মুক্তির পথে

মুক্তির পথে0%

মুক্তির পথে লেখক:
প্রকাশক: যাহরা একাডেমী ক্বোম, ইরান
বিভাগ: আল্লাহর একত্ববাদ

মুক্তির পথে

লেখক: মোহাম্মদ নূরে আলম
প্রকাশক: যাহরা একাডেমী ক্বোম, ইরান
বিভাগ:

ভিজিট: 16479
ডাউনলোড: 3471

মুক্তির পথে
বইয়ের বিভাগ অনুসন্ধান
  • শুরু
  • পূর্বের
  • 34 /
  • পরের
  • শেষ
  •  
  • ডাউনলোড HTML
  • ডাউনলোড Word
  • ডাউনলোড PDF
  • ভিজিট: 16479 / ডাউনলোড: 3471
সাইজ সাইজ সাইজ
মুক্তির পথে

মুক্তির পথে

লেখক:
প্রকাশক: যাহরা একাডেমী ক্বোম, ইরান
বাংলা

এ বইটিতে অত্যন্ত শক্তিশালী তাত্ত্বিক আলোচনা উপস্থাপন করেছেন। কোন অন্ধ অনুকরণ এবং বিশ্বাস সম্পর্কিত উদ্দীপনাময়ী ও চলমান গতানুগতিক আলোচনা এতে স্থান পায়নি বরং গ্রন্থটির সকল আলোচনাই হয়েছে সম্পূর্ণ সত্য এবং সুপ্রমানিত তথ্যসমূহের উপর ভিত্তি করে। আমরা সুস্থ বুদ্ধি ও বিবেককে কখনো বিতাড়িত করি না বরং একই সঙ্গে রাসূল (সঃ) কর্তৃক বর্ণিত দলীলের উপর স্থবির বুদ্ধিবৃত্তি এবং মানব বুদ্ধিবৃত্তির সমান ব্যবহারের পক্ষপাতি। কেননা তালাবদ্ধ চিন্তা-ভাবনা থেকে মুক্তির চাবি কাঠি হচ্ছে এ বুদ্ধিবৃত্তি। ফলে এরই মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে সঠিক দিক নির্দেশনা পেতে পারি। সাথে সাথে এ বুদ্ধিবৃত্তি আমাদেরকে এও বলে দেয় যে কোন্ বিষয়টি বিবেক প্রসূত আর কোনটি বিবেক-বহির্ভূত। এ গ্রন্থে বিভিন্ন সহজ বোধগম্য উদাহরণের মাধ্যমে চিন্তার বিকাশ সাধনের প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে যথার্থভাবে ,যেন পরবর্তীতে অন্যান্য চিন্তাবিদ ও সংস্কৃতিমনা ব্যক্তিবর্গ এ পথে নিজেদের পরিশ্রম ব্যয় করতে এগিয়ে আসেন।

20

আল্লাহ সর্বশক্তিমান

আল্লাহ সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। অসীম ক্ষমতাধর প্রভু তিনি। তিনি যা ইচ্ছা করতে পারেন। তাঁর ক্ষমতার পরিমাপ করা সম্ভব নয় কারো পক্ষে। তিনি পরম পরাক্রমশালী। অপারগতা তাঁর সত্তা থেকে বহুদূরে। সকল কিছুই তাঁর জন্যে সম্ভব। তবে বস্তুর গুণগত অপারগতা ও সসীমতার কারণে সে বস্তুর বাস্তব অস্তিত্বের অনুপস্থিতি আল্লাহর অপারগতা প্রমাণ করে না। যেমন ধরুন ,কেউ যদি বলে ,আল্লাহ কি সমস্ত পৃথিবীকে একটা মুরগীর ডিমের ভিতর স্থাপন করতে পারবেন যে ডিমের আয়তনও বড় হবে না আবার পৃথিবীও আয়তনে ক্ষুদ্র হবে না ? এর উত্তরে বলতে হয় ,আল্লাহর জন্যে সব কিছু সম্ভব। আমাদের ধারণা মতে এর চেয়েও বৃহৎ ও কঠিন বলে স্বীকৃত যত কিছু হতে পারে ,তারও অস্তিত্ব লাভ আল্লাহর পক্ষ থেকে কোনরূপ কঠিন কাজ নয়। কিন্তু প্রশ্ন হলোঃ ডিমের কি পৃথিবী ধারণ করার ক্ষমতা আছে ? আর পৃথিবী কি তার স্বীয় বৈশিষ্ট্য অক্ষুন্ন রেখে ডিমের ন্যায় কোন ক্ষুদ্র আকৃতির বস্তুর ভিতর প্রবেশ ক্ষমতা রাখে ? এ সবই হচ্ছে ডিম বা পৃথিবীর গুণগত অপারগতা। দার্শনিক নীতি অনুসারে কোন বস্তুর অস্তিত্বে আগমণের প্রয়োজনীয় উপকরণ সম্মিলিত না হলে কখনো ঐ বস্তু অস্তিত্বমান হতে পারে না। দর্শনের পরিভাষায় এ ধরনের বস্তুকে অসম্ভব বস্তুগত সত্তা বলা হয় । মহান আল্লাহ্ এ ধরণের কোন অসম্ভব বস্তুগত সত্তার সৃষ্টি করতে পারেন না।

