হযরত আবু তালিবের নামে বিভ্রান্তি প্রচারের কারণসমূহ
আইয়্যামে জাহেলিয়াতের সময় মহান আল্লাহ পাক তাঁর সৃষ্টির সর্বশ্রেষ্ঠ মাখলুক নবী মোহাম্মদ (সা.)-কে এই ধরণীর মাঝে প্রেরণ করেন। সমগ্র দুনিয়া স্বীকৃত যে , নবী-রাসূলগণের শাজারা বা বংশধারা নিশ্চিত ভাবে পূত-পবিত্র। যদিও বহু মানুষের মাঝে এ ধারণাটি বিদ্যমান যে , নবীজী আমাদের মতোই মানুষ ছিলেন(!) আসলে ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। কারণ আমাদের মাঝে রয়েছে ভুল-ভ্রান্তি সহ নানাবিধ অসংগতি ও ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ প্রবণতা। আর পবিত্র কোরআনের সূরা নাজমের 1 থেকে 4 নং আয়াতে আল্লাহ পাক তাঁর নবী সম্পর্কে বর্ণনা দিচ্ছেন:
)
وَالنَّجْمِ إِذَا هَوَى مَا ضَلَّ صَاحِبُكُمْ وَمَا غَوَى وَمَا يَنْطِقُ عَنِ الْهَوَى إِنْ هُوَ إِلَّا وَحْيٌ يُوحَى(
“
নক্ষত্রের কছম যখন তা অস্ত যায় , তোমাদের সাথি ভুল করে না পথ ভ্রষ্ট হয় না এবং নিজের নফ্সের তাড়নায় কথা বলে না। তাঁর কাছে ওহী প্রত্যাদেশ হয়”
।
অর্থাৎ যা কিছু বলেন ওহি থেকে বলেন। উল্লিখিত আয়াতটিতে সাহাবিদের উদ্দ্যেশ করে বলা হয়েছে , তোমাদের সাথি ভুল করে না। অর্থাৎ সাহাবিদের কিছু অংশ মনে করতেন নবী (সা.) তাদের মতোই সাধারণ মানুষ। তাই মহান রব্বুল আলামিন তাঁর নবী সম্পর্কে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন ঐ সকল সাহাবির ধারণা সঠিক নয়। তাহলে নবী (সা.) আমাদের মতো মানুষ হলেন কী করে ?
তবে হ্যাঁ নবী (সা.) অবয়বে মানুষ সাদৃশ্য , কিন্তু তাঁর সৃষ্টির মাঝে রয়েছে আল্লাহর বিশেষ নূর। আর আমরা অনুরূপ নই। সুতরাং সকল নবী , রসূল ও ইমামদের সৃষ্টিতে রয়েছে আল্লাহর বিশেষ বৈশিষ্ট্য। আর মানুষের সৃষ্টিতে রয়েছে সাধারণ ও অসাধারণ বৈশিষ্ট্য। যেমন পবিত্র কোরানের সূরা ওয়াকেয়ার 7 থেকে 10 নং আয়াতে উল্লেখ রয়েছে :
)
وَكُنْتُمْ أَزْوَاجًا ثَلَاثَةً فَأَصْحَابُ الْمَيْمَنَةِ مَا أَصْحَابُ الْمَيْمَنَةِ وَأَصْحَابُ الْمَشْأَمَةِ مَا أَصْحَابُ الْمَشْأَمَةِ وَالسَّابِقُونَ السَّابِقُونَ(
“
তোমরা তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়বে। যারা ডান দিকের তাঁরা কত ভাগ্যবান। আর যারা বাম দিকের তারা কতই না হতভাগা। আর অগ্রবর্তীগণ তো অগ্রবর্তীই , তাঁরাই নৈকট্যশীল”
।
উল্লিখিত আয়াতে কিয়ামত পরবর্তি ঘটনা প্রবাহের বর্ণনা রয়েছে। আর এতেই প্রতীয়মান হয় যে , সাধারণ সৃষ্ট্য পর্যায়ের মানুষ কখনও অগ্রবর্তীগণের দলভূক্ত হতে পারবে না। তবে সাধারণ পর্যায়ের তারাই অসাধারণদের দলভূক্ত হতে পারবেন। যাঁদের রয়েছে ধৈর্য , ন্যায়-নিষ্ঠা , সৎকাজ ও ক্ষমা প্রবণতা। তাঁরাই হচ্ছেন ডানদিকস্থ । আর নবী-রাসূল-ইমামগণ হচ্ছেন অগ্রবর্তীগণ।
তবে আমি যে ইমামগণের কথা বলছি তাঁরা কিন্তু মসজিদের ইমাম নন। তাঁরা হচ্ছেন আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত মানব জাতির নেতৃত্ব দানকারী দ্বীন ইসলামের ইমাম। যেমন নবী ইব্রাহীম (আ.) যখন আল্লাহর দেয়া কঠিন পরীক্ষায় ঊত্তীর্ণ হলেন তখন আল্লাহ পাক বললেন:
