সূর্যের ভাষায় চন্দ্র

সূর্যের ভাষায় চন্দ্র0%

সূর্যের ভাষায় চন্দ্র লেখক:
প্রকাশক: দারুল কুরআন ফাউন্ডেশন
বিভাগ: হযরত আলী (আ.)

সূর্যের ভাষায় চন্দ্র

লেখক: মোহাম্মদ আব্দুল কুদ্দুস বাদশা
প্রকাশক: দারুল কুরআন ফাউন্ডেশন
বিভাগ:

ভিজিট: 6166
ডাউনলোড: 3741

পাঠকের মতামত:

সূর্যের ভাষায় চন্দ্র
বইয়ের বিভাগ অনুসন্ধান
  • শুরু
  • পূর্বের
  • 58 /
  • পরের
  • শেষ
  •  
  • ডাউনলোড HTML
  • ডাউনলোড Word
  • ডাউনলোড PDF
  • ভিজিট: 6166 / ডাউনলোড: 3741
সাইজ সাইজ সাইজ
সূর্যের ভাষায় চন্দ্র

সূর্যের ভাষায় চন্দ্র

লেখক:
প্রকাশক: দারুল কুরআন ফাউন্ডেশন
বাংলা

৪৯. তার দিকে তাকাও

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

َالنَّظَرُ إِلَي وَجْهِ عَلِيٍّ  عِبَادَةٌ.

আলীর মুখের দিকে তাকানো ইবাদত।

(আল মানাকিব- ইবনে মাগাযেলী ২০৬/২৪৪-২৪৬ ও ২০৯/২৪৮-২৪৯ ও ২১০/২৫২-২৫৩,আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১৪২,আর রিয়াদুন্ নাদরাহ ৩:১৯৭)

৫০. রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর ওয়াসী

রাসূলুল্লাহ (সা.) হযরত আলীর প্রতি ইঙ্গিত করে বলেনঃ

هَذَا أَخِي وَ وَصِيِّي وَ خَلِيفَتِي مِنْ بَعْدِي، فَاسْمَعُوا لَهُ وَ أَطِيعُوه.

এ হলো আমার ভাই,আর আমার পরে আমার ওয়াসী এবং খলীফা। তার নির্দেশের প্রতি কর্ণপাত করো এবং তার আনুগত্য করো।

(তারীখে তাবারী ২:৩৩১,মাআলিমুত তানযীল ৪:২৭৯,আল কামিল ফিত তারীখ ২:৬৩,শারহে নাহজুল বালাগা ইবনে আবিল হাদীদ ১৩:২১১,কানযুল উম্মাল ১৩:১৩১)

৫১. ফেরেশতাকুলের দরূদ

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

إنَّ الْمَلَائِِكَةَ صَلَّتْ عَلَيَّ و عَلَي عَلِيٍّ سَبعَ سِنِيْنَ قَبْلَ أَنْ يُسْلِمَ بَشَرٌ.

কোনো মানুষ মুসলমান হওয়ার সাত বছর পূর্ব থেকেই ফেরেশতারা আমার এবং আলীর ওপর দরূদ পাঠাতো।

(কানযুল উম্মাল ১১: ৬১৬/৩২৯৮৯,মুখতাসারু তারীখে দামেস্ক -ইবনে মাঞ্জুর ১৭:৩০৫)

৫২. ঈমানের মানদণ্ড

রাসূলুল্লাহ (সা.) আলী (আ.) কে বলেনঃ

لَوْلَاكَ مَا عُرِفَ الْمُؤمِنُونَ مِنْ بَعْدِي.

যদি তুমি না থাকতে তাহলে আমার পরে মুমিনদের শনাক্ত করা যেত না।

(আর রিয়াদুন নাদরাহ ৩:১৭৩,আল মানাকিব- ইবনুল মাগাযেলী :৭০/১০১,কানযুল উম্মাল ১৩ :১৫২/৩৬৪৭৭)

৫৩. সর্বদা সত্যের সাথে

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

عَلِيٌّ مَعَ  الْحَقِّ وَ  الْحَقُّ مَعَ عَلِيٍّ، لَنْ يَفْتَرِقَا حَتَّي يَرِدَا عَلَيَّ الْحَوضِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ.

আলী সত্যের সাথে আর সত্য আলীর সাথে,এই দুটো কখনো একে অপর থেকে বিচ্ছিন্ন হবে না যতক্ষণ না কেয়ামতের দিন হাউজে কাওসারে আমার সাথে মিলিত হবে।

(তারীখে বাগদাদ ১৪:৩২১,ইমাম আলী (আ.) ইবনে আসাকির ৩:১৫৩/১১৭২)

৫৪. তাঁর থেকে পৃথক হয়ো না!

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

مَنْ فَارَقَ عَلِيّاً فَقَدْ فَارَقَنِي وَ مَنْ فَارَقَنِي فَقَدْ فَارَقَ اللهَ عَزَّوَجَلَّ.