প্রশ্ন হতে পারে , আল্লাহ কি অন্য আরেকটি আল্লাহ সৃষ্টি করতে পারেন ? মূলত : এ ধরণের প্রশ্নের অবতারণা বিভিন্ন ভুল চিন্তা-চেতনা থেকে করা হয়ে থাকে। এ ধরনের প্রশ্নই ভুল। আল্লাহর জন্যে কোন কিছু অসম্ভব নয়। তবে অসম্ভব বস্তুর সৃষ্টিহীনতার জন্যে ঐ বস্তুর সত্তাহীনতাই দায়ী। এতে আল্লাহর শক্তির মান ও পরিমাপের স্বল্পতা প্রামাণিত হয় না। যেমন ধরুন আপনি একজন বিখ্যাত চিত্রকরকে অনুরোধ করলেন বঙ্গোপসাগরের মাঝে পানির উপরিভাগে একটি সুন্দর ও আকর্ষণীয় চিত্র অংকন করে দিতে। সঙ্গে সঙ্গে চিত্রশিল্পী ভদ্রলোকটি নিশ্চয়ই বলবেন , এটা একটা অসম্ভব কাজ। তাহলে আপনি চিত্র অংকন করতে পারেন না। কথাটি ব্যক্ত করতে পারবেন ? আপনার উপলব্ধি ক্ষমতা নিশ্চয়ই এধরণের বক্তব্যে সায় দিবে না। আর তখন যদি আপনি ভাবেন ,তিনি একজন মিথ্যাবাদী ,তাহলে আপনার ধারণা কি সঠিক হবে ? চিত্র অংকনের সকল অত্যাধুনিক সরঞ্জাম ও উপকরণ প্রস্তুত থাকার পরও ভদ্রলোকটি কেন পানির উপরে ছবি অংকন করতে পারলেন না ? এটা কি তার অপারগতা বলে আপনি চিহ্নিত করতে পারেন ? কখনো কোন বুদ্ধিমান ব্যক্তি এ ধরণের অপবাদ দিতে পারে না। আসলে বিষয়টি হচ্ছে ,চিত্র ধারণ ক্ষমতা পানির নেই। পানির পক্ষে কোন চিত্র তার বুকে ধারণ করে রাখা অসম্ভব। এটি পানিরই অযোগ্যতা ও অপারগতা। এর জন্যে চিত্রকরকে কোনক্রমে দায়ী করা যাবে না।

তদ্রূপ সর্বশক্তিমান আল্লাহ্ও সব কিছু করতে পারেন। কিন্তু কোন বস্তুর সত্তাহীনতা ও সম্ভাব্য বস্তুতে পরিণত হতে অপারগতা এবং অসম্ভাব্য অস্তিত্বে পরিণত হওয়া থেকে আল্লাহর অক্ষমতা ও অযোগ্যতার পরিচয় ফুটে উঠেনা কিছুতেই।

পবিত্র আল্ কোরআনে আল্লাহ বলেন ,

( وَمَا كَانَ اللَّـهُ لِيُعْجِزَهُ مِن شَيْءٍ فِي السَّمَاوَاتِ وَلَا فِي الْأَرْضِ ۚ إِنَّهُ كَانَ عَلِيمًا قَدِيرًا)

অর্থাৎ ,পৃথিবী ও আসমানসমূহে কোন কিছুই আল্লাহর জন্যে অসম্ভব নয়। নিশ্চয়ই তিনি সর্বজ্ঞানী ও সর্বশক্তিমান। (ফাতের ,আয়াত নং 44 )

আল্লাহ যদি অন্য কোন আল্লাহ্ সৃষ্টি করেন তাহলে তিনি (কাল্পনিক দ্বিতীয় আল্লাহ্) তো সৃষ্টি বস্তুতে পরিণত হয়ে যাবেন। কেননা ,তার অস্তিত্ব অর্জনে অন্যের সাহায্যের প্রয়োজন হয়েছে। অতএব ,এই সৃষ্টি সত্তা (দ্বিতীয় কাল্পনিক আল্লাহ) স্রষ্টার আসন থেকে পদচ্যুত হয়ে পড়বেন। কারণ ,আমরা এমন এক স্রষ্টার অস্তিত্বে বিশ্বাসী যিনি স্বয়ংসৃষ্ট ও অপরিহার্য সত্তা। সত্তাহীনতা তার জন্যে কল্পনাও করা যায় না। সুতরাং এ ধরণের কাল্পনিক অস্তিত্বের সৃষ্টি ,সৃষ্ট বস্তুরই নামান্তর আর তা কক্ষনো আল্লাহ্ হতে পারে না।

21

ভাল-মন্দের সঠিক অবস্থান

সর্বজনবিদিত সত্য কথা : আল্লাহ্ যা করেন মঙ্গলের জন্যেই করেন -এর দু টি অর্থ হতে পারে।

একটি হলো : আল্লাহ্ যে কাজই আঞ্জাম দিয়ে থাকেন তাই ভাল কাজ হিসেবে পরিগণিত ,যদিওবা সে কাজটি বিবেকপ্রসূত মন্দকাজ বলে বিবেচিত হয়ে থাকে।

