হাদীসশরীফে
বার
ইমাম
ইতিপূর্বে উল্লেখিত হয়েছে যে , আল - কোরআনে আল্লাহ বলেন ,‘
ক্বিয়ামতের ময়দানে প্রত্যেককে তার ইমামের সাথে পুনরুত্থিত করা হবে ।’
আর এটা নিঃসন্দেহে সত্য যে রাসূল ( সা .) এর পরলোকগমনের পর মুসলমানদের মধ্যে বিভিন্ন পথ ও মতের উদ্ভব হয়েছে । আর ন্যায় সঙ্গত কারণেই প্রত্যেক জনগোষ্ঠীকে তার অনুসৃত নেতৃত্বের সাথে ক্বিয়ামতের দিবসে পুনরুত্থিত করা হবে । সে কারণে ইসলাম ও ইসলামী উম্মতকে সঠিক খাতে প্রবাহিত এবং সকল প্রকার বিচ্যুতি থেকে সংরক্ষিত রাখার জন্যে ইমামদের গুরুত্ব অতুলনীয় প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা ( সা .) বলেছেন ,
لا یزال الاسلام عزیزا الی اثنی عشر خلیفة
অর্থাৎঃ ইসলাম প্রিয়পাত্র হবেনা যতক্ষন না পর্যন্ত বারজন খলিফা অতিবাহিত হবে ।
মহানবী (সা .) এর অন্তর্ধানের পর ইসলামে বারজন খলিফা বা নেতা আগমন করবেন , এ ব্যাপারে বিভিন্ন হাদীস ও ইতিহাস গ্রন্থে দু’
ধরণের হাদীস পরিলক্ষিত হয় ।
একঃ
এমন সব হাদীস যেখানে শুধূমাত্র বারজন খলিফার আগমন বার্তা দেয়া হয়েছে যে তারা সকলে কোরাইশ বংশ থেকে হবেন । দৃষ্টান্ত স্বরূপঃ
روی البخاری عن جابر بن سمره قال: سمعت رسول الله یقول: «یکون اثناعشر امیرا» فقال کلمه لم اسمعها، فقال ابی: انه قال: «کلهم من قریش»
অর্থাৎঃ আল বুখারী জাবির বিন সামারাহ থেকে বর্ণনা করেছেন যে তিনি বলেছেন আমি আল্লাহর রাসূলের কাছ থেকে শুনেছি যে তিনি বলেছেনঃ বারজন নেতা ( আমার পরে ) আগমন করবে । অতঃপর একটি শব্দ উচ্চারণ করলেন , আমি শুনতে পাইনি । আমার পিতা বলেন , তিনি বলেছেন তারা সকলে কুরাইশ বংশ থেকে হবেন ।
মুসলিম তার সহীহাতে জাবির বিন সামারাহ থেকে নিম্নলিখিত ভাবে বর্ণনা করেছেন , জাবির বিন সামারাহ বলেনঃ
دخلت مع ابی علی النبی (ص) فسمعته یقول: ان هذا الامر لا ینقضی حتی یمضی فیهم اثنی عشر خلیفة قال ثم تکلم بکلام خفی علی، قال فقلت لابی: ما قال ؟ قال : «کلهم من قریش»
অর্থাৎঃ“
আমি আমার পিতার সাথে নবী ( সা .) এর খেদমতে উপস্থিত হলাম । অতঃপর আমি শুনতে পেলাম যে তিনি বলেছেনঃ যতক্ষন পর্যন্ত বরাজন খলিফা আগমন না করেছেন ততক্ষন পর্যন্ত মুসলমানদের ক্রিয়া কর্ম সুস্পষ্টভাবে সম্পন্ন হবে না । তিনি ( জাবির ) বলেনঃ নবী ( সা .) কি যে বললেন আমি তা বুঝতে পারি নি । তিনি বলেন , আমি আমার বাবাকে বললাম , তিনি কি বলেছিলেন ? উত্তরে আমার পিতা বলেন , তিনি বলেছেনঃ তারা সবাই কুরাইশ বংশ থেকে হবেন ।”
মুসলিম অন্যত্র আরো হাদীস বর্ণনা করেছেন । তিনি উল্লেখ করেন যে নবী ( সা .) বলেছেনঃ
لا یزال امر الناس ماضیا ما ولیهم اثنی عشر رجلا ثم تکلم النبی (ص) یکلمه خفیت علی فسألت ابی: ماذا قال رسول الله (ص) ؟ فقال «کلهم من قریش»
