পরকালীন জীবন সম্ভব কি ?
আমাদের আলোচনা থেকে সুস্পষ্ট যে , মানবপ্রকৃতির জোরালো দাবী হচ্ছে , মৃত্যুর পর আরেকটি জীবন থাকা উচিত যেখানে পার্থিব জীবনের ভালো-মন্দের প্রতিদান দেয়া হবে এবং পার্থিব জীবনে প্রাপ্ত অসম্পূর্ণ প্রতিদানকে সম্পূর্ণ করা হবে। সর্বোপরি , মানুষ তার অস্তিত্বের ধারাবাহিকতা কামনা করে , সে তার বিলুপ্তিকে মোটেই পসন্দ করে না। অতএব , মৃত্যুর পরে আরেকটি জীবন থাকা অপরিহার্য।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে , এ ধরনের জীবন সম্ভব কি ? এ ব্যাপারে বিচারবুদ্ধির রায় হচ্ছে , তা অবশ্যই সম্ভব। কারণ , প্রথম বার সৃষ্টির তুলনায় ধ্বংসপ্রাপ্ত সৃষ্টিকে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনা বা নতুন করে সৃষ্টি করা অপেক্ষাকৃত সহজতর। অতএব , যে পরম ক্ষমতাবান সৃষ্টিকর্তা সব কিছুকে সৃষ্টি করেছেন তাঁর পক্ষে সৃষ্টিপ্রকৃতিতে তাঁরই দেয়া দাবী পূরণ করা তথা মানুষকে মৃত্যুর পরে নতুন করে জীবনদান খুবই সহজসাধ্য।
এ প্রসঙ্গে স্মরণ রাখা প্রয়োজন যে , মানুষ হচ্ছে শরীর ও ব্যক্তিসত্তা (নাফ্স্)-এর সমন্বিত রূপ। বিচারবুদ্ধির পর্যবেক্ষণ হচ্ছে এই যে , মানুষের ব্যক্তিসত্তা শরীরকে আশ্রয় করে অবস্থান করলেও সে শরীর নয় , স্বতন্ত্র। স্বতন্ত্র হবার কারণেই ব্যক্তিসত্তা শরীরের বা তার ইন্দ্রিয়-নিচয়ের মুখাপেক্ষী না হয়েও স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে।
মানুষ পঞ্চেন্দ্রিয়ের সাহায্য ছাড়াই চিন্তা ও কল্পনা করে থাকে। এছাড়া‘
প্রায় মৃত্যুর অভিজ্ঞতা’
(এনডিই)-এর অনেক বর্ণনা থেকেও মানুষের ব্যক্তিসত্তার শরীরনিরপেক্ষ ক্ষমতার ধারণা পাওয়া যায়। প্রায় মৃত্যুর অভিজ্ঞতা বর্ণনাকারীরা সংজ্ঞাহীন অবস্থায় থাকাকালে অপার্থিব জগতের অভিজ্ঞতা লাভ করেছে বলে দাবী করে সে অভিজ্ঞতার যে সব বর্ণনা উপস্থাপন করেছে তাতে অতিরঞ্জন থাকার সম্ভাবনা স্বীকার করে নিলেও সংজ্ঞাহীন অবস্থায় তাদের ওপর পরিচালিত অস্ত্রোপচার সংশ্লিষ্ট ঘটনাবলী সম্পর্কে কোনো কোনো রোগী সংজ্ঞাপ্রাপ্তির পরে যেভাবে বিস্তারিত ও নিখুঁত বর্ণনা দিয়েছে তা অবিশ্বাস্যভাবে বিস্ময়কর হলেও প্রত্যখ্যান করার উপায় নেই। এ ধরনের ঘটনা এটাই প্রমাণ করে যে , মানুষের ব্যক্তিসত্তা শরীরের পুরোপুরি অকেজো অবস্থায়ও স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে।
এ থেকে প্রমাণিত হয় যে , মানুষের যখন মৃত্যু হয় তখন তার শরীরই অকেজো হয়ে পড়ে , তার ব্যক্তিসত্তা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় না। অর্থাৎ তার ব্যক্তিসত্তার মৃত্যু নেই। এমতাবস্থায় মৃত্যুপরবর্তীকালে ব্যক্তিকে পুনর্জীবন দানের বিষয়টি খুবই সহজবোধগম্য হয়ে যায়। তাই মানুষের সৃষ্টিপ্রকৃতির দাবী হওয়া সত্ত্বেও সৃষ্টিকর্তা তাদেরকে পুনরুজ্জীবিত করবেন না - এটা হতেই পারে না।
মৃতদের শরীর সাধারণতঃ বিক্ষিপ্ত হয়ে যায়। অধিকাংশ মানুষের শরীরই পচে-গলে মাটিতে মিশে যায়। ক্ষেত্রবিশেষে অনেকের শরীর পানিতে গলে যায় বা মাছের পেটে যায় , বা হিংস্র প্রাণী খেয়ে ফেলে। এমতাবস্থায় প্রশ্ন উঠতে পারে যে , বিক্ষিপ্ত শরীরকে কীভাবে পুনঃসংযোজিত করে জীবিত করা হবে ? নাকি তাকে নতুন শরীর দেয়া হবে ? নতুন শরীর দেয়া হলে তখন কি তাকে অভিন্ন ব্যক্তি বলা যাবে ? যদি অভিন্ন ব্যক্তি না হয় তাহলে তার জন্য পার্থিব জীবনের কর্মের বিনিময়ে শাস্তি বা পুরষ্কার দেয়া কি ঠিক হবে ?
