জিয়ারতে আশুরার ফজিলত
![আল হোসাইন (আ.)](http://alhassanain.org/bengali/images/ya-hussain-wallpapers-2012.jpg)
এ সময় পুনরায় ইমামকে প্রশ্ন করা হল যে, এ সওয়াবের সৌভাগ্য তো কেবল কারবালার অধিবাসীরাই পাবেন। কারণ, যারা কারবালা নগরী থেকে দূরে অবস্থান করছেন তারা কিভাবে আশুরার দিনে ইমাম হুসাইন(আ.)এর মাজার জিয়ারত করে ঐ সওয়াবের অধিকারী হবেন? উত্তরে ইমাম (আ.)বলেন: যারা কারবালা থেকে দুরে অবস্থান করছে তারা যেন কোন মরূদ্যানে (ফাঁকা মাঠে) বা নিজের বাড়ীর ছাদে উঠে ক্বাবামুখী হয়ে ইমাম হুসাইন(আ.)কে ইশারা করে সালাম দেয়,দরুদ পড়ে ও তাঁর শত্রুদের(খুনির) প্রতি অভিসম্পাত বা লানত করে এবং এরপর দু'রাকআত নামাজ পড়ে, (দুপুরে সূর্য হেলে পড়ার আগেই তা করা উত্তম)। এরপর নিজের ত্রুটি ও পাপগুলো স্মরণ করে তওবা করে এবং ইমাম হুসাইনকে(আ.)স্মরণ করে ক্রন্দন করে, একইসাথে বাড়ীতে উপস্থিত সবাইকে ক্রন্দনে উৎসাহ যোগায়।এভাবে কেউ যদি নিজেকে ও নিজের বাড়ীর লোকদেরকে শোকার্ত করে তোলে তাহলে আমি নিশ্চিতভাবে উক্ত সওয়াব লাভের প্রতিশ্রুতি তাকে দিচ্ছি।
রাবী পুনরায় ইমাম বাকের(আ.)কে প্রশ্ন করেন, আমরা পরস্পরকে কিভাবে সমবেদনা জানাব?তিনি বললেনঃ প্রভু ইমাম সাইন(আ.)এর শোক-সভায় আমাদের জন্য সওয়াব ও পুরস্কারাদি রাখবেন। আর আমাদেরকে এবং আপনাকে ইমাম হুসাইন(আ.)এর রক্তের প্রতিশোধ গ্রহণে, ইমাম মাহদী(আ.)এর সাথীতে পরিণত করবেন। ( মাফাতিহুল জিনান )
উল্লেখ্য, যেভাবে মরহুম নুরী (রহ.) ‘নাহজুল সিকাব’ নামক গ্রন্থে এবং শেইখ আব্বাস কুমী ‘মাফাতিহুল জিনান’ গ্রন্থে যা বর্ণনা করেছেন তা হল, এটা এমন একটি জিয়ারত যা পড়ার জন্য স্বয়ং ইমাম হুসাইন (আ.) নির্দেশ দিয়েছেন । তাই নিয়মিত এ জিয়ারতটি পাঠ করা উচিত।
জিয়ারতে আশুরার বাংলা অনুবাদ
হে আবা আব্দুল্লাহ (ইমাম হুসাইন আ.’র উপাধি)! আপনার প্রতি সালাম, হে আল্লাহর রাসূল (সা.)’র সন্তান! আপনার প্রতি সালাম, হে আমিরুল মুমিনীনের সন্তান এবং মুসলমানদের অভিভাবক বা ওয়াসিকুলের নেতার সন্তান! আপনার প্রতি সালাম, হে বিশ্বের নারীকুল নেত্রীর সন্তান! আপনার প্রতি সালাম, হে আল্লাহর নির্বাচিত (আল্লাহর সব কল্যাণকর সৃষ্টির মধ্যে সর্বোত্তম হিসেবে) ও নির্বাচিত ব্যক্তির সন্তান! আপনার প্রতি সালাম। আপনার প্রতি সালাম যিনি আল্লাহর খুন তথা আল্লাহর(ধর্মের) জন্য বীরত্বপূর্ণভাবে যুদ্ধ করে শহীদ বা কুরবানি হয়েছেন এবং যিনি আল্লাহর জন্য কুরবানি হওয়া ব্যক্তির সন্তান এবং আপনাকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল ও বিদ্বেষ নিয়ে আপনার ওপর হামলা করা হয়েছিল।(আপনি ঐ মহান ব্যক্তি,যার নিজের ও পিতার রক্তের প্রতিশোধ এবং আপনার প্রতি অবিচার ও জুলুমের বিচার স্বয়ং প্রভুই গ্রহণ করবেন)আপনার প্রতি সালাম এবং তাঁদের পবিত্র আত্মার প্রতি যাঁদের আত্মা আপনার পবিত্র আস্তানায় সমবেত হয়েছে ও আপনার সহযোগী ও সহগামী হয়েছে। আপনাদের সকলের (ইমাম ও তাঁর সাথীবর্গ) উপর অনন্তকাল যাবত আমার দরুদ ও সালাম। আপনাদের উপর আল্লাহর সালাম বর্ষিত হোক যতদিন আমি আছি, ও এই বিশ্বে দিবা-নিশির আবর্তন ঘটে। (আমি আপনাদের সবার জন্য চির-প্রশান্তি ও সুখ কামনা করছি আল্লাহর কাছে। হে আবা আব্দুল্লাহ! আল্লাহর দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক আপনার ওপর।
