হযরত সুলাইমান ও যূলকারনাইনের সাম্রাজ্য অপেক্ষাও বিশাল সাম্রাজ্য
ইমাম মাহ্দী (আ.)-এর সাথে সংশ্লিষ্ট রেওয়ায়েতসমূহ থেকে খুব ভালোভাবে বোঝা যায় যে
,তিনি যে বিশ্ব ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠা করবেন তা হযরত সুলাইমান (আ.) ও বাদশাহ যূলকারনাইনের রাজত্ব অপেক্ষাও বিশাল। আর কতিপয় রেওয়ায়েত থেকেও বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায়। যেমন ইমাম বাকির (আ.)-এর নিম্নোক্ত রেওয়ায়েত :
“
আমাদের (ইমাম মাহ্দীর) রাজত্ব হযরত সুলায়মান ইবনে দাউদ (আ.)-এর রাজত্বের চেয়ে ব্যাপক এবং আমাদের রাজ্যের পরিসীমা তাঁর রাজ্যের পরিসীমা অপেক্ষা বড় হবে।
”
আর পরবর্তী রেওয়ায়েতটিতে বর্ণিত হয়েছে যে
,তাঁর হাতে এমন সব হাতিয়ার ও উপায়-উপকরণ বিদ্যমান যেগুলো বাদশাহ যূলকারনাইনেরও ছিল না এবং ঐ সব রেওয়ায়েত যেগুলোয় বর্ণিত হয়েছে যে
,মহান নবীদের থেকে যা কিছু উত্তরাধিকার হিসাবে বিদ্যমান
,যেমন হযরত সুলাইমান (আ.)-এর উত্তরাধিকার সেগুলো সব তাঁরই আয়ত্তে থাকবে এবং সমগ্র পৃথিবী তাঁর হাতের মুঠোয় থাকবে।
কারণ
,হযরত সুলাইমান (আ.)-এর রাজত্বের অন্তর্গত ছিল ফিলিস্তিন ও শামদেশ। মিশর ও এর পশ্চিমের দেশসমূহ অর্থাৎ আফ্রিকা মহাদেশ তাঁর রাজত্বের অন্তর্ভুক্ত ছিল না। বেশ কিছু সংখ্যক রেওয়ায়েত অনুসারে ইয়েমেন থেকে ভারত
,চীন এবং অন্যান্য দেশ তাঁর রাজত্বের অন্তর্ভুক্ত ছিল না। বরং দক্ষিণ ইরানে অবস্থিত ইস্তাখর শহরও তাঁর রাজত্বের অন্তর্ভুক্ত ছিল না। অথচ রেওয়ায়েতসমূহের ভিত্তিতে ইমাম মাহ্দী (আ.)-এর হুকুমত সমগ্র বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত হবে। যার ফলে এমন কোন জনপদ থাকবে না যেখানে মহান আল্লাহর একত্ব এবং মহানবী (সা.)-এর রিসালাতের সাক্ষ্য দেয়া হবে না। আর পৃথিবীর বুকে এমন কোন বিধ্বস্ত অঞ্চলও বিদ্যমান থাকবে না যার পুনর্গঠন ও আবাদ করা হবে না।
আরেকদিকে
,ইমাম মাহ্দীর হাতে যেসব সুযোগ-সুবিধা থাকবে সেগুলো ঐ সব সুযোগ-সুবিধা অপেক্ষা অধিক যেগুলো হযরত সুলাইমান (আ.)-এর আয়ত্তে ছিল। সে সব সুযোগ-সুবিধা মুজিযাস্বরূপ ও মহান আল্লাহর কৃপায় তাঁর হাতে তুলে দেয়া হবে অথবা সেগুলো জ্ঞান-বিজ্ঞানের উন্নতি ও অগ্রগতি এবং প্রাকৃতিক সম্পদ ও সুযোগ-সুবিধাসমূহকে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর কারণে অর্জিত হয়ে থাকবে। তবে রেওয়ায়েতসমূহ ও ইতিহাসবেত্তাদের বক্তব্য অনুসারে কালগত দিক থেকে হযরত সুলাইমান (আ.)-এর রাজত্বকাল প্রায় অর্ধ শতাব্দী স্থাযী হয়েছিল এবং তাঁর মৃত্যুবরণের পর (936 খ্রিস্টপূর্ব) বিচ্যুতি দেখা দেয় এবং তাঁর রাজত্ব ও প্রশাসন ধ্বংস হয়ে যায় এবং আল কুদ্স ও নাবলূস
