ইমাম মাহদী (আ.)-এর আত্মপ্রকাশ(আসরে যুহুর)

ইমাম মাহদী (আ.)-এর আত্মপ্রকাশ(আসরে যুহুর)0%

ইমাম মাহদী (আ.)-এর আত্মপ্রকাশ(আসরে যুহুর) লেখক:
: মোহাম্মাদ মুনীর হোসেন খান
প্রকাশক: ইসলামী সেবা দপ্তর,কোম,ইরান
বিভাগ: ইমাম মাহদী (আ.)

ইমাম মাহদী (আ.)-এর আত্মপ্রকাশ(আসরে যুহুর)

লেখক: আল্লামা আলী আল কুরানী
: মোহাম্মাদ মুনীর হোসেন খান
প্রকাশক: ইসলামী সেবা দপ্তর,কোম,ইরান
বিভাগ:

ভিজিট: 84950
ডাউনলোড: 10116

পাঠকের মতামত:

ইমাম মাহদী (আ.)-এর আত্মপ্রকাশ(আসরে যুহুর)
বইয়ের বিভাগ অনুসন্ধান
  • শুরু
  • পূর্বের
  • 62 /
  • পরের
  • শেষ
  •  
  • ডাউনলোড HTML
  • ডাউনলোড Word
  • ডাউনলোড PDF
  • ভিজিট: 84950 / ডাউনলোড: 10116
সাইজ সাইজ সাইজ
ইমাম মাহদী (আ.)-এর আত্মপ্রকাশ(আসরে যুহুর)

ইমাম মাহদী (আ.)-এর আত্মপ্রকাশ(আসরে যুহুর)

লেখক:
প্রকাশক: ইসলামী সেবা দপ্তর,কোম,ইরান
বাংলা

ইহুদীদের ওপর চিরস্থায়ী বিজয় লাভ করার ব্যাপারে মহান আল্লাহর প্রতিশ্রুতি

মহান আল্লাহ্ পবিত্র কোরআনে বলেছেন : তোমার প্রভু ঘোষণা করেছেন : তিনি এমন সব ব্যক্তিকে ইহুদীদের ওপর বিজয়ী করবেন যারা কিয়ামত দিবস পর্যন্ত তাদেরকে শাস্তি দেবে । আর মহান আল্লাহ্ই দ্রুত শাস্তি দানকারী । তিনিই ক্ষমাকারী ও দয়ালু । মহান আল্লাহর শাস্তিসমূহের একটি হচ্ছে এই যে ,তাদেরকে পরস্পর বিচ্ছিন্ন করে পৃথিবীতে দলে দলে বিভক্ত করেছেন ,তাদের মধ্যে কেউ কেউ সৎকর্মশীল এবং কেউ কেউ অসৎকর্মশীল । আর আমরা তাদেরকে ভালো ও মন্দ দিয়ে পরীক্ষা করেছি ;সম্ভবত তারা তওবা করে সত্য ও হেদায়েতের পথে প্রত্যাবর্তন করবে । 49

এ দু আয়াতের অর্থ হচ্ছে এই যে ,মহান আল্লাহ্ ঘোষণা করেছেন এবং অবধারিত করে দিয়েছেন যে ,অতি শীঘ্রই তিনি কাউকে ইহুদীদের ওপর কর্তৃত্বশীল করে দেবেন যে কিয়ামত দিবস পর্যন্ত তাদের শাস্তি দেবে । মহান আল্লাহ্ই দ্রুত শাস্তি বিধায়ক এবং তিনিই ক্ষমাকারী ও দয়ালু । ইহুদীদের ব্যাপারে মহান আল্লাহর একটি শাস্তি হচ্ছে এ রকম : পৃথিবীর বুকে তিনি তাদেরকে দলে দলে বিভক্ত এবং একে অপর থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেবেন । তাদের মধ্যকার একদল হবে সৎকর্মশীল এবং অপর দলটি হবে অসৎকর্মশীল ;আর তিনি তাদেরকে ভালো ও মন্দ দিয়ে পরীক্ষা করবেন । এর ফলে আশা করা যায় যে ,তারা তওবা করবে এবং হেদায়েতপ্রাপ্ত হবে ।

হযরত মূসা (আ.) ,হযরত ইউশা (আ.) ,হযরত দাউদ (আ.) এবং হযরত সুলায়মান (আ.)-এর মতো নবীদের শাসনকাল ব্যতীত ইতিহাসের অন্যান্য পর্যায়ে ইহুদীদেরকে শাস্তি দান সংক্রান্ত মহান আল্লাহর ওয়াদা বাস্তবায়িত হওয়ার বিষয়টি প্রত্যক্ষ করি । মহান আল্লাহ্ বিভিন্ন যুগে বিভিন্ন জাতি ও সম্প্রদায়কে ইহুদীদের ওপর কর্তৃত্বশীল করে দিয়েছিলেন যারা তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের শাস্তি দিয়েছে এবং বিভিন্ন ধরনের বেদনাদায়ক নির্যাতনও চালিয়েছে ।

