চুরাশিতম পত্র
৫ রবিউল আউয়াল ১৩৩০ হিঃ
১। সুস্পষ্ট দলিলের সাথে সাহাবীদের কর্মের সমন্বয় সাধন।
২। ইমাম আলী (আ.) কেন নিজ অধিকার আদায় হতে বিরত হলেন?
১। অনেক সাহাবীরই জীবনী ও ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় তাঁরা কোরআন ও সুন্নাহর অনুসারী ছিলেন তবে কোরআন ও সুন্নাহর সেইসব দলিলের যা পরকালের সাথে সম্পর্কিত,যেমন রমযান মাসের রোযা,কিবলার দিকে মুখ ফিরিয়ে নামায পড়া,ফরয নামাযের সংখ্যা,দৈনিক নামাযের রাকাত সংখ্যা,নামাযের পদ্ধতি,কাবা ঘরের চারদিকে সাতবার তাওয়াফ করা। এরূপ পরকালীন জীবনের সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাঁরা কোরআন ও সুন্নাহর অনুসারী হলেও ক্ষমতা,নেতৃত্ব,রাজনীতি ও শাসনকার্য সংশ্লিষ্ট বিষয়,যেমন রাষ্ট্র পরিচালনা,অর্থনৈতিক কার্যক্রম,সামরিক ব্যবস্থাপনা প্রভৃতি ক্ষেত্রে তাঁরা কোরআন-সুন্নাহর ভিত্তিতে কাজ করতেন না ও তদনুযায়ী ফয়সালা দিতেন না,বরং এক্ষেত্রে ইজতিহাদ ও নিজস্ব মতানুযায়ী কাজ করতেন,এমন কি তাঁদের ব্যক্তিগত মত ও ইজতিহাদ যদি কোরআন-সুন্নাহর সুস্পষ্ট দলিলের বিপরীতও হত কিন্তু নিজস্ব ক্ষমতা ও হুকুমতের জন্য কল্যাণকর মনে করতেন তাহলে তাই করতেন। সম্ভবত এ কাজে তাঁরা রাসূলের সন্তুষ্টি অর্জন করেছেন বলেই মনে করতেন।
হযরত আলীর খেলাফতের বিষয়েও তাঁদের ধারণা ছিল আরবরা তাঁর আনুগত্য করবে না ও এ বিষয়ে সুন্নাহর অনুবর্তী হবে না।
কারণ তিনি আরবদের নতজানু করেছেন,সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য তাদের রক্ত ঝরিয়েছেন,সত্যকে সাহসী ও বিজয়ী করার জন্য পর্দা উন্মোচন করেছেন,কাফিরদের অনিচ্ছা সত্ত্বেও আল্লাহর দীন প্রজ্জ্বলিত রাখার জন্য সংগ্রাম করেছেন। তাই শক্তি প্রয়োগ ব্যতীত তারা তাঁর অনুগত হবে না ও আল্লাহর বিধান মেনে নেবে না। আরবরা ঐতিহ্যগতভাবেই চাইবে ইসলাম যে রক্ত ঝরিয়েছে আলী (আ.) হতে তার প্রতিশোধ নিতে। কারণ রাসূল (সা.)-এর পর বনি হাশিমে আলীর মত স্বনামধন্য কোন ব্যক্তিত্ব ছিল না যার হতে তারা প্রতিশোধ গ্রহণ করতে পারে (আরবরা প্রথাগত রীতি অনুযায়ী গোত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তি হতে প্রতিশোধ নিয়ে থাকে)। আরবরা এজন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করে ও মনে মনে আলী ও তাঁর বংশের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করতে থাকে ও সুযোগ খুঁজতে থাকে হামলা ও প্রতিশোধের এবং শেষ পর্যন্ত তা সম্পন্নের মাধ্যমে আলী ও তাঁর বংশের জন্য বিপদকে আসমান হতে জমিন পর্যন্ত পূর্ণ করে দেয়।
