সূর্যের ভাষায় চন্দ্র

সূর্যের ভাষায় চন্দ্র0%

সূর্যের ভাষায় চন্দ্র লেখক:
প্রকাশক: দারুল কুরআন ফাউন্ডেশন
বিভাগ: হযরত আলী (আ.)

সূর্যের ভাষায় চন্দ্র

লেখক: মোহাম্মদ আব্দুল কুদ্দুস বাদশা
প্রকাশক: দারুল কুরআন ফাউন্ডেশন
বিভাগ:

ভিজিট: 6165
ডাউনলোড: 3741

পাঠকের মতামত:

সূর্যের ভাষায় চন্দ্র
বইয়ের বিভাগ অনুসন্ধান
  • শুরু
  • পূর্বের
  • 58 /
  • পরের
  • শেষ
  •  
  • ডাউনলোড HTML
  • ডাউনলোড Word
  • ডাউনলোড PDF
  • ভিজিট: 6165 / ডাউনলোড: 3741
সাইজ সাইজ সাইজ
সূর্যের ভাষায় চন্দ্র

সূর্যের ভাষায় চন্দ্র

লেখক:
প্রকাশক: দারুল কুরআন ফাউন্ডেশন
বাংলা

সূর্যের ভাষায় চন্দ্র

আমিরুল মুমিনীন আলী ইবনে আবি তালিব (আ.) সম্পর্কে মহানবী (সা.)-এর

একশত দশটি হাদীস

[আহলে সুন্নাতের বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য হাদীস গ্রন্থ থেকে সংকলিত]

অনুবাদ  : মোহাম্মদ আব্দুল কুদ্দুস বাদশা

সম্পাদনা : অধ্যাপক সিরাজুল হক

শিরোনাম   :সূর্যের ভাষায় চন্দ্র

অনুবাদ     : মোহাম্মদ আব্দুল কুদ্দুস বাদশা

সম্পাদনা    : অধ্যাপক সিরাজুল হক

তত্ত্বাবধান   :ড.মোহাম্মদ রেজা হাশেমী

প্রকাশনা    : দারুল কুরআন ফাউন্ডেশন,ঢাকা

প্রকাশকাল  : জুলাই,২০০৭,শ্রাবণ ১৪১৪

দুটি কথা

সমস্ত প্রশংসা বিশ্ব জাহানের প্রভুর জন্য। আর সর্বোৎকৃষ্ট দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক নবীকুল শিরোমণি,মহান আল্লাহর নির্বাচিত আমানতদার হযরত আবুল কাশেম মুহাম্মাদ (সা.)-এর ওপর এবং তাঁর পবিত্র ও কল্যাণময় আহলে বাইত (আ.)-এর ওপর।

মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর পবিত্র যবান দ্বারা হযরত আলী (আ.)-এর মর্যাদায় যে অগণিত প্রশংসা ও স্তুতি বর্ণিত হয়েছে তা অন্য কোনো সাহাবী কিংবা তাবেঈনের জন্যে বর্ণিত হয়নি। (সাহাবী হলো রাসূলুল্লাহ্ (সা.)-এর সেসকল সহচর যারা তাঁর সংস্পর্শ এবং সংসর্গ লাভ করেছেন। আর তাবেঈন হলো তাঁরা,যারা স্বয়ং রাসূলুল্লাহকে কিংবা তাঁর সময়কালকে দেখেনি অথবা তাঁর সময়কালে ইসলামের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়নি)। এই কারণে তাঁকে অন্য সবার তুলনায় স্বতন্ত্র করে তুলে ধরেছেন এবং তাঁকে অন্যদের চেয়ে উচ্চতম মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন। এই সব কিছুই রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর পরবর্তীকালের জন্য তাঁর নেতৃত্ব,শ্রেষ্ঠত্বের পরিচয় বহন করে। আর সত্যিকার অর্থেই মর্যাদার শ্রেষ্ঠত্বের অঙ্গনে তাঁর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। রাসূলুল্লাহ (সা.) থেকে তাঁর মর্যাদায় বর্ণিত মুতাওয়াতির হাদীসসমূহ এই অমোঘ সত্যকে স্পষ্টরূপে তুলে ধরে।