)
إِنِّي جَاعِلُكَ لِلنَّاسِ إِمَامًا(
“
আমি তোমাকে মানব জাতির জন্য ইমাম মনোনীত করলাম”
উল্লিখিত আয়াতে এ বিষয়টি সুস্পষ্ট যে , যখন তিনি ইমাম মনোনীত হলেন , তার পূর্বে তিনি নবী ছিলেন। অর্থাৎ মহান আল্লাহর কাছে ইমামের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই নবী ইব্রাহীম (আ.) ছিলেন ইমামতের ইমামগণের মডেল। আর দায়িত্বপ্রাপ্ত ইমামগণ হচ্ছেন , ইমাম আলী থেকে ইমাম মাহ্দী (আ.) পর্যন্ত মোট বার জন ইমাম। আমাদের সকল মাজহাব তথা ধর্মের লোকেরা জানেন যে , শেষ জামানায় একজন ইমামের আবির্ভাব ঘটবে , তিনি হচ্ছেন ইমাম মাহ্দী (আ.)। তিনি অন্ধকারাছন্ন পৃথিবীতে আলোর উন্মেষ ঘটাবেন এবং পাপে নিমজ্জিত পৃথিবীকে পূর্ণতার আলোয়ে উদ্ভাসিত করবেন। আর তিনি ন্যায় ও শান্তির মানণ্ড স্থাপন করবেন।
যে বিষয়টি বলার জন্যে আমাকে উল্লিখিত ঘটনাসমূহের অবতারণা করতে হলো। তা হচ্ছে , প্রথমত জাহেলী যুগ ও তৎপরবর্তী সময়ে মহানবী (সা.)-কে সেই সময়কালীন কাফের-মুশরিক ও নব্য মুসলমানগণ কোন প্রকার মেনে নিলেও পরবর্তী সময়ে যখন তিনি বিদায় হজ্ব শেষে‘
গাদীর-এ-খোম’
নামক স্থানে সোয়া লক্ষ হাজীদের মহাসমাবেশে তাঁর পরবর্তী কালে ইসলামের দিক নির্দেশনা ও ওয়াসীর ঘোষণা দিলেন এবং তিনি বললেন ,“
আমি তোমাদের মাঝে দুটি ভারি বস্তু রেখে যাচ্ছি একটি হচ্ছে আল্লাহর কিতাব অপরটি আমার ইতরাতে আহলে বাইত”
।
এই বলে হযরত আলীর হাত উঁচিয়ে ধরলেন এবং তাৎক্ষনিক উচ্চারণ করলেন ,“
আল্লাহ আমার মাওলা , আমি মোমিনদের মাওলা , আমি যার যার মাওলা এই আলীও তাদের মাওলা।”
সেদিন অনেকেই এ বিষয়টিকে মেনে নিতে পারেননি। কারণ শাসন ক্ষমতা ও নবুয়্যত দুটোই এতদিন হাশেমিদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। এখন আবার নবী পরবর্তী সময়ে তা চলে যাচ্ছে ইমাম আলী ও তাঁর সন্তানদের নিয়ন্ত্রণে। তাহলে তো পুরো বিষয়টি মোহাম্মদ ও তাঁর বংশীয় লোকদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাচ্ছে। সেদিন যাদের অন্তরে এ বিদ্বেষের দানা বেঁধেছিল , তারাই বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ছিল নবী (সা.)-এর ইন্তেকালের পর। এর সাক্ষ্য মিলে সেই সমকালীন ঐতিহাসিক ঘটনা প্রবাহ থেকে।
আমি এখানে শুধু ইঙ্গিত দিয়ে যাচ্ছি। প্রিয় নবী (সা.)-এর দাফন সম্পন্ন হতে দেরি হয়েছিল 3 দিন। সামান্য কিছু সাহাবী ব্যতীত অধিকাংশ সাহাবী ছিলেন অনুপস্থিত। নবী (সা.)-এর মক্কা বিজয়ের পর যারা মুসলমান ও সাহাবী হয়েছেন , তাদের এক বিরাট অংশ নবী পরবর্তী সময়ে নবী বংশের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হন। যেমন আবু সুফিয়ান মক্কা বিজয়ের পূর্বে কাফের থাকা অবস্থায় নবী (সা.)-এর বিরুদ্ধে 26টি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। মক্কা বিজয়ের পর তিনি ও তার পুত্র মুয়াবিয়া ইসলাম গ্রহণ করেন। উভয়ে রাসূল (সা.)-এর সাহাবী হয়ে পরবর্তী সময়ে হযরত আলী ও ইমাম হাসানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও যুদ্ধে লিপ্ত হন। ইসলামের ইতিহাসে মুয়াবিয়া দু’