যে ব্যক্তি আলী থেকে পৃথক হয় সে আমা থেকে পৃথক হলো আর যে আমা থেকে পৃথক হলো সে মহান আল্লাহ থেকে পৃথক হয়ে গেল।

(আল মানাকিব- ইবনে মাগাযেলী ২৪০/২৮৭,আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২৪,আল মু জামুল কাবীর- তাবারানী ১২:৩২৩/১৩৫৫৯)

৫৫. মহানবী (সা.)-এর জ্ঞানের দরওয়াযা

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

عَلِيٌّ بَابُ عِلْمِي، وَ مُبَيِّنُ لِاُمَّتِي مَا اُرْسِلْتُ بِهِ مِنْ بَعْديِ، حُبُّهُ اِيمَانٌ، و بُغْضُُهُ نِفَاقٌ وَ النَّظَرُ اِلَيْهِ رَأْفَةٌ.

আলী আমার জ্ঞানের দরওয়াযা। সে আমার পরে আমার রেসালাতকে আমার উম্মতের জন্যে ব্যাখ্যা করবে। তাকে ভালোবাসা ঈমানের পরিচায়ক,তাকে ঘৃণা করা মুনাফিকের পরিচায়ক এবং তার দিকে তাকানো প্রশান্তির কারণ।

(কানযুল উম্মাল ১১:৬১৪/৩২৯৮১,আল ফেরদৌস ৩:৬৫/৪১৮১)

৫৬. আল্লাহর গোপন রহস্য ব্যক্তকারী

জাবের বলেনঃ তায়েফের দিন রাসূলুল্লাহ (সা.) হযরত আলীকে কাছে ডাকলেন। তাঁকে একপাশে নিয়ে কানে কানে যুক্তি করলেন। লোকজন বললো,‘‘ তাঁর চাচাতো ভাইয়ের সাথে যুক্তি করা কতো দীর্ঘায়িত হলো!’’ রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন :

مَا اَنْتَجَيْتُهُ ، وَلَكِنْ اللهَ انْتَجَاهُ.

আমি তাঁর সাথে যুক্তি করিনি,বরং আল্লাহ তাঁর সাথে যুক্তি করেছেন।

(আর রিয়াদুন নাদরাহ ৩:১৭০,সুনানে তিরমিযী ৫:৬৩৯/৩৭২৬,খাসায়েসে নাসায়ী  :৫,ফাযায়েলূস সাহাবা ২:৫৬০/৯৪৫,আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১৩০-১৩২)

৫৭. মুমিনদের মাওলা

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

مَنْ كُنْتُ مَوْلَاهُ فَعَلِيٌّ مَوْلَاهُ، اَللَّهُمَّ وَالِ مَنْ وَالَاهُ وَعَاِد مَنْ عَادَاهُ.

আমি যার মাওলা আলীও তার মাওলা। হে আল্লাহ! যে আলীকে ভালোবাসে তুমি তাকে ভালোবাস আর যে আলীর সাথে শত্রুতা করে তুমি তার সাথে শত্রুতা করো।

(কানযুল উম্মাল ১১:৬০৯/৩২৯৫০,আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১০৯,মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৯:১০৪,আল মু জামুল কাবীর-তাবারানী ৪:১৭৩/৪০৫৩,তিরমিযী ৫:৬৩৩/৩৭১৩,মুসনাদে আহমাদ ১:৮৪,৮৮,১১৯,১৫২,৩৩১ ও ৪:২৮১,৩৬৮,৩৭০,৩৭২ ও ৫:৩৪৭,৩৫৮,৩৬১,৩৬৬,৪১৯)

৫৮. তোমার জন্য সেটাই চাই!

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

يَا عَلِيُّ! إِنِّي اُحِبُّ لَكَ مَا اُحِبُّ لِنَفْسِي، وَ أَكْرَهُ لَكَ مَا أَكْرَهُ لِنَفْسِي.

হে আলী! আমি নিজের জন্যে যা পছন্দ করি তোমার জন্য সেটাই পছন্দ করি। আর আমার চোখে যা অপছন্দনীয় তোমার জন্যও সেটা অপছন্দ করি।

(মুসনাদে আহমাদ ১:১৪৬,সুনানে তিরমিযী ২:৭২/২৮২,আল মুনাতাখাবু মিন মুসনাদে আব্দু ইবনে হামীদ :৫২/৬৭)

 ৫৯. বেহেশত-দোযখের বণ্টনকারী

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

يَا عَلِيُّ، إِنَّكَ قَسِيمُ الْجَنَّةِ وَ النَّارِ وَ إِنَّكَ تَقْرَعُ بَابَ الْجَنَّةِ، فَتَدْخُلَهَا بِلَا حِسَابٍ.