আমাদের ও প্রত্যেক খাঁটি মুসলমানের জন্য সেসব ঘটনা ছিল হৃদয়-বিদারক ও অসহনীয় যন্ত্রণাদায়ক ছিল যা আপনারা মোকাবেলা করেছেন। আপনাদের ওপর যেসব জুলুম ও অপরাধ চালানো হয়েছে আসমানে অবস্থানকারী সকলের জন্য তা ছিল চরম বেদনাময় ও মর্মস্পর্শী । তাই আল্লাহর অভিশাপ তাদের ওপর যারা আপনাদের এবং রাসুল (সঃ) -এর আহলে বাইতের প্রতি অত্যাচারের ভিত্তি রচনা করেছে।
এ ছাড়াও আল্লাহর অভিশাপ তাদের ওপর যারা আপনাদের যথার্থ অবস্থান[খেলাফত] গ্রহণে বাধা দিয়েছিল এবং প্রভু আপনাদের যে বিশেষ পদ দান করেছিলেন তা ছিনিয়ে নিয়েছে। যারা আপনাদের শহীদ করেছে ও এ কাজে উস্কানী দিয়েছে তাদের উপর আল্লাহর অভিশাপ বর্ষিত হোক।
হে আল্লাহ! আমি আপনার দিকে মুখ ফিরাচ্ছি এবং মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছি তাদের দিক থেকে যারা আপনাদের হত্যায় দুর্নীতিপরায়ণ ও অত্যাচারী সরকারের প্রতি সম্মতি ও সমর্থন দিয়েছে । হে আবা আব্দুল্লাহ আমি ঐ সকল অত্যাচারী ও তাদের অনুসারী,অনুগামী ও সাথীদের প্রতি ঘৃণা প্রদর্শন করে প্রভু ও আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
হে আবা আব্দুল্লাহ! যারা আপনার সাথে বন্ধুত্ব করে আমি কেয়ামত পর্যন্ত তাদের বন্ধু আর যারা আপনার সাথে যুদ্ধে (শত্রুতা) লিপ্ত হয়,আমি কেয়ামত পর্যন্ত তাদের সাথে যুদ্ধ করি। আল্লাহর অভিশাপ বর্ষিত হোক জিয়াদের ও মারওয়ান বিন হিকামের বংশধরদের উপর। আল্লাহর অভিশাপ বর্ষিত হোক বনি উমাইয়াদের উপর- চরম অভিশাপ, মার্জানার পুত্রের উপর প্রভুর অভিশাপ বর্ষিত হোক। ওমর সা'দের উপর প্রভুর অভিশাপ বর্ষিত হোক। শীমার জিল জৌশানের উপর বর্ষিত হোক আল্লাহর অভিশাপ। ওদের সবার উপর আল্লাহর অভিশাপ বর্ষিত হোক। যারা ইমাম হুসাইন (আ.) -এর সাথে যুদ্ধের জন্য ঘোড়াদের সজ্জিত করেছিল এবং আপনাদের উপর অতর্কিত আক্রমণ করেছিল। যারা আপনার সাথে যুদ্ধে অগ্রসরে প্রস্তুত হয়েছিল।
আমার বাবা মা আপনার জন্য উতসর্গীকৃত হোক, আপনার উপর আরোপিত অত্যাচার ও নৃশংসতার শোক সম্ভার আমাদের হৃদয়কে অসহনীয় বেদনাতুর ও মর্মাহত করে তুলেছে। তাই যে প্রভু আপনার অবস্থানকে উন্নত করেছেন এবং আপনার ভালবাসার মাধ্যমে আমাকে সম্মানিত করেছেন, তাঁরই কাছে প্রার্থনা করি । হে প্রভু আমাকে এমন একদিনের সৌভাগ্য দাও যেদিন মুহাম্মদ (সঃ) ও তাঁর আহলে বাইতগণ (আ.)’র সদস্য ইমাম হযরত মাহদী (আ.)-কে সহযোগিতা করে আপনার রক্তের প্রতিশোধ গ্রহণকারীদের মধ্যে অন্যতম হতে পারি।
হে প্রভু! আমাকে ইমাম হুসাইন (আ.)’র [শাফায়াত ও ভালবাসার] মাধ্যমে আপনার কাছে পরকাল ও ইহকালে সম্মানিত ও সৌভাগ্যমন্ডিত কর । হে আবা আব্দুল্লাহ! আমি প্রভুর দরবারের নৈকট্য প্রার্থনা করি,একই সাথে হযরত রাসুল (সঃ),আমিরুল মুমেনীন (আ.),ফাতেমা (সা.),হাসান (আ.) ওআপনার নৈকট্য প্রার্থনা করি । এ নৈকট্য প্রার্থনার মাধ্যম হল আপনার প্রতি ভালোবাসা ও বন্ধুত্ব এবং আপনাদের আহলে বাইত (আ.)দের প্রতি অন্যায় ও অত্যাচারের ভিত্তি রচয়িতাদের প্রতি ঘৃণা প্রদর্শন আরও ঘৃণা প্রদর্শন করি যারা তাদেরকে অনুসরণ করেছে। প্রভুর দরবারে ও আপনারা আল্লাহর প্রতিনিধি,আপনাদের কাছে ঐ অত্যাচারী ও জালিম লোকদের প্রতি ঘৃণা প্রদর্শন করেছি। প্রভুর দরবারে প্রথমে নৈকট্য প্রার্থনা করি অতঃপর আপনাদের [আল্লাহর প্রতিনিধি]। আপনার প্রতি ভালবাসা ও আপনাদের বন্ধুদের প্রতি বন্ধুত্বের মাধ্যমে, এবং আপনাদের শত্রুদের প্রতি ঘৃণা প্রদর্শন করে আর যারা আপনাদের সাথে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছে, আপনাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে,একই সাথে তাঁদের অনুসারী ও অনুগামীদের প্রতি ঘৃণা প্রদর্শন করি ।
