হযরত আলী (আ.)
গাদীরের হাদীস এবং আলী (আ.)-এর খেলাফত
- প্রকাশিত হয়েছে
রাসূল (সা.) ভয় পেতেন যে, তার মৃত্যুর পর হয়ত জনতার এ সমষ্টি ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়বে এবং তাদের মধ্যকার ভ্রাতৃত্ববোধ এবং ঐক্য লোপ পাবে ও পুনরায় অধঃপতিত হবে। রাসূল (সা.) খুব ভাল করেই জানতেন যে, মুসলিম উম্মাহর জন্য এক ন্যায়পরায়ণ ও জ্ঞানী ইমামের পথ নির্দেশনা অতি জরুরী। আর এমনটি না হলে তাঁর দীর্ঘ দিনের মূল্যবান শ্রম বৃথা যাবে। এ কারণেই মহানবী (সা.) যখনই সফর অথবা যুদ্ধের জন্যে মদীনার বাইরে যেতেন, এমনকি সে সফর সংক্ষিপ্ত হলেও তিনি বিশ্বস্ত এবং যোগ্য ব্যক্তিকে দায়িত্ব অর্পণ করতেন এবং মদীনার জনগণকে অভিভাবকহীন রেখে যেতেন না।
হযরত আলী (আ.)-এর পথনির্দেশনা
- প্রকাশিত হয়েছে
আমাদের দৃষ্টিতে প্রকৃত ইসলামী ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি পবিত্র কুরআন এবং ইসলামের মহান নেতাদের বক্তব্য-বিবৃতি থেকে উৎসারিত। এ ব্যাপারে আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য খুবই সমৃদ্ধ। এখানে আমরা মিসরে নিযুক্ত গভর্নর মালিক আশতারের প্রতি হযরত আলী (আ.)-এর নির্দেশাবলি বেছে নিলাম এবং এগুলোর বিশেষ বৈশিষ্ট্যের জন্য আলোচনার ভিত্তি হিসাবে গ্রহণ করলাম।
বহুমাত্রিক বৈশিষ্ট্যের অধিকারী : নাহজুল বালাগাহ্
- প্রকাশিত হয়েছে
আমীরুল মুমিনীন ইমাম আলী (আ.)-এর বাণীসমূহ যা আজ ‘নাহজুল বালাগাহ্’ নামে আমাদের হাতে বিদ্যমান তার অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, তা নির্দিষ্ট কোন ক্ষেত্র বা বিষয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট নয়। ইমাম আলী কেবল একটি ময়দান বা ক্ষেত্রে অশ্ব চালনা করেন নি, বরং তিনি বিভিন্ন ক্ষেত্রে অশ্ব চালনা করেছেন যা ছিল কখনো কখনো পরস্পর বিপরীতধর্মী। ‘নাহজুল বালাগাহ্’ একটি শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক শিল্পকর্ম, তবে তা উপদেশ, বীরত্বগাথা অথবা প্রেমগীতি ও প্রেমোপাখ্যান অথবা প্রশংসা গীত ও ব্যঙ্গ কাব্যের মত নির্দিষ্ট একটি মাত্র বিষয় ও ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ নয়, বরং তা বিভিন্ন ক্ষেত্র ও বিষয়কে কেন্দ্র করেই রচিত।
হযরত আলী (আ.) এর মর্যাদা
- প্রকাশিত হয়েছে
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর উত্তরাধিকারী,তাঁর নবুওয়াতের মিশনের প্রধান সাহায্যকারী এবং দুনিয়া ও আখেরাতে রাসূলের ভ্রাতা আলী (আ.) আবরাহার পবিত্র মক্কা আক্রমণের ৩৩ বছর পর ১৩ রজব পবিত্র কা’বা শরীফে জন্মগ্রহণ করেন। মহান আল্লাহর আদেশে তাঁর নাম রাখা হয় আলী।
হযরত আলী (আ.) এর অবিস্মরণীয় একটি ভাষণ : খোৎবাতুল ঘাররা
- প্রকাশিত হয়েছে
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর,যিনি সবকিছু থেকে সুউচ্চ-মহান এবং তাঁর নেয়ামতের মাধ্যমে সৃষ্টির অতি নিকটবর্তী । তিনিই সকল পুরস্কার ও সম্মান দাতা এবং সকল দুর্যোগ ও দুঃখ-কষ্ট মোচনকারী। তাঁর লাগাতার রহমত ও প্রাচুর্যপূর্ণ নেয়ামতের জন্য আমি তাঁর প্রশংসা করি। আমি তাঁর প্রতি ইমান আনি যেহেতু তিনিই আদি এবং তিনিই একমাত্র সত্য। আমি তার কাছে হেদায়েত যাচনা করি,যেহেতু তিনিই নিকটতম এবং তিনিই সৎপথ প্রদর্শক। আমি তাঁর সাহায্য প্রার্থনা করি,যেহেতু তিনিই সর্বশক্তিমান এবং তিনিই শ্রেষ্ঠ পরাভূতকারী। আমি তাঁর ওপর নির্ভর করি,যেহেতু তিনিই অভাব মোচনকারী এবং তিনিই শ্রেষ্ঠ পরিপোষক। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি মুহাম্মদ (সা.) তাঁর বান্দা ও রাসূল। তিনি তাঁকে পাঠিয়েছিলেন তাঁর আদেশ পৃথিবীতে জারি করার জন্য ও ওজর খতম করার জন্য এবং অনন্ত শাস্তি সম্পর্কে সতর্কাদেশ প্রদান করার জন্য।
আকাশ, পৃথিবী ও হযরত আদম (আ.) সৃষ্টি সম্পর্কে হযরত আলীর (আ.) বক্তব্য
- প্রকাশিত হয়েছে
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর। তাঁর গুণরাজী কোন বর্ণনাকারী বর্ণনা করে শেষ করতে পারে না। তার নেয়ামতসমূহ গণনাকারীগণ গুনে শেষ করতে পারে না। প্রচেষ্টাকারীগণ তাঁর নেয়ামতের হক আদায় করতে পারে না। আমাদের সমুদয় প্রচেষ্টা ও জ্ঞান দ্বারা তাঁর পরিপূর্ণ আনুগত্য প্রকাশ করা সম্ভব নয় এবং আমাদের সমগ্র বোধশক্তি দ্বারা তার মাহাত্ম্য অনুভব করা সম্ভব নয়। তাঁর সিফাত বর্ণনার কোন পরিসীমা নির্ধারিত নেই এবং সেজন্য কোন লেখা বা বক্তব্য, কোন সময় বা স্থিতিকাল নির্দিষ্ট করা হয় নি। তিনি নিজ কুদরতে সৃষ্টিকে অস্তিত্বশীল করেছেন, আপন করুণায় বাতাসকে প্রবাহিত করেছেন এবং শিলাময় পাহাড় দ্বারা কম্পমান পৃথিবীকে সুদৃঢ় করেছেন।
বেলায়েতের আয়াতের ব্যাকরণগত দিক সম্পর্কে একটি গবেষণামূলক বিশ্লেষণ
- প্রকাশিত হয়েছে
-
- লেখক:
- আসকার আজিমী । অনুবাদ: মো: ফয়সল বারী
কালামশাস্ত্রে আয়াত এবং রেওয়ায়েতসমূহের ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে ব্যাকরণগত দিক একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অনুরূপ ভাবে বেলায়েত ও নেতৃত্বের বিষয়টিও কালামশাস্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে পরিগণিত হয়। এই লেখনীতে বেলায়েতের আয়াত (সূরা মায়েদার ৫৫ নং আয়াত) সম্পর্কে দু’দল কালাম শাস্ত্রবিদ তাদের মতের সপক্ষে যে সকল ব্যাকরণগত যুক্তি উপস্থাপন করেছেন তার মধ্যে তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
হযরত আলীর (আ.) খেলাফতের অকাট্য প্রমাণসসমূহ
- প্রকাশিত হয়েছে
রাসূল (সা.)-এর খেলাফত ও ইসলামী রাষ্ট্রের নেতৃত্বের বিষয়টি এমন কোন বিষয় ছিল না যে, রাসূল (সা.) তার জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এটাকে (খেলাফত) অব্যক্ত রাখবেন আর ইসলামী সমাজের দায়িত্ব-কর্তব্যকে ঐ ক্ষেত্রে স্পষ্ট করবেন না। রাসূল (সা.) যেদিন তার রেসালাতের দায়িত্বকে প্রকাশ্যে ঘোষণার নির্দেশ পেয়েছেন, সেদিনই তিনি দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছেন স্বীয় স্থলাভিষিক্তকেও পরিচয় করিয়ে দেওয়ার।