এ প্রশ্নের সর্বপ্রথম নীতিগত জবাব হচ্ছে , সর্বশক্তিমান স্রষ্টার পক্ষে একটি শরীরের বিক্ষিপ্ত উপাদানগুলোকে একত্রিত করা মোটেই কঠিন নয়। তবে ব্যক্তিকে যদি নতুন শরীর দেয়া হয় তাহলেও ব্যক্তির ব্যক্তিসত্তা অভিন্নই থেকে যায়।
আধুনিক শরীর বিজ্ঞানের সাক্ষ্য অনুযায়ী প্রতিটি প্রাণশীল সৃষ্টির শরীর অহরহ পরিবর্তিত হয়ে চলেছে। প্রতিনিয়তই একজন মানুষের শরীরের বহু কোষ ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে এবং তদস্থলে নতুন নতুন কোষ তৈরী হচ্ছে। এভাবে কয়েক বছরের ব্যবধানে তার গোটা শরীরের সকল কোষই পরিবর্তিত হয়ে যায়। এতদসত্ত্বেও আমরা তাকে অভিন্ন ব্যক্তি বলে দাবী করি এবং সে নিজেও তা-ই মেনে নেয়। যে ব্যক্তি বিশ বছর পূর্বে কোনো অপরাধ করেছে বিশ বছর পর ধরা পড়লে সে বলে না ,“
আমি বিশ বছর আগে অপরাধ সংগঠনকারী সেই ব্যক্তি নই ; সে ব্যক্তির মাংসপেশীর একটি কোষও আমার শরীরে নেই ; সম্পূর্ণ নতুন কোষে গড়া শরীরের কারণে আমি সম্পূর্ণ নতুন মানুষ।”
যেহেতু শরীর নয় , ব্যক্তিসত্তাই আসল ব্যক্তি এবং শরীর হচ্ছে‘
ঐ ব্যক্তির’
শরীর , এমতাবস্থায় সৃষ্টিকর্তা যদি লোকদেরকে নতুন শরীর দিয়ে পুনরুজ্জীবিত করেন তাহলেও তা অন্যায় হওয়া তো দূরের কথা , অযৌক্তিকও হবে না।
তবে সীমাহীন জ্ঞান ও শক্তি-ক্ষমতার অধিকারী সৃষ্টিকর্তা কোনো ব্যক্তির মৃত্যুকালীন সর্বশেষ শরীরের সকল বিক্ষিপ্ত অণু-পরমাণুকে একত্রিত করতে চাইলে তা-ও মোটেই কঠিন হতে পারে না। কারণ , আধুনিক বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে যে , একজন মানুষের (বা একটি প্রাণীর) শরীরের সকল কোষের জেনেটিক কোড অভিন্ন এবং প্রতিটি প্রাণীর জেনেটিক কোড স্বতন্ত্র। এমতাবস্থায় যতো দূরে ও যেভাবেই বিক্ষিপ্ত থাকুক না কেন , অভিন্ন জেনেটিক কোডের উপাদানগুলোকে একত্রিত করা মহাবিজ্ঞানময় সৃষ্টিকর্তার পক্ষে মোটেই কঠিন নয়।
দু’
টি সংশয়ের নিরসন
এ প্রসঙ্গে দু’
টি সন্দেহ উদ্রেককারী প্রশ্নের জবাব দেয়া প্রয়োজন মনে করি। প্রথম প্রশ্ন এই যে , বিভিন্ন কারণে কিছু সংখ্যক মানুষের মৃতদেহ বা তার কোষসমূহ বা কোষসমূহের অংশবিশেষ আপাততঃ অক্ষত থাকলেও তা অনাগত হাজার হাজার বা লক্ষ লক্ষ বছরে পুরোপুরি বিক্ষিপ্ত হয়ে যাবার খুবই সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকি তা যদি না-ও হয় তথাপি বেশীর ভাগ মানুষের শরীরের কোষসমূহ যে বিক্ষিপ্ত হয়ে মাটি ও পানিতে মিশে যাবে তাতে কোনোই সন্দেহ নেই। অর্থাৎ সেগুলো আর কোষ আকারে থাকছে না , বরং বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদানে পরিণত হয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় তা প্রকৃতিতে বিরাজমান অনুরূপ উপাদানসমূহের সাথে একাকার হয়ে যাবে। তাহলে কী করে ব্যক্তির দেহের উপাদানগুলোকে স্বতন্ত্রভাবে চিহ্নিত করে একত্র করা সম্ভব হবে ?