আরবদের মধ্যে বিশেষ করে কুরাইশরা হযরত আলী হতে প্রতিশোধ নিতে চাইতো এজন্য যে,আল্লাহর বিধান লঙ্ঘনকারী ও ঐশী ধারার প্রতি অসম্মানের কারণে আল্লাহর শত্রু হিসেবে তাদের সাথে আলী (আ.) কঠোর আচরণ করেছিলেন। আরবরা সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধের ব্যাপারে হযরত আলী (আ.)-কে ভয় পেত,বিচারের ক্ষেত্রে সকলের প্রতি তাঁর সমদৃষ্টি ও ন্যায়ের প্রতি দৃঢ়তা তাদের আতঙ্কিত করত,কেউ তাঁর প্রতি লোভের চক্ষু নিয়ে তাকানোরও সাহস করত না,এ কারণে তাঁর হতে স্বার্থ উদ্ধার তাদের পক্ষে সম্ভব ছিল না। শক্তিমান ও ক্ষমতাবানরা তাঁর নিকট ক্ষুদ্র ছিল যাতে করে তাদের হতে অধিকার আদায় করা যায় এবং দুর্বলরা তাঁর নিকট ছিল শক্তিধর ও প্রিয় যাতে তারা অধিকার আদায় করতে পারে। সুতরাং যে সকল ব্যক্তি কোরআনের বর্ণনানুসারে (আরবরা [মদীনার চারপাশের] কুফর ও নিফাকের ক্ষেত্রে অত্যন্ত কঠোর এবং আল্লাহর বিধান যা রাসূলের ওপর অবতীর্ণ হয়েছে তা সম্পর্কে অধিকতর অজ্ঞ- সূরা তওবা : ৯৭) এরূপ স্বভাবের,তাদের পক্ষে সম্ভব নয় স্বেচ্ছায় আলী (আ.)-এর আনুগত্য করা।
কোরআন অন্যত্র বলেছে,“
মদীনার কিছু লোক নিফাকের মধ্যে চরমভাবে নিমজ্জিত রয়েছে,আপনি তাদের চিনেন না কিন্তু আমরা তাদের চিনি। তাদের মধ্যে গোয়েন্দা ও হিংসাপরায়ণ ব্যক্তিরা মুসলমানদের অকল্যাণের সর্বাত্মক চেষ্টা চালায়।”
কুরাইশ ও অন্যান্য আরব আলীর প্রতি বিদ্বেষ ও হিংসা পোষণ করত এজন্য যে,আল্লাহ্ তাঁর অনুগ্রহ হতে আলীকে এতটা দিয়েছেন যে,ইলম ও আমলের ক্ষেত্রে আল্লাহ্,তাঁর নবী (সা.) ও পূর্ববর্তী সৎ কর্মশীলদের নিকট তাঁর মর্যাদা এত অধিক ছিল যে,তাঁর সমসাময়িক কেউ সে পর্যায়ে পৌঁছতে পারে নি। তাঁর সমবয়সী ও সমপর্যায়ের ব্যক্তিরা সে অবস্থানে পৌঁছানোর ব্যাপারে হতাশ ছিল। বিশেষ বৈশিষ্ট্য ও অগ্রগামিতার কারণে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের কাছে এমন স্থান তিনি লাভ করেছিলেন যা অন্যরা আকাঙ্ক্ষা করত ও মনে মনে তার লালসা পোষণ করত। এ কারণে অনেক মুনাফিকের অন্তরে হিংসার আগুন জ্বলে উঠেছিল। তারা প্রতিশোধ গ্রহণের স্পৃহায় বিদ্রোহী,ধর্মচ্যুত,প্রতিজ্ঞা ভঙ্গকারীদের সাথে হাত মিলিয়েছিল। নবী (সা.)-এর নির্দেশকে অগ্রাহ্য করে ও পেছনে ফেলে তারা এ হাদীসগুলোকে বিস্মৃতির অন্তরালে ঠেলে দিতে চেয়েছিল। কবির ভাষায়-
যা চলে গেছে তার আর স্মরণ করবো না
এ বিষয়ে ভাল ধারণা পোষণ কর ও কোন প্রশ্ন কর না।
কুরাইশরা ও অন্যান্য আরবরা এতেও খুশী হয়েছিল যে,খেলাফত তাদের মধ্যে পর্যায়ক্রমে আবর্তিত হবে এবং এ লক্ষ্যে তারা কাজও শুরু করেছিল। প্রথম পর্যায়ে তারা প্রতিশ্রুতি ও অঙ্গীকার ভঙ্গ করে এবং এ হাদীসগুলোকে বিস্মৃতির মূলে ঠেলে দেয়ার জন্য পরস্পর পরিকল্পনা করে। প্রথম দিনই তারা রাসূল (সা.)-এর প্রতিনিধিকে খেলাফত হতে বঞ্চিত করে ও নিজেদের খেলাফতের পথকে সুগম করার লক্ষ্যে খেলাফতকে নির্বাচন ও রায়ের দিকে ঠেলে দেয় যাতে করে প্রত্যেক গোত্রই পরবর্তী সময়ে খেলাফতের স্বাদ পেতে পারে। যদি তারা কোরআন ও সুন্নাহ্ অনুযায়ী আমল করে আলী (আ.)-কে রাসূল (সা.)-এর পর খলীফা হিসেবে মেনে নিত তাহলে খেলাফত রাসূল (সা.)-এর পবিত্র আহলে বাইতের বাইরে কখনোই যেত না। যদিও রাসূল (সা.) গাদীর দিবসে ও অন্যান্য সময়েও আহলে বাইতকে কোরআনের পাশাপাশি সমমর্যাদা দান করে কিয়ামত পর্যন্ত মুমিনদের ইমাম বলে ঘোষণা করেছিলেন তদুপরি আরবরা খেলাফতকে নবীর পরিবারের জন্য মেনে নিতে পারে নি,বরং সকল গোত্রই এর প্রতি লোভাতুর দৃষ্টিতে তাকিয়েছিল ও এ লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য পরস্পরকে সহযোগিতা করেছিল।
