ধর্ম এবং মাযহাব
পবিত্র কোরআনের সঙ্গে আহলে বাইতের সম্পর্ক
- প্রকাশিত হয়েছে
-
- লেখক:
- মো. ফয়সাল বারী
- সূত্র:
- রাযীন, ১ম বর্ষ, সংখ্যা ১
পবিত্র কোরআন, হাদীস এবং বিভিন্ন ইসলামী গ্রন্থে কাদেরকে আহলে বাইত বলে চিহ্নিত করা হয়েছে? এবং কোরআনের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক কি? আদি কাল থেকেই এ বিষয়টা নিয়ে মুফাসসিরগণ ও কালাম শাস্ত্রবিদগণ বিভিন্ন ধরনের আলোচনা ও পর্যালোচনা করে আসছেন। এ ব্যাপারে অনেক গ্রন্থও রচিত হয়েছে। এই লেখনিগুলো থেকে পরিস্কারভাবে বোঝা যায় যে, প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) এর পরিবারের কিছুসংখ্যক সদস্যকে আহলে বাইত বলা হয়েছে।
সর্বশেষ ধর্মীয় ঐক্য (শেষ পর্ব)
- প্রকাশিত হয়েছে
আমরা দেখতে পাই যে,ঐশ্বরিক রিসালত ও ধর্মসমূহ এবং এগুলোর মধ্যে সর্বশেষ ধর্ম ও রিসালত বিধি-বিধান ও আইন প্রণয়নের ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। তবে সর্বশেষ রিসালতের (ইসলাম ধর্ম) ক্ষেত্রে এ গুরুত্ব ও মনোযোগ সবচেয়ে ব্যাপক ও সবচেয়ে স্পষ্ট। আর এটি নিঃসন্দেহে সমগ্র মানব জাতির ঐক্য বাস্তবায়ন এবং এ পর্যায়ে মূল্যবোধসমূহের পদদলিত ও লঙ্ঘিত (হওয়া) এবং এগুলো ব্যাখ্যা করার ক্ষেত্রে মতভেদ ও পার্থক্য সৃষ্টি হওয়ার কারণে মানব সমাজ যে মতবিরোধ ও অনৈক্যের শিকার হয়েছে তা প্রতিকার ও নিরসন করার জন্যই। মানুষের সমুদয় কর্মকাণ্ড,প্রকৃতিজগৎ ও স্বজাতির সাথে তার সকল সম্পর্ক নিয়মিত ও সুশৃঙ্খলকারী শরীয়তসহ ঐশী প্রত্যাদেশ অবতীর্ণ হয়েছে। ঠিক তদ্রূপ মানুষের কর্মকাণ্ড ও অগ্রগতির পথে যে সব সমস্যা ও মতভেদ,অনৈক্য ও বিরোধের উদ্ভব হয় সেগুলোও এ শরীয়ত সমাধান করে দেয়।
সর্বশেষ ধর্মীয় ঐক্য -১ম পর্ব
- প্রকাশিত হয়েছে
-
- লেখক:
- শহীদ আয়াতুল্লাহ্ সাইয়্যেদ মুহাম্মদ বাকির আল হাকীম
সর্বশেষ ঐশ্বরিক রিসালত কতগুলো প্রধান মৌল বিষয় ও ভিত্তির ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেছে। যাতে করে মানব সমাজ এক অবিভক্ত সমাজে পুনঃরূপান্তরিত হতে পারে সেজন্য পবিত্র ইসলাম ধর্ম এ সব মৌল বিষয় ও ভিত্তির মাধ্যমে মানব সমাজে বিদ্যমান অনৈক্য ও বিভেদের সুষ্ঠু সমাধান ও প্রতিকার বিধান করার চেষ্টা চালিয়েছে। তাই এ সব ভিত্তি ও মূলনীতিকে নিম্নোক্ত পাঁচটি উপাদান ও মৌলে বিভক্ত করা যায়।
নবী পরিবারের প্রতি ভালোবাসা ঈমানের অঙ্গ
- প্রকাশিত হয়েছে
আহলে বাইত বা নবী পরিবারের প্রতি ভালোবাসা ইসলামের অন্যতম কার্যাবলীরই একটি। যুব সম্প্রদায় এবং ইমামদের মধ্যে আবেগপূর্ণ সম্পর্ক তাদেরকে (যুবকদেরকে) যে কোন ভুলত্রুটি অথবা ক্ষতিকর ব্যাপার থেকে রক্ষা করে থাকে। তাছাড়া আহলে বাইতের কর্মপন্থা অনুসরণ করে তারা জীবনের সঠিক পথ পেতে পারে। কুরআনে করীমেও আহলে বাইত কর্তৃক জনগণকে পথপ্রদর্শন এবং পরিচালনার বিষয়টিকে তাদের ভালোবাসা এবং বন্ধুত্বের প্রকাশ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