অপরটি হলো : আল্লাহ্ কোন মন্দকাজ আঞ্জাম দিতে পারেন না। তিনি শুধু ভাল কাজই করেন।

এখান থেকেই ইতিহাসের কাল পরিক্রমায় দু টি মতবাদ তৈরী হয়ে বিভিন্ন চিন্তাবিদদের মাধ্যমে বিকশিত হয়েছে ,যা একটি অপরটির বিপরীত। এ ব্যাপারে কারো কোন দ্বিমত নেই যে ,আল্লাহর সকল কাজই ভাল কাজ। কিন্তু মতভেদ হচ্ছে এ নিয়ে যে , মানুষ ধর্মের বিধিনিষেধের সাহায্য ব্যতিরেকে স্বাধীন বিবেক-বুদ্ধি দিয়ে ভাল-মন্দের সংজ্ঞা ও ব্যাখ্যা এবং এর পার্থক্য নিরূপণ করতে কি সক্ষম ?

এটা স্মরণ রাখা দরকার যে আল্লাহর সকল কাজ তার মহাপ্রজ্ঞা ক্ষমতা দ্বারা পরিবেষ্টিত। তাই আল্লাহর কোন কাজই অকারণে সংঘটিত হয় না ,প্রতিটি কাজের পেছনে একটি নির্দিষ্ট কার্যকারণ নির্ধারিত থাকে। আমাদের বিবেক ও বুদ্ধি ক্ষমতাও যেহেতু মহান আল্লাহর সৃষ্টি ,তাই এর স্বাভাবিক কাজ হচ্ছে ভাল-মন্দ সম্পর্কে স্বাধীনভাবে বিচার ক্ষমতার প্রয়োগে যথার্থ ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া।

এর বিপরীতে আশআরী মতাবলম্বীরা বিবেক-বুদ্ধি ও স্বাধীন চিন্তা- চেতনার মাধ্যমে মানুষের জন্যে ভাল-মন্দের জ্ঞানকে অস্বীকার করে থাকেন। তারা বলেন ,ধর্মীয় বিধি-বিধান আগমনের পূর্বে মানুষ কোন বিষয়ের ভাল-মন্দ ধারণা অর্জন করতে পারে না। ধর্ম যা আদেশ করেছে তাই হচ্ছে ভাল কাজ আর ধর্মের সকল নিষিদ্ধ কাজই হচ্ছে মন্দ কাজ। মুলতঃ ভাল-মন্দের ধারণা ধর্মীয় বিধি-বিধান থেকেই প্রসূত।

প্রকৃত পক্ষে যদি আমরা ভাল মন্দের ধারণাকে ধর্মের বিধি-বিধান ও নিয়মাবলীর মাধ্যমে অক্টোপাসের মত আবদ্ধ করে ফেলি তাহলে প্রশ্ন হতে পারে যেখানে ধর্মের কোন আলো-বাতাস পৌঁছেনি ,যেখানকার জনগণ ধর্মীয় বিধি-নিষেধের কোন ছোঁয়া পায়নি তারা কি ভাল-মন্দ অনুধাবনের ক্ষমতা রাখে না ? তারা কি ভাল কাজ করা আর মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকার অধিকার রাখে না ? এসব প্রশ্নের উত্তরে যদি আশআরীগণ বলেন ,তাদের ভাল-মন্দ অনুধাবন করার ক্ষমতা নেই তাহলে তারা বাস্তবতাকেই উপেক্ষা করেছেন। আর যদি বলেন ,তারা ভাল-মন্দের কোন কাজ নির্বাচন করার অধিকার রাখেন না তাহলে বলতে হবে তারা আল্লাহ্ প্রদত্ত স্বাধীনতার উপর খবরদারী করেছেন। আর আশআরীদের মতে এ ধরনের জনগোষ্ঠির হিসাব-নিকাশ হবে কিভাবে পরকালে ,কিয়ামতের ময়দানে ? আশআরী মতাবলম্বীরা এ সব প্রশ্নের উত্তর দানে সম্পূর্ণ অপারগ।

মূলত : আল্লাহ্ সকল মানুষকে সমানভাবে ভাল-মন্দের বিচার ক্ষমতা দান করেছেন। যেখানে ধর্মের বিধি-বিধান অবতীর্ণ হয়নি অথবা পৌঁছেনি তাদের হিসাব-নিকাশ তাদের বিবেকের কাছে থেকেই নেয়া হবে কিয়ামতের দিবসে। এ ব্যাপারে আবুল হাসান মুসা বিন জা ফার (তাঁর উপর আল্লাহর অফুরন্ত শান্তি বর্ষিত হোক) ---- এর একটি উক্তি প্রণিধানযোগ্য। তিনি বলেছেন :

হে হিশাম,ন িশ্চয়ই মানুষের জন্যে আল্লাহর দুটি হুজ্জাত বা অকাট্য দলিল রয়েছে। একটি হচ্ছে জাহেরী বা প্রকাশ্য হুজ্জাত অপরটি বাতেনী বা অপ্রকাশ্য হুজ্জাত। জাহেরী হুজ্জাত হচ্ছে রাসুল ,আম্বীয়া ,ও ইমামগণ আর বাতেনী হুজ্জাত হচ্ছে আক্বাল বা বিচার বুদ্ধি। 27

