একজন মুসলিম নারীর অবশ্যই যা জানা প্রয়োজন

একজন মুসলিম নারীর অবশ্যই যা জানা প্রয়োজন0%

একজন মুসলিম নারীর অবশ্যই যা জানা প্রয়োজন লেখক:
: মীর আশরাফ-উল-আলম
প্রকাশক: আল মুস্তাফা (সা.) আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়, কোম-ইরান
বিভাগ: নারী বিষয়ক

একজন মুসলিম নারীর অবশ্যই যা জানা প্রয়োজন

লেখক: মীর আশরাফ-উল-আলম
: মীর আশরাফ-উল-আলম
প্রকাশক: আল মুস্তাফা (সা.) আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়, কোম-ইরান
বিভাগ:

ভিজিট: 42954
ডাউনলোড: 4671

পাঠকের মতামত:

একজন মুসলিম নারীর অবশ্যই যা জানা প্রয়োজন
বইয়ের বিভাগ অনুসন্ধান
  • শুরু
  • পূর্বের
  • 87 /
  • পরের
  • শেষ
  •  
  • ডাউনলোড HTML
  • ডাউনলোড Word
  • ডাউনলোড PDF
  • ভিজিট: 42954 / ডাউনলোড: 4671
সাইজ সাইজ সাইজ
একজন মুসলিম নারীর অবশ্যই যা জানা প্রয়োজন

একজন মুসলিম নারীর অবশ্যই যা জানা প্রয়োজন

লেখক:
প্রকাশক: আল মুস্তাফা (সা.) আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়, কোম-ইরান
বাংলা

18- বেপর্দা ও সঠিক পর্দা না করা নারীর মূল্য মাটির থেকেও কম :

ইমাম সাদিক (আ.) বলেছেন :

ﺍﻟﺬﻫﺐ ﻭ ﺍﻟﻔﻀﺔ، ﻫﻰ خیر ﻣﻦ ﺍﻟﺬﻫﺐ ﻭ ﺍﻟﻔﻀﺔ ﻭ ﺍﻣﺎ ﻃﺎﳊﺘﻬﻦ ﻓﻠﻴﺲ ﺧﻄﺮﻫﺎ ﺍﻟﺘﺮﺍﺏ، ﺍﻟﺘﺮﺍﺏ خیر ﻣﻨﻬﺎ

নারীর কোন মূল্য নেই , না ভালদের আর না মন্দদের । তবে যারা ভাল তাদের মূল্য স্বর্ণ ও রৌপ্যের সাথে তুলনা যোগ্য নয় , কেননা তারা সেগুলোর থেকেও অনেক বেশী উত্তম । আর যারা মন্দ তারা মাটির সমতূল্য নয় কেননা মাটি তাদের থেকে অনেক উত্তম ।124

এই হাদীসটি এ কথাই বলতে চায় যে , নৈতিক মানদন্ডে নারীর মূল্য আছে এবং তার মর্যাদা এই পৃথিবীর কোন বস্তুর সাথে তুলনা করা সম্ভব নয় । তবে এটা তো প্রকৃতিগত ব্যাপার যে , সমাজে যে যতটা বেশী ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে ততটা বেশী নেতিবাচক ও ধ্বংসাত্মক ভূমিকাও সেই রাখতে পারে । তাই সমাজে যে যত বেশী ভাল ভুমিকা রাখতে পারবে সে ততবেশী সম্মান ও মর্যাদায় ভূষিত হবে । আর যে যত বেশী মন্দ ভূমিকা রাখবে সে ততবেশী তিরস্কৃত হবে ।

ইমাম সাদিক (আ.) বলেছেন : পবিত্র নারী স্বর্ণ ও রৌপ্যের থেকেও উত্তম । কেননা উত্তম সন্তান গড়ে তোলার যে দায়িত্ব নারীর উপর রয়েছে সে যদি ঐ দায়িত্ব পরিপূর্ণভাবে পালন করে তবে সমাজের প্রতিটি শিশুকে বিশিষ্ট ব্যক্তি রূপে গড়ে তোলা সম্ভব যার দ্বারা এ পৃথিবীকেও পরিবর্তন করা সম্ভব । তাই যে নারী একটি শিশুকে যোগ্যভাবে গড়ে তুললো সে নারীর মূল্য স্বর্ণ ও রৌপ্যের সাথে তুলনা করা যায় না । অন্য দিকে , যদি খোদাভীতিশূন্য কোন নারী সমাজকে ফিতনা-ফ্যাসাদের দিকে নিয়ে যায় এবং সমাজের সকলকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয় তাহলে সে অন্য সকল প্রাণীর থেকে অধম । তাকে মাটি বা কোন পশুর সাথেও তুলনা করা যায় না । কেননা মাটি , প্রাণী ও গাছ-পালা তো সমাজের উপকার করে থাকে । কিন্তু যে সমাজকে নবীগণ (আ.) , সৎ মানুষ ও শহীদগণ তাদের বুকের তাজা রক্ত দিয়ে সাজিয়েছেন ঐ অধম নারী সে সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে ।