لقد
هزلت
حتّى
بدأ
من
هزالها
এতটা শীর্ণ হয়ে পড়েছিল যে,তার হাড়গুলোও দেখা যাচ্ছিল
كلا
ها
و
حتّى
استامها
كل
مفلس
এমন কি চরম দরিদ্র ব্যক্তিটিও তা ক্রয়ের আশায় দাম জিজ্ঞেস করছিল।
অর্থাৎ খেলাফতকে এমন অবস্থায় ফেলা হয়েছিল যে,সকলেই লোভাতুর দৃষ্টিতে তার দিকে তাকাচ্ছিল।
যাঁরা ইসলামের প্রাথমিক যুগে আরব ও কুরাইশদের ইতিহাস ভালভাবে অধ্যয়ন করেছেন তাঁরা জানেন,তারা বনি হাশিমের নবুওয়াতকে ততক্ষণ পর্যন্ত মেনে নেয় নি যতক্ষণ না সম্পূর্ণরূপে পরাস্ত হয়েছে ও প্রতিরোধের আপাত কোন শক্তি ছিল না। সুতরাং কিভাবে সম্ভব তারা বনি হাশিমে নবুওয়াত ও খেলাফতের সমন্বয়কে মেনে নেবে? ইবনে আব্বাসের সাথে কথোপকথনের এক পর্যায়ে হযরত উমর ইবনে খাত্তাব বলেছেন,“
কুরাইশ চায় নি নবুওয়াত ও খেলাফত দু’
টিই তোমাদের মধ্যে চলে যাক আর তোমরা মানুষের ওপর ক্ষমতা প্রয়োগ কর।”
২। এ সকল সাহাবীর পক্ষে নবীর নির্দেশের ওপর টিকে থাকা সম্ভব হয় নি। এ নির্দেশের ওপর দৃঢ়তা প্রদর্শন না করা ইসলাম হতে ফিরে যাবার শামিল হলেও তাঁরা তা করেন নি। তাঁরা বিভেদের মন্দ পরিণতির ভয়ও করছিলেন,বিশেষত রাসূলের ওফাতের পর অনেকেই নিজেদের নিফাককে প্রকাশ করেছেন। তখন মুনাফিকদের অবস্থান সুদৃঢ়,কাফিররা বিদ্রোহী,দীনের ভিত প্রকম্পিত ও মুসলমানদের হৃদয় স্থানচ্যুত হয়ে পড়েছিল। মুসলমানরা নবী (সা.)-এর ওফাতের পর ঝড় দ্বারা আক্রান্ত একপাল মেষের মত হয়েছিল যারা গভীর রাত্রিতে ভয়ঙ্কর ও হিংস্র নেকড়ের পালের মধ্যে পড়েছে। মদীনার আশেপাশের অনেক গোত্র মুরতাদ হয়ে গিয়েছিল ও কেউ কেউ ধর্মত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যা আমরা বিরাশিতম পত্রে বিস্তারিত উল্লেখ করেছি।
এমন পরিস্থিতিতে হযরত আলী (আ.) জনগণকে নিয়ে বিদ্রোহ করলে ফিতনা-ফ্যাসাদ বৃদ্ধি পেত ও ইসলামী রাষ্ট্রকাঠামো ভেঙ্গে পড়ত। সাধারণ মুসলমানদের মানসিক অবস্থা কিরূপ ছিল তা আমরা পূর্বেই বলেছি। মুনাফিকরাও ক্ষোভ ও রাগে আঙ্গুল কামড়াচ্ছিল,সেই সাথে মুরতাদ ও ধর্মত্যাগীরা সুযোগ খুঁজছিল আর কাফির জাতিসমূহের অবস্থাও পূর্বেই সুস্পষ্ট ছিল। এদিকে আনসাররা মুহাজিরদের বিরোধিতা করছিল ও এ দাবী করছিল যে,দুই খলীফার একজন মুহাজির হতে ও একজন আনসার হতে। তাই হযরত আলী (আ.) খেলাফত হতে মুখ ফিরিয়ে দীনের বিষয়ে দৃষ্টি দিয়েছিলেন। কারণ তিনি জানতেন খেলাফতের পেছনে এখন ছুটলে আল্লাহর দীন ও রাসূল (সা.)