সূর্যের ভাষায় চন্দ্র

সূর্যের ভাষায় চন্দ্র0%

সূর্যের ভাষায় চন্দ্র লেখক:
প্রকাশক: দারুল কুরআন ফাউন্ডেশন
বিভাগ: হযরত আলী (আ.)

সূর্যের ভাষায় চন্দ্র

লেখক: মোহাম্মদ আব্দুল কুদ্দুস বাদশা
প্রকাশক: দারুল কুরআন ফাউন্ডেশন
বিভাগ:

ভিজিট: 6173
ডাউনলোড: 3747

পাঠকের মতামত:

সূর্যের ভাষায় চন্দ্র
বইয়ের বিভাগ অনুসন্ধান
  • শুরু
  • পূর্বের
  • 58 /
  • পরের
  • শেষ
  •  
  • ডাউনলোড HTML
  • ডাউনলোড Word
  • ডাউনলোড PDF
  • ভিজিট: 6173 / ডাউনলোড: 3747
সাইজ সাইজ সাইজ
সূর্যের ভাষায় চন্দ্র

সূর্যের ভাষায় চন্দ্র

লেখক:
প্রকাশক: দারুল কুরআন ফাউন্ডেশন
বাংলা

৯২. সত্য শ্রবণকারী কান

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

يَا عَلِيُّ، إِنَّ اللهَ أَمَرَنِي أَنْ اُدْنِيكَ وَ أُعَلِّمُكَ ِلتَعِيَ، وَ أََنْزَلَتْ هَذِهِ الْآيَهُ: «وَ تَعِيَهَا اُذُنٌ وَاِعيَةٌ» فَأََنْتَ اُذُنٌ وَاعِيَةٌ لِعِلْمِي.

হে আলী! আল্লাহ আমাকে বলেছেন,তোমাকে আমার কাছে এনে আমার ইলমকে তোমাকে শিক্ষা দিতে যাতে তুমি সেগুলো পুরোপুরি শিখে নাও। এ মর্মে এই আয়াত নাযিল হয়েছে‘‘ এবং সত্যগ্রাহী কান এটাকে ধারণ করে’’ * কাজেই তুমি আমার জ্ঞানের সত্যগ্রাহী কান!

* সূরা আল হাক্কাহ্ : ১২

(হিল্লিয়াতুল আউলিয়া ১:৬৭,আদ দুররুল মানসূর ৮:২৬৭)

৯৩. অবাধ্যদের সাথে যুদ্ধ

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

يَا عَلِيُّ، سَتُقَاتِلُكَ الْفِئَةُ الْبَاغِيَةُ وَ أََنْتَ عَلَي الْحَقِّ فَمَنْ لَمْ يَنُصُرْكَ يَوْمَئِذٍ فَلَيْسَ مِنِّي.

হে আলী! শীঘ্রই অবাধ্যদল তোমার সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হবে। অথচ তুমি সত্যের ওপরে অবস্থান করবে। সুতরাং সেদিন যে ব্যক্তি তোমাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসবে না সে মুসলমান নয়।

(কানযুল উম্মাল ১১:৬১৩/৩২৯৭১)

৯৪. তোমার জন্য আল্লাহর আশ্রয়প্রার্থী হয়েছি!

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

يَا عَلِيُّ، مَا سَأَلْتُ اللهَ عَزَّ وَ جَلَّ مِنَ الْخَيْر ِإِلَّا سَأَلْتُ لَكَ مِثْلَهُ، وَ مَا اسْتَعَذْتُ اللهَ مِنَ الشَّرِّ إِلَّا اسْتَعَذْتُ لَكَ مِثْلَهُ.

হে আলী! আমি নিজের জন্য আল্লাহর কাছে যা কিছু ভালো চেয়েছি তোমার জন্যও তা কামনা করেছি। আর যা কিছু মন্দ তা থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করেছি,তোমার জন্যেও অনুরূপ আল্লাহর কাছে আশ্রয়প্রার্থী করেছি।

(আর রিয়াদুন নুদ্রাহ ৩:১৮৯,কানযুল উম্মাল ১৩:১৫১/৩৬৪৭৪)

৯৫. তোমার শত্রুর ধর্মে বিশ্বাস নেই

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

يَا عَلِيُّ، مَا كُنْتُ اُبَالِي مَنْ مَاتَ مِنْ اُمَّتِي وَ هُوَ يُبْغِضُك، مَاتَ يَهُودِيّاً أَوْ نَصْرَانِيّاً.

হে আলী! এতে আমার কোনো যায় আসে না যে আমার উম্মতের কোনো লোক তোমার প্রতি শত্রুতা রেখে মৃত্যুবরণ করে। অবশ্য তার মৃত্যু হয় ইয়াহুদী বা খৃস্টানের মৃত্যু।

(আল ফেরদৌস ৫:৩১৬/৮৩০৩,আল মানাকিব- ইবনুল মাগাযেলী ৫০/৭৪)

৯৬. মুনাফিকদের বিতাড়নকারী

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

يَا عَلِيُّ، مَعَك يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَصَاً مِنْ عِصِيِّ الْجَنَّةِ، تَذُودُ بِهَا الْمُنَافِقِينَ عَنِ الْحَوْضِ.