19- বে-পর্দা ও সঠিক পর্দা না করা নারীরা হচ্ছে শয়তানের চোখের জ্যোতি :

ইবলিস সকল নবীর নিকটে যেত । তবে নবীদের মধ্যে হযরত ইয়াহিয়া (আ.)-এর কাছে বেশী যেত । একদিন তিনি তাকে প্রশ্ন করলেন যে , কিভাবে মানুষকে পথভ্রষ্ট কর ? ততক্ষণাৎ ইবলিস তার পথভ্রষ্ট করার উপকরণগুলো গুণতে শুরু করলো । তারপর তিনি তার কাছে প্রশ্ন করলেন :

এই উপকরণগুলোর মধ্যে কোনটি তোমার চোখ ও অন্তরকে আলোকিত করে ? শয়তান বলল : নারী , তারাই হচ্ছে আমার শিকারের উত্তম স্থান ও ফাঁদ স্বরূপ যখন বেশী সংখ্যায় ভাল মানুষকে পথভ্রষ্ট করতে চাই তখন নারীদের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে থাকি । আর তাদের মাধ্যমেই আমার চোখ ও অন্তর আলোকিত করে থাকি ।125

দ্রষ্টব্য:

1- এই হাদীস থেকে এটা বুঝা যায় যে , মানুষের দূর্ভাগ্যের কারণ হচ্ছে তাকওয়াহীন নারী । যা অতীতেও ইতিহাস সাক্ষ্য দিয়েছে ।

আর এই যে , শয়তান বলেছে : (ভাল ও উত্তম মানুষকে পথভ্রষ্ট করার জন্য নারীদেরকে ব্যবহার করে থাকি) এর দ্বারা এটা বুঝা যায় যে , তাকওয়াহীন নারী ঈমানদার ব্যক্তির জন্য বিশেষ হুমকি স্বরূপ । আর এটা মুত্তাকিদের জন্যও বিপদ সংকেত হতে পারে যাদের কিনা বিন্দু মাত্র সময়ের জন্যও আল্লাহ তা ’ য়ালার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন হয় না ।

বিবেকও সমাজের দৃষ্টিতে বেপর্দা ও কঠিনভাবে পর্দা না করার কঠিন পরিণতি

বে - পর্দায় থাকা বা সঠিকভাবে পর্দা না করা নারী স্বামীর অধিকারকে নষ্ট করে :

আল্লাহ্ তা ’ য়ালা শরীরের সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে আমাদের কাছে আমানত হিসেবে দিয়েছেন । এগুলোর প্রকৃত মালিক হচ্ছেন তিনিই । যখন কোন নারীর বিয়ে হয়ে যায় তখন তার দেহ , মন ও সাজসজ্জা সব কিছুই স্বামীর সাথে সম্পর্কিত হয়ে যায় । আর তা সর্বসাধারণের সামনে উপস্থাপন করা তার জন্য কখনই বৈধ নয় ।

রাসূল (সা.) বলেছেন :

যে নারী নিজেকে তার স্বামী ব্যতীত অন্য কারো জন্যে সুগন্ধিযুক্ত ও সাজসজ্জা করে , আল্লাহ তা ’ য়ালা তার নামাযকে ততক্ষণ পর্যন্ত কবুল করেন না — যতক্ষণ পর্যন্ত না সে জানাবাতের গোসলের (শারীরিক অপবিত্রতাজনিত বিশেষ গোসল) ন্যায় গোসল করে (যদিও এটি মুস্তাহাব গোসল হিসেবে গণ্য) ।126

বে-পর্দায় থাকা বা সঠিকভাবে পর্দা না করা নারী স্বামীর অন্তর জয় করতে পারে না :

যে নারীর লজ্জা যত বেশী সে তার স্বামীর উপর তত বেশী অধিকার রাখে । আর যে নারীর লজ্জা-শরমের কোন বালাই নেই এবং আল্লাহকে ভয় করে না সে তার স্বামীর আদর-ভালবাসা অর্জন করতে পারে না ।

বে - পর্দায় থাকা বা সঠিকভাবে পর্দা না করা নারীরা জ্ঞান অর্জনেও সফল নয় :

