কোরআন মজীদের ভবিষ্যদ্বাণী
কোরআন মজীদের কিছু সংখ্যক আয়াতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে এবং সেগুলো বাস্তবে প্রতিফলিত হয়েছে। কোরআন মজীদ যে সব ঘটনা সংঘটিত হবার ভবিষ্যদ্বাণী করেছে সে সবের মধ্য থেকে একটিরও অন্যথা হয় নি। বলা বাহুল্য যে , যেহেতু এগুলো খোদায়ী ওয়াহীর ভবিষ্যদ্বাণী সেহেতু তার অন্যথা হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।
এখন আমরা এ জাতীয় ভবিষ্যদ্বাণী থেকে দৃষ্টান্ত স্বরূপ কয়েকটি সম্পর্কে উল্লেখ করবো।
বদর যুদ্ধে মুসলমানদের বিজয়ের আগাম বার্তা
কোরআন মজীদে এরশাদ হয়েছে :
)
و اذ يعدکم الله احدی الطائفتين انها لکم و تودون ان غير ذات الشوکة تکون لکم و يريد الله ان يحق الحق بکلماته و يقطع دابر الکافرين(
.
“
আর স্মরণ কর সেদিনের কথা যখন আল্লাহ্ প্রতিশ্রুতি দিলেন যে , তোমরা দু’
টি দলের মধ্যে যে কোনো একটির সাথে মুখোমুখি হবে , আর তোমরা কামনা করছিলে যে , দুর্বল দলটির সাথে মোকাবিলা করবে। কিন্তু আল্লাহ্ চান যে , (তোমরা শক্তিশালী দলটির সাথে মোকাবিলা করবে এবং তার মাধ্যমে তিনি) সত্যকে সত্যরূপে প্রতিষ্ঠিত করবেন ও কাফেরদের শক্তিকে খর্ব করে দেবন।”
(সূরাহ্ আল্-আনফাাল্ : 7)
উক্ত আয়াতটি বদর যুদ্ধের আগে নাযিল্ হয়েছিলো। আল্লাহ্ তা‘
আলা উক্ত আয়াতে এ যুদ্ধে মু’
মিনদের বিজয় ও কাফেরদের বিপর্যয়ের প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন এবং অচিরেই তা বাস্তব রূপ লাভ করে।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে , কাফেরদের দু’
টি কাফেলার মধ্যে একটি ছিলো বাণিজ্যিক কাফেলা , অপরটি ছিলো সামরিক কাফেলা। কাফের ও মুসলমানদের মধ্যে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছিলো বিধায় প্রতিপক্ষের বাণিজ্যিক কাফেলাও সামরিক গুরুত্বের অধিকারী ছিলো। তাছাড়া তৎকালে আরবরা সর্বাবস্থায় অস্ত্র বহন করতো এবং বাণিজ্যিক কাফেলায়ও দস্যুহামলা মোকাবিলা করার জন্য কিছু সংখ্যক শক্তিশালী যোদ্ধা রাখা হতো। তা সত্ত্বেও মুসলমানরা কাফেরদের বাণিজ্যিক কাফেলার ওপর হামলা চালালে তার বিরুদ্ধে বিজয় হতো সহজতর। কিন্তু তা গৌরবজনক হতো না। কাফেলা দু’
টি মদীনার কাছে এসে পৌঁছার আগেই আল্লাহ্ তা‘
আলা তাঁর রাসূলের মাধ্যমে মুসলমানদেরকে এর খবর জানিয়ে দেন। শেষ পর্যন্ত মুসলমানরা কাফেরদের সামরিক কাফেলার সাথে যুদ্ধ করে এবং তাতে গৌরবময় বিজয়ের অধিকারী হয়।
ঐ সময় মুসলমানরা সংখ্যাশক্তি ও সামরিক উপকরণাদির দিক থেকে কাফেরদের তুলনায় খুবই দুর্বল ছিলেন। এ যুদ্ধে মুসলমানদের সৈন্যসংখ্যা ছিলো মাত্র 313 জন , অন্যদিকে কাফেরদের সৈন্যসংখ্যা ছিলো এক হাজার। মুসলমানদের মধ্যে হযরত মিক্ব্দাদ্ ও হযরত যুবাইর্ বিন্‘
আওয়াম - মাত্র এই দু’
জন অশ্বারোহী সৈন্য ছিলেন , বাকী সবাই ছিলেন পদাতিক। অন্যদিকে কাফেররা সংখ্যাশক্তিতেও বেশী ছিলো এবং সামরিক সরঞ্জামের দিক থেকেও শক্তিশালী ছিলো । কোরআন মজীদেও উল্লেখ করা হয়েছে যে , মুসলমানদের তুলনায় কাফেররা এতোই শক্তিশালী ছিলো যে , মুসলমানরা তাদের বিরুদ্ধে লড়াই-এর ব্যাপারে রীতিমতো ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন।
কিন্তু আল্লাহ্ তা‘
আলা উক্ত আয়াতের মাধ্যমে আগেই মুসলমানদেরকে তাঁর আসমানী ফয়সালার কথা জানিয়ে দেন যে , তিনি চান , সত্যকে মিথ্যার ওপর বিজয়ী করবেন। আল্লাহ্ তাঁর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী (বলা বাহুল্য যে , তিনি কখনোই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেন না) মুসলমানদেরকে তাঁদের দুশমনদের ওপর বিজয়ী করে দেন এবং কাফেরদেরকে পর্যুদস্ত করে দেন।
কাফেরদের চূড়ান্ত বিপর্যয়ের আগাম বার্তা
কোরআন মজীদে এরশাদ হয়েছে :
)
فاصدع بما تؤمر و اعرض عن المشرکين. انا کفيناک المستهزءِين الذين يجعلون مع الله الهاً آخر. فسوف يعلمون(
.
