ইমাম কাযেম (আ.)

ইমাম কাযেম (আ.)0%

ইমাম কাযেম (আ.) লেখক:
: মোঃ মাঈনুদ্দিন তালুকদার
প্রকাশক: -
বিভাগ: ইমাম মুসা ইবনে জাফর আল কাজেম (আ.)

  • শুরু
  • পূর্বের
  • 15 /
  • পরের
  • শেষ
  •  
  • ডাউনলোড HTML
  • ডাউনলোড Word
  • ডাউনলোড PDF
  • ভিজিট: 5483 / ডাউনলোড: 2806
সাইজ সাইজ সাইজ
ইমাম কাযেম (আ.)

ইমাম কাযেম (আ.)

লেখক:
প্রকাশক: -
বাংলা

ইমামের প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষাপ্রাপ্ত ছাত্রগণ

ইমামের জ্ঞান ও আচরণ ,ইসলামের নবীর ও তাঁর পবিত্র পূর্বপুরুষগণের জ্ঞান ও আচরণের প্রকাশ । সকল জ্ঞানপিপাসু তার প্রতিষ্ঠানের ঝর্ণাধারা থেকেই তৃষ্ণা নিবারণ করত এবং তাঁর ছাত্ররা এরূপে জ্ঞানার্জন করত যে স্বল্প সময়ে ইমান ও জ্ঞানের উচ্চতর মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হতে পারতেন ।

তাঁর জীবনের প্রায় বিশ বছর অতিক্রম হলে ,তাঁর প্রিয় পিতা পৃথিবী থেকে বিদায় গ্রহণ করেছিলেন । আর তখন থেকে তাঁর পিতার ছাত্রগণ তাঁর দিকে মুখ করেছিল এবং ত্রিশাধিক বছর তাঁর জীবন থেকে কল্যাণ গ্রহণ করেছিল । 52

তাঁর মাধ্যমে প্রশিক্ষণ প্রাপ্তরা ফিকাহশাস্ত্র ,হাদীস ,কালাম ও বিতর্কে ছিলেন অনন্য । আর আখলাক ,আমল ও মুসলমানদের সেবার ক্ষেত্রে তাঁরা তদানিন্তন যুগের আদর্শ ছিলেন । কালামশাস্ত্রের পণ্ডিতগণ তাঁদের কারো সাথেই বিতর্কের ক্ষমতা রাখতনা এবং তাঁদের সাথে কেউ বিতর্কে লিপ্ত হলে অতিদ্রুত পরাভূত হতো এবং স্বীয় অক্ষমতাকে স্বীকার করত ।

ইমামের এ ছাত্রদের মহান ব্যক্তিত্ব ও মহত্ব তাঁর বিরোধীদের ,বিশেষ করে তদানিন্তন শাসকগোষ্ঠীর চোখে বিস্ময়  সৃষ্টি করেছিল । শত্রুরা এ ভয়ে ভীত হয়ে পড়েছিল যে ,তাদের সামাজিক অবস্থান ও জনপ্রিয়তা নিয়ে তারা আন্দোলন শুরু করবে ও মানুষকে তাদের দিকে আকর্ষণ করবে ।

এখন আমরা এ প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কয়েকজনের কথা উল্লেখ করব । যথা :

1.   ইবেন আবি উমাইর : তিনি 217 হিজরীতে পরলোক গমণ করেন । তিনি তিনজন ইমামকে [ইমাম কাযেম (আ.) ,ইমাম রেযা (আ.) ও ইমাম জাওয়াদ (আ.)] দেখতে পেয়েছিলেন এবং পবিত্র ইমামগণের খ্যাতিমান ছাত্রবর্গের অন্তর্ভূক্ত বলে পরিগণিত । বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে তার মাধ্যমে অনেক রেওয়ায়েত বর্ণিত হয়েছে । তার উচ্চমর্যাদা শিয়া ও সুন্নী উভয় মাযহাবেই প্রসিদ্ধ এবং এ উভয় মাযহাবেই তার বিশ্বাসযোগ্যতা বিদ্যমান ছিল । যাহিয নামক সুন্নী একজন মনীষী তার সম্পর্কে লিখেন : ইবনে আবি উমাইর তার সমসাময়িক কালে সকল বিষয়ে অনন্য ছিলেন । 53

ফাযল ইবনে শাযান বলেন : কেউ কেউ তৎকালীন প্রশাসনকে সংবাদ দিল যে ,ইবনে আবি উমাইর ইরাকের সকল শিয়াদের নাম জানেন ;প্রশাসন তার নিকট চেয়েছিল যে ,তিনি তাদের নাম বলে দিবেন ;কিন্তু তিনি বলতে অস্বীকৃতি জানালেন । ফলে তাকে উলঙ্গ করে দুই খোরমা গাছের মাঝে ঝুলিয়ে একশতটি চাবুক মারা হলো । আর সেই সাথে তার একলক্ষ দেরহাম অর্থনৈতিক ক্ষতি করা হলো । 54