হে ইমাম যারা আপনাদের সাথে বন্ধুত্ব রাখে তারা আমার বন্ধু আর যারা আপনাদের সাথে যুদ্ধ করে তাদের সাথে আমি যুদ্ধে অবতীর্ণ হই। যারা আপনাদের সাথে বন্ধুত্ব করে আমি তাদের সাথে বন্ধুত্ব করি। আর যারা আপনাদের সাথে শত্রুতা করে আমিও তাদের সাথে শত্রুতা করি।
তাই মহান প্রভুর কাছে প্রার্থনা করি যেন আমাকে আপনাদের বন্ধুত্বে ও যথার্থ পরিচিতির মাধ্যমে ধন্য করেন। একই সাথে আপনাদের শত্রুদের প্রতি সর্বদা ঘৃণা প্রদর্শনকে আমার জীবিকায় পরিণত করে দেন। আমাদেরকে যেন দুনিয়া ও আখেরাতে আপনাদের সাহচর্য দান করেন এবং পৃথিবী ও পরকালে আপনাদের সত্য অবস্থানের পথে আমাকে সুদৃঢ় রাখেন।
পুনরায় প্রভুর কাছে আবেদন করি,আপনাদের জন্য নির্ধারিত 'মাহমুদ'অবস্থানে আমাকেও [ক্ষমতানুযায়ী] উত্তীর্ণ করেন। প্রভু যেন আমার সৌভাগ্যে রাখেন, যাতে আবির্ভাবকারী সত্যভাষী ইমাম মাহদী (আ.) -এর সাথে আপনাদের রক্তের প্রতিশোধ গ্রহণকারী হিসেবে থাকতে পারি । প্রভুর দরবারে আপনাদের যথার্থ সম্মান ও নৈকট্যশীল অবস্থানের উসিলায় আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি , আপনাদের অসহনীয় শোকে শোকাহত মূর্ছাহত হওয়ার সওয়াব প্রতি শোকাহতকে উত্তম সওয়াব দান করেন। আমাকেও যেন ঐ পুণ্য দান করেন।
আপনাদের (আহলে বাইত) শোক মুসলিম বিশ্বকে বরং সমগ্র বিশ্ব আসমান ও জমিনের প্রতি ছিল অসহনীয় বেদনাতুর । আর শোকাহতদের প্রতি অসহনীয়। হে প্রভু আমি এখন যে অবস্থানে আছি আমাকে তাঁদের শান্তি অনুগ্রহ, ও ক্ষমা থেকে আমাকেও পরিতৃপ্ত কর । হে প্রভু আমি এখন যে অবস্থানে আছি আমাকে তাঁদের শান্তি অনুগ্রহ,ও ক্ষমা থেকে আমাকেও পরিতৃপ্ত কর।
হে প্রভু আমাকে মুহাম্মদ(স.) ও তাঁর পবিত্র আহলে বাইত(আ.)-এর ধর্মে জীবিত রাখ এবং ঐ আদর্শে মৃত্যুবরণ করাও ।
হে প্রভু আজকের [আশুরা] এদিন,যেদিনে উমাইয়া বংশের কলিজা ভক্ষণকারী নারীর [হিন্দা] পুত্র ও অভিশপ্ত মুয়াবিয়ার অভিশপ্ত ও অপবিত্র পুত্র ইয়াজিদকে আপনার ভাষায় এবং আপনার রাসুল (সঃ) -এর ভাষায় [অভিসম্পাত কর] আপনার রাসুল (সঃ) যে সকল স্থান ও অবস্থানে অবস্থান নিয়েছিলেন,(সকল স্থানে তাদেরকে অভিসম্পাতের মাধ্যমে স্মরণ করেছেন)।
হে প্রভু আবু সুফিয়ানের প্রতি অভিশাপ বর্ষণ কর ও তার পুত্র মু'য়াবিয়া এবং তার পুত্র ইয়াজিদ,এদের সকলের উপর অনন্ত অভিশাপ বর্ষণ কর।
আজকের [আশুরার] এদিন যে দিন আলে জিয়াদ বিন আবিহা ও আলে মারওয়ান বিন হিকাম যারা ইমাম হুসাইনকে (আ.) হত্যার মাধ্যমে আনন্দ করেছিল,হে প্রভু আপনিই আপনার অভিসম্পাত ও কঠিন শাস্তিকে তাদের উপর কয়েকগুণ বৃদ্ধি করে দাও।
হে প্রভু আমি আজকের এদিনে এই স্থানে ও জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে তাদের প্রতি ঘৃণা প্রদর্শন ও জালিমদের উপর অভিসম্পাত ও শত্রুতা করি এবং আপনার নবী ও তাঁর আহলে বাইত (আ.)’র প্রতি ভালবাসার মাধ্যমে আপনার নৈকট্য প্রার্থনা করি ।
এরপর একশ বার বলতে হবে
হে প্রভু আপনি তাদের প্রতি অভিশাপ বর্ষণ করুন যারা মুহাম্মদ ও তাঁর আহলে বাইতগন (আ.)’র প্রতি প্রথম জুলুম করেছে এবং সর্বশেষ জালিম যে,প্রথম জালিমকে তার জুলুমের ক্ষেত্রে অনুসরণ করেছে। হে প্রভু যে লোকেরা ইমাম হুসাইন (আ.) -এর সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিল,তাদের উপর অভিসম্পাত বর্ষণ কর। আর তাদের অনুসারী অনুগামী ও তাদের আনুগত্য স্বীকারকারীদের প্রত্যেকের উপর অভিশাপ বর্ষণ কর।অতঃপর একশ বার পাঠ করবেন