“
অতএব , (হে রাসূল!) আপনাকে যে বিষয়ে আদেশ করা হয়েছে তা প্রকাশ্যে ঘোষণা করে দিন এবং মুশরিকদেরকে চ্যালেঞ্জ করুন। নিঃসন্দেহে সেই বিদ্রুপকারীদের বিরুদ্ধে আমি আপনাকে যথেষ্ট সামর্থ্যবান করে দেবো যারা আল্লাহর সাথে অন্য ইলাহ্ বানিয়ে নিয়েছে। অতঃপর তারা (তাদের কাজের অশুভ পরিণতি) জানতে পারবে।”
(সূরাহ্ আল্-হিজর : 94-96)
হযরত রাসূলে আকরাম্ (ছ্বাঃ) মক্কায় ইসলাম প্রচার শুরু করার পর প্রথম দিকেই এ আয়াত ক’
টি নাযিল্ হয়। বাযযাায্ ও ত্বিবরাানী প্রমুখ মুফাসসিরে কোরআন এ আয়াত নাযিলের উপলক্ষ্য সম্পর্কে হযরত আনাস বিন মালেক থেকে বর্ণিত একটি হাদীছ উদ্ধৃত করেছেন। এতে বলা হয়েছে : একদিন হযরত রাসূলে আকরাম্ (ছ্বাঃ) যখন মক্কায় কিছু লোকের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন তারা তাঁর প্রতি উপহাস ও বিদ্রুপ করে এবং বলে :“
এই হচ্ছে সেই ব্যক্তি যে ধারণা করছে যে , সে একজন নবী এবং জিবরাঈল তার সাথে রয়েছে।”
(لباب النقئل: جلال الدين سيوطی- ١٣٣
) অতঃপর এ আয়াত ক’
টি নাযিল্ হয় এবং এতে হযরত রাসূলে আকরাম্ (ছ্বাঃ)-এর বিজয় ও অদৃশ্য ঐশী সাহায্য লাভ এবং তাঁর প্রতি বিদ্রুপকারীদের অপমান-লাঞ্ছনা ও পর্যুদস্ত হবার ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়।
এ আয়াত ক’
টি এমন এক সময় নাযিল্ হয় যখন কল্পনা করাও সম্ভবপর ছিলো না যে , এমন এক সময় আসবে যখন ক্বুরাইশরা তাদের শৌর্য-বীর্য ও ইজ্জত-সম্ভ্রম হারিয়ে ফেলবে এবং হযরত রাসূলে আকরাম্ (ছ্বাঃ)-এর বিজয়ের মাধ্যমে তাদের শক্তি ও আধিপত্য নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
এই একই প্রসঙ্গে মক্কায় নাযিলকৃত অপর একটি আয়াত হচ্ছে :
)
هو الذی ارسل رسوله بالهدی و دين الحق ليظهره علی الدين کله و لو کره المشرکون(
.
“
তিনিই আল্লাহ্ যিনি তাঁর রাসূলকে পথনির্দেশ ও সত্য দ্বীন সহ পাঠিয়েছেন যাতে তিনি এ দ্বীনকে সামগ্রিকভাবে সকল দ্বীনের ওপর বিজয়ী ও সমুদ্ভাসিত করে দেন।”
(সূরাহ্ আছ্ব্-ছ্বাফ্ : 9)
কোরআন মজীদে আরো এরশাদ হয়েছে :
)
ام يقولون نحن جميع منتصر. سيهزم الجمع و يولون الدبر(.
