মাহদী (আঃ) নবীর (সাঃ) পরিবার থেকে
আবু দাউদ তার সহীহর 4র্থ খণ্ডে 17 পৃষ্ঠায় একটি হাদীস এনেছেন যা বর্ণনা করেছেন হযরত আলী (আঃ) নবী (সাঃ) থেকে :“
যদি পৃথিবীর জীবন আর একদিনের বেশী না থাকে , নিশ্চয়ই আল্লাহ আমার পরিবার থেকে এক ব্যক্তির আবির্ভার্ব ঘটাবেন।”
তিরমিযী তার‘
সহীহ’
র দ্বিতীয় খণ্ডে 270 পৃষ্ঠায় একটি হাদীস এনেছেন আবু হুরায়রা থেকে যে নবী (সাঃ) বলেছেন :
“
যদি পৃথিবীর জীবন আর একদিনের বেশী না থাকে আল্লাহ সে দিনটিকে লম্বা করে দিবেন যতক্ষণ না আমার পরিবার থেকে এক ব্যক্তি আবির্ভূত হয়।”
এরপর তিনি বলেনঃ এটি একটি ভালো ও সত্য হাদীস। এছাড়া একই ধরনের একটি হাদীস সামান্য পাথর্ক্যে বর্ণনা করেছেন ইবনে হাজার তার‘
সাওয়ায়েক্ব’
এর 97 পৃষ্ঠায় ও শেইখ শাবান তার‘
ইসাফুর রাগেবীনের’
148 পৃষ্ঠায় আবু দাউদ ও তিরমীযি থেকে।
‘
হুদাল ইসলাম’
এর 25 তম সংস্করণে রয়েছে : ইবনে মাজাহ আলী (আঃ) থেকে বর্ণিত একটি হাদীস এনেছেন যে নবী (সাঃ) বলেছেন :“
মাহদী আমার পরিবার থেকে।”
শেইখ শাবান তার‘
ইসাফুর রাগেবীন’
-এর 148 পৃষ্ঠায় এবং ইবনে হাজার‘
সাওয়ায়েক্ব’
এর 99 পৃষ্ঠায় লিখেছেন যে আহমাদ , আবু দাউদ , তিরমিযি এবং ইবনে মাজাহ নবীর (সাঃ) একটি হাদীস এনেছেন :“
যদি পৃথিবীর জীবন আর একদিনের বেশী না থাকে আল্লাহ আমার বংশ থেকে এক ব্যক্তির আবির্ভাব ঘটাবেন।”
অন্য হাদীসগুলোতে আমরা পাই‘
আমার পরিবার।’
ইবনে হাজার তার‘
সাওয়ায়েক্ব’
-এর 97 পৃষ্ঠায় এবং শেইখ শাবান তার‘
ইসাফুর রাগেবীন’
-এর 148 পৃষ্ঠায় লিখেছেন আহমাদ , আবু দাউদ এবং তিরমিযী নবীর (সাঃ) একটি হাদীস এনেছেন :
“
পৃথিবী যাবে না অথবা সম্ভবত তিনি বলেছেন : পৃথিবীর অস্তিত্ব বিলীন হবে না যতক্ষণ না আমার পরিবার থেকে এক ব্যক্তি আসে ও শাসন করে।”
‘
নূরুল আবসার’
এর লেখক 231 পৃষ্ঠায় একটি হাদীস এনেছেন আবু দাউদ থেকে যিনি বর্ণনা করেছেন যার-ইবনে-আব্দুল্লাহ থেকে যে নবী (সাঃ) বলেছেন :“
পৃথিবী নিষ্পন্ন হবে না যতক্ষণ না আমার পরিবার থেকে এক ব্যক্তি আসে এবং আরবদের মাঝে শাসন করে।”
এরপর তিনি বললেন :“
সে পৃথিবীকে ন্যায়বিচার দিয়ে পূর্ণ করে দিবে।”
একই বইতে 229 পৃষ্ঠায় লেখক লিখেছেন : আবু দাউদ আলী (আঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে নবী (সাঃ) বলেছেন :“
যদি পৃথিবীর জীবন আর একদিনের বেশী না থাকে আল্লাহ আমার পরিবার থেকে এক ব্যক্তির আবির্ভাব ঘটাবেন এবং পৃথিবীকে ন্যায়বিচারে পূর্ণ করে দিবেন যেভাবে তা নিপীড়নে পূর্ণ ছিলো।”
‘
মাতালিবুস সূল’
- এর লেখক লিখেছেন : কেউ কেউ বলেছেন‘
আহলুল বাইত’
বলতে তাদের বোঝায় যারা উত্তরাধীকার লাভে পরস্পর সম্পর্কে নিকটে। অন্যরা বলেন‘
আহলুল বাইত’
তারা যারা এক গর্ভে একত্রিত হয়। অন্যরা বলে আহলুল বাইত তারা যারা তার সাথে যুক্ত রক্ত সম্পর্কে ও আত্মীয়তায়। এসব অর্থ তাদের মাঝে পাওয়া যায় কারণ তাদের বংশধারা ফিরে যায় নবীর (সাঃ) দাদা আব্দুল মোত্তালিব পর্যন্ত ।
এছাড়া তারা তার [নবীর (সাঃ)] সাথে এক গর্ভে একত্রিত হয়েছে এবং তারা তার সাথে যুক্ত রক্তের সম্পর্কে ও আত্মীয়তায়। এভাবে প্রকৃতপক্ষে‘
আলে’
(বংশ) ও‘
আহল’
(আহলুল বাইত) একই , তারা অর্থে পাথর্ক্য রাখুক বা না রাখুক। এ দু’
য়ের অর্থ নির্দিষ্ট হয়ে আছে।
মুসলিম তার‘
সহীহ’
-তে সাইদ ইবনে হাসান থেকে বর্ণনা করেন যে তিনি বলেছেন : আমি হাসাইন ইবনে সিরা ও উমর ইবনে মুসলিমের সাথে যাইদ ইবনে আরক্বাম এর সাক্ষাতে গেলাম। আমরা যখন বসলাম হাসাইন কথা বলা শুরু করলেন :‘
হে যাইদ , নিশ্চয়ই , যেহেতু আপনার আমলনামায় অনেক ভালো কাজ জমা হয়েছে , নবীকে দেখেছেন , তার কাছ থেকে হাদীস শুনেছেন তার পাশে থেকে যুদ্ধ করেছেন এবং তার পিছনে নামাজ আদায় করেছেন তাই আমাদের কাছে বর্ণনা করুন আপনি নবী (সাঃ) এর কাছ থেকে কী শুনেছেন।’
যাইদ বললেন :‘
হে ভাই , নিশ্চয়ই আমি বৃদ্ধ হয়ে গেছি এবং আমার স্মৃতিশক্তি কমে গেছে। এর ফলে আমি নবী (সাঃ) থেকে যা অর্জন করেছিলাম তার এক অংশ আমি ভুলে গেছি। তাই গ্রহণ করো আমি যা তোমাদের কাছে বর্ণনা করি এবং আমাকে বিরক্ত করো না যা আমি তোমাদের কাছে বর্ণনা করছি না সে বিষয়ে।”
এরপর তিনি বললেন :‘
একবার নবী (সাঃ)“
হেমা’
আ”
নামে এক জায়গার কাছে দাড়ালেন যা মক্কা ও মদীনার মাঝামাঝি এবং একটি খোতবা দান করলেন। আল্লাহর প্রশংসা ও গুণগানের পর জনতাকে উপদেশ দিলেন। তিনি বললেন :“
হে জনতা , আমি একজন মানুষ এবং মনে হচ্ছে আমার রবের দূত (আযরাইল) আসবে এবং আমার প্রাণ নিয়ে যাবে। আমি তোমাদের মাঝে দু’
টো মূল্যবান জিনিস রেখে যাচ্ছি। তাদের প্রথমটি হচ্ছে আল্লাহর কিতাব যাতে তোমরা পাবে হেদায়েত ও আলো। তাই আল্লাহর কিতাবকে ধরো ; তিনি বললেন : অন্যটি আমার আহলুল বাইত। আমি আমার আহলুল বাইত সম্পর্কে তোমাদের আল্লাহকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি। আমি তোমাদেরকে তাদের বিষয়ে আল্লাহকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি। তখন হাসাইন বললো :‘
হে যাইদ’
, কারা তার আহলুল বাইত , তার স্ত্রীরা কি আহলুল বাইত ? তিনি বললেন : না , তার আহলুল বাইত তারা যাদের উপর যাকাত (গ্রহণ) হারাম।’
মাহদী (আঃ) নিকটাত্মীয় থেকে
যখন প্রমাণিত হলো মাহদী (আঃ) নবীর (সাঃ) সন্তান , বংশ এবং পরিবার এবং আলী , ফাতেমা , হাসান এবং হোসেইনের সন্তান তখন তা এমনিতেই প্রমাণ করে যে সেذوی القربی
নিকটাত্মীয় বা জ্ঞাতি যাদের জন্য নিখাঁদপ্রেম সবার জন্য বাধ্যতামূলক।
‘
ইয়ানাবিউল মুওয়াদ্দা’
-র লেখক 106 পৃষ্ঠায় বুখারী ও মুসলিম থেকে বর্ণনা করেন :‘
ইবনে আব্বাসকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো যে কাদেরকে আয়াতে কুরবাতে আল ক্বুরবা বলা হয়েছে ? তখন তিনি বলেন : তারা মুহাম্মাদ (সাঃ) এর সন্তান।’
‘
মাতালিবুস সূল’
- এর লেখক ইমাম আল হাসান আলী ইবনে আহমাদ ওয়াহাদীর তাফসীর থেকে বর্ণনা করেন (ইবনে আব্বাস বলেছেন) : যখন এ আয়াত
)
قُلْ لَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ أَجْرًا إِلَّا الْمَوَدَّةَ فِي الْقُرْبَى(
“
বলুন তোমাদের কাছে এর (রিসালাত) বিনিময়ে কিছুই চাই না শুধু রক্তজ বংশের ভালোবাসা ছাড়া।”
(সূরা আশ শুরাঃ 23)
নাযিল হয় তখন জিজ্ঞাসা করা হলো :‘
ইয়া রাসূলুল্লাহ , এরা কারা যাদেরকে ভালোবাসার জন্য আমাদের আদেশ করা হয়েছে ?
নবী (সাঃ) উত্তর দিলেন :“
আলী , ফাতেমা ও তাদের সন্তানরা।”
ইবনে হাজার তার‘
সাওয়ায়েক্ব’
এর 101 পৃষ্ঠায় এবং কুনদুযী তার‘
ইয়ানাবিউল মুওয়াদ্দা’
তের 106 পৃষ্ঠায় একটি হাদীস এনেছেন [একই রকম] উপরোক্ত আয়াতের অধীনে। বর্ণনা করেছেন তাবরানীর‘
মুয়াজাম’
তাফসীর ই ইবনে আবু হাতিম , মানাজির ই হাতিম , ওয়াসিতই ওয়াহাদী , আবু নাঈমের হিলইয়াত ই আউলিয়া , তাফসীর ই সুয়ালাবি এবং ফারায়েদুস সিমতাইন থেকে।
ইবনে হাজার‘
সাওয়ায়েক্ব’
এর 101 পৃষ্ঠায় ইমাম যায়নুল আবেদীন (আঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে , যখন তাকে বন্দী করা হয় তার পিতা হুসেইনকে (আঃ) হত্যা করার পর এবং সিরিয়া যাওয়ার পথে খারাপ মুখের কিছু লোক বলেছিলো :‘
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর তোমাদের সবাইকে হত্যা করার কারণে , তোমাদেরকে দুরাবস্তায়’
দেখার জন্য এবং বিদ্রোহের গোড়া ছিন্ন করার জন্য।’
তিনি বলেছিলেন : তোমরা কি আল্লাহর কিতাব পড় নি যেখানে আল্লাহ বলেছেন :
)
قُلْ لَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ أَجْرًا إِلَّا الْمَوَدَّةَ فِي الْقُرْبَى(
“
বলুন তোমাদের কাছে এর (রিসালাত) বিনিময়ে কিছুই চাই না শুধু রক্তজ বংশের ভালোবাসা ছাড়া।”
(সূরা আশ শুরাঃ 23)
“
তারা বললো :‘
তাذوی القربی
কি তোমাদের বোঝায়! ?”
তিনি বললেন :‘
হ্যা’
।
‘
মাতালিবুস সূল’
এর লেখক বলেছেন :‘
ইয়ানাবিউল মুওয়াদ্দা’
-র লেখক 234 পৃষ্ঠায়‘
ফেরদাউস’
এর লেখক থেকে এবং তিনি জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ আনসারী থেকে বর্ণনা করেন যিনি বলেছেন : রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন :
“
নিশ্চয়ই আল্লাহ সুবহানু ওয়া তায়ালা প্রত্যেক নবীর সন্তানদের তাদের পিঠ থেকে এনেছেন এবং আমার সন্তানদের এনেছেন আলী ইবনে আবি তালিবের পিঠ থেকে।”
লেখক বলেন : এ মূল্যবান হাদীসটি সুস্পষ্টভাবে বলে যে আমিরুল মুমিনীন আলী ইবনে আবি তালিব (আঃ) এবং ফাতেমা (আঃ) এর সন্তানরা প্রকৃতপক্ষে নবী (সাঃ) এর সন্তান এবং হাসান ও হোসেইনের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। প্রকৃতপক্ষে প্রতীক্ষিত মাহদী এ পরিবার থেকেই এবং এর পবিত্র সন্তান। তাই তাকে নবী (সাঃ) এর সন্তান হিসেবে গণ্য করা হয়। (গবেষণা অনুযায়ী এবং সন্তান কথাটির পূর্ববর্তী ব্যাখ্যা অনুযায়ী) ।
‘
তুহুফুল উক্কুল’
এর লেখক একটি দীর্ঘ হাদীস এনেছেন হযরত মূসা ইবনে জাফর (আঃ)-এর সাথে খলিফা হারুন-উর-রশীদের কথাবার্তা থেকে এবং আমরা এখানে শুধু ততটুকুই বর্ণনা করবো যতটুকু আমাদের আলোচনায় দরকার। তিনি লিখেছেন :
‘
হযরত মূসা ইবনে জাফর (আঃ) হারুনের কাছে গেলেন কারণ হারুন-উর-রশীদ তার কাছে জানতে চেয়েছেন সেসব বিষয়ে যেসব বিষয়ে কিছু লোক (মিথ্যা) অভিযোগ করেছে হারুনের কাছে তার বিরুদ্ধে। তাই তিনি একটি লম্বা কাগজ বের করলেন যাতে ছিলো তার শিয়াদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ এবং তিনি তা পড়ে শোনালেন।
তখন হযরত বললেন :‘
হে আমিরুল মুমিনীন , আমরা এমন এক পরিবার যারা এ ধরনের অভিযোগে আঘাতপাপ্ত হয়েছি এবং আল্লাহ সর্বক্ষমাশীল এবং যিনি ত্রুটি ঢেকে রাখেন এবং তিনি তার দাসদের কার্যকলাপ থেকে পর্দা তুলে ফেলা থেকে বিরত থাকেন শুধু তখন ছাড়া যখন তিনি তাদের হিসাব নিবেন ; সেদিন হবে এমনই একদিন যখন সম্পদ ও সন্তান কোন কাজে আসবে না এবং শুধু যে আল্লাহর সামনে প্রশান্ত হৃদয়ে আসবে সেই লাভবান হবে। এরপর তিনি বললেন : আমার পিতা আলী থেকে এবং তিনি নবী (সাঃ) থেকে বর্ণনা করেন :‘
যখনই আত্মীয়তার বন্ধুন অনুভূত হয় এবং অন্যের সাথে তা রক্ষা করা হয় তখন একটি আলোড়নের সৃষ্টি হয় এবং তা শান্ত হয়ে আসে ; যদি আমিরুল মুমিনীন (হারুন) আত্মীয়তা বজায় রাখা এবং আমার সাথে হাত মেলানো ভালো মনে করেন তাহলে তিনি তা করতে পারেন।’
তখন হারুন তার সিংহাসন থেকে নেমে এলেন এবং তার ডান হাত লম্বা করে হযরতের হাত ধরলেন। তিনি তাকে জড়িয়ে ধরলেন এবং তাকে তার পাশে বসালেন এবং বললেন :‘
আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আপনি সত্যবাদী , এবং আপনার পিতা এবং দাদারাও সত্যবাদী ছিলেন। যখন আপনি এসেছিলেন আমি ছিলাম আপনার প্রতি সবচেয়ে কঠোর ব্যক্তি রাগের কারণে। আপনি যেভাবে আমার সাথে কথা বললেন এবং আমার সাথে হাত মেলালেন তাতে রাগের অনুভুতি আমার অন্তর থেকে চলে গেছে এবং আমি আপনার উপর সন্তষ্ট হয়ে গেছি।’
এরপর তিনি কিছু সময় চুপ থেকে বললেন :‘
আমি আপনাকে আব্বাস ও অন্যান্যদের সম্পর্কে কিছু জিজ্ঞেস করতে চাই। কিসের ভিত্তিতে আলী নবীর (সাঃ) চাচা আব্বাসের চাইতে নবীর (সাঃ) উত্তরাধিকারী হওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার রাখে ?’
হযরত বললেন :‘
আপনি এ বিষয়ে আমাকে মার্জনা করবেন। হারুন বললো :‘
আল্লাহর শপথ , আমি আপনাকে মার্জনা করবো না যতক্ষণ না আপনি আমার উত্তর দিবেন।’
হযরত বললেন :‘
যদি আপনি আমাকে মার্জনা না করেন তাহলে আমাকে নিরাপত্তা দিন।’
তিনি বললেন :‘
আমি আপনাকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিচ্ছি।’
হযরত বললেন :‘
অবশ্যই নবী (সাঃ) উত্তরাধিকারী হিসেবে তাকে নিয়োগ দেন নি যিনি হিযরত করতে সক্ষম ছিলেন অথচ হিযরত করেন নি। নিশ্চয়ই আপনার পিতা তাদের মাঝে ছিলো যারা ঈমান এনেছিলো অথচ হিযরত করেন নি এবং আলী ঈমান এনেছিলো এবং হিযরতও করেছিলো। আল্লাহ বলেন :
)
وَالَّذِينَ آمَنُوا وَلَمْ يُهَاجِرُوا مَا لَكُمْ مِنْ وَلَايَتِهِمْ مِنْ شَيْءٍ حَتَّى يُهَاجِرُوا(
“
আর যারা ঈমান এনেছে কিন্তু হিজরত করে নি তাদের ব্যাপারে তোমাদের কোন অভিভাবকত্বের দায়িত্ব নেই যতক্ষণ পর্যন্ত তারা হিজরত না করে।”
(সূরা আনফালঃ 72)
হারুন ফ্যাকাশে হয়ে গেলো এবং বললো :‘
কিসের ভিত্তিতে আপনি নবীর সাথে সম্পর্ক দাবী করেন এবং আলীর সাথে নয় অথচ আলী ছিলেন আপনার পিতা এবং নবী ছিলেন আপনার নানা! ?’
হযরত বললেন :‘
নিশ্চয়ই আল্লাহ ঈসা ইবনে মরিয়মকে তার খালিল হযরত ইবরাহিমের সাথে সম্পর্কিত করেছেন ঈসার মা- এর মাধ্যমে যিনি ছিলেন কুমারী। যেভাবে আল্লাহ বলেন :
)
وَوَهَبْنَا لَهُ إِسْحَاقَ وَيَعْقُوبَ كُلًّا هَدَيْنَا وَنُوحًا هَدَيْنَا مِنْ قَبْلُ وَمِنْ ذُرِّيَّتِهِ دَاوُودَ وَسُلَيْمَانَ وَأَيُّوبَ وَيُوسُفَ وَمُوسَى وَهَارُونَ وَكَذَلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِينَ (84) وَزَكَرِيَّا وَيَحْيَى وَعِيسَى وَإِلْيَاسَ كُلٌّ مِنَ الصَّالِحِينَ(
“
আর আমি তাকে দান করেছিলাম ইসহাক ও ইয়া’
কুব , তাদের প্রত্যেককে সৎপথে পরিচালিত করেছিলাম ; এর আগে নূহকেও সৎপথে পরিচালিত করেছিলাম এবং তার বংশধর দাউদ , সুলায়মান ও আইউব , ইউসুফ , মূসা ও হারুনকেও ; আর এইভাবেই সৎকমপরায়ণদেরকে পুরুস্কৃত করি। এবং যাকারিয়া , ইয়াহইয়া , ঈসা এবং ইলয়াসকেও সৎপথে পরিচালিত করেছিলাম। তারা সকলে সজ্জনদের অন্তর্ভুক্ত ।”
(সূরা আন’
আমঃ 84-85)
এভাবে তিনি ঈসাকে ইবরাহিমের সাথে সম্পর্কিত করেছেন মরিয়মের মাধ্যমে। ঠিক যেভাবে তিনি সুলাইমান , আইয়ুব , ইউসূফ , মূসা ও হারুনকে তাদের পিতা ও মাতার সাথে সম্পর্কিত করেছেন। ঈসার মর্যাদা তার মাঝে এসেছে তার মায়ের দিক থেকে অন্য কোন ব্যক্তি ছাড়াই ; কোরআনে এসেছে :
)
وَإِذْ قَالَتِ الْمَلَائِكَةُ يَامَرْيَمُ إِنَّ اللَّهَ اصْطَفَاكِ وَطَهَّرَكِ وَاصْطَفَاكِ عَلَى نِسَاءِ الْعَالَمِينَ(
‘
এবং যখন ফেরেশতারা বললো , হে মরিয়ম , নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাকে নির্বাচিত করেছেন এবং পবিত্র করেছেন এবং তিনি তোমাকে পৃথিবীর মহিলাদের উপর বাছাই করেছেন (ঈসার কারণে)।’
(সূরা আলে ইমরানঃ 42)
তাই একইভাবে আল্লাহ ফাতেমাকে বাছাই করেছেন , তাকে পবিত্র করেছেন এবং তাকে পৃথিবীর সব মহিলার উপর শ্রেষ্ঠ বানিয়েছেন হাসান ও হোসেইনের জন্য , যারা বেহেস্তের দুই যুবক সর্দার।”