ইতিহাসের দীর্ঘ পরিক্রমায় হযরত আমিরুল মুমিনীন (আ.)-এর মর্যাদা ও গুণাবলীর ওপর বর্ণনাসমূহকে মুছে ফেলা কিংবা বিকৃত ও রদবদল ঘটানোর যে অবিরাম প্রয়াস চালানো হয়েছে এত কিছু সত্ত্বেও তাঁর ব্যক্তিত্বের ঔজ্জ্বল্য আজো দিনের সূর্য কিরণের ন্যায় দ্যুতি ছড়িয়ে চলেছে। ইবনে আবিল হাদীদ বলেন,‘‘ তাঁর মর্যাদা ও গুণাবলী এমনই শীর্ষ স্থানে বর্ণাঢ্যময় সুবিস্তৃতি লাভ করেছে যে তা থেকে বিমুখ হওয়া এবং সেগুলো প্রচার ও প্রচলনে বিরোধিতা করা একটি কদর্য ও নিন্দনীয় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আর আমার কি সাধ্য রয়েছে সেই মানুষটির সম্মান আর মর্যাদা বর্ণনা করার,যার শত্রুরা এবং অনিষ্টকামীরাও পর্যন্ত এমন পরিস্থিতিতে তাঁর প্রশংসায় কীর্তনে পঞ্চমুখ হয়েছে যখন তাঁর মর্যাদা ও মহিমা গোপন করা কিংবা অস্বীকার করা তাদের জন্যে সাধ্যাতীত হয়ে পড়েছিল। আর আপনারা নিজেরাও ভালো করে জানেন যে,উমাইয়ারা,যারা পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত গোটা মুসলিম জাহানে শাসন ক্ষমতা চালিয়েছিল,তারা তাঁর পবিত্র আলোকময় অস্তিত্বকে ম্লান করে দেওয়ার জন্যে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়েছিল,জনগণকে তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তুলেছিল,তাঁর বিরুদ্ধে নানা অপবাদ ও দুর্নাম রটিয়ে ছিল,তাঁকে সকল মেম্বর (মঞ্চ) থেকে অভিসম্পাত বর্ষণ করেছিল। আর যারা তাঁর প্রশংসায় মুখ খুলতো যেমন ইবনে সিক্কীত,তাদেরকে হুমকি ধমকিসহ এমনকি আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে হত্যা করেছে। তদ্রুপভাবে যে কোনো কথায় যদি তাঁর কোনো প্রশংসার ঘ্রাণ পাওয়া যেত কিংবা তাঁকে স্মরণের কারণ হতো তাহলে তা বলতে বাধা দিত। এমনকি কোনো সন্তানকে তাঁর নামে নাম রাখতেও অনুমতি দিত না।

কিন্তু এত কিছুর পরেও কোনো ফল হয়নি। তাঁর আকাশ ছোঁয়া মহিমা ও মর্যাদা মৃগনাভির হৃদয়গ্রাহী সুঘ্রাণের মতো-যা লুকিয়ে রাখা যায় না,যতই তাকে লুকিয়ে রাখা হয় ততই তা মূল্যবান হয়ে ওঠে,কিংবা সূর্যের অপ্রতিরোধ্য উজ্জ্বলতার মতো যা হাতের তালুতে বন্দী করা যায় না,কিংবা প্রস্ফূটিত দিনের শুভ্রতার মতো যা অন্ধ চোখ দেখতে না পেলেও অগণিত চাক্ষুষ্মানের চোখ তার থেকে উপকার লাভ করে থাকে।

আমি আর কি বলবো সেই ব্যক্তির মর্যাদা সম্পর্কে যাঁর প্রত্যেকটি গুণ-বৈশিষ্ট্য নিজে নিজে গর্ব করে,প্রত্যেক ফেরকাই তাদের বংশ লতিকাকে তাঁর কাছে নিয়ে উপনীত করে আর প্রত্যেক দলই তাঁকে নিজের দিকে টানতে চায়।

তিনি হলেন সকল শুভ এবং পুণ্যের উৎসমূল,সেগুলোর পূর্ণতা দানকারী। তিনি সকল মঙ্গলের অগ্রদূতসম আর সকল পুণ্যের প্রতিভাস স্থল। তাঁর পরে যে কেউ যে কোনো মর্যাদার অধিকারী হলে সেটা তাঁর থেকেই সে গ্রহণ করে থাকে,তাঁকেই অনুসরণ করেছে এবং তাঁর পথেই গমন করেছে।’’ (শারহে নাহজুল বালাগা,ইবনে আবিল হাদীদ,খণ্ড ১,পৃঃ ১৬)

ইবনে আব্দুল বার মালেকী আহমাদ ইবনে হাম্বাল এবং ইসমাঈল ইবনে ইসহাকের নিকট থেকে বর্ণনা করেছেন যে,‘‘ যা কিছু আলী ইবনে আবি তালিবের মর্যাদায় হাসান সনদবিশিষ্ট রেওয়ায়েতে বর্ণিত হয়েছে তা অন্য কোনো সাহাবীর সম্পর্কে বর্ণিত হয়নি।’’ (আল-ইস্তিয়াব,খণ্ড ৩ পৃঃ ৫১,মুস্তাদরাকে হাকেম,খণ্ড. ৩,পৃঃ ১০৭,তারীখে দামেস্ক,খণ্ড ৩,পৃঃ ৮৩,১১৭,তাহযীবুত তাহযীব,ইবনে হাজার,খণ্ড ৭,পৃঃ ৩৩৯,নেসায়ী ও অন্যান্য)