প্রকাশ্য হুজ্জাত যেমনিভাবে মানুষকে ভাল কাজের দিকে দেহায়েত করেন তেমনি অপ্রকাশ্য তথা গুপ্ত হুজ্জাতও মানবজাতিকে সৎ ও ন্যায়ের দিকে পথ নির্দেশনা দিয়ে থাকে।

ভাল কাজের কতগুলো উদাহরণ হচ্ছে : সুবিচার করা ,ন্যায্য অধিকার দান ইত্যাদি। আর মন্দ কাজ যেমনঃ অবিচার করা ,অন্যায়ভাবে অধিকার হরণ ইত্যাদি। ভাল কাজ স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ভাল আর মন্দ তার নিন্দনীয় কাজের জন্যে মন্দ। ধর্মীয় বিধি-বিধান এসে ভাল কাজকে ভাল করতে পারে না ,বরং পূর্বে থেকেই ভাল। সকল ভাল কাজই ধর্মের অনুকূলে। অপরদিকে মন্দ কাজ শুধু শরিয়তের আইন প্রণয়নের কারণে তা মন্দ হয়ে যায় না ,বরং পূর্বে থেকেই আপন বৈশিষ্ট্যবলে মন্দ কাজ হিসেবে পরিগণিত। ধর্মীয় অনুশাসন কখনো ভাল কাজকে মন্দ আর মন্দ কাজকে ভাল বলে ঘোষণা দিতে পারে না। কেননা বিবেক বিরোধী কোন কাজই ধর্মীয় নীতিমালায় স্থান পায় না। আল্লাহ্ স্বয়ং সর্বশ্রেষ্ঠ জ্ঞানী ও মহা-বিবেকবান। মানুষের বিবেকবুদ্ধিও তারই সৃষ্টি। তাই বুদ্ধিবৃত্তি নিষ্কুলুষ ভাবে সত্য-মিথ্যার পার্থক্য নির্ণয়ে সক্ষম।

স্মরণীয় যে ,আমাদের ভাল-মন্দের আলোচনা ঐ সব ক্রিয়া-কর্ম নিয়ে আবৃত যারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে এবং জাতসত্তাগত দৃষ্টিকোন থেকে ভাল অথবা মন্দ। দৃষ্টান্তস্বরূপ সুবিচার অথবা অত্যাচার-যুলুম ইত্যাদি ধরা যেতে পারে। আমাদের আলোচনা এমন সব ভাল-মন্দের গুণগত মান নিয়ে ব্যাপৃত যেগুলো চিরন্তন ও শাশ্বত ,যেগুলো ভাল-মন্দের আবরণ পরিধান করে স্থান কাল পাত্র ভেদে পরিবর্তনশীল নয়। এর বিপরীতে এমন সব ভাল বা মন্দ কাজ পৃথিবীতে বিদ্যমান যা ভালমন্দের আবরণে নিজেকে উপস্থাপন এবং বিভিন্ন সময়ে বা ক্ষেত্রে আবরণ পরিবর্তন করে থাকে। যেমনঃ সত্যবাদীতা ,মিথ্যা বলা ,অথবা সম্মান বা অসম্মান করা। এটা কখনো কেউ ব্যক্ত করতে পারবে না যে ,সব সময় সত্য কথা বলা ভাল কাজ। কখনো সত্য কথা বলা একটা অপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে। যে সত্য কথা বলার কারণে কোন মানুষ বা সমাজের ক্ষতি হতে পারে তা কখনো বিবেকবান মানুষের কাছে ভাল বলে গণ্য হতে পারে না। তদ্রূপ মিথ্যা সব সময় মন্দ কাজ বলে পরিগণিত নয়। বরং কাউকে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করার জন্যে মিথ্যা বলাটা একটা ভাল কাজ বলে পরিগণিত হতে পারে। একইরকমভাবে সম্মান করা সর্বদা সর্বস্থানে ভাল কাজ হতে পারে না। বরং কোন অত্যাচারী শাসককে সম্মান প্রদর্শন করা একটা অমার্জনীয় অপরাধ।

আবার এমন কতগুলো ভাল বা মন্দ কাজ বিদ্যমান যে ,সেগুলো যে পাত্রে ধারণ করা হয় সে পাত্রের আকার ধারণ করে। দৃষ্টান্তস্বরূপ বেত্রাঘাত করা। যখন কাউকে আদব শিক্ষা দেয়ার জন্যে বেত্রাঘাত করা হয় তখন এ কাজটি একটি ভাল কাজ হিসেবে গণ্য। আবার যখন কাউকে অত্যাচার ও বিরক্ত করার জন্যে বেত্রাঘাত করা হয় তখন এ কাজটি একটি অন্যায় কাজ বলে পরিগণিত হয়। সুতরাং চিরন্তন ,শাশ্বত ও স্বভাবগত ভাল বা মন্দের বিপরীতে উপরোল্লেখিত পরিবর্তনশীল ভাল-মন্দের আলোচনা আমাদের আলোচ্য বিষয়ের বহির্ভূত।