হে আলী! কেয়ামতের দিন একটি বেহেশতী লাঠি তোমার হাতে থাকবে যা দ্বারা তুমি মুনাফিকদেরকে বিতাড়িত করবে।

(আর রিয়াদুন নাদরাহ ৩:১৮৫,যাখায়িরুল উকবা :৯১,মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৯:১৩৫)

৯৭. দুনিয়া ও আখেরাতের সর্দার

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

يَا عَلِيُّ، أَنْتَ سَيِّدٌ فِي الدُُّنْيَا وَ سَيِّدٌ فِي الْآخِرَةِ، حَبِيبُكَ حَبِيبِي وَ حَبِيبِي حَبِيبُ اللهِ، وَ عَدُوُّكَ عَدُوِّي وَ عَدُوِّي عَدُوُّ اللهِ وَ الْوَيْلُ لِمَنْ أَبْغَضَكَ بَعْدِي.

হে আলী! তুমি দুনিয়া ও আখেরাতের সরদার। তোমার বন্ধু আমারও বন্ধু,আর আমার বন্ধু আল্লাহরও বন্ধু। তোমার শত্রু আমারও শত্রু,আর আমার শত্রু আল্লাহরও শত্রু। অভিসম্পাত তার ওপর যে আমার পরে তোমার সাথে শত্রুতা করবে।

(আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২৮,আর রিয়াদুন নাদরাহ ৩:১২৪,আল ফেরদৌস ৫:৩২৪/৮৩২৫)

৯৮. সর্বদা আলীর সাথে থাকো

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

يَا عَمَّارُ، إِنْ رَأَيْتَ عَلِيّاً قَدْ سَلَكَ وَادِياً وَ سَلَكَ النَّاسُ وَادِياً غَيْرَهُ، فَاسْلُكْ مَعَ عَلِيٍّ و دَعِ النَّاسَ،  إِنَّهُ لَنْ يَدُلَّكَ عَلَي رَدَيً، وَ لَنْ يُخْرِجَكَ مِنَ الْهُدَي.

হে আম্মার! যদি দেখতে পাও যে আলী একপথে চলেছে আর লোকেরা অন্যপথে,তাহলে তুমি আলীর সাথে চলবে এবং লোকদেরকে ত্যাগ করবে। কারণ,আলী কখনো তোমাকে বক্রপথে পরিচালিত করবে না এবং তোমাকে হেদায়েতের পথ থেকে বাইরে নিয়ে যাবে না।

(কানযুল উম্মাল ১১:৬১৩/৩২৯৭২,তারীখে বাগদাদ ১৩:১৮৭)

৯৯. আল্লাহ তাকে বেশী ভালোবাসেন

রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর চাচা হযরত আববাস আমিরুল মুমিনীন আলী (আ.) এর প্রতি ইঙ্গিত করে হুজুর (সা.) কে জিজ্ঞেস করেন,হে রাসূলে খোদা! তাকে কি তুমি ভালোবাস? হুজুর উত্তর দিলেনঃ

يَا عَمّ، وَاللهِ اَللهُ اَشَدُّ حُبّاً لَهُ مِنِّي أََنْ جَعَلَ ذُرِّيَةَ كُلُّ نَبِيٍّ فِي صُلْبِهِ، وَجَعَلَ ذُرِّيَتِي فِي صُلْبِ هَذَا.

হে চাচাজান! খোদার কসম,আলীর প্রতি আল্লাহর ভালোবাসা আমার প্রতি তাঁর ভালোবাসার চেয়েও বেশী। কারণ,তিনি প্রত্যেক নবীর বংশকে স্বয়ং তারই ঔরসে দান করেছেন। আর আমার বংশকে দান করেছেন এর ঔরসে।

(আর রিয়াদুন নাদরাহ ৩:১২৬,ইয়ানাবিউল মোওয়াদ্দাহ :২৬৬,আল ইমাম আলী (আ.)- ইবনে আসাকির ২:১৫৯/৬৪৬)

১০০. যোদ্ধা পুরুষ

রাসূলুল্লাহ (সা.) সাকিফের প্রতিনিধিবৃন্দের উদ্দেশে বলেনঃ

لَتُسْلِمُنَّ أَوُ لَأَبْعَثَنَّ عَلَيْكُمْ رَجُلاً مِنِّي–أو قَالَ: مِثْلَ نَفْسِي–فَلْيَضْرِبَنَّ أَعْنَاقَكُمْ، وَلْيَسْبِيَنَّ ذَرَارِيكُمْ، وَلْيَأْخُذَنَّ أَمْوَالَكُمْ فَالْتَفَتَ إِلَي عَلِيٍّ (ع)، فَأْخَذَ بِيَدِهِ وَ قَالَ: هُوَ هَذَا.