যে নারী যত বেশী শালীন , সে লেখা-পড়াতেও তত বেশী সফল । কেননা জ্ঞান অর্জনের জন্য প্রয়োজন হয় স্থির মস্তিস্কের , তাই যে নারী বা মেয়ে সকল সময় নিজেকে অন্যের সামনে উপস্থাপন করার জন্য ব্যস্ত থাকে । প্রতিনিয়ত অন্যদের আকর্ষণ করার লক্ষ্যে নিজেকে বিভিন্ন রূপে সাজিয়ে থাকে । যেহেতু লেখা-পড়ায় সে ভালভাবে মনোযোগ দিতে পারে না তাই জ্ঞান অর্জনে সফল হতে পারে না ।

বে-পর্দায় থাকা বা সঠিকভাবে পর্দা না করা নারী এ অপছন্দনীয় কাজের মাধ্যমে নিজের অনেক ক্ষতি সাধন করে থাকে :

এর কারণ হলো সে তার সৌন্দর্য্যকে না - মাহরাম বা বেগানা মানুষদের সামনে উপস্থাপন করে । সে তার এ কাজের মাধ্যমে কোন হৃদয়সমূহকে আকর্ষণ করে ? অবশ্যই বলতে হয় : উক্ত কাজের মাধ্যমে সে নষ্ট যুবক , চরিত্রহীন খারাপ প্রকৃতির লোকদের হৃদয়কে আকর্ষণ করে । প্রকৃত মুসলমান ও মু মিন ব্যক্তিগণ এ সব কাজের প্রতি বীতশ্রদ্ধ । এই ধরনের ব্যক্তিদের হৃদয় কাড়াতে দুনিয়া বা আখিরাতে কোন উপকার হবে কী ? অবশ্যই বলতে হয় : দুনিয়া ও আখিরাতে এ সবের কোন মূল্য নেই । আল্লাহ্ তা য়ালা নেয়ামত হিসেবে শরীরের সুস্থতা ও সৌন্দর্য্য আমাদেরকে দিয়েছেন । আর তা আমানত হিসেবে দিয়েছেন । আমাদের কোন অধিকার নেই যে , আমাদের হৃদয় বা অন্তর যেভাবে চায় এবং যা করতে চায় তাই করবো । যেহেতু আল্লাহ তা য়ালা আমাদেরকে এত নেয়ামত দান করেছেন সেগুলোর আমানতদারীর উত্তম পন্থা হচ্ছে তাঁর সন্তুষ্টি হাসিল করবো । ঐরূপ মানুষের হৃদয় কাড়ার কোন প্রয়োজন নেই যারা নিজেদের শয়তানী ইচ্ছা ও আকাঙ্ক্ষা পূরণের লক্ষ্যে নারীদেরকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে থাকে । আসলে কি এটা উচিৎ যে , নারী দুষ্ট লোকের হৃদয় হরণের মাধ্যম হবে ?

বে-পর্দায় থাকা বা সঠিকভাবে পর্দা না করা নারীরা হচ্ছে ব্যক্তিত্বহীন :

ইতিহাসের পাতায় নারী সেই প্রথম থেকেই পুরুষের পাশাপাশি তাগুতের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে । উদাহরণ স্বরূপ , আসিয়া তার স্বামী ফিরআউনের সাথে , হযরত খাদিজা (আ.) রাসূল (সা.)-এর পাশে থেকে আবু সুফিয়ানের সাথে , হযরত ফাতিমা (আ.) ইমাম আলী (আ.)-এর পাশে থেকে মুনাফিকদের সাথে , হযরত যয়নাব (আ.) তাঁর ভাই ইমাম হুসাইন (আ.) এর পাশে থেকে ইয়াযিদের সাথে ইত্যাদি । প্রকৃত পক্ষে পুরুষেরা হচ্ছে তলোয়ার চালনায় পারদর্শী আর নারীরা হচ্ছে যোদ্ধা তৈরীতে পারদর্শী । যে নারী এরূপ মর্যাদার অধিকারী , কেন সে চুপ হয়ে বসে থাকবে যখন কিনা সমাজের এক শ্রেণীর লম্পট লোক নারীদেরকে কামভাব চরিতার্থ করার উপকরণ বানানোর চেষ্টায় নিয়োজিত ।