22

আল্লাহর ন্যায়বিচার

ন্যায়বিচারের আরাবী প্রতিশব্দ হচ্ছে আদ্ল । আদ্ল -এর বিপরীত শব্দ হচ্ছে যুলুম বা অত্যাচার। আদ্ল এর বিভিন্ন অর্থ হতে পারে। তন্মধ্যে চারটি অর্থ উল্লেখযোগ্য।

এক : ভারসাম্য রক্ষা।

দুই : সাম্য বা সমান বিচার।

তিন : সকলকে প্রাপ্য অধিকার দান।

চার : পাত্র হিসেবে করুণা বর্ষণ।

উপরোক্ত চারটি অর্থের চতুর্থ প্রকার আদালত বা ন্যায়বিচারের অর্থ অধিকাংশ মুসলিম দার্শনিক ও প্রজ্ঞাবিদগণ গ্রহণ করেছেন। উক্ত চার প্রকার আদ্ল এর ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ এবং এর উপর প্রতিবাদী বক্তব্য সম্পর্কে বিভিন্নমুখী বিস্তারিত আলোচনার অবতরণা করা হয়েছে এ বিষয়ের উপর লিখিত বিভিন্ন গ্রন্থে। তাই সংক্ষিপ্ততার প্রতি আমাদের দৃষ্টি নিবদ্ধ হওয়ায় আমরা বিস্তারিত আলোচনা থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করছি।

আল্লাহর করুণা বিশ্বের প্রতিটি বস্তু ও ব্যক্তির উপর সমানভাবে অবতীর্ণ হয়েছে। তিনি কাউকে তার করুণা বা রহমত থেকে বঞ্চিত করেন না। এ বিশ্ব ব্যবস্থায় যেহেতু আদিসত্তা থেকে রহমত গ্রহণের যোগ্যতার পার্থক্য বিরাজমান তাই প্রত্যেকে তাঁর করুণা থেকে তাদের ধারণ ক্ষমতা হিসেবে উপকৃত হয়ে থাকে। এ বিশ্বজগতের কোথাও কোন বৈসম্যতার চিহ্ন নেই। যা কিছু আমরা বৈসম্যতা বলে মনে করি তা সৃষ্টি বস্তুসমুহের মাঝে তাদের ধারণ ক্ষমতার পার্থক্যেরই কারণ। যেমন চলন্ত কোন জাহাজের যাত্রীদের প্রয়োজন মিটানোর জন্যে সমুদ্র থেকে পানি উত্তোলনের ক্ষেত্রে উত্তোলনকারী পাত্রের ধারণ ক্ষমতা হিসেবেই উত্তোলন করা সম্ভবপর হয়ে থাকে ,যদিও সমুদ্রের পানির কোন অভাব নেই। আর তাই পানি ধারণকৃত পাত্রের পার্থক্য হওয়ার কারণে পানির পরিমাণও পার্থক্য হয়ে যায়। বিশ্ব প্রকৃতিতে আল্লাহর ন্যায়বিচার ব্যবস্থার বিষয়টিও হচ্ছে এ রকম। আমরা পূর্বের আলোচনায় প্রমাণ করেছি যে ,আল্লাহর দ্বারা কোন মন্দ কাজ সম্পাদন হতে পারে না। যেহেতু জুলুম একটি মন্দ কাজ তাই বিবেকবান আল্লাহ্ ----যিনি আমাদের সকলের বিবেকের সৃষ্টিকারক ,তিনি কখনও কোন মন্দ কাজ আঞ্জাম দিতে পারেন না। কেননা তিনি একজন স্বয়ংসৃষ্ট ও প্রজ্ঞাবান সত্তা। তাঁর জন্যে কোন মন্দ কাজ করা আমাদের কল্পনারও বহির্ভূত বিষয়। তিনি সর্বদা ন্যায়বিচার করে থাকেন।

মহান আল্লাহ্ তাঁর সকল কর্ম পরিপূর্ণ সুবিচারের সাথে সম্পন্ন করে থাকেন আর তাঁর সুবিচার তাঁর চিরন্তন ও শাশ্বত জ্ঞান ও প্রজ্ঞা দ্বারা পরিবেষ্টিত। তাই তাঁর কাজে কোন ত্রুটি ও খুঁত লক্ষ্য করা যাবে না।28

এ প্রসঙ্গে আল্ কোরআনে আল্লাহ্ বলেন ,

( وَنَضَعُ الْمَوَازِينَ الْقِسْطَ لِيَوْمِ الْقِيَامَةِ فَلَا تُظْلَمُ نَفْسٌ شَيْئًا)

অর্থাৎ : আমরা ক্বিয়ামাতের দিবসে ন্যায় ও সাম্যের দাড়ি পাল্লা স্থাপন করবো ,সেখানে কারো উপর কোন প্রকার যুলুম বা অবিচার করা হবে না। (আল্ আম্বিয়া ,আয়াত নং- 47। )

23

ক্ষেত্রভেদে আল্লাহর ন্যায়বিচার

এ অধ্যায়ে আমরা আল্লাহর ন্যায়বিচারের তিনটি ক্ষেত্র উল্লেখ করছি মাত্র।

এক : আল্লাহ্ তাঁর স্বরচিত আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে মানুষের উপর অবিচার করেন না। অর্থাৎ মানুষের সাধ্যের অতীত তিনি কর্তব্য চাপিয়ে দেন না। মানবজাতির সামর্থের বাইরের কোন আইন তিনি রচনা করেন নি।