ইবনে বুকাইর বলেন : ইবনে আবি উমাইর কারাবন্দী হলেন এবং সেখানে তার উপর বিভিন্ন ধরনের অত্যাচার চালানো হয়েছিল । তারপরও তার যা সম্পদ ছিল তা তার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া হয়েছিল । 55 আর তার এ ধরনের কারাবন্দী ও সংকটাপন্ন হওয়ার ফলেই তার হাদীস গ্রন্থগুলো বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল ।

শেখ মুফিদ বলেন : ইবনে আবি উমাইর সতের বছর ধরে কারাবন্দী ছিলেন ,তার সকল সম্পত্তি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল । এক ব্যক্তি দশ হাজার দেরহাম ইবনে আবি উমাইরের নিকট থেকে ঋণ গ্রহণ করেছিল । সে যখন বুঝতে পারল যে ইবনে আবি উমাইরের সকল সম্পদ নষ্ট হয়ে গিয়েছে ,তখন নিজের গৃহ বিক্রি করে তার (ইবনে আবি উমাইর) দশ হাজার দেরহাম তার নিকট নিয়ে এসেছিল ।

ইবনে আবি উমাইর জিজ্ঞাসা করলেন : এ অর্থ কোথা থেকে এনেছ ?তুমি কি কোন উত্তরাধিকার পেয়েছ ,না-কি গুপ্তধন পেয়েছ ?

সে বলল : আমার গৃহ বিক্রি করেছি!

ইবনে আবি উমাইর বললেন : ইমাম সাদেক (আ.) বলেছেন যে ,গৃহ আবাসস্থল যা প্রয়োজনীয় তা ঋণ বহির্ভূত । সুতরাং আমার প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও এ অর্থ থেকে এক দেরহামও গ্রহণ করব না । 56

2.   সাফওয়ান ইবনে মেহরান : সাফওয়ান ছিলেন পবিত্র ও বিশ্বস্ত ব্যক্তিগণের অন্তর্ভূক্ত । প্রখ্যাত আলেমগণ তাঁর রেওয়ায়েতের প্রতি গুরুত্ব প্রদান করেন । তার আচার-আচরণ এতটা মর্যাদাপূর্ণ স্থানে পৌঁছেছে যে ,ইমাম এর স্বীকৃতি দিয়ে ছিলেন । যেমনটি ইতোপূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে ,যখনই ইমামের নিকট শুনেছিলেন যে ,অত্যাচারীদেরকে সাহায্য করা অনুচিৎ ,তখন থেকেই তাদেরকে (হারুনকে) সকল প্রকার সাহায্য সহযোগিতা করা থেকে বিরত থাকলেন । আর যে উটগুলো হারুনকে ভাড়া দিতেন ,সেগুলো বিক্রি করে দিলেন ,যাতে এ পথে  অত্যাচারীদেরকে সাহায্য করতে বাধ্য না হন । 57

3.   সাফওয়ান ইবনে ইয়াহিয়া : তিনি ইমাম কাযেম (আ.)-এর অন্যতম সাহাবী ছিলেন । শেখ তুসী বলেন : সাফওয়ান হাদীস শাস্ত্রবিদদের নিকট তার সময়কালের সর্বাধিক নির্ভরযোগ্য এবং সর্বাপেক্ষা ধর্মপ্রাণ বলে পরিগণিত । 58

সাফওয়ান অষ্টম ইমামকেও দেখতে পেয়েছিলেন এবং তাঁর নিকট মর্যাদাপূর্ণ স্থানের অধিকারী ছিলেন । 59 ইমাম জাওয়াদ (আ.) ও সাফওয়ানের প্রশংসা করেছিলেন এবং বলেছিলেন : মহান আল্লাহ্ তাঁর প্রতি (আমি তার প্রতি যে সন্তষ্ট আছি) সন্তুষ্ট হবেন ,সে কখনোই আমার এবং আমার পিতার অবাধ্য হয়নি । 60

ইমাম কাযেম (আ.) বলতেন : কোন রাখালবিহীন মেষদলের উপর দু টি হিংস্র নেকড়ের আক্রমণে যতটা ক্ষতি হয় ,তা কোন ব্যক্তির ক্ষমতার প্রতি লোভ তার দীনের যতটা ক্ষতি করে ,তার চেয়ে বেশী নয় এবং বলেন : কিন্তু এ সাফওয়ান ক্ষমতা লোভী নয় । 61

4.   আলী ইবনে ইয়াকতীন : তিনি 124 হিজরীতে কুফায় জন্ম গ্রহণ করেন । তাঁর পিতা ছিলেন শিয়া । তিনি নিজের ধন-সম্পদ থেকে ইমাম সাদিক (আ.)-এর জন্য পাঠাতেন ।

