কোরআন বিষয়ক জ্ঞান
পবিত্র কোরআন অবমাননা এবং চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবী মহল
- প্রকাশিত হয়েছে
বিভিন্ন জাতির পবিত্র বিষয়গুলোর অবমাননা বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদী মহলের অন্যতম নোংরা কৌশল। ধর্মীয় নেতা, পবিত্র গ্রন্থ, পবিত্র স্থান এবং মুসলিম চিন্তাবিদদের হত্যা বা তাদের চরিত্র হননের চেষ্টা ঐতিহাসিক বিচার-বিশ্লেষণের দাবি রাখে। কারণ, যুগে যুগে এসব হামলা বার বার ঘটেছে এবং বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)'র নেতৃত্বে সর্বশেষ খোদায়ি ধর্ম ইসলামের আবির্ভাবের পর থেকেই এ মহান ধর্মের ওপর আক্রমণ অব্যাহত রয়েছে।
পবিত্র কুরআনে জ্ঞান ও বিবেক-বুদ্ধি প্রসঙ্গ
- প্রকাশিত হয়েছে
মানুষ বুদ্ধিমান বা বিবেকসম্পন্ন প্রাণী। অন্যান্য প্রাণীর সাথে তার মূল পার্থক্যই হল তার জ্ঞানের ব্যবহার। যদি জ্ঞান দিয়ে মানুষকে সজ্জিত করা না হত তা হলে অন্যান্য প্রাণীর সাথে তার কোন পার্থক্যই থাকত না। অন্যান্য প্রাণী যেমন খাদ্য গ্রহণ করে ও বংশ বৃদ্ধি করে,একইভাবে মানুষেরও এর থেকে বেশি কিছু করার থাকত না।
কোরআনে ইসলামী বিচারব্যবস্থা
- প্রকাশিত হয়েছে
মানুষ একটি সামাজিক প্রাণী। সে নিজেকে কখনোই অন্যদের থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করতে এবং একাকী জীবনযাপন করতে পারে না। অন্যদিকে যেহেতু প্রতিটি মানুষেরই নিজস্ব বিশেষ ধ্যান-ধারণা,গুণ-বৈশিষ্ট্য ও আচরণ রয়েছে যাতে তার প্রকৃতি অভ্যস্ত এবং যা অন্যদের সাথে অংশত বা পুরোপুরি অংশীদার হওয়া ছাড়াই তাকে বিশেষায়িত করে,সেহেতু সে অন্যদের সাথে পুরোপুরি খাপ খাইয়েও চলতে পারে না।
কোরআনের মুহকাম বা সুস্পষ্ট ও মুতাশাবিহ্ বা রূপক আয়াতের পার্থক্য
- প্রকাশিত হয়েছে
‘মুতাশাবিহ্’শব্দের অর্থ এমন কোন বস্তু যার বিভিন্ন অংশ পরস্পর সদৃশ। এ কারণেই যে সকল বাক্যের অর্থ জটিল এবং কয়েকটি সম্ভাব্য অর্থ থাকে সেগুলোকে ‘মুতাশাবিহ্’বলা হয়। কোরআনের মুতাশাবিহ্-এর অর্থও তাই অর্থাৎ কোরআনের যে সকল আয়াতের অর্থ জটিল,কয়েক ধরনের অর্থ হতে পারে এবং যেগুলোকে ‘মুহ্কাম’আয়াতের সাহায্য নিয়ে ব্যাখ্যা করতে হয় সেগুলোই ‘মুতাশাবিহ্’আয়াত।
কোরআন বিকৃতি মুক্ত
- প্রকাশিত হয়েছে
কোরানের ত্রুটিমুক্ততাকে সর্বপ্রথমে কোরানে কোন কিছু সংযোজিত হওয়ার বিষয়টিকে বুদ্ধিবৃত্তিক দলিলের মাধ্যমে প্রমাণ করা যেতে পারে। অতঃপর আমাদের হাতে বিদ্যমান এ কোরান যে, মহান আল্লাহর পক্ষ থেকেই এসেছে তা প্রমাণিত হওয়ার পর পবিত্র কোরানের আয়াতের মাধ্যমে এ থেকে কোন কিছু হ্রাস বা ঘাটতি না হওয়ার বিষয়টি প্রমাণ করা যেতে পারে।