তোমাদের আত্মসমর্পণ করতে হবে। তা নাহলে এমন একজনকে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে পাঠাবো যে আমা থেকে (কিংবা বললেন : যে আমার মতো)। সে তোমাদের সকলকে শেষ করে দেবে,তোমাদের সন্তানদেরকে বন্দী করবে আর তোমাদের সহায় সম্বলকে জব্দ করবে। অতঃপর রাসূল (সা.) আলীর দিকে মুখ ফিরালেন। তার হাত ধরলেন এবং বললেন,এই পুরুষটির কথাই বলছি।

(সুনানে তিরমিযী ৫: ৬৩৪/৩৭১৫,ফাযায়েলুস সাহাবা ২:৫৭১/৯৬৬,আল ইস্তিয়াব ৩:৪৬,খাসায়েসে নাসায়ী ১০,১৯)

১০১. শক্তির শেষ প্রতীক

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

لَأَعْطِيَنَّ الرَّايَةُ غَداً رَجُلاً يُحِبُّ اللهَ وَ رَسُولَهُ، وَ يُحِبُّهُ اللهُ وَ رَسُولُهُ، كَرَّارٌ غَيْرُ فَرَّارٍ، فَلَمَّا أَصْبَحَ النَّاسُ، قَالَ : أَيْنَ عَلِيٌّ؟ فَدَفَعَ الرَّايَةَ إِِلَيْهِ، فَفَتَحَ اللهُ عَلَيهِ.

আগামীকাল পতাকাকে এমন কারো হাতে তুলে দেব যাকে আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল ভালোবাসেন,আর সেও আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে ভালোবাসে। সে অবিচল দৃঢ়পদ,কখনো পলায়ন করে না।

যখন সকাল হলো,বললেন,‘‘ আলী কোথায়?’’ অতঃপর পতাকাকে তাঁর হাতে অর্পণ করলেন এবং আল্লাহ তাঁকে বিজয় দান করলেন।

(খাসায়েসে নাসায়ী : ৬,সহীহ বুখারী ৫:৮৭/১৯৭-২৭৯/২৩১,সহীহ মুসলিম ৪:১৮৭১/৩২-৩৪,সুনানে তিরমিযী ৫:৬৩৮/৩৭২৪,মুসনাদে আহমাদ ১:১৮৫ ও ৫: ৩৮৫)

১০২. ফেতনা থেকে নিরাপত্তা

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

سَتَكُونُ بَعْدِي فِتْنَةٌ: فَإِذَا كَانَ ذَلِكَ فَاَلْزَمُوا عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، فَإِنَّهُ أَوَّلُ مَنْ يَرَانِي، و أَوَّلُ مَنْ يُصَافِحُني يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَ هُوَ الصِّدِّيقُ الْأَكْبَرُ، وَ هُوَ فَارُوقُ هَذِهِ الْأُمَّةِ، يَفْرُقُ بَيْنَ الْحَقِّ وَ الْبَاطِلِ، وَ هُوَ يَعْسُوبُ الدِّينِ.

আমার পরে বিভিন্ন ফিতনার সৃষ্টি হবে। তখন তোমরা আলী ইবনে আবি তালিবের সাথে থাকবে। কেননা,কেয়ামতের দিন সে সর্বপ্রথম ব্যক্তি যে আমাকে দেখবে এবং আমার সাথে যোগ দিবে। সে হলো মুমিনদের মধ্যে সবচেয়ে দৃঢ়পদ এবং এই উম্মতের পথ নির্দেশক,হক আর বাতিলের মধ্যে সে পৃথক করে দেয়। দীনের বড় নেতা হলো সে।

(উসুদুল গাবাহ ৫:২৮৭,আল ইসাবাহ ৪:১৭১,আল ইস্তিআব ৪:১৭০)

১০৩. অতুলনীয় গুণের অধিকারী

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

يَا عَلِيُّ، أَخْصِمُكَ بِالنُّبُوَّةِ وَلَا نُبُوَّةَ بَعْدِي، وَ تَخْصِمُ النَّاسَ بِسَبْعٍ، لاَ يُحَاجَّكَ فِيهَا أَحَدٌ مِنْ قُرَيشٍ: أَنْتَ أَوَّلُ إِيمأَناً بِاللهِ، وَ أَوْفَاهُمْ بِعَهْدِ اللهِ، وَ أَقْوَمُهُمْ بِأَمْرِ اللهِ، وَ أَقْسَمُهُمْ بِالسَّوِيَّةِ، وَ أَعْدَلُهُمْ فِي الرَّعِيَّةِ، وَ أَبْصَرُهُمْ بِالْقَضِيَّةِ وَ أَعْظَمُهُمْ عِنْدَ اللهِ مَزِيَّةٍ.

