চিরভাস্বর মহানবী (সা.)-দ্বিতীয় খণ্ড

চিরভাস্বর মহানবী (সা.)-দ্বিতীয় খণ্ড1%

চিরভাস্বর মহানবী (সা.)-দ্বিতীয় খণ্ড লেখক:
: মোহাম্মাদ মুনীর হোসেন খান
প্রকাশক: কালচারাল কাউন্সেলরের দফতর ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান দুতাবাস -
বিভাগ: হযরত মোহাম্মদ (সা.)

চিরভাস্বর মহানবী (সা.)-প্রথম খণ্ড চিরভাস্বর মহানবী (সা.)-দ্বিতীয় খণ্ড
  • শুরু
  • পূর্বের
  • 238 /
  • পরের
  • শেষ
  •  
  • ডাউনলোড HTML
  • ডাউনলোড Word
  • ডাউনলোড PDF
  • ভিজিট: 81911 / ডাউনলোড: 7558
সাইজ সাইজ সাইজ
চিরভাস্বর মহানবী (সা.)-দ্বিতীয় খণ্ড

চিরভাস্বর মহানবী (সা.)-দ্বিতীয় খণ্ড

লেখক:
প্রকাশক: কালচারাল কাউন্সেলরের দফতর ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান দুতাবাস -
বাংলা

1

2

3

4

5

6

7

8

9

10

11

তথ্যসূচী

১. তাবাকাতুল কুবরা, ২য় খণ্ড, পৃ. ১০২

২. তাবাকাতে কুবরা, ২য় খণ্ড, পৃ. ২০৬

৩. খলীফার নিষেধাজ্ঞা শিয়া মনীষিগণের উপর ক্ষুদ্রতম প্রভাবও ফেলে নি, যাঁরা হযরত আলীর ইচ্ছা ও মনোভাব অনুসরণ করতেন। তাঁরা পূর্ণ আগ্রহে, এমনকি হাদীস লিপিবদ্ধ করা যখন নিষেধ ছিল, তখনও হাদীস লেখা অব্যাহত রাখেন এবং মহানবী (সা.)-এর আহলে বাইতের কাছ থেকে অনেক জ্ঞানভাণ্ডার  সংরক্ষণ করেন। বিস্তারিত তথ্যের জন্য তাসীসুশ্ শিয়া গ্রন্থ দেখুন।

৪. সহীহ বুখারীর ব্যাখ্যা গ্রন্থ এর শাদুস সারী, ১ম খণ্ড, পৃ. ৬১

৫. ওয়াফিয়াতুল আয়ান, ২য় খণ্ড, পৃ. ৪১৬

৬. নাজ্জাশী তাঁর ফিহরিস্ত (তালিকা) গ্রন্থে তাঁকে ইমাম বাকের ও সাদেক (আ.)-এর শিষ্য বলে গণ্য করেছেন। আয যারিয়া, ১১তম খণ্ড, পৃ. ২৮১-এর বর্ণনা অনুযায়ী তাঁর সীরাহ্ গ্রন্থের এক কপি মাদ্রাসা-ই-উস্তাদ মুতাহ্হারী র গ্রন্থশালায় সংরক্ষিত আছে।

৭. খাদ্য-সামগ্রীর মূল্য বাবদ কা ব মুসলমানদের তাদের স্ত্রী ও সন্তানদের বন্ধক রাখার যে প্রস্তাব দিয়েছিল, তাতে তার হৃদয়ের নিষ্ঠুরতা ও নির্লজ্জতার মাত্রা স্পষ্ট হয়ে যায়। আর এ ব্যাপারটি স্পষ্ট যে, এ ধরনের মানসিকতাসম্পন্ন লোক মুসলিম সমাজে স্বাধীনভাবে বসবাস করে মুসলমানদের বিরুদ্ধে শত্রুদের উত্তেজিত করে যাবে এবং তার কাব্য-যা আরবদের মনের ওপর অদ্ভূত প্রভাব বিস্তার করত, তা বিদ্যমান পরিবেশ-পরিস্থিতি আরো গোলযোগপূর্ণ করে তুলবে-তা হতে দেয়া মোটেই ঠিক নয়।

৮. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৫১ ও ৫৮; আল ওয়াকিদী প্রণীত আল মাগাযী, ১ম খণ্ড, পৃ. ১৮৪, ১৯০

৯. আল কামিল ফিত্ তারীখ, ২য় খণ্ড, পৃ. ১০১

১০. কুরাইশ বাহিনীর সৈন্যসংখ্যার ব্যাপারে তাফসীরকার ও ইতিহাসবেত্তাদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। যেমন আলামুল ওয়ারায় আলী ইবনে ইবরাহীম ও তাবারসী এবং ইবনে হিশামের বর্ণনা। তবে বর্ণিত পরিসংখ্যানটি সত্যের অধিক কাছাকাছি।

১১. আল ওয়াকিদী প্রণীত মাগাযী, ১ম খণ্ড, পৃ. ২০৩; একদল সীরাত লেখক মনে করেন, পত্রবাহক এমন সময় পত্রটি মদীনায় পৌঁছে দেয় যখন মহানবী (সা.) মসজিদেই অবস্থান করছিলেন। তখন উবাই ইবনে কা ব পত্রটি তাঁকে পড়ে শোনান। আল ওয়াকিদীও তাঁর আল মাগাযী গ্রন্থের ১ম খণ্ডের ২০৪ পৃষ্ঠায় এ বিষয় উল্লেখ করেছেন। যেহেতু পুরো ইতিহাসে মহানবী (সা.) কোন পত্র পড়েছেন বলে দেখা যায় নি, কাজেই প্রথম অভিমত বাস্তবতার কাছাকাছি বলে প্রতীয়মান হয়।

১২. বিহারুল আনওয়ার, ২০তম খণ্ড, পৃ. ১১১; এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্যে আমার প্রণীত গ্রন্থ ওহীর মাকতাব পড়ার পরামর্শ রইল। এ গ্রন্থে বিষয়টি কুরআন, হাদীস ও ইতিহাসের নিরীখে সূক্ষ্মভাবে পর্যালোচনা করা হয়েছে।

১৩. এ প্রসঙ্গে কুরআন ও নাহ্জুল বালাগার দৃষ্টিতে পরামর্শ গ্রন্থ দ্রষ্টব্য। এ গ্রন্থে পর্যাপ্ত ও ব্যাপক জ্ঞান এবং ভুল-ভ্রান্তি থেকে মুক্ত থাকার গ্যারান্টি সত্বেও মহানবী (সা.) কেন পরামর্শ করতেন, তার একটা তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

১৪. নাহজুল বালাগাহ্, ১ম খুতবাহ্

১৫. আল ওয়াকিদী প্রণীত মাগাযী, ১ম খণ্ড, পৃ. ২১১। আমরা ইসলামের ইতিহাসে মুনাফিক শীর্ষক গ্রন্থে স্পষ্টভাবে  প্রমাণ করেছি, আবদুল্লাহ্ ইবনে উবাইয়ের অভিমত শঙ্কামুক্ত ছিল না। কেননা এটাও অসম্ভব ছিল না যে, শত্রুবাহিনী শহরের ভেতর প্রবেশ করার পর মুনাফিকদের বাড়ি-ঘর বাঙ্কার হিসেবে ব্যবহার করত এবং মদীনার ভেতরে বসবাসকারী ইহুদীরাও শত্রুবাহিনীর সাথে সহযোগিতা করত।

১৬. বিহারুল আনওয়ার, ২য় খণ্ড, পৃ. ১২৫

১৭. আল ওয়াকিদী প্রণীত মাগাযী, ১ম খণ্ড, পৃ. ২১৪; আত তাবাকাতুল কুবরা, ২য় খণ্ড, পৃ. ৩৮

১৮. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৬৫

১৯. কারণ সূরা ফাতহ্-এর ১৮ নম্বর আয়াত অনুযায়ী অন্ধ, খোঁড়া ও অসুস্থদের ওপর জিহাদ ফরজ নয়।

ليس علي الأعمي حرج و لا علي الأعرج حرج و لا علي المريض حرج

২০. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৯

২১. বিহারুল আনওয়ার, ২০তম খণ্ড, পৃ. ৫৭

২২. সূরা নূর : ৬২

২৩.انضح عنّا الخيل بالنّيل لا يأتون من خلفنا إن كانت لنا أو علينا فاثبت مكانك لا نؤتين من قبلك

২৪.فاستفتحوا أعمالكم بالصّبر علي الجهاد و التمسوا بذالك ما وعدكم الله

২৫. আল ওয়াকিদী প্রণীত আল মাগাযী, ১ম খণ্ড, পৃ. ২২১-২২২

২৬.من يأخذ هذا السّيف و يودي بحقّه

২৭. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৬৬

২৮. প্রাগুক্ত, পৃ. ৬৮-৬৯

২৯. প্রাগুক্ত, পৃ. ১২

৩০. শেখ মুফীদ প্রণীত কিতাব আল ইরশাদ, পৃ. ৪৩

৩১. আল্লামা মাজলিসী বিহারুল আনওয়ারের ২য় খণ্ডের ৫১ পৃষ্ঠায় হযরত আলীর হাতে (কুরাইশ বাহিনীর) ৯ জন পতাকাবাহীর নিহত হওয়ার বিশদ বর্ণনা করেছেন।

৩২. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৬৮; তারিখে তাবারী, ২য় খণ্ড, পৃ. ১৯৪

৩৩. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৮৩

৩৪. তারীখে কামিল, ২য় খণ্ড, পৃ. ১০৯

৩৫. সূরা আলে ইমরান : ১৫৪

৩৬. ১২১-১৮০ আয়াত

৩৭.إذ تصعدون و لا تلوون علي أحد و الرّسول يدعوكم في أُخريكم -সূরা আলে ইমরান : ১৫৩

৩৮. সূরা আলে ইমরান : ১৫৫

إنّ الّذين تولّوا منكم يوم التقي الجمعان إنّما استزلهّم الشّيطان ببعض ما كسبوا و لقد عفا الله عنهم إنّ الله غفورٌ حليمٌ

৩৯. সূরা আলে ইমরান : ১৪৪

৪০. ইবনে আবিল হাদীদ প্রণীত শারহু নাহজিল বালাগাহ্, ১৫তম খণ্ড, পৃ. ২৩-২৪

৪১. মানুষের সম্মুখ সারির দাঁত ও ছেদক দাঁতগুলোর মাঝখানে অবস্থিত দাঁতগুলোকে রুবাঈ বলা হয়। ডান ও বাম পাশে সেগুলোর সংখ্যা হচ্ছে চারটি।

৪২. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৮৪, আল ওয়াকিদী প্রণীত আল মাগাযী, ১ম খণ্ড, পৃ. ২৪৪

৪৩. كيف يفلح قوم خضبوا وجه نبيّهم بالدّم و هو يدعوهم إلى الله

৪৪. তারিখে কামিল, ২য় খণ্ড, পৃ. ১০৭

৪৫. ইবনে আবীল হাদীদ প্রণীত শারহু নাহজিল বালাগাহ্, ১৫তম খণ্ড, পৃ. ২১

৪৬. তারিখে কামিল, ২য় খণ্ড, পৃ. ১০৭

৪৭. সিহাহ্ সিত্তাহ্ : আহলে সুন্নাতের বিখ্যাত ছয় হাদীস গ্রন্থ যার অর্থ হচ্ছে সহীহ হাদীস গ্রন্থষষ্ঠক।

৪৮. ইবনে আবীল হাদীদ প্রণীত শারহু নাহজিল বালাগাহ্, ১৪তম খণ্ড, পৃ. ২৫১

৪৯. খিসাল, ১ম খণ্ড, পৃ. ৩৬৮

৫০. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৮১

৫১. বিহারুল আনওয়ার, ২য় খণ্ড, পৃ. ৮৪

৫২. নাসেখ, ১ম খণ্ড, পৃ. ৩৫৭

৫৩.و يحك غيّب عنّى وجهك فلا أرينك

৫৪. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৬৯-৭২

৫৫. অতঃপর তিনি হেসে ফেললেন, এমনকি তাঁর পেছনের সারির দাঁতসমূহ প্রকাশিত হয়ে পড়ল। অথচ মহানবী (সা.)-এর হাসি ছিল মৃদু অর্থাৎ হাসার সময় তাঁর দাঁত দেখা যেত না।

৫৬. এই আত্মত্যাগী মহিলার বীরত্ব ও সেবা এখানেই শেষ হয় নি; পরবর্তীতে নিজ সন্তানসহ মুসাইলিমা কায্যাবের ফিতনার সময় যুদ্ধে গমন করেছিলেন এবং সে যুদ্ধে তিনি তাঁর একখানা হাত হারিয়েছিলেন।

৫৭. ইবনে আবিল হাদীদ প্রণীত শারহু নাহজিল বালাগাহ্, ১৪তম খণ্ড পৃ. ২৬৫-২৬৭; উসদুল গাবাহ্, ৫ম খণ্ড, পৃ. ৫৫৫

৫৮. বিহারুল আনোয়ার, ২০তম খণ্ড, পৃ. ৪৪-৪৫

৫৯. সূরা নাহল : ১২৬

৬০. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৪৯৮; বিহারুল আনওয়ার, ২০তম খণ্ড, পৃ. ১৩১

৬১. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৯৫

৬২. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৯৯

৬৩. ইরাকের পক্ষ থেকে ইসলামী ইরানের ওপর চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধে আত্মত্যাগী নারীদের বহু বিরল দৃষ্টান্ত দেখা গেছে, ইতিহাসে যার নযীর শুধু মহানবী (সা.)-এর যুগের নারীগণের মধ্যেই দেখতে পাওয়া যায়। সত্যিই বিশ্ব পুনর্বার ঈমানের বিস্ময়কর প্রভাব দেখে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেছে!

৬৪. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৯৯

৬৫. নাহজুল বালাগাহর ব্যাখ্যাগ্রন্থ, ১৪তম খণ্ড, পৃ. ২৬২-এ ইবনে আবিল হাদীদের বর্ণনা অনুযায়ী মহিলা এ আয়াত তেলাওয়াত করেন :

ورد الله الّذين كفروا بغيظهم لم ينالوا خيرا و كفي الله المؤمنين القتال و كان الله قويا عزيزا

অতঃপর তিনি লিখেছেন, নিশ্চয়ই তিনি আয়াতের প্রথম অংশের অর্থ পড়েছেন, সম্পূর্ণ আয়াত পড়েন নি। কেননা এই আয়াত উহুদ যুদ্ধের পর খন্দক যুদ্ধ প্রসঙ্গে অবতীর্ণ হয়েছে।

৬৬. আল ওয়াকিদী প্রণীত আল মাগাযী, ১ম খণ্ড, পৃ. ২৬৫

৬৭. কাশফুল গাম্মাহ্, পৃ. ৫৪

৬৮. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ১০১

৬৯. শত্রু বাহিনীকে ধাওয়া করার জন্য মহানবীর হামরাউল আসাদ পর্যন্ত যাওয়াকে একদল ঐতিহাসিক স্বতন্ত্র গাযওয়া হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তবে কেউ কেউ একে উহুদ যুদ্ধের পরম্পরা বলেও মূল্যায়ন করেছেন।

৭০. আত তাবাকাতুল কুবরা, ২য় খণ্ড, পৃ. ৪৯

৭১. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ১০৪। আমরা পাদটীকাসমূহে গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতিগুলোর সূত্র উল্লেখ করেছি। সম্মানিত পাঠকগণ বিস্তারিত জানার জন্য নিম্নের তথ্যসূত্রগুলো দেখতে পারেন। এ গ্রন্থ লেখার সময় লেখক এসব সূত্রের সাহায্য নিয়েছেন। তাবাকাতুল কুবরা, ২য় খণ্ড, পৃ. ৩৬-৪৯; আল ওয়াকিদী প্রণীত মাগাযী, ১৪তম খণ্ড, পৃ. ৩৪০; ইবনে আবিল হাদীদ প্রণীত শারহু নাহজিল বালাগাহ্, ১৪তম খণ্ড, পৃ, ১৪-২১৮ এবং ১৫তম খণ্ড, পৃ. ৬০; বিহারুল আনওয়ার, ২০তম খণ্ড, পৃ. ১৪-১৪৬

৭২. আল ওয়াকিদী প্রণীত মাগাযী, ১ম খণ্ড, পৃ. ২৪০-২৪৬। উল্লেখ্য, হিজরতের চৌত্রিশতম মাসে হিজরী তৃতীয় সাল শেষ হয়। কাজেই পঁয়ত্রিশতম মাসের ঘটনাবলী হিজরী চতুর্থ সালের সাথেই সম্পৃক্ত।

৭৩. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ১৬৯

৭৪. তাবাকাতে ইবনে সা দ, ২য় খণ্ড, পৃ. ৩৯

৭৫. এ প্রতিনিধিরা রাসূলের কাছে বলে :

ان فينا إسلاما فاشيا فابعث معنا نفرا من اصحابك يقرئوننا القرآن و يفقهوننا فِى الإسلام

-আল ওয়াকিদী প্রণীত মাগাযী, ১ম খণ্ড, পৃ. ৩৫৪

৭৬. তানঈম মক্কার একটি স্থান যেখান থেকে হারাম এলাকা শুরু হয়। উমরা-ই-মুফরাদার জন্য এখানে পৌঁছে ইহরাম বাঁধতে হয়।

৭৭. মাগাযী গ্রন্থে আল ওয়াকিদী বলেন, উভয় বন্দীকে একই দিনে ফাঁসি কাষ্ঠে ঝুলানো হয়।-মাগাযী, ১ম খণ্ড, পৃ. ৩৫৮

৭৮. আল ওয়াকিদী প্রণীত মাগাযী, ১ম খণ্ড, পৃ. ৩৫৮

৭৯. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ১৭০

৮০. সাফিনাতুল বিহার, ১ম খণ্ড, পৃ. ৩৭২

৮১. ওয়াকিদী প্রণীত মাগাযী, ১ম খণ্ড, পৃ. ৩৬৪-৩৬৯

৮২. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ১৮৬-এর বর্ণনায় লোকটির নাম মুনযির ইবনে মু হাম্মদ।

