স্বল্পকালীন অন্তর্ধানের সময়ে ইমামের অলৌকিকত্ব
স্বল্পকালীন অন্তর্ধানের সময়ে ইমাম যে সকল অলৌকিকত্ব দেখিয়েছেন তা তাঁর দূরের ও কাছের অনুসারীদের ঈমানের দৃঢ়তা ও পরিপক্কতা দানে বিশেষ ভূমিকা রাখে। অলৌকিক ঘটনাগুলো সেই সব অনুসারীদের জন্যেই বেশী ঘটতো যারা সামাররা ও বাগদাদ শহরে দূরদূরান্ত থেকে আসতো এবং ইমামের বিশেষ প্রতিনিধিদের মাধ্যমে তাঁর সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতো এবং তাঁর অলৌকিক ক্ষমতাকে স্বচক্ষে অবলোকন করতো।
এই সময়কালে ইমামের অলৌকিক ঘটনার পরিমান এতই বেশী
,যা বর্ণনা করতে আলাদাভাবে বই লেখার প্রয়োজন পড়বে। মরহুম শেখ তুসি (রহঃ) বলেন : ইমাম মাহ্দী (আ.)-এর স্বল্পকালীন অন্তর্ধানের সময় তাঁর মাধ্যমে এত অধিক পরিমান অলৌকিক ঘটনা সংঘটিত হয়েছে যা গণনাতীত।
আমরা এখানে নমুনা স্বরূপ কয়েকটি ঘটনার উল্লেখ করলাম মাত্র :
1
-
ঈসা
বিন
নাসর
বলেন
: আলী বিন ছিমারী ইমামের উদ্দেশ্যে একটি চিঠি লেখে। তাতে সে তাঁর কাছে একটি কাফনের কাপড়ের আবেদন জানায়। চিঠির উত্তর এভাবে আসে যে
,তোমার 80 বছর বয়সে (280 হিজরীতে) এই কাপড়ের প্রয়োজন পড়বে। ইমামের বাণী অনুযায়ী সে 80 বছর বয়সে ইন্তেকাল করে এবং তার ইন্তেকালের পূর্বেই ইমাম তার আবেদন অনুযায়ী তার জন্য কাফনের কাপড় পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।
2
-
আলী
বিন
মুহাম্মদ
বলেন
:
ইমামের অনুসারীদের প্রতি তার নিকট থেকে নির্দেশ এসেছিল যে
,তারা যেন ইমামগণের মাজার (কারবালা ও কাযেমাইন) যিয়ারত করতে না যায়। কয়েক মাস যেতে না যেতেই খলিফা তার উজির বাকতানীকে ডেকে বলল : বনি ফুরাত (একটি গোত্র
,এই উজিরও সেই গোত্রের ছিল) ও বুরেস (কুফা ও হিল্লির মধ্যবর্তী স্থান) এলাকার লোকদের সাথে দেখা করে তাদেরকে কাযেমাইনে ইমামগণের মাজার জিয়ারত করতে যেতে নিষেধ কর। আর ইতোমধ্যে খলিফা নির্দেশ দিল যারা ইমামগণের মাজার যিয়ারত করতে যাবে তাদেরকে বন্দী করার জন্য।
3
-
ইমামের
দ্বিতীয়
প্রতিনিধি
আবু
জা
’
ফর
মুহাম্মদ
বিন
উসমানের
নাতী
বলেন
,“
নওবাখতী বংশের কিছু লোক যাদের মধ্যে আবুল হাসান বিন কাসির নওবাখতী (রহঃ) এবং আবু জা
’
ফর মুহাম্মদ বিন উসমানের কন্যা উম্মে কুলছুমও রয়েছেন আমাকে বলেছেন : কোম ও তার আশে পাশের এলাকা থেকে খুমস
,জাকাতের অর্থসামগ্রী আবু জা’
ফরের কাছে পাঠানো হয়েছিল ইমামের কাছে পৌঁছানোর জন্য। অর্থসামগ্রী নিয়ে এক ব্যক্তি বাগদাদে আমার পিতার বাড়ীতে তা পৌঁছে দিল। সে চলে যাওয়ার সময় আবু জা
’
ফর তাকে বললো : যা কিছু তোমাকে আমার কাছে
পৌঁছানোর জন্য দেয়া হয়েছিল তার কিছু অংশ বাকী রয়েছে
,সেগুলো কোথায়
?