অর্থাৎঃ যতক্ষন পর্যন্ত বারজন খলিফা মানুষের উপর কর্তৃত্ব না করছেন ততক্ষন পর্যন্ত তাদের কাজ কর্ম সঠিকভাবে সম্পন্ন হবে না । অতঃপর নবী ( সা .) কি যেন উচ্চারণ করলেন আমি তা বুঝতে পারিনি । আমি আমার পিতাকে জিজ্ঞেস করলাম নবী ( সা .) কি বলেছেন ? তিনি বলেন নবী ( সা .) বলেছেন , তারা সকলে কুরাইশ গোত্রের অন্তর্ভুক্ত ।
আবু দাউদ জাবির বিন সামারাহ থেকে বর্ণনা করেছেন যে তিনি বলেছেনঃ
سمعت رسول الله (ص) یقول: لا یزال هذا الدین عزیزا الی اثنی عشر فکبر الناس و ضجوا، ثم قال لابی: یا اباه ما قال ؟ قال: «کلهم من قریش»
অর্থাৎঃ আমি রাসূলুল্লাহর কাছ থেকে শুনেছি , তিনি বলেছেন , বারজন পর্যন্ত এ দ্বীন পৃথিবীর বুকে সম্মানিত থাকবে । অতঃপর জনগনের তাকবীর ধ্বনীতে কোলাহল সৃষ্টি হল । পরে তিনি কি যেন একটা শব্দ বললেন । আমি আমার পিতাকে জিজ্ঞেস করলাম , হে পিতা তিনি কি বলছেন ? পিতা বললেন তিনি বলেছেন , তারা সকলে কুরাইশ বংশ থেকে আসবেন ।
তিরমিযি তার সহীহাতে এভাবে উল্লেখ করেছেনঃ
قال جابر بن سمره انه قال رسول الله: یکون من بعدی اثنی عشر امیرا ثم تکلم بشلی لم افهمه فسألت الذی یلینی، فقال: قال کلهم من قریش.
অর্থাৎঃ জাবির বিন সামারাহ বলেছেন যে রাসূল ( সা .) বলেছেনঃ আমার পরবর্তী বারজন আমীর আগমন করবেন । অতঃপর তিনি কিছু বললেন যা আমার বোধগম্য হয়নি । আমি আমার পেছেনে উপবিষ্ট ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করলাম যে তিনি কি বলেছেন ? তিনি বললেন রাসূল ( সা .) বলেছেনঃ তারা সবাই কুরাইশ বংশদ্ভুত হবেন ।
জনাব তিরমিযি উক্ত হাদীসটিকে সহি ও হাসান বলে আখ্যায়িত করেছেন । তিনি একই রকম আরো অনেক হাদীস জাবির বিন সামারাহ থেকৈ বর্ণনা করেছেন ।
বারজন খলিফা সংক্রান্ত বিষয়ে মুসনাদে আহামাদের গ্রন্থকার , জাবির বিন সামারাহ থেকে নিম্নলিখিতরূপে বর্ণনা করেছেনঃ
قال سمعت النبی یقول : یکون لهذه الامه اثنی عشر خلیفة
অর্থাৎঃ তিনি বলেছেন , আমি নবী ( সা .)- এর কাছ থেকে শুনেছি যে তিনি বলেছেনঃ আমার উম্মতের জন্যে বারজন খলিফা আগমন করবেন । লেখক মোট 34 টি সূত্রে একই ধরণের হাদীস তার গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করেছেন ।
আল হাকেম নিশাপুরী তার বিখ্যাত‘
আল মুসতাদরাক আস - সহিহাইন ফি’
মারিফাত আস - সাহাবা’
- তে আউন বিন জাহফিা থেকে উপরোক্ত হাদীসসূহের ন্যায় আরো হাদীস বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন এগুলো তার পিতার কাছ থেকে শুনেছেন ।
তাছাড়াও আরো বহু ইতিহাস ও হাদীস গ্রন্থে এ ধরণের হাদীস বর্ণিত আছে ।
উপরোক্ত বিষয় সম্পর্কে সুন্নী বিশ্বের বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ আ্ল্লামা জালালুদ্দীন সূয়ুতি তার সুপরিচিত গ্রন্থ“
তারিখ আল খোলাফা”
তে নিম্নলিখিতরূপে লিপিবদ্ধ করেছেনঃ
و عند احمد و البزار بسند حسن عن ابن مسعود انه سئل کم یملک هذه الامه من خلیفه ؟ فقال: سألنا عنها رسول الله (ص) فقال : اثنا عشر کعده نقباء بنی اسرائیل.