কখনো কখনো বলা হয়ে থাকে যে ,মিশর ,ব্যাবিলন ,গ্রীস ,প্রাচীন পারস্য (ইরান) ,রোমের বাদশাহরা ও অন্যান্যরা ইহুদীদের ওপর কর্তৃত্ব ও আধিপত্য বিস্তার করে তাদেরকে কঠোর শাস্তির স্বাদ আস্বাদন করিয়েছে । কিন্তু মুসলমানরা তাদের সাথে এ ধরনের নিষ্ঠুর আচরণ করেনি ,বরং তারা কেবল তাদের সামরিক শক্তির ওপর বিজয়ী হয়েছিল এবং এরপর বিজয়ী মুসলমানরা ইসলামী হুকুমতের ছায়াতলে ইহুদীদের বসবাস ও জীবন যাপন ,তাদের ধর্মীয় ও সামাজিক স্বাধীনতা এবং যাবতীয় অধিকার ভোগ করার বিষয়টি তাদের জিযিয়া কর প্রদানের বিনিময়ে মেনে নিয়েছিল ।

তবে এর উত্তরে বলতে হয় যে : তাদেরকে নিকৃষ্ট শাস্তির স্বাদ মুসলমানরা আস্বাদন করিয়েছিল এর অর্থ এ নয় যে ,সব সময় তারা তাদেরকে হত্যা অথবা দেশ থেকে বহিষ্কার করেছে অথবা কারাগারে বন্দী করে রেখেছে ঠিক যেমনভাবে ইসলাম-পূর্ব বিভিন্ন শাসকগোষ্ঠী তাদের ওপর বিজয়ী ও কর্তৃত্ব লাভের পর করেছিল । বরং এর অর্থ হচ্ছে ,তারা সামরিক ও রাজনৈতিক দিক থেকে এমন প্রশাসনের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল যাদেরকে মহান আল্লাহ্ তাদের ওপর কর্তৃত্বশীল ও বিজয়ী করেছিল এবং এ ক্ষেত্রে মুসলমানরা ইহুদীদের শাস্তি ও নির্যাতন করার ব্যাপারে অন্যান্য জাতি ও সম্প্রদায়ের চেয়ে অপেক্ষাকৃত কোমল আচরণ ও সহিষ্ণুতা প্রদর্শন করেছে । তবে তারা (বিজয়ী মুসলমানরা) ছিল ইহুদীদের ওপর কর্তৃত্বশীল এবং এটিও তাদেরকে শাস্তি-প্রদানের বাস্তব নমুনা ।

কখনো কখনো বলা হয় যে : ইহুদীদের ইতিহাস তাদের ওপর মহান আল্লাহর (অবিরত শাস্তি প্রদানের) এ ওয়াদা বাস্তবায়নের বিষয়ে সাক্ষ্য দান করে । কিন্তু বর্তমানে এক শতাব্দী অথবা অর্ধ শতাব্দী গত হয়ে যাওয়ার পরও যে ব্যক্তি তাদেরকে শাস্তি দেবে সে তাদের ওপর এখনো কর্তৃত্ব স্থাপন করেনি । উপরন্তু অর্ধ শতাব্দীরও অধিককাল ধরে অর্থাৎ 1936 সাল থেকে ইহুদীরা ফিলিস্তিন ও অন্যান্য অঞ্চলে মুসলমানদের ওপর সবচেয়ে জঘন্য পন্থায় নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে । তাই এ বিষয়কে কিভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে ?

এর জবাব হচ্ছে : ইহুদীদের ইতিহাসের এ অধ্যায়টি আলাদা করে হিসাব করা উচিত । কারণ এটি হচ্ছে তাদের ক্ষমতা ও শক্তি অর্জনের যুগ -যার প্রতিশ্রুতি মহান আল্লাহ্ সূরা ইসরায় দিয়ে বলেছেন : অতঃপর আমরা (যাদেরকে তোমাদের বিরুদ্ধে জয়ী করেছিলাম) তাদের ওপর তোমাদেরকে বিজয়ী করব এবং তোমাদেরকে ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি দেব এবং তাদের সংখ্যার চেয়েও তোমাদের বন্ধু ও হিতাকাঙ্ক্ষীদের সংখ্যা বেশি করে দেব যাতে করে তোমাদের সহযোগিতায় তারা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয় । সুতরাং এ যুগটি ইহুদী জাতির ওপর অন্যদের কর্তৃত্ব ও আধিপত্য বিস্তার সংক্রান্ত সার্বিক অঙ্গীকার থেকে বাইরে । আর এ অবস্থাটি মুসলমানদের হাতে ইহুদী জাতির পুনরায় শাস্তি প্রাপ্ত হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে ।