হে আলী! তুমি (মানুষকে) বেহেশত ও দোযখের (মধ্যে) বণ্টনকারী। অতঃপর তুমি নিজে বেহেশতের দরওয়াযায় টোকা দিবে এবং হিসাব ছাড়াই প্রবেশ করবে।

(আল মানাকিব- ইবনুল মাগাযেলী ৬৭/৯৭,আল মানাকিব-খারেযমী : ২০৯,ফারায়িদুস সামতাঈন ১:৩২৫/২৫৩)

৬০. তোমাকে যারা ভালোবাসে তাদের প্রতি সুসংবাদ

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

يا عَلِيّ، طُوبَي لِمَنْ أَحَبَّكَ وَ صَدَّقَ فِيكَ وَ وَيْلٌ لِمَنْ أَبْغَضَكَ وَ كَذَّبَ فِيكَ.

হে আলী! সুসংবাদ তার প্রতি যে তোমাকে ভালোবাসে এবং তোমাকে সত্য বলে জানে। আর দুর্ভাগ্য তাদের প্রতি যারা তোমার সাথে শত্রুতা করে এবং তোমার ব্যাপারে মিথ্যা আরোপ করে।

(তারীখে বাগদাদ ৯:৭২,ওয়াসীলাতুল মুতাআব্বেদীন খ:৫,আল কিসম ২:১৬১,উসুদুল গবাহ ৪:২৩)

৬১. ওয়াসিগণের মধ্যে সর্বোত্তম

রাসূলুল্লাহ (সা.) হযরত ফাতিমাকে বলেনঃ

وَصِيِّي خَيْرُ الْأَوْصِيَاءِ، وَ أَحَبُّهُمْ إِلَي اللهِ عَزَّ وَجَلَّ وَ هُوَ بَعْلُكَ.

ওয়াসিগণের মধ্যে আমার ওয়াসীই সর্বোত্তম এবং আল্লাহর নিকটে তাদের মধ্যে সবচেয়ে প্রিয়তম। আর সে হলো তোমার স্বামী।

(মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৯:১৬৫,যাখায়িরুল উকবা :১৩৬)

৬২. মহানবী (সা.)-এর ভাই ও সহযোগী

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

اَللَّهُمَّ إنِّي‌أَقُولُ‌كَمَا‌قَالَ‌أَخِي‌مُوسَي: اَللَّهُمَّ اجْعَلْ لِي‌وَزِيراً مِنْ أَهْلِي‌أَخِي‌عَلِيّاً اُشْدُدْ بِهِ أزْرِي وَ أَشْرِكْهُ فِي‌أَمْرِي كَيْ نُسَبِّحَكَ كَثِيراً وَ نَذْكُرَكَ كَثيراً، إِنَّكَ كُنْتَ بِنَا بَصِيراً.

হে আল্লাহ! আমিও আমার ভাই মুসার মতো বলছি,‘‘ হে খোদা! আমার জন্য আমার পরিবারের মধ্যে থেকে কাউকে সাহায্যকারী হিসেবে নিয়োগ করো। আমার ভাই আলীকে যার দ্বারা আমার শক্তি মজবুত হয় এবং আমাকে সাহায্য করে। যাতে তোমার মহিমা বর্ণনা করতে সক্ষম হই এবং তোমার অধিক ইবাদতে নিমগ্ন হতে পারি । অবশ্য তুমি আমাদের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধকারী।

(আর রিয়াদুন নাদরাহ ৩:১১৮,ফাযায়িলুস সাহাবা ২:৬৭৮/১১৫)

৬৩. নিরাপত্তা এবং ঈমান

রাসূলুল্লাহ (সা.) হযরত আলী (আ.) কে বলেনঃ

مَنْ أَحَبَّكَ حُفَّ بِالاَمْنِ وَ الْإِيمَانِ، وَ مَنْ أَبْغَضَكَ أَمَاتَهُ اللهُ مِيْتَةَ الْجَاهِلِيَّةِ.

যে ব্যক্তি তোমাকে ভালোবাসবে,নিরাপত্তা ও ঈমান তাকে আবিষ্ট করবে। আর যে তোমার প্রতি শত্রুতা করবে আল্লাহ তাকে জাহেলিয়াতের মৃত্যু দান করবেন।

(কানযুল উম্মাল ১১:৬০৭/৩২৯৩৫,আল মু জামুল কাবীর-তাবারানী ১১:৬৩/১১০৯২)

৬৪. সীরাতুল মুস্তাকীম পার হওয়ার অনুমতি

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

إِذَا كَانَ يَوْمُ الْقِيَامَةِ وَ نُصِبَ الصِّرَاطُ عَلَي شَفِيرِ جَهَنَّم لَمْ يَجُزْ إلاَّ مَنْ مَعَهُ كِتَابُ عَلِيّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ.