এই মুহূর্তে আমাদের সম্মুখে রয়েছে মূল্যবান ও বিরাট এক স্মৃতিকথা। আমাদের মহান মাওলা আলী ইবনে আবি তালিব (আ.)-এর (জন্ম থেকে শাহাদাত পর্যন্ত) শ্রেষ্ঠত্বের স্মৃতিকথা,তৎকালীন দিনকাল,শাসনব্যবস্থাসহ যেখানেই তাঁর সে শ্রেষ্ঠত্বের স্মৃতি চিহ্ন বহন করে,সে সকল স্মৃতি কথা থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। সেসকল বর্ণাঢ্য শ্রেষ্ঠত্বের সামনে দাঁড়িয়ে সম্মানে আমাদের মাথা অবনত হয়ে আসে। কারণ,তিনি হলেন তাদের জন্য একটি স্পষ্ট মানদণ্ডস্বরূপ যারা হাকীকতকে (প্রকৃত সারসত্য) চিনতে সক্ষম হয়েছে এবং সেই পথে অগ্রসর হয়েছে এবং তার ধারক বাহকদেরকে অনুসরণ করেছে। আর দুনিয়া যাদেরকে ধোঁকা দিয়েছে ফলে তারা সত্য থেকে চোখ বুঁজে মিথ্যাপন্থীদের পেছনে ধাবিত হয়েছে। তারা হলো ঐ জঙ্গে জামালের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গকারী দল,জঙ্গে সিফফীনের অত্যাচারী দল আর বেদআতপন্থী খারিজী দল। আর সেসকল দু-মুখো মুনাফিক দল যারা মনের মধ্যে অসংখ্য দ্বিধা আর সংকোচ নিয়ে মাটির টিলার ওপর দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করেছে যে শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি কোন্ দিকে ঘুরে এবং বিজয় কার প্রাপ্য হয় .

হে আল্লাহ! আমাদেরকে সত্যপন্থীদের সঙ্গী করে দাও এবং আমিরুল মুমিনীন হযরত আলী (আ.) এর সাথে পুনরুত্থিত করো যিনি সত্য পথের দিশা লাভকারীদের প্রতীক স্বরূপ,মুত্তাকীদের নেতা,ন্যায়পন্থীদের অগ্রদূত,সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণকারী,সাধকদের সৌন্দর্য শোভা এবং মুক্তিপ্রাপ্তদের সরদার।

এবার এতসব পুণ্য ও মর্যাদার সাগর থেকে যা শুধু কেবল এক আল্লাহর উপাসনাকারীদের মাওলা আমিরুল মুমিনীন আলী ইবনে আবি তালিব (আ.)-এর ব্যক্তিত্বেই সৌন্দর্য বর্ধন করে,তার মধ্যে থেকে ১১০টি হাদীসকে বেছে নিয়ে তাঁরই পবিত্র নামে উৎসর্গ করছি। মহানবী (সা.)-এর পবিত্র যবান থেকে নিঃসৃত হযরত আলী (আ.)-এর মর্যাদায় এই বাণীগুলো যেন সূর্যের ভাষায় চন্দ্রের স্ত্ততি। অবশ্য,‘‘ এতে উপদেশ রয়েছে তার জন্যে যার অনুধাবন করার মতো অন্তর রয়েছে অথবা যে নিবিষ্ট মনে শ্রবণ করে। আর তিনি নিজে তো সবার ওপর সাক্ষী রয়েছেন।’’ (কফঃ৩৭)

১. মুমিনদের আমলনামার শিরোনাম

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

عُنْوَانُ صَحِيفَةِ الْمُؤمِنِ حُبُّ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ.

মুমিনের আমলনামার শিরোনাম হলো আলী ইবনে আবি তালিবের ভালোবাসা।

(আল মানাকিব ইবনে মাগাযেলী: ২৪৩/২৯০,কানযুল উম্মাল ১১:৬০১/৩২৯০০,তারীখে বাগদাদ : ৪:৪১০)

২. আরবের সরদার

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

أَنَا سَيِّدُ وُلْدِ آدَم، وَ عَلِيٌّ سَيِّدُ الْعَرَبِ.