৮৩. তাবাকাতে ইবনে সা দ, ২য় খণ্ড, পৃ. ৩৭

৮৪. মাগাযীর বর্ণনায় মহানবী বনী নাযীরের সর্দারদের বৈঠকে যোগদান করেন।-মাগাযী, ১ম খণ্ড, পৃ. ৩৬৪

৮৫. আল ওয়াকিদী প্রণীত মাগাযী, ১ম খণ্ড, পৃ. ৩৬৫

৮৬. চুক্তির মূল পাঠ ও বিবরণের জন্য দ্রষ্টব্য : বিহারুল আনওয়ার, ১৯তম খণ্ড, পৃ. ১১০-১১১

৮৭. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ১৯১

৮৮. সূরা হাশর : ৬

৮৯. শেখ মুফীদ প্রণীত কিতাবুল ইরশাদ, পৃ. ৪৭ ও ৪৮

৯০. ১৩৩৯ ফার্সী সালে (১৯৬০ ইংরেজি) আন্তর্জাতিক মাদকদ্রব্য প্রতিরোধ সংস্থার সেক্রেটারী জেনারেল ড. অরশে তুনক ইরান আসেন। ইসলাম মাদকদ্রব্য সেবনকে কঠোরভাবে নিষেধ করেছে -এ কথা জানার পর তিনি অত্যন্ত খুশী হন। তিনি মাদকদ্রব্যের ব্যাপারে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গির সাথে পরিচিত হবার জন্য শিয়া মাযহাবের তৎকালীন প্রধান আয়াতুল্লাহ্ আল উযমা বুরুজার্দীর সাথে কোমে সাক্ষাতে আগ্রহী হন। এ কারণে ইসফাহানের জনৈক প্রসিদ্ধ ডাক্তারের সাথে তিনি কোমে আসেন। আয়াতুল্লাহ্ বুরুজার্দীর কাছ থেকে অনুমতি গ্রহণের পর তাঁর বাসভবনে একটি সাক্ষাৎকারের ব্যবস্থা করা হয়।

ঐ বৈঠকে উস্তাদ আল্লামা তাবাতাবায়ী উপস্থিত ছিলেন। এই লেখক এবং তাঁর পিতা হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমীন জনাব হাজী মীর্জা মুহাম্মদ হুসাইন খেয়াবানীও অতিথিদের আসার আগে আয়াতুল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছিলেন। এ কারণে অনেকটা বাধ্য হয়ে ঐ বৈঠকে থাকার সুযোগ হয়। সেক্রেটারী জেনারেলের প্রথম প্রশ্ন ছিল : ইসলাম কেন মাদকদ্রব্য সেবন নিষিদ্ধ করেছে? মদ হারাম হবার যতগুলো কারণ ও যুক্তি আছে, তন্মধ্যে একটি মাত্র কারণ আয়াতুল্লাহ্ উল্লেখ করেন। আর তা ছিল মাদকদ্রব্য মানুষের জ্ঞান-বুদ্ধি হরণ করে। আর এই জ্ঞান-বুদ্ধি হচ্ছে অন্যান্য জীব এবং মানুষের মধ্যে পার্থক্যের উপাদান।

৯১. সূরা বাকারা : ২১৯

৯২. সূরা মায়িদাহ্ : ৯০

৯৩. মুস্তাদরাক, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ১৪৩; রুহুল মাআনী, ৭ম খণ্ড, পৃ. ১৫

৯৪. সূরা মায়িদাহ্ : ৯০

৯৫. সূরা বাকারা : ২১৯

৯৬. সূরা আরাফ : ৩৩

৯৭. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ২০৫; মাজমাউল বায়ান, ৩য় খণ্ড, পৃ. ১০৩

৯৮. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ২০৮-২০৯

৯৯. আল ওয়াকিদী প্রণীত মাগাযী, ১ম খণ্ড, পৃ. ৩৯০-৪০৫; হিজরতের পঁয়তাল্লিশতম মাসে এ ঘটনা সংঘটিত হয়।

১০০. তারিখুল খামীস, ১ম খণ্ড, পৃ. ৪৬৭

১০১. প্রাগুক্ত

১০২. ইমতাউল আসমা, পৃ. ১৮৭; তারিখুল খামীস, ১ম খণ্ড, পৃ. ৪৬৫

১০৩. তারিখুল খামীস গ্রন্থের রচয়িতা এ ঘটনার তারিখ ৫ম হিজরীর যিলকদ মাসে বলে মনে করেন। কিন্তু সামাজিক হিসাব-নিকাশের দৃষ্টিকোণ থেকে এ মতটি সঠিক বলে মনে হয় না। কেননা মহানবী (সা.) পঞ্চম হিজরীর ২৪ শাওয়াল হতে ১৯ যিলহজ্ব পর্যন্ত পরিখার যুদ্ধ ও বনী কুরাইযার যুদ্ধ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। এ ধরনের পরিস্থিতিতে এ রকম একটি বিয়ে সংঘটিত হওয়া সম্ভব নয় বলেই মনে হয়। যায়নাবের সাথে বিয়ের ঘটনা যদি ৫ম হিজরীতে হয়ে থাকে, তা হলে অবশ্যই উল্লিখিত ঘটনাবলীর আগে সংঘটিত হয়ে থাকবে। এ দৃষ্টিকোণ থেকেই আমরা এ ঘটনা পরিখার যুদ্ধ ও বনী কুরাইযা অভিযানের আগে উল্লেখ করলাম।

১০৪. উসদুল গাবাহ্, ইস্তিআব ও আল ইসাবাহ্ গ্রন্থের যাইদ অধ্যায়

১০৫. ৩৮ ও ৩৯ তম আয়াত :

ما كان علي النّبىّ من حرج فيما فرض الله له سنّة الله فِى الّذين خلوا من قبل و كان أمر الله قدرا مقدورا الّذين يبلّغون رسالات الله و يخشونه و لا يخشون أحدا إلّا الله و كفي بالله حسيبا

যাঁরা (যে সকল নবী) তাঁর (সা.) আগে গত হয়ে গেছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে মহান আল্লাহর নীতি যা ছিল, তিনি তাঁর ক্ষেত্রেও তা অবধারিত করেছেন। তাই এ ক্ষেত্রে এ নবীর পক্ষে তা পালন করতে কোন আপত্তি নেই। আর মহান আল্লাহর বিধান স্পষ্ট নির্ধারিত বিষয়। তাঁর পূর্ববর্তী নবী-রাসূলগণ মহান আল্লাহর বাণী (জনগণের কাছে) প্রচার করতেন এবং একমাত্র তাঁকেই ভয় করতেন; আর তাঁরা একমাত্র মহান আল্লাহ্ ছাড়া আর কাউকে ভয় করেন না। আর মহান আল্লাহ্ই হিসাব গ্রহণকারী হিসেবে যথেষ্ট।

১০৬. তারিখে কামিল, ২য় খণ্ড, পৃ. ১২১

১০৭. আল্লামা রাযী প্রণীত মাফাতীহুল গাইব, ২৫তম খণ্ড, পৃ. ২১২; রুহুল মাআনী, ২২তম খণ্ড, পৃ. ২৩-২৪

১০৮. ফখরুদ্দীন রাযী প্রণীত মাফাতীহুল গাইব, ২৫তম খণ্ড, পৃ. ২১২; রুহুল মাআনী, ২২তম খণ্ড, পৃ. ২৩-২৪

১০৯. ইবনে হিশাম তাঁর সীরাত গ্রন্থে এ গাযওয়ার তারিখ হিজরতের পঞ্চম বর্ষের শাওয়াল বলে উল্লেখ করেছেন এবং যেহেতু আহযাবের যুদ্ধ ২৪ যিলক্বদ সমাপ্ত হয়েছিল এবং মদীনা নগরী অবরোধকাল ছিল এক মাস, সেহেতু বলতে হয় যে, এ যুদ্ধ সম্ভবত ২৪ শাওয়াল সংঘটিত হয়ে থাকবে।

১১০. দাওমাতুল জান্দাল দামেশকের কাছে একটি এলাকা এবং অতীত কালের যানবাহন ব্যবহার করে পাঁচ দিনে দামেশক ও এ এলাকার দূরত্ব অতিক্রম করতে হতো। আর মদীনা থেকে এ এলাকার দূরত্ব ১৫ অথবা ১৬ দিনে অতিক্রম করা হতো।-তাবাকাতে ইবনে সা দ, ২য় খণ্ড, পৃ. ৪৪

১১১. ইবনে সা দ প্রণীত তাবাকাত, ২য় খণ্ড, পৃ. ৪৪; সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ২১৩

১১২. আল ওয়াকিদী প্রণীত আল মাগাযী, ২য় খণ্ড, পৃ. ৪৪১

১১৩. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ২১৪; তারিখে তাবারী, ২য় খণ্ড, পৃ. ২৩৩

১১৪. হায়াতু মুহাম্মদ, পৃ. ২৯৭

১১৫. আল ওয়াকিদী প্রণীত আল মাগাযী, ২য় খণ্ড, পৃ. ৪৪৩

১১৬. তারিখে তাবারী, ২য় খণ্ড, পৃ. ২২৪

১১৭. আল মাগাযী, ২য় খণ্ড, পৃ. ৪৪৫

১১৮. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ২২০ এবং আল মাগাযী, ২য় খণ্ড, পৃ. ৪৫৩

১১৯. আল ওয়াকিদী প্রণীত মাগাযী, ২য় খণ্ড, পৃ. ৪৪৬; সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ২২৪

১২০. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ২৩৮

১২১. আল ওয়াকিদী প্রণীত আল মাগাযী, ২য় খণ্ড, পৃ. ৪৫৫-৪৫৬

১২২. বিহার, ২০তম খণ্ড, পৃ. ২২৩

১২৩. দু টি গোত্রের নাম যারা ইসলামের প্রচার সৈনিকদের তাদের নিজ ভূ-খণ্ডে যাওয়ার আহবান জানিয়েছিল এবং এরপর তারা তাদের হত্যা করেছিল।

১২৪. আল ওয়াকিদী প্রণীত আল মাগাযী, ২য় খণ্ড, পৃ. ৪৫৮-৪৫৯

১২৫. সীরাতে হালাবী, ২য় খণ্ড, পৃ. ৩৩৫

১২৬. সীরাতে হালাবী, ২য় খণ্ড, পৃ. ৩৪৫

১২৭. আল ইমতা, পৃ. ২৪০

১২৮. সীরাতে হালাবী, ২য় খণ্ড, পৃ. ৩৪৯

১২৯. তারিখে তাবারী, ২য় খণ্ড, পৃ. ২৩৯

১৩০. আল মাগাযী, ২য় খণ্ড, পৃ. ৪৭০

১৩১. বিহারুল আনওয়ার, ২০তম খণ্ড, পৃ. ২২৭

১৩২. বিহারুল আনওয়ার, ২০তম খণ্ড, পৃ. ২১৬ এবং আল হাকিম সংকলিত আল মুস্তাদরাক, ৩০তম খণ্ড, পৃ. ৩০-৩২

১৩৩. আল হাকিম প্রণীত আল মুস্তাদরাক, ৩০তম খণ্ড, পৃ. ৩২

১৩৪. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ২২৩; বিহারুল আনওয়ার, ২০তম খণ্ড, পৃ. ২৫২

১৩৫. কারণ নিঃসন্দেহে যুদ্ধ হচ্ছে ছল-চাতুরী (فإنّ الحرب خُدعة )

১৩৬. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ২২৯-২৩১; তারিখে তাবারী, ২য় খণ্ড, পৃ. ২৪২-২৪৩

১৩৭. তারিখে তাবারী, ২য় খণ্ড, পৃ. ২৪৪

১৩৮. এ গ্রন্থের ১ম খণ্ডের ৪০৫-৪০৮ পৃষ্ঠা

১৩৯. মহানবীর পক্ষ থেকে আহবানকারী এ কথা বলেছিলেন :من كان سامعا مطيعا فلا يُصلّينّ العصر إلّا ببنِى قريظة যে এ ঘোষণা শুনতে পাবে এবং আনুগত্যশীল থাকবে, তার উচিত হবে বনী কুরাইযার মহল্লায় আসরের নামায আদায় করা।

১৪০. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ২৩৪; তারিখে তাবারী, ২য় খণ্ড, পৃ. ২৪৫-২৪৬

১৪১. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ২৩৫

১৪২. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ২৩৭

১৪৩. আল ওয়াকিদী প্রণীত আল মাগাযী, ২য় খণ্ড, পৃ. ৫০১

১৪৪. শেখ মুফীদ প্রণীত কিতাবুল ইরশাদ, পৃ. ৫০

১৪৫. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৫১০

১৪৬. এ চুক্তির মূলভাষ্যে বনী কুরাইযাহ্ গোত্রের প্রধান কা ব ইবনে আসাদ স্বাক্ষর করেছিলেন যা এ গ্রন্থের ১ম খণ্ডের ৪৪০ পৃষ্ঠায় বর্ণিত হয়েছে।

১৪৭. তাওরাত, সিফরে তাসনীয়াহ্, ২০তম অধ্যায়

১৪৮. তারিখে তাবারী, ২য় খণ্ড, পৃ. ২৫০

১৪৯. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ২৫০-২৫৪

১৫০. সীরাতে ইবনে হিশাম, ৩য় খণ্ড, পৃ. ২৯১, প্রকাশকাল ১৩৫৫ হিজরী-এর বর্ণনা মতে সাল্লামকে হত্যার ঘটনা পঞ্চম হিজরীর শেষ দিকে ঘটেছিল। কিন্তু যেহেতু বনী কুরাইযাহ্ গোত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পঞ্চম হিজরীর ১৯ যিলহজ্ব সংঘটিত হয়েছিল, সেহেতু তার হত্যার ঘটনা ঐ বছর ঘটে নি।

১৫১. মহানবী (সা.) খাযরাজ গোত্রের ওপর এ কাজের দায়িত্ব দিয়েছিলেন এ কারণে যে, ইতোপূর্বে আউস গোত্র তাদের শক্র কা ব আশরাফকে হত্যায় সক্ষম হয় এবং এজন্য তারা গর্বিত ছিল। খাযরাজ গোত্রও যেন এরূপ গুরুত্বপূর্ণ কোন শত্রুকে হত্যার কৃতিত্ব পায়, সে সুযোগ দানের জন্যই তিনি তাদেরকে প্রেরণ করেন।

১৫২. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ২৭৪-২৭৫ 

১৫৩. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ২৭৬-২৭৭

১৫৪. আল ওয়াকিদী প্রণীত মাগাযী, ২য় খণ্ড, পৃ. ৫৩৫; তারিখে তাবাবী, ২য় খণ্ড, পৃ. ২৫৪

১৫৫. এ স্থানটি বনী গাতফান গোত্রের বসতির নিকটে অবস্থিত পুকুরের পার।

১৫৬. তারিখে তাবারী, ২য় খণ্ড, পৃ. ২৫৫; আল ওয়াকিদী প্রণীত মাগাযী, ২য় খণ্ড, পৃ. ৫৩৭-৫৪৯

১৫৭. কোন ইচ্ছা পূরণের ফলে আল্লাহর নামে শপথ করে কোন কাজ করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়া

১৫৮. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ২৮১-২৮৯; আত তাবাকাতুল কুবরা, ২য় খণ্ড, পৃ. ১৩৩

১৫৯. তারিখে তাবারী, ২য় খণ্ড, পৃ. ২৬০;

১৬০. কোন কোন ঐতিহাসিক জাহ্জাহ্ ইবনে মাসউদ বলেছেন।

১৬১. সীরাতে ইবনে হিশামের সংযুক্তিতে সুহাইলী হতে বর্ণিত হয়েছে।

১৬২. দ্বিতীয় খলীফার জীবনী অধ্যয়ন করলে দেখা যায়, তিনি কখনোই যুদ্ধের ময়দানে বীরত্ব দেখাতে পারেন নি এবং পেছনের সারিতে ছিলেন। কিন্তু যখনই মুসলমানরা কোন শত্রুসেনাকে বন্দী করত, তখন তিনি সবার সামনে এগিয়ে রাসূলকে পরামর্শ দিতেন ঐ ব্যক্তিকে হত্যা করার। এরূপ কয়েকটি নমুনা হলো :

ক. আবদুল্লাহ্ ইবনে উবাইকে হত্যার জন্য বলা।

খ. মক্কা বিজয়ের পটভূমিতে হাতেব ইবনে আবি বালতাআকে হত্যার পরামর্শ দান, যিনি তাঁর নিকটাত্মীয়দের রক্ষার ইচ্ছায় মক্কায় গোপনে পত্র দিয়েছিলেন।

গ. রাসূলের চাচা আব্বাস আবূ সুফিয়ানকে (মক্কা বিজয়ের সময়) আশ্রয়দানের লক্ষ্যে মুসলমানদের শিবিরে নিয়ে এলে তিনি তাকে মৃত্যুদণ্ড দানের নির্দেশ দেয়ার পরামর্শ দেন। এরূপ অন্যান্য ঘটনা আপনারা এ গ্রন্থের পূর্ববর্তী অধ্যায়গুলোয় দেখেছেন বা পরবর্তী অধ্যায়গুলোয় লক্ষ্য করবেন।

১৬৩. তারিখে তাবাবী, ২য় খণ্ড, পৃ. ২৬১-২৬২; তাফসীরে মাজমাউল বায়ান, ১০ম খণ্ড, পৃ. ২৯২-২৯৫

১৬৪. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ২৯৫; তাফসীরে কুমী, পৃ. ৬৮১; তারিখে তাবারী, ২য় খণ্ড, পৃ. ২৬৪