যখন কেয়ামত উপস্থিত হবে এবং জাহান্নামের অগ্নিপার্শ্বে পুলসিরাত টাঙ্গানো হবে তখন শুধু কেবল যার সঙ্গে আলী (আ.)-এর পত্র থাকবে সে ছাড়া কারো তা পার হবার অনুমতি থাকবে না।

(আল মানাকিব-ইবনুল মাগাযেলী ২৪২,২৮৯,ফারায়িদুস সামতাইন ১:২২৮,২৮৯)

৬৫. আলী (আ.)-এর সহচরদের জন্য দোয়া

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

اَللّهُمَّ انْصُرْ مَنْ نَصَرَ عَلِيّاً، اَللَّهُمَّ أَكْرِمْ مَنْ أَكْرَمَ عَلِيّاً ، اَللَّهُمَّ أخْذُلْ مَنْ خَذَلَ عَلِيّاً.

হে আল্লাহ! যে ব্যক্তি আলীকে সাহায্য করে তুমি তাকে সাহায্য করো,যে ব্যক্তি তাকে সম্মান করে তুমি তাকে সম্মান করো আর যে তাকে লাঞ্ছিত করে তুমি তাকে লাঞ্ছিত করো।

(কানযুল উম্মাল ১১:৬২৩/৩৩০৩৩,আল মু জামুল কাবীর তাবারানী ১৭:৩৯,৮২)

৬৬. আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় বান্দা

আনাস ইবনে মালেক বলেন,রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জন্য মুরগীর গোশত দ্বারা খাবার প্রস্ত্তত করা হয়েছিল। হুজুর (সা.) বললেনঃ

اَللَّهُمَّ ائْتِنِي بِاَحَبِّ خَلْقِكَ إِلَيْكَ يَأْكُلُ مَعِي هَذَا الطَّيْرَ، فَجَاءَ عَلِيٌّ فَأَكَلَ مَعَهُ.

হে আল্লাহ! তোমার সবচেয়ে প্রিয় বান্দাকে পৌঁছে দাও যে আমার সাথে এই মুরগীর গোশত ভক্ষণে অংশ নেবে। এমন সময় আলী এসে পৌঁছলেন এবং হুজুরের দস্তরখানায় বসে পড়লেন।

(সুনানে তিরমিযী ৫:৬৩৬/৩৭২১,ফাযায়িলুস সাহাবা ২:৫৬০/৯৪৫,খাসায়েসে নাসায়ী : ৫,আল মুস্তাদরাক হাকেম ৩:১৩০-১৩২)

৬৭. হেদায়াতের পতাকা

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

إِنَّ رَبَّ الْعَالَمِيْنَ عَهِدَ إِلَيَّ عَهْداً فِي عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ ، فَقَالَ: إنَّهُ رَايَةُ الْهُدَي، وَ مَنارُ الْاِيْمَانِ، وَ اِمَامُ أَوْلِيَائِي، وَ نُورُ جَمِيعِ مَنْ أَطَاعَنِي.

বিশ্ব প্রতিপালক আলীর ব্যাপারে আমার সাথে কঠিনভাবে অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়েছেন। অতঃপর আমাকে বলেছেন: নিশ্চয় আলী হলো হেদায়েতের পতাকা,ঈমানের শীর্ষচূড়া,আমার বন্ধুগণের নেতা আর আমার আনুগত্যকারী সকলের জ্যোতিস্বরূপ।

(হিল্লিয়াতুল আউলিয়া ১:৬৬,শারহে নাহজুল বালাগা ইবনে আবীল হাদীদ ৯:১৬৮)

৬৮. রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর উত্তরসূরি

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

لِكُلِّ نَبِيٍّ وَصِيٌّ وَ وَارِثٌ، وَ إَِنَّ عَلِيّاً وَصِيِّي وَ وَارِثِي.

প্রত্যেক নবীর ওয়াসী এবং উত্তরসূরি থাকে। আর আমার ওয়াসী এবং উত্তরসূরি হলো আলী।

(আর রিয়াদুন নাদরাহ ৩:১৩৮,আল ফেরদৌস ৩:৩৩৬/৫০০৯,ইমাম আলী (আ.) ইবনে আসাকির ৩: ৫/১০৩০-১০৩১)

৬৯. সত্যিকারের সৌভাগ্য

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

إنَّ السَّعِيدَ كُلَّ السَّعِيدِ، حَقَّ السَّعِيدِ، مَنْ أحَبَّ عَلِيّاً فِي حَيَاتِهِ وَ بَعْدَ مَوتِهِ.

নিশ্চয় সবচেয়ে সৌভাগ্যবান এবং সত্যিকারের সৌভাগ্যবান সেই ব্যক্তি যে আলীকে তার জীবদ্দশায় এবং তার মৃত্যুর পরে ভালোবাসে।

(আর রিয়াদুন নাদরাহ ৩:১৯১,ফাযায়িলুস সাহাবা ২:৬৫৮/১১২১,আল মু জামুল কাবীর-তাবারানী ২২: ৪১৫/১০২৬,মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৯:১৩২)

৭০. রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সাহায্যকারী

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

لَمَّا عُرِجَ بِي رَأَيْتُ عَلَي سَاقِ الْعَرْشِ مَكْتُوباً: لَا إِِلَهَ إِِلَّا اللهُ، مُحَمَّدٌرَسُولُ اللهِ، أَيَّدْتُهُ بِعَلِيٍّ، نَصَرْتُهُ بِعَلِيٍّّ.