হে আবা আবদুল্লাহ! আপনার প্রতি ও আপনার পবিত্র সত্তার প্রতি সালাম,যে সত্তা সমাধিত হয়েছে। আমার পক্ষ থেকে আল্লাহর সালাম অনন্তকাল ব্যাপী,যতদিন এই দিবা-নিশি অবিচল আছে। প্রভু যেন এ জিয়ারতকেই আমার জীবনের শেষ জিয়ারতে পরিণত করে না দেন । ইমাম হুসাইন (আ.)’র সন্তানগণ ও ইমাম হুসাইন(আ.)’র সাথীদের প্রতি সালাম।
তারপর বলতে হবে
হে প্রভু আমার অভিসম্পাতকে আহলে বাইত (আ.)’র উপর প্রথম অত্যাচারী জালিমের জন্য নির্ধারিত করে দাও, যে অত্যাচার দ্বারা সে অত্যাচারের সূচনা করেছিল । অতঃপর দ্বিতীয় অত্যাচারী, এরপর তৃতীয় অত্যাচারী, তারপর চতুর্থ জালিমের উপর [আমার অভিশাপ বর্ষণ কর]। হে প্রভু পঞ্চম ব্যক্তি ইয়াজিদের উপর অভিশাপ বর্ষণ কর । আব্দুল্লাহ বিন জিয়াদ ও ইবনে মারজানাহ, ওমর বিন সা'দ, শীমার, আলে আবু সুফিয়ান,আলে জিয়াদ,আলে মারওয়ান,এদের সকলের উপর কিয়ামত পর্যন্ত অভিশাপ বর্ষণ কর। অতঃপর সিজদায় অবনত হয়ে বলতে হবে ।
হে প্রভু আমি আপনার কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি প্রকৃত কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনকারীদের ন্যায়। আহলে বাইত (আ.) -এর শোকে আমি যে শোকার্ত আমার এ আজাদারী ও শোকানুভুতিতে আল্লাহর প্রশংসা। হে প্রভু যেদিন আপনার সম্মুখে দণ্ডায়মান হব সেদিন ইমাম হুসাইন (আ.)’র শাফায়াত আমার ভাগ্যে রাখ। আর আপনার কাছে হুসাইন (আ.) ও তাঁর যে সকল সাথীরা খোদার পথে জীবন উৎসর্গ করেছে তাঁদের সাথে আমাকে আপনার কাছে সত্যে অবিচল রাখ।
জিয়ারতে আশুরার আরবী টেক্সট
اَلسَّلاَمُ عَلَيْكَ يَا أَبَا عَبْدِ اللَّهِ السَّلاَمُ عَلَيْكَ يَا ابْنَ رَسُولِ اللَّهِ
السَّلاَمُ عَلَيْكَ يَا خِيَرَةَ اللَّهِ وَ ابْنَ خِيَرَتِه السَّلاَمُ عَلَيْكَ يَا ابْنَ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ وَ ابْنَ سَيِّدِ الْوَصِيِّينَ
السَّلاَمُ عَلَيْكَ يَا ابْنَ فَاطِمَةَ سَيِّدَةِ نِسَاءِ الْعَالَمِينَ
السَّلاَمُ عَلَيْكَ يَا ثَارَ اللَّهِ وَ ابْنَ ثَارِهِ وَ الْوِتْرَ الْمَوْتُورَ
السَّلاَمُ عَلَيْكَ وَ عَلَى الْأَرْوَاحِ الَّتِي حَلَّتْ بِفِنَائِكَ عَلَيْكُمْ مِنِّي جَمِيعاً سَلاَمُ اللَّهِ أَبَداً مَا بَقِيتُ وَ بَقِيَ اللَّيْلُ وَ النَّهَارُ
يَا أَبَا عَبْدِ اللَّهِ لَقَدْ عَظُمَتِ الرَّزِيَّةُ وَ جَلَّتْ وَ عَظُمَتِ الْمُصِيبَةُ بِكَ (بِكُمْ) عَلَيْنَا وَ عَلَى جَمِيعِ أَهْلِ الْإِسْلاَمِ
وَ جَلَّتْ وَ عَظُمَتْ مُصِيبَتُكَ فِي السَّمَاوَاتِ عَلَى جَمِيعِ أَهْلِ السَّمَاوَاتِ
فَلَعَنَ اللَّهُ أُمَّةً أَسَّسَتْ أَسَاسَ الظُّلْمِ وَ الْجَوْرِ عَلَيْكُمْ أَهْلَ الْبَيْتِ
وَ لَعَنَ اللَّهُ أُمَّةً دَفَعَتْكُمْ عَنْ مَقَامِكُمْ وَ أَزَالَتْكُمْ عَنْ مَرَاتِبِكُمُ الَّتِي رَتَّبَكُمُ اللَّهُ فِيهَا
وَ لَعَنَ اللَّهُ أُمَّةً قَتَلَتْكُمْ وَ لَعَنَ اللَّهُ الْمُمَهِّدِينَ لَهُمْ بِالتَّمْكِينِ مِنْ قِتَالِكُمْ
بَرِئْتُ إِلَى اللَّهِ وَ إِلَيْكُمْ مِنْهُمْ وَ (مِنْ) أَشْيَاعِهِمْ وَ أَتْبَاعِهِمْ وَ أَوْلِيَائِهِمْ
يَا أَبَا عَبْدِ اللَّهِ إِنِّي سِلْمٌ لِمَنْ سَالَمَكُمْ وَ حَرْبٌ لِمَنْ حَارَبَكُمْ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ
وَ لَعَنَ اللَّهُ آلَ زِيَادٍ وَ آلَ مَرْوَانَ وَ لَعَنَ اللَّهُ بَنِي أُمَيَّةَ قَاطِبَةً وَ لَعَنَ اللَّهُ ابْنَ مَرْجَانَةَ
وَ لَعَنَ اللَّهُ عُمَرَ بْنَ سَعْدٍ وَ لَعَنَ اللَّهُ شِمْراً (شَمِراً)
وَ لَعَنَ اللَّهُ أُمَّةً أَسْرَجَتْ وَ أَلْجَمَتْ وَ تَنَقَّبَتْ لِقِتَالِكَ بِأَبِي أَنْتَ وَ أُمِّي
لَقَدْ عَظُمَ مُصَابِي بِكَ فَأَسْأَلُ اللَّهَ الَّذِي أَكْرَمَ مَقَامَكَ وَ أَكْرَمَنِي (بِكَ)
أَنْ يَرْزُقَنِي طَلَبَ ثَارِكَ مَعَ إِمَامٍ مَنْصُورٍ مِنْ أَهْلِ بَيْتِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَ آلِهِ
اللَّهُمَّ اجْعَلْنِي عِنْدَكَ وَجِيهاً بِالْحُسَيْنِ عليه السلام فِي الدُّنْيَا وَ الْآخِرَةِ
يَا أَبَا عَبْدِ اللَّهِ إِنِّي أَتَقَرَّبُ إِلَى اللَّهِ وَ إِلَى رَسُولِهِ وَ إِلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ
وَ إِلَى فَاطِمَةَ وَ إِلَى الْحَسَنِ وَ إِلَيْكَ بِمُوَالاَتِكَ
وَ بِالْبَرَاءَةِ (مِمَّنْ قَاتَلَكَ وَ نَصَبَ لَكَ الْحَرْبَ وَ بِالْبَرَاءَةِ مِمَّنْ أَسَّسَ أَسَاسَ الظُّلْمِ وَ الْجَوْرِ عَلَيْكُمْ
وَ أَبْرَأُ إِلَى اللَّهِ وَ إِلَى رَسُولِهِ) مِمَّنْ أَسَّسَ أَسَاسَ ذَلِكَ وَ بَنَى عَلَيْهِ بُنْيَانَهُ
وَ جَرَى فِي ظُلْمِهِ وَ جَوْرِهِ عَلَيْكُمْ وَ عَلَى أَشْيَاعِكُمْ بَرِئْتُ إِلَى اللَّهِ وَ إِلَيْكُمْ مِنْهُمْ
وَ أَتَقَرَّبُ إِلَى اللَّهِ ثُمَّ إِلَيْكُمْ بِمُوَالاَتِكُمْ وَ مُوَالاَةِ وَلِيِّكُمْ
وَ بِالْبَرَاءَةِ مِنْ أَعْدَائِكُمْ وَ النَّاصِبِينَ لَكُمُ الْحَرْبَ وَ بِالْبَرَاءَةِ مِنْ أَشْيَاعِهِمْ وَ أَتْبَاعِهِمْ
إِنِّي سِلْمٌ لِمَنْ سَالَمَكُمْ وَ حَرْبٌ لِمَنْ حَارَبَكُمْ وَ وَلِيٌّ لِمَنْ وَالاَكُمْ وَ عَدُوٌّ لِمَنْ عَادَاكُمْ
فَأَسْأَلُ اللَّهَ الَّذِي أَكْرَمَنِي بِمَعْرِفَتِكُمْ وَ مَعْرِفَةِ أَوْلِيَائِكُمْ وَ رَزَقَنِي الْبَرَاءَةَ مِنْ أَعْدَائِكُمْ
أَنْ يَجْعَلَنِي مَعَكُمْ فِي الدُّنْيَا وَ الْآخِرَةِ وَ أَنْ يُثَبِّتَ لِي عِنْدَكُمْ قَدَمَ صِدْقٍ فِي الدُّنْيَا وَ الْآخِرَةِ
وَ أَسْأَلُهُ أَنْ يُبَلِّغَنِي الْمَقَامَ الْمَحْمُودَ لَكُمْ عِنْدَ اللَّهِ
وَ أَنْ يَرْزُقَنِي طَلَبَ ثَارِي (ثَارَكُمْ) مَعَ إِمَامٍ هُدًى (مَهْدِيٍّ) ظَاهِرٍ نَاطِقٍ بِالْحَقِّ مِنْكُمْ
وَ أَسْأَلُ اللَّهَ بِحَقِّكُمْ وَ بِالشَّأْنِ الَّذِي لَكُمْ عِنْدَهُ أَنْ يُعْطِيَنِي بِمُصَابِي بِكُمْ أَفْضَلَ مَا يُعْطِي مُصَاباً بِمُصِيبَتِهِ
مُصِيبَةً مَا أَعْظَمَهَا وَ أَعْظَمَ رَزِيَّتَهَا فِي الْإِسْلاَمِ وَ فِي جَمِيعِ السَّمَاوَاتِ وَ الْأَرْضِ (الْأَرَضِينَ)
اللَّهُمَّ اجْعَلْنِي فِي مَقَامِي هَذَا مِمَّنْ تَنَالُهُ مِنْكَ صَلَوَاتٌ وَ رَحْمَةٌ وَ مَغْفِرَةٌ
اللَّهُمَّ اجْعَلْ مَحْيَايَ مَحْيَا مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ وَ مَمَاتِي مَمَاتَ مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ
اللَّهُمَّ إِنَّ هَذَا يَوْمٌ تَبَرَّكَتْ بِهِ (فِيهِ) بَنُو أُمَيَّةَ وَ ابْنُ آكِلَةِ الْأَكْبَادِ
اللَّعِينُ ابْنُ اللَّعِينِ عَلَى (لِسَانِكَ) وَ لِسَانِ نَبِيِّكَ (صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَ آلِهِ)
