ইমাম হোসাইন (আ.)
ইমাম হোসাইন (আ.) এর চেহলাম বার্ষিকী
- প্রকাশিত হয়েছে
-
- লেখক:
- মুনীর হোসাইন খান
আলোচ্য প্রবন্ধে ইমাম হোসাইন (আ.) ’র শাহাদাতের চেহলাম বার্ষিকী বা আরবাইনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, ইমাম হোসাইন (আ.) আরবাইনে জিযারত পালন জায়েজ কিনা, বর্তমানে চেহলাম বা আরবাইন পালনের সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব এবং এটি পালন বেদাত বা হারাম কি না এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
হযরত ইমাম হোসেনের (‘আঃ) আন্দোলনের তাৎপর্য
- প্রকাশিত হয়েছে
-
- লেখক:
- নূর হোসেন মজিদী
একজন মানুষের অনেকগুলো মর্যাদা থাকতে পারে এবং তাঁর সবগুলো মর্যাদা সম্বন্ধে সকলের মধ্যে মতৈক্য না-ও থাকতে পারে। তবে হযরত ইমাম হোসেনের (‘আঃ) যে মর্যাদা সম্পর্কে ইসলামের সকল মাযহাব ও ফির্ক্বাহ্ অভিন্ন মত পোষণ করে তা হচ্ছে, তিনি এবং তাঁর বড় ভাই হযরত ইমাম হাসান (‘আঃ) রাসূলে আকরাম হযরত মুহাম্মাদ (ছ্বাঃ)-এর আহলে বাইতের সদস্য; অপর দু’জন তাঁদের পিতা-মাতা হযরত আলী ও হযরত ফাতেমাহ্ (‘আঃ); এ চারজনের ব্যাপারে এমন কোনো ভিন্ন মত নেই যা এ ব্যাপারে বিন্দুমাত্রও সংশয় সৃষ্টি করতে পারে। আর আহলে বাইতের সদস্যগণ শুধু গুনাহ্ থেকেই মুক্ত নন বরং সকল প্রকার চারিত্রিক ও আচরণগত অপকৃষ্টতা থেকেও মুক্ত (সূরাহ্ আল্-আহযাব: ৩৩)।
ইসলামের চরম দূর্দিনের ত্রাণকর্তাঃ হযরত ইমাম হোসাইন (আ.)-এর সুমহান মর্যাদা
- প্রকাশিত হয়েছে
বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)এর প্রাণপ্রিয় দৌহিত্র,বেহেশতী নারীদের নেত্রী হযরত ফাতিমার (সা.) কলিজার টুকরা এবং জ্ঞানের দরজা আমীরুল মুমিনিন হযরত আলী (আ.)’র সুযোগ্য দ্বিতীয় পুত্র এবং ইসলামের চরম দূর্দিনের ত্রাণকর্তা ও শহীদদের নেতা হযরত ইমাম হোসাইন (আ.)-এর সুমহান মর্যাদা সম্পর্কে সংক্ষিপ্তাকারে কিছু আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ।
ইয়াজিদ কর্তৃক ইমাম হুসাইনকে (আ.) হত্যার প্রমানঃ
- প্রকাশিত হয়েছে
-
- লেখক:
- মো: নুরে আলম
ইয়াজিদ, ইসলামে অনেক খারাপ কাজ করেছে। তার শাসন কালের শেষ দিকে হাররা এর ঘটনায় সে আহলে মদিনাকে হত্যা করেছে, সে সর্বোত্তম লোকেদের ও অবশিষ্ট সাহাবীদের হত্যা করেছে। তার শাসনের প্রথম দিকে হুসাইনকে ও তার আহলে বাইতেদেরকে হত্যা করে। সে মসজিদে হারামে ইবনে যুবাইরকে ঘেরাও করে। সে কাবা ও ইসলামের পবিত্রতা নষ্ট করে আর এই সময় আল্লাহ তাকে মউত দেয়।
কারবালা ও ইমাম হোসাইন (আ.)-শেষ পর্ব
- প্রকাশিত হয়েছে
নিশ্চয়ই আবু আব্দুল্লাহ ইমাম হোসাইন (আ.) এবং তার বংশধরদেরকে হত্যা করা হয়েছে, তার স্ত্রী, কন্যা ও আত্মীয়াদেরকে বন্দী করা হয়েছে। তার পবিত্র মাথা বর্শাগ্রে বেধে শহর থেকে শহরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এটা এমনই এক বিপদ যার তুল্য দ্বিতীয়টি আর নেই। হে লোকসকল, এ ঘটনার পর তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি হাসিখুশী থাকতে পারবে? সে কোন হৃদয় যে এ মহাঘটনায় ব্যথিত ও দুঃখভারাক্রান্ত হবে না? সে কোন নয়ন যা অশ্রুপাত করবে না অথচ সাত আসমান হোসাইন (আ.) এর জন্য কাদেছে, সাগরসমূহ তরঙ্গ তুলে ক্রন্দন করেছে, আকাশের স্তম্ভসমূহ শোকে-দুঃখে গর্জন করে উঠেছে এবং পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্তও ক্রন্দন করেছে। আরো ক্রন্দন করেছে গাছের ডাল-পালাসমূহ, মৎস, সমুদ্রের ঢেউমালা, নৈকট্যপ্রাপ্ত ফেরেশতারা। সকল আকাশবাসী এ মহা বিপদে শোক করেছে, বিলাপ করেছে। হে লোকসকল, এমন কোন হৃদয় আছে কি যা হোসাইনের (আ.) প্রতি এখনও আকৃষ্ট হয়নি?