পৃথিবীতে শান্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাই ইসলামের লক্ষ্য
- প্রকাশিত হয়েছে
আদিকাল থেকেই মানব সমাজে ‘ন্যায়বিচার’ প্রসঙ্গ আলোচিত হয়ে এসেছে। সৃষ্টিলগ্ন থেকে মানুষকে আল্লাহ যে স্বাধীনতা (সীমিত আকারে) দিয়ে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন তার সাথে ন্যায়বিচারের প্রসঙ্গ সরাসরি জড়িত। মানুষ জীবনে চলার পথে স্বেচ্ছায় ও স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। জুলুম-অত্যাচার কিংবা শান্তি ও ন্যায়পরায়ণতা এ দু’পথের কোন্ পথে সে অগ্রসর হবে তা সে নিজেই নির্বাচন করে। অন্যথায় দায়িত্ব-কর্তব্য,হিসাব-নিকাশ এবং পরিণতিতে শাস্তি ও পুরস্কার (দোযখ ও বেহেশত) এ সব কিছুই অর্থহীন হয়ে পড়ে। পবিত্র কোরআনের ভাষায় “আমি তাকে পথ প্রদর্শন করেছি,হয় সে কৃতজ্ঞ হবে না হয় অকৃতজ্ঞ হবে
ইসলামী সন্ত্রাস : বাস্তবতা না কল্পকথা?
- প্রকাশিত হয়েছে
পবিত্র কুরআন ও হাদীসে সন্ত্রাস নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও তালেবান ও আলকায়দার মতো দলগুলো মুসলিম বিশ্বে আত্মঘাতি হামলা চালিয়ে বা বোমা হামলা চালিয়ে নিরপরাধ ও বেসামরিক মুসলমানদের হত্যা করছে। আর এসব কাজে কুরআন ও হাদীসের সমর্থন রয়েছে বলে দাবি করেছে। আসলে এটা সঠিক বাক্যকে ভুল কাজে ব্যবহারের দৃষ্টান্তের মতো।
খলিফাতুর রাসূলের প্রয়োজনীয়তা ও তার নিয়োগ প্রণালী
- প্রকাশিত হয়েছে
যেহেতু রাসূল (সঃ) দ্বীনের কোন বিষয় অসম্পূর্ণ রেখে যাননি। সেহেতু তাঁর অবর্তমানে তাঁর প্রাণপ্রিয় ইসলামের এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় (খলিফাতুর রাসূল) অসম্পূর্ণ বা অমীমাংসিত রেখে যেতে পারেন না,এটাই সর্বসম্মত মত। হয়ত তিনি এমন কর্মপন্থা প্রস্তাব করে গেছেন যা কার্যকর হলে অন্যদের হস্তক্ষেপ থেকে দ্বীন নিরাপদ থাকত। এখন প্রশ্ন হলো সেই কর্মপন্থাটি কী?
ইসলাম- সহনশীলতার ধর্ম
- প্রকাশিত হয়েছে
যে বৈশিষ্ট্যটি ইসলামের উদারতার পরিচয় বহন করে তা হল এ ধর্ম যখন কাউকে এর প্রতি আহবান জানায় তখন তাকে এটা গ্রহণ করতে বাধ্য করে না। পবিত্র কুরআন এ বিষয়ে সুস্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছে যে,ধর্মের (গ্রহণের) বিষয়ে কোন জবরদস্তি নেই
রাসূলুল্লাহ্ (ছ্বাঃ)-এর স্থলাভিষিক্ততা প্রসঙ্গে
- প্রকাশিত হয়েছে
ইসলামের মৌলিক উপস্থাপনাগুলোকে অর্থাৎ তাওহীদ, আখেরাত, নবুওয়াতের প্রয়োজনীয়তা এবং নবুওয়াতে মুহাম্মাদী (ছ্বাঃ), খাতমে নেবুওয়াত ও কোরআন মজীদের সত্যতাকে বিচারবুদ্ধি (‘আক্বল্)-এর সাহায্যে নতুন করে বুঝতে হবে ঠিক যেভাবে একজন অমুসলিম বিচারবুদ্ধির সাহায্যে বুঝে এগুলোর ওপর ঈমান আনে।
বর্তমান সময়ে ধর্মভিত্তিক নৈতিকতার অপরিহার্যতা