অর্থাৎঃ আহমাদ ও আল বাযযার উত্তম সনদের ভিত্তিতে ইবনে মাসউদ থেকে বর্ণনা করছেন যে তাকে জিজ্ঞেস করা হলো , কতজন খলিফা এ উম্মতের উপর শাসন চালাবনে ? তিনি বললেন , আমারা এ প্রসংঙ্গে নবী ( সা .) কে প্রশ্ন করেছিলাম তিনি বলেছেন , তার বনি ইসরাইলের বারজন নকীবের সমান সংখ্যক হবেন ।
ইবনে হাজার তার স্বীয় গ্রন্থে এভাবে বর্ণনা দিচ্ছেনঃ
اخرج الطبرانی عن جابر بن سمره ان النبی (ص) قال: یکون بعدی اثنی عشر امیرا کلهم من قریش.
অর্থাৎঃ তাবারানী জাবির বিন সামুরাহ থেকে বর্ণনা দিচ্ছেন যে নবী ( সা .) বলেছেনঃ আমার পরে বারজন নেতা আগমন করবে , তারা সকলে কুরাইশ বংশের হবেন ।
আমরা এই প্রথম প্রকার হাদীসসমূহ থেকে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারি যে , মুসলিম উম্মতের কাজ - কর্ম সুস্পষ্টভাবে পরিচালনার জন্যে , ইসলামকে সম্মানের আসনে অধিষ্ট করার লক্ষে নবী ( সা .)- এর বংশ কুরাইশ থেকে তার অন্তর্ধানের পর পর্যায়ক্রমে ইমাম বা খলিফা হিসেবে বারজন সুমহান ব্যক্তি আগমন করবেন ।
দুইঃ
এমন সব হাদীস যেখানে স্পষ্ট করে বার ইমামের নাম উল্লেখ করা হয়েছে । অনেক সুন্নী গ্রন্থকার তাদের প্রত্যেকের নাম তাদের বর্ণিত হাদীসসমূহে উল্লেখ করেছেন । তারা বলেছেনঃ বার ইমামের প্রথম হচ্ছেন আলী ইবনে আবি তালিব । অতঃপর তার জৈষ্ঠ পুত্র হাসান , তার পর হুসাইন ( আ .) । অতঃপর হুসাইনের বংশ থেকে নয়জন ইমাম আসবেন যার শেষজন হবেন মাহদী মওউদ ।
ইয়া নাবিউল মাওয়াদ্দা গ্রন্থে এভাবে বর্ণিত আছেঃ
আতাল নামক একজন ইয়াহুদী মহানবী ( সা .) এর খেদমতে উপস্থিত হয়ে আরজ পেশ করলোঃ হে মুহাম্মদ , কয়েকটা প্রশ্ন আমি আপনাকে করতে চাই , যা কিছুদিন থেকৈ আমার মানসপটে আন্দোলিত হচ্ছে । যদি আপনি এর উত্তর আমাকে প্রদান করেন তাহলে আমি আপনার হস্তে ইসলাম গ্রহন করবো ।
নবী পাক ( সা .) বললেন , হে‘
আবু আম্মারা’
, তুমি প্রশ্ন করে যাও , কোন অসুবিধা নেই । ঐ ব্যক্তি কয়েকটি প্রশ্ন করলো এবং প্রতিবারেই আপনি সত্য বলেছেন , বলে সম্মতি প্রকাশ করলো । লোকটি জিজ্ঞেস করলোঃ আমাকে বলে দিন , আপনার উত্তরাধীকারী কে ? কেননা কোন নবীই উত্তরাধীকারী না রেখে দুনিয়া ত্যাগ করেন নি । আমাদের নবী হযরত মূসা ( আ .) বলে গেছেন তার অবর্তমানে হযরত ইউশায়’