টি বৃহৎ যুদ্ধে হযরত আলীর বিরুদ্ধে ভূমিকা রাখেন। একটি জঙ্গে জামাল ও অপরটি জঙ্গে সিফ্ফীন। প্রথমটিতে মুয়াবিয়া সরাসরি জড়িত না থাকলেও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। আর দ্বিতীয়টিতে হাজার হাজার লোকের প্রাণহানি , বর্শার মাথায় কোরআনের পাতা বিধ্য ও শালিশী প্রতারণার মাধ্যমে , নিশ্চিত পরাজয় ঠেকানোর নিমিত্তে হযরত আলীকে যুদ্ধ বন্ধে বাধ্য করেন।
আমি ভেবে পাই না হযরত আলী ও মুয়াবিয়া উভয়ই যদি হকের ওপর থাকেন তাহলে যুদ্ধ কিংবা হাজার হাজার লোকের প্রাণহানি কেন ? পবিত্র কোরানের কোথাও হকের সাথে হকের যুদ্ধের কথা উল্লেখ নাই। অথচ আমাদের আলেম-ওলামা বলেন ,“
উভয়ই হকের ওপর ছিলেন”
।
যদি হযরত আলী এবং মুয়াবিয়া উভয়ই হকের ওপর ছিলেন , তাহলে প্রশ্ন থেকেই যায় ? ঐ দুই যুদ্ধের প্রথমটিতে মৃত্যুবরণ করেন 20 হাজার লোক ও পরেরটিতে মৃত্যুবরণ করেন 70 হাজার লোক। তাহলে এ সকল লোকের মৃত্যুর জন্য কে বা কারা দায়ী ? আর যদি কেউ দায়ী না হন , তবে কি তাদের মৃত্যু অযথা ? এমন অনৈতিক অসঙ্গগতিপূর্ণ ঐতিহাসিক ঘটনা নিশ্চই কোন আকল জ্ঞানসম্পন্ন মানুষ মেনে নিতে অপারগ। আর তখনই যারা অন্তত বিবেকসম্পন্ন তাদের অন্তরে সাড়া দিবে ,“
ডালমে কুচ কালা হ্যায়।”
বাস্তবেও তাই , অর্থাৎ এখানে প্রকৃত ইসলাম ও নামধারী ইসলাম এই দুটোকে কৌশলে এক করে দেয়া হয়েছে।
নবী (সা.) থাকাকালীন ইসলামের শত্রু ছিল , নবী (সা.)-এর ইন্তেকালের পরেও ছিল , আজও আছে। তবে কিছুটা পার্থক্য চোখে পড়বে যেমন , নবী থাকাকালীন ইসলাম বিরোধী কাফের মুশরিকরা সরাসরি ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে পরাজিত হয়েছে। আর অনেকে ইসলামও গ্রহণ করেছে। কিন্তু নামধারী ইসলাম গ্রহণকারী মুনাফেকরা নবী থাকা অবস্থায় সরাসরি যুদ্ধে না জড়ালেও তাদের নানাবিধ অপকর্মের দরুন মহান সৃষ্টিকর্তা তাঁর নবীকে বিভিন্ন সময়ে সতর্ক করেছেন। যার সাক্ষ্য মেলে পবিত্র কোরানের সূরা মুনাফিকুনে। দুঃখজনক হলেও সত্য ইসলাম সর্বাপেক্ষা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই মুনাফিকদের দ্বারাই। যাদের দেখলে মনে হয় মুসলিম কিন্তু কর্মকাণ্ড কাফেরের চেয়েও নিকৃষ্ট।
পাঠক পাঠিকাদের জ্ঞাতার্থে আমি ঐতিহাসিক কিছু ঘটনা তুলে ধরছি। যারা ইসলামের নামে অনৈসলামিক কার্যক্রম কায়েম করে অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়েছে খোদ নবী বংশের লোকদের ওপর। যেমন চতুর্থ খলিফা হযরত আলীর সময় ও পরবর্তী সময়ে হযরত ইমাম হাসান থেকে চুক্তির মাধ্যমে ক্ষমতা গ্রহণের পর আমীরে মুয়াবিয়া চুক্তির সকল শর্ত ভঙ্গ করেন। প্রসাশনে নিজ বংশীয় অযোগ্য লোকদের গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল করেন। পবিত্র জুম্মার দিনে নামাজের খোতবায় মসজিদে মসজিদে হযরত আলী ও তাঁর সন্তানদের ওপর গালমন্দ করার প্রথা চালু করেন। যাহা দীর্ঘ 83 বছর পর ওমর বিন আব্দুল আজিজের শাসনামলে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ করা হয়। আল্লাহর রাসূল কর্তৃক নির্ধারিত ফেতরা এক’