কারবালা ও ইমাম হোসাইন (আ.)-৭ম পর্ব
- প্রকাশিত হয়েছে
হে ইয়াজিদ, তুই তোর ঘৃণ্য অপতৎপরতায় ব্যস্ত থাক এবং সব ধরনের ষড়যন্ত্র ও বিশ্বাসঘাতকতা করে যা। তারপর খোদার কসম করে বলছি, তুই আমাদের নাম কখনো মুছে ফেলতে পরবি না। আমাদের রসূলের ওহীকে স্তব্ধ ও ধ্বংস করতে পারবি না এবং তোর নিজের পাপ থেকেও রেহাই পাবি না। কারণ তোর বিবেক বুদ্ধি বিকারগ্রস্থ। তোর আয়ুষ্কালও সীমিত। তোর সংগী-সাথীরা অবশ্যই ছত্রভঙ্গ হয়ে যাবে
কারবালা ও ইমাম হোসাইন (আ.)-৬ষ্ঠ পর্ব
- প্রকাশিত হয়েছে
যারা ইমাম হোসাইনকে (আ.) অজ্ঞতাবশত হত্যা করছে তাদেরকে শাস্তি ও দুর্ভাগ্যর সুসংবাদ দেয়া হচ্ছে । নবী-পয়গম্বর- ফেরেশতা ও শহীদগণসহ সকল আকাশবাসী হোসাইন (আ.) এর হত্যাকারীদেরকে অভিশাপ দিচ্ছে। হযরত সুলাইমান (আ.) হযরত মূসা (আ.) ও তোমাদেরকে অভিশাপ দিয়েছেন
কারবালা ও ইমাম হোসাইন (আ.)-৫ম পর্ব
- প্রকাশিত হয়েছে
ইমাম (আ.) বললেনঃ আমি তোমাদের সাথে যুদ্ধ করব আর তোমরা আমার সাথে যুদ্ধ করবে। নারীরা তো কোন অপরাধ করেনি। আমি যতক্ষণ জীবিত আছি এসব অকৃতজ্ঞ, মূর্খ ও জালেমদেরকে আমার তাবুতে ঢুকতে দেব না। শিমার বলল তোমার এ প্রস্তাব গ্রহণ করলাম। এরপরই শিমারের নেতৃত্বে ইমাম হোসাইন (আ.) কে হত্যার জন্য পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়। তারা ইমাম হোসাইন (আ.) এর উপর হামলা করে। ইমাম (আ.) ও পাল্টা হামলা চালান। এ সময় ইমাম পিপাসায় কাতর হয়ে পড়েন। শত্রুদের কাছে একটু পানি চান কিন্তু তারা এক ফোটা পানিও দেয়নি। এ সময়ের মেধ্যে ইমামের পবিত্র বদন ৭২টি আঘাতে জর্জরিত হয়ে যায়।
কারবালা ও ইমাম হোসাইন (আ.)- ৪র্থ পর্ব
- প্রকাশিত হয়েছে
কারবালার ময়দানে তৃষ্ণার্ত ইমাম বাহিনী এক দিকে-অপর দিকে ওমর বিন সা’দের বিশাল বাহিনী। এ অবস্থায় শত্রু সৈন্যদের উদ্দেশ্যে ইমাম তার তরবারীর উপর ভর দিয়ে বলিষ্ঠ কণ্ঠে প্রথম যে ভাষণ প্রদান করেন তা নিম্নরূপ
কারবালা ও ইমাম হোসাইন (আ.)- ৩য় পর্ব
- প্রকাশিত হয়েছে
হযরত ইমাম হোসাইন (আ.) হিজরী ৬০ সালের জিলহজ্বের ৩ তারিখ মঙ্গলবার বর্ণনান্তরে ৮ই জিলহজ্ব বুধবার মুসলিমের মৃত্যূর খবর পাওয়ার আগেই মক্কা থেকে বের হন। কারণ, তিনি যেদিন মক্কাত্যাগ করেন সেদিনই মুসলিম ইবনে আকিলকে কুফায় শহীদ করা হয় । বর্ণিত আছে, হোসাইন (আ.) ইরাকের উদ্দেশ্য যাত্রা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার পর জন সমাবেশে দাড়িয়ে বলেন
হযরত ইমাম হোসেনের (‘আঃ) উত্থানের প্রকৃতি ও উদ্দেশ্য : একটি নিরপেক্ষ পর্যালোচনা
- প্রকাশিত হয়েছে
-
- লেখক:
- নূর হোসেন মজিদী
হযরত ইমাম হোসেন (‘আঃ) ক্বিয়ামত পর্যন্ত মুক্তি, স্বাধীনতা, মানবাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সংগ্রামীদের জন্য প্রেরণার উৎস - যিনি গোলামীর জীবনের ওপরে স্বাধীন মানুষ হিসেবে নিহত হওয়াকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন, তাই তাঁর শ্লোগান ছিলো : هَيهات مِنّا الذِّلَّة - “দূর হোক লাঞ্ছনা আমাদের থেকে।
আশুরার শিক্ষা ও আমাদের কর্তব্য
- প্রকাশিত হয়েছে
-
- লেখক:
- নুরে আলম
আশুরা, মহররম, ইমাম হুসাইন, কারবালা প্রভৃতি শব্দগুলো প্রতিটি অসহায়, মজলুম, নির্যাতিত ও মুস্তাজআফ মানুষের অন্তরে ঝড় তুলে দেয়, হৃদয়ে বেদনার সৃষ্টি করে, হাহাকার, আত্মবিলাপ ও আহাজারী বৃদ্ধি করে আর তার মাধ্যমে জন্ম দেয় জুলুম বিনাশের বাঁধ ভাঙ্গা আন্দোলনের
আধ্যাত্মিক পথ পরিক্রমায় ক্রন্দনের ভূমিকা
- প্রকাশিত হয়েছে
এরফান ও অধ্যাত্মবাদের দৃষ্টিকোণ থেকে ইমাম হোসাইনের জন্য শোক প্রকাশ ও ক্রন্দন-আহাজারিকে আল্লাহর ভালোবাসা ও আধ্যাত্মিক পরিভ্রমণের (আল্লাহর দিকে যাত্রা) সাথে সম্পৃক্ত করা যেতে পারে
কারবালার আন্দোলন আবেগতাড়িত নাকি বিজ্ঞতাপূর্ণ
- প্রকাশিত হয়েছে
সাইয়্যেদুশ শুহাদার (ইমাম হোসাইন) কাজগুলো প্রেমপূর্ণ ছিল,আর সে প্রেম জ্ঞানের ঊর্ধ্বে- জ্ঞানহীনতা নয়। এক সময় বলা হয়ে থাকে,অমুক কাজ বুদ্ধিমানের কাজ নয়। অর্থাৎ যে কাজ কেবল ধারণা এবং কল্পনার ভিত্তিতে হয়েছে। কিন্তু কখনো কখনো কাজ এমন হয়ে থাকে যে,শুধু বিজ্ঞতাপূর্ণই নয়; বরং তার চেয়ে উচ্চ পর্যায়ের প্রেমপূর্ণ। অর্থাৎ যা কিছু বুঝেছে নিজের মধ্যে তা পেয়েছে ও অর্জন করেছে।
হোসাইনী আন্দোলনের বৈশিষ্ট্য
- প্রকাশিত হয়েছে
বীরত্বপূর্ণ কথা হল সেই কথা যা দিয়ে মানুষের প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর বিপুল অনুপ্রেরণা ও অদম্য শক্তি যোগানো যায়। আর প্রকৃত বীরপুরুষ হলেন সেই ব্যাক্তি যার মধ্যে অন্যায় রোধের এ মানসিকতা জোয়ারের মতো উথলে পড়ে। যার মধ্যে মহত্ত্ব,ন্যায়পরায়ণতা,দৃঢ়তা,সততা,সত্যতা,অধিকার রক্ষায় কঠোরতা,সৎ-সাহস এবং মুক্তবুদ্ধি রয়েছে তিনিই হলেন আসল বীরপুরুষ।
কারবালা ও ইমাম হোসাইন (আ.)- ১ম পর্ব
- প্রকাশিত হয়েছে
আমি তোমাদের মধ্যে দু’টি বড় জিনিস আমানত হিসেবে রেখে যাচ্ছি । একটি: হল কুরআন, দ্বিতীয়টি: আহলে বাইত। হাউজে কাউছারের পাড়ে আমার সাথে দেখা করার আগ পর্যন্ত উভয়ে একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন হবেনা
কারবালা থেকে পশ্চিম তীর-জাগো হুসাইনি সেনা
- প্রকাশিত হয়েছে
সত্য ও মিথ্যার দ্বন্দ্ব চিরন্তন। তাই বলা হয়, প্রতিটি ভূমিই কারবালা ও প্রত্যেক দিনই আশুরা। আজ সিরিয়াতে, ইরাকে, আফগানিস্তানে ও পাকিস্তানে একদল ধর্মান্ধকে লেলিয়ে দিয়ে নিরীহ ও বেসামরিক মুসলমানদের হত্যা করা হচ্ছে। অথচ এই ধর্মান্ধরা মুসলমানদের জাত শত্রু ও দখলদার ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এরা মিয়ানমারের অসহায় মুসলমানদের রক্ষার জন্যও কোনো উদ্যোগ কখনও নেয়নি।
কারবালা ও ইমাম হোসাইন (আ.)-২য় পর্ব
- প্রকাশিত হয়েছে
আমরা নবুওতের ঘরের আহলে বাইত, আমরাই রেসালতের খনি । ফেরেশতারা আমাদের ঘরেই আনাগোনা করেন । আল্লাহ তাআলা আমাদের জন্যই মানুষের দিকে তার রহমতের দরজা খুলে দিয়েছেন । এই রহমতের সমাপ্তি হবে আমাদের নামেই
‘ইমাম হুসাইন (আ.)’র বিপ্লবই ইসলামকে পুনরুজ্জীবিত করেছে’
- প্রকাশিত হয়েছে
হযরত ইমাম হুসাইন (আ.) তাঁর মহাবিপ্লবের লক্ষ সম্পর্কে স্পষ্টভাবেই বলে গেছেন: “আমি আমার নানার উম্মতের সংস্কারের জন্য বের হয়েছি। আমি সত কাজের আদেশ দিতে চাই এবং অসত কাজের নিষেধ করতে চাই এবং আমার নানার আচরণ ও সুন্নাত অনুযায়ী আচরণ করতে চাই।”
আশুরার ঘটনাবলীঃ তাবু লুট ও অগ্নিসংযোগ
- প্রকাশিত হয়েছে
ফাতেমা সোগরা বলেছেন, “আমি তাবুর দরজায় দাড়িয়ে আমার বাবার মাথাবিহীন লাশ এবং ধূলায় পড়ে থাকা প্রিয়জন-সহচরদের দেহগুলো দেখছিলাম। দুশমনের ঘোড়াগুলো যখন এসব লাশের উপর দিয়ে দলে দলে চলছিল আমি কান্নায় ফেটে পড়ছিলাম। চিন্তায় ছিলাম পিতার অবর্তমানে বনি উমাইয়া গোষ্ঠী আমাদের সাথে কি আচরণই না করে বসে। আমাদেরকে কি তারা হত্যা করে না বন্দী করে নিয়ে যায়। হটাৎ এক ব্যক্তিকে দেখলাম সে বর্শা উচিয়ে নারীদেরকে একদিকে হাকিয়ে নিয়ে যাচ্ছ। নারীগণ আশ্রয় গ্রহণ করার জন্য ছুটোছুটি করছে। এ সময় নারীদের বোরকা ও অলংকার সব লুন্ঠন হয়ে গেছে, আর নারীগণ চিৎকার দিয়ে বলছিল-