হে আলী! আমি নবুওতের দিক থেকে তোমার ওপর শ্রেয়। কারণ আমার পরে কোনো নবী নেই। আর তুমিও সাতটি বৈশিষ্ট্যের কারণে সব মানুষের মধ্যে শ্রেয়। একজন কোরাইশেরও ঐ সাতটি গুণের কোনোটিতেই তোমার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সামর্থ্য নেই : আল্লাহর প্রতি ঈমান আনয়নে তুমি প্রথম,আল্লাহর সাথে অঙ্গীকার রক্ষায় তুমি সবচেয়ে বিশ্বস্ত,আল্লাহর নির্দেশ বাস্তবায়নে তুমি সবচেয়ে অবিচল,মানুষের মধ্যে ভাগ বণ্টনের ক্ষেত্রে তুমি সবচেয়ে ইনসাফকারী,মানুষের অধিকার মেনে চলার ক্ষেত্রে তুমি সবচেয়ে ন্যায়পরায়ণ,বিচারের কাজে তুমি সবচেয়ে বিচক্ষণ এবং আল্লাহর নিকটে তুমি সবচেয়ে মর্যাদাসম্পন্ন।

(হিল্লিয়াতুল আউলিয়া ১:৬৫,শারহে নাহজুল বালাগা ইবনে আবিল হাদীদ ৯:১৭৩

১০৪. এ ছিল আল্লাহর নির্দেশ!

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

سُدُّوا الاَبْوَابَ، إلَّا بَابَ عَلِيٍّ. فَتَكَلَّمَ بِذَلِكَ النَّاسُ، فَقَامَ رَسُولُ اللهِ (ص) فَحَمِدَ اللهَ وَ أَثْنَي عَلَيهِ و ثُمَّ قَالَ: أَمَّا بَعْدُ، فَإِنِّي أَُمِرْتُ بِسَدِّ هَذِهِ الابْوَابَ إلاَّ بَابَ عَلِيٍّ، وَ قَالَ فِيهِ قَائِلُكُمْ، وَ اللهِ مَا سَدَدْتُهُ وَ لَا فَتَحْتُهُ، وَ لَكِنِّي اُمِرْتُ فَاتَّبَعْتُهُ.

শুধু আলীর দরওয়াযা ব্যতীত সকল দরওয়াযা বন্ধ করে দাও।

লোকজন আপত্তির সুরে নানা কথা বলতে লাগলো।

হুজুর (সা.) উঠে দাঁড়ালেন এবং আল্লাহর প্রশংসা জ্ঞাপন পূর্বক ঘোষণা করলেন,আমাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে সকল দ্বার বন্ধ করে দেয়ার জন্যে শুধু আলীর দরওয়াযা ছাড়া। আর এটা তোমাদের মধ্যে নানা আপত্তি ও আলোচনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। খোদার কসম,আমি কোনো দরওয়াযা বন্ধও করিনি আর কোনো দরওয়াযা খুলেও দেই নি। বরং যা আল্লাহর নির্দেশ ছিল তাই পালন করেছি মাত্র।

(সুনানে তিরমিযী ৫:৬৪১/২৭৩২,মুসনাদ্ আহমাদ ১:৩৩১,ফাযায়েলূস্  াহাবা ২:৫৮১/৯৮৫,আল  মুস্তাদরাক-হাকেম ৩;১২৫,খাসায়েসে নাসায়ী :১৩)

১০৫. সুন্নাতের রাস্তায় সংগ্রামী পুরুষ

রাসূলুল্লাহ (সা.) হযরত আলীকে উদ্দেশ করে বলেনঃ

قُمْ فَوَاللهِ لَأََرْضِيَنَّكَ، أََنْتَ أَخِي وَ أَبُو وُلْدِي، تُقَاتِلُ عَلَي سُنَّتِي، مَنْ مَاتَ عَلَي عَهْدِي فَهُوَ  فِي كَنْزِ اللهِ، وَ مَنْ مَاتَ عَلَي عَهْدِكَ فَقَدْ قَضَي نَحْبَهُ، وَ مَنْ مَاتَ يُحِبُّكَ بَعْدِ مَوْتِكَ خَتَمَ اللهُ لَهُ بِالْأَمْنِ وَ الْإِيمَانَ مَا طَلَعَتْ شَمْسٌ أََوْ غَرُبَتْ.

ওঠো! আল্লাহর কসম,সার্থক জনম তোমার,তুমি আমার ভাই এবং আমার সন্তানদের পিতা,তুমি আমার সুন্নাতের ওপর দুশমনদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ো। যে ব্যক্তি আমার সাথে প্রতিশ্রুতিশীল অবস্থায় মৃত্যুবরণ করবে নিঃসন্দেহে সে আল্লাহর ছায়াতলে আশ্রয় লাভ করবে। আর যে ব্যক্তি তোমার সাথে প্রতিশ্রুতিশীল অবস্থায় মৃত্যুবরণ করবে সে তার অঙ্গীকারের ওপর মৃত্যুবরণ করলো এবং স্বীয় কর্তব্য পালন করলো। আর যে ব্যক্তি তোমার শাহাদাতের পরে তোমার বন্ধুত্ব ও ভালোবাসায় মারা যাবে যতদিন সূর্যের উদয় অস্ত চলবে ততদিন যাবত আল্লাহ তার জন্যে নিরাপত্তা ও ঈমান লিপিবদ্ধ করবেন।

(ফাযায়িলুস সাহাবা ২:৬৫৬/১১১৮,আর রিয়াদুন নাদরাহ ৩:১২৪,যাখায়িরুল উকবা : ৬৬,মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৯:১২১)

১০৬. আল্লাহর বন্ধু

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

أُوصِي مَنْ آمَنَ بِي وَ صَدَّقَنِي بِوِلَايَةِ عَلِيِّ بْنِ أبِي طَالِبٍ ، فَمَنْ تَوَلَّاهُ فَقَدْ تَوَلَّانِي، وَ مَنْ تَوَلَّانِي فَقَدْ تَوَلَّي اللهَ، وَ مَنْ أَحَبَّهُ فَقَدْ أَحَبَّنِي، وَ مَنْ أَحَبَّنِي فَقَدْ أَحَبَّ اللهَ، وَ مَنْ أبْغَضَهُ فَقَدْ أَبْغَضَنِي، وَ مَنْ أَبْغَضَنِي فَقَدْ أَبْغَضَ اللهَ عَزَّوَجَلَّ.

