ইমামিয়্যাহ শীয়াদের আকিদা-বিশ্বাস

ইমামিয়্যাহ শীয়াদের আকিদা-বিশ্বাস0%

ইমামিয়্যাহ শীয়াদের আকিদা-বিশ্বাস লেখক:
: মাওঃ মোঃ আবু সাঈদ
প্রকাশক: দাওয়াতী মিশন
বিভাগ: ধর্ম এবং মাযহাব

ইমামিয়্যাহ শীয়াদের আকিদা-বিশ্বাস

লেখক: আয়াতুল্লাহ আল উযমা মাকারেম শিরাযী
: মাওঃ মোঃ আবু সাঈদ
প্রকাশক: দাওয়াতী মিশন
বিভাগ:

ভিজিট: 17661
ডাউনলোড: 4041

পাঠকের মতামত:

ইমামিয়্যাহ শীয়াদের আকিদা-বিশ্বাস
বইয়ের বিভাগ অনুসন্ধান
  • শুরু
  • পূর্বের
  • 26 /
  • পরের
  • শেষ
  •  
  • ডাউনলোড HTML
  • ডাউনলোড Word
  • ডাউনলোড PDF
  • ভিজিট: 17661 / ডাউনলোড: 4041
সাইজ সাইজ সাইজ
ইমামিয়্যাহ শীয়াদের আকিদা-বিশ্বাস

ইমামিয়্যাহ শীয়াদের আকিদা-বিশ্বাস

লেখক:
প্রকাশক: দাওয়াতী মিশন
বাংলা

ইমামিয়্যাহ শীয়াদের আকিদা-বিশ্বাস

(সংক্ষিপ্ত)

মূলঃ আয়াতুল্লাহ আল উযমা মাকারেম শিরাযী

অনুবাদঃ মাওঃ মোঃ আবু সাঈদ

প্রকাশনায়ঃ দাওয়াতী মিশন

ইমামিয়্যাহ শীয়াদের আকিদা-বিশ্বাস

মূলঃ আয়াতুল্লাহ আল উযমা মাকারেম শিরাযী

অনুবাদঃ মাওঃ মোঃ আবু সাঈদ

সংশোধনঃ মরহুম মাওঃ আলী আক্কাস ।

সম্পাদনাঃ মুহাম্মদ মতিউর রহমান ।

প্রকাশনায়ঃ দাওয়াতী মিশন

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

এই বইয়ের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য :

এক : আমরা এ যুগে বিরাট একটি বিল্পব প্রত্যক্ষ করলাম যা খোদায়ী দ্বীনসমূহের অন্যতম দ্বীন ইসলামের বিল্পব।

ইসলাম আমাদের যুগে এসে আরেকবার নব-জীবন লাভ করল। বিশ্ব মুসলিম নিদ্রা থেকে জেগে উঠল এবং নিজেদের আসল জায়গায় ফিরে এল। আর নিজেদের যে সব সমস্যাবলীর সমাধান কোথাও খুঁজে পাচ্ছিল না তা ইসলামের শিক্ষা-সংস্কৃতি ও মৌলিক শাখা-প্রশাখাগত বিধি-বিধানগুলোর মাঝে সন্ধান করতে লাগল।

এ বিল্পব সফল হওয়ার কারণ কী ? সে বিষয়ে আলোচনা একটি স্বতন্ত্র ব্যাপার। সব চেয়ে বড় কথা হল , আমাদের জানি এ মহান বিল্পবের প্রভাব সমস্ত ইসলামী দেশসমূহে এমনকি ইসলামী বিশ্বের বাইরের দেশগুলোতেও সুস্পষ্ট পরিলক্ষিত হচ্ছে। তাইতো দুনিয়ার অনেক মানুষ আজ ইসলামকে জানতে চায়। অবগত হতে চায় বিশ্ব মানবতার জন্যে ইসলামের নতুন আহ্বান সম্পর্কে।