আমি আদম সন্তানদের সরদার আর আলী আরবদের সরদার।

(আল মু জামুল আওসাত-তাবারানী ২:২৭৯/১৪৯১,ইমাম আলী (আ.) (অনুবাদ)- ইবনে আসাকির ২:২৬২/৭৮৯,কানযুল উম্মাল-১১-১৮/৩৩০০৬)।

৩.  হিকমতের দরজা

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

أَنَا دَارُ الْحِكْمَةِ، وَ عَلِيٌّ بَابُهَا.

আমি হিকমতের গৃহ আর আলী তার দরজা।

(সুনানে তিরমিযী ৫:৬৩৭/৩৭২৩,হিল্লিয়াতুল আউলিয়া ১:৬৪,আল জামিউস্ সাগীর ১:৪১৫/২৭০৪)

৪. জ্ঞানের নগরীর দরওয়াযা

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

أَنَا مَدِينَةُ الْعِلْمِ وَ عَليُّ بَابُهَا، فَمَنْ أَرَادَ الْمَدِينَةَ فَلْيَأتِ البَابَ.

আমি সমস্ত জ্ঞানের নগরী আর আলী তার তোরণ। কাজেই যে এই নগরীতে প্রবেশ করবে তাকে তোরণ বা দ্বারের মধ্য দিয়ে আসতে হবে।

(আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২৬-১২৭,জামেউল উসুল ৯:৪৭৩/৬৪৮৯,উসুদুল গবাহ্ ৪:২২,তারীখে বাগদাদ ১১:৪৯-৫০,আল বেদায়াহ্ ওয়ান নেহায়া ৭:৩৭২,আল জামেউস্ সাগীর ১:৪১৫/২৭০৫)

৫. উম্মতের মধ্যে সর্বাপেক্ষা জ্ঞানী

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

أَعْلَمُ اُمَّتِي مِنْ بَعْدِي عَلِیُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ.

আমার পরে আলী হলো আমার উম্মতের মধ্যে সর্বাপেক্ষা জ্ঞানী।

(কানযুল উম্মাল ১১:৬১৪/৩২৯৭৭,আল ফেরদৌস ১:৩৭০/১৪৯১)

৬. মহানবী (সা.)-এর ভাই

রাসূলুল্লাহ (সা.) ইমাম আলীকে বলেনঃ

أَنْتَ أَخِي فِي الدُّنْيَا وَ الْاَخِرَة.

তুমি দুনিয়া এবং পরকালে আমার ভাই।

(সুনানে তিরমিযী ৫:৬৩৬/৩৭২০,আর রিয়াদুন নাদরাহ ৩:১২৪)

৭. রাসূলুল্লাহ্ (সা.)-এর মনোনীত

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

أَمَّا أَنْتَ يَا عَلِيّ، أَنْتَ صَفِيِّي وَ أمِينِي.

আর তুমি হে আলী! তুমি আমার মনোনীত এবং আমার আমানতদার।

(খাসায়েসে নাসায়ী : ১৯,মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৯:১৫৬)

৮. মহানবী (সা.)-এর স্থলাভিষিক্ত

হুজুর (সা.) হযরত আলীর প্রতি ইঙ্গিত করে বলেনঃ

إِنَّ هَذَا أَخِي وَ وَصِيِّي وَ خَلِيفَتِي فِيكُمْ، فَاسْمَعُوا لَهُ وَ أَطِيعُوه.

জেনে রেখো যে,সে তোমাদের মাঝে আমার ভাই,উত্তরসূরি এবং স্থলাভিষিক্ত। সুতরাং তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনবে এবং তার আনুগত্য করবে।

(তারীখে তাবারী ২:২১৭,আল কামিল ফিত্ তারীখ ২:৬৪,মাআলিমুত্ তানযীল ৪:২৭৮)

৯. মুমিনদের অভিভাবক

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

إنَّ عَلِيّاً وَلِيُّكُمْ بَعْدِي.

নিশ্চয় আলী আমার পরে তোমাদের অভিভাবক।

(কানযুল উম্মাল ১১:৬১২/৩২৯৬৩,আল ফেরদৌস ৫:২৯২/৮৫২৮)

১০. বিচারের সিংহাসনে

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

أَقْضَي اُمَّتِي عَليُّ.

আলী আমার উম্মতের মাঝে সর্বাপেক্ষা বিচক্ষণ বিচারক

(আর রিয়াদুন নাদরাহ ৩:১৬৭,মানাকিবে খারেযমী ৩০,যাখায়িরুল উকবা ৮৩)

১১.  উম্মতের জন্য হুজ্জাত বা দলিল

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

أَنَا وَ عَلِيٌّ حُجَّةٌ عَلَي أُمَّتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ.