এক্ষেত্রে পবিত্র ইমামদের থেকে প্রচুর রেওয়ায়েত বর্ণিত হয়েছে যে ,মহান আল্লাহর এ অঙ্গীকারটিও মুসলমানদের হাতেই বাস্তবায়িত হবে । বিশেষ করে এ ব্যাপারে মাজমাউল বায়ান গ্রন্থের রচয়িতা আল্লামা তাবারসী উপরিউক্ত আয়াতের তাফসীরে এ অর্থ ও ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে মুফাসসিরদের ঐকমত্যের কথা উল্লেখ করে বলেছেন : সকল মুফাসসিরের দৃষ্টিতে এ আয়াতের উদ্দেশ্য হচ্ছে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর উম্মত । আর ঠিক এ অর্থ ও ব্যাখ্যাই ইমাম বাকির (আ.) থেকেও বর্ণিত হয়েছে । আলী ইবনে ইবরাহীম কোমী এ অর্থটি তাঁর তাফসীর গ্রন্থে আবীল জারুদের সূত্রে ইমাম বাকির থেকে বর্ণনা করেছেন ।

ইহুদীদের সৃষ্ট যুদ্ধের আগুন নির্বাপিত করা সংক্রান্ত মহান আল্লাহর অঙ্গীকার

মহান আল্লাহ্ পবিত্র কোরআনে বলেছেন : ইহুদীরা বলে ,মহান আল্লাহর হাত বাঁধা । তাদের হাতই বাঁধা হয়ে যাক । আর এ কথা বলার কারণে তারা মহান আল্লাহর রহমত হতে দূরে সরে গেছে । বরং মহান আল্লাহর হস্তদ্বয় উন্মুক্ত ও প্রসারিত এবং তিনি যেভাবে চান সেভাবে দান করেন । ... যা কিছু আপনার প্রভুর পক্ষ থেকে আপনার ওপর অবতীর্ণ হয়েছে তা তাদের অবাধ্যতা ,বিরুদ্ধাচরণ ও কুফরী আরো বাড়িয়ে দেয় এবং আমরা তাদের মাঝে পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত শত্রুতা নিক্ষেপ করেছি । আর যখনই তারা যুদ্ধের আগুন জ্বালিয়েছে ঠিক তখনই মহান আল্লাহ্ তা নির্বাপিত করে দিয়েছেন । তারা পৃথিবীতে ফিতনা সৃষ্টি করার চেষ্টা করে । আর মহান আল্লাহ্ ফিতনা সৃষ্টিকারীদেরকে ভালোবাসেন না । 50

ইহুদীরা যে সব যুদ্ধের আগুন লাগাবে সেগুলো নির্বাপিত করা সংক্রান্ত এই হচ্ছে মহান আল্লাহর ওয়াদা । প্রত্যক্ষভাবে যুদ্ধের আগুন প্রজ্বলিত করার স্বভাব ও মনোবৃত্তি তাদের থাকুক অথবা অন্যদেরকে তারা এ কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করে থাকুক না কেন ,মহান আল্লাহর এ ওয়াদার কোন ব্যতিক্রম নেই । কারণ كلّما أوقدوا অর্থাৎ যখনই তারা যুদ্ধের আগুন লাগাবে -এ বাক্য সহকারে উক্ত আয়াতটিতে মহান আল্লাহর এ অঙ্গীকার বর্ণিত হয়েছে ।

ইহুদীদের অতীত ও বর্তমান ইতিহাস থেকে প্রমাণ পাওয়া যায় যে ,তারা যুদ্ধ ও গোলযোগের আগুন প্রজ্বলিত করার ব্যাপারে সর্বদা চেষ্টা করত । কিন্তু মহান আল্লাহ্ মুসলিম উম্মাহ্ ও মানব জাতির ব্যাপারে তাঁর ওয়াদা বাস্তবায়ন করেছেন ,তাদের নীলনক্সা ও ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দিয়েছেন এবং তাদের প্রজ্বলিত যুদ্ধের আগুনও নির্বাপিত করেছেন । সম্ভবত তাদের সবচেয়ে বৃহত্তম যুদ্ধ ও গোলযোগের আগুন যা তারা মুসলিম উম্মাহ্ ও সমগ্র বিশ্বের বিরুদ্ধে প্রজ্বলিত করেছে তা হচ্ছে বর্তমান কালের যুদ্ধ যার বিস্তৃতি ঘটানোর জন্য তারা প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যকেও উস্কে দিচ্ছে । আর তারা নিজেরাই প্রত্যক্ষভাবে ফিলিস্তিনে এবং পরোক্ষভাবে বিশ্বের অধিকাংশ দেশে বিবাদমান পক্ষ । আর এ যুদ্ধ প্রশমিত করার মাধ্যমে মহান আল্লাহর ওয়াদা বাস্তবায়িত হওয়ার তেমন কিছু বাকী নেই । তবে উল্লিখিত আয়াত থেকেও প্রতীয়মান হয় যে ,তাদের দ্বারা প্রজ্বলিত যুদ্ধের আগুন নির্বাপিত করার একটি পথ হলো তাদের অভ্যন্তরীণ শত্রুতা ও দ্বন্দ্ব-সংঘাত যা মহান আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহের অন্তর্ভুক্ত । এ কথার পক্ষে প্রমাণ হচ্ছে ,উক্ত আয়াতে তাদের মাঝে অন্তর্দ্বন্দ্ব ,সংঘাত ও শত্রুতার বীজ বপন করার পরপরই إطفاءُ النّار অর্থাৎ যুদ্ধের আগুন নির্বাপিত করার কথা উল্লিখিত হয়েছে । যেন প্রজ্বলিত যুদ্ধের আগুন নির্বাপিত করার বিষয়টি তাদের নিজেদের মধ্যে মতবিরোধ ও শত্রুতার উদ্ভব ঘটানোর মধ্যেই বিদ্যমান রয়েছে ।