হযরত আলী (আ.) এর ফযিলত ও মর্যাদা
- প্রকাশিত হয়েছে
রাসূলে আকরামের (সা.) পরে আলী (আ.)-এর চেয়ে উত্তম ব্যক্তি তো নাই-ই বরং নবীর উম্মতের মধ্যে এমন কেউ নেই যে অনুরূপ মর্যাদায় আলী (আ.)-এর নিকটবর্তী হতে পারে। আলী (আ.)-এর মর্যাদা সম্পর্কে রাসূল (সা.) ও তার সাহাবীগণ হতে যে সমস্ত হাদীস বর্ণিত হয়েছে তা অন্যান্য সকল সাহাবীর মর্যাদায় বর্ণিত হাদীসের তুলনায় অধিক।
ইসলামের প্রথম মুসলমান
- প্রকাশিত হয়েছে
ইসলাম গ্রহণের ক্ষেত্রে আলী (আ.) ও অন্যান্য মুসলমানদের মধ্যে একটা মৌলিক পার্থক্যকে পরিলক্ষিত হয়। অন্যান্য মুসলমানগণ এমন অবস্থায় ঈমান এনেছে যে, ইতিপূর্বে বছরের পর বছর ধরে মূর্তি পূজা করেছে। কিন্তু আমিরুল মু’মিনীন আলী (আ.) এমন অবস্থায় ইসলাম গ্রহণ করেছেন যে, কখনোই কোন অমুসলিমদের উপাসনালয়ে যাননি এবং কখনোই মূর্তি পূজাও করেননি।
সত্য আলীর সঙ্গে এবং আলী সত্যের সঙ্গে
- প্রকাশিত হয়েছে
-
- লেখক:
- আবুল কাসেম
মহানবীর আহলে বাইতের পবিত্র ইমামগণ এবং তাদের শীর্ষে আলী (আ.) সত্যের চিরন্তন মানদণ্ড। তাই সত্য তাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হবে এতে কোন সন্দেহ নেই এবং তার শত্রুরা নিঃসন্দেহে বিভ্রান্ত ও বিচ্যুত। এজন্যই মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘আলী শ্রেষ্ঠ মানব। যে কেউ তাকে প্রত্যাখ্যান ও অস্বীকার করবে নিশ্চয় সে অবিশ্বাসী।
ঈমানের মাপকাঠি এবং সত্যের মানদণ্ড : হযরত আলী (আ.)
- প্রকাশিত হয়েছে
আমরা এ প্রবন্ধে সে সমস্ত হাদীস তুলে ধরব যাতে রাসূল (সা.) এমন এক মানদণ্ড ও পরিমাপক নির্ধারণের প্রচেষ্টায় আছেন যে, যখন ইসলামী রাষ্ট্রে ভুল-ভ্রান্তি ও যে সব ক্ষেত্রে সত্য-অসত্য মিশ্রিত হয়ে যায় এবং সত্যকে অসত্য হতে আলাদা করা সাধারণ মানুষের জন্য সমস্যাপূর্ণ হয়, তখন যেন তারা ঐ মানদণ্ড বা পরিমাপকের সহায়তায় সত্যকে গ্রহণ করে অসত্যকে পরিহার করে। এ সমস্ত হাদীসে তিনি হযরত আলীকে (আ.) হেদায়াতের প্রদীপ, ঈমানের মাপকাঠি এবং সত্যের মানদণ্ড হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
২১ রমজান- হযরত আলী (আ.)-এর শাহাদাত বার্ষিকী
- প্রকাশিত হয়েছে
হযরত আলী (আ.) ছিলেন ইসলামের ইমামতি ধারার প্রথম ইমাম। মহানবী (সা.) জীবদ্দশায় তাঁর বারোজন উত্তরসূরির ভবিষ্যদ্বাণী করে গেছেন, যাঁদের প্রথম হলেন আমীরুল মুমিনীন হযরত আলী (আ.)। তাঁর জন্ম হয়েছিল পবিত্র কাবাঘরে। আবার মৃত্যুও হয়েছিল মসজিদে সেজদারত অবস্থায়।
হযরত আলী (আ.)-এর গুণাবলী
- প্রকাশিত হয়েছে