-এ দু
’
রাজ্যের মধ্যে যুদ্ধ বেঁধে যায়।
যদিও ইমাম মাহ্দী (আ.)-এর জীবদ্দশায় এবং তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর হুকুমতের সময়কালের সাথে সংশ্লিষ্ট রেওয়ায়েতসমূহ বিভিন্ন ধরনের
,তবে যা আমাদের বিশ্বাসে প্রাধান্য পাওয়ার উপযুক্ত তা হচ্ছে
,ইমাম মাহ্দী (আ.)-এর বিশ্বজনীন সরকার পৃথিবীর ধ্বংস হওয়া পর্যন্ত অব্যাহতভাবে চলতে থাকবে। আর তাঁর পর তাঁর সন্তান-সন্ততিগণ যাঁরা তাঁরই আদর্শ ও পথ নিরবচ্ছিন্নভাবে সংরক্ষণ ও অনুসরণ করবেন তাঁরাই শাসনকর্তৃত্ব পাবেন। আর তখন কতিপয় নবী এবং আহলে বাইতের কয়েকজন ইমাম
পুনঃপ্রত্যাবর্তন করবেন এবং তাঁরা এ বিশ্বের পরিসমাপ্তিকাল পর্যন্ত রাজত্ব করবেন ও ইসলামী শাসনব্যবস্থা অব্যাহত রাখবেন।
উচ্চতর জগতে প্রবেশাধিকার প্রাপ্তি
ইমাম সাদিক (আ.) বলেছেন :
“
মহান আল্লাহ্ যূলকারনাইনকে বশীভূত এবং অবাধ্য মেঘদ্বয়ের মধ্যে যে কোন একটি বেছে নেয়ার ইখতিয়ার দিয়েছিলেন এবং তিনি বশীভূত মেঘটি বেছে নেন যার মধ্যে কোন বজ্রনিনাদ ও বিদ্যুত ছিল না। আর তিনি যদি উদ্ধত মেঘকে বেছে নিতেন তাহলে তা তাঁর অধিকারভুক্ত হতো না। কারণ
,মহান আল্লাহ্ এ উদ্ধত মেঘকে আল কায়েম আল মাহ্দীর জন্য বরাদ্দ করেছেন।
এ রেওয়ায়েতে স্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে যে
,ইমাম মাহ্দী (আ.) ঊর্ধ্বাকাশে আরোহণ
,আসমানসমূহের তারকারাজির মাঝে এবং ঊর্ধ্বজগতে গমনাগমন করার জন্য বিভিন্ন প্রকার মাধ্যম এবং বিশেষ উপকরণ ব্যবহার করবেন। যেমন যে মেঘের বজ্রপাত
,গর্জন ও বিদ্যুত আছে তা... এবং তিনি এসব মাধ্যম ব্যবহার করে ঊর্ধ্বাকাশে উড্ডয়ন করবেন। আকাশসমূহ ও পৃথিবীর মাধ্যমগুলো তাঁর ইখতিয়ারে থাকবে।
আর ঠিক একইভাবে এ রেওয়ায়েত থেকে প্রতীয়মান হয় যে
,আমাদের পৃথিবী ছাড়াও সাত আকাশের জগৎ এবং আমাদের পৃথিবীর বাইরের ছয় পৃথিবীতে ইমাম মাহ্দীর উড্ডয়ন সম্পন্ন হবে। আর এ বিষয়টি এতদর্থে নয় যে
,কেবল তিনি নভোযান ও স্পেস শিপ এর মতো মাধ্যম ব্যবহার করবেন
;বরং তাঁর যুগে অবস্থা এমনই হবে যে
,গ্রহ থেকে গ্রহে এবং গ্যালাক্সি থেকে গ্যালাক্সিতে ভ্রমণ হবে আমাদের বর্তমান যুগে এক মহাদেশ থেকে আরেক মহাদেশে ভ্রমণতুল্য।
আর ইমামের বাণী থেকেও প্রতীয়মান হয় যে
,পাঁচটি বসবাসযোগ্য গ্রহ অথবা পাঁচ পৃথিবী অথবা পাঁচ আসমান আছে যেগুলোর অধিবাসীদের সাথে অচিরেই (ইমাম মাহ্দীর শাসনামলে) আমাদের এ পৃথিবীর যোগাযোগ স্থাপিত হবে। বিভিন্ন হাদীস ও রেওয়ায়েত অনুযায়ী আসমানসমূহে অগণিত গ্রহ আছে যেগুলোয় মহান আল্লাহর সৃষ্টিসমূহের বিভিন্ন সমাজ বিদ্যমান। উল্লেখ্য যে