আর আমরা রোজ কিয়ামত পর্যন্ত তাদের মধ্যে শত্রুতা সৃষ্টি করে দিয়েছি ;আর যখনই তারা কোন যুদ্ধের আগুন প্রজ্বলিত করবে ,মহান আল্লাহ্ তখনই তা নিভিয়ে দেবেন ।

এটি হলো ইহুদীদের ইতিহাসের একটি অংশ মাত্র । ইমাম মাহ্দীর আবির্ভাবের ক্ষেত্রপ্রস্তুতকারীরা নামক গ্রন্থে আমরা পবিত্র কোরআনের যে সব আয়াতে ইহুদীদের ব্যাপারে মহান আল্লাহর অঙ্গীকারত্রয়ের কথা ব্যক্ত হয়েছে সেগুলো ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছি ।

আবির্ভাবের যুগে ইহুদীদের ভূমিকা সংক্রান্ত রেওয়ায়েতসমূহের মধ্য থেকে গুটিকতক রেওয়ায়েত ইহুদীদের অস্তিত্ব বিলুপ্তকারী যুদ্ধ সংঘটিত হওয়ার আগে ফিলিস্তিনে ইহুদীদের আগমন ও বসতি স্থাপন এবং তাদের সে দেশটি জবর দখলের সাথেই সংশ্লিষ্ট । আর এ রেওয়ায়েতগুলো নিম্নোক্ত আয়াতেরও ব্যাখ্যাস্বরূপ । আয়াতটি হলো : আর তার পরে আমরা বনি ইসরাইলকে বললাম : তোমরা পৃথিবীতে বসবাস কর । আর যখন কিয়ামত দিবস ঘনিয়ে আসবে তখন তোমাদেরকে একে অন্যের সাথে মিশ্রিত করে পুনরুত্থিত করব । 51

অর্থাৎ আমরা তোমাদেরকে প্রতিটি প্রান্ত অর্থাৎ এলাকা থেকে অথবা তোমাদের সকলকে একত্রিত করব । আর ঠিক এভাবেই নূরুস সাকালাইন নামক তাফসীর গ্রন্থেও এ বিষয়টি বর্ণিত হয়েছে । আক্কায় তাদের আগমন এবং সেখানে তাদের যুদ্ধের ব্যাপারেও উপরিউক্ত হাদীসটি থেকে এ ধারণা জন্মে । মহানবী (সা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে : তোমরা কি ঐ নগরীর নাম শুনেছ যার খানিকটা অংশ সমুদ্রের ভিতরে । যখন তাঁকে সবাই হ্যাঁ বলল ,তখন মহানবী বললেন : নবী ইসহাক (আ.)-এর বংশধর হতে সত্তর হাজার ব্যক্তি কর্তৃক ঐ শহর আক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত কিয়ামত সংঘটিত হবে না । 52

হযরত আলী (আ.) বলেছেন : আমি মিশরে একটি মিম্বার স্থাপন করে অবশ্যই দামেশক ধ্বংস করব এবং আরবের শহর ও নগরসমূহ থেকে ইহুদীদেরকে বিতাড়িত করব । আর এ লাঠি দিয়েই আমি আরবদেরকে তাড়িয়ে নিয়ে যাব । এ হাদীসটির রাবী (আবায়াহ্ আল আসাদী) বলেন : আমি জিজ্ঞাসা করলাম : হে আমিরুল মুমিনীন! আপনি এমনভাবে বলছেন এবং ভবিষ্যতের খবর দিচ্ছেন যেন আপনি নিশ্চিতভাবে মৃত্যুর পর জীবিত হবেন ? তখন তিনি বললেন , হে আবায়াহ্! তুমি আমাদের পথ হতে ভিন্ন পথ ও মতানুযায়ী কথা বলছ । আমার বংশধারা হতে এক ব্যক্তি (ইমাম মাহ্দী) এ সব কাজ সম্পাদন করবে । 53