মারওয়ান তার পিছু নিয়েছিল । তিনি পলায়ন করেছিলেন । তার দু পুত্র আলী এবং আবদুল্লাহ্ মদীনায় গিয়েছিল । উমাইয়্যা শাসনের পতন ঘটার পর ইয়াকতীন আত্মপ্রকাশ করলেন এবং স্ত্রী ও দু পুত্র সহ কুফায় ফিরে আসলেন । 62

আলী ইবনে ইয়াকতীন আব্বাসীয়দের সাথে পরিপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করলেন । ফলে হুকুমতের কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদ তার ভাগ্যে জুটেছিল । আর একই সাথে তিনি শিয়াদের আশ্রয়স্থল ও সহযোগী হয়েছিলেন এবং এভাবে তাদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতেন ।

হারুনুর রশিদ ,আলী ইবনে ইয়াকতীনকে তার মন্ত্রী নিযুক্ত করেছিল । আলী ইবনে ইয়াকতীন ইমাম কাযেম (আ.)-কে নিবেদন করেছিলেন : এদের প্রশাসনে অংশ গ্রহণের ব্যাপারে আপনার মতামত কী ?

ইমাম বললেন : যদি বাধ্য হয়ে থাক ,তবে শিয়াদের ধনসম্পদ (নষ্ট করা) থেকে বিরত থেক । এ হাদীসের বর্ণনাকারী বলেন : আলী ইবনে ইয়াকতীন আমাকে বললেন যে শিয়াদের মালামাল বাহ্যিক ভাবে সংগ্রহ করব । কিন্তু গোপনে তাদের নিকট ফিরিয়ে দিব । 63

একবার ইয়াকতীন ইমাম কাযেম (আ.)-কে লিখেছিলেন ,বাদশাহর কর্মকাণ্ডে আমার ধৈর্য়ের বাঁধ ভেঙ্গে গিয়েছে ;মহান আল্লাহ্ আমাকে আপনার জন্য উৎসর্গ করুন ;যদি অনুমতি দেন ,তবে আমি এ কর্মে ইস্তফা দিব ।

ইমাম জবাবে তাকে লিখেছিলেন : তোমাকে এ অনুমতি দিবনা যে ,কর্ম থেকে ইস্তফা দিবে আর আল্লাহ্ থেকে দূরে সরে যাবে । 64

একবার ইমাম তাকে বললেন : একটি কাজের অঙ্গীকার কর ,আমি তোমার জন্য তিনটি জিনিস অঙ্গীকার করব ,আর তা হলো তরবারি দিয়ে মৃত্যু হবেনা ,দারিদ্র্য স্পর্শ করবে না এবং কারারূদ্ধ হবে না ।

আলী ইবনে ইয়াকতীন বললেন : আমাকে যে কর্মের অঙ্গীকার করতে হবে ,তা কী ?

তিনি বললেন : যখনই তোমার নিকট আমাদের কোন বন্ধু আসবে ,তাকে সম্মান করবে । 65

আবদুল্লাহ্ ইবনে ইয়াহিয়া কাহেলী বলেন : ইমাম কাযেমের নিকট উপস্থিত ছিলাম । আলী ইবনে ইয়াকতীন তখন হযরতের দিকে আসছিলেন । ইমাম তাঁর সঙ্গীদের দিকে ফিরে বললেন : যদি কেউ রাসূল (সা.)-এর কোন সাহাবীকে দেখতে চায় ,তবে যে ব্যক্তি এ দিকে আসছে ,তাকে দেখতে পারে । উপস্থিত একজন বললেন : তবে কি তিনি বেহেশতী হবেন ?ইমাম বললেন : আমি সাক্ষ্য দিব যে ,তিনি বেহেশতবাসীদের মধ্যে একজন । 66

আলী ইবনে ইয়াকতীন ইমামের আদেশ পালন করাতে কখনোই অবহেলা করতেন না । তিনি যে কোন আদেশ দিতেন ,অবিলম্বে তা পালন করতেন ,যদিও তার রহস্য তিনি জানতেন না ।

একদা ,হারুনুর রশিদ আলী ইবনে ইয়াকতীনকে কিছু পোশাক উপহার হিসেবে দিয়েছিল । এগুলোর মধ্যে একটি রাজকীয় পোশাক ছিল । তিনি রাজকীয় পোশাকসহ ঐ পোশাকগুলো ও কিছু মালামাল ইমাম কাযেমের জন্য পাঠিয়েছিলেন । ইমাম ঐ রাজকীয় পোশাক ব্যতীত আর সবকিছু গ্রহণ করলেন এবং আলী ইবনে ইয়াকতীনকে লিখেছিলেন : এ পোশাকটি সংরক্ষণ কর এবং হাতছাড়া কর না । খুব শীঘ্রই তা তোমার প্রয়োজনে আসবে ।