১৬৫. এরূপ বিশেষণ ব্যবহার করার কারণ হলো ব্যভিচারের অপবাদ সম্পর্কিত আয়াতের দু ধরনের শানে নুযূল (অবতীর্ণের কারণ) বর্ণিত হয়েছে। লেখকের নিকট কোনটিই সঠিক প্রমাণিত নয়। বিষয়টি অপ্রমাণিত হওয়ার সপক্ষে দলিলসমূহ এ অধ্যায়ে আলোচিত হবে। তবে এ সম্পর্কিত আয়াত ও রেওয়ায়েত হতে এটুকু জানা যায়, ঐ সমাজে বাসকারী একজন সম্মানিতা নারীর বিষয়ে এরূপ অপবাদ আরোপ করা হয়েছিল। কিন্তু সেই নারী কে, তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়।

১৬৬. উটের উপর বসার জন্য পালকীর ন্যায় ছোট কক্ষ, যা বিশ্রামের সময় নামিয়ে রাখা হয়।

১৬৭. সহীহ বুখারী, ৬ষ্ঠ খণ্ড, পৃ. ১০২-১০৩ এবং ৫ম খণ্ড, পৃ. ১১৮ সূরা নূরের তাফসীর

১৬৮. সা দ ইবনে মায়ায আউস গোত্রের প্রধান এবং সা দ ইবনে উবাদা খাযরাজ গোত্রের প্রধান ছিলেন। এ দুই গোত্রের মধ্যে পূর্বে দ্বন্দ্ব ছিল এবং মুনাফিক আবদুল্লাহ্ খাযরাজ গোত্রভুক্ত ছিল।

১৬৯. হাদ্বীরও হতে পারে

১৭০. সহীহ বুখারী, ৫ম খণ্ড, পৃ. ১১৮; ৬ষ্ঠ খণ্ড, পৃ. ১০২-১০৩

১৭১. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ২৫০

১৭২. মাজমাউল বায়ান, ৯ম খণ্ড, পৃ. ১২৬

১৭৩. যে চার মাসে যুদ্ধ করা হারাম বলে আরবরা জানত এবং ইসলামও তা সমর্থন করেছে।

১৭৪. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৩০৯

১৭৫. রওজাতুল কাফি, পৃ. ৩২২

১৭৬. মাজমাউল বায়ান, ২য় খণ্ড, পৃ. ৪৮৮

১৭৭. দু টি মূর্তির নাম।

১৭৮. বিহারুল আনওয়ার, ২য় খণ্ড, পৃ. ৩৩০

১৭৯. তারিখে তাবারী, ২য় খণ্ড, পৃ. ২৭০-২৭২

১৮০. অবশ্য তাবারীর বর্ণনামতে (২য় খণ্ড, পৃ. ২৭৬) সে সাকাফীর পরে প্রেরিত হয়।

১৮১. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৩১৪; তারিখে তাবারী, ২য় খণ্ড, পৃ. ২৭৪-২৭৫

১৮২. তারিখে তাবারী, ২য় খণ্ড, পৃ. ২৭৮

১৮৩. তারিখে তাবারী, ২য় খণ্ড, পৃ. ২৭৮-২৭৯

১৮৪. শেখ মুফিদ প্রণীত কিতাব আল ইরশাদ, পৃ. ৬০; আলামুল ওয়ারা, পৃ. ১০৬; বিহারুল আনওয়ার, ২০তম খণ্ড, পৃ. ৩৬৮। তাবারী এ ক্ষেত্রে বর্ণনায় ভুল করে বলেছেন : মহানবী (সা.) স্বহস্তে নিজের নাম সেখানে লিখেন। আমরা মাকতাবে ওয়াহী গ্রন্থে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

১৮৫. ইবনে আসির প্রণীত তারিখে কামিল, ২য় খণ্ড, পৃ. ১৩৮; বিহারুল আনওয়ার, ২০তম খণ্ড, পৃ. ৩৫৩

১৮৬. ইবনে আসির প্রণীত তারিখে কামিল, ৩য় খণ্ড, পৃ. ১৬২

১৮৭. সীরাতে হালাবী, ৩য় খণ্ড, পৃ. ২৪

১৮৮. বিহারুল আনওয়ার, ২০তম খণ্ড, পৃ. ৩৫৩

১৮৯. মাজমাউল বায়ান, ৯ম খণ্ড, পৃ. ১১৭

১৯০. সীরাতে হালাবী, ৩য় খণ্ড, পৃ. ২৫-২৬

১৯১. সীরাতে হালাবী, ৩য় খণ্ড, পৃ.১২; বিহারুল আনওয়ার, ২০তম খণ্ড, পৃ. ৩১২

১৯২. তারিখে তাবারী, ২য় খণ্ড, পৃ. ২৮১; বিহারুল আনওয়ার, ২০তম খণ্ড, পৃ. ৩৫৩; সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৩১৮

১৯৩. এ বিষয়ে আমরা অষ্টম হিজরীতে মক্কা বিজয়ের ঘটনা পর্বে বিস্তারিত আলোচনা করব।

১৯৪. বিস্তারিত জানার জন্য দেখুন সীরাতে ইবনে হিশাম, হুদায়বিয়ার সন্ধি অধ্যায়। প্রতিবাদীদের অন্যতম প্রধান ব্যক্তি মুহাম্মদ (সা.)-এর নবুওয়াতের বিষয়েও সন্দেহ করে মন্তব্য করেছিলেন।

১৯৫. যুল হুলাইফা মদীনার ছয় বা সাত মাইল দূরের একটি গ্রাম, যেখানে প্রতি বছর একদল হাজী হজ্বের জন্য ইহরাম বেঁধে থাকেন।

১৯৬. ওয়াকিদী প্রণীত আল মাগাযী, ২য় খণ্ড, পৃ. ৬২৪; তারিখে তাবারী, ২য় খণ্ড, পৃ. ২৮৪

১৯৭. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৩২৩

১৯৮. ইসলাম ধর্মের বড় বড় জ্ঞানী-গুণী আলেম মহানবী (সা.)-এর সকল পত্র যথাসাধ্য সংরক্ষণ করতে সক্ষম হয়েছেন। বিস্তারিত ও সামগ্রিক তথ্য লাভ এবং গবেষণাধর্মী অধ্যয়ন করার জন্য নিম্নোক্ত দু টি গ্রন্থ অত্যন্ত মূল্যবান :

ক. প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রফেসর মুহাম্মদ হামীদুল্লাহ্ হায়দারাবাদী প্রণীত আল ওয়াসাইকুস্ সিয়াসীয়াহ্ (রাজনৈতিক দলিলসমূহ)

খ. আলী আহ্মদী প্রণীত মাকাতীবুর রাসূল (সা.) [রাসূলুল্লাহ্ (সা.)-এর পত্রাবলী]

১৯৯. এ স্থানে অবশ্যই দু টি বিষয়কে পরস্পর থেকে পৃথক করতে হবে : ক. মহানবী (সা.)-এর বিশ্বজনীন রিসালত এবং খ. তাঁর ধর্মের সর্বশেষ ধর্ম হওয়া (খতমে নবুওয়াত) প্রথম ক্ষেত্রে তাঁর ধর্মের  বিশ্বজনীনতা অথবা বিশ্বজনীন না হওয়ার বিষয়টি আলোচিত হয়ে থাকে অর্থাৎ তিনি কি একমাত্র আরব উপদ্বীপের অধিবাসীদের কাছেই প্রেরিত হয়েছেন অথবা সমগ্র মানব জাতীর জন্য প্রেরিত হয়েছেন। অথচ দ্বিতীয় বিষয়টির ক্ষেত্রে মূলনীতি হিসেবে মহানবী (সা.)-এর সর্বশেষ নবী হওয়ার বিষয়টি উত্থাপিত হয়। সম্ভবত কেউ কেউ বলতে পারেন যে, মুহাম্মদ (সা.)-এর ধর্ম বিশ্বজনীন, তবে তিনি সর্বশেষ নবী নন অথবা তাঁর ধর্ম সর্বশেষ ধর্ম নয়। তাঁর পরে অন্য কোন নবী অথবা অন্য কোন শরীয়ত আসবে। আর এ কারণেই নবুওয়াত-ই খাসসাহ্ (বিশেষ নবুওয়াত) শীর্ষক অধ্যায়ে অবশ্যই এ দু টি বিষয়কে পৃথক পৃথকভাবে আলোচনা করা উচিত এবং আমরা মাফাহীমুল কুরআন গ্রন্থের ৩য় খণ্ডে এ দু টি বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করেছি এবং নবুওয়াতের পরিসমাপ্তি (খতমে নবুওয়াত) সংক্রান্ত আলোচনাটি ফার্সী ভাষায় অনূদিত হয়েছে। আগ্রহী পাঠকবৃন্দ এর মূল আরবী পাঠ অথবা ফার্সী অনুবাদ অধ্যয়ন করতে পারেন।

২০০. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৬০৬; ইবনে সা দ প্রণীত আত তাবাকাতুল কুবরা, ১ম খণ্ড, পৃ. ২৬৪ এবং সীরাতে হালাবী, ২য় খণ্ড, পৃ. ২৪০

২০১. আত তাবাকাতুল কুবরা, ১ম খণ্ড, পৃ. ২৮৫; সীরাতে হালাবী, ৩য় খণ্ড, পৃ. ২৭১

২০২. বুসরা হাওরান প্রদেশের রাজধানী ছিল, যা তখন পূর্ব রোমান সাম্রাজ্যের একটি উপনিবেশ বলে গণ্য হতো। হারিস ইবনে আবী শিমর এবং সার্বিকভাবে গাসসানী রাজাগণ কায়সারের তাঁবেদার শাসক হিসেবে এ অঞ্চলের শাসনকাজ পরিচালনা করতেন।

২০৩. আরীসী শব্দটির ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মতভিন্নতা আছে। আন নিহায়াহ্ গ্রন্থে ইবনে আমীর (১ম খণ্ড, পৃ. ৩১) লিখেছেন, এ শব্দের অর্থ দরবারের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। তবে কেউ কেউ বলেছেন, এর অর্থ হচ্ছে কৃষকগণ। কারণ, তখনকার অধিকাংশ লোক কৃষিজীবী ছিল। আর যে বিষয়টি এ অভিমতের সমর্থক তা হচ্ছে, কতিপয় পাণ্ডুলিপিতে (আল কামিল, ২য় খণ্ড, পৃ. ১৪৫) আরীসীন শব্দের স্থলে আক্কারীন্ (أكّارين ) শব্দের উল্লেখ আছে এবং আক্কার (أكّار ) শব্দের অর্থ হচ্ছে কৃষক। কখনো কখনো এ সম্ভাবনাও দেয়া হয় যে, আরীস হচ্ছে একটি গোত্র বা সম্প্রদায়ের নাম, যারা রোমে বসবাস করত।

২০৪. পত্রটির আরবী পাঠ :

 بسم الله الرّحمان الرّحيم من محمّد بن عبد الله الى هرقل عظيم الرّوم، سلام علي من اتّبع الهدي. أمّا بعد، فانّى أدعوك بدعاية الاسلام، أسلم تسلم يؤتك الله أجرك مرّتين. فان تولّيت فانّما عليك اثم ((الأريسين)) و يا أهل الكتاب تعالوا الى كلمة سواء بيننا و بينكم الّا نعبد الّا الله و لا نُشرك به شيئا و لا يتّخذ بعضنا بعضا أربابا من دون الله فان تولّوا فقولوا اشهدوا بأنّا مسلمون، محمّد رسول الله

২০৫. তারিখে তাবারী, ২য় খণ্ড, পৃ ২৯০ এবং বিহারুল আনওয়ার, ২০তম খণ্ড, পৃ. ৩৭৮-৩৮০

২০৬. আত তাবাকাতুল কুবরা, ১ম খণ্ড, পৃ. ২৫৯; সীরাতে হালাবী, ২য় খণ্ড, পৃ. ২৭৭; আল কামিল ফিত তারিখ, ২য় খণ্ড, পৃ. ১৪৪ এবং বিহারুল আনওয়ার, ১০ম খণ্ড, পৃ. ৩৭৯

২০৭. ইবনে সা দ আত তাবাকাতুল কুবরায় (১ম খণ্ড, পৃ. ২৮৫) দূতগণকে প্রেরণ করার তারিখ হিজরতের সপ্তম বর্ষের মুহররম মাস বলে উল্লেখ করেছেন।

২০৮. আত তাবাকাতুল কুবরা, ১ম খণ্ড, পৃ. ২৬০; তারিখে তাবারী, ২য় খণ্ড, পৃ. ২৯৫-২৯৬; আল কামিল ফিত তারিখ, ২য় খণ্ড, পৃ. ১৪৫; বিহারুল আনওয়ার, ২০তম খণ্ড, পৃ. ৩৮৯

২০৯. প্রাচীন পারস্যের কিয়ান বংশীয় এক প্রসিদ্ধ বাদশার নাম। এখানে দুর্দান্ত প্রতাপশালী রাজাধিরাজ অর্থে

২১০. আত তাবাকাতু আল কুবরা, ১ম খণ্ড, পৃ. ২৬০

২১১. মহানবী (সা.)-এর প্রেরিত পত্রের মূল পাঠ

২১২. আসলে মহানবীর পত্রসমূহ সে সময়ের জালেম শাসনকর্তাদের দুঃশাসনের পতন-ঘণ্টা বাজিয়েছিল, যেন সেসব তাদের গর্দান গুঁড়িয়ে দিয়েছিল।

২১৩.و أمر الله اسرع من ذلك -তারিখে ইয়াকুবী, ২য় খণ্ড, পৃ. ৬২

২১৪. মুসনাদে আহমদ, ১ম খণ্ড, পৃ. ৯৬

২১৫. সীরাতে হালাবী, ৩য় খণ্ড, পৃ. ২৭৮

২১৬. ইবনে আসির প্রণীত আল কামিল ফিত তারিখ, ২য় খণ্ড, পৃ. ১০৬

২১৭. আত তাবাকাতুল কুবরা, ১ম খণ্ড, পৃ. ২৬০; বিহারুল আনওয়ার, ২০তম খণ্ড, পৃ. ৩৮২

২১৮. সীরাতে হালাবী, ৩য় খণ্ড, পৃ. ২৪৯; আদ দুররুল মানসুর, ২য় খণ্ড, পৃ. ৪০; আইয়ানুশ শিয়া, ১ম খণ্ড, পৃ. ১৪২

২১৯. উসদুল গাবাহ্, ১ম খণ্ড, পৃ. ৩৬২

২২০. সীরাতে হালাবী, ৩য় খণ্ড, পৃ. ২৫০

২২১. সীরাতে জাইনী দাহ্লান, ৩য় খণ্ড, পৃ. ৭১

২২২. আত তাবাকাতুল কুবরা, ১ম খণ্ড, পৃ. ২৬০

২২৩. বর্তমান ফিলিস্তিন সীমান্ত

২২৪. সীরাতে জাইনী দাহলান, ৩য় খণ্ড, পৃ. ৭০

২২৫. তারিখে তাবারী, ২য় খণ্ড, পৃ. ২৪৯

২২৬. সীরাতে হালাবী, ৩য় খণ্ড, পৃ. ২৭৯; আত তাবাকাতুল কুবরা, ১ম খণ্ড, পৃ. ২৫৯

২২৭. সীরাতে হালাবী, ৩য় খণ্ড, পৃ. ২৭৯; আত তাবাকাতুল কুবরা, ১ম খণ্ড, পৃ. ২৫৯

২২৮. তারিখে তাবারী, ২য় খণ্ড, পৃ. ২৯৪; বিহারুল আনওয়ার, ২০তম খণ্ড, পৃ. ৩৯২

২২৯. আলামুল ওয়ারা, পৃ. ৩১

২৩০. উসদুল গাবাহ্ ১ম খণ্ড, পৃ. ৬২

২৩১. তাবারী পুত্রের নাম বারহা বলেছেন।

২৩২. আল কামিল ফিত তারিখ, ২য় খণ্ড, পৃ. ১৪৬; আত তাবাকাতুল কুবরা, ১ম খণ্ড, পৃ. ২৬২

২৩৩. সীরাতে হালাবী, ৩য় খণ্ড, পৃ. ৩৬; তারিখে ইয়াকুবী, ২য় খণ্ড, পৃ. ৪৬

২৩৪. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৩৩০

২৩৫. শেখ তূসী প্রণীত আমালী, পৃ. ১৬৪; ইবনে হিশাম তাঁর আস্ সিরাতুন্ নাবাভীয়া গ্রন্থে (২য় খণ্ড, পৃ. ৩২৮) ইসলামী সেনাদের খাইবরমুখী যাত্রার সময় মুহররম মাস বলেছেন। কিন্তু ইবনে সা দ তাঁর আত তাবাকাতুল কুবরা গ্রন্থে (২য় খণ্ড, পৃ. ৭৭) খাইবর অভিমুখে যাত্রার সময় সপ্তম হিজরীর জমাদিউল আউয়াল মাস বলেছেন। যেহেতু বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও গোত্রপতিদের প্রতি পত্র প্রেরণ মুহররম মাসে ঘটেছিল, সেহেতু দ্বিতীয় বর্ণনা অধিকতর সঠিক বলে মনে হয়। বিশেষত মহানবীর প্রেরিত দূত আমর ইবনে উমাইয়্যা নাজ্জাশীর দরবারে পত্র নিয়ে যাওয়ার পর আবিসিনিয়ায় হিজরতকারী মুসলমানরা খাইবরে মহানবীর সাথে মিলিত হন বিধায় এ বর্ণনা সঠিক বলে মনে হয়। কারণ রাসূলের দূত আবিসিনিয়ায় গিয়ে মুহাজিরগণকে নিয়ে মদীনায় প্রত্যাবর্তন করেন এবং পরে খাইবরের দিকে যাত্রা করেন। তাই মুহররম মাস হতে কয়েক মাস সময় লেগেছে।