,এসব সৃষ্টি মানুষ
,ফেরেশতা ও জিনদের থেকে ভিন্ন। আর আল্লামা মাজলিসী
‘
বিহারুল আনওয়ার
’
গ্রন্থে এসব রেওয়ায়েতের মধ্য থেকে গুটিকতক রেওয়ায়েত উল্লেখ করেছেন। একইভাবে পবিত্র কোরআনের বেশ কিছু আয়াতও এতদর্থই নির্দেশ করে। যেমন পবিত্র কোরআনের নিম্নোক্ত আয়াতটি :
“
হে জ্বিন ও মানব জাতি! যতি তোমরা ঊর্ধ্বাকাশসমূহ এবং ভূ-গর্ভের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে সক্ষম হও
,তাহলে এ ব্যাপার পদক্ষেপ গ্রহণ কর তো দেখি
;তবে আধিপত্য ও দক্ষতা ব্যতীত তোমরা মহাকাশ সফর অর্থাৎ ঊর্ধ্বাকাশসমূহে উড্ডয়ন এবং পৃথিবীর গভীরে প্রবেশ করতে সক্ষম হবে না।
”
(সূরা রাহমান : 23-24)
অর্থাৎ ইমাম মাহ্দী (আ.)-এর যামানায় অতি সত্বর পৃথিবীর বুকে মানব জীবন এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করবে যা এর পূর্ব পর্যন্ত অতীতকালের মানব জীবন থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন হবে। এখানে এ ব্যাপারে অধিক ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ ও আলোচনার অবকাশ নেই।
আখেরাত ও বেহেশতে প্রবেশের অনুমতি লাভ
যে সব কর্ম তৎপরতা
,আন্দোলন ও গতি আমাদের এ জগতে সেগুলোর নিজস্ব স্থান
-কাল এবং এর মধ্যে যা কিছু আছে তার মধ্যেই সংঘটিত হচ্ছে সেগুলোর মধ্যে বস্তু জগৎ থেকে অবস্তু জগতের দিকে গমন অথবা অবস্তু জগৎ থেকে বস্তুগত জগতের দিকে প্রত্যাবর্তন উল্লেখযোগ্য
।
পবিত্র কোরআন ও ইসলাম ধর্ম এ ব্যাপারে অস্পষ্টতা দূর করে যথোপযুক্ত আলোকপাত করেছে এবং এব্যাপারে গুরুত্বারোপ করে এর সাথে খাপ খওয়ানোর জন্য জোর দিয়েছে
।
এ পরিক্রমণকে মহান আল্লাহর দিকে মানুষের প্রত্যাবর্তন এবং তার সাথে মিলন অথবা উধ্বালোক ও আখেরাতের দিকে গমন বলে অভিহিত করা হয়
।
জাগতিক প্রেক্ষাপটে যেহেতু আমাদের এ জগৎ এবং বিস্তিৃত অদৃশ্যলোকের মধ্যে ঐক্য স্থাপিত হবে সেহেতু পবিত্র কোরআন ও ইসলামে মহান আল্লাহর দিকে মানুষের প্রত্যাবর্তন বা উধ্বলোকে
(আখেরাত
)উত্তোরণকে
‘
কিয়ামত
’
এবং‘
পুনরুত্থান
’
বলে অভিহিত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে
,এ অদৃশ্যলোক আমাদের দৃষ্টির অন্তরালে আছে
।
মানুষের ক্ষেত্রে এ পরিক্রমণ ও গতির চুড়ান্ত বিকাশের পর্যায় হচ্ছে মৃত্যু যা ইসলাম ধর্মের দৃষ্টিতে চিরস্থায়ী বিস্তৃত
(অসীম
)জীবনে প্রবেশ যা কখনো ধ্বংস হবে না
।
আসলে এ ধর্মের দৃষ্টিতে মৃত্যু ধ্বংস নয়
,অথচ এমনটিই আমরা কখনো কখনো ভেবে থাকি
।
আর অস্তিত্ব জগতের ক্ষেত্রে মৃত্যুর চুড়ান্ত বিকাশের পর্যায় হচ্ছে কিয়ামত এবং বস্তু জগৎ ও অদৃশ্য অবস্ত জগতের এক সমান হওয়া