এ রেওয়ায়েত থেকে স্পষ্ট হয়ে যায় যে ,ইহুদীরা আরবদের বহু শহর ও নগরের ওপর নিজেদের কর্তৃত্ব ও আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করবে অথবা সে সব শহর ও নগরে তাদের জোর প্রভাব বিস্তারমূলক সক্রিয় উপস্থিতি থাকবে । আর আমরা শামদেশের এবং ইমাম মাহ্দী (আ.)-এর আবির্ভাবের আন্দোলনকেন্দ্রিক ঘটনাবলী বর্ণনা করার সময় সুফিয়ানী ও ইহুদীদের বিরুদ্ধে ইমাম মাহ্দীর যুদ্ধ সম্পর্কে আলোচনা করব ।

রেওয়ায়েতসমূহের মধ্যে ইহুদীদের উপাসনালয় আবিষ্কারের হাদীসটিও আছে । আর উপাসনালয় আবিষ্কার -ইমাম মাহ্দী (আ.)-এর আবির্ভাবের নিদর্শনসমূহের মধ্যে গণ্য হয়েছে । সম্ভবত হযরত সুলাইমান (আ.)-এর উপাসনালয়ই আবিষ্কৃত হবে । ইমাম আলী (আ.) থেকে বর্ণিত হয়েছে : ইমাম মাহ্দী (আ.)-এর আবির্ভাবের বেশ কিছু নিদর্শন আছে । নিদর্শনগুলো হচ্ছে : গোপনে ওঁৎ পাতা এবং পাথর নিক্ষেপ করার মাধ্যমে কুফা নগরীকে অবরুদ্ধ করা ,কুফার রাস্তা ও অলিগলির বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরা ,40 দিবারাত্রি মসজিদসমূহ বন্ধ রাখা (নামায পড়তে না দেয়া) ,উপাসনালয় আবিষ্কার এবং বড় মসজিদের (মসজিদুল হারাম) চারপাশে পতাকাসমূহের পত্পত্ করে ওড়া । এ যুদ্ধের হত্যাকারী ও নিহত উভয়ই জাহান্নামী হবে । 54

তবে ইমাম মাহ্দী (আ.)-এর আবির্ভাবের ক্ষেত্র প্রস্তুতকারীদের পক্ষ থেকেও ইমাম মাহ্দীর আবির্ভাবের একটু আগে উপাসনালয়টি আবিষ্কৃত হতে পারে । কারণ রেওয়ায়েতে উল্লিখিত হয় নি যে ,কে সেটি আবিষ্কার করবে । ঠিক একইভাবে তা কোন ঐতিহাসিক নিদর্শনও হতে পারে যা হযরত সুলাইমান (আ.) কর্তৃক নির্মিত উপাসনালয় হতে ভিন্ন কিছু এবং বাইতুল মুকাদ্দাসে না হয়ে অন্য কোন স্থানে তা অবস্থিত । কারণ , উপাসনালয় আবিষ্কার -এ কথাটি কোন শর্ত ছাড়াই উল্লিখিত হয়েছে ।

এ রেওয়ায়েতের প্রথম দিকে কুফা নগরীর যুদ্ধাবস্থার কথা উল্লিখিত হয়েছে । আর অন্যান্য রেওয়ায়েতে কুফার পরিবর্তে ইরাকের যুদ্ধাবস্থার কথা উল্লিখিত হয়েছে । কিন্তু এ রেওয়ায়েত কুফা নগরী অবরোধ ,সেখানে প্রস্তর নিক্ষেপ এবং এ নগরীর অলি-গলি ও মহাসড়কসমূহে প্রতিরক্ষাব্যূহ নির্মাণ অর্থেই হবে । তবে মসজিদুল হারামের চারপাশে বিভিন্ন ধরনের পতাকা হিজাযের কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে সে দেশের গোত্রসমূহের সংঘর্ষ ও দ্বন্দ্ব সংঘাতের দিকেই ইঙ্গিত দান করে যা ইমাম মাহ্দী (আ.)-এর আবির্ভাবের সামান্য আগ দিয়ে সংঘটিত হবে । আর এ ব্যাপারে প্রচুর রেওয়ায়েত বিদ্যমান ।