২৩৬. আল কামিল ফিত তারিখ, ২য় খণ্ড, পৃ. ১৪৭

২৩৭. সীরাতে হালাবী, ৩য় খণ্ড, পৃ. ৩৮

২৩৮. সীরাতে হালাবী, ৩য় খণ্ড, পৃ. ৩৯

২৩৯. উসদুল গাবাহ্, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ৩৩৪

২৪০. সীরাতে হালাবী, ৩য় খণ্ড, পৃ. ৪০

২৪১. সীরাতে ইবনে হিশাম, ৩য় খণ্ড, পৃ. ৩৪২

২৪২. খন্দকের যুদ্ধে নিহত।

২৪৩. সীরতে ইবনে হিশাম, ৩য় খণ্ড, পৃ. ৩৪৫

২৪৪. সীরাতে ইবনে হিশাম, ৩য় খণ্ড, পৃ. ৩৩২ ও ৩৫০

২৪৫. তারিখে তাবারী, ২য় খণ্ড, পৃ. ৩০০

২৪৬. মাজমাউল বায়ান, ৯ম খণ্ড, পৃ. ১২০; সীরাতে হালাবী, ২য় খণ্ড, পৃ. ৩৭; সীরাতে ইবনে হিশাম, ৩য় খণ্ড, পৃ. ৩৩৪

২৪৭. বিশিষ্ট মুসলিম ঐতিহাসিক ইবনে আবিল হাদীদ দু জন শীর্ষস্থানীয় নেতার যুদ্ধ হতে পলায়নের ঘটনায় এতটা ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন যে, এক বিখ্যাত কাসিদায় বলেছেন :

و ما انس لا انس اللذين تقدمـا

و فـرّهـما والـفـر، قـد عـلـمـا

যদি সব কিছু ভুলে যাই, কখনোই এ দুই সেনাপতির পলায়নের ঘটনা ভুলে যাব না। কারণ তাঁরা তরবারি হাতে যুদ্ধে গিয়েছিলেন এবং জানতেন, যুদ্ধ হতে পলায়ন হারাম। তথাপি তাঁরা শত্রুকে পৃষ্ঠ প্রদর্শন করে পালিয়েছিলেন।

و للراية العـظمي و قـد ذهبابها

ملابس ذل فـوقـها، و جلابـيب

তাঁরা মহান পতাকা বহন করে শত্রুর দিকে গিয়েছিলেন, কিন্তু প্রকৃত অর্থে তাঁরা অপমানের পোশাক দ্বারা তা আবৃত করেছিলেন।

يشلّهما من آل موسي شـمـردل

طويل نجاد السيف، اجيد يـعبوب

মূসার বংশধর হতে এক সাহসী যুবক তাদের ধাওয়া করছিল; সে দীর্ঘাঙ্গ যুবকটি দ্রতগামী অশ্বের উপর আরোহণ করে উন্মুক্ত তরবারি হাতে তেড়ে আসছিল।

২৪৮. হযরত আলী (আ.) তাঁবুর মধ্য থেকে মহানবীর বক্তব্য শুনে পরম আশা নিয়ে বললেন :

اللهم لا معطى لما منعت و لا مانع لما أعطيت

হে আল্লাহ্! আপনি যাতে বাধ সাধেন, তা কেউ দিতে সক্ষম নয় এবং আপনি যা দিতে চান, কেউ তা ফিরিয়ে রাখতে পারে না। -সীরাতে হালাবী, ৩য় খণ্ড, পৃ. ৩৫

২৪৯. তাবারীর ভাষায় :فتطاول ابوبكر و عمر

২৫০. বিহারুল আনওয়ার, ২১তম খণ্ড, পৃ. ২৮

২৫১. সহীহ মুসলিম, ৫ম খণ্ড, পৃ. ১৯৫; সহীহ বুখারী, ৫ম খণ্ড, পৃ. ১৮, ফাজায়েলে আলী ইবনে আবী তালিব

২৫২. ইবনে হিশাম তাঁর সীরাত গ্রন্থে মারহাবের কবিতাটি অন্যভাবে বর্ণনা করেছেন।

২৫৩. তারিখে তাবারী, ২য় খণ্ড, পৃ. ৯৪; সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৩৪৯

২৫৪. তারিখে ইয়াকুবী, ২য় খণ্ড, পৃ. ৪৬; ইয়াকুবী দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের জন্য অন্য একক ব্যবহার করেছেন, যা উক্ত মাপের অনুরূপ।

২৫৫. শেখ মুফিদ প্রণীত আল ইরশাদ, পৃ. ৫৯

২৫৬. বিহারুল আনওয়ার, ২১তম খণ্ড, পৃ. ২১

২৫৭. সীরাতে ইবনে হিশাম, ৩য় খণ্ড, পৃ. ৩৪৮

২৫৮. প্রাগুক্ত, ২য় খণ্ড, পৃ. ৬৫

২৫৯. প্রাগুক্ত, ৩য় খণ্ড, পৃ. ৩৪৯

২৬০. সহীহ মুসলিম, ৭ম খণ্ড, পৃ. ১২০

২৬১. কারা সত্যপন্থী তা প্রমাণের জন্য এ দুআ করা যে, অসৎপন্থীরা আল্লাহর লানতে ধ্বংস হোক।

২৬২. নাসিখুত তাওয়ারিখ, ২য় খণ্ড, পৃ. ২৯৯

২৬৩. প্রাগুক্ত, পৃ. ৪০

২৬৪. তারিখে তাবারী, ৩য় খণ্ড, পৃ. ৩০২

২৬৫. সীরাতে ইবনে হিশাম, ৩য় খণ্ড, পৃ. ৩৩৭; বিহারুল আনওয়ার, ২১তম খণ্ড, পৃ. ৩৩

২৬৬. ওয়াসায়েলুশ্ শিয়া, জিহাদে নাফ্স অধ্যায়, হাদীস নং ৪

২৬৭. সীরাতে ইবনে হিশাম, ৩য় খণ্ড, পৃ. ৩৩৯

২৬৮. শেখ সাদুক প্রণীত আল খিসাল, ২য় খণ্ড, পৃ. ৮৬; ফুরুয়ে কাফী, ১ম খণ্ড, পৃ. ১২৯

২৬৯. বিহারুল আনওয়ার, ২১তম খণ্ড, পৃ. ৩২

২৭০. সীরাতে ইবনে হিশাম, ১ম খণ্ড, পৃ. ৩৩১

২৭১. প্রাগুক্ত, পৃ. ৩৫৬

২৭২. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৩৪৫; ফুরুয়ে কাফী, ১ম খণ্ড, পৃ. ৪০৫

২৭৩. অনেকের বর্ণনা মতে মহানবী (সা.) তাঁর মৃত্যুশয্যায় বলেছিলেন : আমার এ অসুস্থতা ঐ ইহুদী নারীর দেয়া খাদ্যের বিষক্রিয়ায় ঘটেছে যা খাইবরের বিজয়ের পর সে দিয়েছিল। অর্থাৎ ঐ বিষ এতটা মারাত্মক ছিল যে, তা তাঁর লালার সাথে পেটে যায় ও রক্তে ধীরে ধীরে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি করে।

২৭৪. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৩৩৯; বিহারুল আনওয়ার, ২১তম খণ্ড, পৃ. ৩৩

২৭৫. সীরাতে ইবনে হিশাম, ৩য় খণ্ড, পৃ. ৩৬৯-৩৭০

২৭৬. ইহুদীদের সীমা লঙ্ঘনের ঘটনা এ দু টির মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না। তারা মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় ষড়যন্ত্র করেছে এবং তাদের মারাত্মক ক্ষতি করার চেষ্টা করেছে। খলীফা হযরত উমরের শাসনামলে তাঁর পুত্র আবদুল্লাহ্ একদল ইহুদীর সাথে চুক্তি করার উদ্দেশ্যে গেলে তারা তাঁকে আহত করে। খলীফা ঘটনা জানতে পেরে সমাধানের পথ খুঁজতে থাকেন। এ ধরনের সীমা লঙ্ঘন অব্যাহত থাকায় রাসূলের এক হাদীসের ভিত্তিতে তিনি তাদেরকে আরব ভূখণ্ড থেকে বহিষ্কার করেন।

২৭৭. যে মিথ্যা সমাজের জন্য কল্যাণ বয়ে আনে। এটির সঙ্গে স্বার্থ উদ্ধারের জন্য মিথ্যা বলার পার্থক্য রয়েছে।

২৭৮. বিহারুল আনওয়ার, ২১তম খণ্ড, পৃ. ৩৪

২৭৯. মারাসিদুল ইত্তেলা নামক গ্রন্থেفدك ফাদাক ধাতু দেখুন।

২৮০. সূরা হাশর ৬ ও ৭ নং আয়াত; এ বিষয়টি ফিক্হী গ্রন্থসমূহের জিহাদ অধ্যায়ে ফাই ও আনফাল শিরোনামে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

২৮১. সূরা ইসরা : ২৬

২৮২. মাজমাউল বায়ান, ৩য় খণ্ড, পৃ. ৪১১ এবং শারহু নাহজিল বালাগাহ্, ১৬তম খণ্ড, পৃ. ২৪৮

২৮৩. আদ দুররুল মানসূর, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ১৭৬

২৮৪. মাজমাউল বায়ান, ২য় খণ্ড, পৃ. ৪১১; ফুতুহুল বুলদান, পৃ. ৪৫

২৮৫. ইবনে আবীল হাদীদ প্রণীত শারহু নাহজিল বালাগাহ্, ১৫তম খণ্ড, পৃ. ২১৭

২৮৬. নাহজুল বালাগাহ্, পত্র ৪৫

২৮৭. ফুতহুল বুলদান, পৃ. ৪৩

২৮৮. হে আহলে বাইত! নিশ্চয়ই আল্লাহ্ আপনাদের থেকে (সব ধরনের) পঙ্কিলতা দূর করে আপনাদের পূর্ণরূপে পবিত্র করতে চান ( إنّما يريد الله ليُذهب عنكم الرّجس أهل البيت و يُطهّركم تطهيرا ) সূরা আহযাব : ৩৩

২৮৯. ইবনে আবীল হাদীদ প্রণীত শারহু নাহজিল বালাগাহ্, ১৬তম খণ্ড, পৃ. ৩৭৪

২৯০. সীরাতে হালাবী, ৩য় খণ্ড, পৃ. ৪০০

২৯১. আমরা এ অধ্যায়ের শুরুতে মারাসিদুল ইত্তেলা গ্রন্থ থেকে ফাদাক ভূখণ্ডের উর্বরতার বিষয়টি সংক্ষেপে বর্ণনা করেছি।

২৯২. ইবনে আবীল হাদীদ প্রণীত শারহু নাহজিল বালাগাহ্, ১৬তম খণ্ড, পৃ. ২৩৬

২৯৩. প্রাগুক্ত, পৃ. ২৭৮

২৯৪. সূরা মারিয়াম : ৬

২৯৫. সূরা নামল : ১৬

২৯৬. আত তাবারী প্রণীত ইহতিজাজ, ১ম খণ্ড, পৃ. ১১৫, নাজাফ থেকে মুদ্রিত।

২৯৭. তারিখে কামিল, ২য় খণ্ড, পৃ. ১৫০

২৯৮. উমরা কতকগুলো বিশেষ আমলের সমষ্টি যা বছরের সকল দিবসেই আঞ্জাম দেয়া যায়। উমরার বিপরীত হচ্ছে হজ্বের আমলসমূহ যেসব অবশ্যই যিলহজ্ব মাসেই আঞ্জাম দিতে হয়। মহানবী (সা.) হিজরতের সপ্তম বর্ষের ৬ যিলক্বদ সোমবার উমরা পালনের জন্য পবিত্র মক্কার উদ্দেশে যাত্রা করেন।

২৯৯. পবিত্র মক্কা নগরী ও এর চারদিকের কিয়দংশকে হারাম বলা হয়।

৩০০. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৩৭

৩০১. হারওয়ালা হচ্ছে এক বিশেষ ভঙ্গিতে হাঁটা যার গতি স্বাভাবিক হাঁটার চেয়ে দ্রুততর, আবার দৌড়ানোর চেয়ে কম গতিসম্পন্ন।

৩০২. সীরাতে ইবনে হিশাম, ৩য় খণ্ড, পৃ. ১২-১৪ এবং তারিখুল ইসলাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৬২-৬৫

৩০৩. ওয়াকিদী তাঁর আল মাগাযী গ্রন্থের ২য় খণ্ডের ৭৪৩-৭৪৫ পৃষ্ঠায় ইসলাম ধর্মের প্রতি এ সেনাপতির ঝুঁকে পড়ার মূল কারণ অন্যভাবে লিখেছেন।

৩০৪. আত তাবাকাতুল কুবরা, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ২৫১-২৬১

৩০৫. আত তাবাকাতুল কুবরা, ২য় খণ্ড, পৃ. ১২৮

৩০৬. আল ওয়াকিদী প্রণীত আল মাগাযী, ২য় খণ্ড, পৃ. ৫৫৭-৫৫৮

৩০৭. দ্বিতীয় পঙ্ক্তিতে তিনি বলেছেন :

حتّي يقال إذا مروا علي جسدى

أرشده الله من غاز وقد رشدا

অর্থাৎ যখন অন্যেরা আমার কবর অথবা রক্তে রঞ্জিত লাশ দেখবে, তখন তারা আমার প্রাণপণ সংগ্রাম করার জন্য প্রশংসা এবং আমার জন্য দুআ করবে।-বিহারুল আনওয়ার, ২১তম খণ্ড, পৃ. ৬০ এবং আত তাবাকাতুল কুবরা, ২য় খণ্ড, পৃ. ১২৮

৩০৮. সূরা মারিয়াম : ৭১

৩০৯. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৩৭৪

৩১০. উসদুল গাবাহ্, ১ম খণ্ড, পৃ. ২৮৭

৩১১. এ প্রসঙ্গে তাঁর একটি বীরত্বগাঁথা আছে যা ইবনে মুযাহিম তাঁর ওয়াকয়াতু সিফ্ফীন (সিফ্ফীনের যুদ্ধ) গ্রন্থে (পৃ. ৪৯) উদ্ধৃত করেছেন :

لو ان عدى يابن حرب جعفرا

أو حمزة القوم الهمام الأزهرا

رأت قريش نجم ليل ظهر

হে হারব্ তনয়! যদি থাকত আমার জাফর অথবা

জাতির সেই উজ্জ্বলতম সাহসী বীর হামযাহ্,

তা হলে কুরাইশরা* দেখতে পেত দ্বি-প্রহরে রাতের তারা।

(*এখানে কুরাইশ বলতে মুআবিয়া, বনী উমাইয়্যা ও তাদের দলকে বোঝানো হয়েছে, যারা হযরত আলীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে এসেছিল। জাফর ও হামযাহ্ জীবিত থাকলে এ বিদ্রোহী গোষ্ঠীর অবস্থা এতটা শোচনীয় হতো যে, তাদের দিন আঁধার রাতে পরিণত হতো। আঁধার রাতে আকাশে তারা দৃষ্টিগোচর হয়। সেজন্য আলী (আ.) বলেছেন : কুরাইশরা দেখতে পেত দ্বি-প্রহরে রাতের তারা। -অনুবাদক)

৩১২. 

فـلا يبـعـدن الله قتلي تتابعوا

بـموته منهم ذو الجناحين جعفر

و زيـد و عبد الله حين تتابعوا

جـميعـا واسبـاب الـمنية تخطر

আপনারা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছেন,تتابعوا শব্দটি এ বিষয়ের জীবন্ত সাক্ষী যে, এ তিন সেনাপতি ও সর্বাধিনায়কের মৃত্যু একের পর এক সংঘটিত হয়েছে এবং প্রথমে জাফর শাহাদাত লাভ করেন। এ শব্দের অর্থ এখানে তাঁরা সকলে একের পর এক অধিনায়ক হয়েছেন এভাবে যে, জাফরের পরে যাইদ, যাইদের পরে আবদুল্লাহ্...