আমার প্রতি যে ঈমান আনে ও বিশ্বাস স্থাপন করে তার প্রতি আমার উপদেশ হলো তার নিজের জন্য যেন আলী ইবনে আবি তালিবের অভিভাবকত্বকে মেনে নেয়। কারণ,যে ব্যক্তি নিজেকে আলীর বেলায়েতের অধীনে নিয়োজিত করে আমি তার অভিভাবক হই,আর আমি যার অভিভাবক হই আল্লাহ তাকে স্বীয় বেলায়েতের অধীনে গ্রহণ করেন। আর যে ব্যক্তি আলীকে ভালোবাসবে সে আমাকেও ভালোবাসবে,আর যে আমাকে ভালোবাসবে আল্লাহ তাকে ভালোবাসবে। আর যে ব্যক্তি আলীকে ঘৃণা করবে সে আমাকেও ঘৃণা করবে। আর যে আমাকে ঘৃণা করবে আল্লাহ তাকে ঘৃণা করবেন।

(আলমানাকিব-ইবনে মাগাযেলী : ২৩০/২৭৭,মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৯:১০৮,কানযুল উম্মাল ১১:৬১০/৩২৯৫৩)

১০৭. রাসূলুল্লাহ (সা.) কে সৃষ্টি করা মাটি দ্বারা সৃষ্ট

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

مَنْ سَرَّهُ أَنْ يَحْيَا حَيَاتِي وَ يَمُوتَ مَمَاتِي وَ يَسْكُنُ جَنَّةُ عَدْنٍ غَرَسَهَا رَبِّي فَلْيُوَالِ عَلِيّاً مِنْ بَعْدِي، وَ يُوَالِ وَلِيَّهُ وَلْيَقْتَدِ بِأََهْلِ بَيْتِي مِنْ بَعْدِي، فَإِنَّهُمْ عِتْرَتِي، خُلِقُوا مِنْ طِينَتِي وَ رُزِقُوا فَهْمِي وَ عِلْمِي.

যে ব্যক্তি আমার মতো জীবন যাপন এবং আমার মতো মৃত্যুবরণ করে খুশী হতে চায় আর আমার আল্লাহ যে চিরকালীন বেহেশত প্রস্ত্তত করেছেন সেখানে শান্তির আবাস লাভ করতে চায় তাকে আমার পরে আলীর বেলায়েতকে গ্রহণ করতে হবে এবং তাঁর অভিভাবকত্বকে স্বীকার করে নিতে হবে। আর আমার আহলে বাইতকে অনুসরণ করতে হবে। তারা আমার বংশধর,আমার সৃষ্টি করা মাটি দিয়েই তারা সৃষ্ট। আর তাদেরকে আমার জ্ঞান ও ধীশক্তি প্রদান করা হয়েছে।

(শারহে নাহজুল বালাগা -ইবনে আবিল হাদীদ ৯/১৭০,হিল্লিয়াতুল আউলিয়া ১:১৬,কানযুল উম্মাল ১২:১০৩/২৪১৯৮)

১০৮. আরশ মুয়াল্লায় বিবাহ

রাসূলুল্লাহ (সা.) হযরত আলীকে বলেনঃ

هَذَا جَبْرَائِيلُ يُخْبِرُنِي أَنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ زَوَّجَكَ فَاطِمَةَ، وَ أَشْهَدَ عَلَي تَزْوِيجِكَ أَرْبَعِينَ أَلْفَ مَلَكٍ ، وَ أَوْحَي إِلَي شَجَرَةِ طُوبَي: أََنِ انْثُرِي عَلَيْهِمُ الدُّرَّ وَ الْيَاقُوتَ، فَنَثَرَتْ عَلَيْهِمُ الدُّرَّ وَالْيَاقُوتَ، فَابْتَدَرَتْ إِلَيْهَ الْحُورُ الْعَيْنَ يَلْتَقِطْنَ مِنْ أَطْبَاقِ الدُّرِّ وَ الْيَاقُوتِ، فَهُمْ يَتَهَادُونَهُ بَيْنَهُمْ إِلَي يَوْمِ  الْقِيَامَةِ.