এ বিষয়ে আল কোরআন উল্লেখ করছে :

( لَا يُكَلِّفُ اللَّـهُ نَفْسًا إِلَّا وُسْعَهَا)

অর্থাৎ : আল্লাহ্ সাধ্যের অতীত কারো উপর কর্তব্য চাপিয়ে দেন না। ( আল্ বাক্বারা ,আয়াত নং-286 )

দুই : পরকালে প্রতিদানের ক্ষেত্রে আল্লাহ্ কারো উপর কোন প্রকার অবিচার করবেন না। তিনি সুবিচারের সাথে মানুষকে তার প্রাপ্য পুরষ্কার অথবা শাস্তি দান করবেন। সেদিন তারা তাদের নিজ নিজ কর্মের ফলাফল ভোগ করবেন।

আল্ কোরআনে আল্লাহ্ বলেন :

( فَمَا كَانَ اللَّـهُ لِيَظْلِمَهُمْ وَلَـٰكِن كَانُوا أَنفُسَهُمْ يَظْلِمُونَ)

অর্থাৎ : আল্লাহ্ তাদের উপর কোন যুলুম করবেন না বরং তারা নিজেরাই নিজেদের উপর অবিচার করেছেন। ( আর রুম ,আয়াত নং- 9 )

তিন : সমস্ত সৃষ্টিজগত জুড়ে ন্যায়বিচার বিরাজমান অর্থাৎ সকল জীব ও জড় বস্তুকে আল্লাহ্ নিখুঁত ,সুসামঞ্জস্য ,ভারসাম্য ও সুশৃঙ্খল -সুবিন্যাস্তভাবে সৃষ্টি করেছেন ,কোথাও কোন প্রকার ত্রুটি পরিলক্ষিত হবে না। সকল কিছুই স্ব-স্ব স্থানে পরিপূর্ণ সৌন্দর্য্যরে সাথে বিরাজমান। এক্ষেত্রে আল্লাহ্ সম্পূর্ণ ন্যায়বিচারের মাধ্যমে বিশ্বের সকল কিছুকে অস্তিত্ব দান করেছেন।

এ প্রসঙ্গে আল্লাহ্ পবিত্র কোরআনে উল্লেখ করছেন :

( إِنَّ فِي اخْتِلَافِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ وَمَا خَلَقَ اللَّـهُ فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ لَآيَاتٍ لِّقَوْمٍ يَتَّقُونَ)

অর্থাৎ : এই যে দিবা- রাত্রির পরিবর্তন এবং আসমান সমুহ ও যমীনে যা কিছু আল্লাহ্ সৃষ্টি করেছেন ,নিশ্চয়ই তাতে মোত্তাক্বীনদের জন্যে নিদর্শন রয়েছে। (ইউনুস ,আয়াত নং- 6 )

24

সৃষ্টি জগতের কোন কিছুই অমঙ্গল নয়

কখনো এ বিশ্ব জগতে এমন সব ঘটনা ঘটে যা দেখে মানুষ চমকিয়ে উঠে। মনে সাংঘাতিকভাবে ব্যথা পায় সে। মানব দরদী মন আত্মবেদনায় ভরে ওঠে তখন। দৃষ্টান্তস্বরূপ ভূমিকম্প ,প্লাবন ,ঝড় ,তুফান ,খরা ,রোদ্রের প্রখর উত্তাপ ইত্যাদি। এগুলোর কারণে প্রতি বৎসর শত সহস্র লোক প্রাণ হারায়। সন্তান শুন্য হয়ে যায় কত মায়ের কোল। কেউ প্রশ্ন করতে পারেন ,ন্যায়বিচারক আল্লাহর বান্দাদের উপর এগুলো কি অত্যাচার নয় ? কেননা এগুলো তো সব অমঙ্গল জিনিষ। মানুষের জীবনের ক্ষয়ক্ষতি কি করে মঙ্গলজনক কাজ বলে পরিগণিত হতে পারে ?

এ সব প্রশ্নের উত্তরের সন্ধানে যুগে যুগে মানুষ বিভিন্ন মতবাদের আশ্রয় নিয়েছে। অনেকে উপরোক্ত প্রশ্নগুলোর সঠিক উত্তর না পেয়ে দ্বিত্ববাদের শিকলে আটকা পড়েছে। তারা ভাল ও মন্দ কাজের জন্যে পৃথক পৃথক দু টি স্রষ্টার অস্তিত্বে বিশ্বাস স্থাপন করেছে।

বস্তুতঃ সৃষ্টি জগতের ঘটনাসমুহকে আমরা ক্ষুদ্র দৃষ্টিতে দেখি বলেই মনে হয় এগুলো অমঙ্গল ও ক্ষতিকর। বিশ্ব সৃষ্টিতে কোন কিছুই দুর্ঘটনাক্রমে আবির্ভূত হয় না। এগুলোর পেছনে নিশ্চয়ই কোন সুনির্দিষ্ট কার্যকারণ বিদ্যমান।