৩১৩. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৩৮৪-৩৮৭

৩১৪. ওয়াকিদী প্রণীত আল মাগাযী ২য় খণ্ড,  পৃ. ৭৬০ এবং সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৩৭৫

৩১৫. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৩৭৮

৩১৬. প্রাগুক্ত, ২য় খণ্ড, পৃ. ৩৮১, ৩৮৮ ও ৩৮৯

৩১৭. আল ওয়াকিদী প্রণীত আল মাগাযী, ২য় খণ্ড, পৃ. ৭৬৩

৩১৮. সীরাতে ইবনে হিশাম , ২য় খণ্ড, পৃ. ২৮২-৩৮৩ এবং সীরাতে হালাবী, ২য় খণ্ড, পৃ. ৭৯

৩১৯. আত তাবাকাতুল কুবরা, ২য় খণ্ড, পৃ. ১২৯

৩২০. বিহারুল আনওয়ার, ২১তম খণ্ড, পৃ. ৫৪-৫৫ এবং ওয়াকিদী প্রণীত আল মাগাযী, ২য় খণ্ড, পৃ.৭৬৬

৩২১. নাহজুল বালাগাহ্ চিঠি-পত্রের অধ্যায়, ৩৩ ও ৪৫ নং পত্র। ইসলামী হুকুমতে (সরকার) গোয়েন্দাবৃত্তি ও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ সংক্রান্ত ব্যবস্থা ইসলামী হুকুমতের মূল ভিত্তি ও মূলনীতিসমূহ (২য় খণ্ড) গ্রন্থে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

৩২২. তাফসীরে আলী ইবনে ইবরাহীম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৪৩৪, সূরা আল আদিয়াত

৩২৩. ওয়াদী আর রামল (বালুর উপত্যকা), ওয়াদী ইয়াবিস (শুষ্ক উপত্যকা) হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

৩২৪. শেখ আল মুফীদ প্রণীত কিতাব আল ইরশাদ, পৃ. ৮৬

৩২৫. প্রাগুক্ত, পৃ. ৮৪

৩২৬. তাফসীরে ফুরাত, পৃ. ২২২-২২৬ এবং মাজমাউল বায়ান, ১০ম খণ্ড, পৃ. ৫২৮

৩২৭. পবিত্র কুরআনের শপথসমূহ এবং সেসবের গুরুত্ব অনুধাবন করার জন্য সৌগান্দহয়ে কুরআন (পবিত্র কুরআনের শপথসমূহ) নামক গ্রন্থ, যা আমাদের একজন প্রিয়ভাজন বন্ধু আবুল কাসিম রাযযাকী রচিত এবং আমার পক্ষ থেকে ভূমিকাসহ মুদ্রিত ও প্রকাশিত হয়েছে, তা অধ্যয়ন করুন।

৩২৮. তারিখে তাবারী, ৩য় খণ্ড, পৃ. ৩০; সীরাতে হালাবী, ৩য় খণ্ড, পৃ. ১৯০-১৯১ এবং ওয়াকিদী প্রণীত আল মাগাযী, ২য় খণ্ড, পৃ. ৭৬৯-৭৭৪

৩২৯. বনি বকর বিন আবদে মানাত বিন কিনানাহ্, কিনানাহ্ গোত্রের একটি শাখা

৩৩০. বুদাইল খুযাআহ্ গোত্রের একজন প্রবীণ ব্যক্তিত্ব যিনি পবিত্র মক্কা নগরীতে বসবাস করতেন এবং তখন তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। দেখুন : শেখ তূসী প্রণীত আল আমালী, পৃ. ২৩৯

৩৩১. আল ওয়াকিদী প্রণীত আল মাগাযী, ২য় খণ্ড, পৃ.৭৯২

৩৩২. মদীনার পথে পবিত্র মক্কার দুই মঞ্জিল দূরত্বে অবস্থিত একটি স্থানের নাম।

৩৩৩. আল ওয়াকিদী প্রণীত আল মাগাযী, ২য় খণ্ড, পৃ. ৭৮০-৭৯৪; সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৩৮৯-৩৯৭ এবং বিহারুল আনওয়ার, ২১তম খণ্ড, পৃ. ১০২

৩৩৪. আল ওয়াকিদী প্রণীত আল মাগাযী, ২য় খণ্ড, পৃ. ৭৭৯-৮০০

৩৩৫. বিহারুল আনওয়ার, ২১তম খণ্ড, পৃ. ১৩৬

৩৩৬. চিঠির মূল পাঠ :من حاطب بن أبِى بلتعة إلى أهل مكّة: إنّ رسول الله يريدكم فخذوا حذركم হাতিব ইবনে আবী বালতাআর নিকট থেকে মক্কার অধিবাসীদের প্রতি : নিশ্চয়ই রাসূলুল্লাহ্ তোমাদেরকে আক্রমণ করার জন্য প্রস্তুত, তাই তোমরা অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে প্রস্তুত হয়ে নিজেদেরকে রক্ষা কর।

৩৩৭. ইবনে হিশামের বর্ণনানুসারে খালীকাহ্ নামের একটি অঞ্চলে

৩৩৮. সূরা মুমতাহিনাহ্ : ১ এবং এ প্রসঙ্গে যে সব আয়াত অবতীর্ণ হয়েছিল, সেসব হচ্ছে এ সূরার ১ম আয়াত থেকে ৯ম আয়াত পর্যন্ত এ নয় আয়াত।-সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৩৯৯ এবং মাজমাউল বায়ান, ৯ম খণ্ড, পৃ. ২৬৯-২৭০

৩৩৯. ওয়াসাইলুশ্ শিয়া, ৭ম খণ্ড, পৃ. ১২৪ এবং সীরাতে হালাবী, ৩য় খণ্ড, পৃ. ৯০

৩৪০. ইংল্যান্ডবাসী টমাস কার্লাইলের  Heros & Hero s Worship

৩৪১. সূরা ইসরার ৯০-৯৩ নং আয়াতসমূহে তার অযৌক্তিক আবদার উল্লেখ করা হয়েছে। মাজমাউল বায়ান, ৬ষ্ঠ খণ্ড, পৃ. ৩৯; উসদুল গাবাহ্, ৫ম খণ্ড, পৃ. ২১৩-২১৪

৩৪২. আল ইসাবাহ্, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ৯০

৩৪৩. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৪০২

৩৪৪. বিহারুল আনওয়ার, ২১তম খণ্ড, পৃ. ১১৪

৩৪৫. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৪০০-৪০৪; মাজমাউল বায়ান, ১০ম খণ্ড, পৃ. ৫৫৪-৫৫৬; ওয়াকিদী প্রণীত আল মাগাযী, ২য় খণ্ড, পৃ. ৮১৬-৮১৮ এবং ইবনে আবীল হাদীদ প্রণীত শারহু নাহজিল বালাগাহ্, ১৭তম খণ্ড, পৃ. ২৮৬

৩৪৬. বিখ্যাত মুসলিম ঐতিহাসিক আল ওয়াকিদী তাঁর আল মাগাযী গ্রন্থের ২য় খণ্ডের ৮০০-৮০১ এবং ৮১৯ পৃষ্ঠায় নির্ভুলভাবে সেনাবাহিনীর ইউনিট এবং সেসবের সাথে সংশ্লিষ্ট সৈন্যদের সংখ্যা উল্লেখ করেছেন এবং ইবনে আবীল হাদীদও তাঁর প্রণীত গ্রন্থে (১৭তম খণ্ড, পৃ. ২৭০-২৭১) তা উল্লেখ করেছেন।

৩৪৭. ইমতাউল আসমা, ১ম খণ্ড, পৃ. ৩৮৯

৩৪৮. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৪০৮; ওয়াকিদী প্রণীত আল মাগাযী গ্রন্থের ২য় খণ্ডের ৮২৫-৮২৬ পৃষ্ঠার বর্ণনা মতে ২৮ জন নিহত হয়েছিল।

৩৪৯. ওয়াকিদী প্রণীত আল মাগাযী, ২য় খণ্ড, পৃ. ৮৩৩

৩৫০. এ ঐতিহাসিক ফযীলতের দলিল-প্রমাণ আল গাদীর গ্রন্থের ৭ম খণ্ডের ১০-১৩ পৃষ্ঠায় বর্ণিত হয়েছে।

৩৫১. ওয়াকিদী প্রণীত আল মাগাযী, ২য় খণ্ড, পৃ. ৮৩৫ এবং বিহারুল আনওয়ার, ২১তম খণ্ড, পৃ. ১০৭-১৩২

৩৫২. বিহারুল আনওয়ার, ২১তম খণ্ড, পৃ. ১০৭

৩৫৩. প্রাগুক্ত, পৃ. ১১১

৩৫৪. ভাষণের এ সব উল্লেখযোগ্য অংশ বর্ণনা করা সংক্রান্ত আমাদের দলিলগুলো হচ্ছে রওযাতুল কাফী, পৃ. ২৪৬, সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৪১২, ওয়াকিদী প্রণীত আল মাগাযী, ২য় খণ্ড, পৃ. ৮৩৬, বিহারুল আনওয়ার, ২১তম খণ্ড, পৃ. ১০৫ এবং ইবনে আবীল হাদীদ প্রণীত শারহু নাহজিল বালাগাহ্, ১৭তম খণ্ড, পৃ. ২৮১

৩৫৫. ইবনে হিশাম বলেছেন : এ দু ব্যক্তি ছিল হারিস ইবনে হিশাম ও যুহাইর ইবনে আবূ উমাইয়্যা ইবনে মুগীরা।

৩৫৬. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৪১৭

৩৫৭. হিজরতের পূর্বে অনুষ্ঠিত আকাবার বাইআতে সত্তরের চেয়ে কিছু বেশি সংখ্যক ব্যক্তি মহানবী (সা.)্-এর কাছে বাইআত করেছিলেন, যাঁদের মধ্যে দু জন নারীও ছিলেন।

৩৫৮. সূরা মুমতাহিনা : ১২

৩৫৯. এজন্য মুআবিয়ার মাকে আকিলাতুল আকবাদ (কলিজা ভক্ষণকারিণী) এবং মুআবিয়া ও ইয়াযীদকে আবনাউ আকিলাতুল আকবাদ (কলিজা ভক্ষণকারিণীর সন্তান বা বংশধর) বলা হয়।-অনুবাদক

৩৬০. মুক্ত নারী বলতে যে নারী দাসী নয় তাকে বোঝানো হয়েছে।

৩৬১. এবং তারা ব্যভিচার করবে না

৩৬২. মাজমাউল বায়ান, ৫ম খণ্ড, পৃ. ২৭৬

৩৬৩. বিহারুল আনওয়ার, ২১তম খণ্ড, পৃ. ১৪০

৩৬৪. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৪২০

৩৬৫. শেখ সাদুক প্রণীত আল খিসাল, ২য় খণ্ড, পৃ. ১২৫

৩৬৬. শেখ তূসী প্রণীত আমালী, পৃ. ৩১৮

৩৬৭. শেখ সাদুক প্রণীত আল আমালী, পৃ. ১০৫

৩৬৮. ইতিহাসের গ্রন্থসমূহে হযরত আবূ বকরের শাসনের প্রথম বছরের ঘটনাবলী সংক্রান্ত অধ্যায়ে মালিক ইবনে নুওয়াইরার কাহিনী বিস্তারিত বর্ণিত হয়েছে। আমরা এ ঘটনা সংক্ষেপে এখানে বর্ণনা করেছি। তবে এ ঘটনার বিশ্লেষণাত্মক ইতিহাস সম্পর্কে জানার জন্য দেখুন আন নাস ওয়াল ইজতিহাদ, পৃ. ৬১-৭৫

৩৬৯. আত তাবাকাতুল কুবরা, ২য় খণ্ড, পৃ. ১৩৭

৩৭০. আত তাবাকাতুল কুবরা, ২য় খণ্ড, পৃ. ১৫০

৩৭১. আল ওয়াকিদী প্রণীত আল মাগাযী, ৩য় খণ্ড, পৃ. ৮৯৭

৩৭২. ওয়াকিদী আল মাগাযী গ্রন্থের ৩য় খণ্ডের ৬০২ পৃষ্ঠায় আমীরুল মুমিনীন আলী (আ.)-এর প্রাণপণ সংগ্রামের একটি দিক বর্ণনা করেছেন।

৩৭৩. ইবনে হিশাম তাঁর সীরাত গ্রন্থে মুসলমানদের নিহতের সংখ্যা চার বলে উল্লেখ করেছেন; তবে এ ধরনের ব্যাপক যুদ্ধে অবশ্যই নিহতের সংখ্যা অধিক হবে।

৩৭৪. আল ওয়াকিদী প্রণীত আল মাগাযী, পৃ. ৯১৫-৯১৬

৩৭৫. বিহারুল আনওয়ার, ২১তম খণ্ড, পৃ. ১৬২

৩৭৬. সীরাতে হালাবী, ৩য় খণ্ড, পৃ. ১৩২

৩৭৭. আত তাবাকাতুল কুবরা, ২য় খণ্ড, পৃ. ১৫৮

৩৭৮. সীরাতে ইবনে হিশাম, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ১২৬; তিনি বলেন, সর্বপ্রথম মিনজানিক ব্যবহার করেন স্বয়ং মহানবী (সা.)

৩৭৯. সীরাতে হালাবী, ৩য় খণ্ড, পৃ. ১৩৪

৩৮০. আত তাবাকাতুল কুবরা, ২য় খণ্ড, পৃ. ১৫৭

৩৮১. আল ওয়াকিদী প্রণীত আল মাগাযী, ৩য় খণ্ড, পৃ. ৯২৮

৩৮২. এ বক্তব্যের পক্ষে প্রমাণ হচ্ছে যে, মহানবী (সা.) ৫ শাওয়াল পবিত্র মক্কা ত্যাগ করেন এবং তায়েফ নগরী অবরোধকাল ছিল বিশ দিন এবং শাওয়াল মাসের অবশিষ্ট পাঁচ দিন পথ চলা ও হুনাইন যুদ্ধে অতিবাহিত হয়েছিল। অবরোধকাল যে বিশ দিন ছিল তা ইবনে হিশাম উদ্ধৃত একটি রেওয়ায়েতের ভিত্তিতে বলা হয়েছে। তবে ইবনে সা দ তাঁর আত তাবাকাতুল কুবরা গ্রন্থের ২য় খণ্ডের ১৫৮ পৃষ্ঠায় অবরোধের সময়কাল চল্লিশ দিন বলে উল্লেখ করেছেন।

৩৮৩. আত তাবাকাতুল আল কুবরা, ২য় খণ্ড, পৃ. ১৫২

৩৮৪. আল ওয়াকিদী প্রণীত আল মাগাযী, ৩য় খণ্ড, পৃ. ৯৪৯-৯৫৩

৩৮৫. তাবাকাতে ইবনে সা দ, ২য় খণ্ড, পৃ. ১৫৩-১৫৪; সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৪৯০; এবং ঐতিহাসিক ঘটনা হিসেবে নিম্নোক্ত আয়াতের অন্তর্নিহিত অর্থ বাস্তবায়িত হলো :

من عمل صالحا من ذكر أو أنثي و هو مؤمن فلنحيينّه حيوة طيّبة و لنجزينّهم أجرهم بأحسن ما كانوا يعملون

যে কোন ব্যক্তি-সে পুরুষ বা নারী হোক, ঈমান সহকারে কাজ (পুণ্য) করবে, আমরা অবশ্যই তাকে একটি পবিত্র জীবন দান করব এবং তাদের কর্মের শ্রেষ্ঠ পুরস্কার দান করব। (সূরা নাহল : ৯৭)

শেখ সা দীর ভাষায় :

تو نيكي مي كن و در دجله انداز

خدايت در بيابان مي دهد باز

যদি পুণ্য করে তুমি তা নিক্ষেপ কর দজলার নীরে,

তা হলে স্রষ্টা তোমায় তা ফিরিয়ে দেবেন ঊষর মরুপ্রান্তরে।

৩৮৬. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৪৯১

৩৮৭. মুআল্লাফাতুল কুলূব হচ্ছে ঐ সব ব্যক্তি যাদের অন্তঃকরণকে অর্থ প্রদান করে ইসলাম ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট করা হয়েছে এবং পরিণতিতে তারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে।-অনুবাদক

৩৮৮. আত তাবাকাতুল কুবরা, ৩য় খণ্ড, পৃ. ১৫৩

৩৮৯. খুমস : এক-পঞ্চমাংশ

৩৯০. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৪৯৬; ওয়াকিদী আল মাগাযীতে বলেন, মহানবী (সা.) তার ব্যাপারে বলেছেন :

إنّ له أصحابا يُحقر أحدكم صلاته مع صلاتِهم و صيامه مع صيامهم، يقرأون القرآن لا يجاوز تراقيهم، يُمرقون من الدّين كما يمرق السّهم من الرّميّة

তার বেশ কিছু সঙ্গী-সাথী থাকবে যাদের ইবাদত-বন্দেগীর কাছে তোমাদের নামায ও রোযা তুচ্ছ মনে হবে। তারা পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করবে, কিন্তু তা তাদের কণ্ঠনালীর ঊর্ধ্বে উঠবে না (অর্থাৎ তাদের হৃদয়সমূহে প্রবেশ করবে না) তীর যেভাবে ধনুক থেকে বের হয়ে যায়, তারাও তদ্রূপ দীন থেকে বের হয়ে যাবে।

৩৯১. সীরাতে ইবনে হিশাম, ৪থ খণ্ড, পৃ.১৪৩-১৪৪

৩৯২. প্রাগুক্ত, ২য় খণ্ড, পৃ. ৫০০

৩৯৩. আত তাবাকাতুল কুবরা, ২য় খণ্ড, পৃ. ৩৪৭

৩৯৪. তাঁর ঝুলন্ত কাব্যের শুরুতে এ পঙ্ক্তিটি ছিল :

أمن أمّ أوفي دمنة لم تكلم

بحرمانة الدرّاج فالمتثلّم

৩৯৫. সীরাতে হালাবী, ৩য় খণ্ড, পৃ. ২৪২

৩৯৬. প্রতিটি পঙ্ক্তির শেষে আরবী লাম হরফ বিদ্যমান।

৩৯৭. বলা হয়েছে, কাمن سيوف الله এর জায়গায়سيوف المهند এ ছত্র আবৃত্তি করেছিলেন এবং মহানবী উপরিউক্ত আকারে তা পরিবর্তন করে দিয়েছিলেন।-নাসিখুত তাওয়ারীখ, ২য় খণ্ড, অংশ ৩; যখন কা ব কবিতা আবৃত্তি শেষ করেন তখন মহানবী (সা.) তাঁকে একটি জামা উপহার দিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে মুআবিয়া তাঁর কাছ থেকে দশ হাজার দীনার মূল্যে ঐ জামা ক্রয় করতে চাইলে তিনি তা বিক্রি করতে অস্বীকার করেছিলেন। তাঁর ইন্তেকালের পর মুআবিয়া তাঁর উত্তরাধিকারীদের কাছ থেকে জামাটি বিশ হাজার দীনার দিয়ে ক্রয় করেন। তখন থেকে ঐ জামা উমাইয়্যা ও আব্বাসীয় খলীফাদের আনুষ্ঠানিক পোশাকে পরিণত হয়, যা তাঁরা কখনো কখনো পরতেন।

৩৯৮. কোন কোন শিয়া ঐতিহাসিক ও গবেষক আলেমের মতে হযরত ফাতিমা (আ.)-ই মহানবী (সা.)-এর একমাত্র কন্যাসন্তান ছিলেন। তাই এসব ঐতিহাসিক ও গবেষক আলেমের মতে হযরত যায়নাব, হযরত রুকাইয়া ও হযরত উম্মে কুলসুম বলে মহানবীর যে কন্যাসন্তানগণের কথা ইতিহাসে উল্লেখ করা হয়েছে, তাঁরা মহানবী (সা.) ও তাঁর স্ত্রী খাদীজা (আ.)-এর পালিতা কন্যা ছিলেন। তাঁরা খুব সম্ভবত হযরত খাদীজার অনাথ ভ্রাতুষ্পুত্রী বা বোনের কন্যা হয়ে থাকবেন, যাঁদেরকে মহানবী ও হযরত খাদীজা নিজ কন্যাসন্তানের মতো প্রতিপালন করেছিলেন।-অনুবাদক