সে বলল : হে আমার অভিভাবক
,কোন কিছুই আমার কাছে বাকী নাই
,সব কিছুই আপনার কাছে পৌঁছে দিয়েছি।
তিনি বললেন : কিছু পরিমান বাকী আছে
,নিজের ঘরে ফিরে যাও দেখ কোন কিছু ফেলে এসেছো কি না
,আর যা কিছু তোমাকে দিয়েছিল তা স্মরণে আনার চেষ্টা কর।
সে চলে গেল এবং কয়েক দিন ধরে চিন্তা-ভাবনা ও খোঁজাখুজির পর কিছুই পেল না। আর তার সাথে যারা খোঁজাখুজির কাজে সাহায্য করছিল তারাও কিছু পেল না। সে পুনরায় আবু জা
’
ফরের কাছে ফিরে এসে বলল : কিছুই আমার কাছে অবশিষ্ট নেই যা কিছু দিয়েছিল তা আপনার কাছে পৌঁছে দিয়েছি।
আবু জা
’
ফর বলল (ইমামের পক্ষ থেকে) তোমাকে বলা হচ্ছে অমুক যে দু
’
টি আলখেল্লা (মরক্কোর নিকটবর্তী বড় দ্বীপের অধিবাসীদের তৈরী বিশেষ পোশাক) তোমাকে দিয়েছিল তা কোথায়
?
সে বলল : হ্যাঁ
,আপনি সত্য বলছেন। আমি সেগুলোকে ভুলেই গিয়েছিলাম। ঐ আলখেল্লা দু
’
টির কথা আমার একেবারেই মনে ছিল না। কিন্তু এখন এও জানি না যে সেগুলো কোথায় রেখেছি।
সে আবার ফিরে গেল এবং তার জিনিসপত্রের মধ্যে খোঁজাখুজি শুরু করে দিল। যারা তার কাছে মাল বহন করে এনেছিল তাদেরকেও খুঁজে দেখার জন্য অনুরোধ জানালো। কিন্তু পোশাক দু
’
টি খুঁজে পাওয়া গেল না।
আবার আবু জা
’
ফরের কাছে ফিরে এলো এবং পোশাক দু
’
টি হারিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি বর্ণনা করলো
।
আবু জা
’
ফর বলল : তোমাকে এটা বলতে বলা হয়েছে যে তুমি অমুক তুলা বিক্রেতার কাছে যাও। যার জন্য তুমি দুই গাঁট তুলা নিয়ে গিয়েছিলে এবং ঐ দুই গাঁটের মধ্যে যেটির উপরে এই এই বিষয়গুলো লেখা আছে সেই গাঁটটা খুলে তার মধ্যে খুঁজবে। তার মধ্যে ঐ পোশাক দুটিকে পাবে।
লোকটি আবু জাফরের এই কথা শুনে আশ্চর্য ও হতভম্ব হয়ে গেল। তারপর সে তার কথা মত সেখানে গেল এবং নির্দেশ মত তুলার গাঁটটিতে খুঁজলো ও তার মধ্যে পোশাক দু
’
টিকে পেল। পোশাক দু
’
টিকে নিয়ে এসে আবু জা
’
ফরের কাছে পৌঁছে দিয়ে বলল : আমি ঐ পোশাক দু
’
টির ব্যাপারে ভুলে গিয়েছিলাম। যখন মালামাল আপনার কাছে আনার জন্য বস্তায় বেঁধে ফেলেছিলাম এই দু
’
টি পোশাক অতিরিক্ত থেকে গিয়েছিল। আমি ঐ দু
’
টি পোশাক একটি তুলার গাঁটের মধ্যে রেখে দিয়েছিলাম যাতে করে সংরক্ষিত বা নিরাপদে থাকে।
লোকটি বিশেষ করে এই বিষয়টার ব্যাপারে অবাক হয়েছিল। যা সে আবু জা
’
ফরের কাছ থেকে শুনেছিল যা দেখেছিল।
কেননা নবিগণ ও ইমামগণই কেবল আল্লাহ্ রাব্বুল আ
’
লামিনের নিকট থেকে এ ধরনের বিষয়ে অবগত হন অন্য কেউ নয়। এ বিষয়টি সে সবাইকে বলতে লাগলো। সে আবু জা
’
ফরের ব্যাপারে কোন প্রকার ধারণাই রাখতো না। তার মাধ্যমে শুধুমাত্র অর্থ ও বিভিন্ন সামগ্রী পাঠানো হতো
।
যেমনিভাবে ব্যবসায়ীরা তাদের মালামালকে দোকানদের উদ্দেশ্যে কোন ভাল লোকের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিত। তার কাছে ঐ মালামালের কোন ভাউচার বা তার সাথে আবু জা
’
ফরের নামে কোন চিঠিও ছিল না। কেননা আব্বাসীয় খলিফা মো
’