বিন নুন হলেন আল্লাহর নবী । নবী করিম ( সা .) উয়াহুদী লোকটির প্রশ্নের উত্তরে বললেনঃ
আমার উত্তরাধীকারী হলো আলী ইবনে আবি তালিব এবং তার পরে আমার দুই সস্তান হাসান ও হুসাইন । অতঃপর অবশিষ্ট নয়জন ইমাম , হুসাইনের বংশ থেকে আগমন করবেন ।
“
হে মুহাম্মদ দয়া করে তাদের নাম বলে দিন”
- লোকটি বললো । নবী ( সা .) বললেনঃ হুসাইনের পরলোকগমনের পর তার পুত্র আলী , তার অন্তর্ধানের পর স্বীয় পুত্র মুহাম্মদ , তার ইন্তেকালের পর জা’
ফর আর জাফরের তিরোধনের পর তদীয় পুত্র মুসা , মুসার ইহলোক ত্যাগের পর তার ছেলে আলী , আলীর ইন্তেকালের পর ততদীয় পুত্র মুহাম্মদ আর মুহাম্মদের পর তদীয় পুত্র আলী , আলীর ইন্তেকালের পর তদীয় ছেলে হাসান এবং হাসানের পর তদতীয় সন্তান মুহাম্মদ মাহদী পর্যায়ক্রমে ইমাম হবেন । তারা আল্লাহর হুজ্জাত বা যমিনের বুকে অকাট্য দলীল ।”
পরক্ষনেই ইয়াহুদী লোকটি ইসলাম গ্রহন করলেন । তিনি সঠিক পথনির্দেশনা পেয়ে আল্লাহর অশেষ প্রশংসা করে বিদায় নিলেন ।
এ ধরণের প্রচুর হাদীস ইমামীয়া মতাবলম্বীদের গ্রন্থাদিতে পরিলক্ষিত হয় । যেহেতু আমরা তাদের কোন বর্ণনা এ পুস্তকে লিপিবদ্ধ করতে অনিচ্ছুক তাই প্রথম থেকেই চেষ্টা করে আসছি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের নির্মল ও পরিশুদ্ধ উৎসসূহ থেকেই সকল হাদীস বর্ণনা করতো ।
আরো একটা হাদীসে জাবির বিন আব্দুল্লাহ আনসারী থেকে বর্ণিত আছে যে তিনি বলেছেনঃ যখন
)
أ
َطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَأُولِي الْأَمْرِ مِنْكُمْ(
অর্থাৎঃ তোমরা আল্লাহকে অনুসরণ কর , অনুসরণ ও আনুগত্য কর রাসূলের এবং তোমাদের মধ্যে‘
উলুল আমর’
- এর ।
আয়াতটি অবতীর্ণ হয় তখন আমি রাসূরে খোদা ( সা .) কে জিজ্ঞেস করলামঃ হে আল্লাহর রাসূল , আমরা আল্লাহ ও তার রাসূলকে চিনেছি । এখন উক্ত আয়াত অনুযায়ী‘
উলুল আমর’
কে চেনা আমাদের জন্য একান্ত প্রয়োজন যাদেরকে অনুসরণ করা , যাদের আনুগত্য করা আমাদের জন্যে ফরজ করা হয়েছে । অনুগ্রহ করে আপনি আমাদের জন্যে উলুল আমরের উদ্দেশ্য বলে দিন ।
রাসূলে আকরাম ( সা .) উত্তরে বললেনঃ হে জাবির , তারা আমার উত্তরাধীকারী এবং আমার পরবর্তীকালের ইমাম । তাদের প্রথম জন আলী ইবনে আবি তালিব । অতঃপর পর্যায়ক্রমে হাসান , হুসাইন , আলী ইবনে হুসাইন এবং মুহাম্মদ ইবনে আলী । তৌরাতে এই শেষোক্ত ইমামের নাম বাক্বির হিসেবে প্রসিদ্ধ । তুমি বৃদ্ধ বয়সে মুহাম্মদ বিন আলীর সাক্ষাত লাভ করবে তাকে আমার সালাম পৌছিয়ে দিও ।