কেয়ামতের দিন আমি এবং আলী আমার অনুসারীদের জন্য হুজ্জাত (দলিল) এবং পথপ্রদর্শনকারী।

(তারীখে বাগদাদ ২:৮৮)

১২. মহানবী (সা.)-এর একই বংশধারা

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

أَنَا وَ عَلِيٌّ مِنْ شَجَرَةٍ وَاحِدَةٍ، وَ النَّاسُ مِنْ أشْجَارٍ شَتَّي.

আমি আর আলী একই বৃক্ষ থেকে,আর অন্যেরা (মানুষ) বিভিন্ন বৃক্ষ থেকে।

(আল মানাকিব ইবনে মাগাযেলী :৪০০/৫৩,কানযুল উম্মাল ১১:৬০৮/ ৩২৯৪৩,আল ফেরদৌস ১: ৪৪/১০৯,মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৯:১০০)

১৩. উম্মতের হেদায়াতকারী

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

أنَا الْمُنْذِرُ وَ عَلِيٌّ الْهَادِي، بِكَ يَا عَلِيُّ يَهْتَدِي الْمُهْتَدُونَ.

আমি হলাম সাবধানকারী। আর হে আলী! তোমার মাধ্যমে পথ অন্বেষণকারীরা পথ খুঁজে পাবে।

(তাফসীরে তাবারী ১৩:৭২,ইমাম আলী (আ.) (অনুবাদ)- ইবনে আসাকির ২:৪১৭/৯২৩)

১৪. জাতির পথ-প্রদর্শক

রাসূলুল্লাহ (সা.) ইমাম আলীকে বলেনঃ

أنْتَ تُبَيِّنُ لِأُمَّتِي مَا اخْتَلَفُوا فِيهِ بَعْدِي.

আমার পরে আমার উম্মত যে বিষয়ে মতবিরোধ করবে তুমি তার সমাধান দান করবে।

(আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২২,কানযুল উম্মাল ১১:৬১৫/৩২৯৮৩,আল ফেরদৌস ৫:৩৩২/৮৩৪৯,হিল্লিয়াতুল আউলিয়া ১:৬৪)

১৫. মহানবী (সা.)-এর থেকে

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

أنْتَ مِنِّي وَ أَنَا مِنْكَ.

তুমি আমা থেকে আর আমি তোমা থেকে।

(সহীহ বুখারী ৪:২২,৫:৮৭,সুনানে তিরমিযী ৫:৬৩৫/৩৭১৬,মাসাবিহুস সুন্নাহ ৪:১৭২/৪৭৬৫ ও ১৮৬/১০৪৮,তারীখে বাগদাদ ৪:১৪০)

১৬. মুমিনদের কর্তৃত্বের অধিকারী

রাসূলুল্লাহ (সা.) ইমাম আলীকে বলেনঃ

أنْتَ وَلِيُّ كُلِّ مُؤمِنٍ وَ مُؤمِنَةٍ بَعْدِي.

আমার পরে তুমি প্রত্যেক মুমিন নর ও নারীর ওপর কর্তৃত্বের অধিকারী।

(আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১৩৪,আল মুজামুল কাবীর-তাবারানী ১২:৭৮/১২৫৯৩)

১৭. আদর্শের পথে শহীদ

রাসূলুল্লাহ (সা.) ইমাম আলীকে বলেনঃ

أنْتَ تَعِيْشُ عَلَي مِلَّتِي، وَ تُقْتَلُ عَلَي سُنَّتِي.

তুমি আমার পন্থায় জীবন যাপন করবে,আর আমার আদর্শের পথেই শাহাদাত বরণ করবে।

(কানযুল উম্মাল ১১:৬১৭/৩২৯৯৭,আল মুস্তাদরাক-হাকেম :৩/১৪২)

১৮. রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর প্রাণ

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

إِنَّ عَلِيّاً مِنِّي، وَ أََنَا مِنْهُ، وَ هُوَ وَلِيُّ كُلِّ مُؤمِنٍ بَعْدِي.

নিশ্চয় আলী আমা থেকে আর আমি আলী থেকে। আর সে আমার পরে সকল মুমিনের নেতা।

(খাসায়েসে নেসায়ী :২৩,মুসনাদে আহমাদ ৪:৪৩৮,আল মু জামুল কাবীর-তাবারানী ১৮: ১২৮/২৬৫,হিল্লীয়াতুল আউলিয়া ৬:২৯৬)

১৯. মহানবী (সা.)-এর হারুন

রাসূলুল্লাহ (সা.) ইমাম আলী (আ.) কে বলেনঃ

أنْتَ مِنِّي بِمَنْزِلَةِ هَارُونَ مِنْ مُوسَي إِلَّا أَنَّهُ لَا نَبِيَّ بَعْدي.