আলী ইবনে ইয়াকতীন অনুধাবন করতে পারেনি যে ,কেন হযরত ঐ পোশাক ফেরৎ দিয়েছিলেন । কিন্তু তা সংরক্ষণ করলেন । কিছু দিন যেতে না যেতেই আলী ইবনে ইয়াকতীন তার এক ঘনিষ্ঠ গোলাম কর্তৃক ক্ষতিগ্রস্থ হলেন ও তাকে বহিস্কার করলেন । ঐ গোলাম ইমাম কাযেমের প্রতি তার দুর্র্বলতা সম্পর্কে জানত এবং ইমামের জন্য প্রেরিত মালামাল সম্পর্কেও সে অবগত ছিল । সে হারুনের নিকট গেল এবং যা জানত তা হারুনকে বলল । হারুন ক্রুদ্ধ হল এবং বলল আমি এ ব্যাপারে তদন্ত করব । যদি তোমার কথা সত্য হয় ,তবে তাকে হত্যা করব । তৎক্ষণাৎ আলী ইবনে ইয়াকতীনকে ডেকে পাঠাল এবং জিজ্ঞাসা করল : তোমাকে যে রাজকীয় পোশাক দিয়েছিলাম তা কি করেছ ?

তিনি বললেন : তাকে সুগন্ধি মেখে ,নির্দিষ্ট স্থানে সংরক্ষণ করেছি ।

হারুন বলল : এখনই তা নিয়ে আস!

আলী ইবনে ইয়াকতীন তার একজন খাদেমকে পাঠালেন ;পোশাকটি আনা হলো এবং হারুনের সম্মুখে রাখা হলো । হারুন পোশাকটি দেখে তুষ্ট হলো এবং আলী ইবনে ইয়াকতীনকে লক্ষ্য করে বলল : পোশাকটিকে যথাস্থানে ফিরিয়ে নাও এবং তুমিও নিরাপদে ফিরে যাও । এ মানহানির পর তোমার ব্যাপারে কোন কথা বিশ্বাস করব না । সে ঐ গোলামকে এক হাজারটি চাবুকাঘাত নির্দেশ দিল । সে (গোলাম) পাঁচশতটি চাবুকাঘাত খেতে না খেতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করল । 67 আলী ইবনে ইয়াকতীন 182 হিজরীতে ,যখন ইমাম মুসা ইবনে জা ফর কারাগারে ছিলেন পৃথিবী থেকে বিদায় গ্রহণ করেন । 68

তার কিতাবসমূহের মধ্যে কোন কোনটির নাম শেখ মুফিদ ও শেখ সাদুক  উল্লেখ করেছেন । 69

5.   মুমিন তা ক : মুহম্মদ ইবনে আলী ইবনে নো মান যার কুনিয়াহ হলো আবু জা ফর এবং খেতাব মুমিন তা ক ,ছিলেন ইমাম সাদেক (আ.) ও ইমাম কাযেম (আ.)-এর সাহাবী । তিনি ইমাম সাদেকের নিকট মর্যাদাপূর্ণ স্থানের অধিকারী ছিলেন । ইমাম তাকে তাঁর শ্রেষ্ঠ সাহাবীদের মধ্যে গণনা করেছেন ।

মুমিন তা ক এ যোগ্যতার অধিকারী ছিলেন যে ,যার সাথেই তিনি বিতর্কে লিপ্ত হন না কেন তাকে পরাস্ত করবেনই ।

ইমাম সাদেক (আ.) তাঁর কোন কোন সাহাবীকে অক্ষমতা ও স্বল্প যোগ্যতার জন্য কালামি (আকীদা বিষয়ক) আলোচনায় অংশ গ্রহণ করতে নিষেধ করেছিলেন । কিন্তু মুমিন তা ককে এ আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে উৎসাহিত করেছিলেন ।

ইমাম সাদেক (আ.) তার (মুমিন তা ক) সম্পর্কে খালিদকে এরূপ বলেছিলেন : তা 'কের মালিক (শক্তির অধিপতি) মানুষের সাথে বিতর্কে লিপ্ত হয় এবং শিকারী বাজের মত শিকারের উপর অবতীর্ণ হয় । যদি তোমার পাখা ছিড়ে ফেলা হয় ,তবে তুমি কখনোই উড়বে না । 70

যখন ইমাম সাদেক (আ.) শাহাদাত বরণ করেন ,আবু হানিফা মুমিন তা ককে তিরস্কার করে বলেছিল তোমার ইমাম তো বিদায় নিয়েছে । মুমিন তা ক তাকে তৎক্ষনাৎ জবাব দিলেন : কিন্তু তোমার ইমামকে নির্দিষ্ট দিবস পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে । অর্থাৎ তোমার ইমাম হলো শয়তান ,যার সম্পর্কে মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেছেন :

) فانّك من المنظرين الي يوم الوقت المعلوم (

যাদেরকে অবকাশ প্রদান করা হয়েছে তুমি তাদের অন্তর্ভূক্ত হলে অবধারিত সময় উপস্থিত হওয়ার দিন পর্যন্ত । সূরা হিজর : 37-38)