এমন একটি স্পর্শকাতর পরিস্থিতিতে আমাদের করণীয় কর্তব্য হচ্ছে ইসলামের প্রকৃত যে পরিচয় রয়েছে তা কোন প্রকার অঙ্গসজ্জা ব্যতিরেকে এর স্পষ্ট ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ মানুষের সামনে তাদের বোধগম্য করে তুলে ধরা। আর মানুষের মধ্যে ইসলাম ও ইসলামী মাযহাবসমূহ সম্পর্কে জানার জন্য যে আগ্রহ ও পিপাসা রয়েছে যথাযথ বর্ণনার মাধ্যমে তা নিবারণ করা। আর আমাদের স্থলে অন্যদেরকে ইসলাম সম্পর্কে কথা বলার ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার সুযোগ না দেয়া।

দুই : অস্বীকার করার জো নেই যে , অন্যান্য মতবাদের ন্যায় ইসলামেও বিভিন্ন মাযহাব ও ফিরকামত বিদ্যমান , যার প্রত্যেকটিরই আকীদা-বিশ্বাস ও আমল-অনুশীলনের ক্ষেত্রে নিজস্ব আলাদা-আলাদা বৈশিষ্ট্যও রয়েছে। কিন্তু এ ভিন্নতা ও পার্থক্য কখনই এমন পর্যায়ের নয় যে , একই ইসলাম বিশ্বাসীদের মধ্যে পরস্পরের সহযোগিতার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বরং তারা নিজেরা পরস্পরের সাহায্য-সহযোগিতার মাধ্যমে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সৃষ্ট যে কোন ঝড়- তুফানের মুকাবিলায় নিজেদেরকে রক্ষা করতে এবং নিজেদের অভিন্ন শত্রুদেরকে তাদের নীল- নকশা বাস্তবায়নের পথে বাধা দিতে সক্ষম ।

নিঃসন্দেহে পরস্পরের মধ্যে সহযোগিতা ও সমঝোতার পরিবেশ সৃষ্টি ও তা দৃঢ় ও গভীর করার জন্যে কিছু মূলনীতি ও নীতিমালা মেনে চলা প্রয়োজন। এর মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে ইসলামী ফিরকা-মতসমূহ পরস্পরকে ভালভাবে জানতে হবে। এক ফিরকার নীতি ও বৈশিষ্ট্যাবলী অন্য ফিরকার লোকদের সামনে স্পষ্ট ও পরিস্কার থাকতে হবে। কেননা পরস্পরের চেনা-জানাই হচ্ছে একমাত্র হাতিয়ার যা ভুল বুঝা-বুঝি থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করতে ও পরস্পরের সহযোগিতার পথ সহজ করে দিতে পারে।

পরস্পরকে চেনা-জানার সবচেয়ে উত্তম উপায় হচ্ছে প্রত্যেক মাযহাবের আকীদা-বিশ্বাসের বিষয়গুলো এবং তাদের মৌলিক ও শাখা-প্রশাখাগত ব্যাপারগুলো সে মাযহাবেরই বড় বড় বিজ্ঞ- পন্ডিত ব্যক্তিদের কাছ থেকে অবগত হওয়া। কেননা , যদি অজানা-অজ্ঞদের কাছ থেকে জানতে চাই অথবা কোন মাযহাবের আকীদা-বিশ্বাসের বিষয়গুলো তাদের শত্রুদের কাছ থেকে শুনতে চাই তাহলে ভালবাসা ও বিদ্বেষ আমাদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্যে পৌঁছার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে এবং আমাদেরকে পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিবে। তখন সহযোগিতার বিষয়টি নিরাশার রূপ পরিগ্রহ করবে।

তিন : উপরোল্লেখিত দু টি দৃষ্টি-ভঙ্গির প্রেক্ষিতে শিয়া ইমামিয়া মাযহাবের মৌলিক বিশ্বাস ও শাখা-প্রশাখাগত বৈশিষ্ট্যগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরাই হচ্ছে এ ছোট্ট পুস্তকটি রচনার মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য , যা নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যাবলী সমৃদ্ধ :

1. প্রয়োজনীয় সমস্ত বিষয়গুলোর সার-সংক্ষেপ উপস্থাপন করা হয়েছে এবং তাতে পাঠকবৃন্দ বহু সংখ্যক বই-পুস্তক অধ্যয়ন করা থেকে নিস্কৃতি লাভ করবে।

2. আলোচনা স্পষ্ট ও দ্ব্যর্থক মুক্ত। এমনকি সে সব পরিভাষাগুলোকেও পরিহার করা হয়েছে , যেগুলো শুধু দ্বীনি মাদ্রাসার সাথে সম্পর্কযুক্ত। তবে পাঠক মহলের গভীর ও সুক্ষ্ম অধ্যায়নের অন্তরায় নয়।

3. যদিও আমাদের আলোচনার বিষয়বস্তু আকীদা-বিশ্বাসের বিষয় নিয়ে , এবং তার দলীল- প্রমাণ নিয়ে আলোচনা করা আমাদের উদ্দেশ্য নয় ; তবে স্পর্শকাতর বিষয়গুলোতে মনের তাগিদে সাড়া দিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনার মধ্যে যতটুকু সম্ভব কোরআন , হাদীস ও বিবেক ভিত্তিক দলীল সমৃদ্ধ আলোচনা করেছি।

4. সব ধরনের গোপনীয়তা , প্রতারণা ও অযৌক্তিক পূর্ব ধারণার নীতি পরিহার করা হয়েছে , যাতে করে বিষয়গুলো বাস্তবে যা আছে তারই রূপায়ণ ঘটে।

5. অন্যান্য মাযহাবসমূহের মর্যাদা ও সম্মান রক্ষার বিষয়টির প্রতি দৃষ্টি রাখা হয়েছে।

এ ছোট্ট পুস্তিকাটি পূর্বোল্লেখিত 3 টি বিষয়কে সামনে রেখে বাইতুল্লাহ্ শরীফের হজ্বব্রত পালনের সফরকালে , যখন অন্তরাত্মা অধিক স্বচ্ছতা সমৃদ্ধ থাকে , তখন রচনা করা হয়েছে। পরবর্তীতে কয়েকটি বৈঠকে একদল বিজ্ঞ আলেমের উপস্থিতিতে বিষয়টির উপর আলোচনা- পর্যালোচনার পর সমাপ্তির পর্যায়ে উপনিত করা হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস যে , আমরা আমাদের উদ্দেশ্যের পর্যায়ে সফলতার স্তরে পৌঁছতে পেরেছি , যে উদ্দেশ্যের কথা ইতিমধ্যেই আমরা প্রকাশ করেছি। আর এর প্রতিদান শেষ বিচার দিনের জন্য জমা করে রাখার আবেদন মহান আল্লাহর দরবারে রাখলাম। আরএ জগতে আমাদের প্রার্থনা হচ্ছে :

) رَّ‌بَّنَا إِنَّنَا سَمِعْنَا مُنَادِيًا يُنَادِي لِلْإِيمَانِ أَنْ آمِنُوا بِرَ‌بِّكُمْ فَآمَنَّا رَ‌بَّنَا فَاغْفِرْ‌ لَنَا ذُنُوبَنَا وَكَفِّرْ‌ عَنَّا سَيِّئَاتِنَا وَتَوَفَّنَا مَعَ الْأَبْرَ‌ارِ‌(

হে আমাদের প্রভূ! আমরা একজন আহ্বানকারীর (রাসূলুল্লাহ্ সঃ) এর (আহ্বান) শুনেছি ,তিনি আমাদেরকে ঈমান আনয়নের জন্যে আহ্বান জানাচ্ছেন যে , তোমরা স্বীয় প্রতিপালকের প্রতি ঈমান আন ; তাই আমরা ঈমান এনেছি। হে আমাদের রব! অতএব , আমাদের পাপ ও অন্যায়গুলোকে ক্ষমা এবং আমাদের ভুল-ত্রুটিগুলো আমাদের থেকে মোচন করে দাও। আর আমাদের মৃত্যু নেক্কার লোকদের সাথে কর (সূরাঃ আলে ইমরান , আয়াত নং 193)।

নাছের মাকারিম শিরাযী

মাদ্রাসাতুল ইমাম আমীরুল মু 'মিনীন (আঃ) , কোম , ইরান

মুহাররামুল হারাম 1417 হিঃ

প্রথম অধ্যায়

খোদা পরিচিতি ও একত্ববাদ

1 মহান আল্লাহর অস্তিত্ব :

আমরা বিশ্বাস করি : মহান আল্লাহ্ই সমগ্র বিশ্বের যাবতীয় সৃষ্টির সৃষ্টিকর্তা। তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব , বিজ্ঞতা ও শক্তি-ক্ষমতার নিদর্শনাবলী পৃথিবীর প্রতিটি সৃষ্টির সৃষ্টি নৈপুণ্যের অবয়বে স্বতঃপ্রমাণিত। আমাদের নিজেদের অস্তিত্বের নিপুণতার মাঝে , প্রাণী জগৎ ও উদ্ভিদ জগতের রকমারিত্বে , আকাশ মন্ডলের গ্রহ-নক্ষত্রগুলোর মধ্যে ও সৌরজগতের সর্বত্রই তাঁরই শক্তি- ক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ ঘটছে।

আমরা বিশ্বাস করি : এ পৃথিবীর যাবতীয় সৃষ্টির রহস্য সম্পর্কে যত অধিক পরিমাণ চিন্তা গবেষণা করব ততোধিক পরিমাণে খোদার বিজ্ঞতা ও শক্তি-সামর্থ্য সম্পর্কে অবগত হব। এভাবে আমাদের অবগতি বৃদ্ধির মধ্যে দিয়ে প্রতিদিন আমাদের জন্যে আল্লাহর অশেষ বিজ্ঞতা সম্পর্কে জানার নতুন নতুন দরজা খুলে যাবে এবং আমাদের চিন্তা-গবেষণার ক্ষেত্রগুলোকে আরো ব্যাপকভাবে বিস্তৃত ও বৃদ্ধি করবে। আর চিন্তা-ভাবনার এ ধারা আল্লাহর প্রতি আমাদের ভালবাসার উৎসগুলোকে উত্তর উত্তর আরো বাড়িয়ে দিবে এবং আমাদেরকে প্রতিটি মুহূর্তে সে মহান সত্তার সান্নিধ্যে ও নিকটে পৌছাতে সাহায্য করবে। আর তাঁর মহিমা ও সৌন্দর্যের মধ্যে আমাদেরকে একাকার ও বিলিন করে দেবে।

পবিত্র কোরআন বলছে :

) وَفِي الْأَرْ‌ضِ آيَاتٌ لِّلْمُوقِنِينَ وَفِي أَنفُسِكُمْ أَفَلَا تُبْصِرُ‌ونَ(

অর্থাৎ আর (খোদার প্রতি) আস্থাশীল লোকদের জন্য ভূ-পৃষ্ঠে যথেষ্ঠ নিদর্শনাদি বিদ্যমান রয়েছে। আর তোমাদের নিজেদের অস্তিত্বের মধ্যেও (যে সব নিদর্শন রয়েছে) সেগুলো কি তোমরা প্রত্যক্ষ্য করছো না ? (সূরাঃ আযযারিয়াত , আয়াত নং 20-21)।

মহান আল্লাহ বলেন :

) إِنَّ فِي خَلْقِ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْ‌ضِ وَاخْتِلَافِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ‌ لَآيَاتٍ لِّأُولِي الْأَلْبَابِ ﴿١٩٠﴾ الَّذِينَ يَذْكُرُ‌ونَ اللَّـهَ قِيَامًا وَقُعُودًا وَعَلَىٰ جُنُوبِهِمْ وَيَتَفَكَّرُ‌ونَ فِي خَلْقِ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْ‌ضِ رَ‌بَّنَا مَا خَلَقْتَ هَـٰذَا بَاطِلًا سُبْحَانَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ‌(