সমাজে হয়তো এমন অনেক নারী রয়েছে যারা সঠিক শিক্ষা পায় নি , নিজেদের ব্যক্তিত্বকে সঠিকভাবে গড়ার সুযোগ তাদের হয় নি , পরিবারে আদর , ভালবাসার ঘাটতি হয়েছে কিন্তু তাই বলে তো তারা নিজেদের না পাওয়ার ব্যথা নিবারণের জন্য নিজেদেরকে অসভ্য , চরিত্রহীন ও দুষ্ট প্রকৃতির ব্যক্তিদের সামনে তুলে ধরতে পারে না । কেননা তাদের এই না পাওয়ার ব্যথা নিবারণ করা এ ধরনের শয়তানী কাজ করার মাধ্যমে সম্ভব নয় , বরং এগুলো করাতে তারা মানসিক দিক দিয়ে আরো বেশী পরিমানে হতাশা অনুভব করবে এবং শরীরিকভাবে কুৎসিত ও সমাজের দৃষ্টিতে ঘৃণার পাত্র হিসেবে চিহ্নিত হবে । আর শেষ পর্যায়ে এ কাজগুলো তাদের জন্য লজ্জা , অপমান ব্যতীত অন্য কিছুই বয়ে আনবে না ।

বে-পর্দায় থাকা ও সঠিকভাবে পর্দা না করাটা হচ্ছে এক ধরনের শিরক :

বে-পর্দা ও সঠিকভাবে পর্দা না করা নারীরা আল্লাহর উপাসনা করার স্থলে নতুন নতুন মডেল বা ফ্যাশনের উপাসনা করে থাকে , আর তা হচ্ছে এক ধরনের শিরক । যদি কোন নারীর কয়েকটি পোশাক থাকে এবং তা যদি অপচয়ের মাত্রায় না পড়ে ও তা পরলে তার স্বামী খুশি হয় তবে তা পরা অত্যন্ত পছন্দনীয় ও উত্তম ব্যাপার । তবে এরূপ যেন না হয় যে , নারীর সব সময়ের চিন্তা এ জাতীয় বিষয়কে নিয়ে আবর্তিত হবে । কেননা যদি এমন হয় যে , ফ্যাশন করার উদ্দেশ্যে স্বামীকে তা কেনার জন্য চাপ সৃষ্টি করে এবং তা কিনে দিতে ধার-দেনা করতে গিয়ে স্বামীকে লজ্জায় পড়তে হয় , তবে এটা ঐ নারীর জন্য একটি বড় ধরনের পাপ ।

বে-পর্দায় থাকা ও সঠিকভাবে পর্দা না করা নারী কোন কিছু উৎপাদন করার স্থলে খরচ করে থাকে :

বে-পর্দায় থাকা ও সঠিকভাবে পর্দা না করা নারীরা কোন কিছু উৎপাদন তো করেই না বরং খরচ করে থাকে । আর সে যে খরচ করে তাতে কোন লাভও আসে না । কিন্তু অন্য নারীরা খরচ করলেও সমাজের জন্য তা সুফল বয়ে নিয়ে আসে । যেমন উপযুক্তভাবে সন্তান লালন-পালন , সংসার চালনা , হাতের কাজ , লেখা-পড়া করা ইত্যাদি । অন্য দিকে বে-পর্দায় থাকা ও সঠিকভাবে পর্দা না করা নারীরা এ সব কিছু না করেই নিজেদের ব্যাপারে যে খরচ করে থাকে তা সমাজের তো কোন উপকারেই আসে না , বরং তা ক্ষতিকারকও বটে । কেননা তাদের ঐ নষ্ট কাজের কারণেই সমাজে ফিতনা-ফ্যাসাদ সৃষ্টি হয় এবং তার মাধ্যমে মানুষ ধ্বংস প্রাপ্ত হয় ।

বে-পর্দা ও সঠিকভাবে হিজাব না করা নারীরা মানসিক অশান্তিতে ভোগে :

যখন কেউ নতুন নতুন পোশাক ও ফ্যাশনের পেছনে ছোটাকেই তার লক্ষ্য মনে করে তখন সে মশুধাত্র তা জোগাড় করার কাজেই ব্যস্ত থাকে । যেহেতু তা জোগাড় করা কোন সহজ ব্যাপার নয় বা কোন কোন সময় তা পাওয়াই যায় না , তখন তার মনে সব সময় অশান্তিও অস্থিরতা বিরাজ করে । এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় যে , সে যেন কিছু একটা হারিয়ে ফেলেছে তা আর খুঁজে পাচ্ছে না । পোশাক বা ফ্যাশনের পেছনে ছোটা এই বে-পর্দা বা সঠিকভাবে পর্দা না করা নারীদের এই ধরনের অস্থিরতা কখনোই শেষ হয় না । কেননা মানুষ সত্তাগত ভাবেই লোভী প্রকৃতির তাই যদি তার কাজের ক্ষেত্রে তাকওয়া ও ধার্মিকতা না থাকে তবে সে কখনোই কোন কিছু থেকেই যেমন পদমর্যাদা , অর্থ-বিত্ত ও কামভাব থেকে তুষ্ট হয় না । আর যতক্ষণ তারা পরিতৃপ্ত না হয় ততক্ষণ তাদের মানসিক অশান্তি অব্যাহত থাকে ।