অতঃপর তদীয় পুত্র জাফর , জাফরের ছেলে মুসা , তার পুত্র আলী , আলীর পুত্র মুহাম্মদ , মুহাম্মদের পুত্র আলী এবং তদীয় পুত্র হাসান অতঃপর হাসানের পুত্রের আসল নাম ও ডাক নাম আর আমার আসল নাম ও ডাক নাম একই হবে । আল্লাহ তাকে সমগ্র বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠিত করবেন । তিনি লোকচক্ষুর অন্তরালে গমন করবেন । তার অদৃশ্যতার সময়সীমা দীর্ঘ হবে । যাদের ঈমান শক্তিশালী তারাই শুধু তার নেতৃত্বের উপর অটল থাকবেন ।
অন্যত্র এভাবে উল্লেখ আছে , রাসূলুল্লাহ বলেছেনঃ আমি নবীদের সর্দার আর আলী বিন আবি তালিব হচ্ছেন উত্তরাধীকারীদের নেতা । নিশ্চয়ই আমার পরে বারজন উত্তরাধীকারী হবেন । তাদের সর্ব প্রধান ও সর্ব প্রথম হচ্ছেন আলী ইবনে আবি তালিব । তারপর হাসান , হাসানের পর তারই সহোদর ভ্রাতা হুসাইন এবং হুসাইনের পর পর্যায়ক্রমে আলী বিন হুসাইন , মুহাম্মদ বিন আলী , জা’
ফর বনি মুহাম্মদ , মুসা বিন জা’
ফর , আলী ইবনে মুসা , মুহাম্মদ বিন আলী , আলী ইবনে মুহাম্মদ , হাসান ইবনে আলী এবং সর্বশেষ ইমাম হচ্ছেন আল মাহদী ।
মুসলিম তার সহীহাতে নিম্নলিখিতভাবে হাদীসটি উল্লেখ করেছেনঃ
قال رسول الله (ص): لا یزال الدین قائما حتی تقوم الساعة او یکون علیکم اثنی عشر خلیفة، اولهم علی بن ابی طالب ثم الحسن ثم الحسین ثم علی بن الحسین.................................آخرهم المهدی.
অর্থাৎঃ আল্লাহর রাসূল ( সা .) বলেছেনঃ দ্বীন ইসলাম ধ্বংস হবে না কিয়ামত পর্যন্ত , অথবা বারজন খলিফার আগমন পর্যন্ত , তাদের মধ্যে সর্বপ্রথম ইমাম হচ্ছেন আলী ইবনে আবি তালিব , অতঃপর হাসান , তারপর হুসাইন , তারপর আলী ইবনে হুসাইন……
. তাদের সর্বশেষ হচ্ছেন আল মাহদী ।
জনাব বুখারীও তার সহীহাতে এ হাদীসটি উল্লেখ করেছেন ।‘
ইয়া নাবিউল মাওয়াদদ্দা’
গ্রন্থে উক্ত হাদীসটির মধ্যে অতিরিক্ত আরো কয়েকটি কথা সংযুক্ত করা হয়েছে । গ্রন্থকারآخرهم المهدی
অর্থাৎ সর্ব শেষ আল মাহদী কথাটি বর্ণনা করার পর লিখেছেনঃ
هم ائمة مطهرون معصومون و خلفائی من بعدی
অর্থাৎঃ { নবী ( সা .) বলেছেন } তারা হচ্ছেন পবিত্র মা’
সুম ইমাম এবং আমার পরবর্তীতে আমার খলিফা ।