এই মাত্র জিবরাঈল আমার জন্যে সংবাদ আনলেন যে,মহান আল্লাহ তোমাকে ফাতিমার সাথে বিবাহ দিয়েছেন। এই বিবাহে চার হাজার ফেরেশতা সাক্ষী দিয়েছে। তুবা বৃক্ষের প্রতি ইশারা করলেন যাতে তাদের ওপর মণিরত্ন এবং ইয়াকুত ছড়ায়। তখন তুবা সেটাই করলো। আর কৃষ্ণ চক্ষুর বেহেশতী হুরগণ সে মণিরত্ন আর ইয়াকুতগুলোকে কুড়িয়ে বড় বড় তশতরিতে রাখলো। কেয়ামতের দিন সেগুলোই তারা একে অপরকে উপহার প্রদান করবে।

(আর রিয়াদুন্ নাদরাহ ৩:১৪৬,যাখায়িরুল উকবা :৩২)

১০৯. সত্যিকার পরহেযগার

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

يَا عَلِيُّ، إِنَّ اللهَ قَدْ زَيَّنَكَ بِزِينَةٍ لَمْ يُزَيِّنُهُ الْعِبَادَ بِزِينَةٍ أَحَبُّ إِلَيْهِ مِنْهَا، هِيَ زِينَةُ الْأَبْرَارِ عِنْدَ اللهِ تَعَالي، الزُّهْدُ فِي الدُُّنْيَا، فَجَعَلَكَ لَا تَرْزَأَ مِنَ الدُُّنْيَا شَيْئًا وَ لَا تَرْزَأ الدُُّنْيَا مِنْكَ شَيْئاً وَ وَهَبَ لَكَ حُبَّ الْمَسَاكيِنَ فَجَعَلَكَ تَرْضَي بِهِمْ أَتْبَاعاً وَ يَرْضَوُنَ بِكَ إِمَاماً.

হে আলী! আল্লাহ তোমাকে এমন গুণে বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত করেছেন যার চেয়ে পছন্দনীয় গুণ মানুষের জন্য আর নেই। আল্লাহর দরবারে সৎকর্মশীলদের সেই গুণবৈশিষ্ট্যের নাম হলো দুনিয়ার জীবনে পরহেযগারী। আল্লাহ এমন করেছেন যে তুমি দুনিয়া থেকে কিছুই গ্রহণ করোনি আর দুনিয়াও তোমার থেকে কিছুই গ্রহণ করেনি। এর বিনিময়ে আল্লাহ অসহায়দের ভালোবাসা তোমাকে দান করেছেন। তুমিও খুশী হয়েছ যে তারা তোমার অনুসারী হয়েছে আর তারাও এই জন্য খুশী যে তুমি তাদের ইমাম!

(হিল্লিয়াতুল আউলিয়া ১:৭১,শারহে নাহজুল বালাগা- ইবনে আবিল হাদীদ ৯:১৬৬)

১১০. অতুলনীয় মর্যাদার অধিকারী

রাসূলুল্লাহ (সা.) ইমাম আলীকে বলেনঃ

أُوتِيتَ ثَلَاثاً لَمْ يُؤَتَهُنَّ أَحَدٌ وَ لَا أنَا، أُوتِيتَ صِهْراً مِثْلِي وَ لَمْ أُوْتَ أنَا مِثْلُكَ، وَ أُوتِيتَ زَوْجَةً صِدِّيقَةً مِثْلُ ابْنَتِي، وَ لَمْ أؤْتَ مِثْلَهَا زَوْجَةً، وَ أُوتِيتَ الْحَسَنَ وَ الْحُسَيْنَ مِنْ صُلْبِكَ، وَ لَمْ أُؤتَ مِنْ صُلْبِي مِثْلَهُمَا، وَ لَكِنَّكُمْ مِنِّي وَ أنَا مِنْكُمْ.

 তোমাকে তিনটি মর্যাদা দেয়া হয়েছে যা কাউকে এমনকি আমাকেও দেয়া হয়নি। আমার মতো ব্যক্তির জামাতার মর্যাদা যা শুধু তোমাকে দেয়া হয়েছে,আমাকে নয়। আমার কন্যার মতো পুণ্যবতী সহধর্মিণী তুমি পেয়েছ,তার মতো সহধর্মিণী আমার নেই। আর হাসান ও হুসাইনের ন্যায় সন্তানদ্বয় তোমাকে দেয়া হয়েছে,তাদের মতো সন্তান আমাকে দেয়া হয়নি। তবে তোমরা সবাই আমা থেকে আর আমি তোমাদের থেকে।

(আর রিয়াদুন নাদরাহ ৩:১৭২,নাযমু দুরারিস সামতাঈন :১১৩)

গ্রন্থসূত্রঃ

১. আল ইহসান বি তারতিবি সাহীহ ইবনে হাববান ইবনে বালাবান,মৃঃ ৭৩৯ হিঃ,দারুল কুতুবুল ইলমিয়্যাহ,বৈরুত,প্রথম মুদ্রণ।

২. আল ইস্তিয়াব (আল ইসাবাহ্ গ্রন্থের হাশিয়াতে মুদ্রিত)ঃ ইবনে আব্দুল বার,মৃঃ ৪৬৩ হিঃ,দারু এহইয়াউ তুরাছিল আরাবী,বৈরুত,প্রথম মুদ্রণ।