আমার নিকট তুমি মুসার কাছে হারুনের ন্যায়। শুধু আমার পরে কোনো নবী নেই।

(সুনানে তিরমিযী ৫:৬৪১/৩৭৩০,মাসাবিহুস্ সুন্নাহ ৪:১৭০/৪৭৬২,সহীহ মুসলিম ৪:৪৪/৩০)

২০. রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সাথে

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

أَبْشِرْ يَا عَلِيُّ، حَيَاتُكَ مَعِي وَ مَوتُك مَعِي.

হে আলী! সুসংবাদ তোমার ওপর। তোমার জীবন আমার সাথে আর তোমার মরণও আমার সাথে।

(ইমাম আলী (আ.)-ইবনে আসাকির ২:৪৩৫,৯৪৭,মাজমাউয যাওয়াযেদ ৯:১১২,কানযুল উম্মাল ১৩: ১৪৪/৩৬৪৫৩)

২১. সর্বপ্রথম নামাযী

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

أََوَّلُ مَنْ صَلَّي مَعِي عَلِيٌّ.

সর্বপ্রথম আমার সাথে যে নামায পড়েছে সে হলো আলী।

(কানযুল উম্মাল ১১:৬১৬/৩২৯৯২,আল ফেরদৌস ১:২৭/৩৯)

২২. শ্রেষ্ঠতম পুরুষ

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

خَيْرُ رِجَالِكُمْ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ.

আলী ইবনে আবি তালিব তোমাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম পুরুষ।

(তারীখে বাগদাদ ৪:৩৯২,মুন্তাখাবু কানযুল উম্মাল ৫:৯৩)

২৩.  উম্মতের পিতা

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

حَقُّ عَلِيٍّ عَلَي الْمُسْلِمِينَ حَقُّ الوَالِدِ عَلَي الْوَلَدِ.

মুসলমানদের ওপর আলীর অধিকার,সন্তানের ওপর পিতার অধিকারের ন্যায়।

(আর রিয়াদুন্ নাদরাহ ৩:১৩০,ইমাম আলী ইবনে আসাকির ২:২৭২/৭৯৮-৭৯৯)

২৪. ইবাদতের সারসত্য

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

ذِكْرُ عَلِيٍّ عِبَادَةٌ.

আলীকে স্মরণ করা ইবাদততুল্য।

(কানযুল উম্মাল ১১,৬০১/৩২৮৯৪,আল ফেরদৌস ২:২৪৪/৩১৫১,ওসীলাতুল মুতাআব্বেদীন খ: ৫ আল কাসাম ২:১৬৮)

২৫. মজলিসের সৌন্দর্য

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

زَيِّنُوا مَجَالِسَكُمْ بِذِكْرِ عَلِيٍّ.

তোমাদের মজলিসগুলোকে আলীর নাম উচ্চারণের মাধ্যমে সৌন্দর্যমণ্ডিত করো।

(আল মানাকিব ইবনুল মাগাযেলী : ২১১/২৫৫)

২৬.  সর্বদা সত্যের সাথে

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

رَحِمَ اللهُ عَلِيّاً ، اَللَّهُمَّ أَدِرِ الْحَقَّ مَعَهُ حَيْثُ دَارَ.

আল্লাহ আলীর ওপর রহমত বর্ষণ করুন! হে আল্লাহ! আলী যেখানেই আছে সত্যকে তার সাথে ঘোরাও।

(আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২৪,সুনানে তিরমিযী ৫:৬৩৩/৩৭১৪,ইমাম আলী (আ.) ইবনে আসাকির,৩:১৫১/১১৬৯-১১৭০)

২৭. রাসূলুললাহ (সা.)-এর গোপন রহস্যের আধার

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

صَاحِبُ سِرِّي عَلِيُّ ابْنُ أَبِي طَالِبٍ.

আলী আমার গোপন রহস্যকথার একমাত্র আধার

(আল ফেরদৌস ২:৪০৩/৩৭৯৩,আল ইমাম আলী (আ.) ইবনে আসাকির ২:৩১১/৮২২)

২৮. রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জ্ঞানের ভাণ্ডার

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

عَلِيٌّ خَازِنُ عِلْمِي.

আলী আমার জ্ঞানের ভাণ্ডার।

(শারহে নাহজুল বালাগা ইবনে আবিল হাদীদ ৯:১৬৫)

২৯. সৃষ্টিকুলের শ্রেষ্ঠ

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

عَلِيٌّ خَيْرُ الْبَرِيَّةِ.

আলী সৃষ্টিকুলের সেরা।

(আল ইমাম আলী (আ.) ইবনে আসাকির ২:৪৪৩/৯৫৯,মানাকিবে খারেযমী : ৬২)

৩০. মানুষের মধ্যে শ্রেষ্ঠ

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

عَلِيٌّ خَيْرُ الْبَشَرِ، مَنْ أَبَي فَقَدْ كَفَرَ.