বে-পর্দা ও সঠিকভাবে পর্দা না করা ও তাকওয়াহীন নারী দেরীতে বিয়ে করে :

যখন কোন যুবক বিয়ে করতে চায় তখন সে চিন্তা করে যে , তার এমন একজন জীবন সঙ্গী দরকার যে হবে দ্বীনদার , সুশ্রী , নৈতিকতা সম্পন্ন এবং ভদ্র পরিবারের । সাথে সাথে মেয়েটি এমন হবে যেন তার সাথে সংসার করতে পারে । যেন সে প্রতিনিয়ত তার জন্য নতুন নতুন সমস্যা সৃষ্টি না করে । তাই মেয়ে দেখার সময় তারা তাদের মা , বড় বোন বা বয়োজ্যোষ্ঠদেরকে এ কথাগুলো বলে থাকে যাতে করে তারা যেন মেয়ের মধ্যে ঐসব বৈশিষ্ট্য গুলো খুটিয়ে দেখেন । এ থেকে এটা বুঝা যায় যে , যুবকরা বে-পর্দা ও তাকওয়াহীন নারীকে (যারা প্রতিনিয়ত সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে সমস্যা সৃষ্টি করে) ঘৃণা করে থাকে ।

সুতরাং একজন বিবেক সম্পন্ন যুবক অবশ্যই বিয়ের আগে তার স্ত্রী সম্পর্কিত ব্যাপারে উক্ত বিষয়গুলো চিন্তা করে থাকে । অতএব তারা কখনোই ঐ সব নারী যারা বে-পর্দায় থাকে ও তাকওয়াহীন তাদের দিকে ফিরেও তাকায় না । যে মেয়েকে বিয়ের উদ্দেশ্যে দেখতে যাবে তার ব্যাপারে যদি জানতে পারে যে , সে মেয়ে ঐরূপ বাজে স্বভাবের তবে তাকে দেখতে যাওয়া থেকেও বিরত হয়ে যায় । এরূপ অনেক ঘটনাই আমাদের সামনে উদাহরণ হিসেবে রয়েছে , এসব কারণেই তাকওয়াহীন বেপর্দা মেয়েদের দেরিতে বিয়ে হয়ে থাকে । আর সে কারণে তারা মানসিক দিক দিয়ে অনেক কষ্টও পেয়ে থাকে । অনেক সময় এই মানসিক কষ্টের কারণে তারা শরীরিকভাবেও অসুস্থ হয়ে পড়ে ।

যে সকল যুবক বা পুরুপ ব্যক্তিত্ব ও আত্মমর্যদা বোধ সম্পন এবং তাদের এই ব্যক্তিত্ববোধ দৃঢ় ঈমান ও আত্মিক পবিত্রতা হতে উৎসারিত হয়েছে তারা কখনোই এটা মেনে নিতে পারে না যে , এমন মেয়ের সাথে বিয়ে করবে যারা হচ্ছে বে-পর্দা ও তাকওয়াহীন এবং যাদের বর্ণনা লোকের মুখে মুখে রয়েছে । তবে যদি কোন মেয়ের ব্যাপারে বুঝা যায় যে , সে তার অতীত বিষয়ে অনুতপ্ত সেক্ষেত্রে বিষয়টি ভিন্নরূপ নিতে পারে ।

বে-পর্দা ও সঠিকভাবে পর্দা না করা নারীর সংসার দ্রুত ভেঙ্গে যায় :

যদি ফ্যাশন ও আধুনিকতাই জীবনের সকল কিছুর মানদণ্ড হয়ে থাকে তবে যেহেতু তা অতি দ্রুত পুরাতন হয়ে যায় ও তার কাঙ্খিত অবস্থায় থাকে না , সেহেতু নিজের চাওয়া-পাওয়া অপূর্ণ থেকে যায় ।

যেহেতু এই ধরনের পরিবারগুলোতে জীবন সঙ্গী নির্বাচনের সময় বুদ্ধি ও বিবেকের আশ্রয় নেয়া হয় না সেহেতু উক্ত পরিবারগুলো দ্রুত নড়বড়ে হয়ে যায় এবং যে কোন সময় সংসার জীবন ধ্বংস বা ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যেতে পারে । শেষ পর্যন্ত তাদের তালাক নেয়া ছাড়া অন্য কোন পথ খোলা থাকে না । আর এই অপরাধের শাস্তিভোগ করে থাকে তাদের সন্তানরা এবং সন্তানরা বড় হয়ে অধিকাংশই হয় পথভ্রষ্ট ।

বে-পর্দা ও সঠিক পর্দা না করা নারী আল্লাহর খলিফা না হয়ে মানুষের হাতের খেলার পুতুল হয়ে থাকে :