আরো কিছু রেওয়ায়েত আছে যেগুলোতে ঐ সব ব্যক্তির নাম স্পষ্টভাবে উল্লিখিত হয়েছে যাঁদেরকে মহান আল্লাহ্ ইহুদীদের ফিতনা সৃষ্টি এবং আধিপত্য বিস্তারের পর তাদের ওপর কর্তৃত্বশীল ও বিজয়ী করে দেবেন । এ সব রেওয়ায়েতের মধ্যে গুটিকতক রেওয়ায়েত পবিত্র কোরআনের আয়াতসমূহ ব্যাখ্যা করার জন্য বর্ণনা করা হয়েছে এবং কতিপয় রেওয়ায়েত আবির্ভাবকালে ইরান ও ইরানী নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ সংক্রান্ত । যেমন : কালো পতাকাসমূহের রেওয়ায়েত যা অর্থগতভাবে মুতাওয়াতির সূত্রে বর্ণিত । খোরাসান থেকে কালো পতাকাসমূহ বের হবে পবিত্র কুদসে (বাইতুল মুকাদ্দাস) পত্পত্ করে ওড়া পর্যন্ত কোন কিছুই সেগুলোকে প্রতিহত ও ফিরিয়ে রাখতে সক্ষম হবে না ।

ইমাম মাহ্দী (আ.) কর্তৃক শাম ,ফিলিস্তিন ও তাবারীয়ার হ্রদের নিকট অবস্থিত একটি পাহাড় এবং আনতাকীয়ার গুহা থেকে প্রকৃত তাওরাত উদ্ধার এবং উদ্ধারকৃত ঐ তাওরাতের মাধ্যমে ইহুদীদের কাছে [ইমাম মাহ্দী (আ.) কর্তৃক] যুক্তি ও দলিল-প্রমাণ উপস্থাপন সংক্রান্ত রেওয়ায়েতসমূহও এ সব রেওয়ায়েতেরই অন্তর্ভুক্ত ।

মহানবী (সা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে : তাওরাত ও ইঞ্জিল এমন এক স্থান থেকে উদ্ধার করা হবে যা আনতাকীয়াহ্ নামে পরিচিত । 55

মহানবী (সা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে : (পবিত্র সিন্দুকটি) আনতাকিয়াস্থ একটি গুহা থেকে এবং তাওরাতের অধ্যায়সমূহ (পাণ্ডুলিপি) শামের একটি পাহাড় থেকে বের করে আনা হবে । আর ঐ গ্রন্থের মাধ্যমে ইহুদীদের কাছে যুক্তি ও দলিল-প্রমাণ পেশ করা হবে । আর পরিশেষে তাদের মধ্য থেকে অনেকেই ইসলাম গ্রহণ করবে । 56

মহানবী (সা.) থেকে বর্ণিত : তার দ্বারাই তাবারীয়ার হ্রদ হতে পবিত্র সিন্দুক উদ্ধার কাজ শুরু হবে । ঐ সিন্দুকটি বাইতুল মুকাদ্দাসে আনা হবে এবং তার সামনে রাখা হবে । আর যখন ইহুদীরা তা দেখবে তখন তাদের মধ্য থেকে কতিপয় ব্যক্তি ব্যতীত সবাই ঈমান আনবে । 57

আর প্রশান্তির ঐ তাবূত (সিন্দুক) সম্পর্কে মহান আল্লাহর বাণীতেও বর্ণিত হয়েছে : তাদের নবী বললেন : তার রাজত্ব ও বাদশাহীর নিদর্শন হচ্ছে ,তোমাদের কাছে একটি তাবূত আসবে যার মধ্যে আছে তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে প্রশান্তি এবং যা কিছু মূসার বংশধর এবং হারূনের বংশধররা রেখে গেছে সেগুলো । ঐ তাবূত ফেরেশতারা বহন করে আনবে ,আসলে এর মধ্যে আছে তোমাদের জন্য মু জিযা ও দলিল-প্রমাণ । 58

উপরিউক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় বর্ণিত হয়েছে যে ,উক্ত পবিত্র সিন্দুক যার মধ্যে মহান নবীদের উত্তরাধিকার বিদ্যমান এবং লিখিত রয়েছে কোন্ ব্যক্তি নেতৃত্ব ও শাসন-কর্তৃত্বের জন্য উপযুক্ত । এ কারণেই উক্ত সিন্দুক বনি ইসরাইলের জন্য এক বিরাট নিদর্শন এবং ফেরেশতারা তা এনে বনি ইসরাইলের মাঝ দিয়ে হযরত তালূত (আ.)-এর সামনে উপস্থিত করেন । এরপর তালূত (আ.) তা হযরত দাউদ (আ.)-এর কাছে ,তিনি হযরত সুলাইমান (আ.)-এর কাছে এবং তিনি তাঁর প্রতিনিধি ও স্থলাভিষিক্ত আসিফ ইবনে বারখিয়া (আ.)-এর কাছে অর্পণ করেছিলেন । আর হযরত সুলাইমান (আ.)-এর পর বনি ইসরাইল যেহেতু তাঁর (স্থলাভিষিক্তের) আনুগত্য করে নি এবং আরেক জনের আনুগত্য করেছিল ,সেহেতু তারা সিন্দুকটি হারিয়ে ফেলে ।