যখন আমাকে মি রাজে নিয়ে যাওয়া হয় তখন আরশের পায়ায় দেখলাম লেখা রয়েছে‘‘ আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই,মুহাম্মদ আল্লাহর প্রেরিত পুরুষ। আমি তাকে আলীকে দ্বারা শক্তিশালী করেছি এবং আলীকে তার সাহায্যকারী করে দিয়েছি।

(তারীখে বাগদাদ ১১:১৭৩,ওয়াসীলাতুল মুতাআব্বেদীন খ:৫ আল কিসম ২:১৬৩,আর রিয়াদুন নাদরাহ ৩:১৩১,যাখায়েরুল উকবা : ৬৯)

৭১. শ্রেষ্ঠ যোদ্ধা

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

لَمُبارِزَةُ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ لِعَمْرِو بْنِ عَبدوُدٍّ يَوْمَ الْخَنْدَقِ، أَفْضَلُ مِنْ عَمَلِ اُمَّتِي إِلَي يَوْمِ  الْقِيَامَةِ.

খন্দকের যুদ্ধে আমর ইবনে আবদুউদ্দের বিরুদ্ধে আলী ইবনে আবি তালিবের যুদ্ধ নিঃসন্দেহে কেয়ামত পর্যন্ত আমার উম্মতের সমুদয় কর্মের চাইতে অধিক মূল্যবান।

(তারীখে বাগদাদ ১৩:১৯,আল মানাকিব-খারেযমী ১০৭/১১২)

৭২. জাহান্নাম সৃষ্টি হতো না যদি

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

لَوِ اجْتَمَعَ النَّاسُ عَلي حُبِّ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، لَمَا خَلَقَ اللهُ تَعَالَي  النَّارَ.

যদি মানুষ আলী ইবনে আবি তালিবের ভালোবাসায় একমত হতো তাহলে মহান আল্লাহ কখনো জাহান্নামকে সৃষ্টি করতেন না।

(আল ফেরদৌস ৩:৩৭৩/১৩৫,আল মানাকিব-খারেযমী ৬৭/৩৯,মাকতালুল হুসাইন (আ.)-খারেযমী ১:৩৮)

৭৩. সর্বোত্তম মুমিন

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

لَوْ أَََنَّ السَّمَاوَاتِ وَ الاَرْضَ وُضِعَتَا فِي كَفَّةٍ وَ إِيماَنُ عَلِيٍّ فِي كَفَّةٍ، لَرَجَحَ إيمَانُ عَلِیٍّ.

যদি আসমানসমূহ এবং জমিনকে দাঁড়িপাল্লার একপাশে আর আলীর ঈমানকে আরেক পাশে রাখা হয় তাহলে আলীর ঈমানের পাল্লা ভারী হবে।

(আর রিয়াদুন নাদরাহ ৩:২০৬,আল ফেরদৌস ৩:৩৬৩/৫১০০,ইমাম আলী (আ.) ইবনে আসাকির ২: ৩৬৪/৮৭১ ও ৩৬৫/৮৭২,আল মানাকিব-খারেযমী : ৭৭-৭৮)

৭৪. তার গুণাবলীর উপকারিতা

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

مَا اكْتَسَبَ مُكْتَسَبٌ مِثْلَ فَضْلِ عَلِيٍّ، يَهْدِي صَاحِبَهُ إِلَي الْهُدَي، وَ يَرُدُّ عَنِ الرَّدَي.

আলীর ন্যায় গুণাবলী অর্জনের মতো আর কোনো অর্জন অধিক উপকারী নয়। কারণ,তার অধিকারীকে হেদায়েতের পথে পরিচালিত করে এবং নীচ ও হীনতা থেকে দূরে রাখে।

(আর রিয়াদুন নাদরাহ ৩:১৮৯,যাখায়িরুল উকবা :৬১)

৭৫. প্রতিপালকের প্রিয়তম

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

إِنَّ اللهَ أَمَرَنِي بِحُبِّ أَرْبِعَةٍ، وَ أَخْبَرَنِي أَنَّهُ يُحِبُّهُمْ. قِيلَ، يَا رَسُولَ اللهِ، سَمِّهِمْ لَنَا. قَالَ: عَلِيٌّ مِنْهُمْ، يَقُولُ ذَلِكَ ثَلَاثاً.