৩৯৯. তারিখুল খামীস, ২য় খণ্ড, পৃ. ১৩১

৪০০ উফূদ (وفود ), ওয়াফ্দ (وفد ) শব্দের বহুবচন, যার অর্থ প্রতিনিধিদল

৪০১. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৫৭৭

৪০২. এ প্রতিনিধি দলের যাবতীয় বৈশিষ্ট্য, তাদের ও রাসূলুল্লাহ্ (সা.)-এর মাঝে যেসব আলোচনা হয়েছিল, সেসবের বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেয়া এবং মহানবী তাদের ব্যাপারে যে অনুগ্রহ ও ভালোবাসা পোষণ করেছিলেন সেসবের বিবরণ প্রদান এ সংক্ষিপ্ত পরিসরে সম্ভব নয়। বিখ্যাত সীরাত রচয়িতা মুহাম্মদ ইবনে সা দ তাঁর গ্রন্থে এ প্রতিনিধি দলের অধিকাংশ বৈশিষ্ট্যের বিবরণ দিয়েছেন। তিনি ৭৩টি প্রতিনিধি দলের নাম উল্লেখ করেছেন যারা দলে দলে হিজরতের নবম বর্ষ জুড়ে বা এর চেয়ে একটু বেশি সময় ধরে মহানবীর নিকট উপস্থিত হয়েছিল।-আত তাবাকাতুল কুবরা, ১ম খণ্ড, পৃ. ২৯১-২৯৫

৪০৩. সূরা নাসর : ১-৩

৪০৪. সারিয়াহ্ হচ্ছে কাফির-মুশরিক ও বিধর্মীদের বিরুদ্ধে পরিচালিত মুসলমানদের ঐ যুদ্ধ যাতে মহানবী (সা.) উপস্থিত থাকতেন না।

৪০৫. গাযওয়াহ্ হচ্ছে কাফির-মুশরিক ও বিধর্মীদের বিরুদ্ধে পরিচালিত ঐ সব যুদ্ধ যেসব মহানবী (সা.) নিজে উপস্থিত থেকে পরিচালনা করেছেন।-অনুবাদক

৪০৬. রূকূসী হচ্ছে খ্রিষ্টধর্ম ও সাবেঈনদের মাঝামাঝি একটি ধর্ম

৪০৭. ওয়াকিদী প্রণীত আল মাগাযী, ৩য় খণ্ড, পৃ. ৯৮৭-৯৮৮; সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৫৭৮-৫৮১ এবং আদ দারাজাত আর বাফীআহ্ ফী তারাকাতিশ্ শিয়াহ্ আল ইমামীয়াহ্, পৃ. ৩৫২-৩৫৪

৪০৮.إتّخذوا أحبارهم و رهبانهم أربابا من دون الله و المسيح بن مريم -সূরা তাওবা : ৩১

৪০৯. মাজমাউল বায়ান, ৩য় খণ্ড, পৃ. ২৪

৪১০. আত তাবাকাতুল কুবরা, ২য় খণ্ড, পৃ. ১৬৫

৪১১. প্রাগুক্ত

৪১২. আল ওয়াকিদী প্রণীত আল মাগাযী, ৩য় খণ্ড, পৃ. ১০০৩

৪১৩. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৫১৭

৪১৪. সূরা তাওবা : ১১৮

৪১৫.أما ترضي أن تكون منّى بِمنرلة هارون من موسي إلّا أنّه لا نبِىّ بعدِى -সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৫২০; বিহারুল আনওয়ার, ২১তম খণ্ড, পৃ. ২০৭; এ হাদীস যে মহান ওলীদের নেতা আমীরুল মুমিনীন হযরত আলী (আ.)-এর ইমামত (নেতৃত্ব) প্রমাণ করে, সে সম্পর্কে জানার জন্য আমার প্রণীত ইসলামের দৃষ্টিতে নেতৃত্ব নামক গ্রন্থটির পৃ. ২৫১-২৮৪ অধ্যয়ন করুন।

৪১৬. আল ওয়াকিদী প্রণীত আল মাগাযী, ৩য় খণ্ড, পৃ. ৯৯০

৪১৭. বিহারুল আনওয়ার, ২১তম খণ্ড, পৃ. ২৪৪

৪১৮. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৫২০; ওয়াকিদীও আল মাগাযী গ্রন্থে সামান্য পার্থক্যসহ এ কাহিনীটি আবদুল্লাহ্ ইবনে খাইসামার সাথে সম্পর্কিত করে উল্লেখ করেছেন।

৪১৯. সীরাতে ইবনে হিশাম, ৩য় খণ্ড, পৃ. ১৫২

৪২০. আধুনিক সামরিক পরিভাষায় এ দলকে মিলিটারী পুলিশ বলা হয়।

৪২১.عالم الغيب فلا يُظهِر علي غيبه أحدا إلا من ارتضي من رسول ... অর্থাৎ মহান আল্লাহ্ কেবল নবী-রাসূল ছাড়া আর কারো কাছে তাঁর গায়েব প্রকাশ করেন না... (সূরা জ্বিন : ২৬-২৭)

৪২২. দেখুন আমার প্রণীত গ্রন্থ তৃতীয় জ্ঞান

৪২৩. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৫২৩

৪২৪. আল ওয়াকিদী প্রণীত আল মাগাযী, ৩য় খণ্ড, পৃ. ১০০০

উল্লেখ্য, তৃতীয় খলীফা হযরত উসমানের প্রশাসন ও অর্থনীতি এবং বনী উমাইয়্যার প্রাদেশিক শাসনকর্তাদের সীমাহীন দুর্নীতির তীব্র সমালোচনা করার কারণে তৃতীয় খলীফা আবূ যারকে রাবযার মরু-প্রান্তরে নির্বাসিত করেছিলেন।-অনুবাদক

৪২৫. উসদুল গাবাহ্, ১ম খণ্ড, পৃ. ৩০২; আত তাবাকাতুল কুবরা, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ২২৩ এবং হুলিয়াতুল আওলিয়া, ১ম খণ্ড, পৃ. ৩০২

৪২৬. ঐতিহাসিকগণ হযরত আবূ যারের মৃত্যুবরণ ও দাফন সংক্রান্ত খুঁটিনাটি বিবরণ পার্থক্য সহ বর্ণনা করেছেন। কতিপয় ঐতিহাসিক বিবরণ থেকে মনে হয়, এ কাফেলার আগমনকালেও হযরত আবূ যার জীবিত ছিলেন এবং তাঁরা তাঁর সাথে কথোপকথন করেছেন। তবে অন্যান্য ঐতিহাসিক বলেন, কাফিলার আগমনের মুহূর্তে হযরত আবূ যার মৃত্যুবরণ করেছিলেন। আরো কিছু ঐতিহাসিক বিবরণে উল্লিখিত আছে, হযরত আবূ যারের স্ত্রী ও সন্তানরাই তাঁর লাশ রাস্তার পাশে বহন করে এনে রেখেছিলেন। আর আরো কিছু ঐতিহাসিক বিবরণ অনুসারে তাঁরা দু জন (আবূ যারের স্ত্রী ও সন্তান) রাস্তার পাশে বসেছিলেন। কাফিলা সেখানে আগমন করলে তাঁরা দু জন তাঁদেরকে হযরত আবূ যারের লাশের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন।-আত তাবাকাতুল কুবরা, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ৩৪-২৩২ এবং আদ দারাজাতু রাফীআহ্, পৃ. ৫৩

৪২৭. কতিপয় ঐতিহাসিকের মতে, মালিক আশতার তাঁর জানাযার নামায পড়ান।

৪২৮. আল ওয়াকিদী আল মাগাযী গ্রন্থের ২য় খণ্ডের ১০১৪-১০১৫ পৃষ্ঠায় লিখেছেন : মহানবী (সা.) তাবুক অঞ্চলে ২০ দিন অবস্থান করেছিলেন। তিনি আরো উল্লেখ করেছেন, তিনি একদিন ফজরের ফরয নামায আদায় করার পর একটি দীর্ঘ, বলিষ্ঠ ও শিক্ষণীয় খুতবা প্রদান করেছিলেন। এরপর তিনি মহানবীর খুতবা উদ্ধৃত করেছেন।

৪২৯. সীরাতে হালাবী, ৩য় খণ্ড, পৃ. ১৬১

৪৩০. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৫২৬; সীরাতে হালাবী, ৩য় খণ্ড, পৃ. ১৬০ এবং বিহারুল আনওয়ার, ২১তম খণ্ড, পৃ. ১৬০

৪৩১. আল ওয়াকিদী তাঁর আল মাগাযী গ্রন্থের ৩য় খণ্ডের ১০২৫ পৃষ্ঠায় বলেছেন : দাওমা মদীনার ১০ মাইল দূরত্বের মধ্যে অবস্থিত।

৪৩২. আত তাবাকাতুল কুবরা, ২য় খণ্ড, পৃ. ১৬৪ এবং বিহারুল আনওয়ার, ২য় খণ্ড, পৃ. ২৬৪

৪৩৩. সিরিয়া শামদেশের অন্তর্ভুক্ত একটি অঞ্চলের নাম। সিরিয়া ছাড়াও জর্দান, লেবানন ও ফিলিস্তিন বৃহৎ শামদেশের অন্তর্ভুক্ত।-অনুবাদক

৪৩৪. সীরাতে ইবনে হিশাম, ৩য় খণ্ড, পৃ. ৫২৭ এবং ইবনে সা দ স্বীয় গ্রন্থ আত তাবাকাতুল কুবরার ২য় খণ্ডের ১৬৮ পৃষ্ঠায় তাবুক প্রান্তরে মহানবীর অবস্থানকাল বিশ দিন বলে উল্লেখ করেছেন) 

৪৩৫. আল ওয়াকিদী প্রণীত আল মাগাযী, ৩য় খণ্ড, পৃ. ১০৪২-১০৪৩; বিহারুল আনওয়ার, ১১তম খণ্ড, পৃ. ২৪৭ এবং সীরাতে হালাবী, ৩য় খণ্ড, পৃ. ১৬২

৪৩৬. সীরাতে হালাবী, ৩য় খণ্ড, পৃ. ১৬৩ এবং বিহারুল আনওয়ার, ২০তম খণ্ড, পৃ. ২১৯

৪৩৭. এ বাক্যের অন্তর্নিহিত অর্থ পবিত্র কুরআনের নিম্নোক্ত আয়াত থেকে উৎকলিত ও গৃহীত :

) حتّي إذا ضاقت عليهم الأرض بما رحبت و ضاقت عليهم أنفسهم(

এমনকি পৃথিবী প্রশস্ত হওয়া সত্বেও তাদের জন্য তা সংকীর্ণ হয়ে গিয়েছিল এবং তাদের জীবনও তাদের জন্য সংকীর্ণ হয়ে গিয়েছিল। (সূরা তাওবা : ১১৮)

তাফসীরসমূহে তাদের তওবার প্রক্রিয়া বর্ণিত হয়েছে। আগ্রহী পাঠকবৃন্দ তাফসীরের গ্রন্থাদি অধ্যয়ন করুন।

৪৩৮. সীরাতে হালাবী, ৩য় খণ্ড, পৃ. ১৬৫ এবং বিহারুল আনওয়ার, ১০ম খণ্ড, পৃ.১১৯, সংখ্যাস্বল্প মতলববাজদের বিপক্ষে মহানবীর এ ধরনের ভিন্নতর সংগ্রাম আমাদের জন্য এক বিরাট শিক্ষাস্বরূপ। নিষ্ঠা, দৃঢ় সিদ্ধান্ত ও ঐকমত্য ছাড়া আর কিছুই এ ধরনের সংগ্রামের জন্য অপরিহার্য নয়। এ তিনজন সম্পর্কে আমরা যা বর্ণনা করেছি, আল ওয়াকিদী তার চেয়েও ব্যাপকভাবে লিখেছেন। দেখুন আল মাগাযী, ৩য় খণ্ড, পৃ. ১০৪৯-১০৫৬

৪৩৯. আল ওয়াকিদী প্রণীত আল মাগাযী, ৩য় খণ্ড, পৃ. ১০৪৬

৪৪০. মসজিদে যিরার বিষয়ে পবিত্র কুরআনে সূরা তাওবার ১০৭-১১০ আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে।

৪৪১. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৫৩০ এবং বিহারুল আনওয়ার, ২০তম খণ্ড, পৃ. ২৫৩

৪৪২. তায়েফ দুর্গ অবরোধের কাহিনী হিজরতের অষ্টম বর্ষের ঘটনাপ্রবাহ শীর্ষক অধ্যায়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

৪৪৩. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৫৪২-৫৪৪; সীরাতে হালাবী, ৩য় খণ্ড, পৃ. ২৪৩; উসদুল গাবাহ্ গ্রন্থের ১ম খণ্ডের ২১৬ পৃষ্ঠায় সাকীফ গোত্রের প্রতিনিধি দলের কথা আমরা যেভাবে উপরে উল্লেখ করেছি, তার চেয়ে আরো বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

৪৪৪. এ প্রসঙ্গে অধিক অবগতির জন্য দেখুন আমার প্রণীত মানশূরে জভীদ, ৩য় খণ্ড

৪৪৫. আল ওয়াকিদী তাদের সংখ্যা ৩০০ জন বলে উল্লেখ করেছেন, আল মাগাযী, ৩য় খণ্ড, পৃ. ১০৭৭

৪৪৬.لا يؤدّيها عنك إلّا أنت أو رجل منك (একমাত্র আপনি অথবা আপনার পক্ষ থেকে কোন ব্যক্তি ব্যতীত মুশরিকদের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ সংক্রান্ত আয়াতসমূহ আর কেউ প্রচার করতে পারবে না।) এবং কতিপয় রেওয়ায়েতে বর্ণিত হয়েছে :أو رجل من أهل بيتك (অথবা আপনার আহলে বাইতভুক্ত কোন ব্যক্তি ব্যতীত...) -সীরাতে ইবনে হিশাম, ৬ষ্ঠ খণ্ড, পৃ. ৫৪৫ এবং বিহারুল আনওয়ার, ২১তম খণ্ড, পৃ. ২৬৭

৪৪৭. কাফী, ১ম খণ্ড, পৃ. ৩২৬

৪৪৮. শেখ মুফীদ প্রণীত কিতাবুল ইরশাদ, পৃ. ৩৩

৪৪৯. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৫৪৬

৪৫০. রুহুল মাআনী, সূরা তাওবার তাফসীর

৪৫১. আর আমরা আপনাকে কেবল জগৎসমূহের রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছি। (সূরা আম্বিয়া : ১০৭)

৪৫২.تبكى العين و يحزن القلب و لا نقول ما يُسخط الرّب -সীরাতে হালাবী, ৩য় খণ্ড, পৃ. ৩৪৭; বিহারুল আনওয়ার, ২২তম খণ্ড, পৃ. ১৫৭

৪৫৩. বিহারুল আনওয়ার, ৩৩তম খণ্ড, পৃ. ১১৪

৪৫৪. আল মাহাজ্জাতুল বাইদা, ৩য় খণ্ড, পৃ. ৩৬৬

৪৫৫. বিহারুল আনওয়ার, ২২তম খণ্ড, পৃ. ১৬৬; তবে কিছু কিছু শিয়া আলেম ধারণা করেন, হযরত খাদীজার গর্ভে তাঁর দুই পুত্রসন্তানের জন্ম হয়েছিল। -বিহারুল আনওয়ার, ২২তম খণ্ড, পৃ. ১৫১

৪৫৬. বিহারুল আনওয়ার, ২২তম খণ্ড, পৃ. ১৫১

৪৫৭. সীরাতে হালাবী, ৩য় খণ্ড, পৃ. ৩৪৮

৪৫৮. বিহারুল আনওয়ার, ২২তম খণ্ড, পৃ. ১৫৬ এবং সীরাতে হালাবীর বর্ণনামতে রাসূল (সা.)-এর পিতৃব্যপুত্র ফযল ইবনে আব্বাস ইবরাহীমের লাশের গোসল দিয়েছিলেন ও কাফনের কাপড় পরিয়েছিলেন।

৪৫৯. আল মাহাসিন, পৃ. ৩১৩ এবং সীরাতে হালাবী, ৩য় খণ্ড, পৃ. ৩৪৮

৪৬০. ইয়াকুত হামাভী তাঁর মু জামুল বুলদান গ্রন্থের ৫ম খণ্ডের ২৬৬-২৬৭ পৃষ্ঠায় নাজরানবাসীদের খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করার কারণগুলো বর্ণনা করেছেন।

৪৬১. উসকুফ বা আর্চ বিশপ শব্দটি গ্রীক ইপেসকোপ শব্দ থেকে উৎসারিত, যার অর্থ হচ্ছে প্রতিদ্বন্দ্বী, তদারককারী, পর্যবেক্ষক ও নিয়ন্ত্রক। আর এখন এ শব্দটি ধর্মযাজক বা পাদ্রীর চেয়ে ঊর্ধ্বতন পর্যায়ের খ্রিষ্টধর্মীয় বা আধ্যাত্মিক পদ বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।

৪৬২. বিহারুল আনওয়ার, ১ম খণ্ড, পৃ. ২৮৫

৪৬৩. আপনি বলে দিন : হে আহলে কিতাব! আমাদের ও তোমাদের মাঝে যে বিষয়টি অভিন্ন, সেই বিষয়ের দিকে তোমরা সবাই ফিরে আস। (সূরা আলে ইমরান : ৬৪)-এ আয়াতের মর্মার্থ, বিহারুল আনওয়ার, ২১তম খণ্ড, পৃ. ২৮৭