বে-পর্দা ও সঠিকভাবে পর্দা না করা নারী পৃথিবীর বুকে আল্লাহ তা ’ য়ালার খলিফা না হয়ে নিজেকে চরিত্রহীন লোকদের হাতের খেলার পুতুলে পরিণত হয় । যেখানে বলা হচ্ছে যদি কোন নারী তার সম্ভ্রম রক্ষা করে এবং লজ্জাবোধকে জীবনের মূল হিসেবে গ্রহণ করে ও তার সন্তানদেরকে উপযুক্ত করে গড়ে তুলে সমাজে উপহার দেয় তবে তার এই কাজ নবীদের কাজের সমতুল্য । সুতরাং নারী নিজেকে খেলার পুতুল রূপ না দিয়ে নবীদের দায়িত্ব পালন করতে পারে।

বে-পর্দা ও সঠিকভাবে পর্দা না করা নারী অর্থহীন বিষয়ে প্রতিযোগিতা করে :

একজন নারীর পক্ষে এটা সম্ভব যে , সে জ্ঞান চর্চা , হস্তশিল্প , কারু শিল্প প্রভৃতি বিষয়ে অন্যদের সাথে প্রতিয়োগিতা করে এবং নিজে নৈতিক ও সামাজিকভাবে পরিপূর্ণতায় পৌঁছাবে , যেভাবে অনেক নারীই বর্তমানে বিভিন্ন বিষয়ে পুরুষের থেকে এগিয়ে রয়েছে । কিন্তু বে-পর্দা ও তাকওয়াহীন নারীরা আধুনিকতার নামে নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপনের লক্ষ্যে সাজসজ্জা , ফ্যাশন , প্লাস্টিক সার্জারী , ভ্রুতোলা , নখ রাখা ও তার পরিচর্যা ইত্যাদি বিষয়ে একে অপরের সাথে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয় । এ বস্তুগুলো সুতা , পশম ও প্লাস্টিক নির্মিত কিছু বস্তু বৈ কিছু নয় । বস্তুত ফ্যাশন , সাজসজ্জা নিয়ে প্রতিযোগিতা এসব বস্তু নিয়েই প্রতিযোগিতার শামিল যা কিছু দিন পর আবর্জনার স্তুপে পরিণত হয় ।

বে-পর্দা ও সঠিকভাবে পর্দা না করা তাকওয়াহীন নারী নিজেকে মূল্যহীন করে থাকে :

যেখানে নারীদের জন্যে লজ্জা হচ্ছে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং তা রক্ষা করা একান্ত জরুরী , আর তা রক্ষা করলে সকলেই তাকে মূল্য দেয় ও বিশেষ সম্মান প্রদর্শন করে কিন্তু তাকওয়াহীন তা না করে নিজেকে বে- পর্দা করে অন্যের সামনে উপস্থাপন করার মাধ্যমে নিজেকে মূল্যহীন করে ফেলে ।

বেপর্দা ও সঠিক পর্দা না করা নারীরাও বেপর্দার মন্দ প্রভাবের শিকার হয় :

বেপর্দা ও তাকওয়াহীন নারীদের অশালীন ভাবভঙ্গীও বিভিন্ন শয়তানী কর্মকাণ্ডের কারণে তাদের প্রতি ঈমানহীন লোকেরা আকৃষ্ট হয়ে থাকে । সে কারণেই কখনো দেখা যায় যে , এ ধরনের নারীদের কারণে অনেক স্বামী তাদের স্ত্রীদের ব্যাপারে উদাসীন হয়ে যায় । অবশেষে এই তাকওয়াহীন নারীরা একটি বা কয়েকটি পরিবার ধ্বংসের মূল কারণ হয়ে থাকে । আর এভাবেই তারা এই ন্যাক্কার জনক কাজের মাধ্যমে মহা পাপে লিপ্ত হয়ে থাকে ।

তবে অবশ্যই বলতে হয় যে , হে নারী আপনি তো এমন করলেন তবে এটাও জেনে রাখুন আপনার থেকেও অধিক সুন্দরী নারী রয়েছে এবং সে আপনার সংসার ও আপনার পরিবারেও অশান্তির সৃষ্টি করবে । প্রকৃত পক্ষে আপনি একটি পাথর ছুড়েছেন , কিন্তু পাথরটি ফিরে এসে আপনার দিকেই ফিরে আসবে । ”

পাশ্চাত্যেরন্যায় বেপর্দা ও তাকওয়াহীন নারীদের মধ্যে নৈতিক অনাচার , জুলুম এবং গর্ভপাতের মত আরো অনেক জঘন্য কাজ করার প্রবণতা বেশী দেখা যায় :