এমন চার ব্যক্তি যারা আল্লাহর কাছে প্রিয় মহান আল্লাহ আমাকে সে চারজনকে ভালোবাসতে নির্দেশ দিয়েছেন।

বলা হলো,হে রাসূলুল্লাহ (সা.)! তাদের নামগুলো আমাদের জন্য বলুন। তিনি তিন বার বললেন,আলী তাদের মধ্যে।

(সুনানে তিরমিযী ৫:৬৩৬/৩৭১৮,সুনানে ইবনে মাজাহ ১:৫৩/১৪৯,মুসনাদে আহমাদ ৫:৩৫১,আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১৩০)

৭৬. সর্বপ্রথম মুসলমান

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

أََوَّلُكُمْ وُرُوداً فِي الْحَوْضِ أََوَّلُكُمْ  إِِسْلَاماً عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ.

তোমাদের মধ্যে সবার আগে হাউজে কাওসারে প্রবেশ করবে সেই ব্যক্তি যে সবার আগে ইসলাম গ্রহণ করেছে। আর সে হলো আলী ইবনে আবি তালিব।

(আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১৩৬,আল ইস্তিয়াব ৩:২৭,২৮,উসুদুল গাবাহ ৪:১৮,তারীখে বাগদাদ ২:৮১)

৭৭. ফাতেমা (আ.)-এর জন্য সর্বোত্তম স্বামী

রাসূলুল্লাহ (সা.) হযরত ফাতিমাকে বলেনঃ

زَوَّجْتُكِ خَيْرَ أَهْلِي، أَعْلَمَهُمْ عِلْماً، وَ أَفْضَلَهُمْ حِلْماً، و أوَّلَهُمْ سِلْماً.

তোমাকে আমার পরিবারের সবচেয়ে উত্তম ব্যক্তির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করেছি। সে জ্ঞান-বিদ্যায়,ধৈর্য-সহিষ্ণুতায় ও ইসলাম গ্রহণে সবাইকে পিছে ফেলে এগিয়ে গেছে।

(মানাকিবে খারেযমী ৬৩: নাযমু দুরারিস সামতাঈন : ১২৮,কানযুল উম্মাল ১১:৬০৫/৩২৯২৬)

৭৮. সত্যের অগ্রদূত

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

اَلسُّبْقُ ثَلَاثَةٌ: اَلسَّابِقُ إِلَي مُوْسَي يُوشَعُ بنُ نُون، وَ السَّابِقُ إِلَي عِيسَي صَاحِبُ يس، وَ السَّابِقُ إِلَي مُحَمَّدٍ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ.

সত্যের অগ্রদূত তিনজন : মুসাকে মেনে নেওয়ার বেলায় ইউশা ইবনে নুন,ঈসাকে মেনে নেওয়ার বেলায় ইয়া সীনের মালিক আর মুহাম্মদের সাথে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে আলী ইবনে আবি তালিব।

(আস সাওয়ায়িকুল মুহরিকা ১২৫,মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৯: ১০২,যাখায়িরুল উকবা :৫৮,আল মু জামুল কাবীর-তাবারানী ১১:৭৭/১১১৫২)

৭৯. সর্বশ্রেষ্ঠ সত্যবাদী

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

اَلصِّدِّيقُونَ ثَلَاثَةٌ: مُؤْمِنُ آلِ يس، وَ مُؤْمِنُ آلِ فِرْعَوْنَ، وَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ وَ هُوَ أَفْضَلُهُمْ.

প্রকৃত সত্যবাদী তিনজন : আলে ইয়াসীনের মুমিন,আলে ফেরআউনের মুমিন আর আলী ইবনে আবি তালিব,আর সে হলো তাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ।

(কানযুল উম্মাল ১;৬০১/৩২৮৯৮,ফাযায়িলুস সাহাবা ২:৬২৮/১০৭২,আল ফেরদৌস ২:৪২১/৩৮৬৬)

[উল্লেখ্য,আলে ইয়াসীনের মুমিন হলো হাবীব নায্যার (ইয়াসীন : ২০),আর আলে ফেরআউনের মুমিন হলো হেযকিল (গাফির : ২৮)]

৮০. সতকর্মশীলদের নেতা

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

عَلِيٌّ أَمِيرُ الْبَرَرَةِ، وَ قَاتِلُ الْفَجَرةِ، مَنْصُورٌ مَنْ نَصَرَهُ، مَخْذُولٌ مَنْ خَذَلَهُ.

আলী সতকর্মশীলদের নেতা আর ব্যভিচারীদের হন্তা। যে কেউ তাকে সাহায্য করে সে সাহায্য প্রাপ্ত হয় আর যে ব্যক্তি তাকে ত্যাগ করে সে বিফল হয়।

(আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২৯,কানযুল উম্মাল ১১:৬০২/৩২৯০৯,আস-সাওয়ায়েকুল মুহরিকা :১২৫,আল ইমাম আলী (আ.)-ইবনে আসাকির ২:৪৭৬/১০০৩ ও ৪৭৮/১০০৫)

৮১. রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জীবন ও মরণ

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

مَنْ أَحَبَّ‌أَنْ يَحْيَا‌حَيَاتِي‌وَ‌يَمُوتَ مَوْتِي‌فَلْيَتَولَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ.