৪৬৪. তারিখে ইয়াকুবী, ২য় খণ্ড, পৃ. ৬৬

৪৬৫. সীরাতে হালাবী, ৩য় খণ্ড, পৃ. ২৩৯

৪৬৬. মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ্ ইবনে মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ্ ইবনে বুহলুল ইবনে হুমাম ইবনে মুত্তালিব (জন্ম  ২৯৭ হিজরী এবং মৃত্যু ৩৮৭ হিজরী)

৪৬৭. দেখুন ইকবালুল আমাল, পৃ. ৪৯৬-৫১৩

৪৬৮. সীরাতে হালাবী, ৩য় খণ্ড, পৃ. ২৩৯

৪৬৯. সূরা আলে ইমরানের ৫৯তম আয়াত :

) إنّ مثل عيسي عند الله كمثل آدم خلقه من تراب ثمّ قال له كن فيكون(

নিশ্চয়ই মহান আল্লাহর কাছে ঈসার উপমা হচ্ছে আদমের উপমা সদৃশ; আদমকে তিনি মাটি থেকে সৃষ্টি করেছিলেন এবং এরপর তিনি তাকে বলেছিলেন : হয়ে যাও , আর সে হয়ে যায়।

৪৭০. বিহারুল আনওয়ার, ২১তম খণ্ড, পৃ. ৩২; তবে মুবাহালার সাথে সংশ্লিষ্ট আয়াত এবং সীরাতে হালাবী থেকে প্রতীয়মান হয়, মুবাহালা করার প্রস্তাব স্বয়ং মহানবীই দিয়েছিলেন। ঠিক একইভাবেتعالوا ندع أبنائنا ... (এসো, আমরা আমাদের সন্তানদের আহবান করি এবং তোমরা তোমাদের সন্তানদের আহবান করো...)-এ আয়াত থেকেও এ বক্তব্যের সমর্থন মেলে।

৪৭১. ১ম খণ্ড, পৃ. ২৮২-২৮৩

৪৭২. মাফাতিহুল গাইব, ২য় খণ্ড, পৃ. ৪৭১ ও ৪৭২

৪৭৩. ২য় খণ্ড, পৃ. ১১২

৪৭৪. কতিপয় রেওয়ায়েতে বর্ণিত হয়েছে : মহানবী (সা.), ইমাম হুসাইন (আ.)-এর হাত ধরে রেখেছিলেন; আলী (আ.) মহানবীর সামনে এবং হযরত ফাতিমা (আ.) তাঁর পেছনে গমন করছিলেন। বিহারুল আনওয়ার, ২১তম খণ্ড, পৃ. ৩৩৮

৪৭৫. ইকবালুল আমাল গ্রন্থে বর্ণিত আছে : মুবাহালার দিবসে যে স্থানে মুবাহালা অনুষ্ঠিত হবে, সে স্থানের চারপাশে বহুসংখ্যক আনসার ও মুহাজির সাহাবী উপস্থিত হয়েছিলেন। কিন্তু মহানবী (সা.) বাড়ি থেকে কেবল ঐ চারজনকেই সাথে নিয়ে বের হয়েছিলেন। আর মুবাহালার ময়দানে এই পাঁচ জন ছাড়া অন্য কোন মুসলমান উপস্থিত ছিলেন না। মহানবী (সা.) মুবাহালার ময়দানে প্রবেশ করে কাঁধ থেকে নিজ চাদর খুলে পরস্পর কাছাকাছি অবস্থিত দু টি বৃক্ষের উপর ছুঁড়ে দেন এবং তিনি যে চারজন সহ বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন তাঁদেরকে এ চাদরের ছায়াতলে স্থান দেন এবং নাজরানের প্রতিনিধি দলকে মুবাহালা করার আহবান জানান।

৪৭৬. ফুতহুল বুলদান, পৃ. ৭৬

৪৭৭. সূরা আলে ইমরান : ৫৯

৪৭৮. অধিকতর অবগতির জন্য দেখুন নূরুস সাকালাইন, ১ম খণ্ড, পৃ. ২৯১-২৯২

৪৭৯. কতিপয় রেওয়ায়েতেও এ বিষয়টি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। দেখুন : আল কাফী, ২য় খণ্ড, পৃ. ৫১৩-৫১৪

৪৮০. সমকালীন বহু সূত্রে ও পরম্পরায় বর্ণিত যার মধ্যে কোন সন্দেহের অবকাশ থাকে না।

৪৮১. তারিখে ইয়াকুবী, ২য় খণ্ড, পৃ. ৬৫ এবং আদ্ দুররে মানসূর, ২য় খণ্ড, পৃ. ৩৮

৪৮২. মিসবাহুল মুজতাহিদ, পৃ. ৭০৪

৪৮৩. ইকবালুল আমাল, পৃ. ৭৪৩

৪৮৪. প্রাগুক্ত

৪৮৫. মরহুম সাইয়্যেদ ইবনে তাউস আবুল ফযল মুহাম্মদের বংশ পরিচয় সঠিকভাবে বর্ণনা করেন নি। তবে নাজ্জাশীর বর্ণনা মতে তাঁর বংশনামা হচ্ছে : মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ্ ইবনে মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ্ ইবনে বুহলুল ইবনে মুত্তালিব। তাই তাঁর ঊর্ধ্বতন প্রপিতামহের নাম আবদুল মত্তালিব নয়, বরং মুত্তালিব। আর মুত্তালিব তাঁর ঊর্ধ্বতন পঞ্চম পিতৃপুরুষ। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, নাজ্জাশীর দৃষ্টিতে মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহর জীবনের দু টি অধ্যায় ছিল। তাঁর জীবনের একটি অধ্যায় নির্ভরযোগ্য এবং আরেকটি অধ্যায় নির্ভরযোগ্য নয়। আর এ কারণেই তিনি বলেছেন : বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য (মুওয়াসসাক) ব্যক্তিরা তার জীবনের যে অধ্যায়ে তিনি দৃঢ়পদ ছিলেন, সেই সময়কালে তার থেকে যে সব হাদীস বর্ণনা করেছেন, সেগুলো ব্যতীত আমি তার থেকে হাদীস বর্ণনা করা থেকে বিরত থেকেছি। (নাজ্জাশী প্রণীত ফেহরেস্ত, পৃ. ২৮১-২৮২) শেখ নাজ্জাশী তাঁর রিজালবিদ্যার ৫১১ পৃষ্ঠায় বলেছেন : তিনি অধিক অধিক হাদীস বর্ণনাকারী; তবে একদল রিজালবিদ তাঁকে যাঈফ (দুর্বল) বলেছেন।

৪৮৬. তাঁর নাম সাহীফা-ই-সাজ্জাদিয়া র সনদসমূহে বর্ণিত হয়েছে এবং তিনি শাইখুত তায়িফা র শায়খগণের অন্তর্ভুক্ত। তাঁর মৃত্যুসাল ৪৬০ হিজরী। তিনি মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ্ শাইবানী থেকে মুবাহালা গ্রন্থের হাদীসসমূহ উদ্ধৃত করেছেন। দেখুন : আয যারীয়াহ্, ১৫তম খণ্ড, পৃ. ৩৪৪

৪৮৭. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৬০২-৬০৩ এবং শেখ আল মুফীদ প্রণীত কিতাব আল ইরশাদ, পৃ. ৮৯

৪৮৮. আত তাবাকাতুল কুবরা, ১ম খণ্ড, পৃ. ৩৫৮ এবং শেখ আল মুফীদ প্রণীত কিতাব আল ইরশাদ, পৃ. ৮৭

৪৮৯. জুহ্ফাহ্ পবিত্র মক্কা থেকে তিন মঞ্জিলের দূরত্বে এবং মদীনা থেকে সাত মঞ্জিলের দূরত্বে অবস্থিত। আর লোহিত সাগর থেকে এ স্থানের দূরত্ব প্রায় ৬ মাইল (দুই ফারসাখ) বর্তমানে এ অঞ্চলটি রাবুগ, যা মক্কা থেকে মদীনা অভিমুখী সড়কের উপর অবস্থিত, এর নিকটবর্তী।-নাভাভীর তাহরীর গ্রন্থ এবং আত তাহযীব।

ইয়াকুত তাঁর গ্রন্থ মারাসিদুল ইত্তিলা র ১০৯ পৃষ্ঠায় লিখেছেন : মক্কার চার মঞ্জিলের দূরত্বে অবস্থিত জুহ্ফাহ্ শাম ও মিশরবাসীদের মীকাত। গাদীরে খুম থেকে এ অঞ্চলের দূরত্ব দু মাইল এবং লোহিত সাগর থেকে এ অঞ্চলের দূরত্ব প্রায় ৬ মাইল। তবে এখন গাদীরে খুম মক্কার ২২০ কি.মি. দূরত্বের মধ্যে অবস্থিত। আল্লামা মাসউদীও আত তানবীহ ওয়াল ইশরাফ গ্রন্থের ২২১-২২২ পৃষ্ঠায় লিখেছেন : গাদীরে খুম খাররার নামে খ্যাত একটি জলাশয়ের অদূরে অবস্থিত।

৪৯০. এক মাইল তিন হাজার হাত এবং এক ফারসাখ নয় হাজার হাত; আরেক অভিমত অনুসারে এক মাইল চার হাজার হাত এবং এক ফারসাখ বারো হাজার হাত। যা হোক এক মাইল আসলে এক ফারসাখের এক-তৃতীয়াংশ এবং তিন মাইলে এক ফারসাখ।

৪৯১. অভিনন্দন জানানোর বিস্তারিত বিবরণ জানার জন্য আল গাদীর গ্রন্থের ১ম খণ্ডের ২৪৫-২৫৭ পৃষ্ঠা অধ্যয়ন করুন।

৪৯২. মহানবী (সা.) রবী মাসের চতুর্থ রাতে মদীনার উদ্দেশে পবিত্র মক্কা ত্যাগ করেছিলেন এবং ঐ মাসের ১২ তারিখে মধ্যাহ্নের কাছাকাছি সময় মদীনার কুবা মহল্লায় প্রবেশ করেন। বিদ্যমান সাক্ষ্য-প্রমাণ ও নিদর্শনসমূহের ভিত্তিতে বলা যায়, মহানবী (সা.) মক্কা-মদীনার অন্তর্বর্তী দূরত্ব কুরাইশদের পশ্চাদ্ধাবনের কারণে দ্রুতগতিতে অতিক্রম করেছিলেন।-সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৩৩৯ এবং আত তাবাকাতুল কুবরা, ১ম খণ্ড, পৃ. ১৩৫

৪৯৩. বিহারুল আনওয়ার, ২২তম খণ্ড, পৃ. ১৯

৪৯৪. সীরাতে ইবনে হিশাম, ১ম খণ্ড, পৃ. ৫৭৫ এবং মাজমাউল বায়ান, ১ম খণ্ড, পৃ. ৪১০

৪৯৫. মুনতাখাবুত তাওয়ারিখ গ্রন্থের রচয়িতা এ গ্রন্থের ৪০ পৃষ্ঠায় লিখেছেন : এ ঘটনাটি মুফাসসিরগণ সূরা তাওবার তাফসীরে রেওয়ায়েত করেছেন এবং আল গাদীর গ্রন্থে (৬ষ্ঠ খণ্ড, পৃ. ৩১৮-৩২১) আহলে সুন্নাতের ৭২ জন ব্যক্তিত্ব থেকেও এ ঘটনার বর্ণনা দেয়া হয়েছে যে, এ বছরের (হিজরতের নবম বর্ষে) শেষে নাজরানের খ্রিষ্টানদের সাথে মহানবীর মুবাহালার ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল। কারণ, বর্ণিত হয়েছে যে, এ ঘটনা যিলহজ্ব মাসে মক্কা বিজয়ের পর সংঘটিত হয়েছিল এবং বিদায় হজ্বের যিলহজ্ব অর্থাৎ হিজরতের দশম বর্ষের যিলহজ্ব মাসে অবশ্যই তা সংঘটিত হয় নি। স্মর্তব্য, গাদীরে খুমের ঘটনাও বিদায় হজ্বের যিলহজ্ব মাসে সংঘটিত হয়েছিল। অতএব, মুবাহালার ঘটনা আগের বছরের (হিজরতের নবম বর্ষে) যিলহজ্ব মাসে অবশ্যই ঘটে থাকবে।

৪৯৬. যদিও মামাকানী তানকীহুল মাকাল গ্রন্থে হাদীস শিক্ষক হবার কারণে তাঁকে সিকাহ্ (বিশ্বস্ত) বলে গণ্য করেছেন।

৪৯৭. তানকীহুল মাকাল, ১ম খণ্ড, পৃ. ২৯৪

৪৯৮. তূসীর রিজাল, পৃ. ৩৯

৪৯৯. আত তাবাকাতুল কুবরা, ২য় খণ্ড, পৃ. ২৩০-২৯১

৫০০. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৫৬৮-৫৬৯

৫০১. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৫৯০

৫০২. সহীহ আল বুখারী, ৫ম খণ্ড, পৃ. ১৬৩

৫০৩. আল-কামিল ফীত তারিখ, ২য় খণ্ড, পৃ. ৩০৫ এবং বিহারুল আনওয়ার, ২১তম খণ্ড, পৃ. ৩৬০-৩৬৩

৫০৪. সীরাতে হালাবী, ৩য় খণ্ড, পৃ. ২৮৯

৫০৫. ঐ স্থানের নাম, যেখানে মসজিদে শাজারাহ্ অবস্থিত।

৫০৬.لبّيك اللّهم لبّيك، لبّيك لا شريك لك لبّيك، إنّ الحمد و النّعمة لك و الملك، لا شريك لك لبّيك

৫০৭. হাজরে আসওয়াদের উপর হাত বুলানোর (ইস্তিলাম) অর্থ ও উদ্দেশ্য হচ্ছে, কাবা পুনঃনির্মাণকালে এ পাথর হযরত ইবরাহীম (আ.)-এর পায়ের নিচে থাকত এবং তিনি এর মাধ্যমে পবিত্র কাবার প্রাচীর উঁচু করেছেন; তাই এ পাথরের উপর হাত রাখা হযরত ইবরাহীম (আ.)-এর সাথে এক ধরনের প্রতিজ্ঞার নামান্তর। আর তা হলো : আমরা ইবরাহীম (আ.)-এর মতো তাওহীদী আদর্শের পথে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাব। মহানবী (মদীনায়) দশ বছর অবস্থান কালে দু বার পবিত্র উমরা পালন করেছিলেন। প্রথম বার হিজরতের সপ্তম বর্ষে এবং দ্বিতীয় বার অষ্টম বর্ষে মক্কা বিজয়ের পরপরই। এটি ছিল মহানবী (সা.)-এর তৃতীয় উমরা, যা তিনি হজ্বের আমলসমূহের সাথে আঞ্জাম দিয়েছিলেন।-আত তাবাকাতুল কুবরা, ২য় খণ্ড, পৃ. ১৭৪

৫০৮. সাফা ও মারওয়াহ্ মসজিদুল হারামের অদূরে অবস্থিত দু টি পাহাড়ের নাম। এ দু পাহাড়ের মধ্যেকার দূরত্ব অতিক্রম করাই হচ্ছে সাঈ (سعى ) এ সাঈ সাফা পাহাড় থেকে শুরু হয়ে মারওয়াহ্ পাহাড়ে গিয়ে শেষ হয়।

৫০৯. এ কথাটি আসলে স্ত্রী সহবাস ও জানাবাতের গোসলকে বুঝিয়েছে। কারণ ইহরামের হারাম বা নিষিদ্ধ বিষয়গুলোর একটি হচ্ছে স্ত্রী সহবাস। আর তাকসীর করার মাধ্যমে স্ত্রী সহবাস হালাল হয়ে যায়।

৫১০. বিহারুল আনওয়ার, ২১তম খণ্ড, পৃ. ৩১৯; এ ঘটনা মহানবী (সা.)-এর স্পষ্ট নির্দেশসমূহের বিপক্ষে একদল সাহাবীর একগুঁয়েমিপূর্ণ অবস্থান গ্রহণের বিষয়টি ব্যক্ত করে। ইসলামের ইতিহাসে এ ব্যাপারে অনেক প্রমাণ রয়েছে এবং মরহুম শারাফুদ্দীন আমিলী এ ব্যাপারে আন নাস ওয়াল ইজতিহাদ অর্থাৎ পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহর স্পষ্ট বিধানসমূহের বিপরীতে ইজতিহাদ নামক একখানা স্বতন্ত্র গ্রন্থ রচনা করেছেন।

৫১১. শেখ মুফীদ প্রণীত আল ইরশাদ, পৃ. ৯২; হযরত আলীর কাজ এবং তাতে রাসূলের সম্মতি প্রদান থেকে বোঝা যায়, ইজমালীভাবে (মোটের উপর বা সারসংক্ষেপে) যে কোন আমলের নিয়্যত করা যথেষ্ট এবং নিয়্যতকারীর জন্য কখনই নিজ কাজের যাবতীয় বৈশিষ্ট্যের সাথে পরিচিত থাকা আবশ্যক নয়।

৫১২. বিহারুল আনওয়ার, ২১তম খণ্ড, পৃ. ৩৮৫

৫১৩. এবং সম্মান (দেখুন : শেখ সাদুক প্রণীত আল খিলাল, ২য় খণ্ড, পৃ. ৮৪)

৫১৪. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৬০৫

৫১৫. পবিত্র কাবার মুতাওয়াল্লীরা, যে সব গোত্র হারাম মাসগুলোয় যুদ্ধ ও রক্তপাত করার অভিপ্রায় পোষণ করত, তাদের কাছ থেকে অর্থ গ্রহণ করে হারাম মাসগুলো পরিবর্তন করে ফেলত এবং এ সব মাসের স্থলে বছরের অন্যান্য মাসকে হারাম মাস হিসেবে ঘোষণা করত।