-এর উম্মত ধ্বংসের মুখে পতিত হবে। ইসলামের টিকে থাকা ও সাধারণ মুসলমানদের কল্যাণের কথা চিন্তা করেই তিনি নিজ অধিকার ত্যাগ করে খেলাফতের দাবী হতে সরে আসেন,তবে তিনি নিজ অধিকার সমুন্নত রাখা ও নিজের যৌক্তিক অবস্থানকে প্রমাণের লক্ষ্যে বাইয়াত হতে ততক্ষণ বিরত থাকেন যতক্ষণ না তাঁকে জোরপূর্বক বাইয়াতের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি যদি প্রথমেই বাইয়াত করতেন তবে তাঁর দাবী প্রমাণিত হত না এবং তাঁর ইমামতের বিষয়টিও পরিষ্কার হত না। তিনি তাঁর এ কর্মের মাধ্যমে দীন এবং খেলাফত ও মুমিনদের নেতৃত্বের দাবীর মধ্যে এভাবে সমন্বয় সাধন করেন। তাঁর এ ভূমিকা তাঁর বুদ্ধিমত্তা,চিন্তার গভীরতা,ধৈর্য,সহনশীলতা,হৃদয়ের প্রশস্ততা ও ব্যক্তি অধিকারের ওপর সামাজিক কল্যাণের প্রতি তাঁর দৃষ্টিভঙ্গির প্রমাণ। জগতে এমন ব্যক্তি বিরল যিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে দীনের ক্ষেত্রে এরূপ সম্মানিত ও উচ্চ মর্যাদা লাভ করেও নিজ অধিকারের দাবী হতে বিরত হন। অবশ্য তাঁর এ আত্মত্যাগ অত্যন্ত লাভজনক ও কল্যাণময় হয়েছিল এজন্য যে,এর মাধ্যমে তিনি আল্লাহর অধিকতর নৈকট্য লাভ করেছেন।
কিন্তু প্রথম তিন খলীফা ও তাঁদের সহযোগীরা খেলাফত সংক্রান্ত কোরআন-সুন্নাহর দলিলসমূহকে নিজ রাজনৈতিক স্বার্থেই ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করতেন এবং এক্ষেত্রে আশ্চর্যান্বিত হবার কিছু নেই। কারণ যে সকল দলিল শাসনকর্তা নিয়োগ,রাষ্ট্র পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার সাথে সম্পর্কিত ছিল সে সকল বিষয়ে তাঁরা ব্যক্তিগত মত ও ইজতিহাদের ওপর আমল করতেন এবং নিখাদ দীনি বিষয়গুলোর মত এগুলোকে দেখতেন না। এ সম্পর্কিত হাদীসের মূল্য তাঁদের নিকট তেমন না হওয়ায় এগুলোর বিরোধিতা তাঁদের জন্য সহজ ছিল। এজন্য ক্ষমতারোহণের পর কঠোর সিদ্ধান্তের মাধ্যমে তাঁরা এ হাদীসগুলোকে বিস্মৃতির দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন এবং যে কেউ এ সকল হাদীসের উদ্ধৃতি দিত তাদের সাথে কঠোর আচরণ করা হত। যখন তাঁরা রাষ্ট্রকাঠামোর সংরক্ষণের মাধ্যমে ইসলাম প্রচার শুরু করলেন,অন্য রাষ্ট্র জয় করলেন তখন মুসলমানদের অর্থ,ক্ষমতা ও প্রভাব বৃদ্ধি করলেন অথচ নিজেরা দুনিয়ায় নিমজ্জিত হওয়া থেকে বিরত থাকলেন। তাঁদের কর্ম প্রশংসিত হলো,তাঁদের স্থান সুউচ্চ ও দৃঢ় হলো এবং সাধারণ মুসলমানরা তাঁদের প্রতি ভাল ধারণা পোষণ করতে লাগল ও তাঁদের অন্তর শাসকদের প্রতি ঝুঁকে পড়ল। ফলে তারাও এই হাদীসগুলোকে ভুলে যেতে লাগল ও শাসকদের পথ ধরল।
এ সকল শাসকের পর আসলো বনি উমাইয়্যা যাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা ছিল আহলে বাইতকে নিশ্চি
হ্ন করা এবং এরূপ হাদীসসমূহকে বিলুপ্ত অথবা বিকৃত করা। তদুপরি আমাদের দাবীর সত্যতা প্রমাণের জন্য পর্যাপ্ত সহীহ ও সুস্পষ্ট হাদীস আমাদের হাতে রয়েছে।
ওয়াল হামদুলিল্লাহ্,ওয়াসসালামু আলাইকুম
শ