদের পদানুসরণ করো। তারা তোমাদের সত্য ও হেদায়েতের পথ হতে কখনো পথভ্রষ্ট করবে না এবং অধঃপতনের দিকে পরিচালিত করবে না। যদি তারা নীরবতা পালন করে তোমরাও নীরবতা পালন করবে,যখন সংগ্রামে লিপ্ত হয় সংগ্রামে লিপ্ত হবে,তাদের থেকে অগ্রগামী হয়ো না,তাহলে পথভ্রষ্ট হবে। তাদের থেকে পিছিয়ে পড়ো না,তাহলে ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে।”
অন্য এক স্থানে মানুষকে আহলে বাইতের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেছেন,“
তারা জ্ঞানের প্রাণ ও অজ্ঞতার মৃত্যুদাতা,তাদের সহনশীলতা তোমাকে তাদের জ্ঞান সম্পর্কে,তাদের বাহ্যিক ব্যবহার ও আচরণ তোমাকে তাদের অন্তরের পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে এবং নীরবতা তোমাকে তাদের যুক্তির গভীরতা সম্পর্কে অবহিত করবে। তারা কখনোই সত্যের বিরোধিতা করে না এবং এ বিষয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে পতিত হয় না,তারা ইসলামের ভিত্তি এবং নিরাপত্তাদাতা,তাদের মাধ্যমেই সত্য তার প্রকৃত স্থানে সমাসীন হয় এবং বাতিল স্থানচ্যুত ও তার জিহ্বা কর্তিত হয়। তারা আল্লাহর আইন ও বিধি-বিধান সঠিকভাবে অনুসরণ করেছে ও তার ওপর আমল করেছে। ধর্মের বর্ণনা ও প্রচারকারী কত অধিক কিন্তু ধর্মকে সঠিক অনুধাবনকারীর সংখ্যা কত কম!”
অন্য একটি খুতবায় বলেছেন,“
নবীর বংশধর সর্বোত্তম বংশধর,তাঁর পরিবারও সর্বোত্তম পরিবার,তাঁর আগমন সর্বোত্তম বংশ হতে,তাঁর জন্ম সেই বৃক্ষ হতে যা আল্লাহর ঘরে জন্মেছে এবং সম্মান ও মর্যাদার মধ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বৃক্ষের শাখা সমুচ্চ ও প্রসারিত এবং এর ফলও অগণিত।”
অন্যত্র বলেছেন,“
আমরা নবী করিম (সা.)-এর জ্ঞানের ধারায় ইসলামী জ্ঞানের মানদণ্ড,গুপ্তভাণ্ডার ও দ্বার। দ্বার ব্যতীত ঘরে প্রবেশ অবৈধ। যে দ্বার ব্যতীত ঘরে প্রবেশ করবে তাকে চোর বলা হয়।’
এ খুতবারই অন্য অংশে বলেছেন,“
তাঁদের বিষয়ে কোরআনের আয়াত নাযিল হয়েছে। তাঁরা আল্লাহ্ পাকের প্রেরিত জ্ঞানভাণ্ডার। তাই যখন তাঁরা কথা বলেন সত্য বলেন। যখন নীরবতা পালন করেন কেউ তাঁদের অগ্রগামী হতে পারে না। দীনের অগ্রদূত ও ধ্বজাধারীরা কখনোই তাঁদের অনুসারীদের মিথ্যা বলতে পারে না,বরং অন্যদের বিবেক ও মন-মানসিকতাকে দীনের জন্য উপযোগী করে তোলাই তাঁদের দায়িত্ব।”
আবার বলেছেন,“