فِي كُلِّ مَوْطِنٍ وَ مَوْقِفٍ وَقَفَ فِيهِ نَبِيُّكَ (صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَ آلِهِ)
اللَّهُمَّ الْعَنْ أَبَا سُفْيَانَ وَ مُعَاوِيَةَ وَ يَزِيدَ بْنَ مُعَاوِيَةَ عَلَيْهِمْ مِنْكَ اللَّعْنَةُ أَبَدَ الْآبِدِينَ
وَ هَذَا يَوْمٌ فَرِحَتْ بِهِ آلُ زِيَادٍ وَ آلُ مَرْوَانَ بِقَتْلِهِمُ الْحُسَيْنَ صَلَوَاتُ اللَّهِ عَلَيْهِ (عَلَيْهِ السَّلاَمُ)
اللَّهُمَّ فَضَاعِفْ عَلَيْهِمُ اللَّعْنَ مِنْكَ وَ الْعَذَابَ (الْأَلِيمَ)
اللَّهُمَّ إِنِّي أَتَقَرَّبُ إِلَيْكَ فِي هَذَا الْيَوْمِ وَ فِي مَوْقِفِي هَذَا وَ أَيَّامِ حَيَاتِي
بِالْبَرَاءَةِ مِنْهُمْ وَ اللَّعْنَةِ عَلَيْهِمْ وَ بِالْمُوَالاَةِ لِنَبِيِّكَ وَ آلِ نَبِيِّكَ (عَلَيْهِ وَ) عَلَيْهِمُ السَّلاَمُ
একশত বার বলুন :
اللَّهُمَّ الْعَنْ أَوَّلَ ظَالِمٍ ظَلَمَ حَقَّ مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ وَ آخِرَ تَابِعٍ لَهُ عَلَى ذَلِكَ
اللَّهُمَّ الْعَنِ الْعِصَابَةَ الَّتِي (الَّذِينَ) جَاهَدَتِ الْحُسَيْنَ وَ شَايَعَتْ وَ بَايَعَتْ وَ تَابَعَتْ (تَايَعَتْ) عَلَى قَتْلِهِ اللَّهُمَّ الْعَنْهُمْ جَمِيعاً
একশত বার বলুন :
السَّلاَمُ عَلَيْكَ يَا أَبَا عَبْدِ اللَّهِ وَ عَلَى الْأَرْوَاحِ الَّتِي حَلَّتْ بِفِنَائِكَ
عَلَيْكَ مِنِّي سَلاَمُ اللَّهِ أَبَداً مَا بَقِيتُ وَ بَقِيَ اللَّيْلُ وَ النَّهَارُ
وَ لاَ جَعَلَهُ اللَّهُ آخِرَ الْعَهْدِ مِنِّي لِزِيَارَتِكُمْ (لِزِيَارَتِكَ)
السَّلاَمُ عَلَى الْحُسَيْنِ وَ عَلَى عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ (وَ عَلَى أَوْلاَدِ الْحُسَيْنِ ) وَ عَلَى أَصْحَابِ الْحُسَيْنِ
پس مىگويى
اللَّهُمَّ خُصَّ أَنْتَ أَوَّلَ ظَالِمٍ بِاللَّعْنِ مِنِّي وَ ابْدَأْ بِهِ أَوَّلاً ثُمَّ (الْعَنِ) الثَّانِيَ وَ الثَّالِثَ وَ الرَّابِعَ
اللَّهُمَّ الْعَنْ يَزِيدَ خَامِساً وَ الْعَنْ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ زِيَادٍ وَ ابْنَ مَرْجَانَةَ
وَ عُمَرَ بْنَ سَعْدٍ وَ شِمْراً وَ آلَ أَبِي سُفْيَانَ وَ آلَ زِيَادٍ وَ آلَ مَرْوَانَ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ
সিজদায় গিয়ে বলুন :
اللَّهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ حَمْدَ الشَّاكِرِينَ لَكَ عَلَى مُصَابِهِمْ الْحَمْدُ لِلَّهِ عَلَى عَظِيمِ رَزِيَّتِي
اللَّهُمَّ ارْزُقْنِي شَفَاعَةَ الْحُسَيْنِ يَوْمَ الْوُرُودِ
وَ ثَبِّتْ لِي قَدَمَ صِدْقٍ عِنْدَكَ مَعَ الْحُسَيْنِ وَ أَصْحَابِ الْحُسَيْنِ الَّذِينَ بَذَلُوا مُهَجَهُمْ دُونَ الْحُسَيْنِ عليه السلام
السَّلاَمُ عَلَيْكَ يَا ابْنَ فَاطِمَةَ سَيِّدَةِ نِسَاءِ الْعَالَمِينَ
السَّلاَمُ عَلَيْكَ يَا ثَارَ اللَّهِ وَ ابْنَ ثَارِهِ وَ الْوِتْرَ الْمَوْتُورَ
السَّلاَمُ عَلَيْكَ وَ عَلَى الْأَرْوَاحِ الَّتِي حَلَّتْ بِفِنَائِكَ عَلَيْكُمْ مِنِّي جَمِيعاً سَلاَمُ اللَّهِ أَبَداً مَا بَقِيتُ وَ بَقِيَ اللَّيْلُ وَ النَّهَارُ
يَا أَبَا عَبْدِ اللَّهِ لَقَدْ عَظُمَتِ الرَّزِيَّةُ وَ جَلَّتْ وَ عَظُمَتِ الْمُصِيبَةُ بِكَ (بِكُمْ) عَلَيْنَا وَ عَلَى جَمِيعِ أَهْلِ الْإِسْلاَمِ
وَ جَلَّتْ وَ عَظُمَتْ مُصِيبَتُكَ فِي السَّمَاوَاتِ عَلَى جَمِيعِ أَهْلِ السَّمَاوَاتِ