প্রকৃতপক্ষে অমঙ্গল বলতে পৃথিবীতে কোন কিছু নেই। আল্লাহর এ প্রকৃতিতে অমঙ্গল কোন ঘটনাই ঘটে না বরং আমরা যখন কোন ঘটনাকে আমাদের স্বার্থের সাথে তুলনা করি তখনই মনে হয় এটি একটি অমঙ্গল জিনিষ বা ঘটনা। দৃষ্টান্তস্বরূপ যখন কোন বিষাক্ত প্রাণী যেমন সাপ ,বিচ্ছু ইত্যাদি অবলোকন করি তখন মনে হয় এগুলো শুধু মানুষের অনিষ্টই করে ,বাস্তবে কিন্তু তা নয়। বস্তুতঃ এ ধরনের মন্তব্য ,সৃষ্টি বস্তু ও সৃষ্টি জগতের প্রাকৃতিক তথাকথিত দুর্যোগগুলোকে মানুষের অবস্থার সাথে তুলনা করার কারণেই হয়ে থাকে। কিন্তু অনস্বীকার্য সত্য যে উক্ত প্রাণীগুলোর এবং তদ্রূপ আপাতঃ দৃষ্টিতে ক্ষতিকর প্রাণী বা ঘটনাগুলো তাদের স্ব-স্ব অবস্থানে অত্যন্ত মঙ্গলময়। তাদের অস্তিত্ব অন্য কোন সৃষ্টির সাথে তুলনা ছাড়া নিশ্চয়ই স্ব-স্ব স্থানে তারা অত্যন্ত উপযোগী। সুতরাং আপাতঃ দৃষ্টিতে অমঙ্গল ও অনিষ্ট সব জিনিষ বা ঘটনাই হলো তুলনামূলকভাবে মন্দ। প্রকৃতপক্ষে সৃষ্টি জগতের সব কিছুই স্ব-স্ব স্থানে অত্যন্ত সৌন্দর্যময়।

এটা নির্ভেজাল সত্য কথা যে ,পৃথিবীতে অমঙ্গল বা অনিষ্ট ঘটনার কোন অস্তিত্ব নেই। দর্শনের পরিভাষায় এ সব অমঙ্গল ঘটনা বা বস্তু হচ্ছে অনস্তিত্বশীল সত্তা। উদাহরণ দ্বারা বিষয়টি আরো স্পষ্ট করে তুলে ধরা প্রয়োজন বলে মনে করছি। ধরুণ আপনাকে যদি বলা হয় মুর্খতা ও অজ্ঞতার কোন অস্তিত্ব আছে কি ? উত্তরে নিশ্চয়ই বলবেন , সত্য কথা হলো ,এগুলোর কোন অস্তিত্ব নেই । যেহেতু মুর্খতা ও অজ্ঞতার বিপরীত শব্দ হলো জ্ঞান বা ই লম তাই যেখানেই জ্ঞানের অস্তিত্ব অবর্তমান সেখানেই মুর্খতা ও অজ্ঞতা চলে আসে। এক কথায় মুর্খতা ও অজ্ঞতার অর্থ হলো জ্ঞানহীনতা।

ঠিক অনুরূপভাবে অমঙ্গল কোন জিনিষের অস্তিত্ব এ বিশ্বে নেই। অমঙ্গল বা অনিষ্টতার অর্থ হচ্ছে মঙ্গলহীনতা অর্থাৎ যেখানে অমঙ্গলের অস্তিত্ব নেই। আর এ কারণেই অমঙ্গল বা অনিষ্টতাকে নেতিবাচক অর্থে ব্যবহার করা হয়। এ বিষয়ে দার্শনিক ও কালাম শাস্ত্রের দৃষ্টিকোন থেকে পরিপূর্ণ আলোচনা পুস্তকের কলেবর বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে বিধায় বিস্তারিত আলোচনা থেকে বিরত থাকছি। আশা করি বুদ্ধিমান পাঠক মহল এ বিষয়ে যৎসামান্য আলোচনা থেকেই যথেষ্ট জ্ঞান লাভ করতে সমর্থ হবেন। তাই সংক্ষিপ্ততার প্রতি দৃষ্টি রেখে বিখ্যাত দার্শনিক এরিষ্টোটলের একটি প্রসিদ্ধ বক্তব্য উল্লেখ করেই এ বিষয়ে ইতি টানছি। তিনি বলেছেন , প্রকৃতির সকল সম্ভাব্য বস্তুকে প্রাথমিক ও বাহ্যিক দৃষ্টিতে সংক্ষিপ্তভাবে পাঁচ ভাগে ভাগ করা যেতে পারে।এক : যা পরিপূর্ণভাবে মঙ্গলময় ,যেখানে অঙ্গলের নামনিশানাও নেই।

দুই : যেখানে মঙ্গলের পরিমাণ অধিক তবে অমঙ্গল কম।

তিন : অমঙ্গল অধিক আর মঙ্গলের পরিমাণ কম।

চার : মঙ্গল ও অমঙ্গলের পরিমাণ সমান।

পাঁচ : শুধুই অমঙ্গল ,মঙ্গলের চিহ্ন মাত্র নেই।

এ পাঁচ প্রকার বস্তুসমুহের মধ্যে শেষের তিন প্রকারের কোন অস্তিত্ব এ পৃথিবীতে নেই। প্রথম দুই প্রকার বস্তু-ই বিশ্ব জগতে বিদ্যমান। 29