আলী সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ,যে তা মানবে না সে নিঃসন্দেহে কাফের।

(সিয়ারু আ লামুন নুবালা ৮:২৫০,ইমাম আলী (আ.)-ইবনে আসাকির ২:৪৪৪/৯৬২-৯৬৬,তারীখে বাগদাদ ৭:৪২১)

৩১. জ্ঞানের আধার

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

عَلِيٌّ عَيْبَةُ عِلْمِي.

আলী আমার জ্ঞানের আধার।

(আল জামেউস্ সাগীর ২:১৭৭,শারহে নাহজুল বালাগা ইবনে আবিল হাদীদ ৯:১৬৫)

৩২. সর্বদা কুরআনের সাথে

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

عَلِيٌّ مَعَ الْقُرْآنِ وَ  الْقُرْآنُ مَعَ عَلِيٍّ.

আলী কুরআনের সাথে আর কুরআন আলীর সাথে।

(আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২৪,কানযুল উম্মাল ১১:৬০৩/৩২৯১২)

৩৩. রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নিকটে

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

عَلِيٌّ مِنِّي بِمَنْزِلَةِ رَأسِي مِنْ بَدَني.

আমার নিকটে আলী আমার শরীরে যুক্ত আমার মাথার ন্যায়।

(তারীখে বাগদাদ ৭:১২,কানযুল উম্মাল ১১:৬০৩/৩২৯১৪)

৩৪.আল্লাহর নিকটে

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

عَلِيٌّ مِنِّيكَمَنْزِلَتِي مِنْ رَبِّي.

আমার নিকটে আলীর মর্যাদা হলো যেমন আমার প্রতিপালকের নিকটে আমার মর্যাদা।

(আস সাওয়ায়িকুল মুহরিকা :১৭৭,যাখায়িরুল উক্বা : ৬৪)

৩৫. কেয়ামতের দিন বিজয়ী

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

عَلِيٌّ وَ شِيعَتُهُ هُمُ الْفَائِزُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ.

আলী এবং তাঁর অনুসারীরা নিঃসন্দেহে কেয়ামতের দিন বিজয়ী।

(আল ফেরদৌস ৩:৬১/৪১৭২,ওয়াসীলাতুল মুতাআব্বেদীন খ:৫,আল কিসম ২:১৭০)

৩৬. বেহেশতের তারকা

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

عَلِيٌّ يَزْهَرُ فِي الْجَنَّةِ كَكَوْكَبِ الصُّبْحِ لِأَهْلِ الدُّنْيَا.

আলী বেহেশতের মধ্যে দুনিয়াবাসীর জন্য ভোরের তারকার ন্যায় উজ্জ্বল।

(আল ফেরদৌস ৩:৬৩/৪১৭৮,কানযুল উম্মাল ১১:৬০৪/৩২৯১৭)

৩৭. তাকে কষ্ট দিও না

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

مَنْ آذَي عَلِيّاً فَقَدْ آذَانِي.

যে ব্যক্তি আলীকে কষ্ট দেয় সে আমাকে কষ্ট দেয়।

(মুসনাদে আহমাদ ৩:৪৮৩,আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২২,দালায়িলুন নব্যুওয়াত ৫:৩৯৫,আল ইহ্সান- ইবনে হাববান ৯:৩৯/৬৮৮৪)

৩৮. আল্লাহর অস্তিত্বে মিশে আছে

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

لَاتَسُبُّوا عَلِيّاً، فَإِنَّهُ مَمْسُوسٌ فِي ذَاتِ اللهِ.

তোমরা আলীকে গালমন্দ করো না। সে আল্লাহর সত্তায় মিশে গেছে্

(আল মু জামুল কাবীর-তাবারানী ১৯:১৪৮/৩২৪,হিল্লিয়াতুল আউলিয়া ১:৬৮,কানযুল উম্মাল ১১:৬২১/৩৩০১৭)

৩৯. মুনাফিকরা তাঁকে ভালোবাসে না

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

لَا يُحِبُّ عَلِيّاً مُنَافِقٌ، وَ لاَ يُبْغِضُهُ مُؤمِنٌ.

মুনাফিকরা আলীকে ভালোবাসে না,আর মুমিন তাঁকে ঘৃণা করে না।

(সুনানে তিরমিযী ৫:৬৩৫/৩৭১৭,আর রিয়াদুন নাদরাহ ৩:১৮৯)

৪০. রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর হক (অধিকার) পূরণকারী

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

عَلِيٌّ مِنِّي وَ أَنَا‌مِنْ عَلِيٍّ، وَلَا يُؤَدِّي عَنِّي إِلَّا أَنَا أَوْ عَلِيٌّ.

