পবিত্র কুরআনের দৃষ্টিতে মানুষ-(৩য় পর্ব)
- প্রকাশিত হয়েছে
-
- লেখক:
- মোহাম্মাদ জাওয়াদ রুদগার
- সূত্র:
- প্রত্যাশা’, ১ম বর্ষ ৩য় সংখ্যা
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
দাসত্ব ও আনুগত্য
কুরআনের দৃষ্টিতে সে-ই হল প্রকৃত মানুষ যে স্রষ্টাকে চিনেছে, স্রষ্টা সম্পর্কিত জ্ঞান অর্জন ও ইসলামী শিক্ষায় প্রশিক্ষিত হওয়ার কারণে সম্পূর্ণরূপে আল্লাহর দাসত্বকে মেনে নিয়েছে এবং তাঁর নবী (সা.) ও মনোনীত ওয়ালীদের (স্থলাভিষিক্ত প্রতিনিধি) আনুগত্যকে নিজের জন্য অপরিহার্য জ্ঞান করেছে। আল্লাহর নিকট পূর্ণ আত্মসমর্পণ সম্পর্কে পবিত্র কুরআন বলছে :
« يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا ادْخُلُوا فِي السِّلْمِ كَافَّةً »
‘হে ঈমানদার ব্যক্তিগণ! তোমরা সকলেই পূর্ণরূপে আত্মসমর্পণের আওতায় প্রবেশ কর...।’১
এ আত্মসমর্পণের দাবি হল মানুষ বুদ্ধিবৃত্তিক ও চিন্তাগত, আন্তরিক ও অভ্যন্তরীণ সর্বোপরি সমগ্র অস্তিত্ব নিয়ে আল্লাহর নিকট আত্মসমর্পণ করবে। কুরআনের দৃষ্টিতে সে-ই হল মুসলমান যে আল্লাহর নির্দেশের সম্পূর্ণ অনুগত। সে ধর্মীয় মূল্যবোধ, বিধানসমূহ ও ঐশী সীমারেখার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এ কারণে শরীয়ত তার ওপর যে দায়িত্ব অর্পণ করেছে সে তা যথাযথভাবে পালন করে। দাসত্বের অর্থও হল মানুষ তার উপাস্যের প্রতি সম্পূর্ণ সমর্পিত থাকবে এবং কখনই নিজেকে তাঁর থেকে অমুখাপেক্ষী জ্ঞান করবে না ও দায়িত্বমুক্ত মনে করবে না; বরং সে তার পূর্ণতার পথে যতই অগ্রসর হবে ততই ঐশী বিধি-বিধানের বোঝা তার ওপর ভারী হতে থাকে এবং আরও অধিক দায়িত্ব তার ওপর অর্পিত হতে থাকে।(যেমনভাবে ফরজ-ওয়াজিবের পাশাপাশি মুস্তাহাব ও নফল ইবাদাতসমূহ পালন তার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়, তেমনিভাবে হারাম ছাড়াও মাকরূহ ও এমন কাজ যা মাকরূহ না হলেও তার মর্যাদার পরিপন্থী ও উৎকর্ষের গতিকে স্তিমিত বা মন্থর করে তা পরিহার করাও তার জন্য আবশ্যক হয়ে পড়ে।) আমরা মহানবী (সা.) ও তাঁর বংশের পবিত্র ইমামদের জীবনে আনুগত্যের এ উচ্চতর পর্যায়ের প্রকৃত নমুনা লক্ষ্য করি। তাঁদের বয়ঃবৃদ্ধির সাথে সাথে শরীয়তের বিধি-বিধানের প্রতি আনুগত্যের বিষয়টি উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হয়েছে। মহানবী (সা.)-এর শেষ জীবনে দায়িত্ব যতই বাড়ছিল তাঁর ইবাদাতের প্রতি অনুরাগ আরও বৃদ্ধি পাচ্ছিল। স্বয়ং আল্লাহ্ই তাঁকে এ নির্দেশ দিয়েছেন। যেমন :
« فَإِذَا فَرَغْتَ فَانْصَبْ وَإِلَى رَبِّكَ فَارْغَبْ »
‘অতএব, যখনই অবসর পাও তখনই কঠোর সাধনায় রত হও।’২
« فَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ وَاسْتَغْفِرْهُ إِنَّهُ كَانَ تَوَّابًا »
‘সুতরাং তুমি তোমার প্রতিপালকের প্রশংসাসহ পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর এবং তাঁর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর।’৩
যদিও রাসূল (সা.) ভুল-ত্রুটিমুক্ত ছিলেন, তদুপরি ঐশী পূর্ণতা ও স্রষ্টার অধিকতর নৈকট্য লাভের জন্য তাঁর ওপর ইবাদাতের ক্ষেত্রে কঠোর সাধনার নির্দেশ আরও তীব্র হয়েছিল। পূর্ণতার পথে তিনি দাসত্বের দায়িত্ব থেকে কখনই অব্যাহতি পাননি; বরং তাঁর ওপর এ দায়িত্ব কঠিনতর হয়েছে। তাই কুরআনের আলোকে মানুষের পূর্ণতার সঙ্গে দাসত্বের অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক রয়েছে। হযরত আলী (আ.) ইসলামের সংজ্ঞায় বলেছেন : ইসলাম হল আত্মসমর্পণ। কিন্তু এ আত্মসমর্পণের নিম্নতম পর্যায়- ইসলাম গ্রহণ ও আনুগত্যের মৌখিক স্বীকৃতি- বল, আমরা ইসলাম গ্রহণ করেছি।কেননা, এখনও ঈমান তোমাদের অন্তরে প্রবেশ করেনি’৪ - যেমন রয়েছে, তেমনি সর্বোচ্চ পর্যায়ও- তোমরা মুসলমান না হয়ে (পূর্ণ আত্মসমর্পণকারী না হয়ে) মৃত্যুবরণ কর না’- রয়েছে।৫ এ আয়াতগুলো নিঃসন্দেহে ইসলাম গ্রহণ, মুসলমান হওয়া, মুসলমান থাকা এবং মুসলমান অবস্থায় মৃত্যুবরণ করা-ইসলামের এ বিভিন্ন অবস্থা ও পর্যায়ের প্রতি ইঙ্গিত করছে। সুতরাং ইসলাম গ্রহণ সহজ হলেও প্রকৃত মুসলমানের ন্যায় জীবনযাপন করা ও এ অবস্থায়ই মৃত্যুবরণ করা সহজ নয়। কারণ, এর জন্য বিধি-বিধানের অনুগত থাকতে হয়, প্রবৃত্তির প্ররোচনা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে হয়, মানুষ ও জিন শয়তানদের প্রতারণা ও ষড়যন্ত্রকে মোকাবিলা করতে হয়। তাই একজন মুসলমানকে সবসময় সচেতন থাকতে হয়। কুরআন সতর্কবাণী উচ্চারণ করে বলছে, নিশ্চয় শয়তান তোমাদের শত্রু। সুতরাং তাকে তোমরা শত্রু হিসাবে গ্রহণ কর,৬ এবং শয়তান যেন তোমাদের (সঠিক পথ থেকে) নিবৃত্ত না রাখে। নিশ্চয় সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।’৭ তাই কুরআনের আলোয় আলোকিত মানুষ শত্রু-সচেতন ও তার ষড়যন্ত্রের মোকাবিলায় আল্লাহর আশ্রয় গ্রহণ করে। কুরআনের ভাষায়-
« وَإِمَّا يَنْزَغَنَّكَ مِنَ الشَّيْطَانِ نَزْغٌ فَاسْتَعِذْ بِاللَّهِ إِنَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ إِنَّ الَّذِينَ اتَّقَوْا إِذَا مَسَّهُمْ طَائِفٌ مِنَ الشَّيْطَانِ تَذَكَّرُوا فَإِذَا هُمْ مُبْصِرُونَ »
‘এবং যদি শয়তানের পক্ষ থেকে কোন প্ররোচনা তোমাকে স্পর্শ করে তাহলে তুমি আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা কর, নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা সর্বজ্ঞানী। নিশ্চয় যারা সাবধানতা অবলম্বন করে (ও আত্মসংযমী হয়), যখন শয়তানের পক্ষ হতে কোন কুমন্ত্রণা তাদের আক্রান্ত করে, তখন তারা (আল্লাহকে) স্মরণ করে এ অবস্থায় যে, তারা অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন হয়।’৮
সুতরাং ঐশী পথের যাত্রী এ মানুষ জানে শয়তান তাকে সঠিক-সরল পথ থেকে বিচ্যুত করে৯ তার চিন্তা ও কর্মের ওপর পূর্ণ আধিপত্য স্থাপন করার জন্য সবসময় ওঁৎ পেতে রয়েছে।১০ এভাবে সে মানুষকে নিজের দাসে পরিণত করতে চায়। তাই আত্মসমর্পিত মানুষ তার যাত্রাপথে যে কঠিন বিরোধিতা ও কষ্টসাধ্য প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয় তা অতিক্রমের লক্ষ্যে আল্লাহর দাসত্বের কঠোর সাধনায় রত হয় যাতে এভাবে তাঁর অভিভাবকত্বের ছায়ায় তাঁর রঙে রঞ্জিত হতে পারে। পবিত্র কুরআনের ভাষায় আল্লাহর রঙ (গ্রহণ কর), আল্লাহর থেকে উত্তম রঙ কার রয়েছে? এবং আমরা তাঁরই ইবাদাতকারী।’১১ যখন মানুষ ঐশী রঙ ধারণ করে তখন আল্লাহর সর্বময় কর্তৃত্বকে অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে লক্ষ্য করে।
কুরআনের আদর্শ মানুষ আল্লাহর আনুগত্যের অনুগামী হিসাবে তাঁর রাসূল ও মনোনীত নির্দেশদাতাদের (উলিল আমর) আনুগত্য করে। কারণ, আল্লাহর অভিভাবকত্বকে মানা তাঁর রাসূল ও মনোনীত ব্যক্তিদের মানার মধ্যেই নিহিত। এ নির্দেশ স্বয়ং আল্লাহ্ই দিয়েছেন। তিনি বলেন : হে ঈমানদার ব্যক্তিগণ! তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর এবং আনুগত্য কর রাসূলের এবং তাদের যারা তোমাদের মধ্যে আদেশ দেওয়ার অধিকার রাখে(উলিল আমর)।’১২ অন্যত্র তিনি বলেছেন :‘তোমাদের অভিভাবক কেবল আল্লাহ্, তাঁর রাসূল এবং সেসব বিশ্বাসী ব্যক্তি যারা নামায প্রতিষ্ঠা করে এবং রুকু অবস্থায় যাকাত দেয়।’১৩
এ আয়াতেও আল্লাহ্ নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের ব্যক্তিদের অভিভাবক বলে চিহ্নিত করেছেন। সুতরাং তাঁদের আনুগত্য আল্লাহরই আনুগত্যের শামিল। আর আল্লাহর দাসত্বের দাবি হল এ ব্যক্তিবর্গকে অভিভাবক ও নেতা হিসাবে গ্রহণ ও তাঁদের নির্দেশ পালন।
সার্বিক পবিত্রতা
কুরআনের আলোয় উদ্ভাসিত মানুষ ওহীর (ঐশী প্রত্যাদেশের) পবিত্র ঝরনায় তার দেহ ও মনকে ধৌত ও সুবাসিত করে। তাই তার বিশ্বাস, কর্ম ও চরিত্র সকল বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ কলুষ থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত। হযরত আলী (আ.)-এর ভাষায় : মানুষের মর্যাদা তার পবিত্রতার মধ্যে নিহিত এবং মানুষের সৌন্দর্য হল তার পৌরুষত্বে। এ ধরনের পবিত্রতা তার পূর্ণতা ও ঐশী নৈকট্যের কারণ বলে বিবেচিত হয় যা মানুষ ও বিশ্বের অভ্যন্তরে বিদ্যমান রহস্য উদ্ঘাটনে তাকে সাহায্য করে।’
রাসূল (সা.) বলেছেন : যদি আদম সন্তানদের হৃদয়ের চতুর্দিকে শয়তান পরিভ্রমণ না করত (অর্থাৎ সে আত্মিক পবিত্রতা অর্জন করত) তবে অবশ্যই সে বিশ্বমণ্ডলের পরিচালনা ব্যবস্থা প্রত্যক্ষ করত।’
কুরআনের আলোয় আলোকিত মানুষ পবিত্র চিন্তা ও কর্মের গণ্ডিতে প্রবেশের মাধ্যমে বিকশিত হয়ে নিজেই প্রশান্তি, সুগন্ধ ও নেয়ামতপূর্ণ বাগিচায় পরিণত হয়েছে। পবিত্র কুরআন তাদের সম্পর্কে বলছে : যদি সে (আল্লাহর) নৈকট্যপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হয় তবে (যেন) সে প্রশান্তিকর, সুবাসিত ও নেয়ামতপূর্ণ উদ্যান।’১৪ মহানবী (সা.) বলেছেন : নিরবচ্ছিন্ন পবিত্রতা তোমাদের জন্য অবিরাম জীবিকার নিশ্চয়তা বয়ে আনে।’১৫
এ হাদিসে পবিত্রতা বলতে বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ উভয় ধরনের পবিত্রতার কথা বলা হয়েছে এবং জীবিকার বিষয়টিও বস্তুগত ও অবস্তুগত উভয় প্রকারকে শামিল করে।
ইরফানী (আধ্যাত্মিক) পরিভাষায়, এ পবিত্রতা ক্ষুদ্র পবিত্রতা (বাহ্যিক ও দৈহিক পবিত্রতা), মধ্যবর্তী পবিত্রতা (মন্দ প্রবৃত্তি ও অনৈতিক বিষয়সমূহ থেকে মুক্ত থাকা) এবং বৃহৎ পবিত্রতা (আল্লাহ্ ব্যতীত সকল কিছুর স্মরণ থেকে বিস্মৃত হয়ে তাঁর প্রতি মনোনিবেশ- যাকে একান্তভাবে আল্লাহর প্রতি মনোযোগী হওয়ার ব্যাপারে সকল প্রকার উদাসীনতা হতে পবিত্রতা বলা যায়) অর্থাৎ তিন শ্রেণীর পবিত্রতাকেই অন্তর্ভুক্ত করে। পবিত্রতার সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছতে যেমনভাবে অজ্ঞতা, স্থবিরতা, গোঁড়ামি, কুসংস্কার, বিকৃতি, বিচ্যুতি, পশ্চাদগামিতাসহ সকল প্রকার জ্ঞানগত ও চিন্তাগত ত্রুটি থেকে মুক্ত হওয়া বাঞ্ছনীয়, তেমনি হিংসা, বিদ্বেষ, কৃপণতা, শত্রুতা, লোক দেখানো সৎকর্ম, কপটতাসহ অনৈতিক সকল ব্যাধি থেকেও আরোগ্য লাভ অপরিহার্য। এমনকি তাকে আল্লাহর সার্বক্ষণিক স্মরণের মাধ্যমে তাঁর থেকে মুহূর্তের জন্যও অমনোযোগী না হওয়ার উচ্চতম পবিত্রতাও অর্জন করতে হবে।
সুতরাং যে ব্যক্তি জ্ঞানগত, চরিত্রগত এবং সর্বোচ্চ পর্যায়ের পবিত্রতা অর্জন করে তার সামনে থেকে সকল পর্দা উন্মোচিত হয়ে যায়। বিশেষ করে যখন আমিত্বের পর্দা বান্দার সামনে থেকে উন্মোচিত হয় তখন তার ও স্রষ্টার মধ্যে নৈকট্যের ক্ষেত্রে কোন ব্যবধান থাকে না। ইমাম বাকির (আ.) ও ইমাম কাযিম (আ.)-এর নিকট থেকে বর্ণিত হয়েছে : মহান ও পবিত্র সত্তা আল্লাহ্ ও তাঁর সৃষ্টির মধ্যে স্বয়ং সৃষ্টি (বান্দার আত্মপ্রেম ও স্বার্থপরতা) ছাড়া কোন পর্দা নেই।’১৬
হযরত আলী (আ.) বলেছেন : তোমরা তোমাদের আত্মাকে কামনা-বাসনার পঙ্কিলতা থেকে পবিত্র কর, তাহলেই তোমরা উচ্চ মর্যাদা লাভ করতে পারবে।’
কুরআনের কাংখিত মানুষ আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য সব দর্শনের অপবিত্রতা হতে মুক্ত। আয়াতুল্লাহ্ জাওয়াদী আমুলী এ সম্পর্কে বলেন, পবিত্রতার প্রকারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কোন দর্শন থেকে আত্মার পবিত্রতা।’
কুরআনের শিক্ষায় প্রশিক্ষিত মানুষ তার সমগ্র জীবনে এ পবিত্রতা ধরে রাখতে সচেষ্ট থাকে। সে তার পরিশুদ্ধ হৃদয়, আলোকিত বুদ্ধিবৃত্তি ও পবিত্র সহজাত তাওহীদী সত্তাকে-যা ঐশী আমানত বলে গণ্য- সকল প্রকার কলুষ ও কালিমা থেকে মুক্ত রাখে। সে যেভাবে পবিত্র ও নিষ্পাপ অবস্থায় দুনিয়াতে এসেছিল ঠিক সেরূপ পবিত্র ও নিষ্পাপভাবেই দুনিয়া থেকে পরবর্তী জগতে প্রবেশ করে।#অনুবাদ : এ.কে.এম. আনোয়ারুল কবীর
(চলবে)
তথ্যসূত্র
১. সূরা বাকারা : ২০৮
২. সূরা আল ইনশিরাহ : ৭-৮
৩. সূরা আন নাসর : ৩
৪. সূরা হুজুরাত : ১৪
৫. সূরা আলে ইমরান : ১০২
৬. সূরা ফাতির : ৬
৭. সূরা যুখরুফ : ৬২
৮. সূরা আরাফ : ২০০-২০১
৯. সূরা মুজাদালা : ১৯
১০. সূরা আরাফ : ১৬
১১. সূরা বাকারা : ১৩৮
১২. সূরা নিসা : ৫৯
১৩. সূরা মায়েদা : ৫৫
১৪. সূরা ওয়াকিয়া : ৮৮-৮৯
১৫. বিহারুল আনওয়ার, আল্লামা মাজলিসী, ১০৫তম খ-, পৃ. ১৬
১৬. বিহারুল আনওয়ার, ৩য় খ-, পৃ. ৩২৭, হাদীস নং ২৭