তোমরা কখনোই সত্য ও হেদায়েতের পথকে চিনতে পারবে না যতক্ষণ না এ পথ পরিত্যাগকারীদের চিনবে এবং কোরআনের যুক্তি ও মানদণ্ডকে কখনোই অনুধাবনে সক্ষম হবে না যতক্ষণ না এর বিরোধী ও লঙ্ঘনকারীদের চিনবে,কোরআনের সঙ্গে ততক্ষণ পর্যন্ত সংযুক্ত হতে পারবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না ঐ ব্যক্তিবর্গকে চিনবে যারা কোরআনকে পশ্চাতে নিক্ষেপ করেছে। সুতরাং কোরআনকে এর প্রকৃত ব্যাখ্যাকারীদের থেকে গ্রহণ কর (কারণ এ সকল বিচ্যুত ব্যক্তিবর্গকে তাঁরাই সঠিকভাবে চিনেন) যাঁরা জ্ঞানের প্রাণ ও অজ্ঞতার মৃত্যুদানকারী। তাঁরা এমন ব্যক্তিবর্গ (আহলে বাইত) যাঁদের বিচার ও ফয়সালা তোমাদেরকে তাঁদের জ্ঞান ও প্রজ্ঞা সম্পর্কে অবহিত করবে,তাঁদের নীরবতা তোমাদেরকে তাঁদের যুক্তির ক্ষুরধারতা সম্পর্কে এবং তাঁদের বাহ্যিক আচরণ তোমাদের তাঁদের অন্তরের বিশুদ্ধতা সম্পর্কে জানাবে। তাঁরা দীনের বিরোধিতা করতে পারেন না এবং এ বিষয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বেও পতিত হন না। কোরআন তাঁদের নিকট প্রত্যক্ষ সাক্ষীরূপে নীরব বর্ণনাকারী।”
এ খুতবাগুলো ছাড়াও অন্যান্য যেসকল বক্তব্য এ মহান ব্যক্তি হতে এসেছে তা আমাদের কথার সত্যতা প্রমাণ করে। এরকম একটি বক্তব্য,“
আমাদের মাধ্যমেই তোমরা অজ্ঞতা ও পথভ্রষ্টতার অন্ধকার হতে মুক্তি পেয়েছ,আমাদের সাহায্যেই তোমরা উন্নতির শিখরে আরোহণ করেছ,তোমাদের সৌভাগ্যের সকাল আমাদের আলোকরশ্মিতে উদ্ভাসিত হয়েছে।”
অন্যত্র বলেছেন,“
হে লোকসকল! সত্যপথের আহবানকারী ও সদুপদেশদাতা যিনি সৎ কর্মশীল অর্থাৎ কর্মের মধ্যে তার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন তাঁর অস্তিত্বের প্রদীপরূপ আলোর মাধ্যমে নিজেদের আলোকিত করো,সেই পরিচ্ছন্ন ও সুপেয় ঝরণা যার মধ্যে কোন দূষণ ও আবর্জনার অস্তিত্ব নেই তা থেকে পানি গ্রহণ কর।”
অন্য একস্থানে নিজেদের পরিচয় এভাবে দিয়েছেন,“
আমরা নবুওয়াতের বৃক্ষ,রেসালতের ভিত্তি,ফেরেশতাদের গমনাগমনের স্থান,জ্ঞানের খনি ও প্রজ্ঞার উৎসস্থল। আমাদের বন্ধু ও সাহায্যকারীরা রহমতের প্রতীক্ষায় রয়েছে,আর আমাদের শত্রু ও বিদ্বেষীরা আল্লাহর শাস্তি ও গজবের অপেক্ষায়।”
আবার বলেছেন,“