فيسلم كثير منهم (অতঃপর তাদের মধ্য থেকে অনেকেই ইসলাম গ্রহণ করবে) অথবা

 أسلمت إلا قليلا منهم (তাদের মধ্য থেকে গুটিকতক লোক ব্যতীত সবাই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করবে) -এ বাক্যগুলোর অর্থ ঐ সব ইহুদী হতে পারে যারা পবিত্র সিন্দুক দেখবে অথবা যে সব ব্যক্তির কাছে ইমাম মাহ্দী (আ.) তাওরাতের মাধ্যমে যুক্তি প্রমাণ পেশ করবেন তারা । তা ছাড়া ফিলিস্তিন মুক্তকরণ এবং পরাজিত হবার পরও যে সব ইহুদীকে সেখানে বসবাস করার জন্য ইমাম মাহ্দী (আ.) অনুমতি দেবেন তারাও হতে পারে ।

আরেকটি রেওয়ায়েতে বর্ণিত হয়েছে যে ত্রিশ হাজার ইহুদী তাঁর প্রতি ঈমান আনবে যাদের সংখ্যা সমগ্র ইহুদী জনসংখ্যার তুলনায় নগণ্য ।

এ সম্পর্কিত অন্যান্য রেওয়ায়েতগুলি ইহুদীদের সাথে ইমাম মাহ্দী (আ.)-এর আবির্ভাবের ক্ষেত্র প্রস্তুতকারীদের যুদ্ধ এবং আরব উপদ্বীপ থেকে ইমাম মাহ্দী কর্তৃক তাদেরকে বহিষ্কার করার সাথে সংশ্লিষ্ট । যে রেওয়ায়েতটি পূর্বে বর্ণিত হয়েছে সেই রেওয়ায়েতটিতে যে ইহুদীদের অনেকের আত্মসমর্পণের কথা বলা হয়েছে তা তাদের ওপর বিজয় এবং তাদেরকে ফিলিস্তিন থেকে বহিষ্কার করা ব্যতীত সম্ভব হবে না । আর অন্যদিকে ইমাম মাহ্দী (আ.)-এর বৃহৎ যুদ্ধের সাথে সংশ্লিষ্ট রেওয়ায়েতসমূহও বিদ্যমান । উল্লেখ্য যে ,এ যুদ্ধে তাঁর প্রতিপক্ষ সরাসরি সুফিয়ানী এবং তার ইহুদী ও রোমীয় পৃষ্ঠপোষক ও মিত্ররা হবে । আর এ যুদ্ধের বিস্তৃতি আনতাকিয়া থেকে আক্কা পর্যন্ত অর্থাৎ সিরিয়া-লেবানন-ফিলিস্তিনের সমুদ্র উপকূল বরাবর প্রসারিত হবে । এরপর এ যুদ্ধ তাবারিস্তান ,দামেশক ও আল কুদ্স পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়বে ও অব্যাহত থাকবে । তাদের (ইহুদীদের) প্রতিশ্রুত চরম পরাজয় সেখানে বাস্তবায়িত হবে এমনভাবে যে ,পাথর ও গাছ পর্যন্ত চিৎকার করে বলতে থাকবে : হে মুসলমান! যে ব্যক্তি আমার পেছনে লুকিয়ে আছে সে ইহুদী ;অতএব ,তাকে হত্যা কর । আমরা এ বিষয়টি ইমাম মাহ্দী (আ.)-এর আবির্ভাবের আন্দোলনের ঘটনাবলী সংক্রান্ত অধ্যায়ে আলোচনা করব ।

পূর্বোল্লিখিত হাদীসসমূহের মধ্যে মারজ আক্কার যুদ্ধ সংক্রান্ত রেওয়ায়েতসমূহও আছে । আর এ যুদ্ধ পূর্ববর্তী বৃহৎ যুদ্ধের একটি অংশ মাত্র ;কিন্তু যে সম্ভাবনাটি অধিক তা হচ্ছে এই যে ,এ যুদ্ধ আসলে পাশ্চাত্য এবং তাদের ইহুদী সমর্থক ও পৃষ্ঠপোষকদের সাথে মাহ্দী (আ.)-এর দ্বিতীয যুদ্ধেরই একটি অংশ হবে -যা ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা এবং পাশ্চাত্য ও ইহুদীদের পরাজয় দু তিন বছর গত হওয়ার পরেই সংঘটিত হবে । রেওয়ায়েতসমূহের ভাষ্য অনুযায়ী ,এ যুদ্ধের পর ইমাম মাহ্দী (আ.) রোমীয়দের সাথে সাত বছর মেয়াদী যুদ্ধবিরতি ও শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করবেন ।