فَلَعَنَ اللَّهُ أُمَّةً أَسَّسَتْ أَسَاسَ الظُّلْمِ وَ الْجَوْرِ عَلَيْكُمْ أَهْلَ الْبَيْتِ
وَ لَعَنَ اللَّهُ أُمَّةً دَفَعَتْكُمْ عَنْ مَقَامِكُمْ وَ أَزَالَتْكُمْ عَنْ مَرَاتِبِكُمُ الَّتِي رَتَّبَكُمُ اللَّهُ فِيهَا
وَ لَعَنَ اللَّهُ أُمَّةً قَتَلَتْكُمْ وَ لَعَنَ اللَّهُ الْمُمَهِّدِينَ لَهُمْ بِالتَّمْكِينِ مِنْ قِتَالِكُمْ
بَرِئْتُ إِلَى اللَّهِ وَ إِلَيْكُمْ مِنْهُمْ وَ (مِنْ) أَشْيَاعِهِمْ وَ أَتْبَاعِهِمْ وَ أَوْلِيَائِهِمْ
يَا أَبَا عَبْدِ اللَّهِ إِنِّي سِلْمٌ لِمَنْ سَالَمَكُمْ وَ حَرْبٌ لِمَنْ حَارَبَكُمْ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ
وَ لَعَنَ اللَّهُ آلَ زِيَادٍ وَ آلَ مَرْوَانَ وَ لَعَنَ اللَّهُ بَنِي أُمَيَّةَ قَاطِبَةً وَ لَعَنَ اللَّهُ ابْنَ مَرْجَانَةَ
وَ لَعَنَ اللَّهُ عُمَرَ بْنَ سَعْدٍ وَ لَعَنَ اللَّهُ شِمْراً (شَمِراً)
وَ لَعَنَ اللَّهُ أُمَّةً أَسْرَجَتْ وَ أَلْجَمَتْ وَ تَنَقَّبَتْ لِقِتَالِكَ بِأَبِي أَنْتَ وَ أُمِّي
لَقَدْ عَظُمَ مُصَابِي بِكَ فَأَسْأَلُ اللَّهَ الَّذِي أَكْرَمَ مَقَامَكَ وَ أَكْرَمَنِي (بِكَ)
أَنْ يَرْزُقَنِي طَلَبَ ثَارِكَ مَعَ إِمَامٍ مَنْصُورٍ مِنْ أَهْلِ بَيْتِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَ آلِهِ
اللَّهُمَّ اجْعَلْنِي عِنْدَكَ وَجِيهاً بِالْحُسَيْنِ عليه السلام فِي الدُّنْيَا وَ الْآخِرَةِ
يَا أَبَا عَبْدِ اللَّهِ إِنِّي أَتَقَرَّبُ إِلَى اللَّهِ وَ إِلَى رَسُولِهِ وَ إِلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ
وَ إِلَى فَاطِمَةَ وَ إِلَى الْحَسَنِ وَ إِلَيْكَ بِمُوَالاَتِكَ
وَ بِالْبَرَاءَةِ (مِمَّنْ قَاتَلَكَ وَ نَصَبَ لَكَ الْحَرْبَ وَ بِالْبَرَاءَةِ مِمَّنْ أَسَّسَ أَسَاسَ الظُّلْمِ وَ الْجَوْرِ عَلَيْكُمْ
وَ أَبْرَأُ إِلَى اللَّهِ وَ إِلَى رَسُولِهِ) مِمَّنْ أَسَّسَ أَسَاسَ ذَلِكَ وَ بَنَى عَلَيْهِ بُنْيَانَهُ
وَ جَرَى فِي ظُلْمِهِ وَ جَوْرِهِ عَلَيْكُمْ وَ عَلَى أَشْيَاعِكُمْ بَرِئْتُ إِلَى اللَّهِ وَ إِلَيْكُمْ مِنْهُمْ
وَ أَتَقَرَّبُ إِلَى اللَّهِ ثُمَّ إِلَيْكُمْ بِمُوَالاَتِكُمْ وَ مُوَالاَةِ وَلِيِّكُمْ
وَ بِالْبَرَاءَةِ مِنْ أَعْدَائِكُمْ وَ النَّاصِبِينَ لَكُمُ الْحَرْبَ وَ بِالْبَرَاءَةِ مِنْ أَشْيَاعِهِمْ وَ أَتْبَاعِهِمْ
إِنِّي سِلْمٌ لِمَنْ سَالَمَكُمْ وَ حَرْبٌ لِمَنْ حَارَبَكُمْ وَ وَلِيٌّ لِمَنْ وَالاَكُمْ وَ عَدُوٌّ لِمَنْ عَادَاكُمْ
فَأَسْأَلُ اللَّهَ الَّذِي أَكْرَمَنِي بِمَعْرِفَتِكُمْ وَ مَعْرِفَةِ أَوْلِيَائِكُمْ وَ رَزَقَنِي الْبَرَاءَةَ مِنْ أَعْدَائِكُمْ
أَنْ يَجْعَلَنِي مَعَكُمْ فِي الدُّنْيَا وَ الْآخِرَةِ وَ أَنْ يُثَبِّتَ لِي عِنْدَكُمْ قَدَمَ صِدْقٍ فِي الدُّنْيَا وَ الْآخِرَةِ
وَ أَسْأَلُهُ أَنْ يُبَلِّغَنِي الْمَقَامَ الْمَحْمُودَ لَكُمْ عِنْدَ اللَّهِ
وَ أَنْ يَرْزُقَنِي طَلَبَ ثَارِي (ثَارَكُمْ) مَعَ إِمَامٍ هُدًى (مَهْدِيٍّ) ظَاهِرٍ نَاطِقٍ بِالْحَقِّ مِنْكُمْ
وَ أَسْأَلُ اللَّهَ بِحَقِّكُمْ وَ بِالشَّأْنِ الَّذِي لَكُمْ عِنْدَهُ أَنْ يُعْطِيَنِي بِمُصَابِي بِكُمْ أَفْضَلَ مَا يُعْطِي مُصَاباً بِمُصِيبَتِهِ
مُصِيبَةً مَا أَعْظَمَهَا وَ أَعْظَمَ رَزِيَّتَهَا فِي الْإِسْلاَمِ وَ فِي جَمِيعِ السَّمَاوَاتِ وَ الْأَرْضِ (الْأَرَضِينَ)