৫১৬. মহানবী (সা.) এ ঐতিহাসিক ভাষণে জনগণকে পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহ্ আঁকড়ে ধরার উপদেশ দিয়েছেন। আর তিনি গাদীরে খুমের ভাষণে এবং তাঁর ওফাতের পূর্ববর্তী দিনগুলোয় মহান আল্লাহর কিতাব এবং তাঁর বংশধর অর্থাৎ ইতরাতের (আহলে বাইত) ওসিয়ত করেছেন। এ হাদীসদ্বয় দু টি ভিন্ন ঘটনা উপলক্ষে বর্ণিত হয়েছে এবং উভয়ের মধ্যে কোন বৈপরীত্য নেই। কারণ মহানবী (সা.) একটি ক্ষেত্রে সুন্নাহকে পবিত্র কুরআনের সমকক্ষ বলেছেন এবং আরেক ক্ষেত্রে তাঁর পবিত্র আহলে বাইত ও স্থলবর্তীদের ব্যাপারে ওসিয়ত করেছেন এবং তাঁদেরকে অনুসরণ করার ব্যাপারে গুরুত্ব আরোপ করেছেন-এতে কোন অসুবিধা নেই। আহলে বাইতকে অনুসরণের অর্থই হচ্ছে তাঁর ও তাঁর পবিত্র সুন্নাহরই অনুসরণ। আহলে সুন্নাতের কতিপয় আলেম, যেমন শেখ শালতুত তাঁর তাফসীর গ্রন্থে ধারণা করেছেন, মহানবী (সা.) কেবল একটি ঘটনার ক্ষেত্রেই সাকালাইন (দু টি ভারী ও মূল্যবান জিনিস) সম্পর্কে বক্তব্য রেখেছেন; তাই তিনি পাদটীকায় ইতরাত (অর্থাৎ রক্তজ বংশধর) শব্দটিنسخه بدل হিসেবে উল্লেখ করেছেন। অথচ এ ধরনের সংশোধনের আসলে কোন প্রয়োজনই নেই। কারণ মূলনীতিগতভাবে এ দুই রেওয়ায়েতের মধ্যে কোন বিরোধ নেই, যার ফলে আমাদের এ পথে বিষয়টির নিষ্পত্তি করতে হবে।

৫১৭. তাকসীর : গোঁফ, চুল-দাঁড়ি ছাটা (ছোট করা) এবং হাত ও পায়ের আঙুলের নখ কাটা।

৫১৮. আত তাবাকাতুল কুবরা, ২য় খণ্ড, পৃ. ১৮৪

৫১৯. সূরা তূর : ৩০

৫২০. আল কামিল ফীত তারিখ, ২য় খণ্ড, পৃ. ২২০ এবং আল ইকদুল ফরীদ, ২য় খণ্ড, পৃ. ২৪৯

৫২১. তারিখে তাবারী, ২য় খণ্ড, পৃ. ২১৬ এবং আল কামিল ফিত তারিখ, ২য় খণ্ড, পৃ. ৪১০

৫২২. বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য মহানবী (সা.) এ বাক্য তিন বার বলেছিলেন যাতে পরে কোন ভুলের উদ্ভব না হয়।

৫২৩. সূরা মায়েদার ৩ ও ৬৭ নং আয়াত

৫২৪. ওয়াফিয়াতুল আয়ান (ইবনে খাল্লিকান প্রণীত), ১ম খণ্ড, পৃ. ৬০

৫২৫. প্রাগুক্ত, ২য় খণ্ড, পৃ. ২২৩

৫২৬. আল আসার আল বাকীয়ার অনুবাদ, পৃ. ৩৯৫ এবং আল গাদীর, ১ম খণ্ড, পৃ. ২৬৭

৫২৭. সিমারুল কুলূব, পৃ. ৫১১

৫২৮. এ সংক্রান্ত সার্বিক তথ্য ও পরিসংখ্যান আল গাদীর গ্রন্থের ১ম খণ্ড থেকে গ্রহণ করা হয়েছে এবং এ গ্রন্থের এ অধ্যায় রচনা করার ক্ষেত্রে এসব তথ্য ও পরিসংখ্যান থেকে সাহায্য নেয়া হয়েছে।

৫২৯. সে চরম অজ্ঞতাবশত মহান আল্লাহর নামে তার পত্র শুরু করে নি। এমনকি এক্ষেত্রে জাহিলীয়াতের যুগের মুশরিকদের মতোও সে বোধশক্তির অধিকারী ছিল না।

৫৩০. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৬০০-৬০১। এ পত্রদ্বয়ের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করলে পত্র লেখকদ্বয়ের ব্যক্তিত্ব স্পষ্ট হয়ে যায়।

৫৩১. সীরাতে ইবনে হিশাম, ১ম খণ্ড, পৃ. ৫৯৯

৫৩২. কারণ আরবীভাষী বাগ্মীরা বেশ ভালো করেই বুঝত যে, পবিত্র কুরআনের মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। তাই তারা কখনো পবিত্র কুরআনের মোকাবেলার চিন্তা করত না।-অনুবাদক

৫৩৩. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৬৪২ এবং আন নাস ওয়াল ইজতিহাদ, পৃ. ১২

৫৩৪. আহলে সুন্নাতের সূত্রসমূহে পতাকা বেঁধে দেয়ার তারিখ ২৬ সফর বলে উল্লিখিত হয়েছে। আর যেহেতু তাঁরা মহানবীর ওফাত ১২ রবিউল আউয়াল হয়েছিল বলে জানেন, সেহেতু এসব ঘটনা, যা পাঠকবর্গের কাছে বর্ণনা করা হবে, সেসব ১৬ দিনের মধ্যে ঘটে থাকতে পারে। তবে যেহেতু শিয়া আলেমগণ মহানবীর বংশধরগণের অনুসরণ করে তাঁর ওফাত দিবসকে ২৮ সফর বলে বিশ্বাস করেন, সেহেতু বাধ্য হয়েই এসব বাড়তি ঘটনা ২৮ সফরের আগের দিনগুলোতে অবশ্যই ঘটেছে বলে মেনে নিতে হবে।

৫৩৫. সিরিয়াস্থ বালকা নামের একটি অঞ্চলের অংশবিশেষ। এ স্থান মুতার কাছে আসকালান ও রামলার মাঝখানে অবস্থিত।

৫৩৬. মদীনার তিন মাইলের মধ্যে শামের দিকে অবস্থিত বিস্তীর্ণ এক এলাকার নাম।

৫৩৭. নাহজুল বালাগাহ্, সংক্ষিপ্ত জ্ঞানগর্ভমূলক বাণীসমূহ, বাণী নং ১২৫

৫৩৮. হালাবীর মতো কতিপয় জীবনচরিত রচয়িতা তাঁর বয়স ১৭ বছর বলেও উল্লেখ করেছেন। আবার কেউ কেউ তাঁর বয়স ১৮ বছর লিখেছেন। তবে অবশেষে সবাই ঐকমত্য পোষণ করেছেন যে, ঐ সময় তাঁর বয়স ২০ অতিক্রম করে নি।

৫৩৯. আত তাবাকাতুল কুবরা, ২য় খণ্ড, পৃ. ১২

৫৪০. প্রাগুক্ত, ২য় খণ্ড, পৃ. ১৯০; আবার কখনো কখনো তিনি বলতেন :جهّزوا جيش أُسامة উসামার সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত কর অথবাأَرسلوا بعث أُسامة উসামার সেনাবাহিনীকে প্রেরণ কর।

৫৪১. শাহরিস্তানী প্রনীত আল মিলাল ওয়ান নিহাল, ৪র্থ ভূমিকা, পৃ. ২৯; ইবনে আবিল হাদীদ প্রণীত শারহু নাহজিল বালাগাহ্, ২য় খণ্ড, পৃ. ২০

৫৪২. আত তাবাকাতুল কুবরা, ২য় খণ্ড, পৃ. ১৯০

৫৪৩. তাদের অজুহাত ও ব্যাখ্যাগুলোর ব্যাপারে অধিক অবগতির জন্য দেখুন আল মুরাজায়াত, পৃ. ৩০-৩১ এবং আন নাস ওয়াল ইজতিহাদ, পৃ. ১৫-১৯

৫৪৪. কেউ কেউ বলেছেন : আবূ রাফে অথবা হযরত আয়েশার খাদেম বারীরাহকে (বুরাইরাহ্) সাথে নিয়ে মহানবী (সা.) জান্নাতুল বাকী গোরস্তানে গিয়েছিলেন। দেখুন আত তাবাকাতুল কুবরা, ২য় খণ্ড, পৃ. ২০৪

৫৪৫. আত তাবাকাত গ্রন্থসমূহের রচয়িতাগণ এবং অন্যদের বর্ণনা অনুযায়ী আবু মুওয়াইহিবার দিকে মুখ করে বললেন...

৫৪৬. আত তাবাকাতুল কুবরা, ২য় খণ্ড, পৃ. ২০৪ এবং বিহারুল আনওয়ার, ২২তম খণ্ড, পৃ. ৪৬৬

৫৪৭. আত্মার সাথে যোগাযোগ ও সম্পর্ক স্থাপন সংক্রান্ত আলোচনাসমূহে যা বলা হয়েছে, তদনুযায়ী এ প্রসঙ্গে যে কোন দাবীদারের কথায় কর্ণপাত করা অনুচিত এবং প্রসিদ্ধ প্রবাদবাক্য অনুসারে যে কেউ আয়না তৈরি করতে পারলেও সেকান্দারী বিদ্যা জানে না অবস্তুগত (গায়েবী) জগৎ এবং আত্মাজগতের সাথে যোগাযোগ সংক্রান্ত তথ্য জানার জন্য তৃতীয় জ্ঞান এবং পবিত্র কুরআনের দৃষ্টিকোণ থেকে আত্মার মৌলিকত্ব সংক্রান্ত গ্রন্থাদি অধ্যয়ন করুন।

৫৪৮. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৬৫৪ এবং আত তাবাকাতুল কুবরা, ২য় খণ্ড, পৃ. ২১৬

৫৪৯.ايتونِى بدواة و صحيفة اكتب لكم كتابا لا تضلّون بعده

৫৫০. সহীহ বুখারী, ১ম খণ্ড, পৃ. ২২ এবং ২য় খণ্ড, পৃ. ১৪; সহীহ মুসলিম, ২য় খণ্ড, পৃ. ১৪; মুসনাদে আহমাদ, ১ম খণ্ড, পৃ. ৩২৫ এবং আত তাবাকাতুল কুবরা, ২য় খণ্ড, পৃ. ২৪৪

৫৫১. ইবনে আবীল হাদীদ প্রণীত শারহু নাহজিল বালাগাহ্, ২য় খণ্ড, পৃ. ২০

৫৫২. সহীহ মুসলিম, ১ম খণ্ড, পৃ. ১৪ এবং মুসনাদে আহমাদ, ১ম খণ্ড, পৃ. ৩৫৫

৫৫৩. কানযুল উম্মাল, ৩য় খণ্ড, পৃ. ১৩৮ এবং আত তাবাকাতুল কুবরা, ২য় খণ্ড, পৃ. ২৪৪

৫৫৪. মরহুম মুজাহিদ আল্লামা সাইয়্যেদ শারাফুদ্দীন তাঁর আল মুরাজায়াত গ্রন্থে তাঁদের সকল অজুহাত উল্লেখ করে সেগুলো আকর্ষণীয়ভাবে খণ্ডন করেছেন।

৫৫৫. মুহাম্মদের জীবনী, পৃ. ৪৭৫

৫৫৬. মহানবী (সা.) প্রদত্ত ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের প্রতি পবিত্র কুরআনের মুখাপেক্ষিতার সীমা বর্ণনা করা আমাদের এ আলোচনার গণ্ডির বাইরে। আমরা পবিত্র কুরআনের জটিল আয়াতসমূহের সঠিক ব্যাখ্যা এবং মানসূরে জভীদ গ্রন্থের তৃতীয় খণ্ডে এ সংক্রান্ত আলোচনা করেছি।

৫৫৭. মুসনাদে আহমাদ, ১ম খণ্ড, পৃ. ৩৫৫

৫৫৮.اكتب لكم كتاباً لن تضلّوا بعده ابداً আমি তোমাদের একটি পত্র লিখে দেব যার পরে তোমরা কখনোই পথভ্রষ্ট হবে না। আপনারা যদি লক্ষ্য করেন, তা হলে স্পষ্ট হয়ে যাবে যে, মহানবী (সা.)لن تضلّوا (তোমরা আর কখনোই পথভ্রষ্ট হবে না)-এ বাক্যের দ্বারা তাঁর পত্র লেখার কারণ ব্যক্ত করেছেন।

৫৫৯. হাদীসে সাকালাইন ও কাগজ-কলমের হাদীস

৫৬০. বিহারুল আনওয়ার, ২২তম খণ্ড, পৃ. ৪৬৯ এবং শেখ মুফীদ প্রণীত কিতাব আল ইরশাদ এবং তাবারসী প্রণীত আলামুল ওয়ারা

৫৬১. বিহারুল আনওয়ার, ২২তম খণ্ড, পৃ. ৪৭৬

৫৬২. প্রথম বর্ণনা ও রেওয়ায়েত বিহারুল আনওয়ারের ২২তম খণ্ডের ৪৭৬ পৃ. থেকে উদ্ধৃত এবং দ্বিতীয় বর্ণনা ইবনে হাজর আসকালানী বর্ণিত।

৫৬৩. আসসাওয়ায়েক আল মুহরিকাহ্, ৯ম অধ্যায়, পৃ. ৫৭ এবং কাশফুল গাম্মাহ্, পৃ. ৪৩

৫৬৪. হাদীসে সাকালাইন শিয়া-সুন্নী হাদীসবিদগণ যে সব হাদীস ও রেওয়ায়েতের ব্যাপারে ঐকমত্য পোষণ করেছেন, সেসবের অন্তর্ভুক্ত। এ হাদীস ৬০টিরও অধিক সূত্রে মহানবী (সা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে। ইবনে হাজার আসকালানী আস সাওয়ায়েক আল মুহরিকাহ্ গ্রন্থের ১৩৬ পৃষ্ঠায় লিখেছেন : মহানবী (সা.) বিভিন্ন উপলক্ষ, যেমন আরাফাতের দিবসে, গাদীরে খুমের দিবসে, তায়েফ নগরী থেকে প্রত্যাবর্তনের পর, এমনকি রোগশয্যায় শায়িত অবস্থায়ও পবিত্র কুরআন ও তাঁর ইতরাতের সাথে সম্পর্ক রাখার ব্যাপারে জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন।

মরহুম মীর হামেদ হুসাইন হিন্দী তাঁর গ্রন্থের একটি অংশে হাদীসে সাকালাইনের সনদসমূহ এবং এর অর্থের ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা রেখেছেন এবং এসবের সমগ্র সম্প্রতি ৬ খণ্ডে ইসফাহান থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত হয়েছে। মিশরের দারুত তাকরীব সংস্থার (ইসলামী মাযহাবসমূহকে নিকটবর্তী করার সংস্থা) পক্ষ থেকে ১৩৭৪ হিজরীতে এ হাদীস সংক্রান্ত একটি সন্দর্ভ প্রকাশ করা হয়েছিল। এ সন্দর্ভে সনদের দৃষ্টিকোণ থেকে এ হাদীসের গুরুত্ব এবং সকল শতকে এ হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে মুহাদ্দিসগণের বিশেষ দৃষ্টি সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করা হয়েছে।

৫৬৫. আত তাবাকাতুল কুবরা, ২য় খণ্ড, পৃ. ২৩৮

৫৬৬. প্রাগুক্ত, পৃ. ২৩৬

৫৬৭. এছাড়াও সাওয়াদার পেটে চাবুকের আঘাত ইচ্ছাপ্রণোদিত ছিল না, এ দৃষ্টিকোণে সাওয়াদার কিসাসের অধিকার ছিল না; বরং দিয়াহ্ দিয়ে দিলেই তা পূরণ হয়ে যেত। এ সত্বেও মহানবী (সা.) সাওয়াদার অভিমতের নিরাপত্তা বিধান করতে চেয়েছিলেন।

৫৬৮. মানাকিবে আলে আবী তালিব, ১ম খণ্ড, পৃ. ১৬৪

৫৬৯. শেখ আল মুফীদ প্রণীত কিতাবুল ইরশাদ, পৃ. ৯৭

৫৭০. সহীহ বুখারী, ৫ম খণ্ড, পৃ. ২১

৫৭১. আত তাবাকাতুল কুবরা, ২য় খণ্ড, পৃ. ২৪৭ এবং আল কামিল ফীত তারিখ, ২য় খণ্ড, পৃ. ২১৯

৫৭২. আত তাবাকাতুল কুবরা, ২য় খণ্ড, পৃ. ২৩৪ এবং সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৬৫৪

৫৭৩. আত তাবাকাতুল কুবরা, ২য় খণ্ড, পৃ. ২৫৪

৫৭৪. প্রাগুক্ত, পৃ. ২৬৩

৫৭৫. প্রাগুক্ত

৫৭৬. নাহজুল বালাগাহ্

৫৭৭. সূরা নিসা : ৬৯

৪৭৮. আ লামুল ওয়ারা, পৃ. ৮৩

৫৭৯. বুখারীর বর্ণনামতে হযরত আবূ বকর ছিলেন।

৫৮০. সীরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৬৫৬

৫৮১. আত তাবাকাতুল কুবরা, ২য় খণ্ড, পৃ. ৫৭

৫৮২. নাহজুল বালাগাহ্, খুতবা : ২৩

৫৮৩. রাসূলের ওফাতোত্তর খলীফাগণের যুগ


13

14

15

16

17

18

19

20

21

22

23

24

25

26

27

28

29

30

31

32

33

34

35

36

37

38

39

40

41

42

43

44

45

46

47

48

49

50

51

52

53