যদি হযরত আলীকে আমাদের আদর্শ ও নেতা হিসেবে গ্রহণ করি,তবে একজন পূর্ণ ও ভারসাম্যপূর্ণ মানুষকে যার মধ্যে সকল মানবিক মূল্যবোধ সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে বিকাশ লাভ করেছে আমাদের অগ্রগামী হিসেবে গ্রহণ করেছি।
নবী কর্তৃক হযরত আলীর মনোনয়ন
- প্রকাশিত হয়েছে
মহানবীর দাওয়াতের সূচনা পূর্বেই তিনি তার পরবর্তী খলিফা ও উত্তরাধীকারী নিযুক্তিতে ত্রুটি করেন নি । এটা এমন একটি বিষয় যা তৌহীদ ও নবুয়্যত থেকে কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় । তৌহীদ ও নবুয়্যতের স্থায়িত্বের জন্যে ইমামতের ঘোষণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিধায় সেদিন মহানবী (সা.) সবার সম্মুখে সুস্পষ্ট করে তুলে ধরেছিলেন পরবর্তী নেতার মনোনয়নের বিষয়টি ।
আল্লাহ কর্তৃক হযরত আলীর মনোনয়ন
- প্রকাশিত হয়েছে
আল্লাহ ও তার রাসূলের নেতৃত্বের পাশাপাশি আলীর বেলায়েত বা অভিভাবকত্বের কথা আল কোরআন স্পষ্টভাবে উল্লেখ করছে । প্রিয় নবী (সা.) তার মুনাজাতে আলীকে তার সাহায্যকারী এবং তার হাত শক্তিশালী করার লক্ষে হযরত আলী ইবনে আবি তালিবকে পরামর্শদাতা হিসেবে পাবার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন । আর তাই তার ইন্তেকালের পর আলীর অভিভাবকত্ব গ্রহন ইসলামকে শক্তিশালী করারই নামান্তর
হযরত আলীর (আ.) মর্যাদা ও গুনাবলী
- প্রকাশিত হয়েছে
আলীর ন্যায় কেউ এত বেশী মর্যাদা অর্জন করতে পারে নি । তার পদাংক অনুসরনকারীরা হেদায়েতের পথে পরিচালিত
ন্যায় নিষ্ঠার প্রতীক হযরত আলী (কা.)
- প্রকাশিত হয়েছে
যারা অন্যকে সৎকাজের উপদেশ দেয় অথচ নিজে তা বর্জন এবং অসৎকাজ থেকে নিষেধ করে আর নিজেরা তাতে প্রবৃত্ত হয়, আল্লাহ তাআলা তাদের প্রতি লানত বর্ষণ করেছেন।
হযরত আলী (আ.)-এর খেলাফত ও তার প্রশাসনিক পদ্ধতি
- প্রকাশিত হয়েছে
হিজরী ৩৫ সনের শেষ ভাগে হযরত আলী (আ.)-এর খেলাফত কাল শুরু হয়। প্রায় ৪ বছর ৫ মাস পর্যন্ত এই খেলাফত স্থায়ী ছিল। হযরত আলী (আ.) খেলাফত পরিচালনার ব্যাপারে হযরত রাসূল (সা.)-এর নীতির অনুসরণ করেন। তার পূর্ববতী খলিফাদের যুগে যেসব (ইসলামী নীতি মালার) পরিবর্তন ঘটানো হয়েছিল, তিনি সেগুলোকে পুনরায় পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে আসেন।
নাহজুল বালাগায় ‘যুহ্দ’
- প্রকাশিত হয়েছে
যুহ্দ অর্থাৎ দুনিয়াদারী ও বস্তুবাদিতা পরিহার করে ইবাদত-বন্দেগীতে মনোসংযোগ ‘নাহজুল বালাগা’র অপর একটি উপদেশমূলক মৌলিক আলোচ্য বিষয়। এ গ্রন্থে তাকওয়ার পর যুহ্দই খুব সম্ভবত সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছে। ‘যুহ্দ’ শব্দটি দুনিয়া বর্জন করার সমার্থক। আমরা নাহজুল বালাগার বিভিন্ন স্থানে দুনিয়া ও দুনিয়াদারীর নিন্দাবাদ এবং দুনিয়া বর্জন করার প্রতি আহবান দেখতে পাই। নাহজুল বালাগায় আলোচ্য বিষয়াবলীর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে এই যুহ্দ।