আমরা ভিন্ন তারা কোথায় যারা নিজেদেরকে মিথ্যা ও অন্যায়ভাবে জ্ঞানের প্রতিভূ ভেবেছিল? তারা লক্ষ্য করুক,মহান আল্লাহ্ আমাদের কিরূপ উচ্চ মর্যাদা দান করেছেন ও তাদের বঞ্চিত করেছেন। আমাদের দিয়েছেন ও তাদের বঞ্চিত করেছেন। আমাদের তাঁর রহমতের ছায়ায় আশ্রয় দিয়েছেন ও তাদের বহিষ্কার করেছেন। আমাদের মাধ্যমেই মানুষ হেদায়েতপ্রাপ্ত হবে ও অন্ধকার হৃদয়ের অধিকারীরা আলোকিত হবে। ইমাম ও নেতা কুরাইশ হতে এবং তাদের অস্তিত্বের এ পবিত্র বৃক্ষের উৎপত্তি বনু হাশিম থেকে। তাই অন্যরা ইমামতের যোগ্য নয় এবং তারা ব্যতীত অন্যরা নেতৃত্ব লাভ করতে পারে না।”
যারা ইমামগণের বিরোধী তাদের সম্পর্কে একই খুতবায় বলেছেন,“
তারা এ পৃথিবীর জীবনকে গ্রহণ করেছে ও পরকালীন অনন্ত জীবনকে অগ্রাহ্য করেছে। তারা সুপেয় পানি ত্যাগ করে নিকৃষ্ট ও দুর্গন্ধযুক্ত পানি পান করেছে।”
অন্য খুতবাতে এ সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। যেমন বলেছেন,“
তোমাদের মধ্যে যে কেউ এ অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে যে,আল্লাহ্,তাঁর রাসূল ও তাঁর আহলে বাইতকে সত্য ও সঠিকভাবে চিনেছে সে শহীদ হয়েছে এবং তার বিনিময় আল্লাহর নিকট এবং ঐ কর্মেরও তারা পুরস্কার পাবে যে কর্মের সিদ্ধান্ত তারা গ্রহণ করেছিল। সৎ কর্ম করার অভিপ্রায় ও ইচ্ছা,মহানবীর আহলে বাইতের পক্ষে অস্ত্রধারণ সংগ্রাম ও জিহাদের সমান ও সমকক্ষ বলে গণ্য হবে।”
উপরোক্ত খুতবার মত অন্যত্র বলেছেন,“
আমরা পবিত্র,সম্মানিত ও আদর্শ মানব। আমাদের প্রতীক ও চি
হ্ন নবী-রাসূলগণেরই প্রতীক
চি
হ্ন,আমাদের দল আল্লাহরই দল,আমাদের বিরুদ্ধাচারণকারীরা শয়তানের অনুসারী ও অনুচর। যারা আমাদের ও আমাদের শত্রুদেরকে সমান বলে জানে তারা আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।”
ইমাম হাসান যিনি রাসূলের দৌহিত্র ও বেহেশতের যুবকদের নেতা তিনি এক খুতবায় বলেছেন,“
আমাদের বিষয়ে আল্লাহকে ভয় কর,আমরা তোমাদের ইমাম ও নেতা।”
৩। ইমাম আলী ইবনুল হুসাইন আস-সাজ্জাদ (আ.) যখনই
)
يا أيّها الّذين آمنوا اتّقوا الله و كونوا مع الصّادقين(
‘
হে ঈমানদারগণ,আল্লাহকে ভয় করো এবং সত্যপন্থীদের সঙ্গে থাক’
এ আয়াতটি তেলাওয়াত করতেন তখন তিনি অধিক দোয়া করতেন। তিনি এ দোয়ায় সত্যপন্থীদের স্তরে পৌঁছার ও তাঁদের সঙ্গে মিলিত হবার জন্য প্রার্থনা করতেন। সে সাথে আহলে বাইতের শত্রুরা দীনের নেতৃবর্গ ও নবুওয়াতের বৃক্ষসমূহের ওপর যে অত্যাচার ও নির্যাতন চালিয়েছিল এবং যে সকল বিদআতের প্রচলন ঘটিয়েছিল সে বিষয়গুলো এ দোয়ায় উল্লেখ করে তা থেকে আল্লাহর নিকট মুক্তি চাইতেন। অতঃপর এর সঙ্গে নিম্নোক্ত কথাগুলো যোগ করেছেন,“
