আল্লাহর একত্ববাদ
তাওহীদের মর্মবাণী-১ম কিস্তি
- প্রকাশিত হয়েছে
-
- লেখক:
- মূল ফার্সী থেকে নূর হোসেন মজিদী কর্তৃক অনূদিত
তাওহীদ মানে বিশ্বলোকে বিরাজমান সকল নেয়ামত-সকল ধন-সম্পদের নিরঙ্কুশ ও প্রকৃত মালিক হচ্ছেন একমাত্র আল্লাহ তায়ালা। অন্য কেউই কোন কিছুর স্বাধীন মালিক নয়,বরং সব কিছু মানুষের হাতে আমানতস্বরূপ;নিজেদের পূর্ণতা ও উন্নতির জন্য নিজেরা এসব থেকে ফায়দা ও সহায়তা গ্রহণ করবে।
তাওহীদের মর্মবাণী (শেষ কিস্তি)
- প্রকাশিত হয়েছে
যে মতাদর্শ কেবল অতিপ্রাকৃতিক বিষয়াদির বিশ্লেষণ করে এবং বড় জোর চারিত্রিক ও আধ্যাত্মিক তত্ত্ব হিসেবে পরিগণিত হয় তাকে একটি হালকা সূক্ষ্ম বস্তুর সাথে তুলনা করা চলে না যা জীবন গঠনমূলক ইসলামী আদর্শের বিশাল দেহকে একটি সমাজ পদ্ধতি হিসেবে কাঁধে তুলে নিতে সক্ষম নয়।
তাওহীদের অর্থ ও প্রকারভেদ
- প্রকাশিত হয়েছে
তাওহীদ বা একত্ববাদকে তাত্ত্বিক ও বিশ্বাসগতভাবে মূলত সার্বিক তিনভাবে বিভক্ত করা হয়ে থাকে। যথা: সত্তাগত, গুণগত ও কর্মগত তাওহীদ। সত্তাগত তাওহীদকে আবার দুইভাগে –সংখ্যাগত তাওহীদ ও সত্তার ক্ষেত্রে অবিভাজ্যতা (ও মৌলিকত্ব)– এবং কর্মগত তাওহীদকেও কর্মের উৎস ও প্রভাবগত একত্বে ভাগ করা হয়ে থাকে।
মহান আল্লাহর অস্তিত্ব
- প্রকাশিত হয়েছে
মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বিভিন্ন পন্থায় সাধারণ মানুষকে আল্লাহর পরিচয় লাভের শিক্ষা দিয়েছেন । ঐসবের মধ্যে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মহান আল্লাহ এ সৃষ্টিজগত ও তাতে প্রভুত্বশীল নিয়ম-শৃংখলার প্রতি মানব জাতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন । তিনি মানুষকে এ আকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টিরহস্য নিয়ে সুগভীর চিন্তা ভাবনা করার আহবান্ জানিয়েছেন ।
খোদার অস্তিত্বের প্রমাণসমূহ
- প্রকাশিত হয়েছে
কার্যের অস্তিত্ব কারণের উপর নির্ভরশীল এবং উক্ত কারণের শর্তাধীন, যদি এ নিয়মতান্ত্রিকতা সার্বজনীন বলে মনে করা হয়, তবে কখনোই কোন কিছু অস্তিত্ব লাভ করবে না। কারণ, নির্ভরশীল অস্তিত্বের সমষ্টি, অপর কোন অস্তিত্ব অর্থাৎ যার উপর তাদের অস্তিত্ব নির্ভর করে, তা ব্যতীত অস্তিত্বে আসার ধারণা বিবেক সম্পন্ন হতে পারে না...
খোদা পরিচিতি কী এবং এতে পৌঁছার সরল ও সহজ পথ কী?
- প্রকাশিত হয়েছে
সত্যানুসন্ধিৎসু ব্যক্তির জন্যে সর্বপ্রথমেই যে প্রশ্নটি উপস্থাপিত হয় এবং সর্বাগ্রেই যার সঠিক উত্তর জানতে হয় তা হল, খোদার অস্তিত্ব আছে কিনা? আর এ প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার জন্যে বুদ্ধিবৃত্তিকে প্রয়োগ করতে হবে, যাতে করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছা যায়–চাই তার ফল হোক ইতিবাচক অথবা নেতিবাচক।...