এ প্রশ্ন যারা তুলছে তাদের জেনেটিক বিজ্ঞান সম্বন্ধে ধারণা স্বচ্ছ নয়। কারণ , মানুষের জীবন ও পূর্বপুরুষের ইতিহাস যে ক্ষুদ্র এককে লিপিবদ্ধ রয়েছে তা কোষ নয় , বরং কোষের মধ্যকার ক্ষুদ্রতর একক। এ একক কী ?
বিজ্ঞান উদ্ঘাটন করেছে , প্রতিটি মানবকোষে রয়েছে 46টি ক্রোমোজম ; এর মধ্যে 23টিতে মাতা ও তার পূর্বপুরুষদের এবং 23টিতে পিতা ও তার পূর্বপুরুষদের , আর সবগুলোতেই তার নিজের জীবনেতিহাস জিনের সাহায্যে লিপিবদ্ধ রয়েছে। প্রতিটি কোষে জিনের মোট সংখ্যা এক লাখ - যা ডিএনএ সমূহের মধ্যে বিন্যস্ত রয়েছে এবং ডিএনএ সমূহ ক্রোমোজমের মধ্যে বিন্যস্ত রয়েছে। দু’
জন মানুষের কোষই শুধু বিভিন্ন নয় , বরং ক্রোমোজম , ডিএনএ ও জিন পর্যন্ত বিভিন্ন। এমনকি দুই যমজের ক্রোমোজমে সর্বাধিক মিল থাকলেও ভ্রুণ অবস্থা থেকেই কিছু না কিছু পার্থক্য থাকেই , অতঃপর , বিশেষ করে ভূমিষ্ঠ হবার পর থেকে এ পার্থক্য বৃদ্ধি পেতে থাকে। অতএব , কোষ বিক্ষিপ্ত হয়ে দু’
জন মানুষের জিন পরস্পর মিশ্রিত হয়ে গেলেও তা অভিন্ন হয়ে যায় না , বরং পার্থক্য থেকেই যায়।
এ হচ্ছে এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত বৈজ্ঞানিক তথ্য। কিন্তু অসম্ভব নয় যে , এর চেয়েও ক্ষুদ্রতর অংশে , এমনকি প্রতিটি পরমাণুতে এবং তার উপাদান ইলেকট্রন , প্রোটোন ও পজিট্রনে পর্যন্ত প্রতিটি ব্যক্তির স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য সংরক্ষিত রয়েছে যা বিজ্ঞান এখনো আবিষ্কার করতে পারে নি ; হয়তো ভবিষ্যতে আবিষ্কার করতে সক্ষম হবে। অতএব , অসীম ক্ষমতাবান স্রষ্টার পক্ষে অভিন্ন কোড (বৈশিষ্ট্য)-এর কারণে শুধু কমান্ডের সাহায্যে এক ব্যক্তির শরীরের বিক্ষিপ্ত হয়ে যাওয়া পরমাণুগুলোকে পুনঃসংযোজিত করা মোটেই কঠিন হতে পারে না।
দ্বিতীয় প্রশ্ন হচ্ছে , কোনো মানুষকে বাঘে বা কুমীরে খেয়ে ফেললে তার শরীর বাঘ বা কুমীরের শরীরে পরিণত হয়ে যায়। এমতাবস্থায় একই সাথে তার শরীরের উপাদানগুলো বাঘ বা কুমীর এবং মানুষের শরীর হিসেবে পুনর্গঠিত হবে কীভাবে ? শুধু তা-ই নয় , বাঘ বা কুমীরে না খেলেও মানুষের শরীর যখন মাটি হয়ে যায় তখন তার উপাদানসমূহ উদ্ভিদ কর্তৃক শোষিত হয়। অতঃপর উদ্ভিদ বা তার ফল , ফুল ও পাতা মানুষ ও পশুপাখী কর্তৃক ভক্ষিত হয় এবং এরপর পুনরায় মানুষ পশুপাখীকেও ভক্ষণ করে। ফলে এক মানুষের শরীরের উপাদানসমূহ অন্য মানুষদের শরীরের উপাদানে পরিণত হয়। এমতাবস্থায় ঐ উপাদানগুলোকে কার শরীরের উপাদানরূপে পুনঃসংযোজিত করা হবে ?