সার পরিবর্তে মুয়াবিয়ার শাসন আমলে তা আধা’
সা নির্ধারন করা হয়। ঘুষখোর , দুর্নীতিবাজ অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলেও মুয়াবিয়া তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতেন না। মুয়াবিয়া তার পরবর্তী সময়ে নিজ পুত্র ইয়াজিদকে ক্ষমতায় বসানোর নিমিত্তে নামী দামি লোকজন ও গোত্র প্রধানদের স্বীকৃতি আদায়ে অর্থ বল ও ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। মুয়াবিয়া নিজের ব্যক্তিগত কাজে রাষ্ট্রীয় অর্থ সম্পদ ব্যয় করতেন। মুয়াবিয়া জাল হাদীসের প্রচলন , প্রসার ও বিস্তার ঘটান। মুয়াবিয়া নব্য মুসলমানদের ওপর জিজিয়া কর আরোপ করেন।
এমন অসঙ্গতিপূর্ণ বেশ কিছু কার্যক্রম মুয়াবিয়া ও তদীয় পুত্র ইয়াজিদ কর্তৃক ইসলামের নামে প্রচার ও প্রসার লাভ করে। ঐসময়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে ইয়াজিদ নিজের নামের সঙ্গে‘
আমীরুল মুমিনীন’
টাইটেল ব্যবহার করে। যদি আমরা একটু পেছনে ফিরে যাই তবে সহজেই অনুমেয় যে , নবী (সা.)-এর বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে লিপ্ত হন আবু সুফিয়ান। তার পুত্র মুয়াবিয়া সরাসরি যুদ্ধে লিপ্ত হন ইমাম আলী ও ইমাম হাসানের বিরুদ্ধে। মুয়াবিয়ার পুত্র ইয়াজিদ সরাসরি যুদ্ধে লিপ্ত হয় ইমাম হোসাইনের বিরুদ্ধে।
এই দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয়েছিল , হাশেমি ও উমাইয়া গোত্রের মধ্যে। উমাইয়াদের বরাবরই বিদ্বেষ ছিল কেন তাদের মধ্যে নবী আসেননি ? তাদের মতে হাশেমিদের মধ্যে‘
নবুয়াত’
ও‘
খেলাফত’
দুটিই থাকা সমীচীন নয়। সুতরাং একটা অন্তত তাদের চাই। আর এই কারণেই যত শক্রতা , হানাহানি , জোর-জুলুম , খুন-খারাবী ও মিথ্যার প্রচার প্রচারণার ধারাবাহিকতা দৃশ্যমান।
আরব জনগণ হাশেমিদের ওপর সন্তুষ্ট থাকার মূল কারণ ছিল , তাঁরা ছিলেন উদার , ন্যায়পরায়ণ ও খোদাভীরু । তাঁরা কখনো মানুষের ওপর জুলুম করেননি। আবার জালেমদের শাস্তি প্রদানেও তাঁরা পিছপা হননি। যে কারণে সাধারণ মানুষ হাশেমিদের পক্ষাবলম্বী ছিলেন সর্বযুগে। আর এটাও ছিল উমাইয়াদের বিদ্বেষের আরেকটি কারণ। কেন সকলে হাশেমিদের পক্ষাবলম্বী হবে ?
স্বয়ং আল্লাহ কিংবা রাসূলও যদি হযরত আলী ও তাঁর সন্তানদের প্রশংসা করে তবে তা মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে , (নাউজুবিল্লাহ) হযরত আলীর মর্যাদা যদি আকাশচুম্বী হয়ে যায় , তবে তা ধূলিস্মাৎ করতে হলে তাঁর মুমিন পিতাকে কাফের বানাতে হবে। আর এর জন্য যা কিছু করা প্রয়োজন তার বিন্দুমাত্র কমতি হয়নি। জাল হাদীস তৈরি , মিথ্যা ইতিহাস রচনা , উমাইয়া আলেমে দ্বীন তৈরির কারখানা সৃষ্টিসহ নানাবিধ কার্যক্রমের কোনটাতেই মুয়াবিয়া পিছিয়ে ছিলেন না।
মুয়াবিয়ার প্রশংসা করতে গিয়ে , মওলানা শিবলী নোমানী তার সিরাতুন নবী গ্রন্থে রাসুলের পরবর্তীতে বার জন খলিফার নাম উল্লেখ করতে গিয়ে 5 ও 6 নম্বরে মুয়াবিয়া ও ইয়াজিদকে অন্তর্ভূক্ত করে‘
রাজিআল্লাহু আনহু’
বলতেও দ্বিধাবোধ করেননি। এসব হচ্ছে তথ্য ও ইতিহাস বিকৃতির সুস্পষ্ট নমুনা।