اللَّهُمَّ اجْعَلْنِي فِي مَقَامِي هَذَا مِمَّنْ تَنَالُهُ مِنْكَ صَلَوَاتٌ وَ رَحْمَةٌ وَ مَغْفِرَةٌ
اللَّهُمَّ اجْعَلْ مَحْيَايَ مَحْيَا مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ وَ مَمَاتِي مَمَاتَ مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ
اللَّهُمَّ إِنَّ هَذَا يَوْمٌ تَبَرَّكَتْ بِهِ (فِيهِ) بَنُو أُمَيَّةَ وَ ابْنُ آكِلَةِ الْأَكْبَادِ
اللَّعِينُ ابْنُ اللَّعِينِ عَلَى (لِسَانِكَ) وَ لِسَانِ نَبِيِّكَ (صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَ آلِهِ)
فِي كُلِّ مَوْطِنٍ وَ مَوْقِفٍ وَقَفَ فِيهِ نَبِيُّكَ (صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَ آلِهِ)
اللَّهُمَّ الْعَنْ أَبَا سُفْيَانَ وَ مُعَاوِيَةَ وَ يَزِيدَ بْنَ مُعَاوِيَةَ عَلَيْهِمْ مِنْكَ اللَّعْنَةُ أَبَدَ الْآبِدِينَ
وَ هَذَا يَوْمٌ فَرِحَتْ بِهِ آلُ زِيَادٍ وَ آلُ مَرْوَانَ بِقَتْلِهِمُ الْحُسَيْنَ صَلَوَاتُ اللَّهِ عَلَيْهِ (عَلَيْهِ السَّلاَمُ)
اللَّهُمَّ فَضَاعِفْ عَلَيْهِمُ اللَّعْنَ مِنْكَ وَ الْعَذَابَ (الْأَلِيمَ)
اللَّهُمَّ إِنِّي أَتَقَرَّبُ إِلَيْكَ فِي هَذَا الْيَوْمِ وَ فِي مَوْقِفِي هَذَا وَ أَيَّامِ حَيَاتِي
بِالْبَرَاءَةِ مِنْهُمْ وَ اللَّعْنَةِ عَلَيْهِمْ وَ بِالْمُوَالاَةِ لِنَبِيِّكَ وَ آلِ نَبِيِّكَ (عَلَيْهِ وَ) عَلَيْهِمُ السَّلاَمُ
একশত বার বলুন :
اللَّهُمَّ الْعَنْ أَوَّلَ ظَالِمٍ ظَلَمَ حَقَّ مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ وَ آخِرَ تَابِعٍ لَهُ عَلَى ذَلِكَ
اللَّهُمَّ الْعَنِ الْعِصَابَةَ الَّتِي (الَّذِينَ) جَاهَدَتِ الْحُسَيْنَ وَ شَايَعَتْ وَ بَايَعَتْ وَ تَابَعَتْ (تَايَعَتْ) عَلَى قَتْلِهِ اللَّهُمَّ الْعَنْهُمْ جَمِيعاً
একশত বার বলুন :
السَّلاَمُ عَلَيْكَ يَا أَبَا عَبْدِ اللَّهِ وَ عَلَى الْأَرْوَاحِ الَّتِي حَلَّتْ بِفِنَائِكَ
عَلَيْكَ مِنِّي سَلاَمُ اللَّهِ أَبَداً مَا بَقِيتُ وَ بَقِيَ اللَّيْلُ وَ النَّهَارُ
وَ لاَ جَعَلَهُ اللَّهُ آخِرَ الْعَهْدِ مِنِّي لِزِيَارَتِكُمْ (لِزِيَارَتِكَ)
السَّلاَمُ عَلَى الْحُسَيْنِ وَ عَلَى عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ (وَ عَلَى أَوْلاَدِ الْحُسَيْنِ ) وَ عَلَى أَصْحَابِ الْحُسَيْنِ
پس مىگويى
اللَّهُمَّ خُصَّ أَنْتَ أَوَّلَ ظَالِمٍ بِاللَّعْنِ مِنِّي وَ ابْدَأْ بِهِ أَوَّلاً ثُمَّ (الْعَنِ) الثَّانِيَ وَ الثَّالِثَ وَ الرَّابِعَ
اللَّهُمَّ الْعَنْ يَزِيدَ خَامِساً وَ الْعَنْ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ زِيَادٍ وَ ابْنَ مَرْجَانَةَ
وَ عُمَرَ بْنَ سَعْدٍ وَ شِمْراً وَ آلَ أَبِي سُفْيَانَ وَ آلَ زِيَادٍ وَ آلَ مَرْوَانَ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ
সিজদায় গিয়ে বলুন :
اللَّهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ حَمْدَ الشَّاكِرِينَ لَكَ عَلَى مُصَابِهِمْ الْحَمْدُ لِلَّهِ عَلَى عَظِيمِ رَزِيَّتِي
اللَّهُمَّ ارْزُقْنِي شَفَاعَةَ الْحُسَيْنِ يَوْمَ الْوُرُودِ
وَ ثَبِّتْ لِي قَدَمَ صِدْقٍ عِنْدَكَ مَعَ الْحُسَيْنِ وَ أَصْحَابِ الْحُسَيْنِ الَّذِينَ بَذَلُوا مُهَجَهُمْ دُونَ الْحُسَيْنِ عليه السلام