আলী আমা থেকে আর আমি আলী থেকে,আমি আর আলী ব্যতীত কেউই আমার (রেসালাতের) অধিকার পূরণ করেনি।

(মাসাবিহুস সুন্নাহ ৪:১৭২/৪৭৬৮,সুনানে তিরমিযী ৫:৬৩৬/৩৭১৯,মুসনাদে আহমাদ ৪:১৬৪)

৪১. মুসলমানদের সরদার

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

عَلِيٌّ سَيِّدُ الْمُسْلِمِينَ، وَ إِمَامُ الْمُتَّقِينَ، وَ قَائِدُ الْغُرِّ الْمُحَجَّلِينَ.

আলী মুসলমানদের সরদার,পরহেযগারদের নেতা এবং সফলকামদের পথ প্রদর্শক।

(আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১৩৮,আল মানাকিব-ইবনুল মাগাযেলী ১০৪/১৪৬)

৪২. নাজাত দানকারী

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

حُبُّ عَلِيٍّ بَرَاءَةٌ مِنَ النَّارِ.

আলীর প্রতি ভালোবাসা আগুন থেকে মুক্তির কারণ।

(আল ফেরদৌস ২:১৪২/২৭২৩)

৪৩. ঈমানে সর্বাপেক্ষা অবিচল

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

عَلِيٌّ الصِّدِّيقُ الْاَكْبَرُ، وَ فَارُوقُ هَذِهِ الْاُمَّةِ، وَ يَعْسُوبُ الْمُؤْمِنِينَ.

আলী ঈমানে সর্বাপেক্ষা দৃঢ়পদ,উম্মতের মধ্যে হক ও বাতিলে পার্থক্যকারী আর মুমিনদের কর্তা।

(কানযুল উম্মাল ১১:৬১৬/৩২৯৯০,আল মু জামুল কাবীর-তাবারানী ৬:২৬৯/৬১৮৪)

৪৪. তাঁকে অভিসম্পাত করো না

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

مَنْ سَبَّ عَلِيّاً فَقَدْ سَبَّنِي.

যে ব্যক্তি আলীকে গালমন্দ করে সে যেন আমাকেই গালি দিল।

(মুখতাসারু তারীখে দামেস্ক ইবনে মাঞ্জুর ১৭:৩৬৬,ফাযায়েলুস সাহাবা ২:৫৯৪/১০১১,খাসায়েসে নাসায়ী :২৪,আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২১,মানাকিবে খারেযমী : ৮২)

৪৫. আল্লাহর রাস্তায় কঠোরতা

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

أَيُّهَا النَّاسُ، لَا تَشْكُوا عَلِيّاً، فَو اللهِ إِنَّهُ لَأَخْشَنُ فِي‌ذَاتِ‌اللهِ، أَوْ فِي سَبِيلِ اللهِ.

হে লোকসকল! আলীর বিরুদ্ধে নালিশ করতে যেও না। সে আল্লাহর কারণে অথবা তাঁর সন্তুষ্টির জন্যেই কঠোর হয়।

(মুসনাদে আহমাদ ৩:৮৬,আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১৩৪)

৪৬. রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নজির

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

مَا مِنْ نَبِيٍّ إِلَّا وَ لَهُ نَظِيرٌ فِي اُمَّتِهِ وَ عَلِيٌّ نَظِيرِي.

এমন কোনো নবী নেই যার উম্মতের মধ্যে তাঁর দৃষ্টান্ত কেউ ছিল না। আর আমার দৃষ্টান্ত হলো আলী ইবনে আবি তালিব।

(আর রিয়াদুন নাদরাহ ৩:১২০,যাখায়েরুল উকবা: ৬৪)

৪৭. পাপ ধ্বংসকারী

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

حُبُّ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ يَأْكُلُ الذُّنُوبَ كَمَا تَأْكُلُ النَّارُ الْحَطَبَ.

আলী ইবনে আবি তালিবের ভালোবাসা পাপসমূহকে খেয়ে ফেলে যেভাবে আগুন কাঠকে খেয়ে ফেলে।

(আর রিয়াদুন্ নাদরাহ ৩: ১৯০,কানযুল উম্মাল ১১:৬২১/৩৩০২১,আল ফেরদৌস ২:১৪২/২৭২৩)

৪৮. অন্তরসমূহের কা বা স্বরূপ

রাসূলুল্লাহ (সা.) ইমাম আলী (আ.) কে বলেনঃ

أَنْتَ بِمَنْزِلَةِ الْكَعْبَةِ تُؤْتَي وَ لَاتَأتِي.

তুমি কা বার ন্যায়। সবাই তোমার কাছে আসে কিন্তু তুমি কারো কাছে যাও না।

(উসুদুল গবাহ ৩১৪৬)