সম্ভবত হযরত ঈসা (আ.) এ চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হওয়ার ব্যাপারে মধ্যস্থতা করবেন । কিন্তু পাশ্চাত্য চুক্তি স্বাক্ষরের দু বছর পরে তা ভঙ্গ করবে এবং আশি ডিভিশন সৈন্য নিয়ে ইমাম মাহ্দীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হবে । আর এটি হবে সর্ববৃহৎ যুদ্ধ । এ যুদ্ধে মহান আল্লাহর অগণিত শত্রু নিহত হবে ।

রেওয়ায়েত ও হাদীসে এ যুদ্ধ মহাবীরত্ব মারজ আক্কার দস্তরখান বলে উল্লিখিত হয়েছে । অর্থাৎ সেটি হবে এমন এক দস্তরখান যেখানে ভূ-পৃষ্ঠের জীব-জন্তু এবং আকাশের পাখিগুলো অত্যাচারীদের মাংস ভক্ষণ করবে । ইমাম সাদিক (আ.) এতদপ্রসঙ্গে বলেছেন ,সত্তর হাজার মুসলমানের তাকবীর ধবনিতে রোম (পাশ্চাত্য) বিজিত হবে । এমতাবস্থায় মারজ আক্কায় মহাবীরত্বসূচক ঘটনা এবং মহান আল্লাহর দস্তরখান সবার দৃষ্টিগোচর হবে । সেখানে অত্যাচারীরা ধ্বংস হবে এবং তাদের অন্যায়ের অবসান ঘটবে । 59

এ সম্পর্কিত হাদীসগুলোর মধ্যে ইমাম মাহদী (আ.)-এর যুগে আক্কা শহরের সামরিক অবস্থান ও গুরুত্ব সংক্রান্ত হাদীসসমূহও বিদ্যমান । হযরত মাহ্দী (আ.) ইউরোপ দখল করার জন্য ঐ শহরকে নৌঘাঁটি হিসাবে ব্যবহার করবেন ।

রেওয়ায়েতে বর্ণিত হয়েছে : ইমাম মাহ্দী (আ.) আক্কার সমুদ্র উপকূলে চারশ যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করবেন এবং নিজ সঙ্গী-সাথীদের নিয়ে রোমীয়দের ভূ-খণ্ড অভিমুখে যাত্রা করবেন এবং তা পদানত করবেন । 60

ইমাম মাহ্দী (আ.)-এর আবির্ভাবের ঘটনাবলী বর্ণনা করার সময় এতৎসংক্রান্ত বিস্তারিত আলোচনা করা হবে ।

ইহুদী জাতির সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

এ সংক্ষিপ্ত ইতিহাসে হযরত মূসা (আ.)-এর যুগ থেকে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর যুগ পর্যন্ত ইহুদী জাতির একটি সার্বিক রাজনৈতিক অবস্থা চিত্রিত হয়েছে । আমরা নিকট প্রাচ্যের গীর্জাসমূহের সংঘ কর্তৃক প্রকাশিত পবিত্র বাইবেল বা কিতাব-ই মুকাদ্দাসের অভিধান নামক গ্রন্থ এবং মরহুম মুহাম্মদ ইয্যাত দ্রুযেহ্ প্রণীত ইহুদীদের গ্রন্থসমূহের ভিত্তিতে তাদের ইতিহাস -এ দু গ্রন্থের ভিত্তিতে আমরা তাদের এ সংক্ষিপ্ত ইতিহাস রচনা করেছি । এ দীর্ঘ সময়ে ইহুদী জাতির ইতিহাস দশ পর্যায়ে বিভক্ত । যথা-

1. হযরত মূসা (আ.) ও ইউশা (আ.)-এর যুগ ( খ্রি.পূ. 1270-1130)

2. বিচারকদের যুগ (খ্রি.পূ. 1110-1025)

3. হযরত দাউদ ও হযরত সুলাইমান (আ.)-এর যুগ (খ্রি.পূ. 1025-931)

4. অভ্যন্তরীণ বিভক্তি ও দ্বন্দ্ব-সংঘাতের যুগ (খ্রি.পূ. 901-859)

5. আশুরীয়দের আধিপত্য ও কর্তৃত্বের যুগ (খ্রি.পূ. 859-611)

6. ব্যাবিলনীয়দের কর্তৃত্ব ও আধিপত্যের যুগ (খ্রি.পূ. 597-611)

7. ইরানীদের আধিপত্য ও কর্তৃত্বের যুগ (খ্রি. পূ. 539-331)

8. গ্রীকদের আধিপত্য ও কর্তৃত্বের যুগ (খ্রি.পূ. 331-64)

9. রোমীয়দের আধিপত্য ও কর্তৃত্বের যুগ (খ্রি.পূ. 64-618 খ্রি.)

10. ইসলাম ও মুসলমানদের শাসন কর্তৃত্বের যুগ (খ্রি. 618-1925)