এ প্রশ্নটিরও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি খুবই দুর্বল। কারণ , মানুষ বা অন্য কোনো প্রাণী যখন খাদ্য গ্রহণ করে তখন ঐ খাদ্যবস্তুর পুরোটাই তার শরীরে পরিণত হয় না। বরং এ থেকে সে বিভিন্ন ধরনের এসিড ও আমিষ জাতীয় উপাদান গ্রহণ করে। মানবদেহের একটি কোষে এক লাখ জিন থাকে এবং জৈব রাসায়নিক উপাদান থাকে তিনশ’
কোটি। এমতাবস্থায় বাঘ মানুষকে খেয়ে ফেললে মানুষের জিনগুলো তার শরীরে থেকে যায় না বা উদ্ভিদ যখন মাটি থেকে খাদ্য গ্রহণ করে তখন প্রাণীদেহের জিনগুলো তাতে আত্মস্থ হয়ে যায় না। কারণ , তাহলে সকল প্রাণী ও উদ্ভিদের জিন-কোড এলোমেলো হয়ে যেতো। বরং মানুষ , অন্যান্য প্রাণী ও উদ্ভিদ যখন খাদ্য গ্রহণ করে তখন প্রকৃত পক্ষে তা থেকে কেবল বিভিন্ন ধরনের এসিড ও আমিষ জাতীয় উপাদান আত্মস্থ করে স্বীয় শরীরের কোষসমূহকে শক্তিশালী করে , যার ফলে বিভাজনের মাধ্যমে নতুন নতুন কোষের সৃষ্টি হয় এবং সেগুলো প্রতিনিয়ত বিনষ্ট হয়ে যাওয়া কোষগুলোর স্থান পূরণ করে ; খাদ্যের কোষগুলো খাদ্যগ্রহীতার শরীরের কোষে পরিণত হয় না । অর্থাৎ খাদ্যের ভিতরকার জিনগুলো মাটিতেই থেকে যায় বা ফিরে যায়।
অতএব , সন্দেহ নেই যে , মৃত ব্যক্তির জিনগুলো বা অন্ততঃ তার অংশবিশেষ স্বতন্ত্রভাবে প্রকৃতিতে থেকে যাবেই।
এ প্রসঙ্গে আরো উল্লেখ্য যে , কোনো ব্যক্তির শরীর পুনর্গঠনের জন্য তার শরীরের উপাদানসমূহের অংশবিশেষই যথেষ্ট। কারণ , কোনো প্রাণীর শরীরেই সব সময় মোট বস্তুর পরিমাণ সমান থাকে না। অসুস্থতা ও সুস্থতার অবস্থায় শরীরে মোট বস্তুর পরিমাণে বিরাট পার্থক্য ঘটে। প্রাণীদেহের একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এই যে , শরীরে বাইরের যে সব উপাদান শোষিত হয় তা বিদ্যমান কোষের পুষ্টিসাধন করে এবং বিভাজন প্রক্রিয়ায় নতুন কোষের সৃষ্টি করে। আর রেকর্ড থেকে রেকর্ডে কপি করার ন্যায় নতুন কোষে পুরনো কোষের সমস্ত তথ্য লিপিবদ্ধ হয়ে যায়। ফলে ব্যক্তির ব্যক্তিসত্তায় কোনোরূপ পরিবর্তন ঘটে না। (আর মৃত্যুর আগে প্রাণীর শরীর থেকে যে সব কোষ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তার জিনে তার ঐ সময় পর্যন্তকার ইতিহাস লিপিবদ্ধ থাকে , যদিও ব্যক্তির মৃত্যুর সময়কার কোষের জিনগুলোই গুরুত্বপূর্ণ , কারণ তাতে তার পুরো ইতিহাস লিপিবদ্ধ থাকে।)
এ থেকে সুস্পষ্ট যে , কোনো মানুষের শরীরের পুনঃসৃষ্টির জন্য তার একটিমাত্র কোষের উপাদানসমূহ সংগ্রহ করাই যথেষ্ট। কারণ , একটি কোষে পুষ্টি সংযোজন করে নতুন নতুন কোষ সৃষ্টি করে পুরো শরীরটাই গঠন করা যেতে পারে এবং তা করা ও চোখের পলকের মধ্যে সম্পাদন করা সর্বশক্তিমান স্রষ্টার পক্ষে খুবই সহজ। তবে সর্বময় ক্ষমতাবান সৃষ্টিকর্তা চাইলে কোনো ব্যক্তির মৃত্যুকালীন শরীরের সকল উপাদান একত্রিতকরণও তাঁর জন্য মোটেই কঠিন কাজ নয়।