যদি কোন রাষ্ট্র ইসলামী রাষ্ট্র না হয়ে থাকে , তাহলে এমন কোন ক্ষমতা নেই যে সে রাষ্ট্রের জুলুম-অত্যাচার , খুন , রাহাজানি ইত্যাদিকে বন্ধ করতে পারে , যদিও সে রাষ্ট্র আধুনিক অস্ত্র , সামরিক ও গোয়েন্দা বিভাগের ক্ষেত্রে যত শক্তিশালীই হোক না কেন । কেননা সে রাষ্ট্রের সরকার হয়তো পুলিশ দিয়ে বাহ্যিকভাবে ঐ সবের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে । কিন্তু কোন কিছুই করতে পারবে না । কেননা যদি পারতো তবে সারা বিশ্বে জুলুম-অত্যাচার , খুন , রাহাজানি , ইত্যাদির পরিমান এত অধিক হতো না ।

সুতরাং অবশ্যই এই বাহ্যিক শক্তির সাথে অন্য আরো একটি শক্তির সমন্বয় প্রয়োজন । যাতে করে সমাজ অবক্ষয় থেকে মুক্তি পায় । আর ঐ অন্য একটি শক্তি অবশ্যই দ্বীনের কাছ থেকে নিতে হবে । কেননা যদি প্রকৃত ধর্মীয়বোধ মানুষের অন্তরে প্রবেশ করে তবে গোপন ও প্রকাশ্যে অর্থাৎ সকল সময়ই মানুষের সাথে এ বোধের সহাবস্থান রয়েছে যা মানুষকে ভাল কাজের জন্য উৎসাহ এবং মন্দ কাজ করতে বাধা দিয়ে থাকে । এই শক্তি সেই আল্লাহ ও কিয়ামতের বিশ্বাস হতে উৎসারিত যা মিলিয়ন মিলিয়ন পুলিশের থেকেও সমাজের জন্য অনেক বেশী ফলদায়ক । তাই যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের এই বিশ্ব এই অভ্যন্তরীণ শক্তিতে পরিপূর্ণ না হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত ঐ ধরনের অন্যায়-অনাচার , জুলুম-নিপীড়ন চলতেই থাকবে এমনকি বর্তমান অবস্থা থেকে আরো খারাপ দিকে চলে যেতে পারে ।

পাশ্চাত্য ও ইউরোপের দেশগুলো প্রচার প্রপাগাণ্ডার মাধ্যমে বিশ্বের অধিকাংশ জাতিকে বিশেষ করে যুবকদেরকে বুঝাতে চেষ্টা করে যে , এই পৃথিবীর মানুষদেরকে বিশেষত আমেরিকাই কেবলমাত্র সকলকে সৌভাগ্যের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছিয়ে দিতে পারে তারা ব্যতীত অন্য কারো এমন ক্ষমতা নেই । তাদের এই ধরনের প্রচারণার মাধ্যম হচ্ছে বিশ্বের বড় বড় সংবাদ সংস্থাগুলো যেমন , আমেরিকান সংবাদ সংস্থা এসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) , ইউনাইটেড প্রেস (ইউপি) , ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার , ফ্রান্সের সংবাদ সংস্থা (এফ পি) । এই সংবাদ সংস্থাগুলো গড়ে দৈনিক 45 মিলিয়ন শব্দ 110 টি দেশে প্রেরণ করে থাকে । এই চার সংবাদ সংস্থা আনুমানিক 500 টি রেডিও স্টেশন এবং টেলিভিশন সেন্টার থেকে খবর পরিবেশন করে থাকে । অন্যদিকে রাশিয়ান সংবাদ সংস্থা তাস হতেও প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ শব্দ প্রচার হচ্ছে । এর বাইরে সি এন এন ও বিবিসি তো রয়েছেই । শুধু বিবিসির কর্মচারীর সংখ্যা পঞ্চাশ হাজারের অধিক । আর এই সংবাদ সংস্থাগুলো ইসলামের বিরুদ্ধে প্রচারের ক্ষেত্রে কেউ কারো থেকে কম নয় । বর্তমান সময় যেহেতু স্যাটেলাইটের যুগ তাই তারা যে কত প্রকারের খবর তাতে দিচ্ছে তা গণনার বাইরে ।