নিঃসন্দেহে আসমান ও যমীনের সৃষ্টির মধ্যে এবং পর্যায়ক্রমে রাত ও দিনের প্রত্যাগমনের মধ্যে চক্ষুষমান জ্ঞানী লোকদের জন্য (সুস্পষ্ট) নিদর্শনাদি বিদ্যমান রয়েছে। তাদের অবস্থা হচ্ছে যে , তারা আল্লাহকে স্মরণ করে দাঁড়ানো , বসা ও শয়ন অবস্থায়। আর তারা আসমান ও যমীনের সৃষ্টির (নিপুণতা ও রহস্যের) ব্যাপার নিয়ে গভীর চিন্তা-গবেষণা করে। (আর বলে) হে আমাদের প্রভূ! এ সবের কোনটিই তুমি অহেতুক বা অনর্থক সৃষ্টি করনি । (সূরা: আলে ইমরান , আয়াত নং-190-191)

2. আল্লাহর মহত্ব ও সুন্দর বৈশিষ্ট্যাবলী :

আমরা বিশ্বাস করি : মহান আল্লাহ্ সর্ব প্রকার দোষ-ত্রুটি মুক্ত। তিনি পরিপূর্ণতার প্রতীক , তিনি নিরঙ্কুশ ও সামগ্রিক পরিপূর্ণ একসত্তা। অন্য কথায় , এ পৃথিবীতে যত সৌন্দর্য ও পূর্ণতা আছে সে সব কিছুরই কেন্দ্রীয় উৎস হচ্ছে তিনি এবং তাঁর থেকেই সব কিছুর সৃষ্টি। মহান আল্লাহ্ বলেন :

) هُوَ اللَّـهُ الَّذِي لَا إِلَـٰهَ إِلَّا هُوَ الْمَلِكُ الْقُدُّوسُ السَّلَامُ الْمُؤْمِنُ الْمُهَيْمِنُ الْعَزِيزُ الْجَبَّارُ‌ الْمُتَكَبِّرُ‌ سُبْحَانَ اللَّـهِ عَمَّا يُشْرِ‌كُونَ ﴿٢٣﴾ هُوَ اللَّـهُ الْخَالِقُ الْبَارِ‌ئُ الْمُصَوِّرُ‌ لَهُ الْأَسْمَاءُ الْحُسْنَىٰ يُسَبِّحُ لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْ‌ضِ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ(

তিনিই সে মহান আল্লাহ্ যিনি ছাড়া আর কোন ইলাহ্ (উপাস্য) নেই। তিনিই প্রকৃত মালিক ও অধিপতি। সর্ব প্রকারের দোষ-ক্রটি মুক্ত। নিরাপওা প্রদানকারী। সব কিছুর সংরক্ষক ও নিয়ন্ত্রক। তিনি সেই অপরাজিত শক্তিধর-যিনি নিজের ইচ্ছানুযায়ী সব কিছু ঢেলে সাজান। (মুশরিকরা) যাদেরকে তাঁর সমকক্ষ ও অংশীদার হিসাবে দাঁড় করায় , তিনি সে সব থেকে মুক্ত ও পবিত্র। তিনি সেই মহান সৃষ্টিকর্তা-যিনি অনাদিকাল থেকে সৃষ্টি করে আসছেন। আকৃতি গঠণের মহা চিত্রকর। সৌন্দর্যমন্ডিত উত্তম নামসমূহ তাঁরই জন্যে নির্দিষ্ট। আকাশ-মন্ডল ও ভূ-মন্ডলে যা কিছু আছে সবই তাঁর প্রশংসা-স্থতি পাঠ করছে। আর তিনি মহা পরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময় (সূরা : আল-হাশর , আয়াত নং 23-24)।

উপরোল্লেখিত আল্লাহর মহিমা-মহত্ব , শোভা-সৌন্দর্য ও গুণ-বৈশিষ্ট্যাবলী তাঁর একটা অংশ বিশেষ মাত্র।