।
পবিত্র কোরআন ও সুন্নাহয় বর্ণিত হয়েছে যে
,কিয়ামত ও পুনরুত্থানের বেশ কিছু ধারাবাহিক পদক্ষেপ ও নিদর্শন আছে যেগুলো পৃথিবী
,আকাশ এবং মানব সমাজে প্রকাশ পাবে ও বাস্তবায়িত হবে
।
বেশ কিছু রেওয়ায়েত থেকে প্রতিয়মান হয় যে
,ইমাম মাহদী
(আ
.)-এর সরকার ও প্রশাসনের ব্যাপারে সবাই একমত যে
,তার হুকুমতের পরে কিয়ামত ও পুনুরুত্থানের নিদর্শনসমূহ শুরু এবং প্রকাশ পেতে থাকবে
।
এখন আমরা দেখব কিভাবে কিয়ামত ও পুনরুত্থান শুরু হবে
।
সম্ভবত উধ্বলোকের উত্তোরণ ও প্রবেশ করার পথ প্রাপ্তির বিষয়টি রেওয়ায়েতসমূহে আলোচনা করা হয়েছে এবং তা ইমাম মাহদীর যুগে বাস্তবায়িত হবে
।
তখন নিঃসন্দেহে আখেরাত ও বেহেশতে ব্যাপকতর প্রবেশ ও উত্তোরণের শুভ সূচনা হবে
।
সুতরাং যে সব রেওয়ায়েতে ইমাম মাহদীর পরে পৃথিবীতে কতিপয় নবী এবং ইমামের রাজআত
(মৃত্যুর পরে কিয়ামতের আগে একদল মৃত ব্যক্তির পৃথিবীতে পুনরুজ্জীবিত হওয়া
)এবং তাদের শাসনের বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে সেগুলো এবং কতিপয় রেওয়ায়েতে যা কিছু রাজায়াত হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে তার কাঙ্ক্ষিত অর্থ হচ্ছে ঠিক এ পর্যায়
।
রাজাআতে বিশ্বাস যদিও ইসলাম ধর্ম ও শিয়া মাযহাবের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত নয় অর্থাৎ রাজায়াতে বিশ্বাস না করার কারণে কোন ব্যক্তি আহলে বাইতে মাযহাব ও ইসলাম ধর্ম থেকে বের হয়ে যায় না
।
কিন্তু রাজায়াত সংক্রান্ত রেওয়ায়ে এত অধিক
এবং বিশ্বাস যোগ্য যে
,তা রাজায়াতে বিশ্বাস করার কারণ হবে।
কতিপয় রেওয়ায়েত অনুসারে রাজআত ইমাম মাহদী
(আ
.)এর হুকুমতের পরে এবং তার পরে এগার জন মাহদীর পরে শুরু হবে
।
কারণ ইমাম সাদিক
(আ
.)বলেছেন
:
“
নিশ্চয় আল কায়েম আল মাহদীর পরে ইমাম হুসাইন
(আ
.)এর বংশধরদের মধ্য থেকে এগার জন মাহদী আসবে
।
”
এখানে আমরা রাজআত সংক্রান্ত কতিপয় রেওয়ায়েত উল্লেখ করব
।
“
যে আল্লাহ আপনার ওপর পবিত্র কোরআনকে ফরয করেছেন তিনি অবশ্যই আপনাকে পূর্বস্থানে ফিরিয়ে আনবেন
”
-পবিত্র কোরআনের এ আয়াতের ব্যাখ্যায় ইমাম যয়নুল আবেদীন
(আ
.)বলেছেন
:
“
তোমাদের নবী
(সা
.)পুনরুজ্জীবিত হয়ে তোমাদের কাছে প্রত্যাবর্তন করবেন
।
”
আবু বাসীর বলেছেন
:
“
ইমাম বাকির
(আ
.)আমাকে বলেছেন
:তাহলে ইরাকবাসী কি রাজআত প্রত্যাখ্যানকারী
?আমি বললাম
“
;হ্যাঁ
।
তিনি বললেন
:তারা কি কোরআন তেলাওয়াত করে না এবং পড়ে না
:
‘
আর সেদিন আমি প্রত্যেক জাতি থেকে
এক দলকে পুনরুজ্জীবি করব’
?