যে ব্যক্তি আমার মতো জীবন যাপন করতে এবং আমার মতো মৃত্যুবরণ করতে পছন্দ করে সে যেন আলী ইবনে আবি তালিবের বেলায়েতকে মেনে চলে।

(আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২৮,কানযুল উম্মাল ১১:৬১১/৩২৯৫৯)

৮২. ঈসা (আ.)-এর ন্যায়

রাসূলুল্লাহ (সা.) হযরত আলীকে বলেনঃ

فِيكَ مَثَلٌ مِنْ عِيسَي(ع)، أَبْغَضَتْهُ الْيَهُودُ حَتَّي بَهَتُوا أُمَّهُ، وَ أََحَبَّتْهُ النَّصَارَي حَتَّي أَنْزَلُوهُ بِالْمَنْزِلَةِ الَّتِي لَيْسَ فِيهَا.

তুমি ঈসা (আ.)-এর সমতুল্য। ইয়াহুদীরা প্রচন্ড শত্রুতার কারণে তাঁর মায়ের ওপর অপবাদ আরোপ করে। আর খ্রিস্টানরা অতিরঞ্জিত ভালোবাসার কারণে তাঁকে এমন মর্যাদায় আসীন করলো যে মর্যাদা তাঁর ছিল না।

(আর রিয়াদুন নাদরাহ ৩:১৯৪,মুসনাদে আহমাদ ১:১৬০,আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২৩)

৮৩. বড় পুণ্য

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

حُبُّ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ حَسَنَةٌ لَايَضُرُّ مَعَهَا سَيِّئَةٌ، وَ بُغْضُهُ سَيِّئَةٌ لَا يَنْفَعُ مَعَهَا حَسَنَةٌ.

আলীর প্রতি ভালোবাসা বড় পুণ্যের কাজ যার কারণে কোনো মন্দই ক্ষতি করতে পারে না। আর তার সাথে শত্রুতা করা বড়ই নোংরা কাজ যার কারণে কোনো পুণ্যের কাজই ফলপ্রসূ হয় না।

(আল ফেরদৌস ২:১৪২/২৭২৫,আল মানাকিব-খারেযমী : ৩৫)

৮৪. হিকমতের অধিকারী

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

قُسِّمَتِ الْحِكْمَةُ عَشَرَةَ أَجْزَاءٍ، فَأُعْطِيَ عَلِيٌّ تِسْعَةَ أَجْزَاءٍ، وَ النَّاسُ جُزْءاً وَاحِداً.

হিকমতকে দশ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। আলীকে তার থেকে নয় ভাগ প্রদান করা হয়েছে আর সমস্ত মানুষকে দেয়া হয়েছে বাকী এক ভাগ।

(হিল্লিয়াতুল আউলিয়া ১:৬৪,আল মানাকিব ইবনে মাগাযেলী : ২৮৭/৩২৮,কানযুল উম্মাল ১১:৬১৫/৩২৯৮২)

৮৫. একই নূর

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

كُنْتُ أَنَا وَ عَلِيٌّ نُوراً بَيْنَ يَدَيِ اللهِ تَعَالَي قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَ آدَمَ بِأَرْبَعَةَ عَشَرَ أَلْفَ عَامٍ، فَلَمَّا خَلَقَ اللهُ آدَمَ قَسَّمَ ذَلِكَ النُّورَ جُزْأَيْنِ، فَجُزْءٌ أَنَا وَ جُزْءٌ عَلِيٌّ.

আদমের সৃষ্টির চার হাজার বছর আগে আল্লাহর সান্নিধ্যে আমি আর আলী একই নূর ছিলাম। তারপর যখন আল্লাহ আদমকে সৃষ্টি করলেন তখন সে নূরকে দুই টুকরো করলেন। তার এক টুকরো হলাম আমি আর অপর টুকরো হলো আলী।

(ফাযায়িলুস সাহাবা ২:৬৬২/১১৩০,আর রিয়াদুন নাদরাহ ৩:১২০)

৮৬. আলী (আ.)-এর অনুরক্তরা

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

مَا مَرَرْتُ بِسَمَاءٍ إِلَّا وَ أََهْلُهَا يَشْتَاقُونَ اِلَي عَلِيِّ بْنِ أََبِي طَالِبٍ، وَ مَا فِي الْجَنَّةِ نَبِيٌّ إِلَّا وَ هُوَ يَشْتَاقُ اِلَي عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ.

আসমানে আমি যেখানেই গেছি দেখেছি আলী ইবনে আবি তালিবের অনুরক্তরা তাকে সাক্ষাত করতে উদগ্রীব,আর বেহেশতে এমন কোনো নবী নেই যিনি তার সাথে সাক্ষাত করতে উদগ্রীব নন।

(আর রিয়াদুন নাদরাহ ৩:১৯৮,যাখায়েরুল উকবা : ৯৫)

৮৭. রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর ভাই

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

مَكْتُوبٌ عَلَي بَابِ الْجَنَّةِ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ، مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللهِ، عَلِيٌّ أَخُو النَّبِي، قَبْلَ أَنْ يُخْلَقَ الْخَلْقُ بِأَلْفَيْ سَنَة.

বেহেশতের দরওয়াযার ওপরে লেখা রয়েছে: আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই,মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল আর মানুষ সৃষ্টি হওয়ার দুই হাজার বছর আগে থেকে আলী নবীর ভাই।

(মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৯:১১১,মুখতাসারু তারীখে দামেস্ক ইবনে মাঞ্জুর ১৭:৩১৫,ফাযায়েলুস সাহাবা ২: ৬৬৮/১১৪০)

৮৮. বেহেশতী বৃক্ষশাখা হস্তে ধারণ

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

مَنْ أَحَبَّ أََنْ يَسْتَمْسِكَ بِالْقَضِيبِ الاَحْمَرِ الَّذِي غَرَسَهُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ فِي جَنَّةِ عَدْنٍ بِيَمِينِهِ، فَلْيَتَمَسَّكْ بِحُبِّ عَلِيِّ بْنِ أََبِي طَالِبٍ.

আল্লাহ রাববুল আলামীন চিরন্তন বেহেশতে যে লাল শাখাটি রোপণ করেছেন যে ব্যক্তি সেটি ধরতে পছন্দ করে সে যেন আলী ইবনে আবি তালিবের বেলায়েতকে গ্রহণ করে।

(আর রিয়াদুন নাদরাহ ৩:১৯০,ফাযায়েলুস সাহাবা ২:৬৬৪/১১৩২,নাহজুল বালাগা -ইবনে আবিল হাদীদ ৯০/১৬৮)

৮৯. নবীকুলের সারনির্যাস

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

مَنْ أَرَادَ أَنْ يَنْظُرَ إِلَي آدَمَ فِي عِلْمِهِ، وَ إِلَي نُوحٍ فِي فَهْمِهِ وَ إِلَي إِبْرَاهِيمَ فِي حِلْمِهِ وَ إِلَي يَحْيَي بْنِ زَكَرِيَّا فِي زُهْدِهِ وَ إِلَي مُوسَي بْنِ عِمْرَانَ فِي بَطْشِهِ فَلْيَنْظُرْ إِلَي عَلِيِّ  بْنِ أََبِي طَالِبٍ.

যে ব্যক্তি আদমকে তাঁর জ্ঞানে,নুহকে তাঁর ধীশক্তিতে,ইবরাহীমকে তাঁর দূরদর্শিতায়,ইয়াহিয়াকে তাঁর সংযমশীলতায় আর মূসা ইবনে ইমরানকে তাঁর সাহসিকতায় দেখতে চায় সে যেন আলী ইবনে আবি তালিবের প্রতি লক্ষ্য করে।

(ইমাম আলী ইবনে আবি তালিব-ইবনে আসাকির ২:২৮০/৮১১,আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া ৭:৩৬৯)

৯০. সর্বপ্রথম নামায আদায়কারী

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

وَ لَقَدْ صَلَّتِ الْمَلَائِكَةُ عَلَيَّ وَ عَلَي عَلِيٍّ ، لِأََنَّا كُنََّا نُصَلِّي وَ لَيْسَ مَعَنَا أَحَدٌ يُصَلِّي غَيْرُنَا.

ফেরেশতারা আমার এবং আলীর ওপর অসংখ্য সালাম পড়তো। কারণ,শুধু আমরাই নামায পড়তাম আর আমাদের সাথে নামায পড়ায় কেউ ছিল না।

(উসুদুল গবাহ ৪:১৮,আর রিয়াদুন নাদরাহ ৩:১২১,যাখায়িরুল উকবা :৬৪,ইমাম আলী (আ.) ইবনে আসাকির ১:৮০/১১২-১১৩)

৯১. রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সবচেয়ে প্রিয় ব্যক্তি

রাসূলুল্লাহ (সা.) হযরত আলীর প্রতি ইঙ্গিত করে আয়েশাকে বলেনঃ

يَا عَايِشَةُ، إِنَّ هَذَا أَحَبُّ الرِّجَالُ إِلَيَّ، وَ أَكْرَمُهُمْ عَلَيَّ، فَاعْرِفِي لَهُ، وَ أَكْرِمِي مَثْوَاه.

হে আয়েশা! এ মানুষটি আমার কাছে সবচেয়ে প্রিয় এবং মর্যাদাবান ব্যক্তি। কাজেই তার অধিকার সম্পর্কে অবগত হও এবং তার মর্যাদার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করো।

(আর রিয়াদুন্ নাদরাহ ৩:১১৬,উসুদুল গবাহ ৫:৫৪৮,যাখায়িরুল উকবা :৬২)