6.   হিশাম ইবনে হাকাম : তিনি তর্কশাস্ত্র ,বিতর্ক ও কালাম শাস্ত্রে ছিলেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী এবং অন্য সকলের চেয়ে এ বিদ্যায় তার শ্রেষ্ঠত্ব ছিল । ইবনে নাদিম লিখেন যে ,শিয়া কালামশাস্ত্রবিদদের মধ্যে হিশাম এমন এক ব্যক্তিত্ব ছিলেন ,যিনি ইমামতের বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করতেন ;তিনি কালাম শাস্ত্রে দক্ষ ও উপস্থিত বুদ্ধি-সম্পন্ন ছিলেন । 71

হিশাম অনেক পুস্তক লিখেছিলেন । তিনি বিভিন্ন মাযহাব ও ধর্মের আলেমদের সাথে চমৎকার বিতর্কে লিপ্ত হয়েছিলেন ।

ইয়াহিয়া ইবনে যালিদ বারমাকি হারুনের উপস্থিতিতে হিশামকে বলেছিল : সত্য পরস্পর বিপরীত অবস্থানে দাঁড়াতে পারে কি ?হিশাম বললেন : না । ইয়াহিয়া বললেন : তাহলে এমনটি নয় কি ,যখন দু ব্যক্তির মধ্যে মতানৈক্য সৃষ্টি হয় ও বিতর্কে লিপ্ত হয় ,তখন হয় উভয়েই সঠিক অথবা উভয়েই মিথ্যা কিংবা একজন সত্য ও অন্যজন মিথ্যার পথে আছে ?হিশাম বললেন : হ্যাঁ ,এ তিন অবস্থার ব্যতিক্রম নয় ,কিন্তু প্রথম অবস্থা সম্ভব নয় যে ,উভয়েই সত্যের উপর থাকবে ।

ইয়াহিয়া বলল : যদি আপনি একথা স্বীকার করেন যে ,দীনের কোন হুকুমের ক্ষেত্রে বিবাদরত দু পক্ষের উভয়েই সত্য পথের উপর হতে পারে না ,তবে আলী (আ.) এবং আব্বাস যে ,রাসূলের উত্তরাধিকারের ব্যাপারে আবু বকরের নিকট এসে ছিলেন তাদের বিবাদ মীমাংসা করে দেয়ার জন্য তাঁদের মধ্যে কে সত্যের উপর ছিলেন ?

হিশাম বললেন ,তাঁদের মধ্যে কেউই ভ্রান্ত পথে গমণ করেনি । তাদের ঘটনার দৃষ্টান্ত আরও আছে । পবিত্র কোরআনে হযরত দাউদ (আ.)-এর ঘটনায় বর্ণিত হয়েছে যে ,দু ফেরেশতার মধ্যে মতপার্থক্য সৃষ্টি হয়েছিল এবং তারা দাউদ (আ.)-এর নিকট এসেছিলেন ,তাদের মধ্যে মীমাংসা করে দেয়ার জন্য ,তাহলে ঐ ফেরেশতাদের মধ্যে কে সত্যের উপর ছিলেন ?

ইয়াহিয়া বলল : উভয়েই সত্যের উপর ছিলেন এবং পরস্পর কোন বিরোধ ছিলনা । আর তাদের বিতর্ক ছিল সাজানো এবং চেয়েছিল এর মাধ্যমে দাউদ (আ.)-কে তাঁর দায়িত্ব স্মরণ করিয়ে দিতে । 72

হিশাম বললেন : আলী (আ.) ও আব্বাসের মধ্যেকার বিতর্কও এরূপই ছিল ,তাদের মধ্যে কোন বিরোধ ছিলনা । কেবলমাত্র আবু বকরকে তার ভ্রান্তি সম্পর্কে স্মরণ করিয়ে দেয়ার জন্যে এ কাজ করেছিলেন । তাঁরা আবু বকরকে বুঝাতে চেয়েছিলেন ,তুমি যে বল নবী (সা.)-এর সম্পদের উত্তরাধিকারী কেউ হয় না ,এটা মিথ্যা এবং আমরা তার উত্তরাধিকারী ।

ইয়াহিয়া হতবাক হয়ে গেল এবং কোন জবাব দেয়ার ক্ষমতা তার থাকল না এবং হারুন হিশামকে প্রশংসা করল । 73

ইউনুস ইবনে ইয়াকুব বলেন : ইমাম সাদিকের একদল সাহাবী যেমন : হোমরান ইবনে আইয়ান ,মুমিন তা ক ,হিশাম ইবনে সালিম ,তাইয়্যার ও হিশাম ইবনে হাকাম তার নিকট উপস্থিত ছিলেন । হিশাম ছিলেন যুবক । ইমাম হিশামকে বললেন : বলবেনা ,আমর ইবনে উবাইদের সাথে কী করেছ ,কিরূপে তাকে প্রশ্ন করেছ ?

হিশাম বললেন : আপনার সম্মুখে আমি লজ্জা করি এবং আপনার উপস্থিতিতে আমি ভাষা খুঁজে পাই না ।

ইমাম বললেন : যখন তোমাকে কোন কাজের নির্দেশ দিয়ে থাকি তখন তুমি কি তা কর ?