তাজেদের শাসনামলে পরিস্থিতি খুব বিপদজনক ছিল। তার তলোয়ার থেকে সবসময় রক্ত ঝরতো। ইমামের সংশ্লিষ্ট বিষয় শুধুমাত্র তাঁর বিশেষ প্রতিনিধিদের অবগতিতে থাকতো। আর যারা অর্থ ও মালামাল নিয়ে আসতো তারা এসবের কোন কিছুর ব্যাপারেই খবর রাখতো না। শুধুমাত্র তাদেরকে বলা হতো এই অর্থ ও মালামাল এমন জায়গায় এমন লোকের কাছে পৌঁছে দেবে। মালামাল গ্রহণকারীর ব্যাপারে কোন প্রকার আনুষঙ্গিক খবরা খবর ব্যতিরেকেই ও তার নামে কোন প্রকার চিঠি ছাড়াই পাঠানো হতো। এ কারণে যে যদি কেউ কোন দিন বা কখনও এই মালামাল ও অর্থ এবং প্রেরণকারী ও গ্রহণকারীর ব্যাপারে জেনে ফেলে এই ভয়েই এই বিষয়গুলো গোপন থাকতো।
4
-
মুহাম্মদ বিন
ইবরাহীম বিন মেহযিয়ার আহওয়াযী বলেন
:
ইমাম আবু মুহাম্মদ আসকারী (আ.)-এর শাহাদতের পর ইমাম মাহ্দী (আ.)-এর অস্তিত্বের ব্যাপারটিতে আমি সন্দিহান হয়ে পড়লাম। ঠিক এমনই পরিস্থিতিতে প্রচুর পরিমানে অর্থ ও মালামাল যা ইমামের সম্পদ আমার বাবার কাছে এসে পৌঁছেছিল এবং আমার বাবা সেগুলোকে সযত্নে
দেখাশুনা করছিল ইমামের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য। সেগুলোকে একটি বড় নৌকায় তুলে রওনা হওয়ার সময় হঠাৎ বাবার বুকে ব্যথা শুরু হল। যেহেতু আমি তাকে বিদায় জানাতে এসেছিলাম তাই তিনি আমাকে বললেন : আমাকে বাড়ী ফিরিয়ে নিয়ে চলো। আমাকে ফিরিয়ে নিয়ে চলো কেননা আমার মৃত্যু ঘনিয়ে এসেছে। এই মালামালের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় কর এবং সেগুলোকে আমার হাতে দিয়ে ইমামের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য বলে ইন্তেকাল করলেন।
আমি মনে মনে বললাম : আমার পিতা এমন লোক ছিলেন না যিনি কোন ভুল বিষয়ে আমাকে দায়িত্ব দিয়ে যাবেন। অতএব
,এই মালামালগুলিকে ইরাকে নিয়ে যাব এবং নদীর ঘাটে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে এগুলিকে তার মধ্যে রেখে দিব বা কাউকে এ ব্যাপারে কিছু বলবো না। যদি এমন কিছু যা ইমাম আসকারী (আ.)-এর জামানায় ঘটেছিল তা আমার সামনে ঘটে তবেই এই জিনিসগুলিকে প্রেরণ করবো অন্যথায় পুরোটাই ছদকা দিয়ে দেব।
ইরাকে গিলাম এবং নদীর ঘাটে একটি ঘর ভাড়া নিলাম। কয়েক দিন সেখানে থাকার পর একজন পত্র বাহক আমার কাছে আসলো এবং আমাকে একটি চিঠি দিল যার মধ্যে এমন লেখা ছিল : হে মুহাম্মদ! তোমার সাথে যে থলেগুলো আছে সেগুলোর মধ্যে এই এই জিনিসগুলো আছে। আমার সাথে যে মালামালগুলো ছিল সেগুলোর সম্বন্ধে আমি এত কিছু জানতাম না যা সেই চিঠিতে সবগুলোর পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ দেয়া ছিল।
সমস্ত সম্পদগুলো পত্র বাহকের কাছে হস্তান্তর করলাম। আর আমি আরও কয়েকদিন সেখানে থাকলাম। কিন্তু কেউ আমার খোঁজ খবর নিতে আসলো না। আমি খুব দুঃখিত হলাম। এমতাবস্থায় আমার কাছে অন্য আরেকটি চিঠি পৌঁছালো যাতে এমন লেখা ছিল : তোমাকে তোমার বাবার স্থলাভিষিক্ত করেছি। আল্লাহর শুকরিয়া আদায় কর।
5
-
হাসান বিন ফাযল ইয়ামানী বলেন
:
আমি সামাররাতে আসার পর ইমাম (আ.) এর পক্ষ থেকে একটি ব্যাগ যার মধ্যে কয়েকটি দিনার ছিল এবং দু