প্রকৃতপক্ষে বলতে হয় যে , বর্তমান সময়টি হচ্ছে পুরাতন সেই দাস প্রথারই ধারাবাহিকতা , তবে নতুন আঙ্গিকে । কেননা অতীতে হামলা , লুট , হত্যা , রাহাজানি ইত্যাদির মাধ্যমে শাসকরা রাজ্য শাসন করতো । বর্তমান দুনিয়া যেহেতু অগ্রগতি লাভ করেছে তাই শাসকরা সেই পুরাতন পদ্ধতিকেই নতুন আঙ্গিকে রূপ দান করে দুনিয়ার সবাইকে নিজেদের গোলাম বানানোর আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে । কেননা উক্ত সংবাদ সংস্থাগুলো প্রতিদিন নতুন নতুন মিথ্যা প্রচারের মাধ্যমে দুনিয়ার সাধারণ মানুষদের চিন্তার উপর প্রভাব বিস্তার করে তাদেরকে পথভ্রষ্ট করে চলেছে । আর এর মাধ্যমেই তারা তাদের ভ্রান্ত মতাদর্শগুলো এবং নষ্ট সংস্কৃতিকে মানুষের অন্তরে প্রবেশ করিয়ে থাকে । আর এই পদ্ধতিতে তারা মানুষকে বিভ্রান্তিতে ফেলে ঐ সকল দেশসমূহের উপর অর্থনৈতিক , রাজনৈতিক , সাংস্কৃতিক ও সামরিক দিক দিয়ে কর্তৃত্ব অর্জন করে থাকে । আর যখন কোন দেশ বা বিপ্লবী জাতি তাদের এই সব অপসংস্কৃতি ও অন্যায়- অত্যাচারের বিপক্ষে রুখে দাঁড়ায় তখন এই সব সংবাদ সংস্থাগুলো মিথ্যা খরব পরিবেশন করে ঐ সব দেশ ও বিপ্লবী জাতিকে বিশ্বের সামনে অপরাধী ও সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করে থাকে । কিন্তু আল্লাহ্ তা ’ য়ালার একান্ত কৃপায় ইমাম খোমেনী (রহ.)-এর একনিষ্ঠ প্রচেষ্টার ফসল হিসেবে ইরানে ইসলামী বিপ্লব সফল হওয়াতে শয়তান উপযুক্ত শিক্ষা পেয়েছে । কেননা আল্লাহ্ তা ’ য়ালা পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেছেন যে , যদি মু ’ মিনগণ জিহাদের ব্যাপারে দুর্বলতার পরিচয় না দেয় এবং পবিত্র অন্তর ও খাঁটি নিয়তে শত্রুর মুকাবিলায় দাঁড়িয়ে যায় তাহলে তিনি তাদেরকে বিজয় দান করেন । আর এটাই হচ্ছে তাঁর সব সময়ের রীতি ।

পাশ্চাত্যের দেশসমূহ এই বিষয়গুলো ছাড়াও নিজেদের নষ্ট সংস্কৃতিকে বাহ্যিক চাকচিক্যের মোড়কে সাজিয়ে বিভিন্ন ভাবে প্রচার করছে যাতে করে পৃথিবীর মানুষদের বিশেষ করে যুব সমাজকে ভিন্ন পথে পরিচালিত করতে পারে । এক্ষেত্রে মূলত তারা যৌনতাকে পুঁজি করে তাদেরকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত । তাদের লক্ষ্য হলো যুবকরা যেন এ সব বিষয় নিয়েই ব্যস্ত থাকে এবং তাদের দেশের জরাজীর্ণ রাজনীতি , অর্থনীতি , সামরিক ও সাংস্কৃতিক বিষয় নিয়ে চিন্তার অবকাশ না পায় এবং তা নিয়ে সোচ্চার না হয়ে ওঠে এবং আন্তর্জাতিক দুর্বৃত্ত ইউরোপ ও আমেরিকার বিরুদ্ধাচারণ না করে । তবে তারা অন্যান্য দেশগুলোকে নিজেদের আয়ত্তে আনার জন্য যে ফাঁদ পেতেছে সেই ফাঁদে তাদের দেশের মানুষ অন্য সকলের আগে পা দিয়েছে এবং ধ্বংস হওয়ার পর্যায়ে পৌঁছেছে । যদিও পাশ্চাত্য আজ বস্তুগতভাবে উন্নতি করেছে কিন্তু সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে মানুষের যে বৈশিষ্ট্য থাকা প্রয়োজন তা তাদের নেই । যেমন আত্মসম্মানবোধ , পারস্পরিক সহমর্মিতা , লজ্জা , ভালবাসা , সাহসিকতা , পরিবারে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাস , নারীর সতীত্ববোধ ইত্যাদি সকল মানবীয় গুণাবলী তারা হারিয়ে ফেলেছে ।

আমরা এখানে আমাদের প্রিয় দেশবাসী বিশেষ করে যুব সমাজের সামনে পাশ্চাত্যের একটি চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করবো যাতে করে তাদের প্রকৃত অবস্থা কিছুটা হলেও সবার সামনে পরিষ্কার হয়: