শোকার্তের দীর্ঘশ্বাস (প্রথম খণ্ড)

শোকার্তের দীর্ঘশ্বাস (প্রথম খণ্ড)0%

শোকার্তের দীর্ঘশ্বাস (প্রথম খণ্ড) লেখক:
প্রকাশক: ওয়াইজম্যান পাবলিকেশনস
বিভাগ: ইতিহাস

শোকার্তের দীর্ঘশ্বাস (প্রথম খণ্ড)

লেখক: আল্লামা আব্বাস বিন মুহাম্মাদ রেযা আল কুম্মি
প্রকাশক: ওয়াইজম্যান পাবলিকেশনস
বিভাগ:

ভিজিট: 49039
ডাউনলোড: 4848

পাঠকের মতামত:

শোকার্তের দীর্ঘশ্বাস (প্রথম খণ্ড)
বইয়ের বিভাগ অনুসন্ধান
  • শুরু
  • পূর্বের
  • 90 /
  • পরের
  • শেষ
  •  
  • ডাউনলোড HTML
  • ডাউনলোড Word
  • ডাউনলোড PDF
  • ভিজিট: 49039 / ডাউনলোড: 4848
সাইজ সাইজ সাইজ
শোকার্তের দীর্ঘশ্বাস (প্রথম খণ্ড)

শোকার্তের দীর্ঘশ্বাস (প্রথম খণ্ড)

লেখক:
প্রকাশক: ওয়াইজম্যান পাবলিকেশনস
বাংলা

হযরত আব্বাসের বীরত্বের বিবরণ

উল্লেখ করা প্রয়োজন বীরত্ব হচ্ছে একটি আত্মিক গুণ যা শুধু বুদ্ধি দ্বারা অনুভব করা যায় কিন্তু পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বোঝা যায় না। এটিকে সরাসরি বুঝা যায় না , শুধু এর প্রভাব দেখা যায়। যদি কোন ব্যক্তি জানতে চায় যাইদ কোন সাহসী মানুষ কিনা তাহলে তাকে দেখতে হবে সে সময়ে যখন সব সাহসীরা তাকে ঘেরাও করে ফেলবে এবং মৃত্যু তার সময়কে সংক্ষিপ্ত করে দিবে এবং যুদ্ধের তীব্রতার মধ্যে সে পড়ে যাবে। যদি সে অস্থির হয়ে যায় , ভীত হয়ে কাঁপে এবং পালিয়ে নিষ্কতি পায় এবং নিজের উপর অপমান ও নীচতার বোঝা তুলে নেয় এবং পলাতকের অপমানকর বর্ম পরিধান করে তরবারির দিকে লেজমুখি হয়ে , তাহলে জেনে রাখুন যে , সে বীরত্ব থেকে বহু দূরে। কিন্তু যদি সে তৎক্ষনাৎ আক্রমণ করে এবং তার তরবারির (আঘাতের) কণ্ঠকে সুন্দর বাঁশীর আওয়াজ মনে করে এবং সে যুদ্ধের সারিতে দ্রুত ঢুকে পড়ে যেন সে আনন্দে অগ্রসর হচ্ছে এবং ভয়ের ঢেউয়ের ভেতরে শান্ত হৃদয়ে প্রবেশ করে এবং তরবারির আঘাত বরণ করাকে প্রশান্তি মনে করে এবং বর্শার আঘাতকে লাভজনক সুসংবাদ মনে করে , তার ঘাড় দিয়ে তরবারিকে স্বাগত জানায় যেন তা সুগন্ধি কাঠ , তরবারির আঘাতের আওয়াজ তার কাছে নারী কণ্ঠের গান মনে হয় যারা তার জন্য গাইছে - তাহলে জেনে রাখুন সে সাহসের লাগাম ধরে আছে হাতে এবং সে সাহসীর পোষাক পড়ে আছে যা আল্লাহর পছন্দ। আমরা ইমাম হোসেইন (আ.) এর সাথীদের ও পরিবারের যুদ্ধ সম্পর্কে যা বলেছি তাতে পাঠক বুঝতে পারছেন তাদের সবাই ছিলেন সাহসিকতার চূড়ান্তস্তরে ও গতির অতি উচ্চ মাক্বামে এবং শুধু আব্বাস (আ.) যিনি তাদের মাঝে ছিলেন অতি উচ্চতায় অবস্থানকারী এবং তার মাঝে ছিলো এগুলোর সিংহভাগ এবং বাকী সবাই ছিলেন তার তুলনায় তার ফসল সংগ্রহকারী। তার ছিলো দৃঢ় বিশ্বাস , গভীর দূরদৃষ্টি এবং আল্লাহর কাছে ছিলেন এমন স্থানে আসীন যে কিয়ামতের দিন সকল শহীদ তার বিষয়ে ঈর্ষান্বিত হবেন। আর তা কেন-ই বা হবে না যেহেতু তার বাবা ছিলেন আমিরুল মুমিনীন আলী (আ.) ।

মাসউদী তার মুরুজুয যাহাব ’ গ্রন্থে জামালের যুদ্ধ সম্পর্কে বলেন যে , শত্রুরা ইমাম আলী (আ.) এর ডান দিক ও বাম দিকে আক্রমণ করলো এবং তাদেরকে পিছনে হটিয়ে দিল। আক্বীলের একজন সন্তান ইমাম আলী (আ.) এর কাছে এলেন। তিনি ঘোড়ার জিনের কাভারের উপর মাথা রেখে তন্দ্রা গিয়েছিলেন। তিনি বললেন , হে প্রিয় চাচাজান , আপনি আমাদের ডান ও বাম দিকের সারি কোথায় আছে দেখেছেন এবং আপনি ঘুমাচ্ছেন ? ইমাম আলী (আ.) বললেন , “ হে ভাতিজা , চুপ থাকো , তোমার চাচার (মৃত্যুর) একটি নির্দিষ্ট দিন আছে যা এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। আল্লাহর শপথ , তোমার চাচা ভয় পায় না যে সে নিজে মৃত্যুর দিকে দ্রুত এগিয়ে যাক অথবা মৃত্যু তার দিকে দ্রুত আসুক। ”

এরপর তিনি তার সন্তান মুহাম্মাদ বিন হানাফিয়াকে আদেশ করলেন , যিনি ছিলেন যুদ্ধে তার পতাকাবাহক , বসরার বাহিনীকে আক্রমণ করার জন্য। মুহাম্মাদ কিছু ঢিলেমি দেখালেন কারণ তিনি একদল তীরন্দাজের মুখোমুখি ছিলেন। তিনি অপেক্ষা করলেন তাদের তীর শেষ হয়ে যাওয়ার জন্য। ইমাম আলী (আ.) তার কাছে এলেন এবং বললেন , কেন তুমি আক্রমণ করলে না ? তিনি বললেন , কোন পথ ছিলো না তীর ও বর্শার মুখোমুখি হওয়া ছাড়া , তখন আমি অপেক্ষা করলাম তাদের তীর খরচ হয়ে যাওয়া পর্যন্ত যেন এরপর আমি তাদেরকে আক্রমণ করতে পারি। ” ইমাম বললেন , এখন তীরের ভিতর দিয়ে আগাও কারণ মৃত্যু তোমার বর্ম ।

এ কথা শুনে মুহাম্মাদ আক্রমণ করলেন এবং বর্শা ও ধাবমান তীরের মাঝে পড়লেন। ইমাম আলী (আ.) তার কাছে এলেন এবং তাকে তরবারির হাতল দিয়ে আঘাত করে বললেন , তোমার মায়ের রক্ত তোমাকে বাধা দিয়েছে। ” এরপর তিনি তার কাছ থেকে পতাকা নিয়ে নেন এবং আক্রমণ করেন এবং অন্যরা তার সাথে আক্রমণ করেন এবং বসরার বাহিনী ছাইয়ের মত বাতাসে উড়ে যাওয়ার মত উড়ে গেলো।

ওপরে উল্লেখিত মুহাম্মাদ বিন হানাফিয়া আমিরুল মুমিনীন আলী (আ.) এর সন্তান। যুহরি বলেন যে , তিনি ছিলেন মানুষদের মধ্যে সবচেয়ে প্রজ্ঞাবান ও বীর। অন্য দিকে জাহিয তার সম্পর্কে বলেন যে , সবাই ঐক্যমত পোষণ করে যে , তিনি ছিলেন অতুলনীয় এবং তার বয়সে সত্যিকার পুরুষ। তিনি পূর্ণতা ও গুণে সকলকে ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন এবং তার বীরত্ব ছিলো প্রমাণিত যা ঐতিহাসিকরা উল্লেখ করেছেন সিফফীনের যুদ্ধের সময়ে এবং এটি প্রমাণ হিসাবে যথেষ্ট যে তিনি ছিলেন ইমাম আলী (আ.) এর পতাকা বাহক। এরপরও তিনি তীরন্দাজদের সামনে (উল্লেখিত ঘটনায়) স্লথ ছিলেন যেন তারা তাদের তীরগুলো খরচ করে ফেলে। কিন্তু আমার মা বাবা আব্বাস (আ.) এর জন্য কোরবান হোক , যিনি ছিলেন তার ভাই ইমাম হোসেইন (আ.) এর পতাকাবাহক , তার বাহিনীর অধিনায়ক , যিনি অগ্রসর হয়েছিলেন চার হাজার সৈন্যের সারির ভিতরে যাদেরকে ফোরাত নদী পাহারা দেওয়ার জন্য মোতায়েন করা হয়েছিলো এবং তিনি তাদের তীরন্দাজদের বিরুদ্ধে পাহাড়ের মত দৃঢ় হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি একটুও কাঁপেন নি , না কোন ভয় করেছেন। বরং বলেছেন , আমি মৃত্যুকে ভয় করি না যদি তা আমার উপর আসেও। ”

আগেই উল্লেখ করা হয়েছে যে , তিনি (হযরত আব্বাস) ইমাম হোসেইন (আ.) এর কিছু সাথীকে উদ্ধার করেছিলেন যারা চার দিক থেকে শত্রু সৈন্যদের মাধ্যমে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন। আর জেনে রাখুন তিনি নিজেকে তার ভাই ইমাম হোসেইন (আ.) এর ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন (আমার মা-বাবা আপনার জন্য কোরবান হোক , হে আবাল ফযল) ।

পরিচ্ছেদ - ২১

আমাদের অভিভাবক ইমাম হোসেইন (আ.) এর শাহাদাত এবং দুধের শিশুর এবং আব্দুল্লাহ বিন হাসান (আ.) এর শাহাদাত

এ অধ্যায়টি অশ্রুপ্রবাহিত করে এবং বিশ্বাসীদের হৃদয়কে এবং কলিজাকে পুড়ে ফেলে , (অত্যাচারের বিরুদ্ধে) অভিযোগ আল্লাহর কাছে এবং শুধু তারই সাহায্য প্রার্থনা করা হয়।

শাহাদাতের কিছু কিছু বইয়ে বর্ণিত আছে যে , যখন ইমাম হোসেইন (আ.) দেখলেন তার বন্ধু ও আত্মীয়দের মধ্যে বাহাত্তরজন শহীদ হয়ে গেছেন তখন তিনি তার পরিবারের তাঁবুর দিকে ফিরে উচ্চকণ্ঠে বললেন , হে সাকিনা , হে ফাতিমা , হে উম্মে কুলসুম , আমার সালাম সবার ওপরে। ” তা শুনে সাকিনা বললেন , কিভাবে সে ব্যক্তি মৃত্যুর সিদ্ধান্ত নিতে না পারে যার বন্ধুরা ও সাহায্যকারীরা ইতোমধ্যে শাহাদাত বরণ করেছে। ” সাকিনা বললেন , আব্বাজান , তাহলে আমাদেরকে দাদার আশ্রয়ে ফেরত নিয়ে আসুন। ” ইমাম বললেন , হায় , যদি মরুভূমির পাখিকে রাতে মুক্ত করে দেয়া হয় সে শান্তিতে ঘুমাবে। ” তা শুনে তার পরিবারের নারী সদস্যরা কাঁদতে শুরু করলেন এবং ইমাম হোসেইন (আ.) তাদেরকে সান্ত্বনা দিলেন।

বর্ণিত আছে (একই বইতে) যে , ইমাম হোসেইন (আ.) তখন উম্মে কুলসুম (আ.) এর দিকে ফিরলেন এবং বললেন , আমি তোমাকে তোমার বিষয়ে কল্যাণের আদেশ দেই। আমি রওনা করছি যুদ্ধক্ষেত্রের দিকে এ শত্রুদের মাঝে। ”

তা শুনে সাকিনা কাঁদতে লাগলেন। ইমাম তাকে খুব বেশী ভালোবাসতেন। তিনি তাকে তার বুকের সাথে চেপে ধরলেন এবং তার অশ্রুমুছে দিয়ে বললেন , জেনে রাখো আমার প্রিয় সাকিনা , খুব শীঘ্রই তুমি আমার জন্যে আমার পরে কাঁদবে , যখন মৃত্যু আমাকে ঘেরাও করে ফেলবে। তাই এখন তোমার অশ্রুদিয়ে আমার বুককে ভারী করে দিও না যতক্ষণ আমার দেহতে রুহ আছে। যখন আমি শহীদ হয়ে যাবো তখন তুমি আমার জন্য কান্নাকাটি করার জন্য অধিকতর যোগ্য , হে নারীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। ”

ইমাম বাক্বির (আ.) থেকে বর্ণিত আছে যে , যখন ইমাম হোসেইন (আ.) সিদ্ধান্ত নিলেন শহীদ হবেন তিনি তার সবচেয়ে বড় কন্যা ফাতিমা (আ.) কে ডাকলেন। তিনি তাকে একটি মুখবন্ধ খাম দিলেন এবং একটি খোলা অসিয়ত দিলেন। ইমাম আলী বিন হোসেইন (যায়নুল আবেদীন) (আ.) সে সময় অসুস্থ ছিলেন , পরে ফাতিমা চিঠিটি ইমাম আলী যায়নুল আবেদীন (আ.) কে দিয়েছিলেন এবং তার কাছ থেকে তা আমাদের কাছে এসেছে। ”

মাসউদীর ইসবাত আল ওয়াসিয়া ’ -তে বর্ণিত আছে যে , ইমাম হোসেইন (আ.) ইমাম আলী যায়নুল আবেদীন (আ.) কে অসুস্থ অবস্থাতে ডেকে পাঠালেন এবং তাকে (আল্লাহর) সম্মানিত নামগুলো এবং নবীদের নিদর্শনগুলো দিলেন। তিনি তাকে বললেন যে , তিনি (ঐশী) প্রজ্ঞা ,নথিপত্র , বইগুলো এবং অস্ত্রশস্ত্র উম্মু সালামা (আ.) এর কাছে দিয়েছেন এবং তাকে পরামর্শ দিয়েছেন তা তার কাছে হস্তান্তর করার জন্য।

একই বইতে বর্ণিত আছে যে , ইমাম জাওয়াদ (আ.) এর কন্যা এবং ইমাম হাদী (আ.) এর বোন খাদিজা বলেছেন যে , যতটুকু জানা যায় ইমাম হোসেইন (আ.) তার বোন সাইয়েদা যায়নাব (আ.) কে অসিয়ত করে যান এবং ইমাম যায়নুল আবেদীন (আ.) এর ইমামতের দিনগুলোতে মুহাম্মাদ (সা.) এর পরিবারের জ্ঞান তার (যায়নাব) মাধ্যমে ছড়িয়ে যায় , যেন ইমাম যায়নুল আবেদীন (আ.) কে শত্রুদের কাছ থেকে গোপন রাখা যায় তার জীবন রক্ষার জন্য।

কুতুবুদ্দীন রাওয়ানদি তার দাওয়াত ’ -এ বর্ণনা করেছেন ইমাম আলী যায়নুল আবেদীন (আ.) থেকে যে , দশই মহররম আমার বাবা আমাকে তার বুকের সাথে চেপে ধরেন যখন তার শরীর থেকে রক্ত প্রবাহিত হচ্ছিলো এবং তিনি বললেন , হে প্রিয় সন্তান , এ দোআ মনে রাখো যা সাইয়েদা ফাতিমা (আ.) রাসূলুল্লাহ (সা.) থেকে এবং তিনি জিবরাঈল থেকে পেয়েছেন এবং যা আমার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। কারণ এটি সব আশা পূর্ণ হওয়ার জন্য , গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে , দুশ্চিন্তায় , কঠিন পরিস্থিতিতে এবং গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনে উপকারী। দোআটি এমন:

بِحَقِّ يس وَالْقُرْآنِ الْحَكيمِ وَ بِحَقِّ طه وَ الْقُرْآنِ الْعَظيمِ يا مَنْ يَقْدِرُ عَلى حَوآئِجِ السّآئِلينَ يا مَنْ يَعْلَمُ ما فِى الضَّميرِ يا مُنَفِّساً عَنِ الْمَكْرُوبينَ يا مُفَرِّجاً عَنِ الْمَغْمُومينَ يا راحِمَ الشَّيْخِ الْكَبيرِ يا رازِقَ الطِّفْلِ الصَّغيرِ يا مَنْ لايَحْتاجُ اِلَى التَّفْسيرِ صَلِّ عَلى مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ وَافْعَلْ بى كَذا و كَذا

আমরা (লেখক) বলি , ইমাম হোসেইন (আ.) এর অন্য একটি দোআ দশই মহররমের সকালে উল্লেখ করা হয়েছে এবং তৃতীয় আরেকটি তার কাছ থেকে পাওয়া গেছে একই দিন , যা শেইখুত তাইফা (তূসী) শা ’ বানের তৃতীয় দিনের দোআয় উল্লেখ করেছেন যেখানে তিনি বলেছেন , এরপর ইমাম হোসেইন (আ.) এর দোআটি পড়ো কাউসারের দিনে (আশুরার দিনে) ।

কাফ ’ আমি বর্ণনা করেছেন যে আশুরার দিনে ইমাম হোসেইন (আ.) এর শেষ দোআ ছিলো (শেষ পর্যন্ত) ।

যে শিশুটি তাঁবু থেকে বেরিয়ে এসেছিলো এবং শহীদ হয়েছিলো তা উল্লেখ করার পর ‘ বিহারুল আনওয়ার ’ -এ আছে , ইমাম হোসেইন (আ.) ডান দিকে ফিরলেন এবং কাউকে দেখলেন না , এরপর তিনি বাম দিকে ফিরলেন এবং কাউকে দেখলেন না। ইমাম যায়নুল আবেদীন (আ.) বেরিয়ে এলেন যার একটি তরবারি তোলার ক্ষমতা ছিলো না (অসুস্থতার কারণে) । উম্মে কুলসুম (আ.) (যায়নাব (আ.) এর বোন) তার অনুসরণ করলেন এবং ডাক দিলেন , হে প্রিয় সন্তান , ফিরে আসো। ” তিনি বললেন , প্রিয় ফুপু , আমাকে ছেড়ে দিন যেন আমি আল্লাহর রাসূল (সা.) এর সন্তানের জন্য জিহাদ করতে পারি। ” ইমাম হোসেইন (আ.) তাকে দেখলেন এবং বললেন , “ হে উম্মে কুলসুম , তাকে থামাও , পাছে এ পৃথিবী থেকে মুহাম্মাদ (সা.) এর বংশ লোপ পেয়ে যায়। ”