হিশাম বললেন : শুনেছিলাম যে ,আমর ইবনে ওবাইদ বসরার মসজিদে মানুষের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখে আর এটা আমার জন্য খুব গুরুত্ববহ ছিল । জুমা র দিবসে বসরায় প্রবেশ করলাম এবং মসজিদে গেলাম ;দেখলাম আমর ইবনে ওবাইদ মসজিদে বসে ও লোকজন তাকে ঘিরে বসে আছে এবং কোন কিছু সম্পর্কে তাকে প্রশ্ন করছে । লোকের ভিড় ঠেলে গিয়ে তার নিকট বসলাম এবং বললাম ,হে বিদ্বান ,আমি একজন আগুন্তুক ,আমাকে প্রশ্ন করার সুযোগ দাও! আমাকে অনুমতি দিল । আমি বললাম : তোমার চোখ আছে কি ?বলল : ওহে বৎস ,কেমন প্রশ্ন ?বললাম : আমার প্রশ্ন এরূপই হবে । বলল : জিজ্ঞাসা কর ,যদিও তোমার প্রশ্ন নির্বোধের মত । পুনরায় জিজ্ঞাসা করলাম : তোমার চোখ আছে কি ?

বলল : হ্যাঁ ,আছে ।

বললাম : তা দিয়ে কী দেখ ?

বলল : রং সমূহ এবং আকৃতি সমূহ ।

বললাম : তোমার নাক আছে কি ?

বলল : হ্যাঁ ,আছে ।

বললাম : তা দিয়ে কী কর ?

বলল : বিভিন্ন গন্ধ গ্রহণ করি ।

বললাম : মুখ আছে কি ?

বলল : হ্যাঁ ,আছে ।

বললাম : তা দিয়ে কী কর ?

বলল : খাবারের স্বাদ আস্বাদন করি ।

বললাম : তোমার মস্তিস্ক ও অনুভূতি কেন্দ্রও আছে কি ?

বলল : হ্যাঁ ,আছে ।

বললাম : তা দিয়ে কী কর ?

বলল : তা দিয়ে আমার অনুভূতিতে যা কিছু বিদ্যমান সেগুলোকে স্বতন্ত্র ভাবে উপলব্ধি করি ।

বললাম : এ অনুভূতি তোমাকে তোমার অনুভূতি কেন্দ্রের অভাব মুক্ত করে কি ?

বলল : না

বললাম : কিরূপে ?অথচ তোমার দেহের সকল অঙ্গ ও অনুভূতি সঠিক রূপে বিদ্যমান!

বলল : যখনই এ অনুভূতি কোন কিছু সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করে তখন মস্তিষ্কের দিকে প্রত্যাবর্তন করে ,যাতে তাদের সন্দেহ দূরীভূত হয়ে বিশ্বাস অর্জিত হয় ।

বললাম : তাহলে মহান আল্লাহ অনুভূতির সন্দেহ দূরীভূত করার জন্য মস্তিস্ক ও অনুভূতি কেন্দ্র দিয়েছেন ।

বলল : হ্যাঁ ,তাই ।

বললাম : সুতরাং মস্তিস্ক ও অনুভূতি কেন্দ্র আমাদের জন্য অপরিহার্য ভাবে প্রয়োজন ।

বলল : হ্যাঁ ,তাই ।

হিশাম বললেন : মহান আল্লাহ্ তোমার ইন্দ্রিয়কে ইমাম (বা পরিচালক) বিহীন সৃষ্টি করেনি ;যা সঠিক বিষয়কে ,সঠিক নয় এমন বিষয় থেকে স্বতন্ত্র করে । তবে ,এ সমগ্র বিশ্বকে সৃষ্টির মধ্যে বিদ্যমান এতসকল বৈসাদৃশ্য ,দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ও মতবিরোধের উপস্থিতিতে ইমামবিহীন সৃষ্টি করবে (যে বিরোধ ,দ্বিধার সময় অন্যরা তার শরণাপন্ন হবে) কি করে ভাবলে ?!!

আমর ইবনে উবাইদ নিশ্চুপ রইল এবং কিছুই বলল না । অতঃপর আমার দিকে তাকাল এবং

বলল : তুমি কোথাকার অধিবাসী ?

বললাম : কুফা ।

বলল : তুমি কি হিশাম ?সে আমাকে নিজের নিকট বসাল এবং যতক্ষণ পর্যন্ত আমি সে স্থান ত্যাগ না করেছি ,সে কোন কথা বলেনি । ইমাম সাদেক (আ.) স্মিত হাসলেন এবং বললেন : তোমাকে এ যুক্তি কে শিখিয়েছে ?

হিশাম বললেন : ওহে আল্লাহর রাসূলের সন্তান ,আমার মুখ দিয়ে এমনিই বের হয়েছে ।

ইমাম বললেন : ওহে হিশাম! আল্লাহর শপথ এ যুক্তি ইবরাহীম ও মুসা (আ.)-এর সহীফাতে লিপিবদ্ধ আছে । 74

তথ্যসূত্র :

1 । যা মক্কা ও মদীনার মাঝে অবস্থিত।

2 । কাফি ,1ম খণ্ড ,পৃ. 476।

3 । উমাইয়্যা বিরোধী বিপ্লবের দাবীদাররা প্রকৃতপক্ষে এ ঘৃণ্য প্রতারণা করেছিল। অর্থাৎ তারা আব্বাসীদেরকে উমাইয়্যাদের স্থলাভিষিক্ত করেছিল এবং খেলাফতকে তার প্রকৃত কেন্দ্রে প্রত্যাবর্তন করতে বাঁধ সাধল। আবু সালামাহ ও আবু মুসলিম খোরাসানী লোকজনকে সর্বপ্রথমে হযরত আলীর বংশধরগণের দিকে আহবান করেছিল। কিন্তু পর্দার আড়ালে তারা আব্বাসীয় রাজতন্ত্রের প্রাসাদ রচনা করেছিল। আর তাই হযরত ইমাম সাদেক (আ.) রাজনৈতিক দূরদর্শিতা হেতু তাদের কথা বার্তার প্রতি ভ্রুক্ষেপ করেননি। কারণ ,তিনি জানতেন ,তারা প্রকৃতপক্ষে তাঁকে সহযোগিতা করার জন্য সংগ্রাম করছে না এবং তাদের মাথায় অন্য পরিকল্পনা বিদ্যমান।

দ্রষ্টব্য : মিলাল ওয়াল নিহাল ,শাহরেস্তানী 1ম খণ্ড ,পৃ. 154 মিশর থেকে মুদ্রিত ,তারিখে ইয়াকুবী ,3য় খণ্ড ,পৃ. 89 ,বিহারুল আনওয়ার ,11তম খণ্ড ,পৃ. 142।

4 । বিহার খঃ 48 পৃঃ 71 ,72 এছাড়া এলামূল ওয়ারা তাবারী ,প্রকাশনায় ইলমিয়া ইসলামীয়া পৃঃ 295 দ্রষ্টব্য।

5 । সূরা মুহাম্মদ : 22 

6 । তারিখে বাগদাদ ,13তম খণ্ড ,পৃ. 30-31

7 । মাকাতিলুত তালিবিয়ীন ,পৃ. 447

8 । মাকাতিলুত তালিবিয়ীন ,মিশর থেকে প্রকাশিত ,পৃ. 253।

9 । তারিখে তাবারি ,10ম খণ্ড ,পৃ. 592।

10 । প্রাগুক্ত ,পৃ. 593।

11 । হায়াতুল ইমাম ,1ম খণ্ড ,পৃ. 458।

12 । তারিখে ইয়াকুবী ,2য় খণ্ড ,পৃ. 407 ,বৈরুত থেকে প্রকাশিত।

13 । তারিখে তাবারি ,10ম খণ্ড ,পৃ. 603।

14 । হায়াতুল ইমাম ,2য় খণ্ড ,পৃ. 29।

15 । প্রাগুক্ত ,পৃ. 39।

16 । প্রাগুক্ত ,পৃ. 32।

17 । প্রাগুক্ত ,পৃ. 62।

18 । আল ইমামাহ্ ওয়াস সিয়াসাহ্ ,2য় খণ্ড।

19 । হায়াতুল ইমাম ,2য় খণ্ড ,পৃ. 39।

20 । প্রাগুক্ত ,পৃ. 40।

21 । প্রাগুক্ত ,পৃ. 2-77।

22 । মাকাতিলুত তালিবিয়ীন ,পৃ. 463-497।

23 । আমালীয়ে শেখ তুসী ,পৃ. 206।

24 । প্রাগুক্ত

25 । রেজালে কাশী ,পৃ. 440-441 ,হযরতের পিতা ইমাম সাদেক (আ.) ও ইউনুস ইবনে ইয়াকুবকে বলেছেন : এদেরকে এমনকি মসজিদ নির্মানের ক্ষেত্রেও সাহায্য করোনা। ওয়াসায়েল ,12তম খণ্ড ,পৃ. 120-130।

26 । গাইবাত ,শেখ তুসী ,পৃ. 21।

27 । তারিখে বাগদাদ ,13তম খণ্ড ,পৃ. 32।

28 । গাইবাত ,শেখ তুসী ,পৃ. 22-97।

29 । উয়ুনু আখবারুর রেজা ,1ম খণ্ড ,পৃ. 97।

30 । কাফি ,1ম খণ্ড ,পৃ. 486 ,আনবারুল বাহিয়্যাহ ,পৃ. 97।

31 । উয়ুনু আখবারুর রেযা ,1ম খণ্ড ,পৃ. 81 ,ইহতিজাজে তাবারসী ,পৃ. 211-213 ,বিহারুল আনওয়ার ,48তম খণ্ড ,পৃ. 125-129।

32 । হায়াতুল ইমাম ,1ম খণ্ড ,পৃ. 140 ,এরশাদ ,মুফিদ ,পৃ. 281 (কিছুটা পার্থক্য সহ)।

33 । হায়াতুল ইমাম মুসা ইবনে জাফর ,1ম খণ্ড ,পৃ. 140 ,এরশাদ ,মুফিদ ,পৃ. 281 (কিছুটা পার্থক্য সহ)।

34 । মানাকিবে ইবনে শাহরে আশুব ,4র্থ খণ্ড ,পৃ. 297।

35 । এরশাদ ,মুফিদ ,পৃ. 277।

36 । প্রাগুক্ত ,পৃ. 279।

37 । এ কর্মটি যেহেতু ঐ ব্যক্তির সংশোধনের জন্য ও হেদায়াতের জন্য সম্পন্ন করা হয়েছে ;সেহেতু ইমামের দৃষ্টিতে কেবলমাত্র এটা বৈধই ছিল না ,বরং জরুরী  ছিল।

38 । বাগদাদের ইতিহাস ,13তম খণ্ড ,পৃ. 28 ;এরশাদ ,মুফিদ ,পৃ. 278

39 । তারিখে বাগদাদ ,13তম খণ্ড ,পৃ. 28।

40 । প্রাগুক্ত, পৃ. 29।

41 । ওয়াসায়েল ,2য় খণ্ড ,পৃ. 456 (পুরনো সংস্করণ)।

42 । তোহাফুল উকুল ।

43 । মোস্তাদরাকুল ওয়াসায়েল ,2য় খণ্ড ,পৃ. 455।

44 । প্রাগুক্ত ,পৃ. 102।

45 । অয়িনে বান্দেগী ,পৃ. 131।

46 । বিহারুল আনওয়ার ,48তম খণ্ড ,পৃ. 154।

47 । প্রাগুক্ত ,পৃ. 150।

48 । এলামুল ওয়ারা তাবরিসী ,পৃ. 291 ;ইসবাতুল হুদাহ ,5ম খণ্ড ,পৃ. 486।

49 । বাসায়েরুদ্দারাজাত ,পৃ. 471 ,নতুন সংস্করণ ;ইসবাতুল হুদাহ ,5ম খণ্ড ,পৃ. 484।

50 । গায়বাত ,নো মানী ,পৃ. 179 ;বিহারুল  আনওয়ার ,48তম খণ্ড ,পৃ. 21

51 । এরশাদ ,মুফিদ ,পৃ. 270

52 । ইমাম সাদিক (আ.) 148 হিজরীতে এবং ইমাম কাযেম (আ.) 183 হিজরীতে শাহাদাত বরণ করেন।

53 । মুনতাহাল মাকাল ,পৃ. 254।

54 । রেজালে কাশী ,পৃ. 591।

55 । প্রাগুক্ত, পৃ. 590 ।

56 । আল ইখতিসাস ,শেখ মুফিদ পৃঃ 86।

57 । রেজালে কাশি পৃঃ 440-441।

58 । ফেহেরেস্তে শেখ তুসী ,পৃ. 109 নাজাফ থেকে প্রকাশিত 1380 সৌরবর্ষ।

59 । ফেহেরেস্তে নাজ্জাসী ,পৃ. 148 তেহরান থেকে প্রকাশিত।

60 । রেজালে কাশী ,পৃ. 502।

61 । রেজালে কাশী ,পৃ. 503।

62 । ফেহরেস্তে শেখ তুসী ,পৃ. 117।

63 । কাফি ,5ম খণ্ড ,পৃ. 110।

64 । কোরবুল আসনাদ ,পৃ. 126।

65 । রেজালে কাশী ,পৃ. 433।

66 । প্রাগুক্ত ,পৃ. 431।

67 । এরশাদ ,মুফিদ ,পৃ. 275।

68 । রেজালে কাশী ,পৃ. 430।

69 । ফেহরেস্তে শেখ তুসী ,পৃ. 117।

70 । রেজালে কাশী ,পৃ. 186।

71 । ফেহরেস্তে ইবনে নাদিম ,পৃ. 263।

72 । দাউদ ও দু ফেরেশতার কাহিনী সূরা ছোয়াদের 21-26 আয়াতে বর্ণিত হয়েছে। বিস্তারিত জানার জন্য এ আয়াতসমূহের তাফসীর দ্রষ্টব্য।

73 । আল ফুসূলুল মোখতারাহ ,সাইয়্যেদ মুরতাজা ,পৃ. 26।

74 । রেজালে কাশী ,পৃ. 271-273 ,উসুলে কাফি ,1ম খণ্ড ,পৃ. 196 ,মাসউদী তার  মুরুজুয যাহাব গ্রন্থে কিছুটা বেশী পার্থক্য সহ বর্ণনা করেছেন কিন্তু এ পার্থক্য আমাদের উদ্দিষ্ট দলিলের কোন ক্ষতি হয়নি ।