’
টুকরো কাপড় আমার কাছে পৌঁছালো। আমি সেগুলোকে ফেরত পাঠালাম এবং মনে মনে বললাম : আমার শান ও মর্যাদা তাদের কাছে এতটুকুই! অহংকার আমাকে ঘিরে ধরলো। পরে অনুতপ্ত হয়ে ছিলাম। অবশেষে চিঠি লিখে ক্ষমা
চেয়েছিলাম এবং ইসতেগফার করলাম এবং নির্জনে আল্লাহকে বললাম
,হে আল্লাহ্! তোমার পবিত্র নামের প্রতি কসম খেয়ে বলছি যে
,যদি দিনার ভর্তি কয়েকটি ব্যাগও আমার কাছে পাঠায়
,আমি সেগুলোকে খুলেও দেখবো না এবং তার থেকে কোন কিছু খরচও করবো না
,যতক্ষণ না আমার বাবার কাছে যাবো। কেননা সে আমার থেকেও অধিক জ্ঞানী।
ইমামের পক্ষ থেকে সেই বাহকের প্রতি (যে আমার কাছে দিনারের ব্যাগটি ও
দু
’
টুকরো কাপড় নিয়ে এসেছিল) পত্র এল যার বিষয়বস্তু এমন : তুমি কাজটি ভাল করনি। তাকে বল নি যে আমরা কখনও কখনও আমাদের বন্ধু ও অনুসারীদের সাথে এমনই করে থাকি আবার কখনও কখনও তাদেরকে আমরা এমন কিছু দিয়ে থাকি
।
এজন্য যে সেগুলো থেকে যেন তারা বরকত নিতে পারে। আর আমার প্রতি বলা হলো : তুমি ভুল করেছো আমাদের উপহার ও ভালবাসাকে গ্রহণ না করে। যেহেতু আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছো আল্লাহ্ তোমাকে যেন ক্ষমা করে দেন এবং যেহেতু সিদ্ধান্ত নিয়েছো যে দিনারগুলোর উপর হস্তক্ষেপ করবে না বা সেগুলোকে খরচ করবে না
,সুতরাং সেগুলোকে তোমাকে আর দিলাম না
।
কিন্তু দু
’
টুকরা কাপড়ের প্রয়োজন তোমার আছে। ঐ দু
’
টুকরো কাপড় দিয়ে তুমি মোহরেম হবে (ঐ কাপড়কে তুমি তোমার এহরামের কাপড় হিসাবে ব্যবহার করবে) ...।
6
-
মুহাম্মদ বিন সুরী কোমী
(
রহঃ
)
বলেন
:
আলী বিন হুসাইন ববাভেই তার চাচাতো বোনকে (মুহাম্মদ বিন মুসা ববাভেইর কন্যা) বিবাহ করেন। কিন্তু তাদের কোন সন্তান হতো না। ইমামের তৃতীয় প্রতিনিধি জনাব হুসাইন বিন রূহ নওবাখতীর উদ্দেশ্যে এই মর্মে চিঠি লিখে যে
,তিনি যেন তাঁর পক্ষ হয়ে ইমামের কাছে আবেদন জানায় তারা যেন উত্তম জ্ঞানী সন্তান লাভে সমর্থ হয়।
ইমামের পক্ষ থেকে ঐ চিঠির উত্তর আসে এভাবে : তুমি তোমার বর্তমান স্ত্রীর দ্বারা সন্তানলাভে সমর্থ হবে না। তবে অতিসত্ত্বর তুমি উন্নত চরিত্রবতী একটি দাসীর মালিক হবে। আর তার মাধ্যমে দুই জ্ঞানী পুত্র সন্তানের অধিকারী হবে।
ইবনে ববাভেই তিনটি ছেলে সন্তানের জনক হন মুহাম্মদ
,হুসাইন ও হাসান। মুহাম্মদ ও হুসাইন দু
’
জন প্রখর স্মৃতিশক্তি সম্পন্ন ফকীহ্ ছিলেন এবং এমন সব বিষয়ে তারা পারদর্শী ছিলেন যা কোম শহরের কেউ জানতেন না। তাদের ভাই হাসান সবসময় ইবাদতে লিপ্ত থাকতো ও একরূপ দুনিয়া নিরাসক্ত ছিল তাই জনগণের সাথেও কোন প্রকার যোগাযোগ ছিল না এবং ফিকাহ্ শাস্ত্র থেকে উপকৃত হওয়া থেকেও বঞ্চিত ছিল।
জনগণ আবু জা
’
ফর (মুহাম্মদ) ও আবু আবদুল্লাহ্ (হুসাইন) আলী বিন হুসাইন ববাভেইর দুই সন্তান এর প্রখর স্মৃতি শক্তি দেখে ও তাদের হাদীস ও রেওয়ায়েতের উপর জ্ঞান দেখে আশ্চর্য হয়ে বলতে লাগলো যে এই প্রখরতা ও তীক্ষ্ণতা ইমাম মাহ্দী (আ.)-এর দোয়ার কারণে হয়েছে। এ বিষয়টি কোমের জনগণের মধ্যে বিশেষভাবে প্রসিদ্ধ আছে।