৩. উসদুল গবাহ ফি মারিফাতিস সাহাবা ইবনুল আছির,মৃত্যু ৬৩০ হিঃ,দারু এহইয়াউ তুরাছিল আরাবী,বৈরুত।

৪. আল ইসাবা- ইবনে হাজার আসকালানী,মৃত্যু ৮৫২ হিঃ,দারু এহইয়াউ তুরাছিল আরাবী,বৈরুত।

৫. আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া- ইবনে কাছীর দামেস্কী,মৃত্যু ৭৭৪ হিঃ,দারুল কুতুবুল ইলমিয়্যাহ,বৈরুত।

৬. তারীখে বাগদাদ- খাতীবুল বাগদাদী,মৃত্যু ৪৬৩ হিঃ,দারুল কুতুবুল ইলমিয়্যাহ,বৈরুত।

৭. তারীখুত তাবারী (তারীখুল উমাম ওয়াল মুলুক) মুহাম্মদ ইবনে জারীর তাবারী,মৃত্যু ৩১০ হিঃ,দারুত তুরাছ,বৈরুত।

৮. ইমাম আলী (আ.) (তারীখে দামেস্ক থেকে অনুবাদকৃত)- ইবনে আসাকির,মৃত্যু ৫৭১ হিঃ,মাহমুদী ফাউন্ডেশন,বৈরুত।

৯. তাফসীরুত তাবারী (জামেউল বাইয়্যান ফি তাফসীরিল কুরআন) আবি জাফর তাবারী,মৃত্যু ৩১০ হিঃ,দারুল মাআরিফা,বৈরুত।

১০. জামিউল উসুল মিন আহাদীসুর রাসূল (সা.)- ইবনুল আছির আল জাযরী,মৃত্যু ৬০৬ হিঃ,দারু এহইয়াউ তুরাছিল আরাবী,বৈরুত।

১১. আল জামিউস সাগীর- সিয়ূতী,মৃত্যু ৯১১ হিঃ,দারুল ফিকর,বৈরুত।

১২. হিল্লীয়াতুল আউলিয়া ওয়া তাবাকাতুল আসফিয়া- আবি নাঈম আল ইস্পাহানী,মৃত্যু ৪৩০ হিঃ,দারুল কুতুবুল ইলমিয়্যাহ্,বৈরুত।

১৩. খাসায়েউ আমিরুল মুমিনীন (আ.)- নাসায়ী,মৃত্যু ৩০৩ হিঃ।

১৪. আদ দুররুল মানছুর- সিয়ূতী,মৃত্যু ৯১১ হিঃ,দারুল ফিকর,বৈরুত,প্রথম মুদ্রণ।

১৫. দালায়িলুন নবুওয়্যাহ- বায়হাকী,মৃত্যু ৪৫৮ হিঃ,দারুল কুতুবুল ইলমিয়্যাহ,বৈরুত।

১৬. যাখায়িরুল উকবা- মুহিববুত তাবারী,মৃত্যু ৬৯৪ হিঃ,দারুল মাআরিফাহ্,বৈরুত।

১৭. আর রিয়াদুন নাদরাহ- মুহিববুত তাবারী,মৃত্যু ৬৯৪ হিঃ,দারুল কুতুবুল ইলমিয়্যাহ,বৈরুত।

১৮. সুনানুত তিরমীযী (আল জামিউস সাহীহ্)- আবি ঈসা আত তিরমিযী,মৃত্যু ২৯৭ হিঃ,দারু এহইয়াউ তুরাছিল আরাবী,বৈরুত।

১৯. সুনানে ইবনে মাজাহ- মুহাম্মদ ইবনে ইয়াযিদ আল কাযভীনী,মৃত্যু ২৭৫ হিঃ,দারুল ফিকর।

২০. সিয়ারু আ লামুন নুবালা- যাহাবী,মৃত্যু ৭৪৮ হিঃ,রেসালা ফাউন্ডেশন,বৈরুত,তৃতীয় মুদ্রণ,১৪০৫ হিঃ।

২১. শারহে নাহজুল বালাগা- ইবনে আবিল হাদীদ,মৃত্যু ৬৫৬ হিঃ,দারু এহইয়াউ তুরাছিল আরাবী,বৈরুত।

২২. সাহীহ আল বুখারী- আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে ইসমাঈল বুখারী,মৃত্যু ২৫৬ হিঃ,আলামুল কুতুব,বৈরুত।

২৩. সাহীহ মুসলিম- মুসলিম ইবনে হাজ্জাজ আল নিশাবুরী,মৃত্যু ২৬১ হিঃ,দারুল ফিকর,বৈরুত।

২৪. আস সাওয়ায়িকুল মুহরিকা- ইবনে হাজার আল হায়সামী আল মাক্কী,মৃত্যু ৯৭৪ হিঃ,রিসার্চঃ আব্দুল ওয়াহাব আব্দুল লাতিফ,মাক্তাবাতুল কায়রো,মিসর,দ্বিতীয় মুদ্রণ,১৩৮৫ হিঃ।