“
তারা কি বলছে :“
আমরা অপরাজেয় দল।”
? এ দল অচিরেই পরাজিত হবে ও পৃষ্ঠপ্রদর্শন করবে।”
(সূরাহ্ আল্-ক্বামার : 44-45)
এ আয়াতদ্বয়েও মোশরেকদের পরাজয় ও ছিন্নভিন্ন হয়ে যাওয়ার ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে। আর অচিরেই বদর যুদ্ধের মাধ্যমে এ ভবিষ্যদ্বাণী কার্যকর হয়।
এ যুদ্ধে মোশরেকদের নেতা আবূ জেহেল তার ঘোড়া নিয়ে সামনে এগিয়ে আসে এবং স্বীয় সেনাবাহিনীর সম্মুখভাগে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করে :“
আজ আমরা মুহাম্মাদ ও তার সহচরদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ গ্রহণ করবো।”
কিন্তু আল্লাহ্ তা‘
আলার ইচ্ছা অনুযায়ী সে নিহত হয় এবং তার সেনাবাহিনী ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
এভাবে আল্লাহ্ তা‘
আলা সত্যকে সুস্পষ্টরূপে তুলে ধরেন এবং সত্যের বাণীর শ্রেষ্ঠত্ব ও প্রাধান্য প্রতিপন্ন করেন। আর এ ঘটনা এমন এক সময় সংঘটিত হয় যখন মুসলমানরা ছিলেন সংখ্যায় অল্প এবং সামরিক শক্তিতে খবই দুর্বল। তখন কারো পক্ষে কল্পনা করাও সম্ভবপর ছিলো না যে , মাত্র দু’
টি অশ্ব ও সত্তরটি উট (যাতে তাঁরা পালাক্রমে সওয়ার হতেন) সম্বলিত মাত্র তিনশ’
তেরো জন লোকের এক বাহিনী - যারা যুদ্ধসরঞ্জামে সুসজ্জিত ছিলেন না , তাঁরা বিপুল যুদ্ধাস্ত্র ও অন্যবিধ সামরিক উপকরণে সুসজ্জিত এক বিরাট বাহিনীর বিরুদ্ধে বিজয়ী হবেন এবং তাদের শক্তিকে খর্ব করে দেবেন , তাদেরকে ছিন্নভিন্ন করে দেবেন , আর তাদের সম্মান , আধিপত্য ও গৌরবকে নস্যাৎ করে দেবেন।
রোমানদের বিজয়ের ভবিষ্যদ্বাণী
কোরআন মজীদে এরশাদ হয়েছে :
)
غلبت الروم. فی ادنی الارض و هم من بعد غلبهم سيغلبون(
“
রোম পরাজিত হয়েছে (আরব থেকে) নিকটতর ভূখণ্ডে , কিন্তু তাদের এ পরাজয়ের পর অচিরেই তারা বিজয়ী হবে।”
(সূরাহ্ আর্-রূম্ : 2-3)
কোরআন মজীদের উপরোক্ত আয়াত দু’
টি পারস্য সামরাজ্যের নিকট রোম সামরাজ্যের পরাজয়ের অব্যবহিত পরেই নাযিল্ হয়। এতে অচিরেই পারস্যের বিরুদ্ধে রোমের বিজয়ের ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়। এ ভবিষ্যদ্বাণী দশ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে কার্যকরী হয় এবং রোম সমরাটের সেনাবাহিনী পারস্যে প্রবেশ করে।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে , 614 খৃস্টাব্দে রোমান সামরাজ্য পারস্য সামরাজ্যের নিকট শোচনীয় পরাজয় বরণ করে এবং ঐ বছরই আরব উপদ্বীপ সংলগ্ন সিরিয়া ও ফিলিস্তিন রোমানদের হাত থেকে পারস্যের হাতে চলে যায়। যদিও অগ্নিপূজারী পারস্য সামরাজ্য ও খৃস্টান রোমান সামরাজ্য উভয়ই ছিলো অমুসলিম , কিন্তু এ সত্ত্বেও খৃস্টানরা আহলে কিতাব্ ও তাওহীদবাদী হিসেবে পরিচিত হওয়ার কারণে মুসলমানরা অগ্নিপূজারীদের মোকাবিলায় তাদের প্রতি নৈতিক সমর্থন ব্যক্ত করতেন , অন্যদিকে মক্কাহর মুশরিকরা অগ্নিপূজারী পারসিকদের সমর্থন করতো।
এমতাবস্থায় রোমান সামরাজ্য পরাজিত হলে মুশরিকরা মুসলমানদেরকে এই বলে উপহাস করতে থাকে যে , তোমাদের দাবী অনুযায়ী খোদা যদি মাত্র একজন হবেন এবং দেবদেবী সব মিথ্যা হবে তাহলে সে খোদা অগ্নিপূজারী পারসিকদের মোকাবিলায় তাওহীদবাদী আহলে কিতাব্ রোমান খৃস্টানদের পরাজয় ঠেকাতে পারলেন না কেন ?