তথ্যসূত্র :

1 । রাডার :RADAR একটি বিশেষ ধরনের ইলেকট্রোনিক্স (Electronics ) যন্ত্র। এই বিশেষ ধরনের রেডিও ইলেকট্রোন্কি যন্ত্রের সাহায্যে লক্ষ্য বস্তুর আবস্থান দূরত্ব ,প্রকৃতি ,দিক ,গতি ,উচ্চতা ইত্যাদি বিষয়ে নির্ভূল (প্রায়) তথ্য নির্ণয় করা হয়। আবার RADAR যন্ত্রের সাহায্যে দেশের আকাশ সীমানায় অনুপ্রবেশকারী বিমান শত্রু না মিত্র তা নির্ণয় করা সম্ভব। অবশ্য উল্লেখিত ক্ষেত্রে এক বা একাধিক RADAR ব্যবহার করা হয়।

2। আল্লাহকে জানা ,পৃঃ 27-28। অনুবাদ : মিয়া আউয়াল।

3 । আল্লাহর অস্তিত্ব প্রমাণ : জন ক্লোভার মোনসামা। অনুবাদ : আহমাদ আরাম ,চতুর্থ প্রকাশ ,তাবরীয ,ইরান ,পৃঃ নং-39।

4 । আল্লাহর অস্তিত্ব প্রমাণ : জন ক্লোভার মোনসামা। অনুবাদ : আহমাদ আরাম ,চতুর্থ প্রকাশ ,তাবরীয ,ইরান ,পৃঃ নং-286।

5 । আল্লাহর অস্তিত্ব প্রমাণ : জন ক্লোভার মোনসামা। অনুবাদ : আহমাদ আরাম ,চতুর্থ প্রকাশ ,তাবরীয ,ইরান ,পৃঃ নং-56।

6 । আল্লাহর অস্তিত্ব প্রমাণ ,পৃঃ 69 ,70 ।

7 । আল্লাহর অস্তিত্ব প্রমাণ ,পৃঃ 79 ।

8 । কিয়াস একটি আরাবী শব্দ। এর ইংরেজী প্রতিশব্দ হচ্ছেSyllogism তর্কশাস্ত্রে দুইটি বাক্য থেকে একটি ফলাফলে পৌঁছার নীতিগত যুক্তি ও দলীল বিশেষের নাম কিয়াস। যেমন : এ পুস্তকটি সুন্দর ,আর সুন্দরকে মানুষ ভালবাসে সুতরাং এ পুস্তকটিকে মানুষ ভালবাসে। এ ধরণের নির্ভুল ফলাফলে পৌঁছার নীতিগত নাম হল কিয়াস।

9। আল্লাহর অস্তিত্ব প্রমাণ ,পৃঃ নং 200-202।

10। প্রাগুক্ত ,পৃঃ নং 18-19।

11। প্রাগুক্ত ,পৃঃ 178-179।

12। প্রাগুক্ত , পৃঃ 44।

13। প্রাগুক্ত ,পৃঃ 228-230।

14। প্রাগুক্ত ,পৃঃ 43-44।

15। প্রাগুক্ত ,পৃঃ 259-260।

16। প্রাগুক্ত ,পৃঃ 179-180।

17। প্রাগুক্ত ,পৃঃ 187।

18 । তাওহীদ সাদুক , পৃঃ 231 , নূতন প্রিন্ট।

19 । তাওহীদ মুফায্যাল ,পৃঃ 55 ,নাজাফ প্রিন্ট।

20 । শারহ্ আল্ উসুল আল খামসা ,পৃঃ 182।

21 । মাকালাত আল্ ইসলামিয়িন ,খণ্ড 1 ,পৃঃ 224।

22 । আল-আসফার ,খণ্ড 6 ,পৃঃ-118।

23 । নাহ্জুল বালাগ্বা ,খুতবা নং-1।

24 । আস সিরাত আল্ মুসতাক্কিম ,পৃঃ 32।

25 । আল্ ইমামাহ্ ওয়াস সিয়সাহ্ ,ইবনে কুতাইবা ,খণ্ড 1 ,পৃ : 171।

26 । আশআরী ও মু তাযিলীদের আক্বীদা বিশ্বাস বিস্তারিত অবগত হবার জন্য পড়ুন ,কিতাব আল মাসায়েল ফি আল খেলাফ বাইন আল বাসরিয়্যিন ওয়াল বাগদাদীয়্যিন : আবু রশিদ সাঈদ বিন মোহাম্মদ বিন সাঈদ আন্ নিশাবুরী ,বার্লিন ,জার্মান ,হস্তলিখিত কপি।

27 । উসুলে কাফি ,খণ্ড- 1 ,পৃষ্ঠা- 60 ,কিতাব আল্ আকল ওয়াল জাহল ,হাদিস নং- 12 ।

28 । এ ব্যাপারে বিস্তারিত পড়ূন :Theology Of Al- Shaikh Al-Mufied (উ. 413/1022)

29 । আল্ আসফার ,খণ্ড- 7 ,পৃঃ 68।