- প্রকাশিত হয়েছে
-
- লেখক:
- এ.কে.এম. আনোয়ারুল কবীর
ধর্ম নৈতিকতার ভিত্তি হওয়ার মাধ্যমে নৈতিকতাকে নিশ্চিত করে। যদি নৈতিকতাকে পূর্ণরূপে বাস্তবায়িত করতে হয়,তবে ধর্মের ভিত্তিতে ও তার সমর্থনে তা হতে হবে। এ বিষয়টি নিশ্চিত যে,ধর্ম অন্ততপক্ষে নৈতিকতার পৃষ্ঠপোষক হিসাবে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে। কারণ,প্রথমত ইতিহাস ও অভিজ্ঞতা সাক্ষ্য দান করে যে,যেখানেই নৈতিকতা থেকে ধর্ম বিচ্ছিন্ন হয়েছে এবং ধর্ম দুর্বল হয়ে পড়েছে সেখানেই স্বয়ং নৈতিকতা দুর্বল হয়েছে ও পিছিয়ে পড়েছে। দ্বিতীয়ত ধর্ম দুর্ভেদ্য নৈতিক শৃঙ্খলা সৃষ্টি ও শক্তিশালী নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করতে সক্ষম। তৃতীয়ত যে সকল চিন্তাবিদ নৈতিকতার বিষয় নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করেন তাঁরা এ বিষয়টি স্বীকার করেছেন যে,ধর্ম নৈতিকতার সর্বোত্তম পৃষ্ঠপোষক।
শিয়া ও সুন্নীদের মধ্যে পার্থক্য
- প্রকাশিত হয়েছে
-
- লেখক:
- নূর হোসেন মজিদী
শিয়া-সুন্নী বিতর্ক অনেক পুরনো, শিয়া-বিরোধীরা শিয়া সম্পর্কে যে ধারণা পোষণ করছেন তা শিয়াদের মৌলিক গ্রন্থাবলীর ওপর ভিত্তিশীল নয়, বরং অতীতের শিয়া-বিরোধী লোকদের লেখার ওপর ভিত্তিশীল যা বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই বিদ্বেষপ্রসূত। এখানে এ প্রসঙ্গে নিরপেক্ষভাবে কতগুলো মৌলিক তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।
পবিত্র কুরআনের দৃষ্টিতে ‘উলুল আমর’
- প্রকাশিত হয়েছে
-
- লেখক:
- হুজ্জাতুল ইসলাম এ. কে. এম. আনোয়ারুল কবীর
নবী (সা.)-এর আনুগত্য করা যেমন সকল মুমিনের জন্য ফরজ তেমনি উলিল আমরের আনুগত্য করা সকল মুমিনের জন্য ফরজ। এমন হওয়া অসম্ভব যে, উলিল আমরের কোন সদস্যের আনুগত্য নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তির ওপর আবশ্যক হবে ও অন্যদের ওপর অনাবশ্যক হবে। কারণ, আয়াতে বর্ণিত উলিল আমরের আনুগত্যকে আল্লাহ সকল মুমিনের ওপর ফরজ করেছেন।
ওযূতে পা মাসেহ্ নাকি ধৌত করতে হবে?
- প্রকাশিত হয়েছে
-
- লেখক:
- নুর হোসেন মজিদী
ওযূ, নামায, রোযা ইত্যাদি ‘ইবাদত মূলক কাজসমূহের প্রকৃতি হচ্ছে স্রেফ্ আল্লাহ্ তা‘আলার আনুগত্যের নিদর্শন; এগুলোতে বস্তুজাগতিক কোনো কল্যাণ যদি নিহিত থাকেও তথাপি বস্তুজাগতিক কল্যাণের উদ্দেশ্যে এগুলোর নির্দেশ দেয়া হয় নি। সুতরাং ওযূর পিছনে শারীরিক পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যগত কল্যাণের উদ্দেশ্য সন্ধান করা কোনোভাবেই ঠিক নয়।
ইসলাম জ্ঞানগত ও বুদ্ধিবৃত্তিক ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
- প্রকাশিত হয়েছে