কোরআন ইসলামী জ্ঞানের প্রথম বিষয়বস্তু
- প্রকাশিত হয়েছে
-
- লেখক:
- আয়াতুল্লাহ মুর্তাজা মোতাহহারী । অনুবাদ: আবুল কাসেম
কোরআন ইসলামী জ্ঞানের প্রথম বিষয়বস্তু। ইসলামের অন্যান্য জ্ঞান যেমন (কিরায়াত), তাফসীর, কালামশাস্ত্র, হাদীস, রিজালশাস্ত্র, অভিধান, সারফ ও নাহু (ব্যাকরণশাস্ত্র), ভাষাশৈলী ও অলংকারশাস্ত্র (ফাসাহাত ও বালাগাত), ইতিহাস ও সীরাত (জীবনী) ইত্যাদি শাস্ত্রগুলো একে কেন্দ্র করেই এবং এ সম্পর্কিত বিষয়কে ব্যাখ্যার জন্য উৎপত্তি লাভ করেছে
কোরআনের ঐতিহাসিক অলৌকিকতা
- প্রকাশিত হয়েছে
ঊনবিংশ শতাব্দীতে মিসরের ভাষা হাইআরোগ্লিফিক অনুবাদ করে উদঘাটন করার আগে পর্যন্ত “হামান” নামটি-জানা ছিল না। হাইআরোগ্লিফিক অনুবাদ করে বুঝা গেল যে হামান ফেরাউনের একজন নিকট সহযোগী ছিল এবং সে ছিল পাথর চূর্ণকারীদের প্রধান। এখানে সত্যিকারের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টটি হলো যে কোরআনে হামান ফেরাউনের আদেশে নির্মাণকার্য পরিচালনা করতো বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এর মানে এটিই দাঁড়ায় যে এই যে তথ্যটি যা সম্পর্কে কারো পক্ষে কিছু জানা সম্ভব ছিল না, তাই কোরআনে উল্লেখ করা হয়েছিল।
ডারউইরেন বিবর্তনের ভ্রান্ত ধারণা
- প্রকাশিত হয়েছে
আজ এমন কিছু ভাবাদর্শ বিদ্যমান যেগুলো মানুষের মন থেকে সৃষ্টির সত্যের বিষয়টিকে ভুলিয়ে দিতে চায় এবং ভিত্তিহীন কিছূ ধারণা দ্বারা এ বিষয়টিকে দূরে ঠেলে দিতে চায়। এগুলোর মাঝে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হলো বস্তুবাদ। বস্তুবাদ যেটিকে নিজের জন্য তথাকথিত বৈজ্ঞানিক ভিত্তি হিসেবে ধরে নেয় সেটিই হল ডারউইনবাদ। প্রাণ অজৈব বস্তু থেকে যুগপৎ সংঘটনের মাধ্যমে উষ্মেষিত হয়েছে বলে যুক্তি প্রদানকারী এই থিওরিটি নস্যাৎ হয়ে গিয়েছে তখনই, যখন স্বীকার করে নেয়া হয়েছে যে একমাত্র আল্লাহ তা’আলাই এই বিশ্বচরাচর সৃষ্টি করেছেন।
বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে আল কোরআনের অলৌকিকতাঃ মানব সৃষ্টি
- প্রকাশিত হয়েছে
মানুষকে বিশ্বাসের পথে আমন্ত্রণ জানাতে গিয়ে কোরআনে বহু বৈচিত্রময় বিষয়ের উল্লেখ রয়েছে। কখনো বা আকাশ, কখনো প্রাণী জগৎ, কখনো বা উদ্ভিদসমূহকে আল্লাহ মানুষের জন্য সাক্ষ্য হিসেবে বর্ণনা করেছেন। অনেক আয়াতে মানুষকে আহ্বান জানানো হয়েছে নিজেদের সৃষ্টি সম্পর্কে মনোযোগী হতে। প্রায়ই মানুষকে মনে করিয়ে দেয়া হয়েছে যে, সে কিভাবে এ পৃথিবীতে আসল, কি কি পর্যায়ের মধ্যে দিয়ে সে এলো, তার মৌলিক স্বভাব কি ?