”
আরেকটি রেওয়ায়েতে উপরিউক্ত আয়াত প্রসঙ্গে ইমাম সদিক
(আ
.)কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেছিলেন
:
“
জনগণ এ ব্যাপারে কি বলে
?তখন তিনি বলেছিলেন
:তাদের অভিমত হচ্ছে উপরিউক্ত আয়াত কিয়ামত দিবস প্রসঙ্গে অবতীর্ণ হয়েছে
।
তিনি বললেন
:কিয়ামত দিবসে মহান আল্লাহ প্রত্যেক জাতি থেকে একদলকে পুনরুজ্জীবিত করবেন এবং অবশিষ্টদেরকে তাদের পূর্বাবস্থার ওপর ছেড়ে দেবেন
(তাদেরকে পুনরুজ্জীবিত করবেন না
)!এ আয়াতটি নিঃসন্দেহে রাজাআত প্রসঙ্গে অবতির্ণ হয়েছে এবং কিয়ামতের সাথে সংশ্লিষ্ট আয়াতটি হচ্ছে
:
‘
তাদের সবাইকে আমি পুনরুত্থিত করে একত্রিত করব আর তাদের কাউকে উপেক্ষা করব না এবং
…’
।
”
যুরারাহ বলেন
:
“
রাজাআতের সাথে সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি এবং অন্যান্য ব্যাপারে প্রশ্ন করলাম
।
তিনি আমাকে বললেন
:যে ব্যাপারে তুমি আমাকে জিজ্ঞেস করছ তার সময় এখনো হয় নি
;বরং যে ব্যাপারে তাদের জ্ঞান ছিল না তা তারা প্রত্যাখ্যান করেছে এবং তারা সেগুলোর সঠিক ব্যাখ্যায় উপনীত হয় নি
।
”
কতিপয় রেওয়ায়েতে বর্ণিত হয়েছে যে
,ইমামদের রাজআতের পর মহানবী
(সা
.)-এর রাজআত হবে
।
আর ইমামদের মধ্যে যিনি প্রথম এ পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তন করবেন তিনি হলেন ইমাম হুসাইন
(আ
.)
।
ইমাম জাফর সাদিক
(আ
.)থেকে বর্ণিত হয়েছে
:
“
যিনি প্রথম এ পৃথিবীতে ফিরে আসবেন
(মৃত্যুর পর পুনরুজ্জীবিত হবেন
)তিনিই ইমাম হুসাইন
(আ
.)
।
তিনি এত দিন রাজত্ব করবেন যে
(বার্ধক্যের কারণে
)তার ভ্রু তার চোখের সামনে এসে পড়বে
।
”
ইমাম সাদিক
(আ
.)থেকে আরেকটি রেওয়ায়েত বর্ণিত হয়েছে
:
“
রাজাআত সর্বজনীন বিষয় নয়
;বরং এটি গুটিকতক ব্যক্তির ক্ষেত্রে ঘটবে
।
কারণ
,প্রকৃত সত্যবাদী মুমিন এবং শকতকরা একশ
’
ভাগ মুশরিক
-কাফির ব্যতীত আর কারো রাজআত হবে না।
”