ইমাম আসকারী (আ.)-এর কিছু বাণী
1
«
عَلَيْكَ بِالْاَقْتِصادِ وَ اِياَّكَ وَ الْاِسْرافَ»
মিতব্যয়ী হও এবং অপচয় ও অপব্যয় করো না।
ইমাম যখন ছোট ছিলেন এক ব্যক্তি দেখলেন কিছু ছেলে খেলাধুলায় মগ্ন আর ইমাম পাশে বসে কাঁদছেন। লোকটি ভাবলেন হয়তো অন্যান্য ছেলেদের মত খেলাধুলা করতে পারছে না বলে ইমাম কাঁদছেন। জিজ্ঞেস করলেন : তোমাকে কি কিছু খেলনা কিনে দেব ?
ইমাম
বললেন :
يا قَليلَ الْعَقْلِ ما لِلَّعِبِ خُلِقْنا
হে
অল্প
বিদ্যার
অধিকারী
,আমাদেরকে
খেলাধুলার
জন্য
সৃষ্টি
করা
হয়
নি।
লোকটি
জিজ্ঞেস
করলো :
তাহলে
কিজন্য
সৃষ্ট
হয়েছো ?
বললেন :لِلْعِلْمِ وَ الْعِبادَةِ
জ্ঞানার্জন ও ইবাদতের জন্য।
জিজ্ঞেস করলো : একথা কোথায় পেয়েছো ?
বললেন : মহান আল্লাহর বাণী থেকে। যেমন কোরআনে উল্লিখিত আছে :
اَفَحَسِبْتُمْ انَّما خَلَقْناكُمْ عَبَثاً وَ اَنَّكُمْ اِلَيْنا لاَ تُرْجَعُونَ
আমরা কি তোমাদেরকে অনর্থক সৃষ্টি করেছি এবং তোমরা কি আমাদের নিকট কি প্রত্যাবর্তন করবে না।
2لاَ تُمارِ فَيَذْهَبُ بَهاَؤُكَ وَ لاَ تُمازِحْ فَيُجْتَرَئُ عَلَيْكَ
ঝগড়াঝাটি করো না তাহলে মানসম্মান থাকবেনা , ঠাট্টা করো না তাহলে অন্যরা সাহস পেয়ে যাবে।
3مِنَ التَّواضُعِ السَّلامُ عَلَى كُلِّ مَنْ تَمُرُّبِهِ وَ الْجُلُوسُ دُونَ شَرَفِ الْمَجْلِس
সবাইকে (যার সাথেই দেখা হোক ) সালাম করা এবং সভা সমাবেশের নিচে ও পিছনে বসা বিনয় ও নম্রতার লক্ষণ।
4اِذا نَشَطَتِ الْقُلُوبُ فَاَوْدِعُوها وَ اِذا نَفَرَتْ فَوَدِّعُوها
যখন মন উৎফুল্ল থাকে তখন জ্ঞানার্জন কর , আর যখন বিষণ্ন থাকে তখন বিরত থাকো।
5لَيْسَ مِنَ الْاَدَبِ اِظْهارُ الْفَرَحِ عِنْدَ الْمَحْزُونِ
শোকার্ত লোকের সামনে আনন্দ উল্লাস প্রকাশ করা অভদ্রতার লক্ষণ।
6اَلتَّواضُعُ نِعْمَةُ لاَ يُحْسَدُ عَلَيْها
বিনয় এমন এক নিয়ামত যে , বিনয়ীর প্রতি কেহই ঈর্ষা করে না।
7مَنْ وَعَظَ اَخاهُ سِرّاً فَقَدْ زانَهُ وَ مَنْ وَعَظَهُ عَلانِيَةً فَقَدْ شانَهُ
যে ব্যক্তি কাউকে গোপনে উপদেশ দেয় সে তাকে অলংকৃত করলো , আর যে ব্যক্তি সকলের সামনে প্রকাশ্যে তার সমালোচনা করলো (উপদেশ দিলো ) শুধু তার বদনামই করলো সংশোধন করতে পারলো না।
8كَفاكَ اَدَباً لِنَفْسِكَ تَجَنُّبُكَ ما تَكْرَهُ مِنْ غَيْرِكَ
অন্যের যে কাজ তোমার অপছন্দ যদি তা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পার তাই তোমার আত্মশুদ্ধির জন্য যথেষ্ট।
9حُسْنُ الصُّورَةِ جمالٌ ظاهِرٌ وَ حُسْنُ الْعَقْلِ جَمالٌ باطِنٌ
চেহারার সৌন্দর্য কেবলমাত্র বাহ্যিক কিন্তু জ্ঞানের সৌন্দর্য অন্তরেও বিদ্যমান।
10اِنَّ الْوُصُولَ اِلىَ اللَّهِ عَزَّوَجَلَّ سَفَرٌ لاَ يُدْرِكُ اِلاَّ بِاسْتِطاءِ اللَّيْلِ
আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ করতে হলে এমন এক সফর করতে হবে যেখানে রাত্রি জাগরণ ব্যতীত বিকল্প কোন রাস্তা নেই।
11جُعِلَتِ الْخَبائِثُ فِي بَيْتٍ وَ الْكِذْبُ مِفاتيحُها
অপবিত্রতাসমূহ একটি ঘরে একত্রিত করা হয়েছে যাদের চাবি হচ্ছে মিথ্যা।
12اِنَّ لِلْجُودِ مِقْداراً فَاِذا زادَ عَلَيْهِ فِهوَ سَرَفٌ
দান করারও একটা পরিমান আছে যদি তা লংঘন করা হয় তা হবে অপচয়।
13وَ اِنَّ لِلْحَزْمِ مِقْداراً فَاِذا زادَ عَلَيْهِ فَهُوَ جُبْنٌ
সংযমেরও একটা সীমা আছে যদি তা অতিক্রম করা হয় তাহলে তা ভীতি বলে গণ্য।