কোরআন ও বিজ্ঞানের আলোকে বৃষ্টিপাত
- প্রকাশিত হয়েছে
আধুনিক গবেষণায় বৃষ্টির পরিমিত নির্দিষ্ট পরিমাণ আবারো একবার উদঘাটিত হয়েছে। আন্দাজ করা হয়েছে যে, প্রতি সেকেন্ডে ভূ-পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৬ মিলিয়ন টন পানি বাষ্প হয়ে উবে যায়। আর বছরে এ পরিমাণটি দাড়ায় ৫১৩ ট্রিলিয়ন টনে। আর পানি বাষ্প হওয়ার পরিমাণ প্রতি বছরে ভূ পৃষ্ঠে পতিত বৃষ্টিধারার পরিমাণের সমান। এর মানে এই দাড়ায় যে, পানি অবিরতই একটি “নির্দিষ্ট পরিমাণে” একটি সুষম চক্রের মধ্যে প্রবাহমান। পৃথিবীর জীবজগৎ এই পানি চক্রের উপরেই নিভর্র শীল। এমনকি মানুষ দুনিয়ায় সমস্ত টেকনোলজী বা প্রযুক্তি ব্যবহার করেও পানির এই চক্রটি কৃত্রিমভাবে পুণরুৎপাদন করতে সমর্থ হবে না।
আল কোরআনের অলৌকিকতাঃ পৃথিবী
- প্রকাশিত হয়েছে
জীবনের জন্য পয়োজনীয় প্রতিটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে পৃথিবীর। এগুলোরই একটি হলো বায়ুমন্ডল, যা জীব জগৎকে রক্ষা করার কাজে বর্ম হিসেবে কাজ করে। আজ এটি একটি প্রতিষ্ঠিত সত্য যে, বায়ুমন্ডল একটির উপর অন্যটি অবস্তিত-এমনতর সাতটি স্তর-নিয়ে গঠিত। ঠিক কোরআনের বর্ণনার মতোই এটি ঠিক সাতটি স্তর-নিয়ে গঠিত। অবশ্যই এটি কোরআনের একটি অলৌকিকত্ব।
আল কোরআনের অলৌকিকতাঃ মহাবিশ্ব
- প্রকাশিত হয়েছে
চৌদ্দশত বছর পূর্বে আল্লাহ তা’আলা মানবজাতির পথচালিকা স্বরূপ কোরআন প্রেরণ করেছিলেন। এ স্বর্গীয় গ্রন্থখানা দৃঢ়ভাবে সমর্থন আর অনুসরণ করে মানবজাতি যেন সঠিক পথে পরিচালিত হয় এ আহ্বান করেছিলেন তিনি। নাযিল হওয়ার দিন থেকে শুরু করে শেষ বিচারের দিন পর্যন্ত এ স্বর্গীয় আর সর্বশেষ বই খানা মানবজাতির জন্য একমাত্র পথচালিকা হিসেবে থেকে যাবে।
গারানিকের উপাখ্যান
- প্রকাশিত হয়েছে
ইয়াহুদীরা,বিশেষ করে তাদের নেতা ও ধর্মীয় পণ্ডিতগণ (আহবার) ইসলাম ধর্মের এক নম্বর শত্রু ছিল এবং আছে। কাবুল আহবার ও অন্যান্যের মতো একদল ব্যক্তি বাহ্যত ঈমান এনে মহান নবীদের নামে উদ্ধৃতি দিয়ে ভিত্তিহীন রেওয়ায়েতসমূহ প্রচার করে এবং মিথ্যা কল্প-কাহিনী বানিয়ে সত্য ঘটনাবলীর বিকৃতি সাধনে লিপ্ত হয়েছে। কতিপয় মুসলমান লেখক সকল মুসলিম ভাইয়ের প্রতি সুধারণা পোষণ করার কারণে গবেষণা ও অনুসন্ধান ব্যতিরেকেই তাদের বানোয়াট কাহিনীগুলোকে বিশুদ্ধ হাদীস ও ইতিহাসের সমপর্যায়ভুক্ত বিবেচনা করে লিপিবদ্ধ করেছেন।
অবিকৃত গ্রন্থ আল-কোরআন
- প্রকাশিত হয়েছে
এ প্রবন্ধের উদ্দেশ্য হল শিয়া-সুন্নি উভয় মাজহাবের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে কোরআন অবিকৃত থাকার সপক্ষে উপস্থাপিত প্রমাণসমূহ সম্পর্কে অবগতি, বাহ্যদৃষ্টিতে যে সকল হাদীস থেকে কোরআন বিকৃত হয়েছে বলে ধারণা করা হয় তার সমাধান ও ব্যাখ্যা, কোরআনের সমগ্র বাণী ও মূলপাঠ্য নির্ভরযোগ্য হওয়ার বিষয়টি প্রমাণের পদ্ধতি সম্পর্কিত পর্যালোচনা এবং কোরআনের বাণীর বাহ্যিক অর্থের প্রামাণ্যতার ক্ষেত্রে তার প্রভাব।
একমাত্র অবিকৃত ঐশী গ্রন্থ : আল কোরআন
- প্রকাশিত হয়েছে
কোরআন মজীদের প্রকৃতিগত বৈশিষ্ট্যের কারণেই এতে কোনোরূপ সংযোজন-বিয়োজন সম্ভব ছিলো না। এরপরও হযরত রাসূলে আকরাম (ছ্বাঃ)-এর জীবদ্দশায় কেউ সে চেষ্টা করলে বিন্দুমাত্র সফল হওয়ার সম্ভাবনা ছিলো না। কারণ, কোরআন পাঠ বা উদ্ধৃতকরণের ক্ষেত্রে কারো কাছ থেকে কোনো ব্যতিক্রমী কিছু গোচরে এলে ছ্বাহাবীগণ অবশ্যই তা রাসূলুল্লাহ্ (ছ্বাঃ)-এর গোচরে আনতেন এবং এর ফলে বিকৃতিকারী ইসলামের দুশমন হিসেবে চিহ্নিত ও মুসলিম সমাজ থেকে বহিষ্কৃত হতো।
কোরআন এবং বিজ্ঞান
- প্রকাশিত হয়েছে
পবিত্র কোরআন এবং বিজ্ঞান এ দুটো মোটেই পরস্পরের সংগে সাংঘর্ষিক নয়। কোরআন যদিও বিজ্ঞান গ্রন্থ নয় কিন্তু বিজ্ঞানের চর্চাকে গভীরভাবে উৎসাহিত করে। আর বিজ্ঞান হচ্ছে মানুষের অবস্থা পরিবর্তন এবং মানুষের প্রকৃতিকে জানার একটা হাতিয়ার।
কোরআন মজীদ কি অনাদি, নাকি সৃষ্ট?
- প্রকাশিত হয়েছে
-
- লেখক:
- নুর হোসেন মজিদী
কোরআন মজীদ হচ্ছে মানুষের জন্য আল্লাহ্ তা‘আলার পক্ষ থেকে প্রেরিত পথনির্দেশ; এ ব্যাপারে সন্দেহের অবকাশ নেই। কিন্তু ইসলামের প্রথম যুগের বেশ পরে তৎকালীন আলেমদের মধ্যে প্রশ্ন ওঠে : কোরআন কি অনাদি, নাকি সৃষ্ট?
মানুষের সঙ্গে প্রকৃতির সম্পর্ক
- প্রকাশিত হয়েছে
ইসলামে প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক কৃষকের সঙ্গে ক্ষেতের বা ব্যাবসায়ীর সঙ্গে ব্যবসা ক্ষেত্র অথবা উপাসক ও উপাসনালয়ের মতো। কৃষকের জন্য কৃষিক্ষেত্র লক্ষ্য নয় বরং মাধ্যম।
কোরআন মজীদ: একমাত্র অবিকৃত ঐশী কিতাব
- প্রকাশিত হয়েছে
-
- লেখক:
- নূর হোসেন মজিদী
আর কোরআন মজীদ সাক্ষ্য দিয়েছে যে, ঐ সব নবী-রাসূলের (‘আঃ) কাছে যে সব আসমানী গ্রন্থ নাযিল হয়েছিলো তাঁদের পরে তাঁদের অনুসারী হবার দাবীদার লোকেরা সে সব গ্রন্থকে বিকৃত করেছে এবং সেগুলোর অংশষবিশেষকে লুকিয়ে ফেলেছে। এছাড়া কোরআন মজীদ হযরত মুহাম্মাদ্ (ছ্বাঃ)কে “রাহমাতাল্লিল্ ‘আালামীন্ - সমগ্র জগতবাসীর জন্য দয়া ও অনুগ্রহের মূর্ত রূপ”
আল-কুরআনের মু’জিযা: একটি যুক্তিপূর্ণ আলোচনা
- প্রকাশিত হয়েছে
আমরা মুসলিমরা আল কুরআনকে ভালোবাসি, তেলাওয়াত করি, আমাদের ঘরের সব থেকে উঁচু জায়গায় যত্নের সাথে, শ্রদ্ধাভরে রেখে দেই, অথচ কুরআনের নির্দেশমত জীবন গঠন করার ব্যাপারে উদাসীন, এবং প্রয়োজনে কুরআনের বিরুদ্ধাচারণ করি, বিরূপ মনোভাব পোষণ করি- অথচ অনেক অমুসলিম মনীষী কুরআন সম্পর্কে অলৌকিক মন্তব্য করেছেন- যা সত্যিই আশ্চর্য লাগে।