অন্যরা আমাদের বিষয়ে কর্তব্যে অবহেলা করেছে আর এ অপকর্মের ব্যাখ্যা প্রমাণের জন্য কোরআনের রূপক (মুতাশাবিহ) আয়াতসমূহের ভিত্তিতে যুক্তি প্রদর্শন করেছে। তাদের নিজেদের মনগড়া মতে এ আয়াতগুলোকে ব্যাখ্যা ও তাফসীর করেছে এবং আমাদের বিষয়ে নবী করীম (সা.)-এর প্রতিষ্ঠিত কথা ও হাদীসকে অস্বীকার করেছে। সুতরাং ভবিষ্যতের মুসলমানরা আমাদের ব্যতীত কার আশ্রয় গ্রহণ করবে! এ জাতি পূর্বের দিকে প্রত্যাবর্তন করেছে এবং এ উম্মত বিভক্তিতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে,একে অপরকে মিথ্যুক ও কাফের বলছে অথচ মহান আল্লাহ্ বলেছেন : তাদের মত হয়ো না যারা স্পষ্ট সাক্ষ্য ও প্রমাণ জানার পরও পরস্পর বিচ্ছিন্ন ও বিভক্ত হয়ে পড়েছে।
অতএব,কার ওপর মানুষ বিশ্বাস করে আল্লাহর বাণীর সত্যতার প্রমাণ পেশ করবে,আল্লাহর বিধানের ব্যাখ্যা প্রদান করবে! এক্ষেত্রে কোরআনের সম্মান ও মর্যাদার অধিকারী হেদায়াতপ্রাপ্ত ইমামগণের সন্তানগণ যাঁরা উজ্জ্বল প্রদীপস্বরূপ তাঁরা ব্যতীত কাউকে তোমরা পাবে কি? কেননা মহান আল্লাহ্ তাঁদের মাধ্যমেই তাঁর বান্দাদের ওপর প্রমাণ উপস্থাপন করেন। আল্লাহ্ তাঁর বান্দাদের মধ্যে অবশ্যই স্পষ্ট নিদর্শন প্রেরণ করেছেন। তোমরা কি তাঁদের পরিচয় জানো? এ স্পষ্ট নিদর্শন রেসালতের পবিত্র বৃক্ষ হতে উৎসারিত নবীর বংশধর যাঁদের মহান আল্লাহ্ সকল অপবিত্রতা ও কলুষতা হতে মুক্ত করেছেন ও পবিত্ররূপে ঘোষণা করেছেন,তাঁরা ব্যতীত অন্য কেউ হতে পারে কি? যাঁদের মহান আল্লাহ্ অপবিত্রতা হতে সংরক্ষণ করেছেন এবং যাদের ভালবাসা ও বন্ধুত্বকে কোরআন ফরয ও অপরিহার্য বলে ঘোষণা করেছে। তাঁরা ব্যতীত অন্য কেউ আল্লাহর নিদর্শন হতে পারে না।”
ইমাম সাজ্জাদের এ বক্তব্যটি এবং আমীরুল মুমিনীন আলী (আ.)-এর খুতবাগুলোর বিভিন্ন অংশ যথার্থভাবে লক্ষ্য করুন। খুব ভালভাবেই বুঝতে পারবেন শিয়া মাজহাবকে এ বাণীগুলো কিরূপ স্পষ্টভাবে আপনার নিকট উপস্থাপিত করে। এ বক্তব্যগুলোকে অন্যান্য ইমামদের বক্তব্যসমূহের নমুনা হিসেবে গ্রহণ করুন। কারণ এ বিষয়ে তাঁদের মধ্যে ঐকমত্য রয়েছে এবং জেনে রাখুন এ বিষয়ে বর্ণিত হাদীসসমূহ বহুল বর্ণিত ও মুতাওয়াতির।
ওয়াসসালাম
শ