ইসলাম জ্ঞানগত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। ইসলামের মৌলিক বিশ্বাসগুলোসহ অন্য শাখা-প্রশাখামূলক বিধি-বিধানও দলিল-প্রমাণ সহকারে বর্ণিত হয়েছে; এমন কি যারা আল্লাহর ওপর বিশ্বাস স্থাপন করতে অস্বীকার করে তাদেরকেও কোরআন সপক্ষের যুক্তি-প্রমাণ উপস্থাপনের আহ্বান জানায়। তাই ক্রমাগতভাবে বলা হয়েছে, “বল, যদি তোমরা সত্যবাদী হও তবে প্রমাণ পেশ কর।”
ইসলামের দৃষ্টিতে মানুষ
- প্রকাশিত হয়েছে
-
- লেখক:
- আয়াতুল্লাহ জাফর সুবহানী অনুবাদঃ মোঃ মাঈন উদ্দীন
মানুষ হলো দেহ ও আত্মার সমন্বয়ে গঠিত অস্তিত্বঃ মৃত্যুর পর যার দেহ বিন্বনষ্ট হয়। কিন্তু আত্মা জীবনপথে অগ্রসর হয়। সে কেয়ামত সংঘটিত হওয়া পর্যন্ত বারযাখের জীবন অতিবাহিত করবে। কোরআন মাজীদ মানব সৃষ্টির বর্ণনা করতে গিয়ে শেষ পর্যায়কে মানুষের দেহে রূহ ফুঁকে দেয়ার পর্যায় বলে উল্লেখ করেছে
মানুষের ঐশী প্রতিনিধিত্ব-শেষ অংশ
- প্রকাশিত হয়েছে
-
- লেখক:
- সাইয়্যেদ আকবার সাইয়্যেদীনিয়া অনুবাদ : এ.কে.এম. আনোয়ারুল কবীর
- সূত্র:
- প্রত্যাশা’, ১ম বর্ষ ৪র্থ সংখ্যা
খলিফা বা প্রতিনিধি হল সেই ব্যক্তি যে প্রতিনিধি নিয়োগকারীর স্থলাভিষিক্ত হয়। কখনও প্রতিনিধিত্বের বিষয়টি সময়গত। অর্থাৎ সময়ের দৃষ্টিতে প্রতিনিধিত্ব লাভকারীব্যক্তি প্রতিনিধি নিয়োগকারীর পরে আসে এবং কখনও প্রতিনিধিত্বের বিষয়টি পর্যায় বা মর্যাদাগত। প্রথম ক্ষেত্রে মর্যাদার দিক থেকে প্রতিনিধি নিয়োগকারী প্রতিনিধির ওপর শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী হওয়া অপরিহার্য নয়। খলিফা বা প্রতিনিধি যার স্থলাভিষিক্ত হয়েছে তার থেকে শ্রেষ্ঠ হতে পারে,আবার নিম্নতরও হতে পারে। এক্ষেত্রে বিষয়টি রহিত ও রহিতকারী বিধানের ন্যায়,যে ক্ষেত্রে রহিতকারী বিধান রহিত বিধান অপেক্ষা শক্তিশালী। কিন্তু কখনও প্রতিনিধিত্বের এ বিষয়টি অস্তিত্বের ক্রম ও মর্যাদার দৃষ্টিতেবিবেচিত হয়। এ দৃষ্টিতে প্রতিনিধি নিয়োগকারী অবশ্যই প্রতিনিধি থেকে শ্রেষ্ঠ এবংপ্রতিনিধি তার শ্রেষ্ঠত্বের বিষয়টি নিয়োগদাতার মনোনয়নের কারণে লাভ করে। তার বৈধতা,ক্ষমতা ও শ্রেষ্ঠত্ব নিয়োগদাতার অনুগ্রহ ও সমর্থনের ওপর নির্ভরশীল এবং তার অনুগ্রহ ব্যতীত প্রতিনিধির কোন ক্ষমতা ও বৈধতা নেই। সুতরাং প্রতিনিধি অস্তিত্বগতভাবে মর্যাদায় তার নিয়োগকারী হতে নিম্ন পর্যায়ে। এরূপ ক্ষেত্রে প্রতিনিধি কখনও নিজেকে শ্রেষ্ঠ বা নিয়োগকারীর সমপর্যায়ে গণ্য করতে পারে না। এরূপ করলে সে তার বৈধতা হারাবে। এ কারণেই ঐশী প্রতিনিধি ও নবিগণ কখনও নিজেকে আল্লাহর সমকক্ষ ও সমমর্যাদা দানের মত অংশীবাদী চিন্তা করতে পারেননা। তেমনি কোন নবীর ওয়াসি ও প্রতিনিধি ঐ নবীর ওপর শ্রেষ্ঠত্বের দাবি করতেপারেন না
মানুষের ঐশী প্রতিনিধিত্ব-২য় অংশ
- প্রকাশিত হয়েছে
-
- লেখক:
- সাইয়্যেদ আকবার সাইয়্যেদীনিয়া। অনুবাদ : এ.কে.এম. আনোয়ারুল কবীর
- সূত্র:
- প্রত্যাশা,১ম বর্ষ,৩য় সংখ্যা
মানুষের ঐশী খেলাফত বা প্রতিনিধিত্বের মূল ভিত্তি হল আল্লাহর পূর্ণতম নামসমূহ সম্পর্কে তার জ্ঞান ও সেগুলোর প্রকাশস্থল হওয়া। যেহেতু মহান আল্লাহ অসীম এবং তাঁর সকল বৈশিষ্ট্যই অসীম সেহেতু মানুষের এ প্রতিনিধিত্ব লাভ সৃষ্টিজগতে আল্লাহর ক্ষমতা ও অস্তিত্বগত সীমাবদ্ধতার কারণে নয়;বরং যে অস্তিত্ব জগতের ওপর ঐশী মানবের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে আল্লাহর অনুগ্রহ ধারণের ক্ষেত্রে সেটির (অস্তিত্বজগতের) অক্ষমতা ও সীমাবদ্ধতাই এ ঐশী মানবের প্রতিনিধিত্বের কারণ। প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ্ সকল কিছুকে বেষ্টন করে আছেন এবং নিরঙ্কুশভাবে প্রকাশিত।
মানুষের ঐশী প্রতিনিধিত্ব- প্রথম অংশ
- প্রকাশিত হয়েছে
-
- লেখক:
- সাইয়্যেদ আকবার সাইয়্যেদীনিয়া । অনুবাদ : এ.কে.এম. আনোয়ারুল কবীর
- সূত্র:
- প্রত্যাশা, ১ম বর্ষ, ২য় সংখ্যা
মানুষের মর্যাদার একটি মূল্যবান দিক হল সে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে সর্বজনীন প্রতিনিধিত্ব লাভ করেছে। হযরত আদম (আ.) সকল মানবীয় মর্যাদার অধিকারী হিসাবে এক্ষেত্রে ফেরেশতাদের সামনে উপস্থাপিত হয়েছেন। মানুষকে এ প্রতিনিধিত্বের জন্য মনোনয়নের পেছনে যুক্তি হিসাবে মহান আল্লাহর (পবিত্র) নামসমূহ সম্পর্কে তাঁর অবগতির বিষয়টি পবিত্র কুরআনে উল্লিখিত হয়েছে। ইসলামী জ্ঞানের উৎসসমূহে আল্লাহর নামসমূহ বলতে অদৃশ্য জগৎ ও তার রহস্যময় ভাণ্ডারই উদ্দেশ্য। মানুষের এ ঐশী প্রতিনিধিত্ব পৃথিবীতে সীমাবদ্ধ নয়;বরং সে পৃথিবী ও আকাশমণ্ডলী সর্বত্রই আল্লাহর খলিফা বা প্রতিনিধি হিসাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত। প্রতিনিধিত্বের দৃষ্টিতে তার মধ্যে উপাস্য (ইলাহ্) হওয়া ও নিরঙ্কুশ শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার হওয়া ব্যতীত স্রষ্টার সকল গুণবাচক বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
হারাম খাদ্যের প্রভাব
- প্রকাশিত হয়েছে
ইবাদত কবুল হওয়ার জন্য রিজিক হালাল হওয়া খুবই জরুরি। হালাল রিজিকের প্রভাব শুধু নিজের দুনিয়া ও আখিরাতের সৌভাগ্যের জন্যই যে জরুরি তা নয়, নিজের সন্তানের ওপরও এর প্রভাব থাকে। রুজি-রোজগারের মধ্যে খুব সামান্য ও এমনকি বিন্দু পরিমাণ হারাম এবং সুদের প্রভাব সন্তানের মধ্যে প্রকাশ পায়
জ্ঞানের সাথে মুসলমানদের সম্পর্কের উৎস
- প্রকাশিত হয়েছে
-
- লেখক:
- মুর্তজা মোতাহহারী । অনুবাদ: আবুল কাসেম
জর্জি যাইদানের মতে মুসলমানদের জ্ঞানের দিকে ঝুঁকে পড়ার অন্যতম কারণ হলো জ্ঞানার্জনের জন্য ইসলামের পুনঃপুন অনুপ্রেরণা দান ও তাকিদ। মুসলমানরা "সত্য জ্ঞানকে ভ্রান্ত বিশ্বাসীদের নিকট হতে হলেও গ্রহণ কর, কিন্তু ভ্রান্ত ধারণাকে সত্যপন্থীর নিকট হতে হলেও গ্রহণ কর না এবং যে কোন কথা পর্যালোচনা ও যাচাই কর।” --এ হাদিসটিকে মনেপ্রাণে গ্রহণ করেছিল