আল্লাহ সর্বশক্তিমান
- প্রকাশিত হয়েছে
আল্লাহ সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। অসীম ক্ষমতাধর প্রভু তিনি। তিনি যা ইচ্ছা করতে পারেন। তাঁর ক্ষমতার পরিমাপ করা সম্ভব নয় কারো পক্ষে। তিনি পরম পরাক্রমশালী। অপারগতা তাঁর সত্তা থেকে বহুদূরে। সকল কিছুই তাঁর জন্যে সম্ভব। তবে বস্তুর গুণগত অপারগতা ও সসীমতার কারণে সে বস্তুর বাস্তব অস্তিত্বের অনুপস্থিতি আল্লাহর অপারগতা প্রমাণ করে না।
নাহ্জুল বালাগ্বায় আল্লাহর পরিচয়
- প্রকাশিত হয়েছে
তাঁর অস্তিত্ব চিরন্তন-কোন নির্দিষ্ট সময়ে তাঁর আবির্ভাব ঘটেনি আর তিনি নন কারো দ্বারা সৃষ্ট। তাঁর অস্তিত্বও আসেনি অনস্তিত্ব থেকে। প্রত্যেক বস্তুর সঙ্গেই তিনি আছেন--তবে শারীরিক বা দৈহিকভাবে নয়,তিনি সব কিছু থেকে দূরে--তার মানে দৈহিক দূরত্বে নয় বা তিনি নন্ নির্লিপ্ত কি উদাসীন সব কিছু সম্বন্ধে। তিনি সক্রিয় ও কর্মরত,তবে তার কর্মে কি ক্রিয়ায় দৈহিক কোন অঙ্গ-প্রতঙ্গ সঞ্চালনের প্রয়োজন হয় না--প্রয়োজন হয় না কোন যন্ত্রপাতি বা হাতিয়ারের।
সৃষ্টিকর্তার গুণাবলী
- প্রকাশিত হয়েছে
আল্লাহর জাত আর তাঁর সিফাত বা গুণাবলীতে কোন পার্থক্য নেই,আর এ দু’য়ের মধ্যে পার্থক্য করা অন্যায় ও অনুচিত। তাঁর জাত থেকে তাঁর সিফাতকে (গুণাবলীকে) যে পৃথক মনে করে,বুঝতে হবে সে আল্লাহর একত্ব বিসর্জন দিয়ে দ্বিত্বে বিশ্বাসী হয়ে পড়েছে।
আল্লাহ তাআলার অস্তিত্বের প্রমাণ
- প্রকাশিত হয়েছে
যদি প্রকৃতির উদ্দেশ্য ও অর্থ এমন কোন সত্তাকে বুঝানো হয়ে থাকে যিনি জ্ঞানী, শক্তিশালী, স্বাধীন ও প্রজ্ঞাবান, তাহলে তিনিই মহান আল্লাহ। বিশ্বজগতের এতসব বিষ্ময়কর শৃঙ্খলা-বিন্যাস ও ঐক্য সামঞ্জস্য ব্যবস্থাপনা কখনো প্রকৃতি নামক কোন নির্বোধ জ্ঞানহীন ও অন্ধ-বধির সত্তার মাধ্যমে পরিচালিত হতে পারে না’।
আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়
- প্রকাশিত হয়েছে
মানব জাতির সহজাত বৈশিষ্ট্য হল শক্তিশালী কোন সত্তার সম্মুখে নিজেকে অবনত রাখা। শৈশব থেকে যখন মানব বিচার-বুদ্ধি উন্নতি লাভ করতে থাকে তখন থেকেই প্রকৃতগতভাবে তার মনে এ চিন্তার উদ্রেক হয় যে, এতসব আশ্চর্য ও বিষ্ময়কর সৃষ্টির কি কোন শক্তিশালী সৃষ্টিকর্তা নেই? তখন থেকে শুরু হয়ে যায় তার কৌতুহলী জিজ্ঞাসা।
দ্বাদশ ইমামপন্থী শীয়াদের দৃষ্টিতে ইসলামের মৌলিক বিশ্বাস (১ম পর্ব)
- প্রকাশিত হয়েছে
আমাদের দৃশ্যমান এ সৃষ্টিজগতের অস্তিত্বই প্রকৃত অস্তিত্ব নয় বরং প্রকৃত অস্তিত্ব ভিন্ন কিছু । বস্তুতঃ ঐ প্রকৃত অস্তিত্বের উপরই এই কৃত্তিম অস্তিত্ব নির্ভরশীল । ফলে অবিনশ্বর ও প্রকৃত অস্তিত্বের মাধ্যমেই এই কৃত্তিম অস্তিত্ব অস্তিত্ব প্রাপ্ত হয় । কৃত্তিম অস্তিত্ব যতক্ষণ পর্যন্ত ঐ প্রকৃত ও অবিনশ্বর অস্তিত্বের সাথে সম্পর্কিত ও সংযুক্ত থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তার অস্তিত্ব বিদ্যমান থাকবে । আর যে মূহুর্তে ঐ সম্পর্ক ও সংযোগ বিচ্ছিন্ন হবে, সে মূহুর্তেই কৃত্তিম অস্তিত্ব ধ্বংস হয়ে যাবে । ১ আমরা অপরিবর্তনশীল ও অবিনশ্বর অস্তিত্বকেই (অবশ্যম্ভাবী বা অপরিহার্য অস্তিত্ব) ‘আল্লাহ’ নামে অভিহিত করি
তাওহীদ
- প্রকাশিত হয়েছে
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যিনি সর্বজ্ঞ,পরাক্রমশালী এবং বিশ্বের অস্তিত্বদানকারী,রক্ষক ও পরিচালক । তিনি এক এবং অদ্বিতীয় তার কোন শরিক নেই। তিনি কারও থেকে জন্ম গ্রহণ করেননি তিমনি কাউকে জন্মও দান করেননি। সৃষ্টিকর্তাবিহীন বিশ্বের ধারণা হল একটি অযৌক্তিক ধারণা এবং এর স্বপক্ষে গ্রহণযোগ্য কোন ব্যাখ্যা নেই ।
তাওহীদের সংজ্ঞা ও মর্যাদা
- প্রকাশিত হয়েছে
আল্লাহ তাআলা মানুষের জন্য এক ও একক সর্বাধিপতি প্রতিপালক। তিনি রাজত্ব, সৃষ্টি, ধন-সম্পদ ও কর্তৃত্বের অধিপতি। এতে কোন অংশীদার নেই। এককভাবে তিনিই প্রভু। এবাদত, আনুগত্য, আশা-ভরসা, সাহায্য ও ফরিয়াদের ক্ষেত্রে অন্য কাউকে তার সাথে অংশীদার করা জায়েজ নেই
- «
- শুরু
- পূর্বের
- 1
- পরের
- শেষ
- »