যদিও এটা ছিলো একটা অপযুক্তি , কারণ , আল্লাহ্ তা‘
আলার এটা নীতি নয় যে , পার্থিব কার্যকারণ বিধিকে অকার্যকর করে সর্বাবস্থায় তাওহীদবাদীদের বিজয়ী করে দেবেন , তা সত্ত্বেও কালোর্ধ পরম জ্ঞানী আল্লাহ্ তা‘
আলা অচিরেই রোমানদের বিজয়ী হবার তথ্য জানিয়ে দিয়ে মুসলমানদেরকে সান্ত্বনা দেন এবং নয় বছরের মধ্যে তা বাস্তবে রূপায়িত হয় - যা কোরআন মজীদের ঐশিতাও প্রমাণ করে।
আবূ লাহাব ও তার স্ত্রীর পরিণতি
আল্লাহ্ তা‘
আলা এরশাদ করেন :
)
تبت يدا ابی لهب و تب. ما اغنی عنه ماله و ما کسب. سيصلی ناراً ذات لهب و امرأته. حمالة الحطب. فی جيدها حبل من مسد(
.
“
আবূ লাহাবের দুই হাত ধ্বংস হোক (তার শক্তি খর্ব হোক) আর সে নিজেও ধ্বংস হোক। তার ধনসম্পদ এবং সে যা উপার্জন করেছে তা তাকে ধ্বংস থেকে রক্ষা করতে পারবে না। অচিরেই সে লেলিহান শিখা বিশিষ্ট অগ্নিতে (দোযখে) প্রবেশ করবে। আর তার জ্বালানী কাষ্ঠ বহনকারিনী স্ত্রী-ও (অচিরেই সে লেলিহান শিখা বিশিষ্ট অগ্নিতে প্রবেশ করবে) - এমন অবস্থায় যে , তার গলায় খেজুর পাতায় তৈরী রশি থাকবে।”
(সূরাহ্ লাহাব্ : 1-5)
এ সূরাহটি আবূ লাহাবের জীবদ্দশায় মক্কায় নাযিল্ হয় এবং এতে তার ও তার স্ত্রীর অচিরেই জাহান্নামে প্রবেশের ভবিষ্যদ্বাণী করা হয় যার মানে হচ্ছে এরা দু’
জন জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ইসলাম গ্রহণ করবে না , বরং ইসলামের বিরুদ্ধে অন্ধ বিরোধিতা অব্যাহত রাখবে। কার্যতঃও তা-ই হয় এবং তারা উভয়ই কাফের অবস্থায়ই মৃত্যুমুখে পতিত হয়ে চিরদিনের জন্য জাহান্নামী হয়।
উল্লেখ্য , এ সূরাহ্ নাযিল হওয়ার সময় মক্কার অধিকাংশ নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিই ছিলো ইসলামের ঘোরতর বিরোধী। তাই তাদের মধ্যে পরবর্তীতে কে ইসলাম গ্রহণ করবে এবং কে ইসলাম গ্রহণ করবে না তা মানবীয় বিচারবুদ্ধির পক্ষে বলা সম্ভব ছিলো না। উদাহরণস্বরূপ , তাদের মধ্য থেকে আবূ সুফিয়ান পরবর্তীকালে ইসলাম গ্রহণ করে। এমতাবস্থায় সুস্পষ্টভাবে আবূ লাহাবের জাহান্নামী হওয়ার ব্যাপারে ভবিষ্যদ্বাণী করা কেবল খোদায়ী ওয়াহীর পক্ষেই সম্ভব ছিলো।
বর্ণিত আছে , আবূ লাহাবের স্ত্রী জ্বালানী কাষ্ঠ সংগ্রহ করে তার বোঝা খেজুর পাতার রশি দিয়ে বেঁধে সে রশির মধ্যে গলা প্রবেশ করিয়ে বোঝাটি পিঠের ওপর নিয়ে বহন করতো। এটা ছিলো তার নিয়মিত অভ্যাস। ঘটনাক্রমে একদিন তার পিঠের বোঝা ঘুরে গিয়ে তার গলার রশিতে টান পড়ে রশিটি শক্তভাবে তার গলায় এঁটে যায়। এর ফলে সে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যায়। এভাবেই বিশেষভাবে উক্ত সূরাহর শেষ আয়াতের ভবিষ্যদ্বাণী কার্যকরী হয়।