২৫. ফারায়িদুস সামত্বাঈন : হামাভী,মৃত্যু ৭৩০ হিঃ,আল- মাহমুদ ফাউন্ডেশন,বৈরুত।

২৬. ফিরদাউসুল আখবার- শিরাবিয়া ইবনে শাহারদার আদ দাইলামী,মৃত্যু ৪৪৫ হিঃ,দারুল কুতুবুল আরাবী,বৈরুত।

২৭. ফাযায়িলুস সাহাবা- আহমাদ ইবনে হাম্বাল,মৃত্যু ২৪১ হিঃ,রিসার্চঃ ওয়াসী উল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ আববাসী,১৪০৩ হিঃ।

২৮. আল কামিল ফিত তারীখ- শায়বানী (ইবনে আছীর),মৃঃ ৬৩০ হিঃ,দারু সাদির,বৈরুত।

২৯. কানযুল উম্মাল- মুত্তাকী আল হিন্দী,মৃঃ ৯৭৫ হিঃ,আল-রিসালা ফাউন্ডেশন,বৈরুত।

৩০. মাজমাউয যাওয়ায়েদ ওয়া মাম্বায়ূল ফাওয়ায়েদ- হায়ছামী,মৃঃ ৮০৭ হিঃ,দারুল কিতাবুল আরাবী,বৈরুত।

৩১. মুখতাসারু তারীখে দামেস্ক- ইবনুল মানযুর,মৃঃ ৭১১ হিঃ,দারুল ফিকর,বৈরুত,প্রথম মুদ্রণ।

৩২. আল মুস্তাদরাক আলাস সাহীহাঈন- হাকেম আল নিশাবুরী,মৃত্যু ৪০৫ হিঃ,দারুল মাআরিফা,বৈরুত।

৩৩. মুসনাদে আহমাদ-আহমাদ ইবনে হাম্বাল,মৃত্যু ২৪১ হিঃ,দারুল ফিকর,বৈরুত।

৩৪. মুশকিলুল আছার- তাহাভী,মৃত্যু ৩২১ হিঃ,দারুল বায।

৩৫. মাসাবিহুস সুন্নাহ- বাগাভী,মৃত্যু ৫১৬ হিঃ,দারুল মাআরিফা,বৈরুত।

৩৬. মাআলিমুত তানযীল- বাগাভী,মৃত্যু ৫১৬ হিঃ,দারুল ফিকর,বৈরুত,১৪০৫ হিঃ।

৩৭. আল মু জামুল আওসাত- তাবারানী,মৃঃ ৩৬০ হিঃ,মাকতাবাতুল মাআরিফ,আল-রিয়াদ,প্রথম মুদ্রণ।

৩৮. আল মু জামুল কাবীর- তাবারানী,মৃত্যু ৩৬০ হিঃ,দারু এহইয়াউ তুরাছিল আরাবী,বৈরুত।

৩৯. মাকতালুল হুসাইন (আ.)- খারেযমী,মৃত্যু ৫৬৮ হিঃ,মাকতাবাতুল মুফীদ,কোম।

৪০. আল মানাকিব- খারেযমী,মৃত্যু ৫৬৮ হিঃ,মাকতাবাতু নেইনাভা আল হাদীস,তেহরান,মাকতাবাতু জামিয়াতুল মুদাররেসীন,কোম।

৪১. মানাকিবুল ইমাম আলী ইবনে আবি তালিব (আ.)- ইবনুল মাগাযেলী,মৃত্যু ৪৮৩ হিঃ,দারুল আদ্ওয়া,বৈরুত।

৪২. মুন্তাখাবু কানযুল উম্মাল (মুসনাদে আহমাদ এর হাশিয়াতে মুদ্রিত) মুত্তাকী আল হিন্দী,মৃত্যু ৯৭৫ হিঃ,দারুল ফিকর।

৪৩. আল মুনাতাখাবু মিন মুসনাদে আব্দু ইবনে হামীদ- আবু মুহাম্মদ আব্দু ইবনে হামীদ,মৃত্যু ২৪০ হিঃ,রিসার্চঃ সুবহী আল বাদরী ওয়া মাহমুদ আস সায়ীদ,আলামুল কুতুব ওয়া মাকতাবাতুন নাহদাতুল আরাবীয়া কর্তৃক প্রকাশিত,বৈরুত,প্রথম মুদ্রণ,১৪০৮ হিঃ।

৪৪. নাযমু দুরারুস সামত্বাঈন- মুহাম্মদ ইবনে ইউসুফ আল যারান্দী,মৃত্যু ৭৫০ হিঃ,মাখযানুল আমীনী প্রকাশিত,নাজাফ আল-আশরাফ।

৪৫. ওয়াসীলাতুল মুতাআব্বেদীন (সীরাতুল মুল্লা) ইবনে হাফ্স উমর ইবনে মুহাম্মাদ আল মুল্লা আল মুসেলী,মৃত্যু ৫৭০ হিঃ,আল হিন্দ,প্রথম মুদ্রণ।

৪৬. ইয়ানাবিয়্যুল মুওয়াদ্দাহ- কান্দুযী,মৃত্যু ১২৯৪ হিঃ,দারুল কুতুবুল ইরাকীয়া,কাযেমীয়া,১৩৮৫ হিঃ।